40 আপ মহিলাদের ভ্যাজাইনাল

40 আপ মহিলাদের ভ্যাজাইনাল / যোনি স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।

❤ একটা সময় ছিলো যখন বলা হতো মেয়েরা কুড়িতেই বুড়ি। যুগ তার নিয়মেই পাল্টেছে। এখন আঠারো বছর বয়স পর্যন্ত কৈশোর ধরা হয়। মধ্যবয়সের বয়সসীমা হলো চল্লিশ থেকে ষাট বছর অবধি।

❤ তবে আজকাল চল্লিশকেই নতুন কুড়ি বলা হচ্ছে- ( ফর্টি ইজ দ্য নিউ টোয়েন্টি )। বয়স চল্লিশ মানে জীবনের একটি নতুন মাইলফলক ছোঁয়া। এখন নিজেকে সময় দেয়ার দিন।
( মধ্যবয়সী ) ভেবে নিজেকে নিয়ে হাপিত্যেশ না করে চাইলে প্রেমেও পড়া যায় এ বয়সে। কারণ 2016 সালে করা ইউরোপীয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের যৌথ গবেষণার ফল বলছে, মধ্যবয়স এখন ষাট বছরে। মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধির ফলাফলকে ধরেই সমীক্ষাটি করা হয়েছিলো। তবে এশিয়ান নারীদের বেলায় এখনও চল্লিশ পরবর্তী সময়কেই মোটামুটি ভাবে মধ্যবয়স বলা যায়।

❤ মধ্যবয়সে নিজের জন্য প্রয়োজন হয় একটু অতিরিক্ত যত্নের। এ সময় সুষম খাদ্য, ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, ত্বকের ও চুলের যত্ন এবং সর্বোপরি মনের যত্ন নেয়া ভীষণ প্রয়োজন। চল্লিশের পর থেকে শরীরে কোলজেনের প্রোডাকশন কমে যেতে শুরু করে। ফলে বলিরেখা, পিগমেন্টেশন শুরু হয়। আবার মেনোপজের সময়ে হরমোনাল পরিবর্তনের ফলে অনেকের মধ্যে অ্যাংজাইটি, ডিপ্রেশন আসে, আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখা যায়। মেনোপজের পর অস্টিওআর্থারাইটিস, অস্টিওপোরোসিসের, মত রোগ দেখা যায়। মেনোপজ সংক্রান্ত আরো অনেক শারীরিক-মানসিক জটিলতা, যেমন:হটফ্ল্যাশ, ভ্যাজাইনাল অ্যাট্রফি ইত্যাদি দেখা যায়। ইস্ট্রোজেন-প্রজেস্টেরন ক্ষরণ কমে যাওয়ায় হরমোনাল ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয় যার ফলে শরীরে ও মনে আসে ব্যাপক পরিবর্তন।

40 আপ মহিলাদের ভ্যাজাইনাল

❤ ৪০ পেরোনো নারী ভালো থাকুন:

কুড়ি থেকে চল্লিশ এই ক’টা বছর পড়াশোনা, সংসার শুরু করা, প্রেগনেন্সি, কেরিয়ার সব মিলিয়ে নারীর একটা বিশাল স্ট্রেসের সময় যায়। তখন নিজের দিকে তাকানোর চাইতেও তার সবচেয়ে বেশি ফোকাস থাকে সংসার, সন্তান বড় করা, তার কেরিয়ার ইত্যাদি। মধ্যবয়সে যখন নারী পৌঁছান ততদিনে তার সন্তানেরা পড়াশোনার একটা পর্যায়ে চলে আসে। তার কেরিয়ারও একটা শেপ-এ চলে আসে। কিন্তু এগুলো করতে গিয়ে বিশেষ করে আমাদের সমাজে একজন নারী দেখতে পান তাঁর জীবনের অনেকটা সময় চলে গেছে, নিজের দিকে তাকানোর সময় পাননি। একদিন হঠাৎ পাকা চুলটা চোখে পড়ে। তারপর রাস্তাঘাটে লোকজন যারা আগে – আপা, বলে এড্রেস করতো তারা – আন্টি, ডাকতে শুরু করল।

❤ একটা বয়সের পরে আপনার রিংকেলস পড়বে, চামড়াটা একটু লুজ হবে, চুলের গোড়া একটু সাদা দেখা যাবে, এটাই তো স্বাভাবিক। এটা সত্যি যে চল্লিশ পার করার পর আমরা অনেকেই অস্থির হয়ে যাই নিজের ফিটনেস ধরে রাখার জন্য। ফ্যাশন সম্পর্কে সচেতন হওয়ার চেষ্টা করি, অনেক কিছু করার চেষ্টা করি। কিন্তু সেটা আসলে নিজেকে ভালো রাখার জন্যই। নিজেকে সুন্দর রাখতে, গুছিয়ে রাখতে গিয়ে যদি আপনি কিছু চর্চা করেন তবে তা খারাপ না। যে বয়সে, যখন যেটা পরতে ইচ্ছে করুক না কেনো সেটা পরাই উচিত। পোশাক নয় বরং আচরণটা নিয়ে ভাবি যে সেটা কেমন হওয়া উচিৎ। আমার আচরণটা বয়সের সাথে যায় কি যায় না সেটা চিন্তা করার চাইতেও আমি কতটা সহনশীল, আমি কতটা মানবীয় গুণাবলীসম্পন্ন মানুষ হয়ে উঠছি আমার এই মধ্যবয়সে সেটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

❤ চল্লিশের পর থেকে মুড সুইং হয়, এনার্জি লেভেল কমে যায়। আমাদের সোসাইটি সারাক্ষণই মনে করিয়ে দিতে থাকে যে আপনি তো আগের মত নাই, আপনি বুড়ো হয়ে গেছেন। কথা হল, বার্ধক্য যখন আসছে তখন একটা টিনএজ মেয়ের এনার্জি, লুকিং কোনটাই থাকবে না। কিন্তু আপনার যেটা থাকবে সেটাকে মেইনটেইন করতে হবে। সেভাবে ব্যক্তিত্ব বয়সের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে হবে। কিন্তু আমরা সমাজের বিভিন্ন কথায় কমপ্লেক্স ও সোশ্যাল প্রেসারে ভুগে অনেক সময় মরিয়া হয়ে যাই নিজেকে কতটা ইয়াং দেখানো যায় সেটা নিয়ে।

❤ মেনোপজ ও মনোদৈহিক সমস্যা:

❤ মেনোপজটা 45 থেকে 55 বছর বয়সের মধ্যে সাধারণত হয়। এই মেনোপজের প্রক্রিয়াটি হুট করে হবে না। এক বছর পর্যন্ত যদি সাইকেলটা অনিয়মিত থাকে বা পিরিয়ড না হয় তখন তাকে আমরা মেনোপজের ক্রাইটেরিয়া হিসেবে ডিফাইন করি। এটা নারীর জীবনের স্বাভাবিক পরিবর্তন। এটাকে কোনো সমস্যা বা রোগ হিসেবে যদি সমাজ বা পরিবার চিন্তা করলেই ওই নারী মানসিকভাবে, শারীরিকভাবে এবং একইসঙ্গে সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। যখন একজন নারীর মেনোপজ হচ্ছে তখন এর কিছু লক্ষণ বা উপসর্গ কিন্তু তাঁর মধ্যে দেখা দেবে। যেমন: দিনে তিন/চারবার হট ফ্লাশ হতে পারে অর্থাৎ হঠাৎ করে পুরো শরীরে প্রচন্ড গরম অনুভূত হবে এবং কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি দরদর করে ঘামতে থাকবেন। এ ধরণের উপসর্গ একজন নারীর জন্য অস্বস্তিকর হয়ে উঠতে পারে। হট ফ্লাশের তীব্র খারাপ অনুভূতি থেকে একাকীত্ম, বিষন্নতা, মুড সুইং, খিটখিটে মেজাজ ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।

এ পরিস্থিতি আমরা পরিবারের সদস্যরা অনেক সময়ই বুঝে উঠতে পারি না। তাঁর যে সে সময় কিছুটা বিশ্রাম প্রয়োজন, আরামের প্রয়োজন সেটা তাঁর সঙ্গী কিংবা ছেলেমেয়েরা বা পরিবারের অন্য সদস্যরা না বুঝেই বিরক্তি প্রকাশ করেন অথবা বিষয়গুলো সম্পূর্ণ ইগনোর করে নিজেদের চাহিদা পূরণে নারীকে ব্যস্ত রাখেন। পরিবারের সদস্যরা যদি এই মেনোপজের বিষয়টি জানেন, বুঝতে পারেন এবং ইতিবাচকভাবে নেন তাহলে সেই সময়টাতে নারীর প্রতি বিশেষ যত্নবান হতে পারেন। নারীর যদি পরিবারেই এ ধরণের শেয়ারিংয়ের জায়গা থাকে তাহলে তাঁর অতিরিক্ত মানসিক চাপ, বিষন্নতায় ভোগা বা অস্থিরতার যে অনুভূতিগুলো যেগুলোকে আমরা সাইকোলজিকাল সিম্পটম হিসেবে ধরে থাকি সেগুলো আস্তে আস্তে কমে যাবে।

40 আপ মহিলাদের ভ্যাজাইনাল

❤ সেল্ফ কেয়ার- Self Care:

❤ সেল্ফ কেয়ার মানে হলো নিজের আত্মিক, মানসিক ও শারীরিক যত্ন নেয়া। নিজের বিষয়গুলোর প্রতি অবগত থাকা। আপনি নিজে যদি ভালো না থাকেন তাহলে অন্যকে কোনোদিন ভালো রাখতে পারবেন না। এমনকি আপনার নিজের সন্তানকেও না। নিজেকে ভালো রাখতে গিয়ে যদি মনে হয় যারা আপনাকে জাজ্‌ করছে, অসম্মান করছে, তাদের সঙ্গে আপনি দূরত্ব বজায় রেখে চলবেন, সেটা আপনি করতে পারেন। ভালো থাকার জন্য এ বিষয়গুলো নিজেকেই কেটেছেঁটে ফেলতে হবে।

❤ Menopause Symptoms : মোটামুটি 40 এর শেষ থেকে 50 এর মাঝামাঝে ঋতুবন্ধের সময়।

40 পেরোলে মেয়েদের হতে পারে এই সমস্যাগুলোও! ফেলে রাখলে বিপদ, ঋতুবন্ধের সময়
মোনোপজ ? সে তো দেরি আছে। এই ভাবনা ভেবে অনেকেই ভুলে থাকার চেষ্টা করেন জীবনের এক বড় পরিবর্তনের পর্যায়কে। কিন্তু কিছু কিছু লক্ষণ চোরাস্রোতের মতো ঢুকে পড়ে শরীরে। যা আপাত ভাবে বুঝেই উঠতে পারেন না মহিলারা মেনোপজের লক্ষণ বলে। চল্লিশের কোঠার শেষ থেকে মাঝ পঞ্চাশ – এই সময়টাই ঋতুবন্ধের সময়। বয়স পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই হলেই সমহিলাদের ভাবায় ঋতুবন্ধ। হঠাৎ দেখা গেল কেউ বেশিই খিটখিটে হয়ে পড়লেন, কারও আবার হঠাৎ ওজন গেল, কেউ আবার ভুগতে শুরু করলেন হাড়ের যন্ত্রণায়। মাঝে মাঝেই মুড সুইং পরিবারের মানুষগুলোকেও বিব্রত করে তুলল। কেউ হয়ত বুঝলেনই না, এটা একটা পরিবর্তনের সিগন্যাল। উল্টে তাঁর উপর বিরক্ত হলেন। মহিলাদের জীবনে এই এক সময়, যার সঙ্গে মানিয়ে নিতে গেলে দরকার চিকিৎসকের পরামর্শ। কোনও কোনও সময় দরকার হতে পারে মনোবিদের সাহায্যও।

❤ Menopause- এর সময় ?

মোটামুটি 40 এর শেষ থেকে 50 এর মাঝামাঝে ঋতুবন্ধের সময়। কিছু মহিলার ক্ষেত্রে 40 এর আগে এটি হতে পারে। যখন একে অকাল ঋতুবন্ধ ( Premature Menopause ) বলা হয়। যখন 54 বছরের পরও পিরিয়ড হতে থাকে তখন তা উদ্বেগজনক এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন।

❤ Menopause – এর লক্ষণ / উপসর্গ:
কার জীবনে মেনোপজ কীভাবে আসবে, তা একেবারেই নির্ভর করে সেই মহিলার উপর। ঋতুবন্ধের ক্ষেত্রে সাধারণত এক বছর আগে থেকেই অনিয়মিত মেনস্টুয়েশন দেখা দেয়। এই সময়ে শরীরে হরমোনের পরিবর্তনও ঘটে। তাই মন-মেজাজের ও পরিবর্তন হতে পারে। সেটাও পরিবারের লোকেদের বুঝতে হবে। একেক জনের লক্ষণ একেকরকম। তবে নিচের কোনও লক্ষণ যদি আপনার শরীরে এসে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে এটি মেনোপজের আগমন বার্তাও হতে পারে।

❤ হট ফ্লাশ ( Hot Flushes ) : বুক থেকে মাথা পর্যন্ত হঠাৎ করে তাপপ্রবাহ অনুভব হল? তারপর কুলকুল করে ঘাম। হ্যাঁ এটা মেনোপজেরই লক্ষণ।

❤ নাইট সোয়েট ( Night Sweats ): ঘুমের মধ্যে যদি হঠাৎ করে হট ফ্লাশের অনুভূতি হয়, তাহলে তাকে নাইট সোয়েটিং বলে।

❤ ইনসোমনিয়া ( Insomnia ): রাতের পর রাত ঘুম আসছে না, বার বার ঘুম ভেঙে যাচ্ছে। আপনার বয়স যদি মাঝ চল্লিশ পেরিয়ে থাকে, তাহলে এটা মেনোপজের অ্যালার্ম হতে পারে।

❤ যৌনাঙ্গে শষ্কতা ( Vaginal Dryness): স্বাভাবিকের থেকে যৌনাঙ্গ বেশি শুষ্ক হয়ে যাওয়া।

❤ মেজাজে পরিবর্তন ( Mood Swings ): কারও কারও উদ্বেগ বেড়ে যায়। সহজেই রেগে যাওয়া, মেজাজ খারাপ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে।

❤ যৌন ইচ্ছে কমে যাওয়া ( Decreased Sex Drive ): শরীরে আসন্ন হরমোনের পরিবর্তনের কারণে, যৌন চাহিদা কমে যেতে পারে।

❤ ইউরিন ইনফেকশন হওয়া ও প্রস্রাব ধরে রাখার সমস্যা ( Stress Incontinence ): অনেক সময় দেখা যায় সজোরে হাসলে বা কাশলে বা হাঁচলে প্রস্রাব বেরিয়ে আসার সমস্যা হতে পারে।

❤ বুক ধড়ফড় ( Palpitations): এই সমস্যাটা খুবই সাধারণ। বেশিরভাগ মহিলাই ভুগে থাকেন।

40 আপ মহিলাদের ভ্যাজাইনাল

❤ একটা বয়সের পর এই ধরনের পরিবর্তন তো আসবেই, তাই তা না চিন্তিত হয়ে ভাল থাকতে হবে। তাই এই লক্ষণগুলি নিয়ে বাড়ি বসে বিব্রত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আর নিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার মাধ্যমে কীভাবে সমস্যাগুলো একটু নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তা আলোচনা হবে পরের পর্বে। তবে মনে রাখতে হবে, এগুলি দেখে এড়িয়ে গেলে চলবে না, না ফেলে রেখে ডাক্তার দেখাতে হবে। নইলে বড় সমস্যা অপেক্ষা করছে আপনার জন্য।

অরো পড়ুনঃ   40 আপ মহিলাদের যৌন চাহিদা কমে যাওয়ার কারণ ও উত্তেজনা বৃদ্ধির হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।

❤ 40 বছর বয়সী মহিলাদের সুস্থ যোনিপথের জন্য 04 টি টিপস:

❤ শরীরের বাকি অংশের জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার সময় মহিলাদের অবশ্যই একটি সুস্থ যোনি থাকতে হবে। আপনাকে সবসময় অতিরিক্ত প্রচেষ্টা করতে হবে না। আপনার বয়স বাড়ার সাথে সাথে যোনিতে কিছু পরিবর্তন আসবে। 40 বছর বয়সী হওয়া মানে সক্রিয় যৌনজীবনের সমাপ্তি নয়। যাইহোক, এই পর্যায়ে আপনার যোনি স্বাস্থ্য আপনাকে বিরক্ত করতে শুরু করতে পারে। আপনার শরীরের এই অন্তরঙ্গ অংশের যত্ন নিতে ব্যর্থ হবেন না।

❤ যোনি স্বাস্থ্যের উন্নতি করার চেষ্টা করুন এবং আপনার সঙ্গীর সাথে একটি চাপমুক্ত সম্পর্ক উপভোগ করুন।

❤ যোনি হল একটি নলাকার খাল যা পেশী দিয়ে তৈরি। এটি ভালভা ( বাহ্যিক খোলা ) থেকে জরায়ুর ঘাড় ( জরায়ুর নীচের অংশ ) পর্যন্ত প্রসারিত হয়। আপনি সাধারণত আপনার শরীরের এই অংশটি লক্ষ্য নাও করতে পারেন, তবে ডাক্তাররা নিয়মিত এটি পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন যখন আপনি নিম্নলিখিতগুলির মধ্যে কোনটি লক্ষ্য করেন:

  • 🩸 সহবাসের সময় ব্যথা।
  • 🩸 ক্রমাগত চুলকানি।
  • 🩸 আপনার যোনি থেকে নির্গত একটি অপ্রীতিকর গন্ধ।
  • 🩸 অনিয়মিত মাসিক।
  • 🩸 সবুজ বা রক্তাক্ত যোনি স্রাব।
  • 🩸 ল্যাবিয়ার পিণ্ড বা ঘা ( ত্বকের ভাঁজ যা খোলা অংশকে লুকিয়ে রাখে )।
  • 🩸 যদিও একটি স্বাভাবিক সুস্থ যোনি থেকে কিছুটা স্রাব হওয়া স্বাভাবিক, তবে এটির সাথে ব্যথা বা অস্বস্তি হওয়া উচিত নয়। আপনি যখন সুস্থ যোনিপথ বজায় রাখতে ব্যর্থ হন তখন আপনার গাইনোকোলজিস্টের সাথে দেখা করতে ভুলবেন না।

❤ আপনার 40 বছর বয়সে যোনিপথকে সুস্থ রাখার সেরা 04 টি টিপস: একটি সুখী এবং স্বাস্থ্যকর জীবন উপভোগ করার জন্য আপনার যোনিকে সুস্থ রাখা অপরিহার্য। 40 এর পরে যোনিপথের স্বাস্থ্যের উন্নতির সর্বোত্তম উপায় সম্পর্কে আপনার ডাক্তারের কাছে যাওয়া নিশ্চিত।

❤ নিরাপদ সহবাস করুন: স্বাস্থ্যকর এবং সংক্রমণমুক্ত সঙ্গীর সাথে একগামী সম্পর্কে থাকা ভাল। এসটিডি ( যৌন সংক্রামিত রোগ ) প্রতিরোধে সুরক্ষা ব্যবহার নিশ্চিত করুন। 40 হওয়ার মানে এই নয় যে আপনি আর উর্বর নন। গর্ভধারণ কঠিন হতে পারে কিন্তু 40 এর দশকেও শোনা যায় না। আপনি যদি সন্তান নিতে না চান তবে সুরক্ষার জন্য জোর দিয়ে অতিরিক্ত যত্ন নিন।

❤ ভ্যাকসিনেশনের মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকুন: যৌনভাবে সংক্রামিত হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস ( HPV ) থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন গ্রহণ করে একটি স্বাস্থ্যকর যোনি নিশ্চিত করতে পারেন, বিশেষ করে যদি আপনি একটি চাপপূর্ণ জীবনযাপন করেন বা সহবাসে আক্রান্ত হন।

❤ লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করুন: আপনার শরীরের হরমোনের মাত্রা 40 এর পরে কমে যায়। ইস্ট্রোজেনের অভাব আপনার যোনিপথকে শুষ্ক করে দিতে পারে। ব্যথামুক্ত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে আপনি যৌনতার ঠিক আগে একটি ভাল লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করতে চাইতে পারেন।

❤ আপনার গাইনোকোলজিস্টের সাথে নিয়মিত দেখা করেন : আপনার যোনিকে সুস্থ রাখতে আপনি যখন বার্ষিক পেলভিক পরীক্ষা করতে যান তখন কোনো সমস্যা বা অতিরিক্ত কাজ হবে না। আপনার স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে দেখা করা এড়িয়ে যাবেন না এবং আপনার উদ্বেগ সহ আপনার সমস্ত সমস্যা নিয়ে তার সাথে আলোচনা করবেন না৷ আশংকা আপনি 40 র পরে পেরিয়েমেনোপজে থাকবেন৷ আপনাকে আগের মতো নিয়মিত প্যাপ পরীক্ষা করতে বলা নাও হতে পারে, তবে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ আপনাকে আপনার সাধারণ এবং যোনি স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করবে৷

40 আপ মহিলাদের ভ্যাজাইনাল

❤ কেগেল ব্যায়াম: শরীরে ইস্ট্রোজেন কমে যাওয়ার অনুপাতে পেশীর স্বর ধীরে ধীরে হ্রাস হওয়া স্বাভাবিক। আপনার পেলভিক ফ্লোর টোন আপ করা গুরুত্বপূর্ণ যখন আপনার বয়স 40 পেরিয়ে যায় যোনি প্রল্যাপস ( যোনিটি তার স্বাভাবিক অবস্থান থেকে নিচে নেমে যাওয়া ) এবং প্রস্রাবের অসংযম ( অনিয়ন্ত্রিত প্রস্রাব ) প্রতিরোধ করতে। কেগেল ব্যায়াম ক্লাসে যোগদান করতে ভুলবেন না বা এটি নিজে করুন। এটি আপনাকে পেলভিক পেশী শক্তিশালী করতে এবং আপনার যৌন জীবন উপভোগ করতে সহায়তা করবে।

❤ এড়িয়ে চলুন: আপনার বিশ বা চল্লিশের মধ্যে ধূমপান কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। নিকোটিন আপনার যৌন অভিজ্ঞতাকে প্রভাবিত করতে পারে যা অস্বস্তি এবং উদ্বেগ সৃষ্টি করে। অত্যধিক অ্যালকোহল পান করা আপনার যৌন জীবনকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে এবং বেশ কিছু স্বাস্থ্য সমস্যারও কারণ হতে পারে। সুস্বাস্থ্য উপভোগ করার জন্য অ্যালকোহল, তামাক এবং বিনোদনমূলক ওষুধ উভয়ই সেবন করা থেকে বিরত থাকুন।

❤ হাইড্রেটেড থাকুন: আপনার শরীরের সঠিকভাবে কাজ করার জন্য জল প্রয়োজন। সুস্থ যোনিপথের জন্য প্রতিদিন অন্তত 07 থেকে 08 গ্লাস পানি পান করুন। এটি আপনার শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেবে এবং আপনার যোনিপথকে যথেষ্ট পরিমাণে লুব্রিকেটেড রাখবে যাতে আপনার বয়স নির্বিশেষে স্বাভাবিক যৌনতার অনুমতি দেওয়া যায়। আপনি আপনার যোনিতে মাছের মতো গন্ধ লক্ষ্য করতে পারেন কারণ আপনি নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান করতে থাকেন। আপনি ক্র্যানবেরি জুস খেতে পারেন, যা যোনি স্বাস্থ্যের জন্য সেরা পানীয়গুলির মধ্যে একটি বলে বিশ্বাস করা হয়। এটি অ্যাসিডিক এবং আপনার যোনির pH ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করবে। ক্র্যানবেরি জুস অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং আপনার খাদ্যে এই চমৎকার পানীয়টি অন্তর্ভুক্ত করলে আপনার শরীর থেকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করতে পারে।

❤ ওষুধ: খামির সংক্রমণ এই সময়ে সাধারণ যার জন্য আপনার ডাক্তার উপযুক্ত ওষুধ লিখে দিতে পারেন। আপনার যদি এসটিডি ধরা পড়ে তবে আপনাকে আপনার ডাক্তারের দ্বারা নির্ধারিত ওষুধ গ্রহণ করতে হবে। যোনি তৈলাক্তকরণের জন্য ক্রিম এবং মলম নিকটস্থ ফার্মেসি থেকে কেনা যেতে পারে। এই পণ্যগুলি আপনাকে আপনার শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা হ্রাসের সাথে যুক্ত শুষ্কতা মোকাবেলায় সহায়তা করতে পারে। মেনোপজের সাথে যুক্ত যোনিপথ পাতলা হয়ে যাওয়া এবং শুষ্কতা থাকলে ইস্ট্রোজেন ক্রিমও নির্ধারিত হতে পারে।

❤ 40 বছর বয়সে পৌঁছানোর বিষয়ে অতিরিক্ত উদ্বিগ্ন হবেন না। আপনার শরীরের যত্ন নিন এবং যোনি সংক্রমণ এড়াতে আপনার যথাসাধ্য চেষ্টা করুন। নিয়মিত আপনার ডাক্তারের কাছে যান। আপনাকে বিব্রত করে এমন সমস্যাগুলি সহ একজন চিকিত্সক পেশাদারের সাথে সমস্ত সমস্যা অকপটে আলোচনা করুন। পেরিমেনোপজ এমন একটি সময় যা সমস্ত মহিলার মধ্য দিয়ে যায় যা আপনার 40 বছর বয়সে ঘটতে পারে। আপনার শরীরের পরিবর্তনের কারণে উত্তেজিত হবেন না বা খুব বেশি চাপ দেবেন না।

❤ আগের মতো জীবন উপভোগ করুন এবং একটি সুস্থ যোনি নিশ্চিত করতে হোমিওপ্যাথিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুসরণ করে সমস্যাগুলি মোকাবেলা করুন। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

40 আপ মহিলাদের ভ্যাজাইনাল

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( বি, এইচ, এম, এস )
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!