ফুসফুসজনিত সমস্যার বিস্তারিত তথ্য ও হোমিও চিকিৎসা।

ফুসফুসজনিত সমস্যার বিস্তারিত তথ্য ও হোমিও চিকিৎসা।

🇨🇭 ফুসফুস অকেজো হওয়ার লক্ষণ :

🫁 ফুসফুসজনিত সমস্যা বেশিরভাগ মানুষই কর্মব্যস্ত জীবনে বুকে ব্যথা, সামান্য কাশি বা শ্বাসকষ্টকে সাধারণ ভেবে অবহেলা করেন। তবে এটি ফুসফুসের ক্ষতির প্রথম লক্ষণ হতে পারে।

🫁 এ কারণে সবারই জেনে রাখা উচিত শরীরে কোন কোন লক্ষণ দেখলে বুঝবেন যে আপনি ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন ?

🫁 শ্বাসকষ্ট: কোনো কাজ করার সময় শ্বাসকষ্ট হলে তা ফুসফুসের ক্ষতির লক্ষণ হতে পারে। আপনার যদি ক্রমাগত শ্বাস নিতে সমস্যা হয় তবে এটিকে কখনই হালকাভাবে নেবেন না।

🫁 দীর্ঘস্থায়ী কাশি: কেউ যদি ৮ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঠান্ডা বা কফের সমর্স্যায় ভোগেন, তাহলে বুঝতে হবে এটি দীর্ঘস্থায়ী কফ। দীর্ঘস্থায়ী কাশি ফুসফুসের ক্ষতির প্রথম লক্ষণ হতে পারে।

ফুসফুসজনিত সমস্যার বিস্তারিত তথ্য ও হোমিও চিকিৎসা।

🫁 এটা উপেক্ষা না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

🫁 ক্রনিক মিউকাস: মিউকাস ফুসফুসের সুরক্ষা বা বাহ্যিক আক্রমণ প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে শ্লেষ্মা তৈরি হয়। তবে যখন এটি খুব বেশি হয়ে যায় ও একমাস বা তার বেশি সময় ধরে বুকে বিরক্ত করে, তখন এটি ফুসফুসের রোগের লক্ষণ হতে পারে।

🫁 কাশির সঙ্গে রক্ত পড়া: কাশির সঙ্গে রক্ত পড়া ফুসফুসের রোগের প্রধান লক্ষণ। রক্ত যেখান থেকে আসুক না কেন, এই লক্ষণ হতে পারে মারাত্মক। এমনকি ফুসফুস ক্যানসারেরও লক্ষণ হতে পারে এটি।

🫁 বুকে ব্যথা: বুকে ব্যথা যদি এক মাস বা তারও বেশি সময় ধরে থাকে, বিশেষ করে যখন আপনি কাশি বা শ্বাস নিচ্ছেন, এটি ফুসফুসের গুরুতর রোগের লক্ষণ হতে পারে। এসব লক্ষণ দেখলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে দ্রুত।

🫁 শব্দ: শ্বাস,প্রশ্বাসে কষ্ট হওয়া বা শব্দ হওয়ার লক্ষণ কিন্তু মোটেও সুবিধার নয়। ফুসফুসের শ্বাসনালি সরু হয়ে যাওয়ার লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এমনটি ঘটলে সতর্ক থাকুন, ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🫁 ফুসফুস( Lung’s ):

শরীরের অন্যতম এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ফুসফুস। ফুসফুস বাতাস থেকে অক্সিজেন টেনে রক্ত প্রবাহে পরিবহন করে। একই সময়ে, তারা শরীরের অভ্যন্তরে উৎপন্ন কার্বন ডাই অক্সাইডকে শরীর থেকে বের করে দিতে সহায়তা করে। রক্তে অক্সিজেন বহন করা ছাড়াও ফুসফুসের আরও অনেক কাজ আছে। ফুসফুস শরীরের PH এর ভারসাম্য বজায় রাখে। শরীরে সংক্রমণ-সৃষ্টিকারী অণুজীবের আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে ফুসফুসে উপস্থিত মিউকোসিলিয়ারি ক্লিয়ারেন্স তা দূর করে।

🫁 যদি ফুসফুসে খুব বেশি চাপ পড়ে ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের আক্রমণ ঘটে, তাহলে ফুসফুস( Lung’s ) দুর্বল হতে শুরু করে। এজন্য সময়মতো ফুসফুসের স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি।

🇨🇭 ফুসফুস ( Lung’s ) পরিষ্কার রাখতে 6 উপায়:

🫁 আমাদের শরীরের একটি অন্যতম অঙ্গ হচ্ছে ( Lung’s ) ফুসফুস। এটির মাধ্যমেই আমরা শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকি। কিন্তু এ অঙ্গটি প্রতিনিয়তই বাতাস থেকে বিভিন্ন দূষিত উপাদান গ্রহণ করে চলে।

🫁 বিশেষ করে যারা ধূমপান করেন এবং বেশি ধুলাবালি যুক্ত রাস্তায় বা স্থানে চলাচল করেন, তাদের ফুসফুস ( Lung’s ) আরও বেশি দূষিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর এর কারণে অনেক সময় হাঁপানি, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ এবং সিস্টিক ফাইব্রোসিসের মতো সমস্যা দেখা দেয়।

🫁 বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ( WHO ) মতে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী 42 লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। তাই এ ঝুঁকি এড়াতে আমাদের ফুসফুসকে যতটা সম্ভব সুরক্ষিত ও পরিষ্কার রাখতে হবে।

🫁 আর শরীরের বাকি অংশকে সুস্থ রাখার জন্য ফুসফুসের স্বাস্থ্য বজায় রাখাও অপরিহার্য। তাই আজ জানুন যে ছয় উপায়ে পরিষ্কার রাখতে পারবেন ( Lung’s ) ফুসফুস:

  1. বাষ্প থেরাপি:
    বাষ্প থেরাপি বা বাষ্প নিঃশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করলে সেটি ফুসফুসকে শ্লেষ্মা নিষ্কাশন করতে সাহায্য করে। অনেক সময় ফুসফুসের সমস্যার কারণে বা ঠাণ্ডা অথবা শুষ্ক বাতাসে ফুসফুসের শ্লেষ্মা ঝিল্লি শুকিয়ে যেতে এবং তা রক্ত প্রবাহ কমিয়ে দিতে পারে।

🩸 আর বাষ্প বাতাস নিলে তা ফুসফুসে উষ্ণতা ও আর্দ্রতা যোগ করে শ্বাস-প্রশ্বাসের উন্নতি করতে পারে এবং শ্বাসনালি ও ফুসফুসের ভেতরে শ্লেষ্মা আলগা করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এটি শ্বাস নিতে তাৎক্ষণিক স্বস্তি প্রদান করতে পারে।

ফুসফুসজনিত সমস্যার বিস্তারিত তথ্য ও হোমিও চিকিৎসা।
ফুসফুসজনিত সমস্যার বিস্তারিত তথ্য ও হোমিও চিকিৎসা।

2 . কাশি:
শুনতে একটু অবাক লাগলেও কাশি আপনার ফুসফুসকে পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করতে পারে। শরীরের প্রাকৃতিকভাবে শ্লেষ্মা আটকে থাকা টক্সিনগুলোকে বের করে দেওয়ার উপায় হচ্ছে কাশি। আর নিয়ন্ত্রিত কাশি ফুসফুসে অতিরিক্ত শ্লেষ্মা ঢিলা করে এবং তা শ্বাসনালি দিয়ে ওপরে বের করে দেয়।

3 . নিঃশ্বাসের ব্যায়াম:
নিঃশ্বাসের ব্যায়াম করেও ফুসফুসকে অনেকটা পরিষ্কার করতে পারা যায়। এর জন্য আপনাকে সোজা হয়ে শুয়ে এবং কোমরের নিচের দিকে বালিশ নিতে হবে, যাতে বুক একটু নিচের দিকে থাকে। পরে ধীরে ধীরে নাক দিয়ে শ্বাস নিতে ও মুখ দিয়ে ছাড়তে হবে। আর এ ক্ষেত্রে প্রতিটি শ্বাস ছাড়তে শ্বাস নেওয়ার চেয়ে দ্বিগুণ সময় নেওয়া উচিত।

4 . ব্যায়াম:
নিয়মিত ব্যায়াম করলে তা মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং এটি স্ট্রোক, হৃদরোগসহ অনেক স্বাস্থ্য অবস্থার ঝুঁকি হ্রাস করে।

🫁 এ ছাড়া ব্যায়াম শরীরের শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বাড়িয়ে দিয়ে পেশিগুলোকে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে বাধ্য করে। ফলে পেশিগুলোতে অক্সিজেনের সরবরাহ বেশি হয়।

5 . গ্রিন টি:
গ্রিন টিতে অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ফুসফুসের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। আর এ যৌগগুলো ফুসফুসের ( Lung’s ) টিস্যুকে ধোঁয়া ইনহেলেশনের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকেও রক্ষা করতে পারে।

6 . প্রদাহ বিরোধী খাবার:
শ্বাসনালিতে প্রদাহ হলে তা শ্বাস-প্রশ্বাসকে কঠিন করে তুলে বুক ভারি ভাব এবং জমাট বোধ করার মতো সমস্যা করাতে পারে। আর এটি প্রকৃতিকভাবে দূর করতে প্রদাহবিরোধী খাবার খাওয়া অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। এ জন্য প্রদাহবিরোধী খাবার হিসেবে হলুদ, বিভিন্ন শাক, চেরি ফল, ব্লুবেরি, জলপাই, আখরোট, মটরশুটি, মসুর ডাল ইত্যাদি খেতে পারেন।

🫁 ফুসফুসের ( Lung’s ) স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য কী কী খাবার খেতে পারেন?

🫁 ফুসফুস ভাল রাখতে হলে কী কী খাবেন একনজরে দেখে নেওয়া যাক।

🇨🇭 গ্রিন টি- গ্রিন টি-র মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আপনার বডি ডিটক্স করতে অর্থাৎ শরীরে ভিতর জমে থাকা বর্জ্য পদার্থ নির্গত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহজনিত সমস্যা যেমন: অ্যাসিডিটি বা অম্বলের সমস্যা কমায়। এর পাশাপাশি ফুসফুসের ( Lung’s ) স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।

🇨🇭 ওটস এবং জামজাতীয় ফল: জলখাবারের ক্ষেত্রে ওটস খুবই ভাল উপকরণ। এর মধ্যে রয়েছে হাজার গুণ। আর বিভিন্ন জামজাতীয় ফল বা বেরির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই এই দুই উপকরণ মিশিয়ে খেতে পারলে আপনার ফুসফুসের ( Lung’s ) স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।

🇨🇭 বিটরুট: মূলত আপনার দেহে রক্ত সঞ্চালন ভালভাবে সম্পন্ন করতে এবং অক্সিজেন গ্রহণের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে বিটরুট। এই দুই কাজ ভালভাবে হলে ফুসফুস ( Lung’s ) ভাল থাকবে। তাই প্রতিদিনের মেনুতে বিটরুট যুক্ত করতে পারেন বিভিন্ন ভাবে। স্যালাড বা তরকারিতে খেতে পারেন বিটরুট। এছাড়াও বিটরুটের রস বা জুস খাওয়াও উপকারি।

🇨🇭 সবুজ শাকসবজি: বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাকসবজি যেমন পালং শাক, ব্রকোলি , এগুলির মধ্যে থাকে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ইনফ্লেমেশনের সমস্যা কমায়। এর ফলে আপনার ফুসফুসের ( Lung’s ) স্বাস্থ্য ভাল থাকে। অ্যাসিডিটির সমস্যা কমলে ফুসফুসের ( Lung’s ) সমস্যা কমে।

🇨🇭 হাল্কা গরম লেবুজল: সামান্য গরম জলে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে সকালবেলা খালি পেটে খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। এই পানীয় দেহের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে যেমন সাহায্য করে তেমনই শরীর হাইড্রেটেড রাখে অর্থাৎ শরীরে জলের ঘাটতি হতে দেয় না। এর পাশাপাশি শরীরে মধ্যে জমে থাকা বিভিন্ন দূষিত পদার্থ বা টক্সিন শরীর থেকে নির্গমনে সাহায্য করে। অর্থাৎ বডি ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে এই হাল্কা গরম লেবুজল। এক্ষেত্রে আপনি চাইলে সামান্য মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন।

🫁 ফুসফুসে ( Lung’s ) সংক্রমণ হলে বা কোনও সমস্যা দেখা দিলে অবহেলা না করে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে তাঁরা সতর্ক থাকুন। কারণ সর্দি, কাশি হলে ফুসফুসে সংক্রমণের পরিমাণ বাড়তে পারে।

আরো পড়ুনঃ  ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধ ও সচেতনতা এবং হোমিও চিকিৎসা।
ফুসফুসজনিত সমস্যার বিস্তারিত তথ্য ও হোমিও চিকিৎসা।

🫁 যেসব কারণে ফুসফুসে ( Lung’s ) সমস্যা হয়:

🫁 যতক্ষণ শ্বাস নিতে পারছেন ততক্ষণই জীবন। আর এই শ্বাস নিতে যদি অসুবিধা হয়, তাহলে সেটা সত্যি-ই চিন্তার বিষয়। আমাদের শ্বাস নিতে সাহায্য করে ফুসফুস। আর নানা কারণে ফুসফুসে সমস্যা হয়।

🫁 আসুন তাহলে জেনে নেই কি কারনে ফুসফুসে ( Lung’s ) সমস্যা হয় ?

🩸 ধূমপান: ফুসফুসে অসুখ বা অন্যান্য সমস্যা হওয়ার অন্যতম কারণ ধূমপান। অধূমপায়ীর তুলনায় ধূমপায়ীদের ফুসফুসে নানা সমস্যা হয়। ধূমপানের কারণে ফুসফুসে ( Lung’s ) ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা 10 থেকে 30 গুণ বেশি। এই ক্যান্সারে মৃত্যুর প্রায় 80 শতাংশের জন্য ধূমপানকে দায়ী করা হয়।

🩸 বায়ুদূষণ: বায়ুতে স্বাভাবিক অক্সিজেনের পরিমাণ থাকে 21 শতাংশ। যদি কোনো কারণে এর ঘাটতি হয়ে অন্য গ্যাসের ঘনত্ব বা বালুকণার পরিমাণ বেড়ে যায় তখনই বায়ু দূষন হয়। আর সেই বায়ু গ্রহণের ফলে ফুসফুসের ( Lung’s ) নানা রোগে অনেকেই আক্রান্ত হয়। ফুসফুসের ক্যান্সারের মৃত্যুর 5 শতাংশ বায়ুদূষণের সঙ্গে সম্পর্কিত।

🩸 বংশগত: পরিবারের কোনো সদস্য ফুসফুস সংক্রান্ত কোনো রোগ বা ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে নিজেরা ধূমপান না করলেও এই রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

🩸 খাদ্যাভ্যাস: কিছু খাবারকে দায়ী করা হয় ফুসফুসের জটিলতার জন্য। যেমন – অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় ও কোলেস্টেরলসমৃদ্ধ খাবার। এ জন্য এসব বর্জন করা উচিত।

🩸 বিভিন্ন রোগ: ফুসফুসকে নষ্ট করে দেওয়া বা অকার্যকর করার জন্য দায়ী ফুসফুসের কিছু রোগ। যেমন:

🫁 অ্যাজমা : হাঁপানি বা অ্যাজমা একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ, যার মূল লক্ষণ হলো শ্বাসকষ্ট। মূলত এটা একটা বংশগত রোগ। অ্যালার্জি, তামাকের ধোঁয়া ও রাসায়নিক উত্তেজক পদার্থ হাঁপানির মূল কারণ হিসেবে ধরা হয়।

🫁 COPD : ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ বা সিওপিডি এক ধরনের ফুসফুসের ( Lung’s ) রোগ, যা ফুসফুসে অক্সিজেন প্রবাহের গতি ধীর করে দেয়। ফলে এই রোগে আক্রান্ত 40 শতাংশ মানুষই মানসিক কষ্ট ও উদ্বেগের সমস্যায় ভোগে।

🫁 শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ : শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ বলতে শ্বাসনালির সঙ্গে জড়িত নানা রোগকে বোঝায়। উচ্চ শ্বসনতন্ত্রে সাধারণত সংক্রমণের মধ্যে টনসিলাইটিস, ফ্যারিনজাইটিস, ল্যারিনজাইটিস, সাইনোসাইটিস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়া, সর্দি ইত্যাদি অন্যতম।

🫁 যক্ষা : বাংলাদেশে ফুসফুসের প্রধান রোগ যক্ষ্মা। এটি ছোঁয়াচে রোগ বলে যক্ষ্মায় আক্রান্ত একজন রোগী আরো ১০ জনকে আক্রান্ত করতে পারে।

🫁 COVID-19 : করোনা ভাইরাসজনিত সংক্রমণে COVID-19 এর প্রধান লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে ( Lung’s ) ফুসফুস। শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে ফুসফুসে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে এই ভাইরাসের সংক্রমণ। ফুসফুসের কোষগুলোতে এই ভাইরাস বাসা বাঁধে এবং সেখানেই প্রসার ঘটায়।

🫁 শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ( Lung’s ) ফুসফুস।ধূমপান না করা, ব্যায়াম করা, বায়ুদূষণ এড়িয়ে যাওয়া ইত্যাদি ফসুফুসকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। তবে এর পাশাপাশি কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খাদ্যতালিকায় থাকলে ফুসফুস ( Lung’s ) ভালো থাকে।

  1. আপেল: আপেল খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। যুক্তরাজ্যের এক গবেষণায় বলা হয়, সপ্তাহে যারা দুটি থেকে পাঁচটি আপেল খায়, তাদের অ্যাজমা হওয়ার ঝুঁকি ৩২ ভাগ কমে যায়। আপেলের মধ্যে রয়েছে ফ্লাবোনয়েড। এটি শ্বাস নেওয়ার পথকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে, ফুসফুসকে ভালো রাখে।
  2. গাজর: গাজর বিটা ক্যারোটিন এবং অন্যান্য অ্যান্টি অক্সিডেন্টের জন্য প্রসিদ্ধ। গবেষণায় বলা হয়, বিটা ক্যারোটিন শরীরে গিয়ে ভিটামিন ‘এ’ তে রূপান্তরিত হয়। ফুসফুস ( Lung’s ) ভালো রাখতে গাজর একটি চমৎকার খাবার।
  3. কফি: কতটুকু পরিমাণ কফি পান শরীরের জন্য ভালো- এ নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। তবে কফি কিন্তু ফুসফুস ( Lung’s ) ভালো রাখতে সাহায্য করে, বিশেষ করে ব্ল্যাক কফি। কফি পানের চার ঘণ্টা পর শ্বাসতন্ত্রের কার্যক্রম আরো ভালো হয়। তাই ফুসফুস সুরক্ষিত রাখতে এই কফি পান করতে পারেন।
  4. রসুন: রসুনের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটোরি উপাদান। দীর্ঘকাল ধরে বিভিন্ন ভাইরাসজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধে রসুন ব্যবহৃত হয়ে আসছে। রসুন অ্যাজমা প্রতিরোধ করে, প্রতিরোধ করে ফুসফুসের ক্যানসারও।
  5. অ্যাভোকাডো: অ্যাভোকাডোর মধ্যে রয়েছে প্রয়োজনীয় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এর নাম গ্লুট্যাথাইওয়ান। এর মধ্যে রোগ নিরাময়কারী গুণ রয়েছে। এটি ফ্রি রেডিকেলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীরকে সুরক্ষিত রাখে। ফুসফুসকে ( Lung’s ) ভালো রাখতে বেশ উপকারী খাবার অ্যাভোকাডো।
হোমিও চিকিৎসা

🫁 ফুসফুস ( Lung’s ) ভালো রাখে যে অভ্যাস গুলো ?

🫁 পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা কখনোই ধূমপান করেন না কিন্তু তারপরেও তাদের ফুসফুসে ( Lung’s ) সমস্যা থাকে। কিন্তু অন্য দিকে যারা প্রায় 40 বছর ধরে ধূমপান করছেন তাদের ফুসফুসে কোন ধরণের সমস্যাই নেই। এই বিষয়টি প্রতিটি মানুষের শারীরিক রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে। তাই আপনি ধূমপান করুন আর নাই করুন, আপনার ফুসফুসে ( Lung’s ) সমস্যা হতেই পারে। এজন্য কীভাবে আপনার ফুসফুসকে পরিষ্কার করবেন দেয়া হল কিছু পদ্ধতি। তবে ফুসফুসের সুস্থতায় আপনাকে অবশ্যই সব ধরণের দুগ্ধজাত খাবার হতে নিজেকে দূরে রাখতে হবে এবং ফুসফুস পরিষ্কার করার পদ্ধতিগুলোর মাধ্যমে দুগ্ধজাত খাবারের টক্সিন গুলো বের হয়ে যাবে।

  1. রাতে ঘুমানোর আগে আপনি 1 কাপ হার্বাল চা পান করুন। এই চা পানের মাধ্যমে আপনার দেহ থেকে সমস্ত টক্সিন বের হয়ে যাবে যা দেহের জন্য ক্ষতিকর। এই পদ্ধতি মেনে চলার সময় এমন কোন কাজ করা যাবেনা যা ফুসফুসের ওপরে চাপ প্রয়োগ করে।
  2. সকালে নাস্তা করার আগে 300 মিলিলিটার পানির সাথে ২ টি লেবুর রস চিপে পানির সাথে মিশিয়ে পান করুন।
  3. আঙুর বা আনারসের জুস বানিয়ে পান করুন, কারণ এই দুটি ফলের জুসে রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমদের দেহের শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ার পদ্ধতিকে উন্নত করে।
  4. সকালের নাস্তায় ও দুপুরে খাওয়ার সময়ে খাদ্য তালিকায় রাখুন গাজরের জুস। গাজরের জুস দেহের রক্তে ক্ষারের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
  5. দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় কলার জুস, নারকেলের শ্বাস, পালংশাক খেতে পারেন কারণ এই খাবারগুলোর মধ্যে আছে পটাশিয়াম যা দেহের বিষাক্ত টক্সিন পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

🫁 ফুসফুস ( Lung’s ) ভালো রাখার ব্যায়াম:

🫁 নিয়মিত শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম ফুসফুসকে সুস্থ রাখে। বিশেষত হাঁপানি বা ক্রনিক ব্রংকাইটিসের রোগীদের ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়াতে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম উপকারী। এ ছাড়া এতে শিথিলায়ন হয় বা মানসিক চাপ কমে। এ রকম কয়েকটি ব্যায়াম সম্পর্কে জেনে নিন:

🫁 রিলাক্সিং ব্রিদিং: পিঠ সোজা রেখে আরাম করে বসুন। হুস- আওয়াজ করে মুখ দিয়ে ফুসফুসের সবটুকু বাতাস বের করে দিন। এবার চোখ বন্ধ করে নিঃশব্দে নাক দিয়ে 1 থেকে 4 পর্যন্ত গুনতে গুনতে গভীর শ্বাস নিন। সেটা ভেতরে আটকে রাখুন, মনে মনে 7 পর্যন্ত গুনুন। এবার ঠোঁট গোল করে আবার ‘হুস’ করে পুরোটা বাতাস বের করে দিন 8 পর্যন্ত গুনতে গুনতে। কয়েক সেকেন্ড বিশ্রাম নিয়ে পর পর চারবার এভাবে শ্বাস নিন। এই ব্যায়াম দিনে দুবার করা ভালো। এতে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মানসিক চাপ কমে। ঘুমও ভালো হয়।

🫁 শ্বাস গোনার ব্যায়াম: এই ব্যায়ামে ক্রমান্বয়ে প্রশ্বাসের সময় ধীর করে আনতে হয়। মেরুদণ্ড সোজা করে বসুন। চোখ বন্ধ করে পর পর কয়েকবার গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। ধীরে ধীরে এর গতি কমে আসবে। প্রথমে প্রশ্বাস ছাড়ার সময় এক গুনবেন, তার পরের বার দুই, এভাবে পাঁচ পর্যন্ত। তারপর আবার নতুন করে এক দিয়ে শুরু করুন। এই ব্যায়ামটি দিনে 10;মিনিট করবেন। এটি এক ধরনের মেডিটেশন বা ধ্যান। এটি মস্তিষ্ককে সজাগ করে ও মনঃসংযোগ বাড়ায়। মানসিক চাপ কমায়।

🫁 বেলো ব্রিদিং: মুখ বন্ধ করে চটপট নাক দিয়ে ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার ব্যায়াম এটি। প্রতি সেকেন্ডে তিনবার শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার চেষ্টা করুন। শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার সময়টি সমান থাকবে। এতে বুকের ও বক্ষচ্ছদার মাংসপেশির দ্রুত ব্যায়াম হবে। তারপর কিছুক্ষণ স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। 15 সেকেন্ডের বেশি নয়। এটি যোগব্যায়ামের একটি কৌশল। এতে ক্লান্তি ঝরে যায় এবং কর্মস্পৃহা ও উদ্যম বাড়ে।

🫁 ফুসফুস ( Lung’s ) মানবদেহের একটি অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গ। মানবদেহে লালচে বাদামি রঙের এই অঙ্গটি থাকে। পেটের ওপর বুকজুড়ে হূৎপিণ্ডের দুই পাশে ফুসফুসের অবস্থান। ইংরেজিতে এর নাম ( Lung’s ) লাঙ। ফুসফুসকে আবৃত করে রাখা পাতলা পর্দা দুটিতে কোনো কারণে প্রদাহের সৃষ্টি হলে প্রতিক্রিয়াস্বরূপ পর্দা দুটির মাঝখানের শূন্যস্থানে থাকা তরলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এ তরল পানি, রক্ত-পুঁজ ইত্যাদি যে কোনো জাতীয় হতে পারে। অনেক সময় পর্দা দুটির মাঝখানে শুধু বাতাসও জমতে পারে। সাধারণভাবে দুই পর্দার মাঝখানে থাকা তরলের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে তাকে প্লুরাল ইফিউশন বলে।

এ রোগ বুকের একদিকে বা উভয় দিকেই হতে পারে। রোগীসাধারণত কাশি, শ্বাসকষ্ট, জ্বর এবং যে দিকে তরল জমা বৃদ্ধি পায় সেদিকে বুকে ব্যথা অনুভব করে। অনেক সময় তরল বৃদ্ধির পরিমাণ অল্প হলে রোগী কোনো ধরনের সমস্যা অনুভব নাও করতে পারে। ফুসফুসজনিত বা ফুসফুসবহির্ভূত কারণে এ ধরনের তরল বৃদ্ধি পেতে পারে। ফুসফুসজনিত কারণগুলোর মধ্যে যক্ষ্ণা বা টিবি রোগ অন্যতম প্রধান কারণ। প্রায় 80 ভাগ মানুষের এই তরল বৃদ্ধি বা পল্গুরাল ইফিউশনের কারণ এই যক্ষ্ণা বা টিবি রোগ। এ ক্ষেত্রে রোগী কাশি, সান্ধ্যকালীন অল্প জ্বর ও দ্রুত ওজন হ্রাসের মতো লক্ষগুলো অনুভব করে।

homeo treatment chattogram

🫁 ফুসফুসজনিত অন্য কারণগুলোর মধ্যে নিউমোনিয়া, ভাইরাসজনিত জ্বর, ফুসফুসের ক্যান্সার অন্যতম। নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগী সাধারণত কাশি, কাশির সঙ্গে রক্ত পড়া, উচ্চমাত্রার জ্বর ও আক্রান্ত দিকে তীব্র বুকের ব্যথা নিয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারে। শিশু ও বয়স্ক রোগীরা এ রোগে অধিকহারে আক্রান্ত হয়। ভাইরাসজনিত ফুসফুস আক্রান্ত হলে প্লুরিসির সৃষ্টি হয় এবং রোগী শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় তীব্র ব্যথা অনুভব করে। ফুসফুসের ( Lung’s ) ক্যান্সার হলে তা প্লুরায় ছড়াতে পারে কিংবা অনেক সময় প্লুরাতে ক্যান্সার হতে পারে। উভয় ক্ষেত্রেই আক্রান্ত দিকে পানি অথবা তরল জমতে পারে।

এসব ক্ষেত্রেও রোগী কাশি, কাশির সঙ্গে রক্ত যাওয়া, জ্বর, বুকে ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ অনুভব করতে পারে। সে ক্ষেত্রে টেট্রাসাইক্লিন বা ব্লিওমাইসিন ইনজেকশন আবরণী পর্দার দু’স্তরের মাঝখানে প্রয়োগ করে স্তর দুটিকে পরস্পরের সঙ্গে জোড়া লাগানোর মাধ্যমে আপাত শূন্য স্থানটিকে বিলোপ করা হয়। ফলে পানি অথবা তরল বার বার জমার জন্য প্রয়োজনীয় স্থানটুকু পায় না। সঠিক সময়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহণ ও ওষুধ সেবন করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ রোগ থেকে সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করা যায়।

🇨🇭 ফুসফুসজনিত সমস্যার হোমিওপ্যাথি রেমিডি: ফুসফুস আমাদের দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। পরিবেশ দূষণের কারণে প্রতিনিয়ত আমাদের ফুসফুস দূষিত হচ্ছে। ফুসফুসকে ভালো রাখতে হলে আমাদের ফুসফুসকে ডিটোক্স করতে হবে। ফুসফুসকে ডিটোক্স করতে ও ফুসফুস জনিত সমস্যার জন্য হোমিওপ্যাথি হলিস্টিক মেডিসিন। হোমিওপ্যাথি ঔষধ ফুসফুসকে হেলদি রাখতে চমৎকার কাজ করে। তবে অবশ্যই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত ও প্রাকৃতিক। ফুসফুসজনিত সমস্যা হতে স্থায়ীভাবে নিরাময় লাভ করতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্ৰহন করুন এবং সুস্থ থাকুন। তবে অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড প্রাপ্ত ও অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে হবে।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হোমিও-চিকিৎসা.

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন
Dr. Masud Hossain.
(বি, এইচ, এম, এস )
(ডি, এইচ, এম, এস) ( ঢাকা )।

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

📞 মোবাইল : +8801907-583252
+8801302-743871

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 সকাল 09:00 — 01:00 টা।
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!