WBC - শ্বেত রক্ত কনিকা

WBC – শ্বেত রক্ত কনিকা / রক্ত-কনিকা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

🇨🇭 শ্বেত রক্ত কণিকা – ( WBC ) কাকে বলে?

🇨🇭 রক্তরসে উপস্থিত বর্ণহীন, বিভিন্ন আকৃতির নিউক্লিয়াসযুক্ত বৃহদাকৃতির রক্ত কোশগুলিকে শ্বেত রক্ত কণিকা বলে।

🇨🇭 শ্বেত রক্ত কণিকার গঠন:
শ্বেতরক্তকণিকার গঠন ও আকার পরিবর্তিনশীল। ( RBC ) – এর তুলনায় বড়াে, সাধারণত গােলাকার। এদের নিউক্লিয়াস বর্ণহীন, স্বচ্ছ ও বিভিন্ন আকৃতিযুক্ত।

🇨🇭 শ্বেত রক্ত কণিকা কত প্রকার ও কি কি?

🩸 ( WBC ) – এর সাইটোপ্লাজমে দানার উপস্থিতি এবং অনুপস্থিতি, রঞ্জকের প্রতি ( WBC ) – এর সাইটোপ্লাজমীয় দানার আসক্তির উপর নির্ভর করে ( WBC ) দুই প্রকারের। এই দুই প্রকার শ্বেত রক্ত কণিকাকে আবার সর্বমোট পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন:

  • 🩸 ইওসিনােফিল।
  • 🩸 বেসােফিল।
  • 🩸 নিউট্রোফিল।
  • 🩸 লিম্ফোসাইট।
  • 🩸 মনােসাইট।

🇨🇭 দানাদার শ্বেত রক্ত কণিকা: নির্দিষ্ট রঞ্জুকে রঞ্জিত করলে যেসব ( WBC ) এর সাইটোপ্লাজমে দানা দেখা যায় তাদের গ্র্যানুলােসাইট বলে।

WBC - শ্বেত রক্ত কনিকা

🇨🇭 দানাদার শ্বেতরক্তকণিকা বৈশিষ্ট্য : নিউক্লিয়াস খণ্ডযুক্ত ও খণ্ডগুলি সূত্রবৎ অংশ দিয়ে জোড়া থাকে।
এ্যানুলােসাইট তিন প্রকারের:

  • 🩸 ইওসিনােফিল।
  • 🩸 বেসােফিল।
  • 🩸 নিউট্রোফিল।

🇨🇭 দানা-বিহীন শ্বেত রক্ত কণিকা: নির্দিষ্ট রঞ্জকে রঞ্জিত করলে যেসব ( WBC ) এর সাইটোপ্লাজমে কোনাে দানা দেখা যায় না তাদের আগ্র্যানুলােসাইট বলে।

🇨🇭 দানাবিহীন শ্বেত রক্ত কণিকা বৈশিষ্ট্য : নিউক্লিয়াস বড়াে, গােলাকার কিন্তু অখণ্ডিত।
এটি দুপ্রকারের: ছােটো গােলাকার নিউক্লিয়াসযুক্ত কোশগুলি লিম্ফোসাইট ( ছােটো ও বড়াে হয় ) এবং বড়াে বৃক্কাকৃতি নিউক্লিয়াসযুক্ত কোশগুলি মনােসাইট।

🇨🇭 শ্বেত রক্ত কণিকার উৎপত্তিস্থল:

গ্রানুলােসাইট-লাল অস্থিমজ্জার মেগাক্যারিওসাইট কোশ এবং আগ্র্যানুলােসাইট- প্লিহা, লসিকাগ্রন্থি, টনসিল, থাইমাস ইত্যাদি। WBC তৈরির পদ্ধতিকে লিউকোপােয়েসিস বলে।

🇨🇭 শ্বেত রক্ত কণিকা জীবনকাল ও পরিণতি: ( WBC ) দের আয়ু 01-15 দিন। এর পর এগুলি ভাঙে বা ধ্বংস হয়।

🇨🇭 শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা:
পরিণত প্রাপ্তবয়স্ক লােকের প্রতি ঘন মিলিমিটার রক্তে ( WBC ) এর সংখ্যা ( 6000–8000 )। কখনাে,কখনাে এই সংখ্যা স্বাভাবিকের থেকে হ্রাস পায়, একে লিউকোপেনিয়া বলে। সংক্রমণের ফলে ( WBC ) এর সংখ্যা বেড়ে ( 20000-30000 ) হলে তাকে লিউকোসাইটোসিস বলে।

🇨🇭 বিভিন্ন প্রকার শ্বেত রক্ত কণিকার শতকরা পরিমাণ ( প্রতি ঘন মিলিমিটার রক্তে ):

🩸 শ্বেত রক্ত কণিকা শতকরা পরিমান-

  • 🧪 নিউট্রোফিল – ( 60-70 )
  • 🧪 মনােসাইট – ( 05-10 )
  • 🧪 ইওসিনােফিল – ( 01- 4 )
  • 🧪 লিম্ফোসাইট – ( 25-30 )
  • 🧪 বেসােফিল – ( 0–1 )
WBC - শ্বেত রক্ত কনিকা

🇨🇭 শ্বেত রক্ত কণিকার কাজ কি :

🩸 ( WBC ) অতন্দ্র-প্রহরী রূপে দেহকে রােগজীবাণুর থেকে রক্ষা করে।

🩸 হেপারিন ক্ষরণ- বেসােফিল তঞ্জনরোধী বস্তু হেপারিন ক্ষরণ করে রক্তবাহের ভেতর রক্তকে জমাট বাঁধতে দেয় না, ফলে রক্তের তারল্য বজায় থাকে।

🩸 অ্যালার্জি প্রতিরােধ- হিস্টামিন দেহে অ্যালার্জি সৃষ্টি করে। দেহের যেখানে হিস্টামিন তৈরি হয় ওই জায়গায় ইওসিনােফিল জড়াে হয়ে অ্যান্টিজেন-অ্যান্টিবডি যৌগ গঠন করে হিস্টামিনকে নিষ্ক্রিয় করে এবং দেহকে অ্যালার্জি মুক্ত করে।

🩸 ফ্যাগােসাইটোসিস- কোনাে ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু রক্তে প্রবেশ করলে নিউট্রোফিল ও মনােসাইট ফ্যাগােসাইটোসিস পদ্ধতিতে জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে।

🩸 অ্যান্টিবডি উৎপাদন- লিম্ফোসাইট গামা-গ্লোবিউলিন অ্যান্টিবডি উৎপন্ন করে রােগ প্রতিরােধ করে।

🩸 ট্রিপসিন ও পেপসিন সংশ্লেষ- নিউট্রোফিল ট্রিপসিন এবং মনােসাইট ও লিম্ফোসাইট পেপসিন নামক উৎসেচক সংশ্লেষ করে। উৎসেচক দুটি গ্রাস করা ব্যাকটেরিয়াকে হজম করে দেহ থেকে অপসারণে সাহায্য করে।

🛑 Q. 1. শ্বেত রক্ত-কণিকার আয়ুষ্কাল কত দিন?

উ: শ্বেত রক্ত-কণিকার আয়ু ১-১৫ দিন।

🛑 Q. 2. শ্বেত রক্ত-কণিকার অপর নাম কি?

উ: লিউকোসাইট।

🛑 Q. 3. শ্বেত রক্ত-কণিকা কোথায় উৎপন্ন হয়?

উ: গ্রানুলােসাইট-লাল অস্থিমজ্জার মেগাক্যারিওসাইট কোশ এবং আগ্র্যানুলােসাইট- প্লিহা, লসিকাগ্রন্থি, টনসিল, থাইমাস ইত্যাদি।

🛑 Q. 4. শ্বেত রক্ত-কণিকা কমে গেলে কি হয়?

উ: লিউকোপেনিয়া রোগ হয়।

🛑 Q. 5. শ্বেত রক্ত-কণিকা কিভাবে দেহকে রক্ষা করে?

উ: শ্বেত রক্ত-কণিকা অতন্দ্রপ্রহরীরূপে দেহকে রােগজীবাণুর থেকে রক্ষা করে।

🛑 Q. 6. শ্বেত রক্ত-কণিকা বৃদ্ধির উপায়?

উ: ভিটামিন সি জাতীয় খাবার শ্বেত রক্ত-কণিকা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

🛑 Q. 7. শ্বেত রক্ত-কণিকা কয় প্রকার?

উ: শ্বেত রক্ত-কণিকা পাঁচ প্রকার।

🛑 Q. 8. শ্বেত রক্ত-কণিকা বাড়লে কি হয়?

উ: লিউকোসাইটোসিস রোগ হয়।

🛑 Q. 9. শ্বেত রক্ত-কণিকাকে দেহের প্রহরী বলা হয় কেন?

উ: কোনাে ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু রক্তে প্রবেশ করলে ঐ জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়াকে শ্বেত রক্ত-কণিকা ধ্বংস করে।

🛑 Q. 10. শ্বেত রক্ত-কণিকা এর ইংরেজি নাম কি?

উ: (;White Blood Corpuscles ) বা সংক্ষেপে ( WBC )।

ডা.মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক

🇨🇭 শ্বেত রক্ত-কণিকা ( WBC ) কমে গেলে কি হয়?

🩸 আমাদের রক্তে বিভিন্ন ধরনের উপাদান থাকে সেই উপাদান গুলো প্রত্যেকেই আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে। এই উপাদানের কোন একটি যদি একটু কম বেশি হয় তাহলে সেটা স্বাভাবিকভাবেই আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকারক। এখানে শ্বেত রক্ত-কণিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান যেটাকে অনেকেই সাদা কোষ বলে থাকে বা রক্তের কোষ বলে থাকে।

🩸 আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা জানার চেষ্টা করব সে রক্ত-কণিকা স্বাভাবিকভাবে মানুষের শরীরে কি পরিমানে থাকতে পারে এবং সেটা বাড়লে অথবা কমলে আমাদের জন্য কি ক্ষতি হতে পারে সে সম্পর্কে।

🩸 সাধারণত মানুষের রক্তে লোহিত রক্ত কণিকা ও শ্বেত রক্ত-কণিকার অনুপাত হতে হবে ( 700:1 )। এর পরিমাণ যদি কোনভাবে ওঠানামা করে তাহলে সেটা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক এবং যেকোনো সময় এর জন্য যেকোনো ধরনের রোগ হতে পারে।
এই রক্তকণিকা যদি কমে যায় তাহলে কি কি ক্ষতি হতে পারে বা কোন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে?

🩸 সাধারণত মানুষ দেহের শ্বেত রক্ত-কণিকার পরিমাণ যদি 04 হাজার DI, এর চেয়ে কমে যায় তাহলে সেই অবস্থাকে বলা হয় লিউকোপেনিয়া। এই অবস্থাতে সাধারণত স্বাভাবিকের চেয়ে কম শ্বেত রক্ত কণিকার কারণে হয়ে থাকে। সাধারণত এই অবস্থাতে অনেক ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে মানব শরীরে। এ অবস্থাতে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি থাকে তাই সবসময় সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে যাতে করে এই সমস্যা আর বেশি না হয়। এই শ্বেত রক্তকণিকা কিছু কিছু ক্ষেত্রে কমে আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পায় যেটা আমাদের শরীরের জন্য মোটেও ভালো দিক নয়। শ্বেত রক্তকণিকার গুরুত্ব অবশ্যই অত্যন্ত ভালোভাবে আপনাকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে, তা না হলে যে কোন সময় বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণে আপনি আক্রান্ত হতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ  শরীরের রক্ত সঞ্চালন | Blood Cerculation | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 শ্বেত রক্ত-কণিকা কমে যাওয়ার কারণ কি?

🩸 এখন আমরা জানার চেষ্টা করব মূলত শ্বেত রক্ত-কণিকা কমে যাওয়ার যে কারণগুলো রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে:

🩸 সাধারণত বিভিন্ন ধরনের বড় রোগের কারণ হিসেবে শ্বেত রক্ত-কণিকাকে কমে যাওয়ার বিশেষ দিক বিবেচনা করা হয়েছে। হঠাৎ করে যদি কেউ এই সকল রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে অবশ্যই তার শরীরে শ্বেত রক্ত-কণিকা কমে যাবে এবং এটা একেবারে অস্বাভাবিক ব্যাপার এবং এই অবস্থাতে কখনোই বসে থাকা যাবে না। বিভিন্ন ধরনের বড় বড় সংক্রমণ অথবা ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হলে রোগীদের সাধারণত এই ধরনের সমস্যা দেখা যেতে পারে।

🩸এছাড়াও রক্তের বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন অথবা দীর্ঘকাল ধরে শরীরের অপুষ্টিজনিত সমস্যা থাকলে সাধারণত শ্বেত রক্ত-কণিকা কমতে পারে। তাই অবশ্যই আপনাকে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আগে থেকে সচেতন থাকতে হবে এবং এমন একটি শরীর গঠন করতে হবে যেখানে শ্বেত রক্তকণিকা কমে যাওয়ার কোন সম্ভাবনাই থাকে না। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন এবং আপনারা নিজে নিজেই সচেতন হবেন।

homeo treatment chattogram

🇨🇭 শ্বেত রক্ত-কণিকার কমানোর উপায়?

🩸 শ্বেত রক্তকণিকা কমানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এই ভালো অভ্যাস গুলোই মূলত আপনাকে সে তো রক্ত-কণিকা কমাতে সাহায্য করবে। এর জন্য অবশ্যই আপনাকে একটি সুষম খাবার খেতে হবে যে সুষমা খাবারের পুষ্টিগুণগুলো সঠিকভাবে রক্তে কাজ করতে পারে এবং রক্তের প্রত্যেকটি উপাদানকে সঠিকভাবে বজায় রাখতে সাহায্য করে।

🩸 এর পাশাপাশি যারা তামাক সেবন করেন তাদের তামাম সেবনের কারণে সে প্রত্যক্ষ কণিকার পরিমাণ উঠানামা করতে পারে এই অবস্থাতে আপনাকে এই জিনিসটা বর্জন করতে হবে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। প্রতিদিন অন্তত শারীরিক ব্যায়াম 30 মিনিট করতে হবে যাতে আপনি শ্বেত রক্তকণিকাকে কমাতে পারেন এবং নিয়ন্ত্রনে আনতে পারেন।

🇨🇭 রক্তের ( RBC ) এবং ( WBC ) এর অনুপাত ?

🩸 লোহিতকণিকার তুলনায় শ্বেতকণিকার সংখ্যা অনেক কম। লোহিতকণিকা ( RBC ) ও শ্বেতকণিকার ( WBC ) অনুপাত প্রায় ( 700:1 )।

🇨🇭 রক্তের উপাদান- ( Components Of Blood ):

🩸 টেস্টটিউবে রক্ত নিয়ে সেন্ট্রিফিউগাল যন্ত্রে মিনিটে 3000 বার করে 30 বার ঘুরালে রক্ত দুটি স্তরে বিভক্ত হয়ে পড়ে। উপরের হাল্কা হলুদ বর্ণের প্রায় 55% যে অংশ থাকে তা রক্তরস বা প্লাজমা ( Plasma ) এবং নিচের গাঢ়তর বাকি 45% অংশ রক্তকণিকা ( Blood Corpuscles )। স্বাভাবিক অবস্থায় রক্তকণিকাগুলো রক্তরসে ভাসমান থাকে। লোহিত বর্ণিকার আধিক্যের কারণে রক্ত লাল দেখায় রক্তরস ( বা প্লাজমা ) হচ্ছে রক্তের হালকা হলুদ বর্ণের তরল অংশ। এতে পানির পরিমাণ 90-92% এবং দ্রবীভূত কঠিন পদার্থের পরিমাণ 08-10%।

🩸 রক্তরসের কঠিন পদার্থ বিভিন্ন জৈব ( 07-10% ) ও অজৈব ( 0.09% ) উপাদান নিয়ে গঠিত। তা ছাড়া, কয়েক ধরনের গ্যাসও রক্তরসে পাওয়া যায়।

🇨🇭 রক্তরসের উপাদানগুলো হচ্ছে:
  • 🩸 খাদ্যসার ( গ্লুকোজ, M অ্যামিনো এসিড, স্নেহপদার্থ, লবণ, ভিটামিন ইত্যাদি )।
  • 🩸 গ্যাসীয় পদার্থ ( O, CO, N, প্রভৃতি)।
  • 🩸 রেচন পদার্থ ( ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, ক্রিয়েটিনিন ইত্যাদি )।
  • 🩸 বিভিন্ন ধরনের আয়ন ( Nai, Ki, Ca, CI, HCO3, HPO, ইত্যাদি)।
  • 🩸 রক্ত আমিষ ( ফাইব্রিনোজেন, প্রোথ্রম্বিন, অ্যালবুমিন ও গ্লোবিউলিন )।
  • 🩸 প্রতিরক্ষামূলক দ্রব্য ( অ্যান্টিটক্সিন, অ্যাগ্লুটিনিন প্রভৃতি )।
  • 🩸 অন্ত:ক্ষরা গ্রন্থি নিঃসৃত বিভিন্ন হরমোন, এবং
  • 🩸 কোলেস্টেরল, লেসিথিন, বিলিরুবিন, বিলিভারডিন ইত্যাদি নানা ধরনের যৌগ । Na এর মাত্রা নিয়ন্ত্রন করে অ্যালডোস্টেরন।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হোমিও-চিকিৎসা.

🇨🇭 রক্তরসের কাজ:

  • 🩸 পরিপাকের পর খাদ্যসার রক্তরসে দ্রবীভূত হয়ে দেহের বিভিন্ন টিস্যু ও অঙ্গে বাহিত হয়।
  • 🩸 টিস্যু থেকে যে সব বর্জ্যপদার্থ বের হয় তা রেচনের জন্য বৃক্কে নিয়ে যায়।
  • 🩸 টিস্যুর অধিকাংশ কার্বন ডাইঅক্সাইড রক্তরসে বাইকার্বনেটরূপে দ্রবীভূত থাকে।
  • 🩸 খুব কম পরিমাণ অক্সিজেন এতে বাহিত হয়। লোহিত কণিকায় সংবদ্ধ হওয়ার আগে অক্সিজেন প্রথমে রক্তরসেই দ্রবীভূত হয়।
  • 🩸 রক্তরসের মাধ্যমে হরমোন, এনজাইম, লিপিড প্রভৃতি বিভিন্ন অঙ্গে বাহিত হয়।
  • 🩸 রক্তরস রক্তের অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য রক্ষা করে।

🇨🇭 রক্ত-কণিকা ( Blood Corpuscles ):

🩸 রক্তরসে ভাসমান বিভিন্ন ধরনের কোষকে রক্তকণিকা বলে। রক্তকণিকা প্রধানত তিন রকম, যথা: লোহিত রক্তকণিকা বা এরিথ্রোসাইট, শ্বেত রক্তকণিকা বা লিউকোসাইট এবং অণুচক্রিকা বা প্রম্বোসাইট।

🇨🇭 লোহিত রক্তকণিকা বা এরিথ্রোসাইট ( Erythrocyte- গ্রিক erythros = লোহিত + kytos = কোষ ) : মানুষে পরিণত লোহিত রক্তকণিকা গোল, দ্বিঅবতল, নিউক্লিয়াসবিহীন চাকতির মতো ও লাল বর্ণের। এর কিনারা মসৃণ এবং মধ্যাংশের চেয়ে পুরু। পরিণত কণিকা অত্যন্ত নমনীয় ও স্থিতিস্থাপক। প্রত্যেক লোহিত রক্তকণিকার গড় ব্যাস 7.3 এবং গড় স্থূলতা 2.2 um। এরা 120 দিন বাঁচে।

🇨🇭 বিভিন্ন বয়সের মানবদেহে প্রতি ঘন মিলিমিটার রক্তে রক্তকণিকার সংখ্যা হচ্ছে:

  • 🩸 ভ্রূণদেহে 80-90 লাখ।
  • 🩸 শিশুর দেহে 60-70 লাখ।
  • 🩸 পূর্ণবয়স্ক পুরুষে 50 লাখ।
  • 🩸 পূর্ণবয়স্ক স্ত্রীদেহে 45 লাখ।

🇨🇭 বিভিন্ন শারীরিক অবস্থায় এ সংখ্যার তারতম্য ঘটে, যেমন:ব্যায়াম ও গর্ভাবস্থায় কণিকার সংখ্যা বেশি হয়। প্রতি ঘন মিলিমিটার রক্তে লোহিত কণিকার সংখ্যা 50 লাখের চেয়ে 25% কম হলে রক্তাল্পতা ( Anemia ) দেখা দেয়।

🇨🇭 কিন্তু এ সংখ্যা 65 লাখের বেশি হলে তাকে পলিসাইথেমিয়া বলে। রাসায়নিকভাবে এদের 60-70% পানি এবং 30-40% কঠিন পদার্থ। কঠিন পদার্থের মধ্যে প্রায় 90%ই হিমোগ্লোবিন। অবশিষ্ট 10% প্রোটিন, ফসফোলিপিড, কোলেস্টেরল, অজৈব লবণ, অজৈব ফসফেট, পটাশিয়াম, প্রতিটি হিমোগ্লোবিন অণু হিম ( Heme) নামক লৌহ ধারণকারী রঞ্জক ( Pigment ) এবং গ্লোবিন ( Globin ) নামক প্রোটিন সমন্বয়ে গঠিত। প্রতি 100 মিলিলিটার রক্তে প্রায় 16 গ্রাম হিমোগ্লোবিন থাকে। হিমোগ্লোবিনের চারটি কোহিম পলিপেপটাইড চেইনের সাথে একটি হিম গ্রুপ যুক্ত থাকে। হিম গ্রুপের জন্যই রক্ত লাল হয়। অস্থিমজ্জায় অবস্থিত স্টেম কোষ ( Stem Cell ) বা হিমোসাইটোব্লাস্ট ( Hemocytoblast ) নামক বৃহৎ ভূণীয় কোষ থেকে এরিথোসাইটের সৃষ্টি হয়। এরিথ্রোসাইট সৃষ্টিকে এরিথ্রোপোয়েসিস ( Erythropoesis ) বলে। এদের আয়ু প্রায় 04 মাস। এই সময়কালে এটি বার বার কৈশিকনালির প্রাচীর ভেদসহ প্রায় 1100 কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। নিউক্লিয়াস না থাকার জন্য এদের স্বল্প আয়ু। কণিকাগুলো যকৃত ও প্লীহাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।

🇨🇭 ( RBC ) লোহিত কণিকার কাজ :
  • 🩸 লোহিত রক্তকণিকার হিমোগ্লোবিন ফুসফুস থেকে দেহকোষে অধিকাংশ O, এবং সামান্য পরিমাণ CO, পরিবহন করে।
  • 🩸 রক্তের ঘনত্ব ও সান্দ্রতা ( Viscocity ) রক্ষা করাও এর কাজ।
  • 🩸 এগুলোর হিমোগ্লোবিন ও অন্যান্য অন্ত:কোষীয় বস্তু বাফাররূপে রক্তে অম্ল-ক্ষারের সাম্য রক্ষা করে।
  • 🩸 প্লাজমাঝিল্লিতে অ্যান্টিজেন প্রোটিন সংযুক্ত থাকে যা মানুষের রক্ত গ্রুপিংয়ের জন্য দায়ী।
  • 🩸 এসব কণিকা রক্তে বিলিরুবিন ও বিলিভার্ডিন উৎপন্ন করে ।

🇨🇭 শ্বেত রক্তকণিকা বা লিউকোসাইট ( Leucocyte, গ্রিক leucos = বর্ণহীন, kytos = কোষ ) : মানবদেহের পরিণত শ্বেত কণিকা হিমোগ্লোবিনবিহীন, অনিয়তাকার ও নিউক্লিয়াসযুক্ত বড় কোষ। এগুলো ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণু ধ্বংস করে। মানুষের শ্বেত রক্তকণিকা নির্দিষ্ট আকারবিহীন। প্রয়োজনে আকার পরিবর্তিত হয়। নিউক্লিয়াস প্রথমে গোল বা ডিম্বাকার হয় কিন্তু বয়োবৃদ্ধির সাথে সাথে বৃক্কাকার ও অশ্বক্ষুরাকার ধারণ করে। নিউক্লিয়াস সাইটোপ্লাজমের চাপে একপ্রান্তে অবস্থান নেয়। এগুলো লোহিত রক্তকণিকার চেয়ে বড়, গড় ব্যাস আকৃতির বিভিন্নতা অনুসারে ( 7.5 – 20m )। মানবদেহে প্রতি ঘন মিলিমিটার রক্তে 05-08 হাজার শ্বেত রক্তকণিকা থাকে। শিশু ও অসুস্থ মানবদেহে সংখ্যা বেড়ে যায়। লোহিত রক্তকণিকা ও শ্বেত রক্তকণিকার অনুপাত ( 700:1)।

homeo treatment
homeo treatment

🇨🇭 শ্বেত রক্তকণিকা নিউক্লিওপ্রোটিনসমৃদ্ধ এবং লিপিড, কোলেস্টেরল, অ্যাসকরবিক এসিড ও বিভিন্ন প্রোটিওলাইটিক এনজাইম বহন করে। আকৃতি ও গঠনগতভাবে শ্বেত রক্তকণিকাকে প্রধান দুভাগে ভাগ করা যায়,যথা:

  • A. অদানাদার বা অ্যাগ্যানুলোসাইট ( Agranulocytes ) এবং
  • B. দানাদার বা – গ্র্যানুলোসাইট ( Granulocytes )।

A. অ্যাগ্র্যানুলোসাইট : এ ধরনের লিউকোসাইট দানাহীন, স্বচ্ছ বড় নিউক্লিয়াসযুক্ত এবং আকৃতিগতভাবে দুরকম : লিম্ফোসাইট ( Lymphocyte ) ও মনোসাইট ( Monocyte )। এদের উৎপত্তি লসিকা গ্রন্থি, প্লীহা, থাইমাস ও ক্ষুদ্রান্ত্রের লসিকা টিস্যু থেকে।

🇨🇭 লিম্ফোসাইট : এগুলো সমসত্ত্ব ও ক্ষারাসক্ত সাইটোপ্লাজমের পাতলা স্তরে আবৃত বড় নিউক্লিয়াসযুক্ত ছোট কণিকা। এগুলো কৈশিক নালি থেকে যোজক টিস্যুতে গমন করতে পারে। এসব কণিকা দুধরনের- বড় লিম্ফোসাইট ( ব্যাস প্রায় 12 um) এবং ছোট লিম্ফোসাইট ( ব্যাস প্রায় 7.5 um )।

🇨🇭 মনোসাইট : এগুলো বিপুল পরিমাণ সাইটোপ্লাজম ও একটি অপেক্ষাকৃত ছোট, ডিম্বাকার ও বৃক্কাকার নিউক্লিয়াসবাহী বড় কণিকা।

B. গ্র্যানুলোসাইট : এসব কণিকার সাইটোপ্লাজম সূক্ষ্ম দানাময় এবং 02-07 খন্ডযুক্ত নিউক্লিয়াসবিশিষ্ট।
এদের ব্যাস ( 12-15 um)। দানাগুলো লিশম্যান রঞ্জকে নানাভাবে রঞ্জিত হয়। বর্ণধারণের ক্ষমতার ভিত্তিতে গ্র্যান্যুলোসাইট তিন ধরনের:

🩸 নিউট্রোফিল ( Neutrophil ): সাইটোপ্লাজম বর্ণ-নিরপেক্ষ দানাযুক্ত।

🩸 ইওসিনোফিল ( Eosinophil ):
দানাগুলো ইওসিন রঞ্জকে লাল বর্ণ ধারণ করে, এবং

🩸 বেসোফিল ( Basophil ): দানাগুলো ক্ষারাসক্ত হয়ে নীল বর্ণ ধারণ করে।

🇨🇭 শ্বেত রক্তকণিকার কাজ :

🩸 মনোসাইট ও নিউট্রোফিল ফ্যাগোসাইটোসিস ( Phagocytosis ) প্রক্রিয়ায় জীবাণু ভক্ষণ করে ধ্বংস করে। এই লিম্ফোসাইটগুলো অ্যান্টিবডি সৃষ্টি করে রোগ প্রতিরোধ করে ( এজন্য এদের আণুবীক্ষণিক সৈনিক বলে )।

  • 🩸 বেসোফিল হেপারিন ( Hepatin) উৎপন্ন করে যা রক্তনালির অভ্যন্তরে রক্তজমাট রোধ করে।
  • 🩸 দানাদার লিউকোসাইট হিস্টামিন ( Histamin ) সৃষ্টি করে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  • 🩸 নিউট্রোফিলের বিষাক্ত দানা জীবাণু ধ্বংস করে।
  • 🩸 ইওসিনোফিল রক্তে প্রবেশকৃত কৃমির লার্ভা এবং অ্যালার্জিক-অ্যান্টিবডি ধ্বংস করে।

🩸 অণুচক্রিকা বা থ্রম্বোসাইট ( Thrombocytes or Platelets ) থ্রিম্বোসাইট ক্ষুদ্রতম রক্তকণিকা। এরা গোল, ডিম্বাকার বা রডের মতো, দানাদার কিন্তু নিউক্লিয়াসবিহীন। এদের ব্যাস প্রায় ( 03 um, তবে, 04-05 um ) ব্যাসসম্পন্ন বড় আকারের থ্রম্বোসাইটও দেখা যায়। পরিণত মানবদেহে প্রতি ঘনমিলিমিটার রক্তে থ্রম্বোসাইটের সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ থেকে পাঁচ লাখ। অসুস্থ দেহে এগুলোর সংখ্যা আরও বেশি হয়। প্রতিটি থ্রম্বোসাইট দানাময় সাইটোপ্লাজম, গহ্বর, পিনোসাইটিক গহ্বর ও অন্যান্য কোষ অঙ্গাণুবিশিষ্ট এবং একক ঝিল্লিতে আবৃত। এতে প্রোটিন ও প্রচুর পরিমাণ সেফালিন নামক ফসফোলিপিড থাকে। থ্রম্বোসাইটের উৎপত্তি সম্বন্ধে মতানৈক্য রয়েছে। কোনো কোনো বিজ্ঞানীর মতে, লাল অস্থিমজ্জার বড় মেগাক্যারিওসাইট ( Megakaryocyte ) থেকে এদের উৎপত্তি হয়। থ্রম্বোসাইটের গড় আয়ু প্রায় ( 05-10 ) দিন। আয়ু শেষ হলে থ্রম্বোসাইট প্লীহা ও অন্যান্য রেটিকুলো: এন্ডোথেলিয়াল কোষে ধ্বংস হয়।

🇨🇭 অণুচক্রিকার কাজ :
  • 🩸 ক্ষতস্থানে রক্ততঞ্চন ঘটায় এবং হিমোস্ট্যাটিক পাগ ( Hemostatic Plug ) গঠন করে রক্তক্ষরণ বন্ধ করে।
  • 🩸 রক্তনালির ক্ষতিগ্রস্থ এন্ডোথেলিয়াল আবরণ পুনর্গঠন করে।
  • 🩸 সেরাটোনিন নামক রাসায়নিক পদার্থ উৎপন্ন করে যা রক্তনালির সংকোচন ঘটিয়ে রক্তপাত হ্রাস করে।
  • 🩸 ফ্যাগোসাইটোসিস পদ্ধতিতে কার্বন-কণা, ইমিউন কমপ্লেক্স ও ভাইরাসকে ভক্ষণ করে।

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( বি, এইচ, এম, এস )
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

📞 মোবাইল : +8801907-583252
+8801302-743871

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!