সেলিয়াক রোগ - Celiac Disease | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

সেলিয়াক রোগ – Celiac Disease | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭সেলিয়াক রোগ অনেক সময় ছোটদের বদহজম, খাবার খেলেই ডায়রিয়া বা পেট ফাঁপার মতো সমস্যার কোনো কূলকিনারা পাওয়া যায় না। এসব ক্ষেত্রে সিলিয়াক ডিজিজের কথা মনে রাখতে হবে। এটি একটি বিরল জন্মগত সমস্যা, যাতে রোগীর পরিপাকতন্ত্র গ্লুটেনের প্রতি অতিসংবেদনশীল থাকে। এ কারণে গ্লুটেন আছে, এমন খাবার খেলেই শুরু হয় সমস্যা। পেট ফাঁপা, পেটব্যথা, বমি ভাব বা বমি, ডায়রিয়া, দুর্গন্ধযুক্ত মল ইত্যাদি হতে পারে। খাবার ভালো করে হজম না হওয়ার কারণে কিছু ভিটামিন ও খনিজের অভাব দেখা দেয় ক্রমান্বয়ে। এ কারণে রক্তশূন্যতা, ওজন হ্রাস, বাড়ন্ত শিশুর সঠিক বৃদ্ধি না হওয়া, দাঁত ও হাড়ে সমস্যা, কৈশোর প্রাপ্তিতে দেরি ইত্যাদি সমস্যাও দেখা দেয়। সিলিয়াক ডিজিজ অনেক সময় বড়দেরও দেখা দিতে পারে। তবে বড়দের হজমের সমস্যার চেয়ে ভিটামিন,স্বল্পতার জন্য জটিলতাই বেশি দেখা যায়। ফলে রক্তশূন্যতা, হাড় ক্ষয়, জয়েন্ট ব্যথা, স্নায়ুর সমস্যা, ত্বকের সমস্যা ইত্যাদি হয়।

🇨🇭 গ্লুটেন কী?

🇨🇭 গ্লুটেন হলো এক ধরনের প্রোটিন, যা গম, বার্লি, যব, রাই ইত্যাদি শস্যদানায় থাকে। এই গ্লুটেনের প্রতি অ্যালার্জি থাকলে পরিপাকতন্ত্রের সূক্ষ্ম চুলের মতো ভিলাইগুলো নষ্ট হতে থাকে। খাবার হজমের জন্য এই ভিলাইগুলো দরকার। ফলে ক্রমেই হজমের সমস্যা তীব্র হয়ে উঠতে থাকে। যাদের পরিবারে অন্য সদস্যদের গ্লুটেন অ্যালার্জি আছে, যেসব- শিশুর টাইপ 01 ডায়াবেটিস, অটোইমিউন থাইরয়েড সমস্যা, অ্যাড্রিনাল বা বৃক্কীয় গ্রন্থির সমস্যা আছে, ডাউন সিনড্রোমের শিশু-এদের সিলিয়াক ডিজিজ হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

🇨🇭 শিশু বড় হতে হতে নানা ধরনের খাবারে অভ্যস্ত হতে শুরু করে। যদি বিশেষ কিছু খাবার খেলেই তাদের ডায়রিয়া, পেটব্যথা, পেট ফাঁপা, বদহজমের মতো সমস্যা দেখা দেয়, তবে সতর্ক হোন। গমের তৈরি রুটি, পাউরুটি, কেক বা বার্লিজাতীয় খাবারে সমস্যা হচ্ছে কি না, দেখতে হবে। ক্রমান্বয়ে তাদের মধ্যে অপুষ্টি, রক্তশূন্যতা, হাড়ের দুর্বলতা, বৃদ্ধিজনিত সমস্যা, স্নায়ুর সমস্যা, দুধজাতীয় খাবারেও অ্যালার্জি দেখা দেয়। রক্তে কিছু অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে রোগটি শনাক্ত করা যায়।

সেলিয়াক রোগ - Celiac Disease | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 সিলিয়াক ডিজিজে কী করবেন?

🇨🇭 সিলিয়াক ডিজিজের তেমন কোনো চিকিৎসা নেই। কেবল গ্লুটেন আছে, এমন সব খাবার এড়িয়ে যেতে হবে। এগুলোর মধ্যে আছে রুটি, পরোটা, নান, পাউরুটি, কেক, বেকারির খাবার, পাস্তা, নুডলস, সিরিয়াল ইত্যাদি। যেসব- খাবার খেতে পারবে, তা হলো চাল, আলু, মাছ, মাংস, ফলমূল, সবজি, বাদাম, কর্ন বা ভুট্টার তৈরি খাবার, দুধ। তবে এর সঙ্গে দুধে অ্যালার্জি বা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স এবং ডিমে অ্যালার্জি থাকাও বিচিত্র নয়। খাবারে সাবধানী হওয়ার সঙ্গে যেসব ভিটামিন ও খনিজের স্বল্পতা আছে, সেগুলো সাপ্লিমেন্ট নিতে হবে। সিলিয়াক ডিজিজ ভালো হয় না কিন্তু এর সঙ্গে জীবনাচারকে মানিয়ে চলতে হয়। অনেক দেশে গ্লুটেন ফ্রি আটা, ময়দা, বিস্কুট, নুডলস, পাস্তা ইত্যাদি খাবার পাওয়া যায়। তবে বাংলাদেশে এগুলো সহজলভ্য নয়। পাওয়া গেলেও ব্যয়বহুল।

আরো পড়ুনঃ  হোমিও চিকিৎসায় স্থায়ীভাবে রোগ নির্মূল সম্ভব ?

🇨🇭 সেলিয়াক রোগ কি? What Is Celiac Disease?

🇨🇭 সেলিয়াক রোগ এক ধরণের জিনগত অটোইমিউন ব্যাধি যাতে পাচনতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাই, গম ও বার্লিতে প্রধানত গ্লুটেন নামক একটি প্রোটিন থাকে, সেলিয়াক রোগে, রোগীর দেহে এই গ্লুটেনকে ধ্বংস করার জন্য প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। ফলে রোগী গ্লুটেনযুক্ত খাবার খেলে, পাচনতন্ত্রের সমস্যা শুরু হয়ে যায় পাচকগ্রন্থির প্রদাহের কারণে। ফলে, হজমের সমস্যা শুরু হয়, যা গুরুতর আকারও নিতে পারে। পরবর্তীকালে এর থেকে শরীরে পুষ্টির অভাব দেখা দেয়।

🇨🇭 সেলিয়াক রোগের প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গুলি কি কি?

🇨🇭 এই রোগের কারণে অন্ত্রে যে সমস্যা তৈরি হয় তা সাধারণভাবেই প্রত্যক্ষ করা যায়, তবে, শিশু ও প্রাপ্তবয়ষ্ক মানুষের দেহে লক্ষণগুলি কিছুটা আলাদা রকম হতে পারে। সেলিয়াক রোগের কিছু লক্ষণ নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • 🩸 ডায়রিয়া বা পেট খারাপ।
  • 🩸 পেট ফাঁপা।
  • 🩸 কোষ্ঠকাঠিন্য
  • 🩸 বমি।
  • 🩸 ফ্যাকাশে, পাতলা, ভাসমান ধরণের মল ত্যাগ।
  • 🩸 বদহজম।
  • 🩸 অম্বল।
  • 🩸 অম্বলের কারণে গলা জ্বালা।
🇨🇭 পাচনতন্ত্রের উপসর্গগুলি ছাড়া আর যে যে উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়:
  • 🩸 রক্তাল্পতা অর্থাৎ অ্যানিমিয়া এবং ওজন হ্রাস।
  • 🩸 হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া।
  • 🩸 ত্বকের চুলকানি ও তার সঙ্গে ব়্যাশ বা ফুসকুড়ি ওঠা।
  • 🩸 দাঁতের সাদা রঙ অথবা এনামেল নষ্ট হয়ে যাওয়া।
  • 🩸 মাথাযন্ত্রণা।
  • 🩸 মুখের ঘা।
সেলিয়াক রোগ - Celiac Disease | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 সেলিয়াক রোগের ( Celiac Disease ) প্রধান কারণগুলি কি কি?

🇨🇭 এই রোগ জিনগত কারণে হয়, পরিবেশগত কারণে, এবং রোগ প্রতিরোধকজনিত কিছু কারণ, খাদ্যে গ্লুটেন উপস্থিত থাকলে যা রোগপ্রতিরোধকমূলক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এছাড়া, টাইপ-01 ডায়াবেটিস বা মধুমেহ রোগ, আলসারের কারণে মলাশয়ে প্রদাহ, থাইরয়েড রোগ, মৃগী এবং ক্রোমোজম ঘটিত অসুখ ডাউন্স সিন্ড্রোমের মতো রোগের ফলস্রুতিতে সেলিয়াক রোগ দেখা দিতে পারে।

🇨🇭 সেলিয়াক অসুখ Celiac Disease কিভাবে নির্ণয় করা হয় এবং এর চিকিৎসা কি?

🇨🇭 সেলিয়াক রোগের লক্ষণ প্রায়ই বদলাতে থাকে, আর সেই কারণে মাত্র 20 শতাংশ রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পরে। সেলিয়াক রোগ হয়েছে কিনা তা জানার জন্য পরিবারের চিকিৎসাগত ইতিহাস, রোগীর চিকিৎসাগত ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করা হয়, সেই সঙ্গে রোগীর খাদ্য তালিকা দেখা হয়, এছাড়াও, রক্ত পরীক্ষা এবং বায়োপসি করেও দেখা হতে পারে।

🧪 দুরকমের রক্ত পরীক্ষা করা হয়: প্রথমটি হলো সেরোলজিকাল টেস্ট যার ফলে জানা যায় গ্লুটেনকে বিনষ্ট করার জন্য শরীরে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি আছে কি না। আর দ্বিতীয় হলো হিউম্যান লিউকোসাইট অ্যান্টিজেন ( HLA – এইচএলএ ) এর জন্য জেনেটিক টেস্ট। ক্ষুদান্ত্রে যেসব ছোটো ছোটো শোষক নল থাকে তার পরিকাঠামোগত কোনও ক্ষতি হয়েছে কিনা তা জানার জন্য অন্ত্রের বায়োপসি করা হয়। তবে, এইসব পরীক্ষায় সঠিক এবং ঠিকমতো ফলাফল যাতে আসে তার জন্য এই সময় গ্লুটেন জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে বলা হয়। এই ধরণের অসুখে পরবর্তীকালে শারীরিক পরীক্ষা বছরে একবার এবং তা আজীবন চালিয়ে যেতে হয়।

🇨🇭 এই রোগ থেকে একেবারে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো গ্লুটেন নেই এমন খাবার খেতে হবে, এমনকি গ্লুটেনের উপস্থিতি আছে এমন কোনও ওষুধ, সাপ্লিমেন্ট বা সম্পূরক খাদ্য এবং পানীয় গ্রহণ করা যাবে না। একজন ভালো পুষ্টিবিদের পরামর্শে খাদ্যতালিকায় গ্লুটেনমুক্ত খাবার যেমন নিশ্চিত করতে হবে, তেমনই এটাও দেখতে হবে শরীরে যেন প্রয়োজনীয় প্রোটিনের ঘাটতি না হয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাওয়া অন্ত্র সেরে উঠতে শুরু করে, ক্ষুদ্রান্তে অবস্থিত শোষক নলও আবার তৈরি হয়ে যায় কয়েক মাসের মধ্যে। অন্ত্র পুনরায় আগের মতো হয়ে এলে প্রদাহ দূর হয় এবং উপসর্গগুলিও আর দেখা দেয় না। খাবার ও পানীয় গ্রহণের সময় শতর্ক থাকতে হবে। প্যাকেটের গায়ে দেখে নিতে হয় গ্লুটেনের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির ব্যাপারটি। সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়ে তবেই তা কিনতে হয়।

Homeopathic Doctor BD,হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা,হোমিও চিকিৎসা,যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ,ডাঃ মাসুদ হোসেন,dr. masud hossain,homeo, হোমিও
🇨🇭 স্টার্চযুক্ত বা গ্লুটেনবিহীন কিছু খাদ্য শস্য:

🩸 ভুট্টা, নটেশাক, পেশাই করা ভুট্টা বা কর্নমিল, চাল,বাজরা, সাবু দানা ও অ্যারারুট।
তাজা মাংস, মাছ, পোল্ট্রি জাতীয় খাবার, বেশিরভাগ দুগ্ধজাতীয় খাদ্য ও শাকসব্জি।

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

ডা.মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!