যৌন বাহিত রোগ সিফিলিস মায়াজম নিরাময়ে হোমিওপ্যাথি।

যৌন বাহিত রোগ সিফিলিস মায়াজম নিরাময়ে হোমিওপ্যাথি।

🇨🇭 হোমিওপ্যাথিতে সিফিলিস মায়াজম:

🩸 আসুন প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক সিফিলিস রোগীটি সম্পর্কে।
সিফিলিটিক রোগীকে তার শারীরিক অবয়ব এক নজরে দেখে এবং অতি অল্প সময় পরিদর্শন করেই আমরা বুঝে নিতে পারি,রোগীটি সিফিলিসের।

🩸 সিফিলিস মায়াজমের বা রোগের একজন রোগীকে চিনতে হলে প্রথমেই আপনার চোখ যাবে তা মুখমন্ডলের দিকে এবং দেখবেন তার মুখমন্ডলটি এমনই পিচ্ছিল ও চকচকে যে মখমন্ডলটিতে যেন তৈল মাখান আছে। সিফিলিসের ভ্রু, চোখের পাতা ইত্যাদি স্থানের চুলগুলি উঠে যায় এবং কোন প্রকার তরুণ রোগ ভোগের পর যাদের চুলগুলি উঠে যায় তাদের শরীরে সিফিলিস মায়াজম আছেই আছে!!

🩸 সিফিলিসের মাথায় মরাসমাস জন্মায় এবং দুর্গন্ধ পূঁজ স্রাবকারী চর্মরোগ লক্ষণ জল লাগলে বৃদ্ধি পায়। সিফিলিটিক শিশুদের মাথার মধ্যস্থলের এ জোড়টি সহজে জোড়া নেয় না। ফলে বেশী বয়স পর্যন্ত শিশুদের মাথার মধ্যস্থলে এ ফাঁকটি থেকে যায়, অস্থি বর্ধিত হয়না এবং মাথায় প্রচুর ঘাম হয়। মস্তিষ্কে পানি জমলে মাথাটি যেমন বড় দেখায় সিফিলিটিক শিশুদের মাথাও সেইরূপ বড় দেখায়।

🩸 সিফিলিসের কান দুটি দীর্ঘাকৃতির এবং সেগুলি প্রায়ই পাকে ও তা হতে দুর্গন্ধ রস বা পূঁজ স্রাব নির্গত হয়। রোগীর সমান্য ঠান্ডা, সর্দি বা কোন প্রকার উদ্ভেদ জাতীয় রোগ লক্ষণ, যথা: হাম, বসন্ত ইত্যাদি, দেখা দিলে তার সাথে কানে পূঁজ জন্মে। তার নাকের দিকে লক্ষ্য করলে দেখবেন যে, তার নাকটি উচ্চতার দিক থেকে কম। আমরা জানি, শরীরের গ্ল্যাল্ডসমূহের বৃদ্ধি, যাবতীয় তন্তু সমূহের ক্ষত, পচন ও দুর্গন্ধ, ক্ষত ও পচন সত্ত্বেও তাতে যন্ত্রণা ও চুলকানির অভাব ইত্যাদি সবই হচ্ছে সিফিলিসের বৈশিষ্ট্য।

🩸 মুখ গহ্বরের যাবতীয় ঘা, দাতগুলি উঁচুনিচু, ক্ষয়প্রাপ্ত ও করাতের ন্যায় আকার বিশিষ্ট, মাঢ়ীতে স্ফোটক ও পূঁজ জমা, গোড়া আলগা ও দুর্গন্ধ লালাস্রাব, দাতের ধারগুলিতে দাতের ছাপ, জিহ্বা ভিজা অর্থাৎ- রসাল অথচ প্রচুর পিপাসা, টনসিল বৃদ্ধি, গলক্ষত ও গাল গলার গ্ল্যান্ডগুলির স্ফীতি ইত্যাদি সবই সিফিলিটিক রোগীর বৈশিষ্ট্য। সূতার মত লম্বা চটচটে লালাস্রাব, মুখে ধাতু দ্রব্যের বিশেষ করে তামাটে (Taste)স্বাদ, সিফিলিসের বৈশিষ্ট্য।

যৌন বাহিত রোগ সিফিলিস মায়াজম নিরাময়ে হোমিওপ্যাথি।

🇨🇭 সিফিলিস মায়াজম এর বৈশিষ্ট্য কি?

🩸 সিফিলিস মায়াজম এমনই একটি মায়াজম বা রোগ যে, তার অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তার ইচ্ছা শক্তি,টি একেবারেই বিকৃত হয়ে যায় এবং তার মনের এই বিকৃত ইচ্ছা শক্তিটি তার উদর লক্ষণেও প্রতিফলিত হয়, যার ফলে কোন নির্দিষ্ট খাদ্য বস্তুতে ইচ্ছা অনিচ্ছা সম্পর্কিত লক্ষণ যেটা সাধারণত সোরা ও সাইকোসিস বলতে পারে সিফিলিস তা বলতে পারেনা।

🩸মানসিক নৈরাশ্য ও বিষন্নতা, আত্মহত্যা প্রবৃতি, প্রচুর ঘর্ম ও যাবতীয় রোগ লক্ষণেরই রাত্রে বৃদ্ধি সিফিলিসের বৈশিষ্ট্য। সিফিলিসের রোগীকে চিনতে হলে পূর্ব থেকেই তার চকচকে পিচ্ছিল – Greasy Or Oily, মুখমন্ডল মানসিক নৈরাশ্য ও আত্মহত্যা প্রবৃতি, ঘর্মের প্রচুরতা, ব্যথা ও চুলকানিবিহীন ক্ষত ও দুর্গন্ধ থাকবেই মনে রাখতে হবে।

🩸 এছাড়া রোগীর শারীরিক লক্ষণ বা বস্তুগত লক্ষণগুলি দেখেও আমরা বুঝতে পারি যে রোগীটি সিফিলিসের। রোগীর শারীরিক লক্ষণগুলি হচ্ছে পচনযুক্ত যাবতীয় রোগ, যেমন: দুর্গন্ধ পূঁজ ও রস নি:সরণকারী চর্ম রোগ, চর্মের উপরে তামাটে বর্ণের চুলকানীবিহীন উদ্ভেদ, দুর্গন্ধ যুক্ত মাসিক ও প্রদর স্রাব, নাক ও কানের ক্ষত ও দুর্গন্ধ স্রাব, প্রস্রাব যন্ত্রের ক্ষত, গলক্ষত, মেরুমজ্জার ক্ষত, মুখে ক্ষত ও দুর্গন্ধ লালাস্রাব, রমণীদের বারবার গর্ভস্রাব হওয়া, মদ্যপানের প্রবল নেশা।

🇨🇭 হোমিওপ্যাথিতে সিফিলিস মায়াজম এর গ্ল্যান্ড:

🩸 হোমিওপ্যাথিতে সিফিলিস মায়াজম যাবতীয় গ্ল্যান্ড সমূহের স্ফীতি ও পচন, উদরক্ষত, হাত, পা ও আঙ্গুল হাজা,কোন অঙ্গের অসাড়তা, অবসতা বা পক্ষাঘাত যেমনঃ মুখে পক্ষাঘাত, জিহ্বায় পক্ষাঘাত, চক্ষুপত্রে পক্ষাঘাত, হস্তপদে পক্ষাঘাত, উদর যন্ত্রের পক্ষাঘাত ইত্যাদি।

🩸 মনে রাখতে হবে মুখে পক্ষাঘাত হলে মুখ বেঁকে যায়, জিহ্বায় পক্ষাঘাত হলে কথা জড়িয়ে যায়, চক্ষুতে পক্ষাঘাত হলে চক্ষুপত্র ঝুলে পড়ে, হস্তপদের পক্ষাঘাত হলে হাত বা পা পড়ে যায়, উদর যন্ত্রের পক্ষাঘাত হলে প্রবল কোষ্ঠকাঠিন্য প্রকাশ পায়। রোগীর এই পক্ষাঘাত প্রথমে মানসিক তারপর দৈহিক। আর তাই এই পক্ষাঘাতের কারণেই রোগী স্বায়বিক বেদনায় ভোগে, তার মধ্যে আক্ষেপ দেখা দেয়, মৃগী রোগ প্রকাশ পায় কিংবা স্বাভাবিক জ্ঞানবুদ্ধির বিকাশ না হওয়ায় বা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে রোগী উম্মাদগ্রস্ত হয়ে যায়। স্ক্রফিউলা, সিউডোসোরা, রিকেট, ষ্ট্রুমা, ইত্যাদি। এ ছাড়া হাড় বেদনা ও হাড়ের যাবতীয় রোগ

যেমন: হাড়ের টিউমার ( Bone Tumor ), হাড়ের ক্যানসার ( Bone Cancer ), লম্বা হাড়সমূহের ( Long Bones ) বাত, হাড়ের ক্ষয়, কুষ্ঠ ( Leprosy ), বার্জার’স ডিজিজ ( Burger’s Disease ), সেপসিস ( Sepsis ), হার্টের দুর্বলতাহেতু রক্ত চলাচলে বিশৃঙ্খলা ও নানা প্রকার রোগ ইত্যাদি সবই সিফিলিসের লক্ষণ।

🇨🇭 সিফিলিস প্রধান যৌন রোগগুলোর মধ্য অন্যতম, এটি একটি জটিল যৌন সংক্রামক রোগ। পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় 12 মিলিয়ন মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়। এ রোগ দেহে দীর্ঘকালীন জটিলতা দেখা দেয়। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না করালে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। আমাদের দেশে এ রোগের প্রভাব ব্যাপক, বিশেষ করে শহর এলাকায় রোগটি সচরাচর দেখা যায়। বন্দরনগরী ও শিল্পনগরীতে এ রোগটি সাধারণত দেখা যায়।

যৌন বাহিত রোগ সিফিলিস মায়াজম নিরাময়ে হোমিওপ্যাথি।

🇨🇭 সিফিলিস সংক্রমণের উৎস কী : আক্রান্ত ব্যক্তির ত্বক ও শ্লেষ্মাঝিল্লির ক্ষত, ক্ষত হতে নি:সৃত রস, লালা, যোনি থেকে নিঃসৃত রস, যোনি থেকে নি:সৃত রক্ত, বীর্য আক্রান্ত ব্যক্তির ঠোঁট ও মুখ।

🇨🇭 সিফিলিস কিভাবে সংক্রমিত হয় : আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে সৃষ্ট সিফিলিটিক ক্ষত এর সরাসরি সংস্পর্শে এলে জনান্তরে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ে।
আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে সরাসরি যৌনমিলন করলে। অনিরাপদ যৌনি মিলন, বিশেষ করে পায়ুপথে যৌন মিলন কিংবা মুখ মৈথুন কিংবা চুম্বন বিনিময় করলে। আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে রক্ত গ্রহণ করলে। রক্তসঞ্চালন বা ইনজেকশনের মাধ্যমে ও এ রোগ ছড়ায়। আক্রান্ত মা সন্তান জন্মদানের আগেই শিশুর দেহে বিস্তার ঘটিয়ে দেন। আক্রান্ত মায়ের দুধ পান করলে। বিশেষ করে সবার মনে রাখার প্রয়োজন, এ রোগ কখনোই খাওয়ার পাত্র, চামচ, গামছা, ন্যাপকিন, সুইমিং পুল, বাথটাব কিংবা ব্যবহৃত কাপড়চোপর দিয়ে ছড়ায় না।

🇨🇭 সিফিলিস সংক্রমণের লক্ষণ কী : সিফিলিসের প্রথম লক্ষণ যেমন: দেরিতে – অর্থাৎ 21 দিন পর, প্রকাশ পায়, তেমনি শেষ পর্যায়ে যেতে ও অনেক সপ্তাহ, মাস বা বছর পেরিয়ে যায়।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সিফিলিস আক্রান্ত পুরুষের লিংগমুণ্ড কিংবা লিংগমুণ্ডের ত্বকে ছোট শক্ত গোটা, ফুসকুড়ি দেখা দেয়। নারীর ক্ষেতে যৌনির ঠোঁট বা ক্লাইটেরিসে শক্ত গোটা ওঠে।

🇨🇭 সিফিলিস রোগের প্রকোপ তিন লক্ষণ প্রকাশের সময়কালকে চারটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়:

🩸 প্রাইমারি পর্যায় : 21 দিন পর একটি মাত্র সিফিসিটিক ক্ষত প্রকাশিত হয়। প্রথমে শরীরে পোকার কামড়ের মতো গোল গোল দাগ দেখা যায়। এটি নারীর ক্ষেত্রে ক্লাইটেরিস ও পুরুষের ক্ষেত্রে লিঙ্গমুণ্ডের ত্বকে গোটা হয়। যৌনাঙ্গ ছাড়াও এটি মলদ্বার, ঠোঁট বা স্তনের বোঁটাতেও হতে পারে। কাছাকাছি গ্রন্থিগুলো ফুলে উঠতে পারে। মাঝে মধ্যে এগুলো ব্যথাহীন এবং শক্ত হয়ে দেখা দেয়। একে শ্যাঙ্কার বলা হয়।

🩸 মাধ্যমিক পর্যায় : সংক্রমণের ছয় সপ্তাহ পর শরীরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ফুসকুড়ি দেখা দেয়। সিফিলিটিক ক্ষতগুলো অমসৃণ, লাল বা লালচে-বাদামি দাগ হিসেবে হাত-পায়ের তালুতে দেখা দেয়। ক্ষত ছাড়াও জ¦র, লসিকা গ্রন্থি ফোলা, গলাভাঙা, মাথাব্যথা, বিভিন্ন স্থানের চুল ঝরে যাওয়া, ওজন কমে যাওয়া, পেশিব্যথা, ক্লান্তি ইত্যাদি এ পর্যায়ে দেখা দেয়। যখন আক্রান্ত রোগী তীব্রভাবে সংক্রমিত হয়, তার মুখের ত্বক যদি ছিঁড়ে যায় তাহলে চুমুর মাধ্যমেও রোগ ছড়াতে পারে। প্রায় এক বছরের মধ্যে রোগের চিহ্নগুলো মিলিয়ে যায়।

🩸 সুপ্ত পর্যায় : এ পর্যায়ে আক্রান্তের দেহে কোনো ক্ষত, ফুসকুুড়ি বা অন্যান্য লক্ষণ দেখা যায় না। বছরের পর বছর এ পর্যায় অব্যাহত থাকতে পারে।

🩸 বিলম্বিত পর্যায় : জীবাণুুতে প্রথম সংক্রমিত হওয়ার প্রায় 10-12 বছর পর সিফিলিস পূর্ণাঙ্গরূপে আবির্র্ভূত হয়। রোগের বিলম্বিত পর্যায়ে রোগীর স্নায়ু, চোখ, হৃৎপিণ্ড, রক্তকণিকা, যকৃত, গ্রন্থি ও সন্ধির ক্ষতি সাধন করে। ফলে পেশি সঞ্চালনে বিঘœ ঘটে, দেখা দেয় পঙ্গুত্ব, হতবুদ্ধি ও অস্থিরবিত্ত। এ অবস্থায় রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।

🇨🇭 চিকিৎসা : সিফিলিসের লক্ষণ জানা থাকলে প্রাথমিক পর্যায়ে সহজেই চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়। এ রোগ হলে স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই চিকিৎসা নেয়া উচিত, অন্যথায় এ সংক্রমণ সঙ্গীর কাছ হতে আবার হতে পারে। সম্পূর্ণ নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত যৌন মিলন থেকে নিজেকে বা অন্যকে বিরত রাখতে হবে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি। তাই সঠিক সময়ে অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করলে সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব।

🇨🇭 প্রতিরোধ : সিফিলিস থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে স্থায়ী সঙ্গীর সাথে জীবনযাপন করা। ভিন্ন সঙ্গীর কথা চিন্তাই করা উচিত নয়। সিফিলিস থাকলে অবশ্যই চিকিৎসা করাতে হবে। সিফিলিস আক্রান্তদের সাথে যৌন মিলন থেকে বিরত থাকতে হবে। তা ছাড়া অ্যালকোহল ও মাদক জাতীয় দ্রব্য থেকে দূরে থাকা একান্ত বাঞ্ছনীয়। কারণ এসব পান বা সেবন যৌন আচরণকে উসকে দেয়, তখন সঙ্গী নির্বাচন নাও হতে পারে। যারা কমার্শিয়াল সেক্স ওয়ার্কার, তাদের কাছ থেকে যতটা সম্ভব নিরাপদ থাকতে হবে। এ রোগ কোনোভাবেই পুষে রাখা যাবে না।

যৌন বাহিত রোগ সিফিলিস মায়াজম নিরাময়ে হোমিওপ্যাথি।

🇨🇭 সিফিলিস – বাংলায় ফিরিঙ্গি রোগ বা গর্মি রোগ বা উপদংশ স্পিরোসেত ব্যাকটেরিয়া ট্রেপোনেমা পেলিডাম উপজাত পেলিডাম দ্বারা সৃষ্ট একটি যৌনবাহিত রোগ সিফিলিস।

🩸 সংক্রমণের প্রাথমিক পথ যৌন সংস্পর্শ, তাছাড়াও রক্ত পরিসঞ্চালন, চুম্বন, চামড়ার আঘাতপ্রাপ্তি এবং গর্ভাবস্থায় বা জন্মের সময় মায়ের কাছ থেকে ভ্রূণে সংক্রমিত হতে পারে – যাকে কনজেনিটাল সিফিলিস বলা হয়। সিফিলিস ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত একটি জটিল যৌন সংক্রামক রোগ। এটি নারী-পুরুষ উভয়ের যৌনাঙ্গ, ঠোট, মুখ ও পায়ু পথে আক্রমণ করে।

🩸 সিফিলিস এর প্রধান বৈশিষ্ট্য: 1st, ধাপ- Chancre বা ব্যথাহীন ক্ষত। 2nd, ধাপ- চর্মে লালচে দাগ। সুপ্তাবস্থা- এখানে কোনো লক্ষণ দেখা যাবে না। 3rd, ধাপ- কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে এবং কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমে সংক্রামণ ঘটায়।

🇨🇭 সিফিলিসের লক্ষণ: প্রাথমিক স্তরে এটি সংক্রমণের স্থানে আলসার তৈরি করে। যাই হোক, ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করে সময়ের সঙ্গে দেহের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের ক্ষতি করে। মেডিকেল বিশেষজ্ঞরা সিফিলিসকে চারটি পর্যায়ে ভাগ করে যথা- প্রাথমিক, দ্বিতীয়, প্রচ্ছন্ন এবং তৃতীয়। একজন চিকিৎসাহীন আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণত প্রথম দুটি স্তর অর্থাৎ প্রথম 01 থেকে 02 বছর অন্যদের সংক্রামিতকরতে পারে। শেষ পর্যায়ে চিকিৎসাহীন ব্যক্তি সংক্রামক নয়, কিন্তু এ পর্যায়ে আক্রান্ত ব্যক্তির হৃদযন্ত্রের গুরুতর অস্বাভাবিকতা, মানসিক বিকৃতি বা ভারসাম্যহীনতা, অন্ধত্ব, অন্যান্য স্নায়ুর সমস্যা এবং মৃত্যুর পর্যন্তও হতে পারে।

🇨🇭 সিফিলিসের সেরোলজিক্যাল পরীক্ষা: VDRL( ভেনেরাল ডিজিজ রিসার্স ল্যাবরেটরি ) পরীক্ষা TPHA ( ট্রেপোনেমা প্যালিডাম হেমাগ্লুটিনেশন )

🇨🇭 গনোরিয়া-সিফিলিস যৌনরোগ সম্পর্কে জানেন তো?

🩸 স্মার্টফোন, হোয়্যাটসঅ্যাপের যুগে বেশ তাল মিলিয়ে চলেন। দৈনন্দিন জীবনের সর্বক্ষেত্রেই প্রতিনিয়ত হয়ে উঠেছেন আধুনিক। এদিকে নিজের রোগের বেলায় লুকোছুপি। না জানি কী থেকে কী হয় ভেবে ভয়ে বাড়ির লোক তো নয়ই এমনকী অনেকে ডাক্তারকেও সমস্যা খোলাখুলি বলতে ইত:স্তত করেন। আবার একধরনের মানুষ আছেন শরীরের অন্য রোগের মতো যৌনরোগকে তোয়াক্কাই করেন না। কেউ নিতান্ত লজ্জাতেই এড়িয়ে যান। এদেশে বিভিন্ন ধরনের যৌনরোগের মধ্যে গনোরিয়া ও সিফিলিসে আক্রান্তের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। অবহেলা না করে সময় থাকতেই সঠিক চিকিৎসা করান। চেপে না রেখে বিশেষজ্ঞের কাছে যান।

আরো পড়ুনঃ যৌনরোগ প্রতিহত করতে কন্ডোম এবং যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে হোমিও!

🇨🇭 গনোরিয়া:
গনোরিয়া এক বিশেষ ধরনের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রামিত একটি যৌনরোগ। সাধারণত মূত্রনালিতে গনোরিয়া সংক্রামিত হয়। যৌনমিলন থেকে এই রোগ ছড়ায় এবং পুরুষ ও মহিলা উভয়েই আক্রান্ত হতে পারে।

🩸 উপসর্গ:

🇨🇭 পুরুষদের ক্ষেত্রে-
  • 🛑 মূত্রনালি থেকে পুঁজের মতো তরল বের হয়।
  • 🛑 প্রস্রাব করতে কষ্ট হয় এবং এমনকী জটিল অবস্থায় প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
🇨🇭 মহিলাদের ক্ষেত্রে-
  • 🩸 প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষণ নাও দেখা যেতে পারে। পরে ধীরে ধীরে রোগ শরীরে বিস্তার করলে লক্ষণ দেখা যায়।
  • 🩸 যোনিপথ আক্রান্ত হতে পারে।
  • 🩸 পুঁজ সদৃশ হলুদ স্রাব বের হয়।
  • 🩸 ঋতুস্রাব সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

🇨🇭 সিফিলিস:
সিফিলিস ব্যাকটেরিয়া ভাইরাসের মাঝামাঝি ট্রেমনোমা প্যালিডাম নামক একটি জীবাণুর কারণে হয়। যৌনমিলনের সময়ে এই জীবাণু আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে সুস্থ ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করে এবং রোগ সৃষ্টি করে।

যৌন বাহিত রোগ সিফিলিস মায়াজম নিরাময়ে হোমিওপ্যাথি।

🩸 উপসর্গ:
যৌনাঙ্গে ঘা বা ক্ষত হয়। সিফিলিসের তিনটি আলাদা পর্যায়ে ভিন্ন লক্ষণ দেখা যায়। এই রোগের প্রথম পর্যায় প্রাইমারি সিফিলিস, যৌনাঙ্গে এক বা একাধিক ব্যথাহীন মাঝারি আকৃতির ক্ষত সৃষ্টি হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে জীবাণু শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে, তখন যদি চিকিৎসা না করা হয় তবে শরীরে এই রোগটি ছড়িয়ে যায়। তৃতীয় পর্যায়ে সাধারণত হৃদপিণ্ড, রক্তনালী, মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে।
সিফিলিসের চিকিৎসায় অবহেলা করলে রোগটি খুবই জটিল আকার ধারণ করে। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে এটি সুপ্ত অবস্থায় ঠিক হয়ে যায় এবং বছর দু’য়েক সুপ্ত থাকার পরে শরীরে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই চিকিৎসাহীন থাকলে পুরুষদের যৌনাঙ্গে ক্ষত বা ঘা হয়। রোগ হৃৎপিণ্ড ও মস্তিষ্কে ছড়িয়ে নিউরোসিফিলিস হয়। যা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
মায়ের সিফিলিস থাকলে জন্মের সময় শিশু সিফিলিস নিয়ে জন্মাতে পারে। একে কনজেনিটলি সিফিলিস বলে। গনোরিয়া ও সিফিলিস দুটি রোগই যৌন মিলন থেকে ছড়ায়। সিফিলিস রোগের জীবাণু রক্তের মাধ্যমেও রোগীর শরীর থেকে অপরজনের শরীরে যেতে পারে।

🇨🇭 চিকিৎসা:
গনোরিয়া ও সিফিলিসের যে কোনও লক্ষণ দেখা গেলেই অবিলম্বে সঠিক ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
গনোরিয়ার সঙ্গে ক্ল্যামাইডিয়া থাকলে অবশ্যই সঠিক চিকিৎসার প্রয়োজন। অন্যথা পরবর্তীকালে বন্ধ্যাত্ব হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সিফিলিস রোগের ক্ষেত্রে যদি সঠিক চিকিৎসা না করা হয় তাহলে ক্ষত কয়েকদিনে সেরে গেলেও পরবর্তীকালে বিভিন্ন পর্যায়ে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। দুটি যৌনরোগেই এইচআইভি টেস্ট করতে হবে। সঠিক গাইডলাইন মেনে যৌনরোগের চিকিৎসা করতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির যৌনসঙ্গীরও চিকিৎসা করতে হবে। কারণ যৌন সঙ্গমের মাধ্যমে গনোরিয়া বা সিফিলিসে আক্রান্ত ব্যক্তির যৌনসঙ্গীর শরীরে সংক্রমণ ঘটতে পারে।

🇨🇭 রিস্ক ফ্যাক্টর:
একাধিক যৌনসঙ্গী থাকলে।
গনোরিয়া বা সিফিলিসে আক্রান্তের সঙ্গে সহবাস করলে।
কন্ডোম ছাড়া যৌনমিলন লিপ্ত হলে।

🛑 সতর্ক হন:
নিজেদের যৌন জীবন নিয়ে সচেতন হন।
অবশ্যই মিলনের সময় কন্ডোম ব্যবহার করুন।
যৌনসঙ্গীর মধ্যে একজন আক্রান্ত হলে অপরজনকে অবশ্যই চিকিৎসা করতে হবে।
সিফিলিস থেকে বিভিন্ন সময় এইচআইভির সম্ভাবনা বাড়ে, তাই সময় থাকতে সতর্ক হন।
যৌনরোগের যে কোনও উপসর্গ লক্ষ্য করলে ডাক্তার দেখিয়ে দ্রুত চিকিৎসা করান।

🇨🇭 সিফিলিস ও স্যানক্রয়েড এই অধ্যায়ে, সিফিলিস একটি সঙ্কটজনক এসটিআই যা সময় গেলে সারা দেহকেই আক্রান্ত করে। এর প্রথম লক্ষণ হলো একটি ব্যথাহীন ক্ষত যা চলে যায়। ব্যক্তিটি যদি তা লক্ষ্য না করে তবে এর কোন চিকিৎসা হবে না, এবং সিফিলিস দেহের মধ্যেই থেকে যায়। সকল গর্ভবতী নারীর সিফিলিস পরীক্ষা ও এর চিকিৎসা করা উচিত যাতে এটি তার গর্ভের শিশুর মধ্যে বাহিত না হয় এবং শিশুটির সময়ের থেকে আগে জন্মানো, বিকৃত বা মৃত জন্মানোর কারণ না ঘটায়। আপনার যদি এইচআইভি বা অন্য এসটিআই থাকে তবে একজন স্বাস্থ্য কর্মী আপনাকে সিফিলিসের পরীক্ষাও করবে।

🩸 স্যানক্রয়েড জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট একটি এসটিআই যার ফলে জননেন্দ্রীয়ের উপর ব্যথাযুক্ত ক্ষত সৃষ্টি হয় এবং লসিকা গ্রন্থিগুলো বর্ধিত, খুবই ব্যথাযুক্ত হয়। সিফিলিসের মতো, প্রাথমিক পর্যায়ে এর চিকিৎসা করলে ঔষধ দ্বারা এটি নিরাময় করা যায়।

🩸 আপনি যদি নিশ্চিত না থাকেন যে ব্যক্তিটির এর যে কোন একটি বা সিফিলিস ও স্যানক্রয়েড উভয়ই আছে কিনা, তবে উভয়ের জন্যই চিকিৎসা করুন। এছাড়াও পরীক্ষায় যদি উভয়ই ধরা পরে বা আপনার এলাকায় এগুলো খুব সচরাচর দেখা যায় তবে উভয়ের জন্যই চিকিৎসা করুন। সিফিলিস ও চ্যানক্রয়েডের উভয়রই চিকিৎসা করতে ঔষধের সংমিশ্রণ দেখুন। ব্যক্তির সঙ্গী বা সঙ্গীদের একই ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা করুন।

🩸 অন্যান্য সংক্রমণ বিশেষ করে হেপাটাইটিস বি, এইচআইভি, এবং অন্যান্য এসটিআই সহজেই জননেন্দ্রীয়ের উপর থাকা একটি ক্ষতের মাধ্যমে বাহিত হতে পারে। এই সংক্রমণগুলো ছড়ানো বা এগুলো পাওয়া রোধ করতে চিকিৎসা গ্রহণ করুন এবং যতক্ষণ পর্যন্ত না ক্ষতগুলো ভাল হয় ততক্ষণ যৌনকর্ম বন্ধ রাখুন।

🩸 ক্ষতগুলো ভাল হয়ে ওঠার সময় এগুলোকে পরিষ্কার রাখুন। এগুলোকে প্রতিদিন সাবান ও জল দিয়ে ধুয়ে সাবধানতার সাথে শুকান। যে কাপড় দিয়ে আপনি এগুলো শুকনো করছেন সেই কাপড় অন্য কাউকে ধরতে দেবেন না।

🩸 একজন পুরুষের পুরুষাঙ্গের উপর সিফিলিস বা স্যানক্রয়েড ক্ষত একজন নারীর যৌনাঙ্গের উপর সিফিলিস বা স্যানক্রয়েড ক্ষত, ক্ষতসহ একটি পুরুষ ও নারীর যৌনাঙ্গ যদিও সিফিলিস ও স্যানক্রয়েড উভয়ই শুরু হয় একটি ক্ষত থেকে, কিন্তু সিফিলিস-এর ক্ষত সাধারণত, বেদনাদায়ক হয় না। স্যানক্রয়েড-এর ক্ষত সাধারণত, বেদনাদায়ক হয়। সিফিলিসের লক্ষণ
প্রথম লক্ষণ সাধারণত- স্যানকার নামে ডাকা একটি ছোট, ব্যথাহীন ক্ষত, যা সিফিলিসযুক্ত একজন ব্যক্তির সাথে প্রথম যৌনসংসর্গে আসার 02 থেকে 05 সপ্তাহ পর দেখা যায়। স্যানকারটিকে প্রথমে একটি গোটার মতো দেখায় তারপর এটি ফেটে ক্ষতের সৃষ্টি করে। এটি সাধারণত, যৌনাঙ্গের এলাকায় দেখা যায়, কিন্তু এটি মুখের উপর বা পায়ুদ্বারেও দেখা যেতে পারে। নারীদের ক্ষেত্রে ক্ষতটি হয়তো যোনীপথের ভিতরে থাকতে পারে এবং তাই লক্ষ্য করা নাও যেতে পারে।

ক্ষতটি কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস পরে আপনার হয়তো একটি ফুসকুড়ি ( বিশেষ করে হাতের তালু ও পায়ের পাতার তলায় ), গলাব্যথা, হালকা জ্বর, ও মুখে ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে। যৌনাঙ্গের উপর ক্ষত দেখা যাওয়ার কিছু দিন বা কিছু সপ্তাহ পর যদি যে কোন অজানা ফুসকুড়ি বা ত্বকের অবস্থা দেখা দেয় তবে তা সিফিলিস হতে পারে। দ্রুত পরীক্ষা ও চিকিৎসা গ্রহণ করুন। চিকিৎসা ছাড়া সিফিলিস দেহের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে যেতে পারে ও হৃদরোগ, পক্ষাঘাত, মানসিক প্রতিবন্ধকতা, এমনকি মৃত্যুও পর্যন্ত ঘটাতে পারে। যেহেতু সিফিলিস এতো বিপজ্জনক তাই অনেক দেশেই বিনামূল্যে পরীক্ষা করার কার্যক্রম চালু আছে।

যৌন বাহিত রোগ সিফিলিস মায়াজম নিরাময়ে হোমিওপ্যাথি।

🩸 স্যানক্রয়েড-এর লক্ষণ:
সিফিলিস ও স্যানক্রয়েড-এর ক্ষতগুলোকে একই রকমের দেখাতে পারে, কিন্তু ক্ষতটি যদি যন্ত্রণাদায়ক হয় এবং সহজেই রক্ত বের হয় তবে এটি স্যানক্রয়েড। স্যানক্রয়েড-এর অন্যান্য লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে কুঁচকিতে ফুলে যাওয়া গ্রন্থি এবং মৃদু জ্বর

🩸 স্যানক্রয়েড-এর চিকিৎসা এর সবথেকে ভাল চিকিৎসা হলো মুখে খাবার এ্যজিথ্রোমাইসিন ব্যবহার করা। বা এগুলোর একটি ব্যবহার করুন: পেশীতে ক্যাফট্রিয়াক্সোন প্রবিষ্ট করা, অথবা মুখে সিপ্রোফ্লোক্সাসিন, বা এরিথ্রোমাইসিন সেবন করা।

🛑 Syphilinum: ( সিফিলিস রোগবীজ হতে প্রস্তুত )

🩸 নিজস্ব কথা:
  1. বংশগত উপদংশ বা উপযুক্ত ঔষধের ব্যর্থতা।
  2. রাত্রে বৃদ্ধি, অনিদ্রা ও অক্ষুধা।
  3. খর্বতা ও পক্ষাঘাত।
  4. ক্ষত ও দুর্গন্ধ।

🇨🇭 মূলকথা:

  1. সকল কষ্ট রাত্রে বৃদ্ধি, সন্ধ্যায় আরম্ভ হয়ে শেষরাত্রি পর্যন্ত থাকে, এ কারণে সকালে অত্যন্ত অবসাদ ও দূর্বলতা।
  2. রেখার মত লম্বা স্থানে অত্যধিক ব্যথা, ব্যথা ধীরে ধীরে বাড়ে ও ধীরে ধীরে কমে।
  3. পাগল হয়ে যাবে রোগীর এরূপ ধারণা। ক্রমাগত একটার পর একটা ফোড়া উঠতে থাকে।
  4. মুখ, নাক, জননেন্দ্রিয়, চর্ম ইত্যাদি নানাস্থানে ক্ষত হয়, ক্ষতের রং তামাটে কিন্তু ঠা, লাগালে নীলচে হয়।
  5. শরীরের ¯্রাব মাত্রই অত্যান্ত দুর্গন্ধ। মুখে অতিরিক্ত থুথু জমে, ঘুমালে মুখ হতে লালা পড়ে (মার্ক)।

🇨🇭 উপযোগিতা:

🩸 সমস্ত রোগ লক্ষণ রাতে বৃদ্ধি, ব্যথা বেদনা সন্ধ্যা হতে ভোর অবধি হতে থাকে, দিনের আলোয় ব্যথা বেদনা থাকে না, সূর্যাস্ত যাওয়ার পর শুরু হয়ে ভোরের সূর্যোদয় পর্যন্ত ব্যথা যন্ত্রণা কমে যায় ( মার্ক, ফাইটো )।

🩸 ব্যথা বেদনা ধীরে ধীরে বাড়তে বাড়তে, ধীরে ধীরে কমতে থাকে ( ষ্ট্যানামv), নড়াচড়া করতে থাকে, অনবরত স্থান পরিবর্তন করতে থাকে।

🩸 সকালে ঘুম ভেঙে মানসিক ও দৈহিকভাবে এত ক্লান্ত ও অবসণ হয়ে পড়ে যে রাত হতে দেখলেই ভীত হয়ে পড়ে- এটা যেন অসহ্য, সেই থেকে মৃত্যু বরং শ্রেয় বলে মনে করে। ঘুম ভেঙে অবসণœতা, কষ্টভোগ ( ল্যাকে ) এই অবস্থাকে ভীষণ ভয় পায়।

🩸 যে কোনরকম মদ খাবার অত্যন্ত ইচ্ছা, বংশগতভাবে মদের নেশা ( আসারাম, সোরিন, টিউবার, সালফার, এসিড সালফ )।

🩸 সিফিলিসের উপসর্গে যখন সুনির্বাচিত ঔষধে সারে না বা উপশম দেয় না সেক্ষেত্রে উপযোগী।

🩸 সিফিলিস রোগী বা যাদের সিফিলিস ঘা বা ক্ষতে বাহ্য প্রয়োগ দ্বারা চিকিৎসিত হয়েছে এবং ঐ থেকে বহুদিন থেকে গলা বা চর্মরোগে ভুগছে, সেক্ষেত্রে চিকিৎসার শুরুর আগে এ ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা শুরু করলে প্রায়ই উপকার হয়, যদিনা সেক্ষেত্রে অন্য ঔষধ নির্বাচনে আসে।

🩸 মন: যেন পাগল হয়ে যাবে, যেন সবকিছু পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে পড়বে- বিরক্ত ও উদাসীন হয়ে পড়ে।

🩸 মাথাযন্ত্রণা: য়ুবিক প্রকৃতির, সে থেকে ঘুম আসতে চায় না, রাতে বকবক করতে থাকে, বিকেল 4 টায় শুরু হয়ে রাত 10/11 টায় প্রচ-ভাবে বেড়ে যায়, ভোরে সূর্যের আলে দেখা দিলে কমে ( রাত 12/12 টায় কমে- লাইকো )। মাথার যন্ত্রণায় চুল উঠে যায়।

🩸 চর্মদ্ভেদ: ফিকে লালবর্ণ তামার মত স্থানে স্থানে দাগ ঠান্ডা লাগলে নীল রঙ হয়ে যায়।

🩸 শীর্ণতা: সারা দেহ ভীষনভাবে শুকিয়ে যায় ( এব্রো, আয়োড )।

🩸 হৃৎপি-:
হৃৎপি-র তলদেশ হতে শীর্ষ পর্যন্ত কিছু বিঁধ যাওয়ার মত বেদনা হয়, ঐ বেদনা রাতে উল্টে গিয়ে শীর্ষ হতে তলদেশ অবধি হতে থাকে। বেদনা হৃৎপি-র তলদেশ হতে কণ্ঠাস্থি অথবা কাঁধ পর্যন্ত হতে থাকে ( স্পাইজি )।

🩸 স্মরণশক্তি লোপ: স্মরণশক্তি নষ্ট হয়ে যায়- বইয়ের নাম মানুষের নাম বা জায়গার নাম মনে করতে পারে না, অঙ্কের হিসাব গোলমাল হয়ে যায়।

🇨🇭 চক্ষুরোগ:

  • 🩸 নবজাতক শিশুদের তরুণ চক্ষুপ্রদাহ, চোখের পাতা ফোলে, ঘুমের মধ্যে পিঁচুটিতে চোখের পাতা আটকে যায়।
  • 🩸 চোখে ব্যথা রাতে তীব্র হয়ে ওঠে, রাত 02 টা থেকে ভোর 05 টা পর্যন্ত কষ্ট বেড়ে যায়, প্রচুর পিঁচুটি হয়। ঠা-পানিতে গোছল করলে বা চোখ ধুলে উপশম হয়।
  • 🩸 চোখের পাতা ঝুলে পড়ে, চোখের উপর দিকের বাঁকা পেশীর পক্ষাঘাত, চোখের পাতা ঝুলে পড়ে বলে ঘুমঘুমভাব দেখায় ( কষ্টি, গ্রাফাই )।

🇨🇭 দাঁত: মাড়ির ধারে দাঁত ক্ষয়ে যায় ও ভেঙ্গে যায়, চায়ের কাপের মত গর্ত হয়, করাতের দাঁতের মত কাটাকাটাভাব হয়ে যায়, দাঁত ছোট হয়ে যায়, দাঁতের আগা ছুঁচালো হয়ে যায়।

🇨🇭 কোষ্ঠবদ্ধতা:

  • 🩸 বহুবছরের পুরাতন দূর্দম্য কোষ্ঠবদ্ধতা, রেকটাম যেন কোন কিছু দিয়ে চেপে দেয়া হয়েছে। এনিমা বা ডুশ প্রয়োগ করলে প্রসব বেদনার মত যন্ত্রণা হয় ( ল্যাক-ক্যান, টিউবার )।
  • 🩸 রেকটাম ও মলদ্বার ফেটে যায় ( থুজা ), রেকটাম বেরিয়ে আসে, সিফিলিসের পূর্ব ইতিহাসযুক্ত দূর্দম্য কোষ্ঠবন্ধতায় উপযোগী।

🇨🇭 গতিশক্তি:
কাঁধের হাড়ের জোড়ায় বা জয়েন্টে এবং কাঁধের পেশীবন্ধনীতে বাঁতরোগ, হাত উপরে উঠাতে গেলে যন্ত্রণা ( রাসটক্স )। ( ডানকাঁধ- স্যাঙ্গু, বামকাঁধ- ফেরাম-মেট )।

🇨🇭 সম্বন্ধ:
হাড়ের অসুখে ও সিফিলিসের উপসর্গে- অরাম-মেট, আসাফো, কেলি-আয়োড, মার্কসল, ফাইটো তুলনীয়।

🛑 শক্তি: উচ্চ হতে উচ্চতম শক্তি।

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( বি, এইচ, এম, এস )
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

ডা.মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক
ডা.মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

ডাঃ মাসুদ হোসেন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!