অক্সিটোসিন হরমোন ( Oxytocin ) যৌনাসক্তি বৃদ্ধি | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

যৌনাসক্তি বৃদ্ধির হরমোন- অক্সিটোসিন ( Oxytocin ) | ডাঃ মাসুদ হোসেন

🇨🇭 অক্সিটোসিন (হরমোন):
✅ ইংরেজি – Oxytocin.

✅ বাংলা – অক্সিটোসিন।

🇨🇭 রাসায়নিক সংকেত: ( C43H66N12S2 )
এর গলনাঙ্ক 1007.2 সেলসিয়াস।

🇨🇭 স্তন্যপায়ী প্রাণীদের দেহে প্রাপ্ত একটি পলিপেপ্টাইড হরমোন হরমোন বিশেষ। একে ভালোবাসা এবং যৌনাসক্তি বৃদ্ধির হরমোন হিসেবে অভিহিত করা হয়।

🇨🇭 1953 খ্রিষ্টাব্দে ভিন্সেন্ট ডা. ভেনদ এবং তাঁর সহকর্মীদের সাথে এই হরমোন বিশ্লেষণ করেছিলেন।

💋 এই বিশেষ হরমোনটি পিটুইটারি গ্রন্থি ও মস্তিষ্কের হাইপো থ্যালামাস অঞ্চল হতে নিঃসৃত হয়।

💋 যৌনাচরণে বা প্রসবের সময় এই হরমোনটির আধিক্য ঘটে থাকে নারীদেহে। যৌনক্রিয়ার ঘনিষ্টমুহূর্তে অধিক পরিমাণে অক্সিটোসিনের নির্গমন ঘটে। বিশেষ পুরুষের আলিঙ্গনে, যৌনসংবদেন অংশে স্পর্শ বা মর্দনে এবং রাগমোচনের সময় নারীদেহের রক্তে অক্সিটোসিনের আধিক্য ঘটে।

💋 মূলত এই হরমোনটি বিপরীত লিঙ্গের প্রতি তীব্র আকর্ষণের অনুভবকে উদ্দীপ্ত করে। যার নারী-পুরুষ বিপরীত লিঙ্গের ছোটো খাটো ত্রুটিকে উপেক্ষা করে থাকে। এই সময় এই হরমোনের প্রভাবে মানুষের উচ্চ রক্তচাপের সৃষ্টি হয়। অনেক ক্ষেত্রে ভিতরে অস্থিরতা ও শরীরে ঘামের সৃষ্টি করে। কিন্তু পছন্দের জুটির সাথে নিয়মিত দেখা সাক্ষাৎ হলে অক্সিটোসিনের নি:সরণের পরিমাণ কমে যায়। ফলে সে সময়ে পরস্পরের দেখা করার ভিতরে তীব্র অনুভূতি সক্রিয় হয়ে উঠে না। ফলে উচ্চ রক্তচাপ বা ঘাম নি:সরণের মতো ঘটনা ঘটে না।

অক্সিটোসিন হরমোন ( Oxytocin ) যৌনাসক্তি বৃদ্ধি | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

💋 এই হরমোনটি শরীরের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া করে। কিন্তু সরাসরি মস্তিষ্কে পৌঁছাতে পারে না। কারণ, মস্তিষ্কের রক্তপ্রবাহের সময় বড় ধরনের অনু প্রবেশের জন্য প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। ফলে অক্সিটোসিনের মতো বড় অণু সেখানে পৌঁছায় না। তবে এই হরমোনটি মস্তিষ্কের হাইপো থ্যালামাস থেকে উৎপন্ন হয়ে যৌনাসক্তিকে ত্বরান্বিত করে।

💋 এই হরমোনটি সন্তান প্রসব করার সময় প্রচুর পরিমাণে নিঃসরিত হয়। এর ফলে সন্তান প্রসবকালে জরায়ুর সংকোচন,প্রসারণ- বৃদ্ধি করে এবং একই সাথে গর্ভফুলকে দ্রুত নিষ্ক্রমণে সহায়তা করে। এই কারণে অনেক সময় চিকিৎসকরা গর্ভবতীর সন্তান প্রসবের সময় জরায়ুকে সঙ্কুচিত করার জন্য এই হরমোনটির ড্রাগ ব্যবহার করেন।

💋 অনেক সময় এই হরমোন সন্তানপ্রসবের পর মায়ের স্তনে ইনজেকশানের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়। এর ফলে মাতৃস্তনে দুধের আধিক্য ঘটে। তবে গর্ভবতী নারীদের জন্য এই হরমোন গ্রহণ বিপদজনক।

💋 এই হরমোন মানবিক গুণ – স্নেহ, মমতা, ভালবাসা, বৃদ্ধির সহায়ক। সন্তান প্রসবের পর, নারী মনে যে সন্তানস্নেহ তীব্ররূপে বিরাজ করে, তার পিছনে এই হরমোনটি সক্রিয় থাকে।

💋 শুধু মানুষ নয়, যে কোনো স্তন্যপায়ী প্রাণী এই হরমোনের প্রভাবে সন্তানকে রক্ষা করে। এই হরমোন পারস্পরিক এবং পর্যায়ক্রমিক কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রসূতি এবং সন্তানের কল্যাণ করে। যেমন: প্রসবের পর পরই এই হরমোনের প্রভাবে নারী মনে সন্তানস্নেহ তীব্রতর হয়ে উঠে। এর ফলে মা তাঁর শিশুকে গভীরভাবে আদর করতে আগ্রহী হয়ে উঠে।

💋 এর ফলে মাতৃস্তনে দুধের আধিক্য ঘটে। মা যখন শিশুকে স্তনদান করেন, তখন গভীর ভালোভাষার কারণে অক্সিটোসিনের নির্গমণ বৃদ্ধি পায়।

💋 এর ফলে জরায়ু স্বাভাবিক দশায় পৌছানোর জন্য সংকুচিত হতে থাকে। এবং জরায়ু থেকে রক্ষক্ষরণও বন্ধ হয়ে যায়।

💋 অক্সিটোসিন হরমোনটি গর্ভবতী মেয়েদের হরমোন হিসেবেই সবাই চেনে। অক্সিটোসিন ( Oxytocin ) হরমোন এমন একটা হরমোন যা সন্তান জন্মের সময় মা’র শরীরে বেশী পরিমাণে তৈরি হয়। যেন জরায়ুতে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয়, ফলে সন্তান ভূমিষ্ঠ হতে সুবিধা হয়।

অক্সিটোসিন হরমোন ( Oxytocin ) যৌনাসক্তি বৃদ্ধি | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 ছেলেদের কি অক্সিটোসিন ( Oxytocin ) হরমোন আছে ?

💋 যারা খুব ভালো ডক্টর তারা জানেন একটা বিশেষ সময়ে নারীদের পাশাপাশি পুরুষের শরীরেও অক্সিটোসিন হরমোন অত্যন্ত বেশী পরিমাণে নিঃসরণ হয়।

💋 যখন স্বামী স্ত্রী পরস্পর আলিঙ্গন, চুম্বন ও যৌন ক্রিয়াকর্মে রত হয়, বিশেষ করে উভয়ের চরম পুলকের সময়, তখন উভয়ের শরীরে অক্সিটোসিনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। তাই একে ভালবাসার হরমোনও বলা যায়। এই হরমোনের প্রভাবে ভালবাসার বন্ধন অটুট থাকে।

💋 ফলে তারা একে অপরকে ভালোবেসে 50 বছরও সংসার করতে পারে। কিন্তু যৌবনের শুরুতে যখন ভালবাসার সংজ্ঞা থাকে ভিন্নরকম, প্রচণ্ড আবেগে কাছে ছুটে আসা, দূরে থাকার কারণে বিরহে কাঁদা, কবিতা লেখা তখন কিন্তু এই হরমোন ক্রিয়াশীল থাকে না। তখন নরএপিনেফ্রিন, ডোপামিন ও সেরোটোনিন নামে অন্য তিনটি হরমোন ক্রিয়াশীল থাকে। কিন্তু বিবাহের 6 মাস থেকে 2 বছরের মধ্যে নরএপিনেফ্রিন, ডোপামিন ও সেরোটোনিনের মাত্রা কমতে থাকে।

💋 ফলে সে উদ্দাম ভালবাসা আর থাকে না। মানুষ হা হুতাশ করে, হায় কোথায় গেল সে দিনগুলো। এখন তো আর বর সে আগের মতো ফুল নিয়ে আসে না, নানা ধরনের এটা সেটা করে চমকে দেয় না। আসলে এটা হচ্ছে নরএপিনেফ্রিন, ডোপামিন ও সেরোটোনিনের অভাব।

💋 💋 কিন্তু তখন সে স্থান দখল করে নেয় অক্সিটোসিন ( Oxytocin ) হরমোন। যদি তারা নিয়মিত স্পর্শ, চুম্বন ও যৌন মিলন করেন তখন স্বামী স্ত্রীর উভয়ের শরীরে প্রচুর পরিমাণে অক্সিটোসিন তৈরি হয়। ফলে একে অপরের প্রতি নির্ভরতা খুঁজে পায়। বিয়ের প্রথম দিকের প্যাশন তখন পরিণত হয় অ্যাফেকশনে। তারা একজন অপরজনকে অনুভব করেন। সংসারের উন্নতির চেষ্টা করেন। স্বামী বাইরে কাজ করেন যাতে তার স্ত্রী সন্তান সুখে থাকে। হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে হাসিমুখে বাসায় ফেরেন। স্ত্রী তার সন্তানকে পরম মমতায় বুকের দুধ পান করান, বাচ্চা হিশু করলে হাত থাকে ফেলে দেন না। স্বামীর কাপড় ধুয়ে দেন, ভাত তরকারী রাঁধেন। স্বামীর বিছানায় অন্য কাউকে এলাউ করেন না। একজন অসুস্থ হলে আরেকজন রাত জাগেন। এটাই হলো অক্সিটোসিন। ❤ আল্লাহ তায়ালার কুদরত। ❤

আরো পড়ুনঃ যোনিস্বাস্থ্য | Female Vaginal Problem | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

❤ আল্লাহ, তিনি তার এক নেয়ামত প্যাশনকে বদলে অন্য আরেক নেয়ামত অ্যাফেকশনে পরিণত করেন। যদি প্রথমদিকের সেই উদ্দাম প্রেম চালু থাকত তাহলে সমাজে বিপর্যয়ের সৃষ্টি হতো। কেউ স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারত না।

💋 এমনকি আবেগের বাড়াবাড়িতে সংসার পর্যন্ত ধ্বংস হয়ে যেতো। বিয়ের দশ বছর পর ডোপামিনের অভাবে স্বামী হয়তো ফুল হাতে বাসায় ফেরে না, কিন্তু অক্সিটোসিনের আধিক্যে অন্য কিছু হাতে ফেরে। ফুলের বদলে ঘরে আসে টেবিল, এসি, রান্নার স্বাস্থ্যসম্মত উপাদান ইত্যাদি।❤

💋 এজন্য বিয়ের পরপর স্ত্রীকে স্বামীর সংসারে তুলে দেয়া উচিত। অনেক মা বাবা বিষয়টি সম্পর্কে উদাসীন থাকেন। নানা ধরনের সামাজিক আচার অনুষ্ঠান করার জন্য জন্য তুলে দেয়াকে বিলম্বিত করেন। অনেকে ক্যারিয়ার বা লেখাপড়ার জন্য সময় দিতে গিয়ে সংসারে সময় দিতে পারেন না। অনেকে প্রবাসে থাকেন। এতে সময় মতো নরএপিনেফ্রিন, ডোপামিন ও সেরোটোনিনের মাত্রা হ্রাস পেয়ে যায়, কিন্তু অক্সিটোসিন ( Oxytocin ) হরমোন। বৃদ্ধি পাওয়ার সুযোগ হয় না। ফলে দাম্পত্য সম্পর্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

অক্সিটোসিন হরমোন ( Oxytocin ) যৌনাসক্তি বৃদ্ধি | ডাঃ মাসুদ হোসেন।2

❤ অক্সিটোসিন ( Oxytocin ) হরমোন / লভ হরমোন বাড়াতে খান এই 5 খাবার:

💋 অক্সিটোসিন ( Oxytocin ) হরমোন শরীরে থাকলে দুষ্টু অনুভূতি জাগে। শুধু তাই নয় গবেষণা বলছে, শরীরে লভ হরমোন বাড়লে ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে। স্থূলতা থেকে মেলে মুক্তি। অক্সিটোসিনকে বলা হয় ‘লভ হরমোন’। শরীরে এর উপস্থিতির কারণে রোম্যান্সের দুষ্টু ভাবনা জাগে। সঙ্গীর সঙ্গে গহীন মুহূর্ত কাটাতে মন চায়। ভালবাসার এমন অনুভূতি বাড়াতে চাইলে খাদ্যতালিকায় আনতে হবে কয়েকটি বদল। শুধু তাই নয় গবেষণা বলছে, শরীরে লভ হরমোন বাড়লে ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে। স্থূলতা থেকে মেলে মুক্তি। অক্সিটোসিন শরীরে থাকলে দুষ্টু অনুভূতি জাগে। প্রিয় মানুষকে জড়িতে ধরা, চুম্বন, ঘনিষ্ঠ হওয়ার মতো ভাবনা আনাগোনা করে মস্তিষ্কে। আরও গভীরে গিয়ে চরম আনন্দের অনুভূতি পেতেও সহায়ক লভ হরমোন। একটি গবেষণা বলছে, এই হরমোন পুরুষদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। মেটাবলিজম বাড়িয়ে দেয়। খিদে নিয়ন্ত্রণে থাকে। গভীর অন্তরঙ্গতায় মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের বেশি ক্যালোরি ক্ষয় হয়। আর তাতে ওজনে নিয়ন্ত্রণ রাখতে সক্ষম হন পুরুষরা।

❤ কী কী খাবার অক্সিটোসিন ( Oxytocin ) হরমোন বাড়াতে কার্যকর ?

🩸 ডার্ক চকোলেট: চকোলেটের নাম শুনলেই মুখে জল চলে আসে। তবে উপকার পেতে চাইলে খান ডার্ক চকোলেট। এই চকোলেট খেলে মেজাজ ভাল থাকে। মনের মধ্যে ভালবাসার অনুভূতি খেলা করে। লভ হরমোন ক্ষরণে সহায়ক।

🩸 ব্রকলি: সবুজ শাকসবজির মধ্যে ব্রকলি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি ভিটামিনের সমৃদ্ধ। ব্রকলি খেলে এনার্জি বাড়ে। বৃদ্ধি পায় অক্সিটোসিন হরমোনও।

🩸 কফি: কফির পেয়ালায় কত কিছুই না ঘটে যায়! দু’কাপ কফি নিয়ে পরস্পরের চোখে তাকিয়ে অনেকক্ষণ কাটানো যায়। কফিশপেও যুগলদের দেখা যায় বেশি। কফিতে থাকা ক্যাফাইন স্নায়ুতে প্রভাব ফেলে। অক্সিটোসিন বাড়ায়। এর ফলে মনে জাগে পুলক।

🩸 চিয়া বীজ: চিয়া বীজ খুবই উপকারী। আবেগ বাড়ায়। প্রিয় মানুষের কাছে মনের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারেন। তাই গভীর জলের খেলায় পারদর্শী হতে খান চিয়া বীজ।

🩸 কমলা লেবুর রস: এই রসে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা শরীরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এর ফলে মন প্রফুল্ল থাকে। রোম্যান্সের ইচ্ছাও প্রবল হয়।

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন
Dr. Masud Hossain.
( D.H.M.S )
(ডি, এইচ, এম, এস) ঢাকা।

ডা.মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক
ডা.মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 সকাল 09:00 — 01:00 টা।
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!