
STAMMERING – তোতলামি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।
Stammering – তোতলামি : কথা বলার সময় আটকে যাওয়া বা থেমে থেমে কথা বলা কে তোৎলামি বলে যেখানে কোনো ব্যক্তি শব্দ ,অক্ষর বা বাক্যাংশগুলিকে পুনরাবৃত্তি বা দীর্ঘায়িত করে।ইহা কে বক্তৃতা ব্যাধি বা Speech Disorder ও বলে যেখানে বক্তৃতা প্রবাহটি অনৈচ্ছিক পুনরাবৃত্তি এবং শব্দ ,উচ্চারণ ,শব্দ বা বাক্যাংশের পাশাপাশি অনৈচ্ছিক নীরব বিরতি বা ব্লকগুলি বাধাগ্রস্ত হয় যার মধ্যে স্টাটারগুলি শব্দ উত্পন্ন করতে অক্ষম।
🛑শিক্ষক আপনার বন্ধুকে ক্লাসে পড়তে বললেন। আপনার বন্ধুটি পড়তে জানেন, তবে বলতে পারবেন না। তিনি যখন কথা বলেন, তখন তাঁর মুখ আটকে যাচ্ছে। ক্লাসের অন্য সবাই যখন তাদের বন্ধুর শোচনীয় অবস্থা দেখে পিছন থেকে হাসতে শুরু করেছিল।আপনি এবং আপনার বন্ধু দুজনেই বিড়ম্বনায় পড়েছেন।এটি আমাদের অনেক বন্ধুর সাথে ঘটেছিল।
🛑 তোতলামি – Stammering জিনিসটাকে আমাদের সমাজে অনেকটা হাসি-তামাশার বিষয় হিসেবে দেখা হয়। এটা স্বাভাবিক কারো কাছে সাময়িক মজার জিনিস মনে হলেও, যার তোতলামি -Stammering সমস্যা আছে, তার জন্য ব্যাপারটা বেশ পীড়াদায়ক। আমরা অনেকেই এটা বোঝার চেষ্টা করি না যে, যার তোতলামি হচ্ছে, তার কেন হচ্ছে? বা এই তোতলামির – Stammering সমাধান কী? এর কি কোনো চিকিৎসা আছে? এই লেখায় আমরা এসব বিষয় নিয়েই আলোচনা করব।
🛑 তোতলামি – Stammering বিভিন্ন বয়সে বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। এর পেছনে শারীরিক, মানসিক, পরিবেশগত বিভিন্ন কারণ কাজ করে। অনেক সময় পরিবার থেকেও এই তোতলামি – Stammering পরবর্তী বংশধরদের মধ্যে ছড়িয়ে যায়। সাধারণত মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের তোতলামি – Stammering পরিমাণ বেশি হয়। তোতলামি – Stammering সমস্যা থাকা প্রতি ৫ জন ছেলের বিপরীতে মেয়ে আছে মাত্র ১ জন। আর পুরো পৃথিবীতে তোতলামি – Stammering সমস্যায় ভুগছে, এমন লোকের সংখ্যা মাত্র ১%।
✅ Cause of Stammering: Stammering বা তোৎলামি :
STAMMERING:
🛑সাধারনত বাচ্চা দের দেখা যায় বিরল ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্কদের জীবনে দেখা দেয় যা সাধারণত স্ট্রোকের ফলে ঘটে ,এটি এটি মাথার চোট বা গুরুতর মানসিক বিপর্যয়ের কারণেও হতে পারে।এটি বিশ্বাস করা হত যে দীর্ঘমেয়াদী তোতলামর মূল কারণ ছিল মনস্তাত্ত্বিক। অন্য কথায় উদ্বেগ, স্ব-শ্রদ্ধাবোধ,নার্ভাসনেস এবং স্ট্রেসের কারনে তোৎলামি হয় না। একটি কলঙ্কজনক বক্তৃতা সমস্যা নিয়ে বেঁচে থাকার ফলাফল, যা কখনও কখনও লক্ষণগুলিকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে।
🛑পরিবেশগত জটিলতা-একজন ব্যক্তি কোন পরিবেশে বেড়ে উঠছেন, তার উপর অনেকটাই নির্ভর করে তার মানসিক বিকাশ কী রকম হবে। তার বাসার আশেপাশের পরিবেশ কেমন, তার বন্ধু-বান্ধব কেমন? তার ঘরে বাবা-মায়ের সম্পর্ক কেমন? ইত্যাদি। এই সম্পর্কগুলো অনেক ক্ষেত্রেই ব্যক্তির মানসিক বিকাশে কাজ করে।
🛑উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে শিশুরা নিজেদের আলাদা ভাবতে থাকে|
🛑অনেকের মধ্যে তোতলামি – Stammering কারণে কথা আটকে যাওয়ার একটি ভয় কাজ করে। এই ভয়ের কারণে কথা আরো বেশি জড়িয়ে যায়। কথা আটকে যাওয়ার যে ভয় কাজ করে, তার পেছনে একটি রোগ দায়ী। একে বলে সেলিসমোফোবিয়া। এই রোগটি সম্পূর্ণ মানসিক। এই রোগের কারণে কেউ কেউ সবার সামনে কথা বলতে ভয় পায়। মনে করে, কথা বলতে চাইলেই মুখ দিয়ে কথা বের হবে না। তখন নিজেদের সবার সামনে লজ্জায় না ফেলার জন্য কথা গুটিয়ে নেয়। তবে কারো সাহায্য কিংবা অনুপ্রেরণা পেলেই এই সমস্যা কাটিয়ে উঠা সম্ভব।

🛑শ্রেণীবিন্যাস Classification:
🛑ভাষাগত জটিলতা-সাধারণত ২-৫ বছর বয়সের শিশুদের মধ্যে তোতলামি – Stammering লক্ষণ দেখা যায়। তবে এটা হয়ে থাকে নতুন কথা বলা শেখার কারণে। নতুন নতুন শব্দ শেখা, এর সাথে পরিচয় হওয়া, নতুন শব্দ উচ্চারণের চেষ্টা করা- এগুলোর কারণে বাচ্চাদের তোতলামি দেখা যায়। নিজের ভাষার সাথে পরিচিত হয়ে গেলে কিংবা অভ্যস্ত হয়ে গেলে এই তোতলামি চলে যায়। এক্ষেত্রে তোতলামির সমস্যাটা স্থায়ী নয়।
🛑শারীরিক ও মানসিক জটিলতা-সারাদিন কাজ করে অনেক ক্লান্ত। শরীর চলতে চাইছে না। এরকম সময় কেউ এসে প্রশ্ন করতে থাকলে দেখা যাবে যে, কথা জড়িয়ে যাচ্ছে। শুধু ক্লান্ত হওয়ার ক্ষেত্রেই এমন না। ধরুন আপনি হয়তো কোনো একটি বিষয় নিয়ে খুব বেশি উৎসাহী অথবা কোনো কারণে মানসিক বিষন্নতায় দিন কাটাচ্ছেন। কিংবা হয়তো শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। এগুলো আপনার তোতলামি – Stammering কারণের সাথে জড়িত হতে পারে। কোনো কারণে ভয় পেলেও আমরা এই তোতলামি – Stammering দেখতে পাই। অনেকে হয়তো খুব দ্রুত কথা বলতে চায়। এগুলোর কোনোটা চিরস্থায়ী না হলেও, মাঝে মাঝে দীর্ঘস্থায়ী হয়।
🛑Developmental Stammering:-বাচ্চা যখন কথা বলতে শেখে তখন থেকেই তোৎলামি শুরু হয় এবং বাচ্চা যৌবনে পরিণত হওয়ার সাথে সাথে অবিচল থাকে।৭ বছর বয়স এর পর ও এই সমস্যা থাকলে তাকে Persistent Stammering বলে।
🛑পরিবেশগত জটিলতা-একজন ব্যক্তি কোন পরিবেশে বেড়ে উঠছেন, তার উপর অনেকটাই নির্ভর করে তার মানসিক বিকাশ কী রকম হবে। তার বাসার আশেপাশের পরিবেশ কেমন, তার বন্ধু-বান্ধব কেমন? তার ঘরে বাবা-মায়ের সম্পর্ক কেমন? ইত্যাদি। এই সম্পর্কগুলো অনেক ক্ষেত্রেই ব্যক্তির মানসিক বিকাশে কাজ করে।
Neurogenic Stammering : মস্তিষ্কের আঘাত জনিত কারণে।
🛑তোৎলামি এর মতো লক্ষণগুলির সাথে অন্যান্য রোগগুলির মধ্যে রয়েছে :
🧪Autism,
🧪cluttering,
🧪parkinson’sdisease,
🧪essentialtremor,
🧪palselectiv
🧪spasmodic dyspnea,
🧪selectivemutism and social anxiety.

🛑বয়সের সাথে তোতলামি – Stammering) একটা সম্পর্ক আছে। বিভিন্ন বয়সে এর কারণ ভিন্ন :সাধারণত ২-৫ বছর বয়সের শিশুদের মধ্যে তোতলামি – Stammering লক্ষণ দেখা যায়। তবে এটা হয়ে থাকে নতুন কথা বলা শেখার কারণে। নতুন নতুন শব্দ শেখা, এর সাথে পরিচয় হওয়া, নতুন শব্দ উচ্চারণের চেষ্টা করা- এগুলোর কারণে বাচ্চাদের তোতলামি – Stammering দেখা যায়। নিজের ভাষার সাথে পরিচিত হয়ে গেলে কিংবা অভ্যস্ত হয়ে গেলে এই তোতলামি চলে যায়। এক্ষেত্রে তোতলামি – Stammering সমস্যাটা স্থায়ী নয়।
🛑 STAMMERING – তোৎলামি সম্পর্কে কিছু মূল বিষয় :
🚨STAMMERING – তোৎলামি মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের বেশী দেখা যায়।
🚨কিছু ক্ষেত্রে কোনও বাক্তিকে শব্দ উত্পাদন থেকে সম্পূর্ণরূপে বাধা দেয়।
🚨সরকারী ভাবে রোগ নির্ণয়ের জন্য একজন তোৎলা ব্যাক্তি একটি ভাষণ -ভাষা রোগ বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করবেন।
🚨সাধারণত বাচ্চারাই বেশি আক্রান্ত হয়।
🚨প্রাপ্তবয়স্কদের মাথার চোট বা গুরুতর মানসিক বিপর্যয়ের কারণেও হতে পারে।
🛑🚨 চিকিৎসা /প্রতিকার (Treatment of Stammering):
🚨 ভাষাগত জটিলতার কারণে সাধারণত ২-৫ বছর বয়সের শিশুদের মধ্যে তোতলামি – Stammering লক্ষণ দেখা যায়।তবে এটা হয়ে থাকে নতুন কথা বলা শেখার কারণে। নতুন নতুন শব্দ শেখা, এর সাথে পরিচয় হওয়া, নতুন শব্দ উচ্চারণের চেষ্টা করা- এগুলোর কারণে বাচ্চাদের তোতলামি দেখা যায়। নিজের ভাষার সাথে পরিচিত হয়ে গেলে কিংবা অভ্যস্ত হয়ে গেলে এই তোতলামি চলে যায়। এক্ষেত্রে তোতলামি – Stammering সমস্যাটা স্থায়ী নয়।
🚨শিশুদের সাথে হাসি খুশি থাকুন
🚨শারীরিক ও মানসিক জটিলতা বা শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ার কারণে অনেক সময় তোৎলামি দেখা দেয়।এক্ষেত্রে কিছুক্ষন বিশ্রাম নিলে এই তোতলামি – Stammering চলে যায়।
🚨অনেকের মধ্যে তোতলামি – Stammering কারণে কথা আটকে যাওয়ার একটি ভয় কাজ করে। এই ভয়ের কারণে কথা আরো বেশি জড়িয়ে যায়। কথা আটকে যাওয়ার যে ভয় কাজ করে, তার পেছনে একটি রোগ দায়ী। একে বলে সেলিসমোফোবিয়া। এই রোগটি সম্পূর্ণ মানসিক। এই রোগের কারণে কেউ কেউ সবার সামনে কথা বলতে ভয় পায়। মনে করে, কথা বলতে চাইলেই মুখ দিয়ে কথা বের হবে না। তখন নিজেদের সবার সামনে লজ্জায় না ফেলার জন্য কথা গুটিয়ে নেয়। তবে কারো সাহায্য কিংবা অনুপ্রেরণা পেলেই এই সমস্যা কাটিয়ে উঠা সম্ভব।
🚨অনেকসময় আত্মবিশ্বাসের ঘাটতির ফলে তোৎলামি দেখা যায়। তাই অপরিচিত কারো সাথে কথা বলার সময় তার মধ্যে কথা আটকে যাবার ভয় কাজ করতেই পারে। এটি তার জীবনে বেশ বড় একটা সময় ধরে প্রভাব ফেলে রাখে। এটি সম্পূর্ণ সমাধানযোগ্য না হলেও, নিজে চেষ্টা করলে কথা বলাটা অনেকটাই ঠিক করে ফেলা যায়।
🛑তোতলামি – Stammering ছাড়া ঠিকমতো কথা বলার অভ্যাস করার জন্য কিছু উপায় আছে। এগুলো নিজে চেষ্টা করে বেশ সুফল পেতে পারেন:
🚨দ্রুত কথা বলার সমস্যা হলে ধীরে কথা বলার চেষ্টা করুন।
🚨কোনো কথা বলার আগে লম্বা শ্বাস নিয়ে নিন। দরকার হলে ৩ সেকেন্ড বিরতি নিয়ে কথা বলুন।
🚨কী বলতে চান, তা আগে থেকেই মাথায় গেঁথে নিন। এতে আপনার এক কথার মাঝে আরেক কথা হারিয়ে ফেলার ভয় থাকবে না।
🚨কোনো কথা বলা শুরু করলে, তার মাঝে কোনো বিরতি দেবেন না। কারণ একবার কথা বলার গতি পেয়ে গেলে স্বাভাবিকভাবেই আপনার আর কথা আটকাবে না।
🚨বিশেষ কোনো শব্দ উচ্চারণে সমস্যা হলে, তা বারবার বলে অভ্যাস করুন। দেখবেন ঠিক হয়ে গেছে।
🚨সবসময় হাসি খুশি থাকুন
🛑এগুলো ছাড়াও নিজের আশেপাশের লোকজনের সাহায্য দরকার পড়ে। কেউ যদি আপনাকে নিয়ে হাসাহাসি করে, তাহলে তাকে আপনার সমস্যার কথা খুলে বলুন। বুঝিয়ে বলুন আপনার কী সাহায্য প্রয়োজন। সবসময় হাসি খুশি থাকার চেষ্টা করুন। একটি বিষয় খেয়াল করে দেখবেন, আপনি যখন কারো সাথে হেসে হেসে কথা বলছেন, তখন আপনার কথা আটকানোর ভয় থাকে না। আপনি স্বাভাবিকভাবেই কথা বলে যাচ্ছেন। তাই চেষ্টা করবেন যতবেশি সম্ভব আপন এবং কাছের মানুষ তৈরি করার।
🛑 তোতলামির( Stammering) কিছু হোমিওপ্যাথিক
(Medicine):
🛑STRAMONIUM,
🛑LACHESIS,
🛑LYCOPODIUM,
🛑SPIGELIA,
🛑CAUSTICUM,
🛑LAC CANINUM,
🛑STAPHYSAGRIA,
🛑অবশ্যই চিকিৎসক এর পরামর্শে ঔষধ সেবন করা উচিত।
যে কোন ধরনের পরামর্শ ও চিকিৎসার যোগাযোগ করুন , হোমিওপ্যাথিক দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়
☎️ মোবাইল নাম্বার :01907-583252,01302-743871
অন্য লেখা পেড়তে ক্লিক করুন
আমার ইউটিউব চ্যানেল থেকে ঘুরে আসতে পারেন।