RNA এর বিস্তারিত তথ্য | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

RNA এর বিস্তারিত তথ্য | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 RNA এর গঠন ও কাজ: বেশিরভাগ প্রোক্যারিওটিক ও ইউক্যারিওটিক কোষে DNA ছাড়াও আর এক রকমের নিউক্লিক অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা RNA বা রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড ( Ribonucleic Acid ) নামে পরিচিত। RNA কোষের সাইটোপ্লাজমে মুক্ত অবস্থায় এবং রাইবোজোমের সঙ্গে যুক্ত অবস্থায় থাকে। তবে ক্রোমোজোম, মাইটোকন্ড্রিয়া, প্লাষ্টিড প্রভৃতিতেও সামান্য পরিমাণে RNA থাকে।

🇨🇭 RNA একটি পলিনিউক্লিওটাইড চেইন দ্বারা গঠিত হওয়া একটি একক সূত্রক চেইনের মত। তবে এ সূত্রাকার দেহটি মাঝে মাঝে সরল ফাঁস গঠন করে থাকে। এটি স্থানে স্থানে কুন্ডলিত অবস্থায় থাকে। এ কুন্ডলিত স্থানগুলোতে সংশ্লিষ্ট নাইট্রোজেন ক্ষারকগুলোর মাঝে DNA এর মত সিঁড়ি সদৃশ হাইড্রোজেন বন্ধনী সৃষ্টি হতে দেখা যায়। তবে ফাঁসহীন অংশে ক্ষারকগুলো বন্ধনহীন অবস্থায় থাকে।

🇨🇭 RNA এর রাসায়নিক গঠন উপাদন তিনটি:

  • 🩸 1. পেন্টোজ শুগ্যার।
  • 🩸 2. নাইট্রোজেন ঘটিত ক্ষারক।
  • 🩸 3. ফসফোরিক এসিড।
✅ পেন্টোজ শুগ্যার:

পাঁচ কার্বন বিশিষ্ট শুগ্যার বা চিনিকে বলা হয় পেন্টোজ শুগ্যার। RNA তে রাইবোজ শুগ্যার রয়েছে।

WhatsApp Image 2024 05 06 at 22.32.10 cee21b6a
✅ নাইট্রোজেন ঘটিত ক্ষারক:

RNA তে চার ধরনের নাইট্রোজেন ঘটিত ক্ষারক রয়েছে যথা- অ্যাডেনিন (A) , ইউরাসিল (U) , সাইটোসিন (C) , ও গুয়ানিন (G)। অ্যাডেনিন ও গুয়ানিন হলো পিউরিন বেস বা দুই রিং বিশিষ্ট ক্ষারক এবং ইউরাসিল ও সাইটোসিন হলো পাইরিমিডিন বেস বা এক রিং বিশিষ্ট ক্ষারক।

✅ ফসফোরিক এসিড:

RNA তে তিনটি একযোজী হাইড্রোক্সিল গ্রূপ ও এটি দ্বিযোজী অক্সিজেন পরমানু নিয়ে গঠিত হয়েছে ফসফোরিক এসিড। এর প্রধান কাজ প্রোটিন সংশ্লেষণ করা তবে এর অন্যান্য কাজের ভিত্তিতে একে প্রধান পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা:

Transfer RNA (tRNA): কোষের প্রায় 15 ভাগ RNA tRNA এটি সবচেয়ে ক্ষুদ্র আকারে ওজন প্রায় 25,000 ডাল্টন। এটির একটি বাহু এবং চারটি ফাঁস থাকে। প্রোটিন সংশ্লেষণ এর সময় জেনেটিক কোড অনুযায়ী অ্যামিনো অ্যাসিড কে mRNA অনুতে স্থানান্তর করা এর কাজ। সব tRNA অণুর বেস সিকুয়েন্স একই রকম নয়। বেস সিকুয়েন্সের পার্থক্য এর রাসায়নিক গুনাগুন এর পার্থক্য সৃষ্টি করে। এর উপর ভিত্তি করে একটি অ্যাক্টিভেটিং এনজাইম সঠিক অ্যামিনো এসিড নির্ণয় করে থাকে।

✅ Ribosomal RNA (rRNA): কোষের 80-90 ভাগ RNA rRNA। এটি সর্বাপেক্ষা স্থায়ী এবং অদ্রবণীয়। রাইবোজোম নামক কোষীয় অঙ্গাণু সৃষ্টিতে একটি অবদান রাখে, যার মাধ্যমে কোষের প্রোটিন সংশ্লেষণ হয়। এটি প্রোটিন এর সাথে যুক্ত হয়ে রাইবোনিউক্লিওপ্রোটিন কণার গঠন করে।

✅ Messenger RNA (mRNA): কোষের মোট RNA এর 05-10 ভাগ বার্তাবহ RNA। এরা অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী। আণবিক ওজন 05 লক্ষ থেকে 20 লক্ষ ডাল্টন। এটি নির্দিষ্ট প্রোটিন সংশ্লেষণ এর বার্তা নিউক্লিয়াস থেকে সাইটোপ্লাজমে বহন করে এবং রাইবোজোম এবং tRNA এর সাহায্যে নির্দিষ্ট অ্যাসিড অনুক্রমের শৃঙখল তৈরি করে।

✅ Genetic RNA (gRNA): বংশগতিয় RNA এর প্রধান কাজ প্রোটিন তৈরি করা। কিছু কিছু ভাইরাসের দেহে বংশগতির উপাদান হিসেবে কাজ করে। যেমন: TMV Virus.

✅ Minor RNA (mRNA):
এটি বিভিন্ন প্রোটিনের সাথে মিশে এনজাইমের কাঠামো দান করে এবং এনজাইম হিসেবেও কাজ করে থাকে।

RNA এর বিস্তারিত তথ্য | ডাঃ মাসুদ হোসেন।
🇨🇭 RNA যেভাবে প্রোটিন সংশ্লেষন করে:

✅ প্রথমে অ্যামিনো এসিড সিন্থেটেজের প্রভাবে সাইটোপ্লাজমে বিদ্যমান ভিন্ন ভিন্ন অ্যামিনো এসিড ATP এর সাথে যুক্ত হয়ে সক্রিয় হয় এবং সংশ্লিষ্ট tRNA এর 3 প্রান্তের সাথে সংযুক্ত হয়ে যৌগ গঠন করে।

✅ এরপর রাইবোসোমের সাথে mRNA সংযুক্ত হয়। এ ক্ষেত্রে রাইবোসোমের বড় এককটি এসে যৌগের সাথে যুক্ত হয়। বড় এককে দুটি সাইট থাকে। যথা-A সাইট ও P সাইট। tRNA প্রথমে A সাইট এ যুক্ত হয় এবং পরে A সাইট খালি করে P সাইটে চলে যায়। খালি A সাইটে পুনরায় অপর একটি অ্যামিনো এসিড সহ tRNA যুক্ত হয়।

✅ একইভাবে tRNA একটি একটি করে অ্যামিনো এসিড অনু রাইবোসোমে অবস্থিত mRNA এর কাছে আনে mRNA এর যুক্ত করে মুক্ত হয়।

✅ এভাবে mRNA তে অসংখ্য অ্যামিনো এসিড অনু সংযুক্ত হয়ে যখন প্রোটিন অনু তৈরি হয় তখন রাইবোসোমের mRNA থেকে প্রোটিন অনু মুক্ত হয়ে কোষের সাইটোপ্লাজমে মুক্ত হয়।

✅ পরবর্তীতে রিলিজ ফ্যাক্টর পলিপেপটাইড শৃঙ্খল মুক্ত করে এবং mRNA রাইবোসোম ত্যাগ করে। এভাবে ট্রান্সলেশন প্রক্রিয়া চলতে থাকে।

আরো পড়ুনঃ ডিএনএ ( DNA ) এর বিস্ময়কর ও বিস্তারিত তথ্য | ডাঃ মাসুদ হোসেন।
🇨🇭 DNA ও RNA এর মধ্যে পার্থক্য:

✅ ডিএনএ এবং আরএনএ উভয়েই জীবের জেনেটিক বা জীনগত তথ্য বহন করে, তবে তাদের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। এই আর্টিকেলে DNA ও RNA এর সংজ্ঞা, পার্থক্য ও উদাহরণ বর্ণনা করা হল।

🇨🇭 DNA কি?

জীবের বংশগতির বৈশিষ্ট্যের ধারক, জীবদেহের সকল জৈবিক কাজের নিয়ন্ত্রক এবং ডি-অক্সিরাইবোজ শর্করা সমৃদ্ধ নিউক্লিক এসিড অণুকে ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক এসিড বা DNA বলে।

🇨🇭 কিছু ভাইরাস ব্যতিত প্রায় সকল জীবে DNA উপস্থিত। উচ্চ শ্রেণির জীবের প্রতিটি ক্রোমোজোমের রাসায়নিক গঠনে DNA এর উপস্থিতি অপরিহার্য। এছাড়াও অতি সামান্য পরিমাণ DNA কোষের মাইটোকন্ড্রিয়া, প্লাষ্টিড ও সেন্ট্রিওলে থাকে।

RNA এর বিস্তারিত তথ্য | ডাঃ মাসুদ হোসেন।
🇨🇭 DNA ও RNA এর মধ্যে পার্থক্য:

✅ RNA কি?
RNA হল রাইবো নিউক্লিক এসিড ( Ribonucleic acid )। RNA সরাসরি অ্যামিনো অ্যাসিডের জন্য কোড করে এবং প্রোটিন তৈরি করতে ডিএনএ ও রাইবোসোমের মধ্যে একটি বার্তাবাহক হিসাবে কাজ করে।

✅ সকল কোষে RNA থাকে। কিছু ভাইরাস ছাড়া অন্যান্য জীবে RNA প্রধানত বিপাকীয় ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। এটি জীবদেহে প্রয়োজনীয় প্রোটিন সংশ্লেষণে সক্রিয় থাকে।

🇨🇭 DNA ও RNA এর পার্থক্য DNA ও RNA এর মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে।

  • 🩸 DNA
  • 🩸 RNA

✅ 1. DNA এর পূর্ণরুপ ( Deoxyribonucleic Acid. )

🩸 RNA এর পূর্ণরুপ ( Ribonucleic acid. )

✅ 2. DNA জীবের প্রজাতি বৈশিষ্ট্য এবং বংশগতি নিয়ন্ত্রণ করে।

🩸 অধিকাংশ জীবে RNA বংশগতির বৈশিষ্ট্য বহন করেনা।

✅ 3. অনুলিপন (Replication) এর মাধ্যমে নতুন DNA তৈরী করতে পারে।

🩸 RNA তে অনুলিপন (Replication) হয়না।

✅ 4. DNA অণুর কোন প্রকারভেদ নেই।

🩸 RNA অণুর প্রকার- rRNA, mRNA, জেনেটিক RNA,

✅ 5. DNA নিউক্লিয়াসে অপেক্ষাকৃত বেশি পরিমাণে থাকে। তবে মাইটোকন্ড্রিয়া ও ক্লোরোপ্লাস্টেও পাওয়া যায়। এটি ক্রোমোজোমের মূল উপাদান।

🩸 RNA সাইটোপ্লাজমে অপেক্ষাকৃত বেশি পরিমাণে থাকে। তবে, ক্রোমোজোমেও পাওয়া যায়। এটি রাইবোজোমের মূল উপাদান।

✅ 6. নাইট্রোজেন বেস- এডেনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন ও থায়ামিন

🩸 নাইট্রোজেন বেস- এডেনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন ও ইউরাসিল।

✅ 7. DNA তে ইউরাসিল থাকে না।

🩸 RNA তে থাইমিন থাকে না।

✅ 8. DNA থেকে ট্রান্সক্রিপশনের মাধ্যমে RNA তৈরী হয়।

🩸 RNA থেকে DNA তৈরির প্রক্রিয়াকে বলে রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন।

✅ 9. DNA চিরস্থায়ী।

🩸 RNA ক্ষণস্থায়ী।

✅ 10. DNA প্রতিটি কোষে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জীবনের সর্বপ্রকার ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

ডাঃ মাসুদ হোসেন

🩸 এটি জীবদেহে প্রয়োজনীয় প্রোটিন সংশ্লেষণে সক্রিয় থাকে।

🇨🇭 হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়। একজন হোমিও ডাক্তারের/ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। সাইড ইফেক্ট নেই এমন হোমিওপ্যাথি ঔষধ কাজে লাগাবেন। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য পরবর্তী ধাপগুলো অর্থাৎ- যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থতা অর্জন করতে পারবেন। হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় Homeo হোমিও ওষুধ খান।

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ( রেজি: নং- 35423 )

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!