🇨🇭 ক্ল্যামিডিয়া- Chlamydia একটি যৌনঘটিত সংক্রমণ। ক্ল্যামিডিয়া মূলত জীবাণু। যা অনিরাপদ যৌন মিলনের ফলে একজনের দেহ হতে অন্যজনের দেহে প্রবেশ করে সংক্রমণ তৈরী করে।
🇨🇭 ক্ল্যামিডিয়া- Chlamydia রোগটি সম্পর্কে আমাদের সাধারনের জ্ঞান নেই বললেই চলে। তাই অনেকেই জানেন না যে তার দেহে ক্ল্যামিডিয়া সংক্রমণ রয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে উপসর্গ নাও থাকতে পারে।
🇨🇭 ক্ল্যামিডিয়া- Chlamydia উপসর্গ:
🩸 সাধারণত 25 বছরের নিচের বয়সী ব্যক্তি এবং নারীরাই এ রোগে বেশী আক্রান্ত হয়। তবে 70-95 শতাংশ নারীর মধ্যে এ রোগের কোন উপসর্গ দেখা যায় না। পুরুষের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। পশ্চিমা দেশগুলোতে এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশী। সংক্রমণের 05-10 দিনের মধ্যে এর কোন উপসর্গ দেখা যায় না। তবুও ক্ষেত্রবিশেষে কিছু উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়। যা নিম্নরূপ:
🩸 পুরুষের ক্ষেত্রে:
- পুরুষাঙ্গের মাথা হতে রস বা পুঁজ নিঃসৃত হবে।
- প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা জ্বালাপোড়া করা।
- এপিডিডাইমিস সংক্রমিত হয়ে অন্তকোষ ফুলে যায় ও ব্যথা করে।
- মলদ্বার ফুলে যাওয়া, মলদ্বারের চারপাশ জ্বালাপোড়া ও ব্যথা হয়।
- মলত্যাগের সময় ব্যথা অনুভুত হয় ইত্যাদি।
🩸 নারীর ক্ষেত্রে:
- তলপেটে ব্যথা অণুভূত হয়।
- মাসিকের স্রাবের সাথে রক্তপাত।
- যৌনাংগ হতে হলুদ পদার্থ বের হয়।
- প্রস্রাবের সময় যৌনাঙ্গে ব্যথা ও মাঝে মাঝে জরায়ুর ভেতরে ফুলে যায়।
- মলদ্বার ফুলে যায়।
- সংক্রমনের পর জ্বর অনুভূত হয়।
- যৌনমিলনের সময় জরায়ু থেকে রক্তপাত হয় ইত্যাদি।
🩸 উভয়ের ক্ষেত্রে:
- যৌনমিলনের পর ব্যথা হয়।
- কোমড় ব্যথা হয়।
- উভয়ের চোখ লাল হতে পারে ও গলায় ব্যথা থাকতে পারে।
🇨🇭 ক্ল্যামিডিয়া- Chlamydia জটিলতা:
🩸 গর্ভবতী মহিলার ক্ল্যামিডিয়ার সংক্রমিত হলে নবজাতকের মধ্যে সংক্রমনের আশংকা থাকে। এ ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
🩸 কীভাবে রোগটি সংক্রমিত হয়:
- যে জীবানুটি সংক্রমন ঘটায়, তার নাম ক্ল্যামিডিয়া ট্রাকিমাটিস। জীবাণুটি সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার মতো দেখতে।
- অনিরাপদ যৌন সংগমের ফলে এর সংক্রমন ঘটে। আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে কেউ যৌন সংগম করলে অপর ব্যক্তিটি আক্রান্ত হয়।
- যৌনকর্মে ব্যবহৃত বস্তু দিয়েও এর সংক্রমণ হয়।
🇨🇭 চিকিৎসা:
রোগটি নির্ণয়ের জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া একান্ত প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে, যৌনরোগ অন্য রোগের মতোই শারীরিক সমস্যা। তাই গোপন না করে চিকিৎসকের কাছে সঠিকভাবে সমস্যার কথা বলে উপযুক্ত চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে হবে। নিয়ম করে ঔষধ গ্রহণ করতে হবে। চিকিৎসা গ্রহণ কালে চিকিৎসকের পরামর্শমতো আদেশ-নিষেধ মেনে চলতে হবে। রোগ সেরে গেলেও 03 মাস পর পরীক্ষা করতে হবে যে জীবাণুটি আছে কিনা।
আরো পড়ুনঃ যৌনরোগ প্রতিহত করতে কন্ডোম এবং যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে হোমিও!
🇨🇭 যৌনরোগ ( STD ) প্রতিরোধের উপায়:
🩸 বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর যে পরিমাণ লোক যৌনরোগে আক্রান্ত হয় তার পরিমাণ আনুমানিকভাবে 25 কোটি। তার মধ্যে একমাত্র গনোরিয়ায়ই আক্রান্ত হয় সাড়ে ছয় কোটিরও বেশি। বলা হয় 02 কোটিরও বেশি যুবক-যুবতী বতর্মান বিশ্বে এইডস ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর অপেক্ষায় দিন গুনছেন। সম্প্রতি এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর সিফিলিসে আক্রান্ত হয় প্রায় 10 লাখ নর-নারী। তাই এ যৌনরোগ প্রতিরোধকল্পে সবার্ত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করতেই হবে। যৌনরোগ যেমন: সিফিলিস, গনোরিয়া বা এইডস তা কিন্তু নয়। প্রায় 25 টি মতো রোগ আছে যা যৌনপথে বিস্তার লাভ করে। তার মধ্যে এইডস ছাড়াও জন্ডিসের মতো মারাত্মক রোগের অন্তভুর্ক্ত। যা কিছুদিন আগেও মানুষ মনে করত এটা কোনো সঙ্গত:জনিত রোগ নয়। যৌনরোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসা নয় প্রতিরোধই হচ্ছে অন্যতম ব্যবস্থা। তাই যুবক-যুবতীদের মধ্যে এ শিক্ষা আমাদের দিতে হবে যে কী করে তারা নিজেদের রক্ষা করতে পারবে। আমাদের একটি কথা মনে রাখতে হবে আমরা ঘৃণা করব রোগকে, রোগীকে নয় কিন্তু বস্তুত আমাদের দেশে হচ্ছে তার উল্টো। আমরা যৌনরোগ এবং যৌন রোগী উভয়কেই যেন ঘৃণার চোখে দেখি। তাই আসুন, আমরা লক্ষ্য করি কী করে এ রোগের বিস্তার প্রতিরোধ করা যায়।
🩸 যুব সমাজের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে, তাদের জানতে দিতে হবে যে এগুলো প্রতিরোধযোগ্য রোগ এবং তাদের এও জানতে হবে যে এ রোগে আক্রান্ত হলে তার মৃত্যুও হতে পারে।
🩸 কলেজ, ইউনিভাসিির্ট লেবেলের পাঠ্যসূচিতে যৌন রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে অন্তভুর্ক্ত করতে হবে যাতে প্রতিটি যুবক-যুবতী এ রোগগুলোর ভয়াবহতা সম্পকের্ ন্যূনতম জ্ঞান লাভে সক্ষম হয়।
🩸 আক্রান্ত হলে রোগ নিণর্য় ও চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে থানা, উপজেলা, জেলা পযাের্য় পেঁৗছে দিতে হবে যেন আক্রান্ত মানুষ দ্রæত চিকিসার সুযোগ পায়।
🩸 কেউ আক্রান্ত হলে তার সঙ্গী বা উভয়েরই চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে এবং স্বামী-স্ত্রী হলেও উভয়ের ক্ষেত্রেই রোগ নিণর্য় এবং একই সঙ্গে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে সাময়িকভাবে সুস্থ হলেও আবার স্বামীর থেকে স্ত্রী বা স্ত্রীর থেকে স্বামী আক্রান্ত হবেই এবং কনডম ব্যবহারের সুনিদির্ষ্ট পদ্ধতিও বহুগামী লোকদের শেখাতে হবে এবং তাদের বহুগামিতার পথ পরিত্যাগ করার জন্য উৎসাহিত করতে হবে।
🩸 কনডম ব্যবহার করতে হবে। এবং কনডম ব্যবহারের সুনিদির্ষ্ট পদ্ধতিও বহুগামী লোকদের শেখাতে হবে এবং তাদের বহুগামিতার পথ পরিত্যাগ করার জন্য উৎসাহিত করতে হবে।
🩸 কনডম সব যৌনরোগ প্রতিরোধে সক্ষম নয় এ কথা জনগণকে জানাতে হবে। অনেকে মনে করেন কনডম ব্যবহার করলেই আর যৌনরোগ হতে পারবে না এ ধারণা নিয়ে যারা বহুগামিতায় বিশ্বাস করেন তাদের প্রতিহত করতে হবে এবং যৌনরোগের ভয়াবহতা সম্পকের্ তাদের জ্ঞান দিতে হবে।
🩸 শিক্ষিত জনগণ যেন মাঝেমধ্যে তাদের জননেন্দ্রিয় পরীক্ষা করেন তা তাদের জানাতে ও শেখাতে হবে।
🩸 বহু যৌন রোগ উপসগির্বহীন অবস্থায় থাকতে পারে। যেমন: গনোরিয়া মহিলাদের বেলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উপসগির্বহীন অবস্থায় থাকতে পারে। কাজেই উপসগর্ নেই তাই যৌন রোগ নেই এ কথা ভাবা ঠিক নয়। আবার সিফিলিসে ক্ষত চিকিৎসা না করলেও এমনিতেই কিছুদিন পর ক্ষত শুকিয়ে যায় তার মানে এই নয় যে সে রোগমুক্ত হয়ে গেছে। এ জীবাণু তার দেহে দীঘর্স্থায়ী রূপ নিল এবং চিকিৎসা না হলে বিভিন্ন ধরনের জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে এমনকি তার জীবনও বিপন্ন হতে পারে।
🩸 অপরের দঁত মাজার ব্রাশ ও দাড়ি কাটার বেড ব্যবহার করা উচিত নয়। সেভ করার সময় কেটে যেতে পারে বা দঁাত মাজার সময় দঁাত থেকে রক্ত বের হতে পারে এবং সেই রক্তে জীবাণু থাকতে পারে তা সহজেই অন্য ব্যবহারকারীর দেহে চলে যেতে পারে।
🩸 এইডস বা যৌনরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি সামাজিকতার ভয়ে চেপে যান, অনেকে মনে করেন এইডস হয়েছে জানলে চিকিৎসক পুলিশে খবর দিয়ে ধরিয়ে দিতে পারে সেই ভয়ে তারা এইডসের পরীক্ষা করাতে চান না। ধারণাটি আদৌ সত্য নয়।
🩸 জাতীয় ও জেলা পযাের্য় যৌনরোগ প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে এবং তার বিস্তার রোধে বলিষ্ঠ ভ‚মিকা নিতে হবে।
🩸 রক্ত গ্রহণ বা প্রদানের আগে এইডস, হেপাটাইটিস-বি ও সিফিলিসের পরীক্ষা অবশ্যই করাতে হবে। এগুলো পাওয়া গেলে সে রক্ত অবশ্যই গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
🩸 শিরাপথে মাদকদ্রব্য গ্রহণকারীদের নিবৃত্ত করার সবার্ত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। আর তাদের যদি নিবৃত্ত করা না যায় তাহলে অন্তত তাদের এটুকু শেখাতে হবে যেন একই সুই তারা একাধিকবার ব্যবহার না করেন। করলে এইডস থেকে শুরু করে যে কোনো যৌনরোগ তার দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
🩸 সবোর্পরি ধমীর্য় চেতনা জাগ্রত করতে হবে এবং নৈতিকতার উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এ ক্ষেত্রে নিজ নিজ পিতামাতা তাদের সন্তানদের নৈতিকতার উন্নয়নে বিশেষ ভ‚মিকা গ্রহণ করতে পারেন।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( বি, এইচ, এম, এস )
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801302-743871
( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 সকাল 09:00 — 01:00 টা।
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।
☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।
☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।