বর্ষাকালে যৌনমিলনের আকাঙ্খা কমে যায় কেন ? এবং সেরিটোনিন কি?

বর্ষাকালে যৌনমিলনের আকাঙ্খা কমে যায় কেন ? এবং সেরিটোনিন কি?

🇨🇭 বর্ষাকালে যৌনমিলনের আকাঙ্খা কি কমে যায় যৌনতা এমনই একটা জিনিস যা নিয়ে অনেকেরই ভিন্ন রকমের ফ্যান্টাসি রয়েছে। একেকজন একেক রকমভাবে যৌনতাকে উপভোগ করে। তবে সমীক্ষায় দেখা গেছে, সারাদিনের কাজের শেষে ক্লান্ত শরীর যখন বিশ্রাম করে তখনই যৌনতাকে উপভোগ করেন কাপলরা। এই সময়েই যৌন চাহিদা দ্বিগুণ বেড়ে যায়।

🇨🇭 সম্প্রতি এক সমীক্ষায় গেছে, বর্ষাকালেই যৌন চাহিদা দ্বিগুন কমে যায়। কারণ মেঘলা দিনেই নাকি অবসাদ গ্রাস করে নারীকে। আর সেই কারণেই সঙ্গীনিকে চরম তৃপ্তি দেওয়ার পরিবর্তে সম্পর্ক ক্রমশ ফিকে হতে থাকে। কিন্তু কেন এমনটা হয়, জানলে চমকে যাবেন।

🇨🇭 গরমকাল হোক আর বর্ষা ঘর বন্দি দশায় প্রত্যেকেই অনেক বেশি যৌন মিলনে মেতে উঠেছেন। কিন্তু সমীক্ষায় দেখা গেছে, মেঘলা দিনে ম্যাজম্যাজে মেজাজ থাকে বেশিরভাগ মেয়েদের।

🇨🇭 সমীক্ষায় দেখা গেছে, রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে 22 শতাংশ মহিলার মন চনমনে থাকে। সেখানে মেঘলা দিনে 14 শতাংশের কম মহিলার মুড ঠিক থাকে না।

🇨🇭 শুধু মহিলারাই নন, পুরুষদের শরীরেরও এর প্রভাব পড়ে। কারণ মেঘলা দিনে পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ কমে যায়।

🇨🇭 আর সেই কারণের জন্যই বর্ষাকালে নারী ও পুরুষ উভয়েরই যৌন উত্তেজনা ক্ষীণ হয়ে পড়ে। যার ফলে কামশক্তি কমে আসে।

বর্ষাকালে যৌনমিলনের আকাঙ্খা কমে যায় কেন ? এবং সেরিটোনিন কি?

🇨🇭 বছরের নিদির্ষ্ট কিছু ঋতুতে অবসাদ মনকে গ্রাস করে। আর সেই ঋতুর তালিকায় রয়েছে বর্ষাকাল।

🇨🇭 কম আলোয় মস্তিষ্ক থেকে সেরোটোনিনের ক্ষরণ কমে, যার ফলে যৌন উত্তেজনা প্রশমিত হয়। এবং সেই কারণেই যৌন মিলনও শিথিল হতে থাকে।

অপর দিকে সেরোটোনিনের ক্ষরণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষ ও নারীর কামশক্তিও বেড়ে যায়।

🇨🇭 বাড়িতে একটানা থাকতে থাকতে অনেকেই মানসিক চাপ, অবসাদে ভুগছেন। বিশেষজ্ঞদের দাবি, যৌন মিলন করলে শরীর ও মন ভাল হয়ে যায়।

🇨🇭 সেরোটোনিন হরমোন :

🇨🇭 সেরোটোনিন একধরনের নিউরোট্রান্সমিটার।

🇨🇭 নিউরোট্রান্সমিটার হলো একধরনের সিগন্যালিং কেমিক্যাল, যার মাধ্যমে একটি নিউরন অন্য নিউরনের সঙ্গে কমিউনিকেট করে। নিউরন হলো স্নায়ু সিগন্যাল পাঠানোর কোষ। মানুষের শরীরে এমন 100 টির বেশি নিউরোট্রান্সমিটার আছে, যারা এই স্নায়ুবিক সংকেতগুলো একস্নায়ুকোষ থেকে আরেকটিকে নিয়ে যায়। একটু বললে সেরোটোনিন হলো মনোএমাইন ধরনের নিউরোট্রান্সমিটার, যাদের মধ্যে অ্যামিনো আছে।

🇨🇭 এমন আরো একই ধরনের নিউরোট্রান্সমিটার আছে,

যেমন : ডোপামিন, নরএপিনেফ্রিন। মনোএমাইন ধরনের নিউরোট্রান্সমিটারগুলো আমাদের বিভিন্ন ধরনের ইমোশান, যৌনতা বোধ, স্মৃতি, এমন সব অনুভূতির সিগন্যাল কমিউনিকেশন মডুলেটর হিসেবে কাজ করে।

🇨🇭 সেরোটোনিনের কেমিক্যাল নাম ট্রিপ্টামিন। ঠিকমতো বললে- Hydroxytryptamine. সেরোটোনিনের অনেক কাজ। প্রধান কাজ অন্ত্রে, বাকি কাজ মস্তিষ্কে। মস্তিষ্কে মুড, মেমোরি, লার্নিং প্রসেসে সেরোটোনিন কাজ করে। 90 শতাংশ সেরোটোনিন তৈরি হয় পেটে। বিশেষ করে অন্ত্রে এন্টেরোক্রমাফিন কোষে। পেটের এবং গোটা অন্ত্রের স্নায়ুবিক নিয়ন্ত্রণের জন্যে একধরনের নার্ভ নেটওয়ার্ক আছে। নাম – এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম। সেরোটোনিনের বেশির ভাগ এখানেই তৈরি হয়। অন্ত্রের মাসল মুভমেন্টে সেরোটোনিন হেল্প করে।

🇨🇭 পেট এবং মস্তিষ্ক ছাড়াও রক্তেও সেরোটোনিন থাকে। রক্তের প্লাটেলেটসের মধ্যে ৮ শতাংশ সেরোটোনিন জমা থাকে। রক্ত জমাট বাঁধার কাজে সাহাঘ্য করে রক্তকে।

🇨🇭 মস্তিষ্কে সেরোটোনিনের কাজ লক্ষণীয় হলেও শরীরের গোটা সেরোটোনিনের মাত্র 1 শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই এক পার্সেন্টই মুড থেকে ঘুম, মেমোরি থেকে ক্ষুধা, মন ভালো থাকা থেকে শিক্ষা, অনেক কিছুর ওপর প্রভাব রাখে।

বর্ষাকালে যৌনমিলনের আকাঙ্খা কমে যায় কেন ? এবং সেরিটোনিন কি?
বর্ষাকালে যৌনমিলনের আকাঙ্খা কমে যায় কেন ? এবং সেরিটোনিন কি?

🇨🇭 1948 সালে শরীরে সেরোটোনিন প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিল ভেসোকনস্ট্রিক্টর সাবস্টেন্স হিসাবে। পরবর্তীকালে মস্তিষ্কে নিউরোট্রান্সমিটার সাবস্টেন্স হিসাবে সন্ধান পায় বিজ্ঞানীরা। সেরোটোনিনকে বলা হয় ভালো থাকার হরমোন।

আরো পড়ুনঃ  মহিলাদের সেক্স ড্রাইভ বৃদ্ধি করতে খাবারের পাশাপাশি হোমিও চিকিৎসা গ্ৰহন করুন।

🇨🇭 আমাদের মুড হরমোন সেরোটোনিন- Serotonin.

🇨🇭 সেরোটোনিন- Serotonin এর অন্য নাম সুখের হরমোন। কিন্তু সেরোটোনিনের শুধু একটি কাজ নয়। মস্তিষ্কে সে এক কাজ করলে শরীরের আরেক জায়গায় সে আরেক কাজ করে। রক্তে জমাট বাঁধায়, পেটে খাদ্যনালিকে চালায়, খাদ্য পরিপাকে সাহাঘ্য করে, লিভারে পুষ্টি পরিপাকে সাহাঘ্য করে, হাড়ের গঠনে সাহাঘ্য করে, রক্তনালিকে নিয়ন্ত্রণ করে। পুরো শরীরেই সেরোটোনিনের কাজ আছে। শরীরে সেরোটোনিন বেশি কমে গেলেও সমস্যা, আবার বেশি বেড়ে গেলেও সমস্যা আছে।

🇨🇭 মস্তিষ্কে সেরোটোনিন Serotonin একটি মাত্রার চেয়ে কমে গেলে ডিপ্রেসেড লাগে, বেশি বেড়ে গেলে অন্ত্রের স্নায়ুবিক এফেক্ট বেড়ে যায়। এতে রক্ত চাপ বেড়ে যেতে পারে, শরীর ঘামাতে থাকে, মাথা ব্যথা বেড়ে যায়। আবার মস্তিষ্কে বেশি মাত্রায় সেরোটোনিন বেড়ে গেলে যৌনতা বোধ কমে যায়।

🇨🇭 রক্তে স্বাভাবিক মাত্রার সেরোটোনিন Serotonin লেভেল- 01–283 Manograms Per Milliliter- (ng/ml)।

🇨🇭 খুব বেশি মাত্রার সেরোটোনিনের উপস্হিতি কার্সিনোয়েড সিনড্রোমের সিম্পটম। সূর্যের আলো, ব্যায়াম, সেরোটোনিন রিচ ফুড, ইত্যাদিতে শরীরে সেরোটোনিন সিক্রেশন বাড়ে। সেরোটোনিনের কম যেমন মুডের ওপর প্রভাব ফেলে, তেমনি শরীরে সেরোটোনিনের বেড়ে যাওয়ায় প্রভাব ফেলে। কমে যাওয়া সেরোটোনিন এর ক্ষেত্রে সেরোটোনিন দিয়ে মুড চেঞ্জ করা হয়, যা অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট নামে পরিচিত।

🇨🇭 আবার সেরোটোনিন Serotonin বেড়ে গেলে এরকম বেড়ে যাওয়া একটি পরিস্হিতির নাম-সেরোটোনিন সিনড্রোম।

🇨🇭 সেরোটোনিন সিনড্রোম বেশির ভাগ সময় হয় অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট মেডিসিন ওভার ডোজ হয়ে গেলে। শরীর যতটুকু সেরোটোনিন প্রসেস করতে পারে, তার চেয়ে বেশি সেরোটোনিন জমতে থাকে শরীরে। এমন হলে হাত-পা কাঁপবে, নার্ভাস এবং অস্হির লাগতে পারে, কারণ ছাড়া ডায়রিয়া হবে, মাথাব্যথা, মৃদু জ্বর, নির্ঘুমটা দেখা দিতে পারে। হার্ট রেট বেড়ে যেতে পারে, ব্লাডপ্রেশার হাই হয়ে যায়, ঘামাতে পারেন, পিউপিল ডাইলেটেড হতে পারে, এমনকি পেশির খিঁচুনি থেকে মস্তিষ্কে সুইজার দেখা দিতে পারে।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা চট্টগ্রাম | Homeo Treatment Chattogram
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা চট্টগ্রাম | Homeo Treatment Chattogram

🇨🇭 সেরোটোনিন Serotonin সিনড্রোম থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় হলো ডাক্তারের দেওয়া ডোজের বাইরে বেশি মাত্রায় কখনো খাবেন না। বিভিন্ন ধরনের ড্রাগ-কোকেন, এলএসডি, মারিওয়ানা, এসব খেলেও সেরোটোনিনের মাত্রা অনেক বেড়ে যেতে পারে।

🇨🇭 হ্যাপি হরমোন সেরিটোনিন- Serotonin এবং অন্যান্য যৌন উদ্দীপক হরমোনের ব্যালেন্স ঠিক রাখতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্ৰহন করুন।

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন
Dr. Masud Hossain.
(বি, এইচ, এম, এস )
(ডি, এইচ, এম, এস) ( ঢাকা )।

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

📞 মোবাইল : +8801907-583252
+8801302-743871

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 সকাল 09:00 — 01:00 টা।
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!