🇨🇭 যৌন সমস্যা বর্তমানে একটি জটিল সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এ রোগীর হার দিন দিন বেরেই চলেছে। এই সুযোগে দেশের আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে নানা রং-বেরংগের পোস্টার সাজিয়ে বিভিন্ন দাওয়া খানা ও চমকপ্রদ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। যেখানে চিকিৎসার নামে করা হয় বিভিন্নভাবে প্রতারনা। হতাশা গ্রস্থ যুব সমাজ আরো বেশী হতাশা গ্রস্থ হচ্ছে। এক পর্যায় তারা মনে করে এ রোগের মনে হয় আর চিকিৎসার নেই। অতিরিক্ত হস্তমৈথুন, যৌনবাহিত রোগ – STD তে ( সিফিলিস, গনোরিয়া ) রক্তে সেক্স-হরমোনের ভারসাম্যহীনতা।এছাড়াও রয়েছে ডায়াবেটিস, দুশ্চিন্তা,টেনশন, অবসাদ, ও অ-পুষ্টি, যৌনরোগ বা এইডস ভীতি। সেক্স-এডুকেশের অভাব, বয়সের পার্থক্য, পার্টনারকে অপছন্দ। নারীর ত্রুটিপূর্ণ যৌনাসন, মানসিক ও শারীরিক সম্যসা ইত্যাদি কারণে এ রোগ বা সমস্যা হতে পারে। এ সমস্যা যে কোন বয়সেই হতে পারে, সে ক্ষেএে লজ্জা, অবহেলা, আজ কাল, না করে জটিল হওয়ার পূর্বেই দ্রুত চিকিৎসা নেয়া আবশ্যক।
🇨🇭 বিভিন্ন যৌনরোগ:
সব সময় যে অবাধ সঙ্গমের ফলেই এই ধরনের রোগ হয় তা নয়, কোনও একজন আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে বহুবার শারীরিক সম্পর্কের ফলেও এই রোগ হতে পারে। কিছু যৌন রোগের নাম ও লক্ষণ:
🩸ক্ল্যামিডিয়া: যোনি এবং পুরুষাঙ্গ থেকে অস্বাভাবিক ক্ষরণ এই রোগের লক্ষণ। গড়ে 50 শতাংশ পুরুষ ও 70 শতাংশ মহিলাদের মধ্যে এই রোগ দেখা যায়। দ্রুত চিকিৎসা করলে সেরে ওঠা সম্ভব। ক্ল্যামিডিয়া হলে খুব সহজেই অন্যান্য যৌনরোগ বাসা বাঁধে শরীরে।
🩸গনোরিয়া: সচরাচর ক্ল্যামিডিয়া এবং গনোরিয়া একই সঙ্গে হয়। যোনি বা পুরুষাঙ্গ থেকে অস্বাভাবিক ক্ষরণ, মূত্রত্যাগ করার সময় যন্ত্রণা ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ। চিকিৎসা না করলে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এই রোগ।
🩸যৌনাঙ্গে হার্পিস: 80% মানুষ যাঁদের যৌনাঙ্গে হার্পিস রয়েছে তাঁরা জানেন না যে তাঁদের শরীর আসলে একটি বিশেষ ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত। অজান্তেই তাঁরা সঙ্গী বা সঙ্গিনীর শরীরে সংক্রামিত করেন এই ভাইরাস। যৌনাঙ্গে ছোট ছোট ফোস্কার মতো র্যাশ এই রোগের লক্ষণ। ফোস্কা পরার বেশ কয়েক ঘণ্টা আগে থেকে চুলকানির অনুভূতি হয় যৌনাঙ্গে। একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর বার বার এই র্যাশগুলি বেরতে থাকে।
🩸সিফিলিস: প্রাচীনকাল থেকেই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে মানুষ। ঠিক সময়ে ধরা পড়লে সাম্প্রতিক কালে সহজেই সারানো যায় এই রোগ। কিন্তু রোগ বেড়ে গেলে তা সাঙ্ঘাতিক যন্ত্রণাদায়ক। যৌনাঙ্গ, পায়ু এবং মুখে আলসার হয়, এমনকী চোখ এবং মস্তিষ্কও আক্রান্ত হয়। যৌনরোগগুলির মধ্যে অন্যতম মারণ রোগ। তবে প্রাথমিক অবস্থায় এই রোগের লক্ষণ শরীরে চট করে ধরা পড়ে না।
🩸যৌনাঙ্গে আঁচিল বা ওয়ার্ট: যৌনাঙ্গ এবং পায়ুর আশেপাশে আঁচিলের মতো র্যাশ এক ধরনের যৌন রোগ। একত্রে একসঙ্গে অনেকগুলি আঁচিল দেখা যায়। হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস- HPV, যা সার্ভিক্যাল ক্যানসারের কারণ এবং যৌন সংসর্গে এক শরীর থেকে অন্য শরীরে ছড়ায়, তাই এই রোগের জন্ম দেয়। অনেক সময় এই আঁচিলগুলি ফোস্কার মতো হয় আবার অনেক সময় এগুলি আলসারেও পরিণত হতে পারে।
🩸হেপাটাইটিস- B: অনেকেই হয়তো জানেন না, এই রোগটিও যৌন সংসর্গের ফলে ছড়ায়। একই ভাবে ছড়াতে পারে হেপাটাইটিস-A এবং হেপাটাইটিস- C, তবে তার সংখ্যা খুবই কম। লিভার সংক্রান্ত জটিলতা, মূত্রের রং পরিবর্তন, গা বমি ভাব ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ হতে পারে।
🩸এইচআইভি: এইচআইভি ভাইরাস মরণব্যাধি নয় কিন্তু এই রোগের মূল লক্ষণ শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা ভেঙে পড়া। তাই এই ভাইরাস শরীরে থাকলে অন্য যে কোনও কঠিন রোগ হলে তা মারণ আকার ধারণ করে।
🩸যৌনকেশে উকুন: মাথার চুলের মতো যৌনাঙ্গের কেশেও উকুন বাসা বাঁধতে পারে এবং শারীরিক মিলনের সময়ে তা অন্যের শরীরে সংক্রামিত হয়। যৌনাঙ্গের আশপাশে চুলকানি হলে তা এই কারণে হতে পারে।
🩸ট্রাই-কোমোনিয়াসিস: যৌনাঙ্গ থেকে অস্বাভাবিক ক্ষরণ, যৌনক্রিয়ার সময় যৌনাঙ্গে যন্ত্রণা এবং মূত্রত্যাগের সময় যন্ত্রণা এই রোগের লক্ষণ যদিও সঠিক চিকিৎসায় দ্রুত সেরে ওঠা সম্ভব।
🩸ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস: যোনি থেকে নি:সরণে দুর্গন্ধ এই রোগের লক্ষণ। অন্যান্য রোগের তুলনায় এই রোগ খুব সহজেই সেরে যায়।
🇨🇭 বিভিন্ন ধরনের যৌন সমস্যা: যৌন সমস্যা কথাটার অর্থ ব্যাপক। যৌন মিলনে সমস্যা, যৌনরোগ, গর্ভধারণে সমস্যা ইত্যাদি সব কিছুই যৌন সমস্যার মধ্যে ফেলা যায়। এই পোস্টে ছেলেদের যৌন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হল যেগুলো সুস্থ যৌনসঙ্গম ও যৌন তৃপ্তির পথে বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে।
🩸 শীঘ্রপতন- Premature Ejaculation : ছেলেদের যৌন সমস্যার সম্মন্ধে কথা বলতে গেলে প্রথমেই যেটা মনে আসে তা হল শীঘ্রপতন। পৃথিবীর প্রায় এক তৃতীয়াংশ পুরুষরা জীবনে কোন না কোন সময়ে যৌন সমস্যায় পড়ে থাকে।তবে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে শীঘ্রপতনের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
🩸 বিলম্বিত বীর্যস্খলন: শীঘ্রপতনের বিপরীত একটি যৌন সমস্যা হল বিলম্বিত বীর্যস্খলন। এক্ষেত্রে বীর্যস্খলন হতে অত্যধিক বিলম্ব হয় যা দুজন সঙ্গীর পক্ষেই অসুবিধাজনক। সঙ্গিনীর প্রতি আকর্ষনের অভাব, ধর্মীয় বা অন্য কারণে যৌনসঙ্গমে অপরাগ, স্নায়ুতে আঘাত, কিছু কিছু ঔষধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার ফলে এই সমস্যা হতে পারে। সঠিক কারণ চিহ্নিত করতে পারলে বিলম্বিত বীর্যস্খলন নামক এই যৌন সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
🩸রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশন:যৌন সমস্যাজনিত অপর একটি গুরুতর ব্যাপার হল রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশন। এক্ষেত্রে বীর্যস্খলনের সময় বীর্য মূত্রনালী দিয়ে বের হওয়ার পরিবর্তে মূত্রথলীতে প্রবেশ করে। ফলে হস্তমৈথুন বা যৌনসঙ্গমের সময় অর্গ্যাজম হলেও বীর্য বের হয় না। মূত্রথলীর স্ফিংটার পেশী ঠিকমত কাজ না করলে এই ধরণের যৌন সমস্যা হয়। রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশন পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের একটি সম্ভাব্য কারণ। কারণের উপর নির্ভর করে ওষুধ বা অপারেশনের মাধ্যমে এই সমস্যার চিকিৎসা করা হয়।
🩸ধ্বজভঙ্গ- Impotency: আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ছেলেদের যৌন সমস্যা হল ধ্বজভঙ্গ বা Impotency. এইরোগে লিঙ্গ একেবারেই উত্তেজিত হয় না বা হলেও স্বল্প সময়েই শিথীল হয়ে যায়। প্রায় 40 শতাংশ পুরুষ জীবনের কোন না কোন সময় এই যৌন সমস্যায় উপনীত হয়। এই রোগের আধুনিক নাম ইরেকটাইল ডিসফাংশন ( ED )। নানাবিধ শারীরিক বা মানসিক কারণে এই সমস্যা হতে পারে। শারীরিক কারণসমূহ হল মূলত হৃদরোগ, মধুমেহ, হরমোনের সমস্যা, স্নায়বিক দুর্বলতা, বয়সজনিত অন্যান্য অসুখ, ধুম্রপান, ঔষধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া, যৌনাঙ্গে আঘাত ইত্যাদি। মানসিক কারণসমূহ মধ্যে দু:শ্চিন্তা, মানসিক রোগ, ভালভবে আদর না করতে পারার চিন্তা ইত্যাদি অন্যতম। তবে সুচিকিৎসায় ED, নিরাময় সম্ভব। যেমন- Homeo Treatment কার্যকরী। এছাড়াও নিয়মিত শারীরিক কসরৎ, বিশেষত এরোবিক এক্সারসাইজ বিশেষ উপকারী। তবে যদি মনে হয় যে ইরেকটাইল ডিসফাংশনের ED, সমস্যা হচ্ছে তাহলে সত্বর কোন ভাল ইউরোলজিস্ট বা সেক্সোলজিস্টের পরমর্শ নেওয়া উচিৎ। উনি যথাযথ পরীক্ষা করে দেখবেন যে ধ্বজভঙ্গের কারণ শারীরিক না মানসিক এবং সেই অনুসারে চিকিৎসা করবেন।
🩸 যৌনক্ষুধা বা যৌনআকাঙ্ক্ষা কমে যাওয়া: যৌন সমস্যাজনিত আরেকটি সমস্যা হলো পুরুষদের যৌনক্ষুধা কমে যাওয়া। মূলত শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে গেলে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়। তবে অনেক সময় মানসিক অবসাদ, দু:শ্চিন্তা, মধুমেহ, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদির ফলেও যৌনইচ্ছা কমে যেতে পারে। তবে দেখা গেছে যে শারিরীক কসরৎ করলে যৌনইচ্ছা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
🇨🇭 পুরুষদের বিভিন্ন যৌনরোগ যেমন-( এইচ.আই.ভি.- HIV ), গনোরিয়া, সিফিলিস ইত্যাদি যৌনমিলনে জটিলতা সৃষ্টি করে থাকে।
🇨🇭 ধাতু দূর্বলতা বা ( Spermatorrhoea ):
🩸অনৈচ্ছিক বীর্যপাতের নামই হলো ধাতু দুর্বলতা।এ ধরনের সমস্যায় সপ্নাবেশ বা কোম উদ্দীপনা ছাড়াই বারবার বীর্যস্থলন হয়। সাধারণভাবে বলতে গেলে ইহা নিজে কোন রোগ নয় বরং অন্যান্য রোগের উপসর্গ।
🩸 ধাতু দূর্বলতা ( Spermatorrhoea ) এর কারণসমূহ:
যৌবন কালে অস্বাভাবিক উপায়ে শুক্র ক্ষয় হলে এই সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে, হস্তমৈথুন এবং অতিরিক্ত যৌন মিলন করা ইহার প্রধান কারণ। কোষ্ঠকাঠিন্য, অর্শ্বরোগ ইত্যাদির কারণেও ইহা হতে পারে।আবার অনেক সময় সিফিলিস, গনোরিয়া, ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ স্বরূপ এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্বাভাবিক ভাবে হরমোনের অভাবে অথবা কৃত্রিম অতিরিক্ত মৈথন বা অস্বাভাবিক শুক্রপাত করতে থাকলে স্পারম্যাটোরিয়া সৃষ্টি হতে পারে। আবার অনেক সময় অপুষ্টি বা ভিটামিন প্রভৃতির অভাবে অথবা দীর্ঘদিন রক্তশূন্যতা বা নানা প্রকার রোগে ভোগার ফলে ইহা দেখা দিতে পারে। যারা সাধারণত বেশি পরিমান যৌন মিলন করে,অতিরিক্ত শুক্রক্ষয় করে তাদের শুক্রথলিতে শুক্র বেশি সঞ্চিত থাকে না।ইহার ফলে তাদের শুক্র নির্গত হতে দেখা যায় তাদের শুক্রে ঘনত্ব ( Viscosity ) কম এবং তা দেখতে বেশ তরল। ইহাতে রোগীর ভয়ানক দুর্বলতা সৃষ্টি হয়।
🩸 ধাতু দূর্বল্য ( Spermatorrhoea ) এর লক্ষণসমূহ: স্পারম্যাটোরিয়ার লক্ষণযুক্ত রোগীর শুক্র অত্যন্ত তরল হয়। অনেক সময় পাতলা পানির মত নির্গত হয়, শুক্রে ঘনত্ব ( Viscosity ) খুব কম হয়। রোগী ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং দেহগত অপুষ্টির ভাব প্রকাশ পেয়ে থাকে। দেহের সৌন্দর্য নষ্ট হয় এবং জীর্ণ শীর্ণ হয়ে পড়ে,মুখ মলিন এবং চক্ষু কোঠরাগত হয়ে পরে। দেহে প্রয়োজনীয় প্রোটিন এবং ভিটামিনের প্রবল অভাব পরিলক্ষিত হয়। রোগীর জীবনীশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং নানা প্রকার রোগে অতি সহজেই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দেহে যৌন হরমোন বা পিটুইটারি এড্রিনাল প্রভৃতি গ্রন্থির হরমোন কম নি:সৃত হয়। ইহার ফলে দেহে যৌন ক্ষমতা কমে যায় এবং শুক্র ধীরে ধীরে পাতলা হতে থাকে। আবার এর কারণে সিফিলিস,গনোরিয়ার মত রোগের প্রকাশ লাভ করার সুযোগ হয়।
শুক্রপাত বেশি হওয়ার দরুন দৈহিক এবং মানসিক দুর্বলতা বৃদ্ধি পায়,মাথা ঘোরে,বুক ধড় ফড় করে, মাথার যন্ত্রণা দেখা যায়। আক্রান্ত ব্যক্তি সর্বদাই অস্থির বোধ করে। বসা থেকে উঠলেই মাথা ঘোরে এবং চোখে অন্ধকার দেখে, ক্ষুধাহীনতার ভাব দেখা দেয়। ইহাতে পেনিস বা জননেদ্রীয় এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে, তার শুক্রের ধারণ শক্তি একেবারে কমে যায়। রাত্রে স্বপ্ন দেখে শুক্র ক্ষয় হয়, আবার দিনের বেলায়ও নিদ্রাকালীন স্বপ্ন দেখে শুক্রপাত হয়। সমস্যা ধীরে ধীরে কঠিন আকার ধারণ করলে সামান্য উত্তেজনায় শুক্রপাত হয়। স্ত্রীলোক দর্শনে বা স্পর্শে শুক্রপাত ঘটে, এমনকি মনের চাঞ্চল্যেও শুক্রপাত হয়। পায়খানার সময় কুন্থন দিলে শুক্রপাত হয়, স্মরণশক্তি কমে যায়, বুদ্ধিবৃত্তি কমে যায়, পুরুষাঙ্গের ক্ষীনতা ও দুর্বলতা দেখা যায়, চোখের চারদিকে কালিমা পরে, অকাল বার্ধক্য এবং ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। এই বিশ্রী সমস্যার লক্ষণ মানুষের বিশেষ করে তরুনদের উন্নতির পথে প্রধান একটা অন্তরায় হয়ে দাড়ায়।
🇨🇭 যৌন সমস্যার বিভিন্ন কারণ:
- 🩸মানসিক দুশ্চিন্তা, মানসিক হতাশা, মানসিক ভীতি।
- 🩸অতিরিক্ত হস্ত মৈথুন।
- 🩸 সময়মত বিবাহ না করা।
- 🩸 যৌন শক্তি বাড়ানোর নামে ( ওয়ান টাইম মেডিসিন- One Time Sexual Medicine ) সেবন করা।
- 🩸 অতিরিক্ত ধুমপান করা।
- 🩸 স্বামী স্ত্রীর মাঝে বহুদিন সম্পর্ক ছিন্ন থাকা।
- 🩸 দীর্ঘদিন যাবৎ কঠিন আমাশয় ও গ্যাষ্টিক রোগে আক্রান্ত থাকা।
- 🩸 সংগদোষ অর্থাৎ খারাপ বন্ধুদের কারনে খারাপ কাজে সম্পৃক্ত হওয়া, পর্ণ মুভি দেখা ও এ জাতীয় চিন্তা করা।
- 🩸 অতিরিক্ত সপ্নদোষ হওয়া।
- 🩸 ডায়াবেটিস হওয়ার কারনে।
- 🩸 স্থুলতার কারনে।
- 🩸 পরিবারে উদাসীনতা, যারা কায়িক পরিশ্রম করে মানে অলস যারা।
- 🩸 বিয়ের আগে অবাধ মেলামেশা করা।
- 🩸 কোন ধর্মীয় অনুশাসন না মেনে চলা।
আরো পড়ুনঃ স্বামীর তাড়াতাড়ি বীর্যপাত হলে মহিলারা যৌন সুখ পায় না!
🇨🇭 যৌন সমস্যার চিকিৎসা:
🩸 দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসাব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে: সেক্সুয়াল থেরাপি, ওষুধপত্র ও সাইকোথেরাপি। অনেক পুরুষের ক্ষেত্রে সমন্বিত চিকিৎসা সবচেয়ে ভালো কাজ করে।
🩸 সেক্সুয়াল থেরাপি:এ ক্ষেত্রে চিকিৎসক বুঝিয়ে দেবেন যৌনমিলনের সময় কী করতে হবে। চিকিৎসক একটি নির্দিষ্ট সময় যৌনমিলন থেকে বিরত থাকার কথা বলতে পারেন। আরও কিছু পদ্ধতি শিখিয়ে দিতে পারে।
ওষুধঃ দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসায় কিছু নির্দিষ্ট অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ও টপিক্যাল অ্যানেসথেটিক ক্রিম ব্যবহার করা হয়। তবে এসব ওষুধ কখনোই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা উচিত নয়। ওষুধ প্রথমে অল্প মাত্রা দিয়ে শুরু করতে হয়। এটি আপনার লিঙ্গের অনুভূতিকে ভোঁতা করে আপনার বীর্যপাত দেরিতে ঘটাতে সাহায্য করে। পুরুষ সঙ্গীরা যখন এসব ক্রিম ব্যবহার করেন তখন তাদের যোনির সংবেদনশীলতা কমে যায়, এতে পুরুষ সঙ্গীরা যৌনানন্দ লাভ করলেও তারা তেমন যৌন আনন্দ লাভ করেন না।
🩸 সাইকোথেরাপি: এটা হলো কাউন্সেলিং বা আপনার যৌনসমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের সাথে বিস্তারিত কথা বলা ও পরামর্শ গ্রহণ করা। এ ধরনের কথা বলায় আপনার দুশ্চিন্তা কমবে এবং সমস্যার উন্নতি ঘটবে। অনেক দম্পতির ক্ষেত্রে শুধু সাইকোথেরাপির মাধ্যমে ভালো ফল পাওয়া গেছে।
🇨🇭 হোমিও প্রতিবিধান- Homeo Treatment:
🩸 দ্রুত বীর্যপাত বা বিভিন্ন যৌনরোগ বা যৌনসমস্যা সমাধানের জন্য সর্বাধুনিক, উন্নত এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সা রয়েছে, যা এই সমস্যা সমাধানের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এবং একবার আরোগ্য হলে তা আর দেখা দেয় না। হোমিও চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগীর মানসিক লক্ষণ, ধাতুগত লক্ষণ ও রোগ লক্ষণ বিবেচনা করে মেডিসিন প্রয়োগ করা হয়। ফলে অল্প কিছু দিনের সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সায় আপনিও চিরদিনের জন্য যৌন সংক্রান্ত রোগ সমূহ থেকে মুক্তি পারেন ইনশাল্লাহ। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই একজন উচ্চশিক্ষিত এবং অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
নানান যৌন সমস্যায় আক্রান্ত হাজার হাজার রোগীকে চিকিত্সা দিয়ে আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে পুরিপূর্ণ সুস্থ করে তুলতে সক্ষম হয়েছি। তাই অন্তত একবার হলেও হোমিও চিকিত্সা নিয়ে দেখবেন আশা করি। আপনিও যদি এ ধরনের কোনো সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে কোনো প্রকার সংকোচ না করে আপনার বিস্তারিত সমস্যা জানাবেন, আপনার অবস্থার আলোকে যথাযথ সমাধান দিব, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়। একজন হোমিও ডাক্তারের/ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। সাইড ইফেক্ট নেই এমন হোমিওপ্যাথি ঔষধ কাজে লাগাবেন। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য পরবর্তী ধাপগুলো অর্থাৎ- যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থতা অর্জন করতে পারবেন। হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় Homeo হোমিও ওষুধ খান।
🇨🇭 হোমিওপ্যাথি: জার্মান চিকিৎসক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান উদ্ভাবিত ( 1796 ) এক চিকিৎসা পদ্ধতি,
🇨🇭 হোমিওপ্যাথি হল একটি বিকল্প বৈজ্ঞানিক চিকিৎসা পদ্ধতি। এটি 1796 সালে জার্মান চিকিৎসক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান আবিষ্কার করেন।
🩸 হোমিওপ্যাথ নামে পরিচিত এর চিকিৎসকরা বিশ্বাস করেন যে পদার্থ সুস্থ মানুষের মধ্যে একটি রোগের উপসর্গ সৃষ্টি করে সেই একই পদার্থ অসুস্থ মানুষের মধ্যে একই ধরনের উপসর্গ নিরাময় করতে পারে, এই মতবাদকে বলা হয় ( সিমিলিয়া সিমিলিবাস কিউরেন্টার ) বা ( সদৃশ সদৃশকে আরোগ্য করে।)
🩸 হোমিওপ্যাথিক ঔষধকে রেমিডি বলা হয় এবং হোমিওপ্যাথিক ডায়োলেশন ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। এই প্রক্রিয়ায়, নির্বাচিত পদার্থ বারবার মিশ্রিত করা হয় যতক্ষণ না চূড়ান্ত পণ্যটি রাসায়নিকভাবে দ্রবণীয় থেকে আলাদা হয়। প্রায়ই মূল পদার্থের একটি অণুও পণ্যটিতে থাকার আশা করা যায় না।
🩸 প্রতিটি ডায়োলেশনে হোমিওপ্যাথ ঔষধটিকে আঘাত করতে পারে অথবা ঝাঁকি দিতে পারে, এই দাবী করে যে পাতলা পদার্থটি অপসারণের পরে মূল পদার্থটি মনে রাখে। চিকিৎসকরা দাবি করেন যে এই ধরনের প্রস্তুতকৃত ঔষধ, রোগীকে খাওয়ার পরে, রোগের চিকিৎসা বা নিরাময় করতে পারে।
🇨🇭 জেমস টাইলার কেন্ট, রয়েল এস. কোপল্যান্ড, জর্জ ভিথোলক্যাস, হ্যানিম্যান – বিশ্বাস করতেন সকল অসুখের মূলে রয়েছে ( মিয়াসম ) নামক একধরনের প্রতিক্রিয়া এবং হোমিওপ্যাথিক ওষুধ এই – মিয়াসম, দূর করার জন্য কার্যকর। সাধারণত হোমিওপ্যাথিক ওষুধ তৈরি করার জন্য একটি নির্দিষ্ট দ্রব্যকে ক্রমাগত লঘূকরণ করা হয়, অ্যালকোহল দ্রবীভূত করে। এই লঘূকরণ এতবার করা হয়ে থাকে যে শেষপর্যন্ত এই মিশ্রণে প্রাথমিক দ্রব্যের অণু পরিমাণও অবশিষ্ট থাকে না। ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জৈবরসায়ন এবং জীববিজ্ঞান সম্পর্কে যে সকল প্রাসঙ্গিক বৈজ্ঞানিক জ্ঞান অর্জিত হয়েছে তা হোমিওপ্যাথির বিপরীত।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ( রেজি: নং- 35423 )
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801302-743871
( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।
☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।
☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।