ফাইব্রয়েড জরায়ুর টিউমার এর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

Uterine bleeding জরায়ু থেকে রক্তক্ষরণ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা। 

Uterine bleeding জরায়ু থেকে রক্তক্ষরণ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ

Uterine bleeding জরায়ু থেকে রক্তক্ষরণ ঋতুস্রাব বন্ধ (Amenorrhoea) Leucorrhoea, Whites, Vaginal discharge(সাদাস্রাব, শ্বেতস্রাব) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা Uterine bleeding (জরায়ু থেকে রক্তক্ষরণ) ঋতুস্রাব বন্ধ (Amenorrhoea) Leucorrhoea, Whites, Vaginal discharge (সাদাস্রাব, শ্বেতস্রাব) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

কবি-সাহিত্যিকরা যেমন নারীর মন বুঝতে পারেন না , তেমনি এলোপ্যাথিক ডাক্তাররাও (নারীদের প্রধান অঙ্গ) জরায়ুর মতিগতি বুঝতে পারেন না। শেষে ব্যর্থ হয়ে কবি-সাহিত্যিকরা ঘোষণা করেন “নারী ছলনাময়ী” এবং এলোপ্যাথিক ডাক্তাররা ঘোষণা করেন “বেয়াদব জরায়ুটাকে কেটে ফেলে দাও” (hysterectomy)। সে যাক, জরায়ুর (uterus) যত রোগ আছে, ক্যানসারের পরে তাদের মধ্যে মাত্রাতিরিক্তি রক্তক্ষরণই (metrorrhagia, menorrhagia) বলা যায় সবচেয়ে বিপ্জ্জনক রোগ।

অবশ্য জরায়ুর প্রধান কাজই হলো মাসে মাসে, সময়ে অসময়ে, কারণে অকারণে রক্ত ক্ষরণ করা। কিন্তু যখনই এই রক্তক্ষরণের পরিমাণ আশংকাজনকভাবে বেড়ে যায়, তখন রোগী, রোগীর আত্মীয়-স্বজন, ডাক্তার-নার্স সকলেই একটা অজানা আশংকায় শংকিত হয়ে পড়েন। এই পরিস্থিতিতে এলোপ্যাথিক ডাক্তাররা নানা রকমের ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, ইনজেকশান দিতে থাকেন, ব্যাগের পর ব্যাগ রক্ত দিতে থাকেন। তারপরও যখন রক্তক্ষরণ বন্ধ না হয়, তখন তাদের শেষ চিকিৎসা হলো জুরায়ু কেটে ফেলে দেওয়া।
কিন্তু জরায়ু কেটে ফেলে দেওয়াতে আপনি অনেক জটিল সমস্যায় পড়বেন। যেমন – রক্তচাপ বেড়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া, শরীরে জ্বালা-পোড়া বৃদ্ধি পাওয়া, হাড় পাতলা হয়ে সহজে ভেঙ্গে যাওয়া, স্তন ক্যানসার ইত্যাদি ইত্যাদি।

জরায়ু
Uterine bleeding জরায়ুথেকেরক্তক্ষরণ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

আমেরিকান হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানী প্রফেসর ডাঃ জেমস্. টাইলর. কেন্ট (এম.ডি.)-এর মতে, মাত্র ৪টি হোমিও ঔষধের মাধ্যমে এমন কোন জরায়ু রক্তক্ষরণ নাই যা সারানো যায় না। হ্যাঁ, শুধুমাত্র ঔষধের মাধ্যমেই, কোন প্রকার যন্ত্রপাতির ব্যবহার বা অপারেশান ছাড়াই। ঔষধ ৪ টি হলো Ipecac, Aconite nap, Phosphorus এবং Secale cor. যদি লক্ষণ মিলিয়ে এই ঔষধগুলি ব্যবহার করতে পারেন, তবে রক্তক্ষরণ এত তাড়াতাড়ি বন্ধ হবে যে, আপনার বিশ্বাস করতেই কষ্ট হবে যে, রক্তক্ষরণ ঔষধে বন্ধ হলো নাকি এমনি এমনিই বন্ধ হয়েছে।

Ipecac : যখন জরায়ু থেকে বিরতিহীনভাবে চুইয়ে চুইয়ে রক্ত ঝরছে, কিন্তু কিছুক্ষণ পরপরই রক্তের স্রোত / প্রবাহ বেড়ে যায়, উজ্জ্বল লাল রক্তের দমকা একটু বেড়ে গেলেই রোগীর মনে হয় সে অজ্ঞান হয়ে যাবে, তার দম নিতে কষ্ট হয়, যতটা রক্তক্ষরণ হয়েছে সেই তুলনায় রোগীর ক্লান্তি / দুরবলতা / অবসন্নতা / বমিবমি ভাব / বেহুঁশ হওয়া / মুখ ফ্যাকাসে হওয়া ইত্যাদিকে অনেক বেশী মনে হয়, এই ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে ইপিকাক হয় উপযুক্ত ঔষধ।

Aconite nap : উজ্জ্বল লাল রক্তের স্রোত / প্রবাহ / দমকার সাথে থাকে অতিরিক্ত মৃত্যু ভয়, (রোগী মনে করে এখনই সে নিঘার্ত মরে যাবে) তবে একোনাইট হলো এই ধরনের রোগীর উপযুক্ত ঔষধ।

Phosphorus : রোগীর যদি গর্ভবতী কালীন সময়ে বা প্রসব পরবর্তী সময়ে মাথা গরম থাকে, বরফের মতো ঠান্ডা পানি খাওয়ার জন্য পাগল থাকে, প্রসব এবং গর্ভফুল (placenta) নির্গমণ সব কিছু ঠিক মতো হয়ে থাকে, এবং আপনি বুঝতে পারছেন না কি কারণে এতো বেশী বেশী রক্তপাত হচ্ছে, তবে ফসফরাস হলো তার একমাত্র ঔষধ।

Secale cor : রোগী যদি হয় পাতলা, চিকন, শীর্ণ অর্থাৎ ভগ্ন স্বাস্থ্যের অধিকারী, যে সারাবছরই গরমে কষ্ট পায় (অর্থাৎ গরম সহ্য করতে পারে না), শরীর থেকে কাপড়-চোপড় খুলে ফেলতে চায় এবং ঠান্ডা হতে চায়, যার ঘনঘন জরায়ু থেকে রক্তক্ষরণের অভ্যাস আছে এবং বর্তমানে তার রক্তক্ষরণের মাত্রা বিপদজনকভাবে বেড়ে গেছে, হতে পারে তা চাকা চাকা অথবা কালচে পাতলা রক্ত, সিকেলি ছাড়া তাকে সুস্থ করার কোন উপায় নাই।

আরো পড়ুনঃ    জরায়ু প্রলাপস বা মেয়েদের জরায়ু নিচে নেমে আসা  |

অপারেশন (Operation): অপারেশনের পূর্বে আর্নিকা (শক্তি ৩০,২০০) কয়েকমাত্রা খেয়ে নিলে অপারেশনের পরে কোন জটিলতা দেখা দিবে না। অপারেশনের পরে যদি রোগীর খিচুঁনি শুরু হয় অথবা রোগী শকে চলে যায়, তবে Strontium carbonicum রোগীর জীবন বাচাঁবে। এটি সার্জনদের জন্য একটি অতি জরুরি ঔষধ , সার্জনদের ব্যাগে অবশ্যই সবর্দা সংরক্ষণ করে রাখা উচিত।
Skin complexion (রঙ ফর্সাকরণ): Berberis aquifolium (শক্তি ৩, ৬) স্নো/ ক্রিমের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
দুর্গন্ধ (Bad odor): নাকে-মুখে, ঘামে কিংবা পায়খানা প্রস্রাবে ভীষণ দুর্গন্ধের জন্য Baptisia অথবা Merc cor (শক্তি ৩০, ২০০) রোজ তিনবার করে এক সপ্তাহ খান।

🇨🇭 ভীরুতা (Cowardice) : শীর্ণদের ক্ষেত্রে Lycopodium clavatum (শক্তি ১০০০) আর মোটাদের ক্ষেত্রে Calcarea carbonica (শক্তি ১০০০) মাসে একমাত্রা করে কয়েক মাস খান। পরীক্ষার বা ইন্টারভিউর পূর্বে বেশী উৎকন্ঠিত হলে Argentum nitricum অথবা Gelsemium (শক্তি কিউ,৩,৬,১২,৩০) দুয়েক মাত্রা খেয়ে নিন।
শীতকাতরতা (Chilly): যারা সামান্য শীতও সহ্য করতে পারে না তারা রোজ সকালে এবং সন্ধ্যায় Iodium (শক্তি কিউ, ৩,৬) দশ ফোটা করে কয়েক মাস খান।

ভ্রমণ (Travel): স্থলপথে, নদী, সমুদ্র বা আকাশপথে ভ্রমণের কারণে কোনো সমস্যা দেখা দিলে Cocculus indicus দুই ঘন্টা পরপর খেতে থাকুন।
আঁচিল/মেঞ্জ (Wart): হাতের তালুর আঁচিলের জন্য Natrum mur 1m সপ্তাহে একমাত্রা করে খান। দলে দলে আঁচিল ওঠলে Thuja occ অথবা Causticum (শক্তি ২০০) সপ্তাহে একমাত্রা করে খান। আঁচিল ওঠা প্রতিরোধের জন্যও Thuja occidentalis একই নিয়মে খেতে পারেন।

homeo treatment

অতিরিক্ত ঋতুস্রাব (Menorrhagia):
মাসিকে বেদনাহীন এবং উজ্জ্বল লাল রঙের অতিরিক্ত রক্তস্রাবের জন্য Millefolium (শক্তি ৩০) তিনবেলা করে খেতে থাকুন।
রোগী যদি শীর্ণ এবং ঠান্ডাপ্রিয় হয় তবে Secale cornatum (শক্তি ৩০,২০০) তিন বেলা করে কিছুদিন খান।
অতিরিক্ত স্রাবের সাথে তলপেটে ব্যথা থাকলে Sabina (শক্তি ৩০, ২০০) চারবেলা করে যতদিন বন্ধ না হয় খেতে থাকুন।🇨🇭 অতিরিক্ত স্রাবের সাথে বমিবমি ভাব থাকলে Ipecac (শক্তি Q, ৩,৬) দুই/তিন ঘণ্টা পরপর খেয়ে যান।

রোগিনী মোটা এবং শীতকাতর হলে Calcarea carb (শক্তি ৩০,২০০) তিন/বেলা করে খান এবং পরবর্তীতে শক্তি বাড়িয়ে খেতে থাকুন।
মারাত্মক ধরনের রক্তস্রাব দ্রূত বন্ধ করার জন্য একবার Millefolium (শক্তি Q, ৩,৬) এবং একবার China officinalis (শক্তি কিউ, ৩,৬, ১২,৩০,২০০) এভাবে অদলবদল করে ঘনঘন খেতে থাকুন।

ঋতুস্রাব বন্ধ(Amenorrhoea)
মাসিক বন্ধ থাকলে Gossipium, Pulsatilla (গরমকাতর এবং কান্নাকাটির স্বভাব), Natrum mur (বেশী লবণ খাওয়ার অভ্যাস) কিংবা Kali carb শক্তি Q, ৩,৬, ১২,৩০,২০০) পাঁচ ফোটা করে দুবেলা খেয়ে যান যতদিন মাসিক শুরু না হচেছ। প্রয়োজনে শক্তি বাড়িয়ে শক্তি বাড়িয়ে খান।

🛑 ঋতুস্রাব (Menstruation)
ঋতুস্রাবের পরিবর্তে নাক থেকে রক্তস্রাব হলে Bryonia কিংবা Phosphorus (শক্তি Q, ৩, ৬, ১২, ৩০, ২০০) তিনবেলা করে কিছু দিন খান।
ঋতুস্রাবের পরিবর্তে বরং সতনে দুধ আসলে Merc sol (শক্তি ৩০,২০০) খান দুই/তিন বেলা করে এক সপ্তাহ।
ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার বয়সেও যে-সব মেয়ের ঋতুস্রাব শুরু হয় নাই, সতনের বৃদ্ধি হয় নাই, শরীরে যৌবনের প্রকাশ নাই তাদের Lycopodium (শক্তি ১০০০) মাস একমাত্রা করে দুইতিন মাস খান। পরবর্তীতে শক্তি বাড়িয়ে খান। কিন্তু যাদের শরীরে যৌবনের সব লক্ষণই আছে কিন্তু মাসিক শুর হইতেছে না সেক্ষেত্রে Calcarea carbonica (শক্তি ৩০,২০০) একবেলা করে দুই সপ্তাহ খান এবং পরবর্তীতে শক্তি বৃদ্ধি করে খেয়ে যান।

ঋতুস্রাবের সাথে তলপেটে ব্যথা থাকলে Belledonna এবং Colocynthis (শক্তি ৩,৬,১২,৩০,২০০) একত্রে মিশিয়ে তিন/চার বেলা করে খান।
স্ত্রী যৌনাঙ্গের চুলকানির জন্য Caladium, Merc sol, বা Lapis alba (শক্তি ৩০,২০০) তিন/চারবেলা করে খেতে পারেন।
স্ত্রী যৌনাঙ্গ থেকে বাতাস বের হয় লক্ষণে Lycopodium (শক্তি ৩০,২০০) দুইবেলা করে কিছুদিন খান।
Leucorrhoea, Whites, Vaginal discharge(সাদাস্রাব, শ্বেতস্রাব):-
🇨🇭 প্রথম কথা হলো শ্বেতস্রাব বা সাদাস্রাব কোন রোগ নয় এবং এটি শরীরের কোন ক্ষতিও করে না। সাধারণত ইহার মাত্রা বা উৎপাত অনেক বেড়ে

গেলেই  একে রোগের পর্যায়ে ফেলা হয়ে থাকে। প্রধানত মোটা, অলস স্বভাবের, অন্যকোন যৌনরোগ, শারীরিক ত্রুটি, নোংরা অপরিচ্ছন্ন স্বভাব, জরায়ু বা ডিম্বাশয়ের রোগ এবং যাদের স্বামী দূর দেশে থাকেন, এসব মহিলাদের মধ্যে সাদাস্রাবের সমস্যা বেশী দেখা যায়। যদিও সাদাস্রাব বলা হয় কিন্তু ইহার রঙ সাদা, হলদে বা সবুজও হতে পারে। হতে পারে পাতলা অথবা আঠালো। কারো কারো স্রাব এতো ঝাঝালো হয় যে, যোনীমুখে ঘা হয়ে যায়।

যৌন অক্ষমতায়

Sepia officinalis : পেশা এবং পরিবারের লোকজনদের প্রতিও উদাসীনতা, রোগের গতি শরীরের নীচে থেকে উপরের দিকে,
রোগী সবর্দা শীতে কাঁপতে থাকে, পেটের ভিতরে চাকার মতো কিছু একটা নড়াচড়া করছে মনে হওয়া, পাইলস, পায়খানার রাস্তা বা জরায়ু ঝুলে পড়া (prolapse), খাওয়া-দাওয়া ভালো লাগে না, পায়খানার রাস্তা ভারী মনে হয়, মুখের মেছতা (Chloasma), ঘনঘন গর্ভপাত (abortion), যৌনাঙ্গে এবং পায়খানার রাস্তায় ভীষণ চুলকানি, দীর্ঘদিনের পুরনো সর্দি, অল্পতেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে, দুধ হজম করতে পারে না, স্বভাবে কৃপন-লোভী, একলা থাকতে ভয় পায় ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে সিপিয়া খান।

সাধারণত দশ হাজার শক্তিতে সপ্তাহে এক মাত্রা করে খান।
Pulsatilla pratensis : গলা শুকিয়ে থাকে কিন্তু কোন পানি পিপাসা থাকে না, ঠান্ডা বাতাস-ঠান্ডা খাবার-ঠান্ডা পানি পছন্দ করে, গরম-আলো-বাতাসহীন বদ্ধ ঘরে রোগীনী বিরক্ত বোধ করে, আবেগপ্রবন, অল্পতেই কেঁদে ফেলে এবং যত দিন যায় ততই মোটা হতে থাকে ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে পালসেটিলা ভালো কাজ করে।

Calcarea Carbonica : মোটা থলথলে শারীরিক গঠন, পা সব সময় ঠান্ডা থাকে, শিশুকালে দাঁত উঠতে বা হাঁটা শিখতে দেরী হয় থাকে, শরীরের চাইতে পেট বেশী মোটা, খুব সহজে মোটা হয়ে যায়, প্রস্রাব-পায়খানা-ঘাম সব কিছু থেকে টক গন্ধ আসে, হাতের তালু মেয়েদের হাতের মতো নরম (মনে হবে হাতে কোন হাড়ই নেই), মাথার ঘামে বালিশ ভিজে যায়, মুখমন্ডল ফোলাফোলা, সিদ্ধ ডিম খেতে খুব পছন্দ করে ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে ক্যালকেরিয়া কার্ব হবে তার সবচেয়ে উত্তম ঔষধ।

Iodium : প্রচুর খায় কিন্তু তারপরও দিনদিন শুকিয়ে যেতে থাকে, গরম সহ্য করতে পারে না, ক্ষুধা খুব বেশী, দ্রুত হাঁটার অভ্যাস, দৌড়াতে ইচ্ছা হয়, লালাগ্রন্থি ও প্যানক্রিয়াসের রোগ, যে-সব রোগ অমাবশ্যা-পূর্ণমায় বৃদ্ধি পায় ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে আয়োডিয়াম খেতে হবে।
Sulphur : গোসল করা অপছন্দ করে, গরম লাগে বেশী, শরীরে চুলকানী বেশী, সকাল ১১টার দিকে ভীষণ খিদে পাওয়া, পায়ের তালু-মাথার তালুতে জ্বালাপোড়া, মাথা গরম কিন্তু পা ঠান্ডা, পরিষ্কার – পরিচ্ছন্নতার দিকে কোন খেয়াল নাই ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে রোগীকে সালফার খাওয়াতে পারেন।

Mercurius solubilis: মার্ক সল ঔষধটির প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো প্রচুর ঘাম হয় কিন্তু রোগী আরাম পায় না, ঘামে দুর্গন্ধ বা মিষ্টি গন্ধ থাকে, কথার বিরোধীতা সহ্য করতে পারে না, ঘুমের মধ্যে মুখ থেকে লালা ঝরে, পায়খানা করার সময় কোথানি, পায়খানা করেও মনে হয় আরো রয়ে গেছে, অধিকাংশ রোগ রাতের বেলা বেড়ে যায়, রোগী ঠান্ডা পানির জন্য পাগল, ঘামের কারণে কাপড়ে হলুদ দাগ পড়ে যায় ইত্যাদি। উপরের লক্ষণগুলো থাকলে সাদাস্রাবেও মার্ক সল প্রয়োগ করতে পারেন।

Cinchona / China officinalis : অত্যধিক সাদাস্রাবের কারণে দুর্বলতা দেখা দিলে চায়না খাওয়াতে হবে। চায়নার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো মাথা ভারী ভারী লাগে, চোখের পাওয়ার কমে যায়, অল্পতেই বেহুঁশ হয়ে পড়া, কানের ভেতরে ভো ভো শব্দ হওয়া, মেজাজ ভীষণ খিটখিটে, আলো-গোলমাল-গন্ধ সহ্য করতে পারে না, হজমশক্তি কমে যাওয়া, পেটে প্রচুর গ্যাস হওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।
Hamamelis virginiana : আক্রান্ত স্থানে তীব্র ব্যথা, স্পর্শ করা যায় না, কালচে রঙের রক্তক্ষরণ, রক্তনালী রোগ, পাইলস, মাসিকের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, দুই মাসিকের মধ্যবর্তী সময়ে রক্তক্ষরণ, অন্ডকোষে ব্যথা, ডিম্বাশয়ে ব্যথা, নাক থেকে রক্তক্ষরণ, দপদপানি মাথাব্যথা, বাতের ব্যথা ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে হেমামেলিস খেতে হবে।

ইহা ছাড়াও Alumina (কোষ্টকাঠিন্য স্বভাব), Borax (নীচে নামতে ভয় পায়), Ammonium muriaticum (বুক ধড়ফড়ানি) প্রভৃতি ঔষধ খেতে পারেন।
Uterine bleeding জরায়ুথেকেরক্তক্ষরণ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
ডাঃ মাসুদ হোসেন (ডি,এইচ এম,এস )
☎️ মোবাইল নাম্বার 01907-583252 , 01302-743871

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!