🇨🇭 হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথি- Hepatic Encephalopathy, হলো মস্তিস্কের ব্যধি।
🇨🇭 লিভারে সমস্যা থাকার কারণে কিছু কিছু ব্যক্তির এ রোগ হয়ে থাকে। হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথি হচ্ছে অনেক গুলো রোগের সমষ্টি এবং যার লক্ষন অনেক সময় প্রকাশ নাও পেতে পারে অথবা প্রকাশ পেলে সেটি জীবননাশী হতে পারে।
🇨🇭 মস্তিস্কের বিকৃতির কারণে এই রোগের লক্ষন গুলো দেখা দেয় এবং এই রোগের লক্ষন গুলো হলো ব্যক্তির আচার আচরনে পরিবর্তন, বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ না হওয়া, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া
এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
🇨🇭 অ্যাকুইট অথবা ক্রনিক লিভার ডিজিজে আক্রান্ত ব্যক্তির এই রোগ হয়ে থাকে। পোর্টসিসটিম্যাক শান্ট এর মাধ্যমে লিভার বাইপাস করালেও হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথি – Hepatic Encephalopathy হতে পারে। এই সমস্যা গুলো জন্মগত হতে পারে। যখন লিভারের মাধ্যমে ক্ষতিকর উপাদান শরীর থেকে বের হয়ে রক্তে জমাট বাঁধে এবং মস্তিস্কে পৌছে যায় তখন হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথি- Hepatic Encephalopathy, দেখা দেয়।
🇨🇭 Hepatic Encephalopathy রোগের অধিকাংশ উপসর্গ গুলোকে চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় করা সম্ভব।
🇨🇭 হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথির- Hepatic Encephalopathy কারণ:
🩸 হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথির সঠিক কোনো কারণ জানা যায়নি। রক্ত প্রবাহের সাথে ক্ষতিকর উপাদান জমার কারণে এবং লিভারের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে এই রোগ দেখা দেয়।
🩸 লিভার শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয়। যখন লিভার ক্ষতিগ্রস্থ হয় তখন এটি ক্ষতিকর পদার্থ ফিল্টার করতে পারে না। যখন কিডনী ক্ষতিকর পদার্থ গুলোকে বের করতে পরে না তখন এগুলো রক্ত প্রবাহের সাথে জমা হয়। যার ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ এবং স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
🩸 হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথির- Hepatic Encephalopathy কারণ গুলো নিচে দেওয়া হলো।
- 🧪 ইনফেশন।
- 🧪 কিডনীর সমস্য।
- 🧪 ডিহাইড্রেশন (পানি শুন্যতা)।
- 🧪 শরীরে অক্সিজেনের অভাব।
- 🧪 সাম্প্রতি অপারেশন করালে ইমিউন সিস্টেমকে ক্ষতিগ্রস্থ করে এমন ঔষধের ব্যবহার।
- 🧪 অতিমাত্রায় প্রোটিন খেলে।
- 🧪 বার্বিটুরেট অথবা বেনজোডিয়াজেফিন ট্রানকুইলিজার জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করলে যার কারণে কেন্দ্রিয় স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
🇨🇭 হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথির লক্ষণ:
🩸 এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:
- 🩸 বিষণ্নতাজনিত সমস্যা ( Depressive Or Psychotic Symptoms )
- 🩸 পেটে তীক্ষ্ণ ব্যথা ( Sharp Abdominal Pain )
- 🩸 শ্বাসকষ্ট ( Shortness Of Breath )
- 🩸 পায়ে পানি আসা ( Peripheral Edema )
- 🩸 অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ( Fainting )
- 🩸 দুর্বলতা ( Weakness )
- 🩸 অবসাদ ( Fatigue )
- 🩸 ঔষধের অপব্যবহার ( Drug Abuse )
- 🩸 নড়াচড়া করতে সমস্যা হওয়া ( Problems with movement )
- 🩸 খিঁচুনি ( Seizures )
- 🩸 অতিরিক্ত মদ্যপান ( Abusing Alcohol )
- 🩸 তরল জমা হওয়া ( Fluid Retention )
আরো পড়ুনঃ হিট স্ট্রোক | Heat stroke | ডাঃ মাসুদ হোসেন।
🇨🇭 হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথির ঝুঁকি:
🩸 এই রোগের ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় গুলো নিচে বর্ননা করা হলো।নির্দিষ্ট কিছু সমস্যা, যেমন: হাইপোনাট্রিমিয়া অথবা হাইপোক্যালিমিয়া যার কারণে শরীরের তরলের মাত্রাকে প্রভাবিত করে কিডনী ফেইলর
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ব্লিডিং
সিডেটিভস্ এবং অ্যান্টি- ইপিলেপটিকসের ব্যবহার
কোষ্ঠকাঠিন্য সিরোসিস
হেপাটাইটিস – ইনফেকশাস অথবা অটোইমিউন।
🇨🇭 হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথির যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে:
🛑 লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা 01 গুণ কম।
🛑 জাতি: শেতাঙ্গ এবং হিসপানিকদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে কৃষ্ণাঙ্গ এবং অন্যান্য জাতির মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা 01 গুণ কম।
Q. হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথিতে আক্রান্ত ব্যক্তি অ্যালকোহল, মদ পান করতে পারবেন কিনা ?
উত্তর: অ্যালকোহল,মদ পান করার কারণে লিভার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথি হচ্ছে লিভার ফেইলর রোগের একটি মারাত্মক উপসর্গ এবং জরুরী ভিত্তিতে এটির চিকিৎসা প্রয়োজন। মদ পান করার ফলে হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথির তীব্রতা বেড়ে যায় এবং যার কারণে ডিকমপেনসেটেড লিভার ফেইলর দেখা দেয়। এর ফলে অবশেষে রোগীর মৃত্যু ঘটে।
Q. এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা কি?
উত্তর: এই রোগের উপসর্গ গুলোকে ঔষধ ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাময় করা যায়। সাধারনত ল্যাকটুলস অথবা রিফাক্সিমাইন ব্যবহার করা হয়। লিভার ফেইলর
মারাত্মক আকার ধারন করলে ঔষধ ব্যবহার করে এই রোগ নিরাময় করা যায় না। যার ফলে এনসেফালোপ্যাথি হেপাটিক কমাতে পরিনত হয়। এই অবস্থায় লিভার প্রতিস্থাপন না করলে লিভার ফেইলর মারাত্মক আকার ধারন করে এবং এই কারণে রোগী মারা যায়।
Q. হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথিতে আক্রান্ত ব্যক্তি অ্যালকোহল,মদ পান করতে পারবেন কিনা ?
উত্তর:অ্যালকোহল,মদ পান করার কারণে লিভার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথি হচ্ছে লিভার ফেইলর রোগের একটি মারাত্মক উপসর্গ এবং জরুরী
ভিত্তিতে এটির চিকিৎসা প্রয়োজন। মদ পান করার ফলে হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথির তীব্রতা বেড়ে যায় এবং যার কারণে ডিকমপেনসেটেড লিভার ফেইলর দেখা দেয়। এর ফলে অবশেষে রোগীর মৃত্যু ঘটে।
Q. হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথিতে আক্রান্ত ব্যক্তির অ্যালকোহল,মদ পান করা উচিৎ কি ?
উত্তর:অ্যালকোহল,মদ পান করার কারণে লিভার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথি হচ্ছে লিভার ফেইলর রোগের একটি মারাত্মক উপসর্গ এবং জরুরী ভিত্তিতে এটির চিকিৎসা প্রয়োজন। মদ পান করার ফলে হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথির তীব্রতা বেড়ে যায় এবং যার কারণে ডিকমপেনসেটেড লিভার
ফেইলর দেখা দেয়। এর ফলে অবশেষে রোগীর মৃত্যু হয়।
Q. এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে কি ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হয় ?
উত্তর: এই রোগের উপসর্গগুলোকে হোমিওপ্যাথি ঔষধ ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাময় করা যায়। লিভার ফেইলর মারাত্মক আকার ধারন করলে ঔষধ ব্যবহার করে এই রোগ নিরাময় করা যায় না। এই অবস্থায় লিভার প্রতিস্থাপন না করলে লিভার ফেইলর মারাত্মক আকার ধারন করে এবং এই কারণে রোগী মারা যায়।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( D. H. M. S )
(ডি, এইচ, এম, এস) ঢাকা।
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801302-743871
( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 সকাল 09:00 — 01:00 টা।
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।
☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।
☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।