লুপাস রোগ কি ? লুপাস কেন হয় ? এর হোমিও চিকিৎসা:

লুপাস রোগ কি ? লুপাস কেন হয় ? এর হোমিও চিকিৎসা।

🇨🇭 লুপাস রোগ ( Lupus ) কি ?
লুপাস রোগ আক্রান্তদের গর্ভাবস্থায় সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি। তবে তারা সুস্থ সন্তান ধারণ করতে পারে।
লুপাস এক ধরনের – অটোইমিউন- ( Autoimmune Disease ) রোগ। যখন ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা স্বাভাবিকভাবে কাজ করে, তখন তারা শরীরের জীবাণু এবং খারাপ- কোষকে মেরে ফেলতে সক্ষম হয়, যা পরবর্তীতে ক্যান্সারে পরিণত হতে পারে। যখন একজন ব্যক্তির অটোইমিউন রোগ হয়, শুধুমাত্র খারাপ কোষগুলিকে হত্যা করার পরিবর্তে, ইমিউন সিস্টেম সুস্থ কোষলোকে আক্রমণ করতে শুরু করে। একে ( অটোইমিউন রেসপন্স ) বলা হয়। লুপাস আক্রান্ত ব্যক্তিদের দেহের কিছু অংশে এটি ঘটতে পারে। এটিই লক্ষণগুলির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

লুপাস রোগ কি ? লুপাস কেন হয় ? এর হোমিও চিকিৎসা:

🇨🇭 লুপাস রোগ লক্ষণ:

🩸 লুপাস আক্রান্ত রোগীদের মৃদু ও মারাত্মক 2 ধরনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

🧪 মৃদু লক্ষণ:

  1. ক্লান্ত বা দুর্বল বোধ হবে।
  2. জ্বর ও জ্বরজ্বর ভাব হবে।
  3. নাকে এবং গালে প্রজাপতির আকৃতির ফুসকুড়ি সৃষ্টি হতে পারে।
  4. চুল পড়া, মুখের মধ্যে ঘা হতে পারে।
  5. ঠাণ্ডায় হাত বা পায়ের আঙ্গুল ফ্যাকাশে বা নীল রঙের হয়ে যেতে পারে।
  6. মৃদু জয়েন্টে ও গিরায় ব্যথা হতে পারে।
  7. দেহের ওজন হ্রাস বা বেড়ে যেতে পারে।

🧪 মারাত্মক লক্ষণ:

  1. হাত-পা-পেট বা চোখের চারপাশে ফোলাভাব ও পানি আসা।
  2. বাদামি – চা-রঙের বা ফেনাযুক্ত প্রস্রাব হওয়া।
  3. মাথাব্যথা, খিঁচুনি, অস্বাভাবিক আচরণ ও অজ্ঞান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  4. পায়ে বল বা শক্তি না পাওয়া, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ও রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে।
  5. বার বার বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়া বা মৃত বাচ্চা প্রসব, তীব্র গিরা ব্যথা বা ফোলা ভাব ইত্যাদি।

🇨🇭 যেহেতু এই রোগটি মস্তিষ্কে আক্রমণ করে তাই এটি মোকাবেলা করা কঠিন।

🇨🇭 করণীয় – Prevention:

🩸 নিয়মিত ফল সবজি ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।

🩸 পরিমিত বিশ্রাম নিতে হবে। তবে খুব বেশি বিশ্রাম করলে পেশি দুর্বল হয়ে যায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

🩸 যদি কেউ লুপাস আক্রান্ত হন। তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেতে হবে। তবে কিছু ওষুধ রয়েছে, যেগুলো এই রোগের মাত্রাকে আরও বাড়ায়। সুতরাং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ গ্রহণ করা করা উচিত নয়।

লুপাস রোগ কি ? লুপাস কেন হয় ? এর হোমিও চিকিৎসা:

🇨🇭 লুপাস আক্রান্তদের গর্ভধারণের পূর্বে করণীয়:

🩸 লুপাস আক্রান্তদের গর্ভাবস্থায় সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি। তবে তারা সুস্থ সন্তান ধারণ করতে পারে। সন্তান ধারণের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হলে, সেক্ষেত্রে কমানোর উপায়ও রয়েছে। এজন্য অন্তত 6 মাস লুপাসের লক্ষণ না দেখা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

🇨🇭 লুপাসের ( Lupus ) প্রভাব:

🩸 অনেকের সারাজীবন লুপাস থাকবে। এটি কখনো গুরুতর হতে পারে, আবার হালকা হতেও পারে। তবে এই রোগটির চিকিৎসা সম্পর্কে বাত বিশেষজ্ঞরা অনেক অভিজ্ঞ।

🇨🇭 লুপাস ( Lupus ) রোগীদের বিয়ে সন্তান ও পরিবার:

🩸 লুপাস ( Lupus ) একটি গ্রিক শব্দ, যার মানে হচ্ছে ( নেকড়ে )।

🩸 লুপাস ( Lupus ) রোগের পুরো নাম : সিস্টেমিক লুপাস ইরাইথেম্যাটোসাস- ( Systemic Lupus Erythematosus ) বা SLE. নেকড়ের আক্রমণের মতো আকস্মিক ও ভয়াবহ বলে এই রোগের নাম হয়েছে লুপাস।

আরো পড়ুনঃ কার্সিনোমা বা ক্যান্সার কেন হয় এবং এর বিস্তারিত তথ্য | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 লুপাস ( Lupus ) রোগীদের মধ্যে 90 শতাংশই কম বয়সী নারী!

🩸 এর মধ্যে 65 শতাংশের বয়স 16 – 55 বছরের মধ্যে। ছেলেদেরও লুপাস হতে পারে, তবে প্রকোপ মেয়েদের চেয়ে অনেক কম।

🩸 লুপাসের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে, কারণ ছাড়াই অনেক দিন ধরে জ্বর, প্রজাপতির পাখার মতো নাকের দুই পাশে লাল চাকা, সারা শরীরে গোল গোল লাল রঙের চাকা, চুল পড়া, জয়েন্ট ব্যথা, রক্তশূন্যতা, মুখের তালুতে ঘা, অবসাদ, বারবার বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়া, অস্বাভাবিক আচরণ, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

🩸 এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই একজন রিউম্যাটোলজিস্টের অধীনে থেকে সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় জরুরি।

🩸 লুপাস একটি সিস্টেমিক রোগ। এই রোগে শরীরের বিভিন্ন সিস্টেম যেমন- চর্ম, স্নায়ুতন্ত্র, রক্ত সঞ্চালন তন্ত্র, কিডনি, মাস্কুলো-স্কেলেটাল সিস্টেম ইত্যাদি আক্রান্ত হয়, তাই রোগীর মনে ভয় থাকে সে কি আর দশটা স্বাভাবিক মানুষের মতো বিয়ে করতে বা সংসার করতে পারবে কি না। সন্তান নিতে পারবে কি না। হ্যাঁ, এ ধরনের রোগীদের বিয়ে, সংসার ও সন্তান নেওয়া সবই সম্ভব।

শুধু দরকার পরিবার, আত্মীয় ও বন্ধু-বান্ধবের সহানুভূতিশীল আচরণ ও আন্তরিক সাহায্য। একজন লুপাস রোগীর বাচ্চা নেওয়ার পূর্ব শর্ত হচ্ছে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। রোগী বাচ্চা নিতে পারবে কি পারবে না তা নির্ভর করে লুপাসের মাত্রা এবং কী ওষুধ দিয়ে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে তার ওপর। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গর্ভবতী নারীদের কোনো ওষুধ সেবন করা উচিত নয়। যেসব ওষুধ দিয়ে লুপাস নিয়ন্ত্রণে রাখা হয় তার মধ্যে কিছু কিছু যেমন: মেথোট্রেক্সটে,সাইক্লোফস্ফামাইড,
লেফ্লুনোমাইড ইত্যাদি খেলে বাচ্চার জন্মগত ত্রুটি হতে পারে।

হোমিওপ্যাথির ধারণা About Of Homeopathic Treatment

গর্ভবতী হলে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন রোগটি আগের থেকে বেড়ে যেতে পারে, ব্লাডপ্রেশার বেড়ে যেতে পারে, ডায়াবেটিস হতে পারে, বাচ্চা নষ্ট হয়ে যেতে পারে, পেটে বাচ্চার মৃত্যু হতে পারে এবং অন্যান্য ইনফেকশন হতে পারে। তবে হবেই যে এমনটা নয়। বাচ্চার ডেলিভারি অবশ্যই একজন দক্ষ গাইনোকোলজিস্টের তত্ত্বাবধানে এবং হাসপাতালে হওয়া প্রয়োজন। ডেলিভারির পরপরই এই রোগটি বেড়ে যেতে পারে। এ জন্য বাচ্চা হওয়ার পরও চিকিৎসকের পরামর্শে থাকতে হবে।

🇨🇭 লুপাস- Lupus কোনো বংশগত রোগ নয়, তবে মায়ের লুপাস থাকলে মেয়ের লুপাস হওয়ার আশঙ্কা আড়াই শতাংশ। বাচ্চা নেওয়ার আগে কমপক্ষে ছয় মাস রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে। লুপাস রোগীদের জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য কনডম সবচেয়ে উত্তম। কম ইস্ট্রোজেনসম্পন্ন পিল খাওয়া যায়। তবে যাদের এই রোগটি তীব্র আকার ধারণ করেছে, যাদের অ্যান্টিফসফোলিপিড এন্টিবডি সিনড্রোম আছে, মাইগ্রেন আছে এবং যাদের ঠাণ্ডা লাগলে হাতের রং পরিবর্তন হয় তাদের অবশ্যই জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়া উচিত নয়।

🇨🇭 লুপাস ( Lupus ) কেন হয়?

🩸 লুপাস একটি অটো ইমিউন রোগ যেখানে শরীরের ইমিউন সিস্টেম তার নিজস্ব টিস্যু এবং অঙ্গ আক্রমণ করে। এই রোগ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে এবং এতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাহায্য করার জন্য 10 মে দিনটি বিশ্ব লুপাস দিবস পালন করা হয়।

🩸 আন্তর্জাতিক লুপাস ( World Lupus Day- 10 May )

🩸 লুপাস বা লিউপাসকে রোগ হিসেবে বলা হয় অটো ইমিউন ডিজিজ। শরীর নিজেই নিজেকে চিনতে পারে না বলে যে রোগ হয় তাদের মধ্যে লুপাস অন্যতম। শিশু যখন মাতৃগর্ভে থাকে তখন তার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরী হয়। তারপর শিশুর জন্মের পর যখন বাইরের পৃথিবীর বিভিন্ন পরিবেশের সঙ্গে যখন তার পরিচয় ঘটছে তখন সে বুঝে নেয় কোনটা তার শরীরের, কোনটা শরীরের নেয়, সেই মতো প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এইরকম প্রক্রিয়া প্রতিরোধ ক্ষমতার যে কোষগুলি আছে তারা যখন কোনও কারণে নিজেদের চিনতে পারে না তখন লুকাস আক্রান্ত হয় রোগী।

🩸 পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যেই আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। অনুপাত -( 3:1 )। গাঁটে ব্যথা, দ্রুত ও বিপজ্জনকভাবে চুল পড়ে যাওয়া, মুখে ঘা, গায়ে র‍্যাশ, হৃদযন্ত্র, ফুসফুসে জল জমা, লিভার, কিডনি খাদ্যনালীরও ক্ষতি হয়। অ্যানিমিয়া, প্লেট রেট কমে যাওয়া এসবও লুপাসের লক্ষণ।

🩸 তবে লুপাসের সামগ্রিক চেহারা নিয়ে সেভাবে আজও সচেতনতা গড়ে ওঠেনি। অন্যান্য রোগের ব্যথা ও লুপাসের ব্যথার মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল লুপাস রোগীর সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর গাঁটে গাঁটে অসম্ভব ব্যথা হয়।

🩸তবে এই রোগকে আগে থেকে প্রতিরোধের তেমন উপায় নেই। একসময় মনে করা হত মহিলাদের লুপাস – Lupus হলে আর গর্ভধারণ সম্ভব নয়। আধুনিক চিকিৎসায় এই পরিস্থিতি বদলেছে। চিকিৎসকদের মতে নিয়মিত চিকিৎসা এবং সঠিক পরিকল্পনায় সফল গর্ভধারণ অবশ্যই সম্ভব।

🇨🇭 লুপাস একটি দীর্ঘমেয়াদী অটোইমিউন রোগ। হোমিওপ্যাথি লুপাস এর কার্যকরী চিকিৎসা রয়েছে। হোমিওপ্যাথি ঔষধ সেবনের মাধ্যমে লুপাস রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তবে অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড প্রাপ্ত ও অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্ৰহন করতে পারে ‌।

ডাঃ মাসুদ হোসেন
ডাঃ মাসুদ হোসেন

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন
Dr. Masud Hossain.
(বি, এইচ, এম, এস )
(ডি, এইচ, এম, এস) ( ঢাকা )।

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

📞 মোবাইল : +8801907-583252
+8801302-743871

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 সকাল 09:00 — 01:00 টা।
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!