🇨🇭 হিমোগ্লোবিন – Hemoglobin কি ?
🩸 হিমোগ্লোবিন হলো এক ধরনের প্রোটিন। এটি মানুয়ের শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার মধ্যে থাকে। এটা আমাদের শরীরে অক্সিজেন পরিবহনে সাহায্য করে। মানুষের শরীরের ভেতর প্রতিটি জায়গায় অক্সিজেন পৌছে দেয়ার কাজ হলো হিমোগ্লোবিন। রক্ত হিমোগ্লোবিন পরিমাণ কমে গেলে অক্সিজেন সরবরাহ ও কমে যায়।
🩸 রক্তশূণ্যতা বা অ্যানিমিয়া মানের রক্ত কমে যাওয়া নয়। বরং রক্তের উপাদান লোহিত কণিকায় হিমোগ্লোবিনের পরিমান কমে গেলেই রক্ত শূন্যতা দেখা দেয়।
বিশেষ করে গর্ভবতী মা ও নারীরা রক্ত শূন্যতায় বেশি আক্রান্ত হয় । রক্ত শূন্যতা কখনো কখনো মারাক্তক হতে পারে। যেমন- গর্ভকালীণ অধিক মৃত্যু হারের অন্যতম কারণ এই রক্ত শূন্যতা।
🇨🇭 রক্তের হিমোগ্লোবিন Hb% পরীক্ষা ?
🩸 হিমোগ্লোবিন Hemoglobin, কালার স্কেল দ্বারা হিমোগ্লোবিন পরিমাপ নির্নয়।
🩸 আপনার কি খুব সহজেই ক্লান্ত লাগে, মাথা ঘোরায় কিংবা নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে? তাহলে দেরি না করে কমিউনিটি ক্লিনিকে অথবা আপনার নিকটস্থ্য কমিউনিটি ক্লিনিকে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা পরীক্ষা করুন। কারন-আপনার হতে পানে অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা ।
🩸 কিভাবে হিমোগ্লোবিন Hemoglobin পরীক্ষা করে / করবে ?
🩸 হিমোগ্লোবিন ( লাল রক্ত কনিকা ) পরিমাপের হিমোগ্লোবিন কালার স্কেলের গায়ে রক্তে হিমোগ্লোবিন মাত্রা শতকরাতে (10,20,40,50 ইত্যাদি শতাংশ ) দেয়া আছে। কিন্তু ল্যাবে পরীক্ষা সময় শতাংশে পরিমাপ না করে আন্তর্জাতিক হিসেবে গ্রাম পরা ডেসিলিটারে ( gm/dl ) প্রকাশ করা হয়।
🩸 পুরুষ কিংবা নারীর এক ফোটা রক্ত হিমোগ্লোবিন কালার স্কেলের শোষক কাগজে রক্ত নিযে 40/45 সেকন্ডে পর শোষক কাগজের রক্তের সাথে কালার স্কেলের বিভিন্ন কালার বর্ডারের সাথে ম্যাচ করে দেখাতে হবে।
ধরা যাক, একজন গর্ভবতী মায়ের রক্তের রং স্কেলের 80 এর কালার বর্ডারের সাথে মিলে গেছে। এবার 80 কে 6.67 দ্বরা ভাগ করলে তা গ্রাম পার ডেসিলিটারে প্রকাশ করা যায়।
🩸 অর্থাৎ উক্ত গর্ভবতী মায়ের রক্তে হিমোগ্লোবিন মাত্রা হবে:
80/6.67 = 11.99
অথাৎ- 12 gm/dl
🩸 এভাবে পুরুষদের ক্ষেত্রে ও রক্তে হিমোগ্লোবিন মাত্রা বের করা যায়।
🇨🇭 হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক মাত্রা:
- 🩸 শিশুদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক 11 থেকে 16 গ্রাম / ডেসিলিটার।
- 🩸 পুরুষের রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা-13.5 গ্রাম /ডেসিলিটার হতে 17.5 গ্রাম /ডেসিলিটার।
- 🩸 মহিলার রক্তেহিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা 11.5 গ্রাম /ডেসিলিটার হইতে 15.5 গ্রাম /ডেসিলিটার।
🇨🇭 খুব সহজেই রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ নির্ণয় করা যায় । নিজেই কোনো ভালো প্যাথলজিতে Hb%অথবা কমিউনিটি ক্লিনিকে টেস্টের মাধ্যমে তা জেনে নিতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ রক্তনালীর টিউমার | Blood Vassel Tumour | ডাঃ মাসুদ হোসেন।
🇨🇭 রক্তশূণ্যতা বা অ্যানিমিয়ার লক্ষন:
বেশি ভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই অ্যানিমিয়ার নিদিষ্ট লক্ষন শনাক্ত করা যায় না।
তবে নিম্ন লিখিত লক্ষন থাকলে রক্ত পরীক্ষা কার খুবই জরুরি-
🛑 যেমন:
- 🩸 শরীর ফ্যাকাসে খাকবে ও প্রচুর ঘাম হবে।
- 🩸 বুক ধড়পড় করবে।
- 🩸 নাড়ির স্পন্দন দ্রুত হবে।
- 🩸 শ্বাসকষ্ঠ, মাথা ঘোরানো
বা ঝিমঝিম করা, সঙ্গে মাথা ব্যথাও থাকতে পারে। - 🩸 চোখে ঝাপসা কিংবা কম দেখা।
- 🩸 মুখের কোণে ও জিহ্বায় ঘা হতে পারে।
- 🩸 দুর্বলতা ও ক্লান্তিভাব, হজম সমস্যা এবং পুরো শরীর ফুলে যায়।
- 🩸 পা ফুলে যাওয়া সঙ্গে শ্বাসকাষ্ট ও থাকতে পারে।
- 🩸 অনিদ্রা কিংবা ঘুম কম হতে পারে। হৃদপিন্ড বড় হয়ে যায় এবং দ্রুত হার্টবিট হতে থাকে।
🇨🇭 কাদের অ্যানেমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ?
- 🩸 যেসব নারীদের ঋতুস্রাবের সময় রক্ত পাত অনেক বেশি হয়।
- 🩸 গর্ভবতী নারীর।
- 🩸 দীর্ঘদিন ধরে কিডনির রোগে ভুগছেন যারা।
- 🩸 যে কোর ধরনের ক্যানসারে, বিশেষ করে রক্তের কোন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীরা।
- 🩸 পেটে কৃমি হলে।
- 🩸 যারা অপুষ্টর শিকার, নিরামিষাশী, এইচআইভি কিংবা হেপাটাইটিস সি আক্রান্ত রোগীরা।
- 🩸 বংশে কারো অ্যানিমিয়া থাকলেও হতে পারে।
🇨🇭 হিমোগ্লোবিন ( Hemoglobin )
🩸 হিমোগ্লোবিন এক ধরনের প্রোটিন। রক্তের তিনটি কণিকার মধ্যে লোহিত কণিকায় থাকে বিশেষ ধরনের আয়রন। একে হিমোগ্লোবিন বলে। এর প্রধান কাজ হলো ধমনি থেকে দেহের সব স্থানে অক্সিজেন ও বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করা।
🩸 হিমোগ্লোবিন বর্ণহীন রক্তকে লাল করে থাকে। সেই সঙ্গে রক্তে থাকা নানা রকম উপাদানের পর্যাপ্ততাও নিশ্চিত করে। হিমোগ্লোবিনের অভাব শরীরের একটি সাধারণ সমস্যা। শরীরের চাহিদা অনুযায়ী ভিটামিন ও খনিজের অভাব হলেই দেখা দেয় হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি।
🩸 ছোট,বড় সবার শরীরেই এই ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
মানুষের দেহের রক্তকণিকার 96 থেকে 97 শতাংশই হয়ে থাকে হিমোগ্লোবিনের প্রোটিন অংশ। আর রক্তের মোট ওজনের ( পানিসহ ) 35 শতাংশই দখল করে থাকে এই হিমোগ্লোবিন। আমাদের শরীরে থাকা প্রতি 01 গ্রাম হিমোগ্লোবিন বাতাস থেকে প্রতিবার 1.36 মিলিলিটার, কখনো কখনো তার চেয়ে কিছু বেশি অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে।
🩸 হিমোগ্লোবিনের প্রতিটি অণুতে চারটি আয়রন পরমাণু থাকে। আর প্রতিটি আয়রন পরমাণু একটি করে অক্সিজেন গ্রহণ করে।
বয়স ও লিঙ্গ অনুসারে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা ভিন্ন। সাধারণত জন্মের সময় নবজাতকের দেহে এক লিটার রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ থাকে 200 গ্রাম। পরে তিন মাস বয়স থেকে তা কমতে থাকে এবং প্রায় অর্ধেক হয়ে যায়।
🩸 পরে দৈহিক বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হিমোগ্লোবিন আবার বাড়তে শুরু করে। পুরুষের ক্ষেত্রে প্রতি লিটার রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা 130 থেকে 180 গ্রাম। নারীদের ক্ষেত্রে 115 থেকে 165 গ্রাম। এ ক্ষেত্রে পুরুষ বা নারীর প্রতি লিটার রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ 80 থেকে 70 গ্রাম হলে তাকে রক্তশূন্যতা বলা হয়।
🩸 রক্তে হিমোগ্লোবিনের অভাব হলে রোগীর শরীর ধীরে ধীরে ফ্যাকাসে হতে থাকে, বুক ধড়ফড় করে, প্রচুর ঘাম হয়, নাড়ির স্পন্দন বাড়ে ও দ্রুত হয়, মাথা ঘোরায়, সঙ্গে মাথা ব্যথাও থাকতে পারে, চোখ ঝাপসা বা কম দেখে, মুখের কোণে ও জিহ্বায় ঘা হয়। ধীরে ধীরে শরীর দুর্বল হয়ে যায়, ক্লান্তিভাব চলে আসে।
🩸 রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে প্রচুর আয়রন, ভিটামিন ও ফলেটযুক্ত খাদ্য এবং ওষুধ সেবন করতে হবে। সমস্যা বেশি হলে অবশ্যই যথাযথ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( বি, এইচ, এম, এস )
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
📞 মোবাইল : +8801907-583252
+8801302-743871
🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801302-743871
( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।
☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।
☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।