অ্যাকিউট গ্লুকোমা | Acute Glaucoma | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

অ্যাকিউট গ্লুকোমা | Acute Glaucoma | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 অ্যাকিউট গ্লকোমা ( Glaucoma ) অ্যাঞ্জেল ক্লোজার অথবা ন্যারো অ্যাঞ্জেল গ্লকোমা নামেও পরিচিত। তবে অ্যাকিউট গ্লকোমা কোনো লক্ষন ছাড়াই দেখা দেয় এবং এই রোগটি মারাত্মক হয়ে থাকে।

🇨🇭 চোখের রঙ্গিন অংশে হঠাৎ করে ধাক্কা বা টানা লাগা, চোখের পানি নিষ্কাশনের কোণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে এই রোগ দেখা দেয়। এই সকল কারণে চোখের চাপ বেড়ে যায়, এমনকি অপটিক নার্ভ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। এর ফলে প্রতিবিম্ব ফিলটার হয়ে মস্তিস্কে পৌছায় না। যার কারণে ব্যক্তি আগের মত চোখে দেখতে পারে না।

🇨🇭 অ্যাকিউট গ্লকোমা রোগের ( Glaucoma ) কারণ:

🇨🇭 অ্যাকিউট গ্লকোমা ( Glaucoma ) রোগের কারণ জানতে হলে চোখে উপস্থিত ফ্লুইড সম্পর্কে আগে জানতে হবে।

🇨🇭 আলোক রশ্মি রেটিনাতে পৌছানোর জন্য চোখের স্বাভাবিক আকার আকৃতি বজায় থাকা অত্যন্ত জরুরি। চোখে উপস্থিত ভিট্রিয়াস হিউমার নামক একধরনের পদার্থ চোখের অনেকাংশ জুড়ে বিরাজ করে চোখের আকার আকৃতি স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। চোখের সম্মুখভাগে অ্যাকুয়াস হিউমার
নামক আরেক ধরনের তরল পদার্থ থাকে। এই তরল পদার্থ চোখের সম্মুখভাগে চলাচল করে এবং এটি আইরিশের গোড়ায় অবস্থিত ট্রাবিকুলার মেশওয়ার্ক দিয়ে নিষ্কাশিত হয়। এই তরলের উৎপাদন এবং নিষ্কাশন নিয়মিতভাবে হয়ে থাকে। এই তরলের উৎপাদন যদি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় তাহলে চোখের অভ্যন্তরে চাপ বৃদ্ধি পায়। এই তরল নিষ্কাশিত না হলে চোখের চাপ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে থাকে।
তরল জমা হওয়ার কারণে আইরিশ যখন স্ফিত হয়ে লেন্সের দিকে চলে আসে তখন এই ব্লকেজ দেখা দেয়।

অ্যাকিউট গ্লুকোমা | Acute Glaucoma | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 নিম্নলিখিত কারণে এই ধরণের ব্লকেজ দেখা দেয়:

🩸 আইরিশের নিকটবর্তী স্থানের সংকীর্ণতার কারণে এই ধরণের ব্লকেজ দেখা দেয়।

🩸 লেন্স যখন স্ফিত হয়ে যায় তখন এর ভিতরের দিকে একটি প্রকোষ্ঠ তৈরি হয় অথবা এর কারণে তরল নিষ্কাশনের পথটি সরু হয়ে যায়। এর ফলে ব্যক্তির গ্লকোমা হওয়ার ঝুঁকি বেরে যায়।

🩸 আইরিশের মাংশপেশী চোখের মনিকে প্রসারিত করতে এবং স্ফিত হতে প্রভাবিত করে। এর ফলে ব্লকেজ তৈরী হয় যা তরল যাতায়তের পথকে বাধাগ্রস্থ করে।
🩸 আকস্মিক আঘাত, ঔষধের ব্যবহার এবং অস্পষ্ট আলোর কারণে এই ধরণের ব্লকেজ দেখা দেয়।

🇨🇭 অ্যাকিউট গ্লকোমা ( Glaucoma ) রোগের লক্ষণ:

🩸 অ্যাকিউট গ্লকোমা ( Glaucoma ) রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:

  • 🩸 চোখে কম দেখা ( Diminished Vision )
  • 🩸 চোখে ব্যথা হওয়া (Pain in eye)
  • 🩸 চোখের লালভাব (Eye redness)
  • 🩸 ঘোলাটে দৃষ্টি ( Spots Or Clouds In Vision )
  • 🩸 চোখের অভ্যন্তরে কোনো কিছুর অস্তিত্ব অনুভব করা ( Foreign Body Sensation In Eye )
  • 🩸 চোখে চুলকানি ( Itchiness Of Eye )
  • 🩸 অন্ধত্ব-চোখে না দেখা ( Blindness )
  • 🩸 চোখ দিয়ে পানি পড়া ( Lacrimation )
  • 🩸 ডাবল ভিশন- দৃষ্টি ( Double Vision )
  • 🩸 চোখ জ্বালাপোড়া করা ( Eye Burns Or Stings )
আরো পড়ুনঃ  মায়োকিমিয়া – Myokymia |চোখের পাতা লাফায় কেন | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 অ্যাকিউট গ্লকোমা ( Glaucoma ) রোগের ঝুঁকি:

  • 🩸 যাদের বয়স 40 অথবা 40 বছরের বেশি তাদের এই রোগ হবার ঝুঁকি বেশি থাকে।
  • 🩸 দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ব্যক্তিদের এই রোগ হবার ঝুকি বেশি থাকে।
  • 🩸 ডায়বেটিস।
  • 🩸 মাওপিয়া।
  • 🩸 নিয়মিত বা দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েড নেয়া।
  • 🩸 পূর্বের চোখের আঘাত।
  • 🩸 বংশগত কারণ।
  • 🩸 উচ্চ বা নিম্ন রক্তচাপ।

🇨🇭 অ্যাকিউট গ্লকোমা ( Glaucoma ) রোগে যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে:

🛑 লিঙ্গ: পুরুষদের এবং মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

🛑 জাতি: শেতাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা 01 গুণ কম। অন্যদিকে কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে, হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা 01 গুণ কম এবং অন্যান্য জাতির মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা 02 গুণ বেশি।

অ্যাকিউট গ্লুকোমা | Acute Glaucoma | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

Q. গ্লুকোমা হলে কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করা যাবে কি ?

উত্তর: আপনি কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করতে পারবেন কিনা তা গ্লুকোমার চিকিৎসার উপর নির্ভর করে। আপনি যদি চোখের ড্রপ ব্যবহার করেন তাহলে কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করতে পারবেন।
চোখ থেকে কনট্যাক্ট লেন্স খোলার পরে কিছু ঔষধ ব্যবহার করার প্রয়োজন হতে পারে। ব্যবহৃত ঔষধে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কনট্যাক্ট লেন্স পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে।
চিকিৎসক যদি আপনার চোখের সার্জারি করার সিদ্ধান্ত নেন তবে আপনাকে পরবর্তীতে কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হতে পারে।

Q. গ্লুকোমা আক্রান্ত ব্যক্তি গাড়ি চালাতে পারবেন কিনা ?

উত্তর: গ্লুকোমা আক্রান্ত ব্যক্তি গাড়ি চালাতে পারবেন। গাড়ি চালানোর কারণে তাদের দৃষ্টিশক্তির উপর কোনো প্রকার প্রভাব পরে না। গ্লুকোমা যখন মারাত্মক আকার ধারন করে তখন
গ্লুকোমা আক্রান্ত ব্যক্তি পক্ষে গাড়ি চালানো কঠিন এবং বিপদজনক হয়ে পরে। যদি সম্পূর্নভাবে অপটিক নার্ভ এবং দৃষ্টি ক্ষেত্র ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে চক্ষুরোগের চিকিৎসক এবং লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ গ্লুকোমা আক্রান্ত রোগীকে নিরাপদ ভাবে গাড়ি চালানোর ব্যপারে অক্ষম হিসাবে বিবেচিত করেন।

Q. গ্লুকোমা আক্রান্ত ব্যক্তি অন্ধ হয়ে যেতে পারে কি?

উত্তর: গ্লুকোমা আক্রান্ত ব্যক্তি অন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিকভাবে এবং নিয়মিতভাবে ঔষধ সেবনের মাধ্যমে অন্ধ্যত্ত্ব থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

ডা.মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক

🇨🇭 হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মাধ্যমে চোখে উচ্চ রক্তচাপের কারণে অপটিক নার্ভের ক্ষতি রোধ করা সম্ভব।

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( D. H. M. S )
(ডি, এইচ, এম, এস) ঢাকা।

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 সকাল 09:00 — 01:00 টা।
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!