WhatsApp Image 2024 02 02 at 15.32.14 dfc19698

অতিরিক্ত যৌন আসক্তি ও যৌন বিকৃতি | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 অতিরিক্ত যৌন আসক্তি বা অতিকামুকতা ( Hypersexuality ) হল অতিমাত্রার বারংবার যৌন আকাঙ্ক্ষার বৃদ্ধি এবং তা পূরণে যৌন কর্মকান্ড করা।

🇨🇭 অতিরিক্ত যৌন আসক্তি রোগটি মানসিক স্বাস্থ্য গবেষকগণ এবং বিশেষজ্ঞদের দ্বারা চিকিৎসা-বিদ্যায় নির্ণীত একটি রোগ যার সাধারণ অর্থ হল ( হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া যৌন চাহিদা )।

🇨🇭 বর্তমানে এটিকে নারীদের ক্ষেত্রে ( নিমফোমেনিয়া এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি সেটিরিয়াসিস ) নামে পরিচিত।

🛑 অণ্ডকোষ থেকে এন্ড্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরন নামক হরমোন নি:সৃত হয়। অল্পবয়সে এই হরমোনের ক্ষরণ বেশি হলে অপরিণত বয়সেই যৌন লক্ষণ প্রকাশ পায়। এটি হল যৌনসঙ্গম করার জন্য স্বাভাবিকের চেয়ে দৃঢ় চাহিদা। এ অবস্থায় হস্তমৈথুন করে চরমানন্দ পাওয়া যায়, যাকে ইউফোরিয়া ( Euphoria ) বলে।

🇨🇭 অতিকামিতাকে ( Hypersexuality ) একটি প্রাথমিক রোগ হিসেবে বিবেচনা করা ঠিক হবে নাকি একে ভিন্নতর কোন রোগের উপসর্গ হিসেবে চিহ্নিত করা উচিত, এ বিষয়ে চিকিৎসকরা এখনও একমত নন। তবে এটি অন্য কোনো রোগের উপসর্গ যেমন: ক্লুভার-বাকি সংলক্ষণ, বাইপোলার ডিজর্ডার, সিজোএফেক্টিভ ডিজর্ডার, বর্ডারলাইন পারসনালিটি ডিজর্ডার, হিস্ট্রিয়নিক পারসোনালিটি ডিজর্ডার , ইত্যাদি। কিছু ঔষধের প্বার্শপ্রতিক্রিয়াস্বরূপ বা ক্রিয়াস্বরূপ এটি ঘটে থাকতে পারে যেমন: এম্ফিটামিন, পারকিনসনের রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধ ইত্যাদি। চিকিৎসকরা এখনও সেরকম কোন সমীক্ষায় পৌছান নি যেখান থেকে এটিকে মূল রোগ বা অন্য কোন রোগের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বলা যাবে। এছাড়া কিছু ক্ষেত্র রয়েছে যার কারণ অজানা। কিছু মনোবিজ্ঞানী মনে করেন যে, হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণেও এটি হতে পারে। অনেকে যুক্তি দেখিয়েছেন যে, যৌনতাকে ( চরম ) আখ্যা দেওয়া কোনমতেই সঠিক নয়। কারণ এতে জনসাধারণের মনে যৌনতা সম্বন্ধে একটি বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হয়।

🇨🇭 অতিকামিতা ( Hypersexuality ) মূলক আচরণকে চিকিৎসক এবং মনোচিকিৎসা প্রদানকারীরা বিভিন্ন দৃষ্টিতে দেখে থাকেন, তবে এটিকে ( ওসিডি-OCD ) ঘরানার ব্যাধি বলে মনে করা হয়। এটিকে একটি নেশা বা একটি আবেগপ্রবণতার ব্যাধি বলে ধরা হয়। বেশ কিছু সংখ্যক চিকিৎসক এটিকে রোগ হিসেবে দেখেন না। তবে কিছু সংখ্যক লেখক ভিন্নমত পোষণ করেন এবং অতিকামুক আচরণগুলোকে বরং নিতান্তই সামাজিক পছন্দ-অপছন্দের প্রতিফলন বলে মনে করেন।

🇨🇭 অতিকামিতার সঠিক কারণ বের করতে না পেরে কিছু লেখক প্রায়ই অর্থের অদলবদল ঘটিয়ে রোগটি ব্যাখ্যা করে থাকেন। তবে এটি অনেকাংশেই নির্ভর করে গবেষকরা কোন তত্ত্বটিকে সমর্থন করছেন এবং কোন সুনির্দিষ্ট আচরণের উপর গবেষণা করছেন তার উপর। এ রোগটির সাথে সমার্থক অনেক সংজ্ঞা প্রদান করে যেমন : কম্পালসিভ হস্তমৈথুন ( অমোঘ হস্তমৈথুন ), অমোঘ যৌন আচরণ, সাইবারসেক্স আসক্তি, ইরোটোম্যানিয়া, অতি যৌন ইচ্ছা, হাইপারফিলিয়া, অতিযৌনতা, অতি যৌন ব্যাধি, সমস্যাযুক্ত অতি যৌনতা, যৌন আসক্তি, যৌন বাধ্যতা, যৌন নির্ভরতা, যৌন আবেগপ্রবণতা, নিয়ন্ত্রণহীন যৌন আচরণ, এবং প্যারাফিলিয়া সম্পর্কিত ব্যাধি ইত্যাদি।

🇨🇭 ব্যুৎপত্তি সেক্সোলজিস্টরা 1800 সাল পরবর্তি সময় থেকে ( হাইপারসেক্সুয়ালিটি- Hypersexuality ) শব্দটি ব্যবহার করে আসছেন। ঐ শতকেরই আশির দশকে – ক্রাফ্টএবিং তার যৌনরোগ বিষয়ক পুস্তক সাইকোপ্যাথিয়া সেক্সুয়ালিস , এ এই ধরনের চরম যৌন আচরণের বর্ণনা দেন। লেখক এক্ষেত্রে অকাল বীর্যপাত বিষয়টি বর্ণনা করতে হাইপারসেক্সুয়ালিটি শব্দটি ব্যবহার করেন।

অতিরিক্ত যৌন আসক্তি ও যৌন বিকৃতি
🇨🇭 হাইপারসেক্সুয়ালিটি- Hypersexuality কারণ:
অতিকামিতার কারণ কী?

তা সমন্ধে অল্পই গবেষণা বা সমীক্ষা হয়েছে। কিছু গবেষণা অনুসারে ডিমেনসিয়ার সাথে সম্পর্কিত জৈবরাসায়নিক অথাব শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তনের ফলে এটি শুরু হয়েছে। মানসিক আকাঙ্খা এটির সাথে জড়িত তাই জৈব ব্যাখা জটিলতা ধারণ করেছে। যার ফলে জানা গেছে মস্তিষ্কের ফ্রন্টাল-লোব এরূপ উচ্চ মাত্রার আকাঙ্খার জন্য দায়ী। এ অংশে আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আগ্রাসী আচরণ এবং অন্যান্য আচরণিক সমস্যায় পড়তে দেখা গেছে এমনকি তাদের ব্যক্তিত্ব পরিবর্তন হয়েছে এবং তারা সমাজে যেরূপ যৌন আচরণ সঠিক নয় সেরূপ অতি যৌনাকাঙ্খার আচরণ দেখিয়েছে। ইউনিল্যাটারাল টেম্পোরাল লবোটমির পর একই উপসর্গ দেখা গেছে। অতি যৌনাকাঙ্খার সাথে সম্পর্কিত অন্য কারনগুলো হল ঋজ:পূর্ব জৈব পরিবর্তন, শিশুকালে ভিরিলিসিং হরমোনের আওতায় আসা বা জরায়ুতে প্রয়োগ করা।

🇨🇭 যে সকল পরীক্ষায় অতি যৌনাকাঙ্খা কমাবার জন্য এন্টিএন্ড্রোজেন ব্যবহার করা হয়েছিল যৌন আচরণ কমানোর জন্য সেখানে টেস্টোস্টেরনকে যৌন আকাঙ্খা জাগাবার জন্য দরকারি কিন্তু পর্যাপ্ত নয় বলে দেখা গেছে। অন্যান্য কারনের মধ্যে রয়েছে শারীরিক নৈকট্যের অনুপস্থিতি এবং সাম্প্রতিক অতীত ভুলে যাওয়া।

🇨🇭 মস্তিষ্কেের ডোপামিনার্জিক মেসোলিম্বিক পথে ম্যানিয়া বা ঔষধের কারনে বা মানসিকভাবে যদি অতিকার্যক্ষম হয় যেটা ডোপামিন অ্যাগোনিস্টের – বিশেষত ডি-3 , ঘরানার অ্যাগোনিস্টগুলো, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারনে হয় তাহলে তা বিভিন্ন ধরনের আসক্তি তৈরি বা জন্মানোর কারণ হয়। যার ফলে কখনো কখনো অতি যৌনাকাঙ্গার আচরণ তৈরি করে, কখনো অতি অসংযত আচরণ তৈরি করে। এইচপিএ এক্সিস ডিসরেগুলেশন অতি যৌনাকাঙ্খা ব্যধির সাথে সম্পর্কিত বলে জানা গেছে।

🇨🇭 আমেরিকান এসোসিয়েন ফর সেক্স এডিকশন থেরাপি স্বীকার করে যে যৌন আসক্তির পেছনে জৈবিক কারন রয়েছে। অন্য কারনগুলো হল মানসিক আবেগ- যেগুলো মেজাজ এবং প্রেরণাসহ মনোচলৎশক্তি এবং কগনিটিভ কার্যের সাথে জড়িত, মেজাজের ব্যাধি, যৌন আঘাত এবং অন্তরঙ্গতার চাহিদা কম থাকা অথাব যৌন আসক্তির ধরন ইত্যাদি।

অতিরিক্ত যৌন আসক্তি ও যৌন বিকৃতি

🇨🇭 যৌন আসক্তি মানসিক ব্যাধি:

জুয়া, মাদক থেকে শুরু করে যৌনতায়ও আসক্তি থাকে অনেকের। আর এসব কিছুই আসলে মানসিক সমস্যা থেকে হয়ে থাকে। ফলে একপর্যায়ে আসক্ত মানুষদের জীবনও হুমকির মধ্যে পড়ে যায়।

🇨🇭 সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ( WHO )র, এক গবেষণায় স্বাস্থ্যগত নানা রকম সমস্যা চিহ্নিত করেছে। তার মধ্যে যৌন আসক্তিকে মানসিক ব্যাধি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তাতে এ ও বলা হয়, নানা ধরনের মানুষের মধ্যে নানা রকম যৌন চাহিদা থাকে।
তাতে আরো বলা হয়, যেসব: ব্যক্তি নিজেদের যৌন আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না এবং শারীরিক মিলনের পরেও বারবার মিলনের জন্য উদগ্রীব হয়ে পড়েন, তারা যৌন আসক্ত। যৌন আসক্তির ফলে ব্যক্তিত্ব নষ্ট হয়ে যায়, পারিবারিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার শঙ্কা থাকে, অসামাজিক হয়ে ওঠে, শিক্ষাক্ষেত্রে অবণতি ঘটে এবং সর্বোপরি অসামাজিকভাবে কেবল যৌন বিষয়ে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয় ভুক্তভোগীর মনে।

আরো পড়ুনঃ  নারী ও পুরুষের যৌন অনীহার কারণ | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 যৌন আসক্তদের যে ধরনের লক্ষণ দেখা যায়:

  • 🩸 ব্যক্তির জীবনে যৌনতার বিষয়টি মুখ্য হয়ে ওঠে। আর অন্য সবকিছু তুচ্ছ হয়ে যায় তার কাছে।
  • 🩸 কোনোভাবেই যৌন আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে না পারা।
  • 🩸 মিলনের খানিকবাদে-ই আবারো আকাঙ্ক্ষা জেগে ওঠে।
  • 🩸মিলনের জন্য যে কোনো ধরনের ঝুঁকি নিতেও পিছ পা না হওয়া।

🇨🇭 এছাড়া আরো কিছু লক্ষণ রয়েছে তাদের মধ্যে:

  • 🩸বেশ কয়েকজন যৌন সঙ্গী থাকে। আবেগের জায়গা না থাকলেও অনেকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক থাকে।
  • 🩸 নিয়মিত হস্তমৈথুন করে তারা।
  • 🩸 যৌন কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হয়।
  • 🩸 পর্নোগ্রাফি দেখার নেশা থাকে।
  • 🩸অনিরাপদ যৌনতায় আগ্রহ থাকে।
অতিরিক্ত যৌন আসক্তি ও যৌন বিকৃতি
🇨🇭 Wife Swapping – স্ত্রী / সংগী অদল-বদল করে যৌনসহবাস!

🩸 মানুষের জীবনে নিরাপদ যৌনতা, জন্মের পবিত্রতা কিংবা বংশানুক্রমিক ধারাবাহিকতা রক্ষার অন্যতম মাধ্যম হলো বিবাহ। বিবাহ হলো এমন একটি মাধ্যম ,যার ফলে মিলে দুটি নর-নারীর একসাথে থাকার, নিরাপদ যৌনতার , বংশ রক্ষার সামাজিক ও ধর্মীয় স্বীকৃতি। সকল ধর্মে এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানেও বিকৃত যৌনচার , বহুগামীতা এবং বিবাহপূর্ব যৌনসম্পর্ক পাপ এবং ক্ষতিকর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার পরেও কিছু মানুষ তাদের বিকৃত মানষিকতার কারনে বা সংগদোষে নানা রকম পাপকার্যে জড়িয়ে পড়ে। আর এই পাপাচারের পথে কেউ করে পরকীয়া, কেউ যায় পতিতালয়ে বা কেউ জড়িয়ে পড়ে নানা রকম অনৈতিক- অস্বাভাবিক যৌনসম্পর্কে। আর এ জাতীয় কাজের সর্বশেষ সংযোজন হলো একের সংগী / স্ত্রীর সাথে অন্যের ( স্ত্রী / সংগী অদল-বদল করে ) Wife Swapping যৌনসহবাস-যৌনাচার।

🩸 যেখানে একটা পশু ও তাদের সংগী-সংগীনিদের প্রতি বিশ্বস্ত থেকে থাকে আজীবন এবং তাকে রক্ষার জন্য অবলীলায় জীবনও বিলিয়ে দেয়, সেখানে মানুষরুপী কিছু নরাধম তাদের পাশবিকতা চরিতার্থের জন্য এ জাতীয় কাজ যে কতটা ঘৃন্য ও মানব জাতীর জন্য কতটা জঘন্যতম ক্ষতিকর এ অমানুষরা মোটেই তা না ভেবে তারা ব্যস্ত তাদের বিকৃত মানষিকতা চরিতার্থ করতে।

🩸 যথাযথ ও স্বাভাবিক যৌন শিক্ষা / ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা না থাকায় বর্তমানে তরুণ-তরুণীদের কাছে যৌনশিক্ষার একমাত্র মাধ্যম হয়ে উঠছে পর্নোগ্রাফি। সেখান থেকেই তারা শিখছে বিকৃত যৌনাচার। এমনটাই মনে করছেন মনোবিজ্ঞানী ও সমাজবিজ্ঞানীরা । পাশাপাশি মাদকের সহজলভ্যতা ও ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার না হওয়াকেও এজন্য তারা দায়ী মনে করছেন। মাদকের সহজলভ্যতা, সঠিক যৌনশিক্ষা না পাওয়া এবং ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার না হওয়ার কারণে তরুণদের মধ্যে বিকৃত যৌনাচারের প্রবণতা বেড়ে গেছে ব্যাপকহারে। এধরনের মানুষেরা এমনকি বিয়ের পরও তা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনা। তাদের নানা রকম উদ্ভট বিকৃত যৌনাচার ও মানষিকতা থেকে তাদের স্ত্রীরাও রেহাই পায়না। যৌন ফ্যান্টাসি – উদ্ভট কল্পনাতে ভূগে তারা নানারকম উদ্ভট বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত হয়। আর তাইতো কেউ কেউ স্বাভাবিক যৌনমিলন তৃপ্ত থাকলেও অনেকই বিকৃত আনন্দ খুজে: অঙ্গুলি-সঞ্চালন, পায়ুলেহন, মুখমৈথুন, পায়ুসঙ্গম, যোনিলেহন বা সমকামিতায়। আর এই বিকৃত মানুষদের আরেক বিকৃত সংযোজন হলো সঙ্গী-সঙ্গীনি ( স্ত্রী/স্বামী ) অদল-বদল করে যৌনসহবাস, যৌনাচার।

🛑 কিভাবে মানুষের এ ধরনের বিকৃত যৌন আচরন নিয়ন্ত্রিত করা যায়?

🩸জীব মাত্রই যৌনতা আছে, যৌনতা ছাড়া কোন কোন জীব নেই এবং এর মাধ্যমেই মানুষের বংশরক্ষা হয়। কোন ব্যক্তির যৌন অভিমুখিতা অন্য ব্যক্তির প্রতি তার যৌন আগ্রহ ও আকর্ষণকে প্রভাবিত করতে পারে। একেক জন মানুষ একেক ভাবে তার যৌনতা প্রকাশ বা উপভোগ করে। যার মধ্যে মানুষের চিন্তা-কল্পনা-কামনা-বিশ্বাস-দৃষ্টিকোণ-মূল্যবোধ-আচরণ-প্রথা ও সম্পর্ক অন্তর্গত। এই বিষয়গুলো তাদের জৈবিক,আবেগীয়,
সামাজিক অথবা আধ্যাত্মিক বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরে যা সে পরিবার-সমাজ থেকে অর্জন করে।

🩸 সঠিক যৌনতার জন্য মানুষের পারিবারিক শিক্ষা , ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা, জৈবিক ও দৈহিক চাহিদার নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার , পারিবারিক সুস্থ পরিবেশ,
নৈতিকতা ও শালীনতা মূল্যবোধের সৃষ্টি-চর্চা, ছেলে সন্তানদেরকে মেয়েদেরকে সম্মান করার শিক্ষা, মেয়েদের প্রতি ছেলেদের-সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভংগীর পরিবর্তন, নির্মল আনন্দদায়ক খেলাধুলা,সুস্থ সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের চর্চার মাধ্যমে মানুষের যৌন জীবন তথা যৌন আচরন নিয়ন্ত্রিন করা সম্ভব।

🩸 মানুষের যৌন আচরন ব্যাপকভাবে মানব প্রজনন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত, যার অন্তর্গত হল মানব যৌনতার সাড়াদান চক্র এবং মৌলিক জৈব তাড়না যা সকল প্রজাতির মধ্যেই বিদ্যমান থাকে সকলের ই তার নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার করা উচিত। মানুষের যৌনতার দৈহিক এবং আবেগীয় বৈশিষ্ট্যের মূল বিষয়বস্তু হল বিভিন্ন ব্যক্তির মাঝে বন্ধন যা গভীর অনুভূতি অথবা প্রেম, বিশ্বাস এবং পরিচর্যার দৈহিক বহি:প্রকাশের মাধ্যমে প্রদর্শিত হয়।

🩸 কোন সমাজের সামাজিক বৈশিষ্ট্যগুলোও ব্যক্তির যৌনতার প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। এছাড়াও মানুষের জীবনের যৌনতা, সাংস্কৃতিক,
রাজনৈতিক, আইনগত, দার্শনিক,নৈতিক,নীতিশাস্ত্রীয় এবং কেউ কেউ ধর্মীয় বৈশিষ্ট্যের দ্বারাও প্রভাবিত হয় এবং এগুলোকে প্রভাবিতও করে।

অতিরিক্ত যৌন আসক্তি ও যৌন বিকৃতি

🛑 অনিয়ন্ত্রিত অবাধ যৌনতার খারাপ কুফল কী?

🩸 নারী পূরুষের অবাধ মিলনের ফলে বর্তমানে সমাজে ছড়িযে পড়েছে মারাত্মক সব রোগ। সিফিলিস, প্রমেহ, গনোরিয়া, এমনকি মারাত্বক রোগ এইডস। এইডস রোগের ভাইরাস এর নাম – HIV, এ ভাইরাস রক্তের শ্বেত কনিকা ধ্বংশ করে। 1981 সালে প্রথম এ রোগ ধরা পড়ে এবং 1983 সালে একজন ফরাসী বিজ্ঞানী HIV- ভাইরাসকে এ রোগের কারন হিসেবে দায়ী করেন। অনুমান করা হয় বানর থেকে এ রোগের ভাইরাস মানব দেহে প্রবেশ করেছে। তাহলে মানুষে পশুতে যৌন মিলন কি এ রোগের প্রার্দূভাবের কারন?

🩸 কখনও কি বিকৃত মনের কোন নর-নারীর বানরের সাথে যৌন সংগমের পরিনতিতে এ ভাইরাস আজ মানুষের দেহে ?

🩸 মানুষের কিছু যৌন আচরনের কারণে যৌন সংক্রামক রোগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে। যদি কেউ অন্য অনেকের সাথে যৌন সঙ্গম করে থাকে তবে এ ক্ষেত্রে অপর সঙ্গীরও যৌন রোগ তৈরীর সম্ভাবনা হয়। একজন ব্যক্তির সাথে যৌনাচারণ করাটাই অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। যদি একজন ব্যক্তি যৌন ভাবে অনেক সঙ্গীর সাথে সঙ্গমে সক্রিয় থাকে তবে নিয়মিত চিকিৎসকের দ্বারা যৌন কোনো রোগ আছে কি না,তা পরীক্ষা করা উচিত এবং এমন সংগী – সংগীনি নিজের ভালর জন্যই এড়িয়ে চলা উচিত।

🩸 যৌন অভিমুখিতা যাই হোক না কেন, অরক্ষিত যৌনাচার / পায়ু যৌনাচার খুবই বিপজ্জনক। পায়ু যৌনাচার – স্ত্রী যোনি সঙ্গমের তুলনায় অনেক বেশি ঝুকিঁপুর্ণ কারণ পায়ু ও রেকটামের ( মলদ্বার ) পাতলা টিস্যু অনেক সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আর সেখানে হালকা ক্ষতও ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটাতে পারে, এইচআইভি-HIV, ছড়াতে পারে।

🩸 একগামী অথবা বহুগামী, উভয়েরই যৌন রোগের প্রকোপে থাকতে পারে। কারণ, তাদের সঙ্গী-সঙ্গীনি যদি অবিশ্বাসযোগ্য হয়, বা বিভিন্ন ড্রাগ যা ইনজেকশনের মাধ্যমে নেওয়া হয় , সেসব ব্যবহার করে তবে তাদের যৌন রোগ থাকার একটা আশঙ্কা থাকে। আর যারা বহুগামী, তাদের যৌনসঙ্গী বাছ বিচার না করে নির্বাচন করা উচিত নয়। তাদের যৌন সঙ্গীর পরিমাণ কমানো উচিত। তাহলেই এসটিআই- STI, হবার সম্ভবনা হ্রাস পায়। একই সাথে তাদের সাথেই সঙ্গমে লিপ্ত হওয়া উচিত, যারা বিশ্বাসযোগ্য।

🛑 পরিশেষে, ধর্ম ও চিকিৎসাবিজ্ঞানে ও বহুগামীতাকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে এবং নিরাপদ যৌনতার জন্য সংগী- সংগীনির প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে বলা হয়েছে , যা পরিবার-সমাজ ও মানবজাতির কল্যানের সাথে সাথে নিজেদের কল্যাণও নিশ্চিত করে। বিবেকবান মানুষ মাত্রই আমাদের সকলকে এ জাতীয় পাপাচার থেকে বেচে থাঁকার চেষ্টা করা উচিত।

ডাঃ মাসুদ হোসেন

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( বি, এইচ, এম, এস )
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!