এপিডিডাইমাল সিস্ট Epididymal Cyst হোমিও চিকিৎসা ।

এপিডিডাইমাল সিস্ট Epididymal Cyst হোমিও চিকিৎসা ।

পুরুষদের প্রতিটি টেস্টিসের বা অণ্ডকোষের উপরের অংশ যেখানে বীর্য সংরক্ষিত হয় তাকে এপিডিডাইমিস বলে। এর মাধ্যমে শুক্রাণু টেস্টিকল থেকে স্পার্মাটিক নালীতে যেয়ে থাকে। এতে কোন ধরনের অস্বাভাবিক থলি বা সিস্ট ডেভেলপ করলেই তাকে এপিডিডাইমাল সিস্ট Epididymal Cyst বলা হয়।

🛑এপিডিডাইমাল_সিস্ট Epididymal Cyst উপসর্গ:

🚨ছোট আকারের কারণে প্রথমে এপিডিডাইমাল সিস্টের লক্ষণগুলি অনেকের ক্ষেত্রেই বুঝা যায় না। তার বৃদ্ধির সময় ব্যথা অনুভব করতে শুরু করে, এক সময় প্রসারিত সিস্টটি স্নায়ু এবং রক্তনালীগুলি সংকুচিত করতে শুরু করে। আরো যে যে লক্ষণগুলি দেখা যায়:

  • 🛑অণ্ডকোষে বা এপিডিডাইমিসে ব্যথা হয়
  • 🛑অণ্ডকোষ বা কুঁচকি ফোলে যেতে পারে
  • 🛑স্থানটি গরম হয়ে থাকতে পারে
  • 🛑মলত্যাগ করার সময় ব্যথা অনুভব করুন
  • 🛑বীর্যপাতের সময় বা যৌন মিলনের সময় ব্যথা
  • 🛑কারো কারো ক্ষেত্রে জ্বালাপোড়া হতে পারে
  • 🛑বেশি বড় হয়ে গেলে হাঁটতে অসুবিধা
  • 🛑জ্বর এবং আরও প্রদাহ হতে পারে

🛑এপিডিডাইমাল_সিস্ট Epididymal Cyst জটিলতা:

🛑কারো কারো ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হয় না। কিন্তু যাদের ক্ষেত্রে তীব্র ইনফ্লামেশন তৈরি করে তাদের শুক্রাণু এবং টেস্টোস্টেরোন হরমোন উৎপাদনে বাধাগ্রস্থ হয়ে থাকে। বেশি বড় হয়ে গেলে অবস্ট্রাক্টিভ এজোস্পার্মিয়া বা পুরুদের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা তৈরী হয়ে থাকে। তাই ঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে বহু ক্ষেত্রেই জটিল সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।

নারী ও পুরুষের বিভিন্ন প্রকার সিস্টের (cysts) হোমিও চিকিৎসা

🛑এপিডিডাইমাল সিস্ট Epididymal Cyst চিকিৎসা:

এলোপ্যাথিতে এই সমস্যা নির্মূলের কোন চিকিৎসা নেই। তাই এলোপ্যাথিক চিকিৎসকগণ এটিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের আরেকটি শাখা সার্জারিতে ট্র্যান্সফার করে থাকে। কিন্তু সার্জারি করে এটি দূর করা হলেও অনেকের ক্ষেত্রেই সমস্যাটি আবার হতে দেখা যায়। তবে এপিডিডাইমাল সিস্ট Epididymal Cyst নির্মূলের একটি কার্যকর চিকিৎসা হলো হোমিওপ্যাথি। প্রথম পর্যায়ে এই সমস্যার ভালো একটি হোমিও চিকিৎসা নিলে অতি দ্রুত এই রোগ নির্মূল হয়ে যায়। কিন্তু বহু দিন যাবৎ ভুগতে থাকার পর অর্থাৎ ক্রনিক অবস্থায় এই রোগের হোমিও চিকিৎসা নিলে এপিডিডাইমাল সিস্ট এই ভালো হতে বেশ সময় নিয়ে নেয়। তাই শুরুতেই অভিজ্ঞ কোন হোমিও ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।

নারী ও পুরুষের বিভিন্ন প্রকার এপিডিডাইমাল সিস্ট সিস্টের (cysts) হোমিও চিকিৎসা।

🛑 পুরুষের অন্ডথলিতে টিউমারের মতো ছোট ছোট গুটি সেবাসিয়াস সিস্ট (Sebaceous Cyst on Scrotum)

অন্ডথলিতে সেবাসিয়াস সিস্ট যাকে অনেকেই না বুঝে অন্ডকোষে ছোট ছোট গোটা, অন্ডকোষের ভিতরে গুটি, অন্ডকোষের থলিতে গুটি, অণ্ডকোষে গোটা,অন্ডকোষে টিউমার অন্ডকোষে দানা ইত্যাদি নাম অবহিত করে থাকেন। মূলত পুরুষদের অন্ডথলিতে টিউমারের মতো ছোট ছোট গুটিকা গুলি সেবাসিয়াস সিস্ট Sebaceous Cyst on Scrotum. এই সিস্টের ভেতর সাদা তরল ও চর্বিজাতীয় পদার্থ থাকে যাকে মূলত সেবাম বলা হয়ে থাকে। প্রাথমিক অবস্থায় এর কোনো ব্যথা থাকে না।

🛑কিন্তু কোনো কারণে ইনফেকশন হলে বা পেকে গেলে ভেতরে পুঁজের মতো দেখা যায়। এ সিস্টের একটা পাতলা আবরণ থাকে, যা ভেতরের সব পদার্থকে ঢেকে রাখে। দেখা যায় পুরুষদের যৌনাঙ্গে বা অন্ডকোষে ছোট ছোট মুক্তার দানার মত সিস্ট হচ্ছে। যা একটি দুটি থেকে অসংখ্য সংখ্যায় হতে পারে। যা দেখতে বেশি বিশ্রী বিব্রতকর এবং যে কখনো দেখেনি, সে হয়তো ভয় পেতে পারে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় এই সমস্যাটি অধিকাংশ সময়েই দূর হয়ে যায়।
অন্ডথলিতে সেবাসিয়াস সিস্ট – কারণ সমূহ
সেবাসিয়াস গ্ল্যান্ডের ব্লক
লোমকূপ ফুলে যাওয়া
ত্বকে কোন ধরনের আঘাত
পুরুষদের মাত্রাতিরিক্ত টেস্টোস্টেরোন হরমোন নিঃস্বরণ ইত্যাদি

🛑অন্ডথলিতে সেবাসিয়াস সিস্ট : লক্ষণ ও উপসর্গ :

  • স্ক্রোটামের ত্বকে শক্ত দলার মত ছোট ছোট গুটি অনুভূত
  • ধীরে ধীরে গুটিকার পরিমান বাড়তে থাকে
  • গুটিকাগুলি কয়েকটি থেকে অধিক পরিমান হতে পারে
  • প্রথমে ব্যথা না হলেও পরে ব্যথা হতে পারে
  • কারো ক্ষেত্রে চুলকানি হতে পারে
  • টিপলে আঠালো সাদা পদার্থ বের হতে পারে
  • অন্ডথলিতে সেবাসিয়াস সিস্ট – চিকিৎসা

মূলত এই সমস্যা নির্মূলের কোন এলোপ্যাথিক চিকিৎসা নেই। এইগুলি মূলত সার্জারি করে অপসারণ করা হয়ে থাকে। যদি অল্প কয়েকটি হয়ে থাকে আর নতুন করে না হয় তাহলে সেগুলি সার্জারি করে সুফল পেতে পারেন। কিন্তু যখন অনবরত হতে থাকে তাহলে সার্জারি করলেও কোন ফল হয় না কারণ নতুন করে আবার হয়ে আগের মত হয়ে যায়। তবে এই সমস্যার ভালো হোমিও চিকিৎসা রয়েছে। অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে ট্রিটমেন্ট নিলে সুফল পাবেন আশা করি।

নারী ও পুরুষের বিভিন্ন প্রকার সিস্টের (cysts) হোমিও চিকিৎসা

🛑স্থায়ী মুক্তি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

🛑ওভারিয়ান_সিস্ট : হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা :

হোমিওপ্যাথিতে এর সফলতা কতটুকু এবং এর সাথে বন্ধ্যাত্ব কতটুকু জড়িত?

🛑ওভারিয়ান সিস্ট হল ডিম্বাশয় এর মধ্যে একটি তরল ভরা থলি। প্রায়ই এর কোন লক্ষণ থাকেনা। মাঝে মাঝে উদরস্ফীতি, তলপেটে ব্যথা অথবা পিঠের নিচের অংশে ব্যথা দেখা যেতে পারে। অধিকাংশ সিস্টই ক্ষতিকর নয়। যদি সিস্টটি ফেটে যায় অথবা ডিম্বাশয় মুচড়ে যায়, প্রচন্ড ব্যথা হতে পারে। এর থেকে বমি হতে পারে অথবা দুর্বল লাগতে পারে।

🛑ওভারিয়ান সিস্ট: Ovarian Cyst :

ফলিকিউলার উৎস থেকে সবচেয়ে সাধারণ ওভারিয়ান সিস্ট।
বিশেষত্ব স্ত্রীরোগবিদ্যা অনুসারে লক্ষণ অনুপস্থিত, উদর স্ফীতি, তলপেটে ব্যাথা, নিম্নাঙ্গে ব্যাথা।
🛑জটিলতা:
সিস্ট ফেটে যাওয়া, ডিম্বাশয় মুচড়ে যাওয়া

🛑কত প্রকার : ফলিকিউলার সিস্ট, করপাস লুটেয়াম সিস্ট, এন্ডোমেট্রিয়োসিসের জন্য সিস্ট, ডারময়েড সিস্ট, সিস্টাডেনোমা, ওভারিয়ান ক্যান্সার।

🛑রোগনির্ণয়ের পদ্ধতি: আল্ট্রাসাউন্ড ( TVS )

🛑চিকিৎসা পদ্ধতি :

আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি তেমন উল্লেখযোগ্য কোন চিকিৎসা নেই। অনেক সময় দীর্ঘদিন পেইনকিলার খেয়ে ব্যাথাকে নিরাময় করা হয়।বর্তমান প্রতিদিন ল্যাপারোস্কপির মাধ্যমে বা অপারেশন করার মাধ্যমে ওভারিয়ান সিস্ট অপসারণ করা হয়। এতে যেটা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেটা হচ্ছে একজন নারী তার বাচ্চা হওয়ার পসিবিলিটি হারিয়ে ফেলে। একমাত্র হোমিওপ্যাথি মেডিসিন সেবনে অতি অল্প সময়ে 1/2 মাস বড়জোর তিন মাসে আরোগ্য করা সম্ভব ইনশাআল্লাহ।হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মাধ্যমে আরোগ্য হলে রোগটা যেমন পুনরাবৃত্তি হয় না অপরদিকে কাটাছেঁড়া ছাড়াই অর্গান গুলো ১০০% কার্যকারী থাকে।বাচ্চা কনসিভ নেওয়ার ব্যাপারেও কোন প্রতিকূলতা সৃষ্টি হয় না।

🛑অধিকাংশ ওভারিয়ান সিস্ট যেমন ফলিকিউলার সিস্ট সমূহ অথবা করপাস লুটেয়াম সিস্ট সমূহ ডিম্বপাত এর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হয়। অন্যান্য ধরনের মধ্যে আছে এন্ডোমেট্রিওসিস এর জন্য সিস্ট, ডারময়েড সিস্ট এবং সিস্টাডেনোমা সমূহ। পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম অসুখে দুটি ডিম্বাশয়ে অনেক ছোট ছোট সিস্ট তৈরী হয়। শ্রোণীর প্রদাহ রোগ হলেও সিস্ট তৈরী হয়। কদাচিৎ, সিস্ট ডিম্বাশয় ক্যান্সার এ পরিবর্তিত হয়। আল্ট্রাসাউন্ড দিয়ে পেলভিক পরীক্ষা করে রোগনির্ণয় করা হয় অথবা আরও অন্যান্য পরীক্ষা করে বিস্তারিত অবস্থা বোঝা যায়।

আরো পুড়ুনঃ    পুরুষদের ধাতুক্ষয় রোগের হোমিও চিকিৎসা।

প্রায়শই, সিস্টগুলি কেবল সময়ের সাথে পর্যবেক্ষণ করা হয়।এগুলি থেকে ব্যথা হলে, প্যারাসিটামল (অ্যাসিটামিনোফেন) বা আইব্রুফেন জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।অ্যালোপ্যাথি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। হোমিওপ্যাথিতে এই ধরনের পেইনকিলার খাওয়া লাগে না। যারা ঘন ঘন এই অসুখে আক্রান্ত হয় । তাদের আর সিস্ট যাতে না হয় সেজন্য হরমোনাল গর্ভ নিরোধক ব্যবহার করা যায় অনেক ক্ষেত্রে। যদিও, বর্তমান সিস্টের চিকিৎসা হিসাবে গর্ভ নিরোধকের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কয়েক মাসের মধ্যে যদি এগুলি ঠিক না হয়, বড় হয়ে যায়, অস্বাভাবিক দেখতে লাগে, বা ব্যথা হয়, দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হোমিওপ্যাথি সেবন করলে আপনি অনায়াসে আরোগ্য লাভ করতে পারবেন।

প্রজনন সময়ের মধ্যে বেশিরভাগ মহিলার প্রতি মাসে ছোট ছোট সিস্ট তৈরী হয়। রজোনিবৃত্তির আগে ৮% মহিলার বড় সিস্ট দেখা যায় যেগুলি অসুবিধা ঘটাতে পারে। রজোনিবৃত্তির পর প্রায় ১৬% মহিলার ওভারিয়ান সিস্ট থাকে এবং থাকলে সেগুলি থেকে ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
🛑 সমস্যার মুখোমুখি হলে আপনার প্রথম পছন্দ হোক হোমিওপ্যাথি।

🛑গ্যালাকটোসিল (Galactocele)

🛑এটা স্তনের সিস্ট (Cyst) জাতীয় একটি টিউমার, যা নিরীহ শ্রেণির একটি রোগ। খুব বেশি নারীকে এই রোগে ভূগতে দেখা যায়না। স্তনের বোঁটার পাশের গাঢ় (Areola) অংশের ঠিক নিচে ছোট্ট একটি দানার মতো এটা শুরু হয়। এর বিশেষত্ব হচ্ছে মা যেদিন প্রথম স্তন্য দান শুরু করেন সেদিন থেকেই এই সিস্ট এর আবির্ভাব ঘটে এবং আস্তে আস্তে এটা বড় হতে থাকে। আসলে এই সিস্ট এর ভেতরে দুধ জমা হয়ে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়। এভাবে বাড়তে বাড়তে এটা একসময় বিশাল আকার ধারন করতে পারে এমনকি স্তন বড় হয়ে রোগীর হাটু পর্যন্ত চলে আসতে পারে।

🛑তাই শুরুতেই এর চিকিৎসা করানো প্রয়োজন।

  • 🌡️Phytolacca
  • 🌡️Conium
  • 🌡️Silicea
  • 🌡️Calcarea flour
  • 🌡️Mercsol
  • 🌡️Cimcifuga
  • 🌡️Lac can . Etc.

🛑স্পার্মাটোসিল (Spermatocele) স্পার্মাটিক_সিস্ট ! 🛑🧪পুরুষদের অন্ডকোষের জটিল রোগসমূহ :
🧪🩺ডাঃ মাসুদ হোসেন (ডি, এইচ,এম, এস)
☎️মোবাইল নাম্বার:01907-583252 , 01302-743871
(রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক ডক্টর এন্ড প্রাইভেট প্র্যাক্টিশনার)

🛑পুরুষদের প্রতিটি টেস্টিসের বা অণ্ডকোষের উপরের অংশ যেখানে বীর্য সংরক্ষিত হয় তাকে এপিডিডাইমিস বলে। এর মাধ্যমে শুক্রাণু টেস্টিকল থেকে স্পার্মাটিক নালীতে যেয়ে থাকে। এতে কোন ধরনের অস্বাভাবিক থলি বা সিস্ট ডেভেলপ করলেই তাকে স্পার্মাটোসিল (Spermatocele) বা স্পার্মাটিক সিস্ট (Spermatic or Epididymal Cyst) বলা হয়।

🛑🧪স্পারমাটোসিল মূলত কি ?

দুধের মতো বা পরিষ্কার তরল থাকতে পারে
সাধারণত মৃত শুক্রাণু থাকতে দেখা যায়
আবার জীবন্ত শুক্রাণুও থাকতে পারে

কারণ ও লক্ষণ:
🛑🧪স্পার্মাটোসিল(Spermatocele) এর সঠিক কারণ অজানা। তবে কোন কারণে যদি ইফারেন্ট নালীতে ব্লকেজ দেখা যায় তবে এই রোগ হতে পারে।এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা যে লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:

  • 🧪টেস্টিস বা শুক্রাশয়ে ব্যথা হতে পারে
  • 🧪অণ্ডথলিতে চাকা/পিণ্ড অনুভূত হতে পারে
  • 🧪অণ্ডথলি ফুলে যেতে পারে
  • 🧪কারো কারো ক্ষেত্রে প্রস্রাব আটকে যাওয়া
  • 🧪কুঁচকিতে ব্যথা হতে পারে
  • 🧪ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ হওয়া
  • 🧪পুরুষত্বহীনতা দেখা দিতে পারে
  • 🧪কনুইয়ের দুর্বলতা দেখা দিতে পারে
  • 🧪পায়ে শক্ত পিণ্ড দেখা দিতে পারে
নারী ও পুরুষের বিভিন্ন প্রকার সিস্টের (cysts) হোমিও চিকিৎসা

🛑স্পার্মাটোসিল (Spermatocele) এর চিকিৎসা

সাধারণত যখন এটি ছোট থাকে এবং একই অবস্থানে থাকে তখন এর কারণে পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতায় কোন সমস্যা হয় না এবং চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। তবে এর কারনে ব্যথা হলে অথবা পুরুষাঙ্গে রক্ত সরবরাহ কমে গেলে বা পুরুষত্বহীনতার লক্ষণ দেখা দিতে থাকলে এই রোগের চিকিৎসা নিতে হয়। যদি স্পার্মাটোসিলের আকারে কোন পরিবর্তন না আসে অর্থাৎ একটি আকৃতিতে থাকে এবং অন্য কোন সমস্যার সৃষ্টি না করে তাহলে চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না।

🛑কিন্তু স্পার্মাটোসিল আকারে বেশি বড় হয়ে গেলে বা অসুবিধার সৃষ্টি করলে অভিজ্ঞ একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ ক্রমে চিকিৎসা নিন। এই রোগের আরেকটি চিকিৎসা হলো সার্জারি, যাকে স্পার্মাটোসেলেক্টোমি (Spermatocelectomy) বলা হয়ে থাকে। এর জন্য আপনাকে অভিজ্ঞ কোন সার্জনের পরামর্শ নেয়া জরুরী।

ডাঃ মাসুদ হোসেন (ডি, এইচ,এম, এস)
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (রেজিঃ নং-35423)

🛑🚨অণ্ডকোষ এর রোগগুলো কি ?

🛑অণ্ডকোষ পুং প্রজননতন্ত্রের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তা ছাড়া এটা ছেলেদের শরীরের সবচেয়ে সংবেদনশীল স্থান। অথচ এই সংবেদনশীল অঙ্গ দু’টি দেহগহ্বরের বাইরে অবস্থিত। কারণ দেহের ভেতর তাপমাত্রা খুব বেশি। অধিক তাপে শুক্রাণু নিষেকের উপযোগী থাকে না, নষ্ট হয়ে যায়। তাই অণ্ডকোষ দু’টি দেহগহ্বরের বাইরে স্ক্রোটাম বা অণ্ডথলি নামের একটি থলির ভেতর থাকে। এখানে তাপমাত্রা দেহের ভেতরের চেয়ে প্রায় ছয় ডিগ্রি কম। এই তাপমাত্রা শুক্রাণু উৎপাদনের জন্য উপযোগী। অণ্ডকোষ থেকে যেমন শুক্রাণু তৈরি হয় তেমনি অণ্ডকোষ টেস্টোস্টেরন নামের পুরুষ হরমোনও তৈরি করে। বিভিন্ন কারণে অণ্ডকোষ ফুলে যেতে পারে এবং এতে ব্যথা হতে পারে।

🛑অণ্ডকোষ দু’টি অনেকটা ডিম্বাকৃতির শক্ত কিন্তু কিছুটা তুলতুলে অঙ্গ। এতে দু’ধরনের কোষ থাকে। লিডিগ কোষ ও জনন কোষ। লিডিগ কোষ থেকে পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরন তৈরি হয়। আর জনন কোষ থেকে শুক্রাণু তৈরি হয়। অণ্ডকোষের শেষ প্রান্তে থাকে এপিডিডাইমিস। এই এপিডিডাইমিস ভাস ডিফারেন্স তৈরি করে। ভাস ডিফারেন্স হলো এক ধরনের মাংসল বাহিকা। এটি অণ্ডথলি থেকে বের হয়ে বস্তিদেশের নিচের অংশে ঢুকে যায়। এখানে এই বাহিকা সেমিনাল ভেসিকলের বাহিকার সাথে মিলে একটি সাধারণ বাহিকা তৈরি করে। এই বাহিকাটি প্রোস্টেটের ভেতরে মূত্রনালীর সাথে মেশে।

🛑অণ্ডথলিতে অণ্ডকোষ এবং শুক্রাণু পরিবহনের এই বাহিকা ছাড়াও অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ রয়েছে। এসব অঙ্গ হলো অণ্ডকোষের রক্তবাহিকা, লসিকা গ্রন্থি ও লসিকা নালী, অণ্ডকোষের স্নায়ুতন্ত্র, স্পার্মাটিক কর্ড, কর্ডের চার দিকে ক্রিমেসটেরিক পেশি। অণ্ডথলির ভেতরের যেকোনো অঙ্গই অণ্ডকোষ ফুলে যাওয়ার এবং অণ্ডকোষে ব্যথা হওয়ার কারণ হতে পারে। এ ছাড়া অন্যান্য কিছু কারণে অণ্ডকোষ ফুলে যেতে (যেমন- ইঙ্গুইনাল হার্নিয়া) ও অণ্ডকোষে ব্যথা (বৃক্কে পাথরের রেফারড্ ব্যথা) হতে পারে; আর এ দু’টি ক্ষেত্রে অণ্ডথলি একেবারেই স্বাভাবিক থাকে।

🛑অণ্ডকোষ ফুলে যাওয়ার এবং এতে ব্যথা হওয়ার কতগুলো সাধারণ লক্ষণ থাকে। অণ্ডকোষে ব্যথা হওয়ার আগে অনেকে অণ্ডথলিতে আঘাত পেতে পারেন। অনেকের অণ্ডকোষে ধীরে ধীরে আবার কারো অণ্ডকোষে খুব দ্রুত ব্যথা অনুভব হতে পারে। এ সময় অণ্ডথলি ফুলে যায়, ছুঁতে গেলে ব্যথা লাগে, অণ্ডথলির তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যেতে পারে এবং অণ্ডথলির স্বাভাবিক রঙের পরিবর্তন ঘটতে পারে। এ ধরনের অনেক রোগীর জ্বরও থাকে। নিচে অণ্ডকোষের কিছু সাধারণ রোগ সম্বন্ধে আলোচনা করা হলো।

🛑অণ্ডকোষের টর্সন: এ রোগটি সাধারণত অল্প বয়সী ছেলে ও যুবাদের রোগ। তবে যেকোনো বয়সের পুরুষই এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। শতকরা প্রায় ২৫ ভাগ ক্ষেত্রে বড়রা এ রোগে আক্রান্ত হন। এটি সাধারণত একটি অণ্ডকোষেই হয়। যদি কোনো অণ্ডকোষের সাথে স্পার্মাটিক কর্ডের খুব সরু সংযোগ থাকে তাহলে এ রোগটি হয়। এ ক্ষেত্রে স্পার্মাটিক কর্ডটি হঠাৎ পেঁচিয়ে যায় ও ঘুরে যায়।

সাথে সাথে অণ্ডকোষটিও ঘুরে যায়। স্পার্মাটিক কর্ডের পেঁচানো অংশটি অণ্ডকোষের রক্তবাহিকা বন্ধ করে দেয়। বেশিক্ষণ এই অবস্থা থাকলে রক্তপ্রবাহের অভাবে অণ্ডকোষ স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। দু’টি অণ্ডকোষই এভাবে নষ্ট হয়ে গেলে আক্রান্ত পুরুষ বন্ধ্যা হয়ে যায়। অণ্ডকোষের টর্সন হঠাৎ করেই হয়। তবে কখনো কখনো এটা ব্যায়ামের পর, বিশ্রামের সময় এমনকি ঘুমের মধ্যেও হতে পারে। টর্সন হওয়ার সাথে সাথে রোগীর অণ্ডকোষে খুব ব্যথা হয়।

তবে কারো কারো ক্ষেত্রে মৃদু ব্যথাও হতে পারে। এ সময় অনেকের বমি বমি ভাব এবং কারো বা বমি হয়। আক্রান্ত অণ্ডকোষটি ফুলে যায় এবং একটু ওপর দিকে উঠে যায়। অণ্ডকোষের টর্সন একটি জরুরি অবস্থা, এ রকম অবস্থা হওয়ার সাথে সাথেই রোগীর অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। একটি অণ্ডকোষের টর্সন হলে অপর অণ্ডকোষটিরও টর্সন প্রতিরোধী চিকিৎসা করানো প্রয়োজন। কারণ যার একটি অণ্ডকোষের টর্সন হয়েছে তার অন্য অণ্ডকোষটিরও টর্সন হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।

🛑অণ্ডকোষের প্রদাহ : এটা অণ্ডকোষের এক ধরনের সংক্রমণ। এ রোগে আক্রান্ত রোগীর অণ্ডকোষে প্রচণ্ড ব্যথা হয়, সাথে সাথে অণ্ডকোষ ফুলে যায় এবং স্ক্রোটাম লাল হয়ে যায়। রোগীর প্রচণ্ড জ্বর হয়।
এ রোগে রোগীর রোগ যন্ত্রণা এতই বেশি হয় যে, সে নিজেই যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়। বেশির ভাগ রোগীরই সাধারণত মাম্পস, অরকাইটিস হয়। কিন্তু সমস্যা হলো মাম্পস অরকাইটিসের তেমন কোনো ফলদায়ী চিকিৎসা নেই। ফলে এ রোগে অণ্ডকোষের কলাতন্ত্র স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এতে পুরুষের উর্বরতাও নষ্ট হয়ে যায়।

🛑সংক্রমণের জন্য প্রদাহ : এ ধরনের সংক্রমণের মধ্যে এপিডিডাইমিসের প্রদাহ বা এপিডিডাইমাইটিস প্রধান। এই রোগটি ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ফলে হয়ে থাকে। সাধারণত ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী পুরুষ যারা যৌন সক্রিয়, তারাই এ রোগে অধিক পরিমাণে আক্রান্ত হয়। তবে যারা যৌন সক্রিয় নয়, তারাও এ রোগে আক্রান্ত হয়। অনেক সময় ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধকে এপিডিডাইমাইটিসের রোগী হিসেবে দেখতে পাওয়া যায়।

এ রোগে প্রথমে প্রস্রাবে জীবাণু সংক্রমণ হয়। আস্তে আস্তে এ জীবাণু প্রোস্টেটে সংক্রমিত হয় এবং প্রোস্টেট থেকে এ রোগের জীবাণু এপিডিডাইমিসে সংক্রমণ করে। এ রোগে প্রথমে অল্প ব্যথা অনুভূত হয় এবং এক থেকে দু’দিনের মধ্যে ব্যথা বেড়ে যায়। সাথে সাথে রোগীর প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, ঘন ঘন প্রস্রাব হয়, অনেক সময় লিঙ্গপথে পুঁজ নির্গত হয়। এসব রোগীর অল্পমাত্রায় জ্বর থাকে। তবে কারো ক্ষেত্রে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মতো জ্বরও হতে পারে। যদি শুরুতেই এ রোগের চিকিৎসা না করানো হয় তবে এ রোগের কারণে পুরো অণ্ডকোষই ফুলে যেতে পারে।

🛑হাইড্রোসিল: এ রোগে অণ্ডকোষে ব্যথা হয় না। কিন্তু অণ্ডকোষ ফুলে যায়। এ রোগ খুব ধীরে ধীরে হয় এবং অণ্ডকোষের ফোলা চোখে পড়তে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস লাগে। হাইড্রোসিল রোগে অণ্ডকোষের টিউনিকা ভ্যাজাইনালিস ও টিউনিকা অ্যালবুজিনিয়া নামের আবরণী দু’টির মাঝে তরল পদার্থ সঞ্চিত হয়!

ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ
খাবেন না।
আপনার যদি কোন রকম যৌন বা গুপ্ত সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আমাদের সাথে নির্দ্বিধায় যোগাযোগ করতে পারেন।
🛑এ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য কল করুন : ডাঃ মাসুদ হোসেন (বি, এইচ, এম, এস )( ডি, এইচ, এম, এস)
☎️+8801907-583252 , +8801302-743871

অন্য লেখা পেড়তে ক্লিক করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!