গলার ক্যান্সার এবং ভোকাল কর্ড

গলার ক্যান্সার এবং ভোকাল কর্ড পলিপস চিকিৎসায় হোমিও

🇨🇭 গলার ক্যান্সার বা ভোকাল কর্ডের ( Vocal Cord ) সমস্যায় কী করবেন?

🇨🇭 একে অপরের সঙ্গে কথা বলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে ভোকাল কর্ড। বিভিন্ন কারণে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সঠিক চিকিৎসা নিয়ে পুরোপুরি সুস্থতা লাভ করা যায়।

🇨🇭 কণ্ঠনালির ( Vocal Cord ) সমস্যা ও প্রতিকার নিয়ে বিস্তারিত:

🇨🇭 আমাদের গলার সামনে ল্যারিংস বা শব্দযন্ত্র অবস্থিত। ল্যারিংস বা শব্দযন্ত্রে দুটি ভোকাল কর্ড ( Vocal Cord ) থাকে। এই কর্ড দুটির কম্পনের মাধ্যমে শব্দ তৈরি হয়। শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় ফুসফুস থেকে প্রবাহিত বাতাস ভোকাল কর্ডে কম্পনের সৃষ্টি করে।

🇨🇭 কথা বলা বা গান গাওয়ার সময় এই পরিমাণ প্রতি সেকেণ্ডে 100 থেকে 1000 বার।

🇨🇭 একজন বয়স্ক মানুষের দিনে এক মিলিয়ন বার ভোকাল কর্ড ( Vocal Cord ) দুটির সংস্পর্শ হয়। অতএব চিন্তা করুন ভোকাল কর্ডের ওপর আমরা কতটুকু নির্ভরশীল, কাজে, গৃহে ও সবসময় সবখানে। তাই কণ্ঠকে সুস্থ স্বাভাবিক রাখা দরকার।

🇨🇭 পারস্পরিক যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হলো কণ্ঠ বা কথা বলা। অথচ আমরা কণ্ঠস্বর সম্পর্কে তেমন সচেতন নই।

🇨🇭 একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব কেমন হবে তার অনেকটাই নির্ভর করে তার কণ্ঠের ওপর। তাই নিজের সুস্থ থাকার পাশাপাশি শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মতো প্রতিদিন কণ্ঠস্বরেরও যত্ন প্রয়োজন। এজন্য দরকার কণ্ঠের পরিমিত এবং নিয়ন্ত্রিত সদ্ব্যবহার। কণ্ঠের অপব্যবহার থেকে সচেতন হয়ে কণ্ঠস্বরের যত্নে যা করা উচিত!

🩸 অযথা চিৎকার,চেঁচামেচি থেকে বিরত থাকতে হবে। উচ্চস্বরে বা অনেক জোরে কথা বললে ভোকাল কর্ডে মাইক্রোহেমোরেজ নামক সমস্যা হয়। এতে হেমাটোমা, ফ্রাইব্রোসিস হয়ে অনেক সময় কণ্ঠ পরিবর্তন হয়ে যায়। অনেক সময় শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকবৃন্দ জোরে চিৎকার করে কথা বলে মনের অজান্তে ক্ষতি করে থাকেন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জনসভায়, মায়েরা বাচ্চাদের সঙ্গে, ফেরিওয়ালা, হকারসহ বিভিন্ন কণ্ঠ নিভর্রশীল পেশাজীবীরা।

গলার ক্যান্সার এবং ভোকাল কর্ড

🩸 কণ্ঠের যত্নে জনবহুল জায়গায় শোরগোলের স্থানে মাইক বা সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা উচিত।

🩸 ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে। ধূমপান সরাসরি আক্রমণ করে গলার যে কোনো সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয় এবং জটিল করে তোলে। শতকরা 80-85 ভাগ কণ্ঠনালির ক্যানসার রোগী ধূমপায়ী।

🩸 অত্যধিক ঠান্ডা পানি পরিহার করুন। অনেক সময় প্রচণ্ড গরমের মধ্যে বাইরে থেকে এসেই হুট করেই আমরা ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করি, যা আমাদের গলার জন্য ক্ষতিকর। যাদের ঠান্ডা অ্যালার্জিজনিত সমস্যা আছে তাদের বিশেষ সতর্কতা মেনে চলা উচিত। এ ছাড়াও ঘাম অনেকক্ষণ ধরে শরীরে থাকলে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে, এর ফলেও গলা ভেঙে যায়।

🩸 ঠান্ডা লেগে যদি গলা বসে যায়, তবে কথা বলা বন্ধ করতে হবে বা কমিয়ে দিতে হবে। কণ্ঠনালিকে বিশ্রাম দিতে হবে, এমনকি ফিসফিস করেও কথা বলা যাবে না। গলা ভাঙা উপশমে ভালো পদ্ধতি হলো গরম বাষ্প টানা – Steam Inhalation. । ফুটন্ত পানির বাষ্প যদি দৈনিক অন্তত 10 মিনিট মুখ ও গলা দিয়ে টানা হয়, তবে উপকার হবে। মেনথল ইনহেলেশনও ভোকাল কর্ডকে কিছুটা আদ্রতা দিয়ে থাকে।

🩸 পানি পানে অনীহা নয়। পানিশূন্যতা ( Dehydration ) গলাভাঙার আরেকটি রিস্ক ফ্যাক্টর। অনেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করেন না। সারা দিন কথা বলছেন কিন্তু হয়তো পানি পান করছেন না, এসব কারণে কণ্ঠের ক্ষতি হয়। কণ্ঠের সুস্থতার জন্য প্রতিদিন অন্তত দুই লিটার পানি পান করতে হবে। কফি, চা, কোমল পানীয় শরীরের কোষে পানিশূন্যতা ঘটায়, তাই খেলে অল্প পরিমাণে খেতে হবে।

🩸 খাদ্যাভাসে এবং দৈনন্দিন জীবন, যাপনে দিতে হবে বিশেষ নজর। আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে একটি অভ্যাস হলো, আমরা অনেক দেরি করে রাতে খাই এবং খেয়েই শুয়ে পড়ি। এটিও কিন্তু কণ্ঠনালির জন্য ভালো নয়। হাইপার অ্যাসিডিটি আছে, এমন – ল্যারিঙ্গো ফ্যারিঞ্জাল রিফ্লাক্স ডিসিজ, রোগীদের গলার আশপাশে প্রদাহজনিত কারণে অনেক বেশি শুকনো হয়ে যায়। তাদের ক্ষেত্রে রাতের খাবার পর অন্তত 2 ঘণ্টা পরে শুতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ঘুমনোর সময় মাথা যেন শরীরের তুলনায় একটু উপরের দিকে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এসিডিটির জন্যও গলা ভেঙ্গে যেতে পারে, তাই রোগীর কাছ থেকে রোগের ইতিহাস বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

🩸 কণ্ঠনালিরও বিশ্রাম দরকার। আমরা অনেক সময় বিরতি ছাড়া কথা বলে যাই, আমরা চিন্তা করি না স্বরযন্ত্রও একটি যন্ত্র। উদাহরণস্বরূপ শিক্ষকদের ক্ষেত্রে অনেক সময় একই রকমভাবে টানা কথা বলতে দেখা যায়। কণ্ঠেরও রেওয়াজ বা ব্যায়াম দরকার। এ ছাড়া শারীরিক ক্লান্তিও কণ্ঠস্বরের ওপর মন্দ প্রভাব বিস্তার করে।

🩸 তিন সপ্তাহের অধিক গলা ভাঙা থাকলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে। চিকিৎসকরা বিভিন্ন পদ্ধতিতে ভোকাল কর্ড বা কণ্ঠনালি পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। পদ্ধতিগুলো হচ্ছে-ইনডাইরেক্ট ল্যারিংগোস্কোপি, ভিডিও ল্যারিংগোস্কোপি। কণ্ঠস্বরের পরিবর্তনে ব্যক্তির রোগের ইতিহাস, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রাথমিক পর্যায়ে গলা ভাঙার কারণ নির্ণয় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

🇨🇭 কণ্ঠস্বর হারিয়েছেন?

ইচ্ছা সত্ত্বেও কথা যদি বলতে না পারেন! গলা ভেঙে কণ্ঠ যদি হয়ে যায় শব্দহীন! গভীর সংকট। একটানা কথা বলতে বলতে নির্বাক হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে আকছার। কীভাবে ফিরে পাবেন হারানো স্বর?

🇨🇭 ট্রেনে ফেরিওয়ালার চিৎকার। বাজারে ক্রেতা ধরতে মার্কেটের ফুটপাথে দোকানিদের হাঁকাহাঁকি। দস্যি ছাত্রদের মন বসাতে ক্লাসরুমে ঢুকেই গলা চড়িয়ে পড়ানো কিংবা সাতসকালে উঠে গলা সাধা থেকে স্টেজে পারফরম্যান্স করা সংগীত শিল্পী। কণ্ঠস্বরই এঁদের কাজের মূল অস্ত্র। কেউ এক টানা কথা বলেন, কাউকে চিৎকার করে পেট চালাতে হয়, কারও পেশা গান গাওয়া। শিক্ষক, হকার, সংগীত শিল্পী, রেডিও জকি, সাংবাদিক যাঁদের নাগাড়ে কথা বলতে হয়, তাঁদের গলাই বেশি খারাপ হয়।

🇨🇭 ভোকাল নোডিউল উচ্চস্বরে বেশি কথা বললে ভোকাল কর্ড ( Vocal Cord ) অর্থাৎ স্বরনালিকে বেশি কাজ করতে হয়। তাতে স্বরনালির মাঝখানে জল জমে ফুলে ভোকাল নোডিউল হয়। এতে দু’টো ভোকাল কর্ডই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শিক্ষক, গায়ক-গায়িকা, হকার, বাস কন্ডাক্টরদের সবচেয়ে বেশি এই সমস্যা হয়।

🇨🇭 লক্ষণ: গলার স্বর বসে যাওয়া, ভেঙে যাওয়া, ফ্যাসফেসে আওয়াজ হওয়া।

চিকিৎসা: FOL টেস্ট করে দ্রুত শনাক্ত করে প্রাথমিক স্টেজে ধরা পড়লে স্টেরয়েড জাতীয় কিছু ওষুধ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ওষুধে না কমলে মাইক্রোল্যারিংজিয়াল সার্জারি করতে হয়। লেজার রে দিয়েও এই অপারেশন করা যায়। আবার এমনি পদ্ধতিতেও করা যায়। তাছাড়া নিচু স্বরে কথা বলার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিছুদিন খুব কম কথা বলতে বলা হয়। যাঁরা উচ্চকণ্ঠে গান তাঁদের গাওয়ার স্টাইল পরিবর্তন করে লো পিচে গাইতে বলা হয়।

গলার ক্যান্সার এবং ভোকাল কর্ড

🇨🇭 Vocal Cord Polyps পলিপ:

জোরে কথা বলা স্বভাব, এক টানা বেশি চিৎকার-চেঁচামেচি করলে, ঘনঘন কাশি হলে ভোকাল কর্ডে পলিপ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। এই সমস্যায় একটি ভোকাল কর্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ভোকাল কর্ডের একটি অংশে জল জমে টিসু্য ফুলে যায়। এটা কিন্তু টিউমার নয়।

🇨🇭 ভোকাল প্যারালাইসিস ( Vocal Cord Paralysis )
এর প্রধান কারণ ভোকাল কর্ড, ফুসফুস, থাইরয়েড, খাদ্যনালিতে ক্যানসার। এছাড়া কিছু অজানা কারণে হয়, কিছু ক্ষেত্রে গলা, বুক, হার্ট, খাদ্যনালিতে কোনও অপারেশনের সময় ভোকাল কর্ডের নার্ভে লেগে গেলেও প্যারালাইসিস হতে পারে। কথা বলার নার্ভগুলি ফুসফুস থেকে উঠে গলায় পৌঁছয়। ফুসফুসে ক্যানসার হলে তাই সহজেই ভোকাল কর্ডে ছড়িয়ে যায়। এতে ভোকাল কর্ডের নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে প্যারালাইসিস হয়ে যায়। বাঁদিকের ভোকাল কর্ডে প্যারালাইসিস সবচেয়ে বেশি হয়। এছাড়া শিশুদের খুব ঠান্ডা লাগার পর, কনজিনেটাল ডিফরমিটি থাকলে স্বরনালিতে প্যারালাইসিস হতে পারে।

🩸 লক্ষণ: কথা বলার সময় শব্দ বের হয় না। শুধু শ্বাসের আওয়াজ হতে থাকে।

🇨🇭 ক্যানসারে কণ্ঠস্বর ফিরে পেতে একটানা কথা বলতে বলতে গলার আওয়াজ বসে যাওয়ার পিছনে ক্যানসারও অন্যতম কারণ। স্টেজ ওয়ানে ক্যানসার থাকলে লেজার দিয়ে ক্যানসার কোষ সরিয়ে ফেলা যায়। তারপর চলে ভয়েস থেরাপি। কেমোথেরাপি চললেও স্বর পুরো চলে যায় না।
কিন্তু অ্যাডভান্সড স্টেজে সাধারণত পুরো স্বরযন্ত্র কেটে দেওয়ায় কণ্ঠস্বর ফিরে পাওয়া সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে রোগীকে বিশেষ উপায়ে কথা বলানো শেখানো হয়। যেমন:রোগীকে প্রথমে হাওয়া গিলে নিতে বলা হয়। তারপর ওই হাওয়া তিনি মুখ দিয়ে বের করে কথা বলার চেষ্টা করবেন। এছাড়া এখন ইলেক্ট্রোল্যারিংস যন্ত্র পাওয়া যায়। এই যন্ত্র গলার নির্দিষ্ট অংশে লাগাতে হয়। সেখানে যে কম্পন হয় তা যন্ত্রটি কথায় রূপান্তর করে বলে। এতে রোগীর কথা রোবটের মতো শুনতে লাগে।

🇨🇭 স্বরযন্ত্র পুরো বাদ দেওয়া হলে সার্জারির সময় শ্বাসনালি ও খাদ্যনালির মাঝে প্রোভক্স নামে একটি যন্ত্র লাগিয়ে দেওয়া হয়। তাতে রোগী ফের কথা বলতে পারে। অপারেশনের পরও অনেকের কেমো বা রেডিয়োথেরাপির দরকার হয়। তখন তাদের এই থেরাপিগুলি সম্পূর্ণ হওয়ার পর প্রোভক্স লাগিয়ে দেওয়া হয়।

🇨🇭 ভয়েস থেরাপি ওষুধ, সার্জারি ও ভয়েস থেরাপি তিনটেই স্বরযন্ত্রের চিকিৎসার সমান গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গলার আওয়াজের যে কোনও সমস্যার ট্রিটমেন্টের শুরু থেকেই ইএনটি চিকিৎসকের পাশাপাশি একজন স্পিচ থেরাপিস্টকে দেখাতে হবে। সাধারণত স্পিচ থেরাপিস্টরা প্রথমেই রোগীকে ইংরেজি বর্ণমালার মধে্য ভাওয়েলগুলি ( A-E-I-O-U ) বিশেষ কায়দায় বলতে শেখায়। ধরা যাক- ‘A’ উচ্চারণটি এক নিশ্বাসে এক টানা বলা প্র‌্যাকটিস করতে হয়। এভাবেই ইংরেজি ও বাংলা ভাষার বর্ণগুলি বলার অভ্যাস করতে হয়। দেখানো হয়, কোন শব্দ উচ্চারণে কখন শ্বাস নিতে হবে, কখন শ্বাস ছাড়তে হবে ইত্যাদি।

🇨🇭 কণ্ঠনালীতে ক্যান্সার হলে:
মানব দেহের স্বরযন্ত্র বা ল্যারিংস শ্বাসনালীর উপরি ভাগের একটি অংশ যা গলার মাঝখানে খাদ্যনালীর সামনে থাকে। ল্যারিংস মাধ্যমে আমরা শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ে থাকি। এই ল্যারিসে দুটি ভোকাল কর্ড- Vocal Cord , থাকে। এই ভোকাল কর্ডের কম্পনের মাধ্যমে আমরা কথা বলি। ল্যারিংসে বা দুটি ভোকাল কর্ডে যদি রোগ হয় তাহলে গলা ব্যথা, কণ্ঠস্বর পরিবর্তন এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। কণ্ঠনালীতে রোগসমূহ হচ্ছে জন্মগত, প্রদাহজনিত, পলিপ, টিউমার বা ক্যান্সার ইত্যাদি। ক্যান্সার শেষ পর্যায়ে গলার চারদিকে ছড়িয়ে গেলে গলা ফুলে যায় বা গলার গ্ল্যান্ড বড় হয়ে ফুলে যায়। ধূমপান কণ্ঠনালীর ক্যান্সারের অন্যতম কারণ মনে করা হয়। ধূমপান ছাড়াও মদপান, পানের সাথে জর্দা, সাদাপাতা খাওয়া, অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাদ্য গ্রহণ, অতিরিক্ত গরম খাবার খাওয়া, কণ্ঠনালীর অতি ব্যবহার ইত্যাদিও ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। গবেষণায় দেখা যায় যে শতকরা 80-85 ভাগ কণ্ঠনালীর ক্যান্সার রোগী ধূমপায়ী। সব ধরনের ক্যান্সার রোগীর মধ্যে শতকরা ত্রিশ ভাগেরও বেশি হেড নেক ক্যান্সার। হেড নেক ক্যান্সারের মাঝে কণ্ঠনালীর ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। সাধারণত দেখা যায়, বয়স্কদের কণ্ঠনালীর ক্যান্সার বেশি হয় এবং মহিলাদের চেয়ে পুরুষরাই এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় বেশি।

ডা.মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক

🇨🇭 শ্বাসনালীর ক্যান্সারের উপসর্গসমূহ :

🇨🇭 কণ্ঠনালীর ক্যান্সার সমগ্র বিশ্বে আজকাল দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের দেশেও এই রোগের প্রকোপ অনেক বেশি। শ্বাসনালীর ক্যান্সারের উপসর্গসমূহ হচ্ছে:

🩸 কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন হয়, যা ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসায় ভাল হয় না অথবা পনের দিনের বেশি থাকে এবং পরবর্তীতে শ্বাসকষ্ট হয়। গলায় কিছু আটকিয়ে আছে মনে হয়। অনেক সময় ঢোক গিলতে অসুবিধা হয়। গলা ফুলে যাওয়া বা গলার গ্ল্যান্ড বড় হয়ে ফুলে যায়। কোন কোন সময় কণ্ঠনালীর ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর কানও ব্যথা হতে পারে। এর কারণ হলো একই নার্ভ কান ও কণ্ঠনালীর সাথে সংযুক্ত।

🇨🇭 রোগ নির্ণয় :
রোগীর সম্পূর্ণ ইতিহাস জানতে বা শুনতে হবে। তারপর রোগীর গলা দেখতে হবে। স্বরযন্ত্র বা শ্বাসনালীর ক্যান্সারের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগ নির্ণয় করা গেলে প্রায় সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব। কিন্তু রোগ যখন এডভান্স পর্যায়ে চলে যায় তখন চিকিৎসায় খুব বেশি একটা সুফল পাওয়া যায় না। যদি কারো দুই সপ্তাহের বেশি গলার স্বর পরিবর্তন বা ভাঙা থাকে বা এই স্বর পরিবর্তন ক্রমাগত বৃদ্ধি পায়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বর্তমানে আমাদের দেশে এই রোগ নির্ণয়ের আধুনিক ব্যবস্থা আছে, যেমন: ফাইবার অপটিক ভিডিও ল্যারেংগমকপি, যার মাধ্যমে সহজেই এ রোগ নির্ণয় করা সম্ভব। ফাইবার অপটিক ভিডিও ল্যারেংগমকপির মাধ্যমে রোগী নিজেও টিভির পর্দায় নিজের কণ্ঠনালী দেখতে পারবেন। যদি কণ্ঠনালীর ক্যান্সার হয়েছে ধারণা করা হয়, তখন গলা থেকে – বাইপসি- Biopsy ,নিয়ে হিস্টোপ্যাথলজি করলে ক্যান্সার সনাক্ত করা সম্ভব। যদি রোগী শেষ পর্যায়ে শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসে, তখন জরুরি ভিত্তিতে গলায় অপারেশনের মাধ্যমে শ্বাস নেয়ার জন্য একটি টিউব বসানো হয়, যাকে ট্রাকিওশটমি অপারেশন বলা হয়। পরবর্তীতে বায়পসি নেয়া হয়।

আরো পড়ুনঃ  গলব্লাডার পলিপ | Best Treatment

🇨🇭 কণ্ঠনালী ক্যান্সারের চিকিৎসা :
ক্যান্সার সনাক্ত হলে অবিলম্বে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। রেডিও-থেরাপি, কেমোথেরাপী ও অপারেশনের মাধ্যমে কণ্ঠনালীর ক্যান্সারের চিকিৎসা করা যায় প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হলে রেডিও-থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করালে রোগী সম্পূর্ণ ভাল হয়ে যায়। কিন্তু রোগী শেষ পর্যায়ে আসলে অপারেশন করতে হয়। রোগ যদি গলার গ্ল্যান্ডে ছড়িয়ে যায় তাহলে গলার সেই টিউমারেরও অপারেশন করা দরকার। স্বরযন্ত্রের বা কণ্ঠনালীর অপারেশন করলে মানুষ কথা বলতে পারে না। তখন তাকে কথা বলার জন্য আলাদা ব্যবস্থা নিতে হয়। যেমন কৃত্রিম স্বরযন্ত্রের সংযোজন অথবা খাদ্যনালীর মাধ্যমে কথা বলা যা বিশেষ ট্রেনিং-এ শিখানো হয়। এ ব্যবস্থাটি বাংলাদেশে বিদ্যমান। ফলে স্বরযন্ত্রের অপারেশন করলে কথা বলার আর অসুবিধা হবে না। আমাদের দেশে রোগীরা অপারেশন করাতে চায় না এবং প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসকের কাছে বা হাসপাতালে আসে না। যার ফলে ক্যান্সারে কষ্ট পেয়ে অকালে মারা যায়। সঠিক সময়ে রেডিও-থেরাপি বা অপারেশন করার পর অনেক বছর সুস্থভাবে বেঁচে আছেন এমন রোগীর সংখ্যা অনেক।
বাংলাদেশের সব বড় বড় হাসপাতালে কণ্ঠনালীর কন্সারের চিকিৎসা যেমন – সার্জারি, রেডিও থেরাপি, কেমোথেরাপী সকল আধুনিক সুযোগ-সুবিধা আছে।

🛑 ধূমপান থেকে বিরত থাকুন। অন্যান্য যে সব কারণে কণ্ঠনালীর ক্যান্সার হয় তা থেকে এড়িয়ে চলুন। কারণ চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। উপরে বর্ণিত যে কোন উপসর্গ দেখা দিলে কালবিলম্ব না করে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো চিকিৎসা নিতে হবে।

হোমিও-চিকিৎসা.

🇨🇭 গলার ক্যান্সার:

গলার ক্যান্সার হল ক্যান্সারযুক্ত টিউমারগুলির উপস্থিতি যা গলা ( ফ্যারিঞ্জ ) ( Throat Pharynx ), টনসিল বা ভয়েস বক্সে ( ল্যারিক্স ) ( Tonsils Or The Voice Box – Larynx )বিকাশ করে। নাকের পিছনে থেকে শুরু করে, গলা একটি পেশী নল যা আপনার ঘাড়ে শেষ হয়। এই ধরণের ক্যান্সারটি সাধারণত গলার অভ্যন্তরে আবরণের সমতল কোষগুলিতে শুরু হয়। ভয়েস বক্সটি গলার নীচে উপস্থিত এবং গলা ক্যান্সারের সমান ঝুঁকিতে রয়েছে। কার্টিলেজ ভয়েস বক্স তৈরি করে। আপনি যখনই কথা বলেন ভয়েসাল কর্ডগুলি শব্দটি স্পন্দিত করে তা ভয়েস বাক্সে উপস্থিত থাকে। এপিগ্লোটিস ( Epiglottis ) উইন্ডোপাইপের ( Windpipe ) জন্য ঢাকনা হিসাবে কাজ করে। গলার ক্যান্সার এপিগ্লোটটিসের ( Epiglottis ) একটি অংশকেও প্রভাবিত করতে পারে।

🇨🇭 গলার ক্যান্সারের প্রকারভেদ ভয়েস বক্স বা গলায় বিকশিত ক্যান্সার হল গলার ক্যান্সার। গলার নীচে উপস্থিত ভয়েস বক্সটি এর খুব কাছে রয়েছে। বেশিরভাগ গলার ক্যান্সার একই ধরণের কোষের সাথে জড়িত।

🇨🇭 নাসোফেরেঞ্জিয়াল ক্যান্সার ( Nasopharyngeal Cancer ) এটি নাসোফারিনেক্সে ( Nasopharynx ) শুরু হয়। নাসোফেরিক্স হল আপনার গলার সেই অংশটি যা নাকের ঠিক পিছনে উপস্থিত।

🇨🇭 ওরোফারিঞ্জিয়াল ক্যান্সার ( Oropharyngeal Cancer ) এটি আরোফেরিনেক্সে শুরু হয়। অরোফেরিক্স হল মুখের পিছনে এবং টনসিল সহ আপনার গলার অংশ।

🇨🇭 ল্যারিঙ্গোফেরেঞ্জিয়াল বা হাইপোফেরেঞ্জিয়াল ক্যান্সার ( Laryngopharyngeal Or Hypopharyngeal Cancer ) এটি হাইপোফেরিক্স বা ল্যারিনোফারিনেক্সে শুরু হয়। এটি উইন্ডপাইপ এবং খাদ্যনালীগুলির উপরে, আপনার গলার নীচের অংশটি।

🇨🇭 গ্লোটিক ক্যান্সার ( Glottic Cancer ) এটি ভোকাল কর্ডগুলিতে শুরু হয়।

🇨🇭 সুপ্রাগ্লোটিক ক্যান্সার ( Supraglottic Cancer ) এই ক্যান্সারটি এপিগ্লোটিসকে প্রভাবিত করে এমন ক্যান্সার সহ ল্যারিক্সের উপরের অংশে শুরু হয়। এপিগ্লোটিস হল একটি কাস্টিলিজের টুকরো যা খাবারকে উইন্ডপাইপে প্রবেশ করতে বাধা দেয়।

🇨🇭 সাবগ্লোটিক ক্যান্সার ( Subglottic Cancer )এটি ভোকাল কর্ডের নীচে ভয়েস বক্সের নীচের অংশে শুরু হয়।
গলা ক্যান্সারের কারণ
যখন আপনার গলার কোষগুলি জিনগত পরিবর্তনগুলি বিকাশ করে তখন গলার ক্যান্সার বিকাশ লাভ করে। এই জিনগত পরিবর্তনগুলি কোষগুলির অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি ঘটায় যা স্বাভাবিক কোষের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বেঁচে থাকে। এই কোষগুলি গলায় একটি টিউমার তৈরি করে।

🇨🇭 চিকিত্সকরা এখনও গলার ক্যান্সারের জন্য দায়ী এই জেনেটিক মিউটেশনের পিছনের কারণগুলি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। যাইহোক, যে কারণগুলি বর্ধিত ঝুঁকি তৈরি করেছে তা নির্ধারণে চিকিৎসকদের সফল হাত ছিল।

🇨🇭 গলার ক্যান্সারের লক্ষণ

এই জাতীয় ক্যান্সারের বিভিন্ন সঙ্কেত ও লক্ষণগুলি হল:

  • 🩸তীব্র কাশি।
  • 🩸 খাবার গিলতে অসুবিধা একটি নিরাময় না হওয়া পিণ্ড বা গলায় কালশিটে উপস্থিত।
  • 🩸 অপ্রত্যাশিত ওজন হ্রাস।
  • 🩸 কানে ব্যথা।
  • 🩸 ভয়েসের শুকনির মতো কণ্ঠে পরিবর্তন বা স্পষ্টভাবে বলতে অক্ষম।
  • 🩸 গলা খারাপ।

🇨🇭 গলা ক্যান্সারে নির্ণয়: আপনার চিকিত্সক আপনার শরীরে গলা ক্যান্সারের উপস্থিতি নির্ধারণের জন্য বিভিন্ন উপায়ের পরামর্শ দিতে পারেন।

🧪 এন্ডোস্কোপি ( Endoscopy )
Endoscopy Image
আপনার ডাক্তার এন্ডোস্কোপি নামক পদ্ধতিটি সম্পাদন করার সময় আপনার গলাতে ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখতে একটি এন্ডোস্কোপ ( একটি আলোকিত স্কোপ ) ব্যবহার করতে পারেন। এন্ডোস্কোপের শেষে একটি ক্ষুদ্র ক্যামেরা উপস্থিত রয়েছে। ক্যামেরাটি ভিডিও স্ক্রিনে চিত্রগুলি সঞ্চারিত করে। আপনার গলায় অস্বাভাবিকতার লক্ষণগুলি পরীক্ষা করতে আপনার ডাক্তার এই স্ক্রিনটি দেখবেন।

🧪 ল্যারিঞ্জোস্কোপ ব্যবহার ( Use Of Laryngoscope )
ল্যারিঞ্জোস্কোপ নামে আরও একটি স্কোপ।রয়েছে যা আপনার ডাক্তার আপনার ভয়েস বাক্সে প্রবেশ করবে। ল্যারিঞ্জোস্কোপ আপনার ভোকাল কর্ডগুলি পরীক্ষা করার জন্য চিকিত্সককে সহায়তা করার জন্য একটি ম্যাগনিফাইং লেন্স ( Magnifying Lens ) ব্যবহার করে। পদ্ধতিটি ল্যারিঞ্জোস্কোপ।

🧪 টিস্যু নমুনা অপসারণ ( Biopsy Image )
যদি আপনার চিকিত্সক ল্যারিঞ্জোস্কোপ বা এন্ডোস্কোপির প্রক্রিয়া চলাকালীন কিছু অস্বাভাবিকতা খুঁজে পান, তবে তিনি কোনও টিস্যুর নমুনা সংগ্রহের জন্য স্কোপের মাধ্যমে অস্ত্রোপচারের সরঞ্জামগুলি পাস করবেন। এই টিস্যু নমুনা বায়োপসি Biopsy করার উদ্দেশ্যে। আপনার ডাক্তার পরীক্ষার জন্য নমুনা পরীক্ষাগারে প্রেরণ করবেন। আপনার ডাক্তার ফোলা ফোলা লিম্ফ নোডের নমুনাও চাইতে পারেন। তিনি নমুনা পরীক্ষার জন্য আপনার ফোলা লিম্ফ নোডগুলি থেকে তরলকে প্রশমিত করার জন্য সূক্ষ্ম সুই অ্যাসপিরেট ( Fine Needle Aspirate ) নামক একটি প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে।

🧪 ইমেজিং পরীক্ষা ( Scan Image )
ইমেজিং পরীক্ষাগুলির মধ্যে রয়েছে এক্স-রে, কম্পিউটেড টমোগ্রাফি ( CT ) স্ক্যান, চৌম্বকীয় অনুরণন ইমেজিং ( MRI ) এবং পজিট্রন নি:সরণ টমোগ্রাফি ( PET )। এই ইমেজিং পরীক্ষাগুলি আপনার শরীরে ক্যান্সারের সীমা নির্ধারণে এবং এটি ভয়েস বক্সের বাইরে বা আপনার গলার বাইরে কিনা তা নির্ধারন করতে আপনার ডাক্তারকে সহায়তা করতে পারে। আপনার চিকিত্সক টিস্যুটির একটি বায়োপসি চালানোর পরে এই ইমেজিং পরীক্ষাগুলির সাহায্যে রোগ নির্ণয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেন।

হোমিও চিকিৎসা
হোমিও চিকিৎসা

🇨🇭 গলার ক্যান্সারের চিকিত্সার বিকল্প:

আপনার চিকিত্সার বিকল্পগুলি বিভিন্ন কারণ যেমন আপনার শরীরের গলা ক্যান্সারের মঞ্চস্থকরণ, আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্য, ক্যান্সারে জড়িত কোষগুলির ধরণ এবং চিকিত্সার জন্য আপনার ব্যক্তিগত পছন্দগুলির উপর নির্ভর করে। আপনার ডাক্তারের দ্বারা দেওয়া প্রতিটি চিকিত্সার বিকল্পগুলির সুবিধার পাশাপাশি সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে। এইভাবে আপনি আপনার চিকিত্সকের সাহায্যে নিজের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত চিকিত্সাটি সহজেই নির্ধারণ করতে পারেন।

🛑 বিকিরণ থেরাপি ( Radiation Image )
রেডিয়েশন থেরাপির জন্য আপনার গলার ক্যান্সারজনিত কোষগুলিতে বিকিরণ সরবরাহ করার জন্য এক্স-রে এবং প্রোটনগুলির মতো উত্স থেকে উচ্চ শক্তি বীম ব্যবহার করা প্রয়োজন, যার ফলস্বরূপ এই কোষগুলি মারা যায়। এটি হয় আপনার শরীরের বাইরে, বাহ্যিক বীম রেডিয়েশন নামে পরিচিত একটি বৃহত মেশিন থেকে বেরিয়ে আসতে পারে বা ছোট তেজস্ক্রিয় বীজ এবং তার থেকে বেড়ে আসতে পারে যা ডাক্তার আপনার শরীরে ক্যান্সারের অবস্থানের কাছাকাছি রাখবেন। পদ্ধতিটি ব্রাথিথেরাপি ( Brachytherapy )।

🛑 গলার প্রাথমিক ক্যান্সারের জন্য, বিকিরণ থেরাপিই কেবল সম্ভব এবং প্রয়োজনীয় চিকিত্সা। আরও উন্নত গলা ক্যান্সারের জন্য, অস্ত্রোপচার বা কেমোথেরাপির সাথে মিলিত রেডিয়েশন থেরাপি পছন্দসই ফলাফল দেয়।বেশিরভাগ উন্নত গলার ক্যান্সারে এই থেরাপি আপনাকে আরও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করার সংকেত ও লক্ষণগুলি হ্রাস করে।

🛑 সার্জারি:
ক্যান্সারের অবস্থান এবং পর্যায়টি আপনার শরীরে গলার ক্যান্সারের চিকিত্সার জন্য আপনি বিবেচনা করতে পারেন এমন শল্যচিকিত্সার প্রক্রিয়াগুলি মূলত নির্ধারণ করে।
প্রাথমিক পর্যায়ে গলার ক্যান্সার সার্জারি যখন গলার ক্যান্সার আপনার গলার উপরিভাগ বা ভোকাল কর্ডগুলিতে সীমাবদ্ধ থাকে, তখন ডাক্তার এন্ডোস্কপির সাহায্যে সার্জিকভাবে চিকিত্সা করতে পারেন। আপনার চিকিত্সক আপনার ভয়েস বাক্স বা গলায় একটি ফাঁকা এন্ডোস্কোপ প্রবেশ করবে এবং এরপরে এই ক্ষেত্রটির মাধ্যমে বিশেষ শল্য চিকিত্সার সরঞ্জাম বা লেজার পাস করবে। আপনার চিকিত্সক এই সরঞ্জামগুলির সাহায্যে পৃষ্ঠের ক্যান্সারগুলি কেটে ফেলতে, বা বাষ্পীয় করতে পারেন (লেজারের ক্ষেত্রে)।
ল্যারেনজেক্টমি (Laryngectomy)
আপনার ডাক্তার ছোট টিউমারগুলির জন্য ক্যান্সারে আক্রান্ত আপনার ভয়েস বক্সের একটি অংশ সরিয়ে ফেলতে পারেন। তিনি যতটা সম্ভব ভয়েস বক্স ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। এর পিছনে উদ্দেশ্য হল আপনার স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে এবং কথা বলার ক্ষমতা রক্ষা করা। বিস্তৃত ও বড় টিউমারগুলির জন্য, পুরো ভয়েস বাক্সটি সরিয়ে ফেলতে হবে।

🛑 ফারেঙ্গেক্টমি ( Pharyngectomy )
আপনার ডাক্তার ছোট গলার ক্যান্সারের শল্য চিকিত্সার সময় আপনার গলার ছোট ছোট অংশগুলি সরিয়ে ফেলতে পারেন। যাইহোক, সরানো অংশগুলির পুনর্নির্মাণ আপনাকে সাধারণত খাবারটি গ্রাস করতে দেয়।
ঘাড় বিচ্ছেদ ( Neck Dissection )
আপনার ডাক্তার আপনাকে কিছু বা সমস্ত লিম্ফ নোড অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেবেন। এটি করার কারণ, আপনার ঘাড়ের গভীরে ক্যান্সার উপস্থিত রয়েছে।

🛑 কেমোথেরাপি Chemotherapy Drip Image
এটি ক্যান্সার কোষকে হত্যা করার জন্য ওষুধের ব্যবহারের সাথে জড়িত। গলা ক্যান্সারের চিকিত্সার জন্য চিকিত্সকরা সাধারণত রেডিয়েশন থেরাপির সাথে কেমোথেরাপি ব্যবহার করেন।
লক্ষ্যযুক্ত ড্রাগ থেরাপি ( Targeted Drug Therapy )
লক্ষ্যযুক্ত ওষুধগুলি ক্যান্সারের কোষগুলিতে সুনির্দিষ্ট ত্রুটিগুলির সুযোগ নেয় যা গলার ক্যান্সারের চিকিত্সার জন্য কোষের বৃদ্ধি উত্সাহিত। আপনার ডাক্তার এগুলি একা বা তেজস্ক্রিয়তা থেরাপি বা কেমোথেরাপির সাথে মিশ্রণে ব্যবহার করতে পারেন।

🇨🇭 গলার ক্যান্সার থেকে বাচঁতে হলে:

একজন লেখক ও কবির 1995 সালের শেষে এবং 2006 সালের শুরুতে দুইবার ক্যান্সার ধরা পড়ে। চারটি অস্রোপচরের ক্ষত নিয়ে আজও বেঁচে আছেন তিনি। মূলত তিনি গলার কান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ক্যান্সার নিয়ে লড়াই করে করে তিনি আজও লিখে যাচ্ছেন। ক্যান্সার আক্রান্ত প্রখ্যাত লেখকের ( ক্যান্সার নিয়ে বেচেঁ আছি ) 2013 সালে প্রকাশিত বইটি পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। একজন মানুষ কতটুকু সচেতন ও দৃঢ়চেতা হলে ক্যান্সারকে পরাজিত করে আজও লিখে যাচ্ছেন তা শ্রদ্ধেয় এই লেখককে দেখলে বুঝা যায়। ক্যান্সরের চিকিৎসা করি বলে ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতন করাও একটি সামাজিক কাজ বলে মনে করি। কেননা শুরুতে ক্যান্সার ধরা পড়লে এবং এর সঠিক চিকিৎসা করলে আপনিও ক্যানাসার থেকে মুক্ত হয়ে সুন্দর জীবন যাপন করতে পারবেন।

ডা.মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক

🛑 গলার ক্যান্সার থেকে বাচঁতে হলে:

ধূমপান সর্বদা ক্যান্সারের শীর্ষ কারণ। এছাড়া যারা তামাক, পান মসলা, অথবা মদ ও তামাক একই সঙ্গে সেবন করেন, তাঁদের গলায় ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
কিছু ক্ষেত্রে ক্যান্সার যতটা না মারাত্মক, তার চেয়ে বেশি আতঙ্কের। কোনো একদিন ছোট্ট কোনো রোগের উপসর্গ নিয়ে পরীক্ষা,নিরীক্ষা করতে গিয়ে জানা যায় অগোচরে বেড়ে ওঠা দুঃসংবাদটির কথা। তখন আফসোস হয়, কেন কয়েকদিন আগে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হইনি। তাই এই মুমূর্ষু সময়ে পৌঁছনোর আগে সবারই জানা প্রয়োজন, ক্যান্সারের ঝুঁকি কতটা, কী কী উপসর্গ দেখা দিলেই সতর্ক হয়ে উঠবেন আপনি।

গলায় অথবা মুখ, টনসিল, লালা গ্রন্থি, সাইনাস, নাক এবং ঘাড়ের লিম্ফ নোডে প্রথম ধাপে ক্যান্সার ধরা পড়লে তা থেকে মুক্তির পথ মিলতে পারে।
আমেরিকার ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্রের মতে, এই রোগটি সাধারণত ল্যারিনক্স ( Voice Box ) বা ফ্যারিনক্স ( গলা ) কে বিশেষভাবে আক্রমণ করে। ল্যারিনক্স, এসোফ্যাগাস, ফুসফুস বা গলায় ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিকিৎসা শুরু হওয়ার পরে দেখা যায়, কিছু রোগীর ক্ষেত্রে ফুসফুস, মুখ, গলার পার্শ্ববর্তী অংশে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছে।
গলায় ক্যান্সারের সংক্রমণ নির্দিষ্ট অবস্থানের উপর নির্ভর করে। রোগের লক্ষণ কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে আসে না। যার ফলে সব সময় শনাক্ত করাও সম্ভব হয় না। কীভাবে বোঝা যেতে পারে বাসা বেধেছে ক্যান্সার, তার ব্যাখ্যা দিলেন দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের সিনিয়র পরামর্শদাতা ডাক্তার রমেশ সরিন। গলায় আলসার বা গলায় ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ একই। প্রথমত, ক্ষতিকারক খাবার খাওয়ার কারণে হতে পারে। তবে তার জন্য ভুগতে হবে দুই থেকে তিন সপ্তাহ। কিন্তু যদি দেখা যায়, চার থেকে ছয় সপ্তাহ পার করে যাওয়ার পরও একই সমস্যা রয়ে গেছে, তাহলে অবশ্যই চেকআপের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। মুখের ভিতরে সাদা দাগ হওয়া, জিহবার আস্তরণে জ্বালা বা অভ্যন্তরীণ গালের জ্বালা ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ গুলির মধ্যে একটি। জিহবায় ছোট ফুসকুড়ি হওয়াও অন্য উপসর্গ।

আরো একটি উপসর্গ হলো, কন্ঠস্বরে অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা দেবে, অর্থাৎ গলা ভেঙে থাকবে বা কথা বলতে অসুবিধা হবে। যদি তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এই সমস্যা থাকে, তবে এটি ল্যারেনজিয়াল ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
ঘাড় বা মুখের কোনো অংশ যদি অস্বাভাবিক ফুলে যায়, বা মাংস পিন্ড জমাট বেঁধে যায়, এবং তা যদি তিন সপ্তাহের মধ্যে না সারে, তাহলে তাও ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে এবং দ্রুত চেক-আপ করাতে হবে । কারন একটি কথা মনে রাখবেন শুরুতেই রোগটি নির্নয় করতে পারলে রোগ মুক্তির সম্ভাবনা থাকে বেশি।

🛑 প্রচলিত চিকিৎসা ছাড়া ও হোমিওপ্যাথিতে ভোকাল কর্ড পলিপস ও গলার ক্যান্সার চিকিৎসা করা হয়। প্রাথমিক অবস্থায় লক্ষন অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হলে ভোকাল কর্ড পলিপস ও গলার ক্যান্সার নিরাময় করা সম্ভব। তবে অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড প্রাপ্ত ও অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে হবে।

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( বি, এইচ, এম, এস )
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!