শরীরে জিংক - Zinc বা দস্তার

শরীরে জিংক – Zinc বা দস্তার প্রয়োজনীয়তা | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 আমাদের শরীরে 300 বেশি এনজাইমের সঠিক পরিচালনের জন্য ( Zinc – জিংক বা দস্তার ) প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। প্রতিদিন আমাদের শরীরের জন্য 15- মিলিগ্রাম জিংকের প্রয়োজন হয়।

🇨🇭 জিংকের অভাবজনিত সমস্যা গর্ভকালীন জিংকের ঘাটতি জন্মগত ত্রুটি, কম ওজনের শিশু জন্ম দেওয়ার আশঙ্কা বাড়ায়, দেহের বৃদ্ধি রোধ, দৈহিক অপরিপক্বতা বা বামনত্ব হতে পারে, জিংকের অভাবে ডায়রিয়া বা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়া ছাড়াও কনজাংকটিভার প্রদাহ, পায়ে বা জিহ্বায় ক্ষত, মুখের চারপাশে ক্ষত, একজিমা, ব্রণ বা সোরিয়াসিস জাতীয় ত্বকের সমস্যা, ছত্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণজনিত অসুস্থতা এবং শরীরের ক্ষত শুকাতে দীর্ঘসূত্রতা দেখা দেয়, এর অভাবে চুল পড়ে যায়, পুরুষের প্রজননক্ষমতাও কমে যায়, মানসিক দুর্বলতা, আচরণগত অস্বাভাবিকতা, অমনোযোগিতা, বিষণ্নতা, সিজোফ্রেনিয়া, ক্ষুধামান্দ্য দেখা দেয়।

🇨🇭 শরীরে জিংকের অভাবের কারণ- পুষ্টিহীনতা, ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ, কিডনি সমস্যা, অতিরিক্ত মদ্যপান, লিভারের সমস্যা ইত্যাদি।

🇨🇭 জিংক কী কী খাবারে থাকে?

🇨🇭 গরু ও ভেড়ার মাংসে উচ্চমাত্রায় জিংক রয়েছে। সামুদ্রিক মাছ, গরু-খাসির কলিজা, আটা-ময়দার রুটি, দুগ্ধজাত খাদ্য, শিমজাতীয় উদ্ভিদ, মসুর ডাল, চীনাবাদাম, মাশরুম, সয়াবিন ও ঝিনুকে জিংক পাওয়া যায়।

🇨🇭 জিংক শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় এক খনিজ উপাদান। শারীরবৃত্তীয় অনেক কার্যক্রম পরিচালনায় জিংকের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। এটি রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা জোরদার করে। জিংকের ঘাটতি তৈরি হলে নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। এটি ক্ষত নিরাময়েও সাহায্য করে। শিশুর শারীরিক বৃদ্ধিতেও রয়েছে জিংকের বিশেষ ভূমিকা। এ ছাড়া এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে শরীরের জন্য ক্ষতিকর মুক্ত মৌলের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ফলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। জিংক শরীরের প্রায় 300 ধরনের উৎসেচকের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান। এসব উৎসেচক শরীরের বিপাক, হজম, স্নায়বিক কার্যক্রমসহ অসংখ্য কার্য সম্পাদন করে। আমাদের স্বাদ ও ঘ্রাণের অনুভূতির জন্যও জিংক দরকারি একটি উপাদান।

🇨🇭 বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা – ( WHO ) শিশুর ডায়রিয়ায় জিংক গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে। এটি সাধারণ সর্দি,জ্বরের সময়কালও কমায়। জিংকের অভাবে হাড়ক্ষয় আর স্নায়ুবৈকল্য হতে পারে। এ সমস্যাকে বলে পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি। জিংক পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্যের জন্যও প্রয়োজনীয় এক উপাদান। কিন্তু শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় এই উপাদান শরীরে তৈরি হয় না। আবার তা শরীরে সঞ্চিতও থাকে না। কাজেই প্রতিদিনের খাবারে জিংকের সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি।

🇨🇭 একজন পুরুষ ও নারীর দৈনিক যথাক্রমে 11 ও 08 মিলিগ্রাম জিংক প্রয়োজন। অন্ত:সত্ত্বা এবং সন্তানকে বুকের দুধ দেওয়া মায়েদের জিংকের চাহিদা আরও বেশি।

শরীরে জিংক - Zinc বা দস্তার

🇨🇭 Zinc – জিংকের উৎস:

🇨🇭 জিংকের অন্যতম উৎস হলো সামুদ্রিক মাছ ও অন্যান্য খাবার

যেমন: কাঁকড়া, ঝিনুক, চিংড়ি, মাংস, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, ডিম, বাদাম, শিম, মাশরুম ইত্যাদি। শাক,সবজিতে বিদ্যমান জিংক শরীর সহজে হজম করতে পারে না। সে জন্য নিরামিষ ভোজীদের অতিরিক্ত জিংক সরবরাহ করা প্রয়োজন। একজন পুরুষ ও নারীর দৈনিক যথাক্রমে 11 ও 08 মিলিগ্রাম জিংক প্রয়োজন। অন্ত:সত্ত্বা এবং সন্তানকে বুকের দুধ দেওয়া মায়েদের জিংকের চাহিদা আরও বেশি।

🇨🇭 জিংকের Zinc, ঘাটতির লক্ষণ:

🇨🇭 খাবারে পর্যাপ্ত জিংকের উপস্থিতি থাকলেও কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ঘাটতি দেখা দিতে পারে। যাঁদের অন্ত্রনালির রোগ,

যেমন: ক্রোনস রোগ রয়েছে, যাঁরা নিরামিষভোজী, অন্ত:সত্ত্বা ও বুকের দুধ দেওয়া মা, শুধু বুকের দুধের ওপর নির্ভরশীল 06 মাসের বেশি বয়সী শিশু, ক্রনিক কিডনি কিংবা লিভারের রোগী, সিকল সেল অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত রোগী, অ্যালকোহলসেবী আর অপুষ্টিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জিংকের ঘাটতির ঝুঁকি বেশি।

🇨🇭 Zinc – জিংকের ঘাটতি দেখা দিলে শরীরে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। এগুলো হলো:
  • 🩸স্বাদ ও ঘ্রাণের অনুভূতি কমে যাওয়া।
  • 🩸ক্ষুধামান্দ্য বা অরুচি।
  • 🩸 হতাশা ভাব।
  • 🩸 ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া।
  • 🩸 ডায়রিয়া।
  • 🩸 চুল পড়া, ইত্যাদি।

🛑 তাই বলে চাহিদার অতিরিক্ত জিংক গ্রহণ করা যাবে না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। জিংকের আধিক্য কপার শোষণে বাধা দেয়। ফলে অ্যানিমিয়া হতে পারে। এ ছাড়া বমি ভাব, বমি, অরুচি, পেটব্যথা, মাথাব্যথা, পাতলা পায়খানা দেখা দিতে পারে। আবার অনেকের ক্ষেত্রেই খাদ্যে প্রাপ্ত জিংকের পাশাপাশি অতিরিক্ত সরবরাহের প্রয়োজন পড়ে কখনো কখনো। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শে জিংক ট্যাবলেট, সিরাপ অথবা লজেন্স দেওয়া যেতে পারে। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, জিংকের ঘাটতি যেমন ক্ষতিকর, অতিরিক্ত গ্রহণও তেমন ক্ষতিকর।

🇨🇭 Zinc – জিংক কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?

🇨🇭 জিংক এমন একটি খনিজ যা শরীর সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং কোষ তৈরি করতে ব্যবহার করে। এটি ক্ষত নিরাময় এবং ডিএনএ- DNA , তৈরি করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সমস্ত কোষের জেনেটিক ব্লুপ্রিন্ট হচ্ছে জিংক। শরীর প্রয়োজনের তুলনায় কম জিংক – Zinc , পেলে বেশ কিছু লক্ষণে সেটা প্রকাশ করে।

🇨🇭 জিংক – Zinc , শরীর দ্বারা কোষ উৎপাদন এবং ইমিউন ফাংশনে ব্যবহৃত হয়। যখন শরীরে জিংকের ঘাটতি হয়, তখন শরীর সুস্থ ও নতুন কোষ তৈরি করতে পারে না। এতে নিম্নোক্ত লক্ষণগুলো ফুটে উঠতে পারে:
  • 🩸 ব্যাখ্যা-তীত ওজন হ্রাস।
  • 🩸 ক্ষত নিরাময়ে সময় লাগা।
  • 🩸 গন্ধ এবং স্বাদের অনুভূতি কমে যাওয়া।
  • 🩸 ডায়রিয়া।
  • 🩸 ক্ষুধামন্দা।
  • 🩸 ঠান্ডা-সর্দি বা কাশির মতো অসুখ ঘন ঘন হওয়া।
  • 🩸 চুল পড়ে যাওয়া।
  • 🩸 নখ ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া কিংবা সাদা ছোপ পড়া।
  • 🩸🩸 যৌন স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব।
  • 🩸 গর্ভবতী মায়ের জিংকের ঘাটতি হলে সন্তানের বিকাশে প্রভাব পড়তে পারে।
আরো পড়ুুনঃ গ্রেভস ডিজিজ | Graves Disease | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 কোন কোন খাবারে জিংক – Zinc, মেলে ?

  • 🩸 চিংড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণ জিংক পাওয়া যায়।
  • 🩸 মুরগির মাংস ও ডিম জিংকের অন্যতম উৎস।
  • 🩸 ছোলা ও মসুরের ডাল থেকে পেতে পারেন খনিজ টি।
  • 🩸 ডার্ক চকলেট থেকে জিংক মেলে।
  • 🩸 কাজু বাদাম জিংকের উৎস।
শরীরে জিংক - Zinc বা দস্তার

🇨🇭 সতর্কতা! চাহিদার চাইতে বেশি জিংক গ্রহণ করলেও কিন্তু পড়তে পারেন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। জিংকের আধিক্য কপার শোষণে বাধা দেয়। ফলে অ্যানিমিয়া হতে পারে। এছাড়া বমি ভাব, বমি, অরুচি, পেটব্যথা, মাথাব্যথা, পাতলা পায়খানা দেখা দিতে পারে। তাই একজন বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।

🇨🇭 জিংক – Zinc , খুব গুরুত্বপূর্ণ এক পুষ্টি উপাদান। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে চিকিৎসকরা তাই এখন জিংক সমৃদ্ধ খাবার বা জিংক ক্যাপসুল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে খাবারের মাধ্যমে গ্রহণ করা জিংক বা অন্য পুষ্টি উপাদান দ্রুত শরীরে কাজ করে, তেমনটা বলে আসছেন পুষ্টিবিদরা। আমাদের শরীরে যে 300 টির বেশি এনজাইম আছে, তাদের ওপর জিংক ভালোভাবে কাজ করে।

🇨🇭 দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো, দেহকোষ বৃদ্ধি ও বিভাজন, প্রোটিন ও ডিএনএ উৎপাদনে ভূমিকা রাখে জিংক। শরীরের জন্য এই পুষ্টি উপাদান খুব জরুরি হলেও বিশ্বের অসংখ্য মানুষ এখনো জিংক ঘাটতি জনিত সমস্যায় আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বের তিন ভাগের এক ভাগ মানুষ পর্যাপ্ত জিংক গ্রহণ করে না।

🇨🇭 আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের তথ্যমতে- 14 বছরের উপরে সব পুরুষকে প্রতিদিন অন্তত 11 মিলিগ্রাম জিংক অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। আর 14 বছরের বেশি নারীকে অন্তত 08 মিলিগ্রাম জিংক গ্রহণ করা জরুরি। তবে সন্তান জন্ম দেয়া ও সন্তানকে দুধ পান করানো নারীদের প্রতিদিন 12, মিলিগ্রাম জিংক গ্রহণ করতে হবে। আর ডাক্তাররা প্রতিদিন 11, মিলিগ্রাম জিংক ক্যাপসুল সেবনের পরামর্শ দেন।

🇨🇭 রেডমিট: রেড মিট অর্থাৎ- গরু ও খাসির মাংসে পরিমাণ মতো জিংক থাকে। গরুর মাংসে ভিটামিন-B12, ও থাকে প্রচুর। 100 গ্রাম গরুর মাংসে 3.24 মিলিগ্রাম এবং একই পরিমাণ খাসির মাংসে 4.8 মিলিগ্রাম জিংক – Zinc, থাকে। কিন্তু রেডমিটে যেহেতু কোলেস্টেরল বেশি থাকে, সে কারণে তা বেশি খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

🇨🇭 ঝিনুক: ঝিনুকে কম ক্যালরি ও বেশি জিংক থাকে। কাঁকড়া, চিংড়ি এসবে জিংক থাকলেও যেকোনো খাবারের তুলনায় ঝিনুকে জিংক থাকে বেশি। 50 গ্রাম ঝিনুকে 8.5 মিলিগ্রাম জিংক- Zinc ,থাকে।

🇨🇭 মুরগির মাংস: প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে মুরগির মাংসে, যা মাংসপেশী গঠন ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তবে মুরগির মাংসে জিংকও আছে। নিয়মিত মুরগির মাংস খেলে হাড়, হৃদপিন্ড উন্নত হয় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। 85, গ্রাম মুরগির মাংসে 2.4 মিলিগ্রাম জিংক- Zinc ,থাকে।

🇨🇭 সবজি: উদ্ভিদ জাতীয় কিছু খাবার আছে, যেগুলোতে জিংক থাকে পরিমাণ মতো। ডাল, ছোলা ও শিমে জিংক থাকে। এসব খাবারে কম ক্যালরি, কম ফ্যাট থাকে এবং প্রোটিন ও আঁশ থাকে। 100 গ্রাম ডালে 4.78, মিলিগ্রামের মতো জিংক থাকতে পারে। 180 গ্রাম, শিমে 05 মিলিগ্রাম ও 184 গ্রাম ছোলায় 2.5 মিলিগ্রাম জিংক-Zinc, থাকে।

🇨🇭 কাজু বাদাম: কাজু বাদামে প্রচুর পরিমাণে জিংক, কপার, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে এবং ফোলেট থাকে। 28, গ্রাম কাজু বাদামে 1.6 মিলিগ্রাম জিংক থাকে।

🇨🇭 ওট: সকালের নাস্তায় অনেকেই ওটমিল খেতে পছন্দ করেন। এতে প্রচুর আঁশ, বেটা গ্লুকেন, ভিটামিন বি সিক্স ও ফোলেট থাকে। এক বাটি ওটে 1.3 মিলিগ্রাম জিংক- Zinc ,থাকে।

🇨🇭 মাশরুম: ভিটামিন এ, সি, ই ও আয়রন সমৃদ্ধ মাশরুমের 210 গ্রামে জিংক পাওয়া যায় 1.2 মিলিগ্রাম। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ মাশরুমে ক্যালরি থাকে কম।

🇨🇭 মিষ্টি কুমড়ার বিচি: দারুণ পুষ্টিগুণে ভরা মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম ও কপার থাকে। আর 28 গ্রাম মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে জিংক থাকে 2.2 মিলিগ্রাম।

🇨🇭 দুগ্ধজাত খাবার: দুধ ও দই এর মতো দুগ্ধজাত খাবারে ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি জিংকও থাকে। 250, মিলিলিটার লো ফ্যাট দুধে 1.02, মিলিগ্রাম জিংক থাকে। আর 250 মিলিলিটার দইয়ে থাকে 2.38 মিলিগ্রাম জিংক।

🇨🇭 ডার্ক চকলেট: ডার্ক চকলেট যতো ডার্ক হবে, তাতে জিংকের পরিমাণ ততো বেশি থাকবে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সক্ষম ডার্ক চকলেট। 100 গ্রামের ডার্ক চকলেটে জিংক থাকে 3.3 মিলিগ্রাম।

ডা. মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক

🛑 জিংকের অজানা উপকারিতা! জিংক বা দস্তা আমাদের শরীরের জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। সুস্থ শরীরে অতি সূক্ষ্ম পরিমাণে জিংক বিদ্যমান থাকে। এর উপস্থিতি ও গ্রহণের ক্ষমতা প্রাকৃতিকভাবেই নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে।

🛑 সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরের এক লাখ বা সমপরিমাণ আমিষের মধ্যে তিন হাজার আমিষই জিংক ধারণ করে এবং তিনশোর বেশি এনজাইমের সঠিক পরিচালনার জন্য জিংকের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। রক্তের লোহিত কণিকা, শ্বেতকণিকা, চোখের রেটিনা, হাড়, ত্বক, কিডনি, যকৃৎ, অগ্ন্যাশয়, লালা গ্রন্থি ও প্রোস্টেট গ্রন্থিতে জিংক সঞ্চিত থাকে।

🛑 Zinc- জিংকের অভাবে ডায়রিয়া বা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়া ছাড়াও কনজাংকটিভার প্রদাহ, পায়ে বা জিহ্বায় ক্ষত, একজিমা, ব্রণ বা সোরিয়াসিস, জাতীয় ত্বকের প্রদাহ, ছত্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণজনিত অসুস্থতা এবং শরীরের ক্ষত শুকাতে দীর্ঘসূত্রতা দেখা দেয়। রোগ-প্রতিরোধক তন্ত্রকে উজ্জীবিত করে তুলে জিংক এ ধরনের সমস্যা প্রতিরোধ করতে, জটিল জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত থেকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে শরীরের কোষকলাকে ফ্রি-রেডিকেলের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে এবং ক্ষতের সুস্থতা ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিন 20 মিলিগ্রাম করে 10 থেকে 14 দিন পর্যন্ত ( ছয় মাসের চেয়ে কমবয়সী শিশুদের জন্য প্রতিদিন 10 মিলিগ্রাম ) সম্পূরক জিংক গ্রহণের সুপারিশ করে। গরু ও ভেড়ার মাংসে উচ্চমাত্রায় জিংক রয়েছে। দুগ্ধজাত খাদ্য, শিমজাতীয় উদ্ভিদ, মসুরের ডাল, চিনাবাদাম, মাশরুম, সয়াবিন, ঝিনুক এবং এ থেকে তৈরি মাখনেও জিংক রয়েছে। এখন অবশ্য জিংকের সম্পূরক হিসেবে বিভিন্ন ধরনের ওষুধও রয়েছে। আমাদের দেশে স্বাস্থ্য রক্ষায় জিংকের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে এখনো তেমন সচেতনতা গড়ে ওঠেনি। তাই এ ব্যাপারে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

  • 🩸 লালা গ্রন্থির জিংক নির্ভর পলিপেটাইড, গাসটিন এর মাধ্যমেই স্বাদের অনুভূতি পাওয়া যায়। কাজেই যদি জিংক এর অভাব থাকে তবে স্বাদ বোঝার ক্ষমতা কমে যায় অর্থাৎ রুচি কমে যায়। তাই জিংক রুচি বাড়াতে সাহায্য করে।
  • 🩸 কিছু হরমোন যেমন: গ্লুকাগন, ইনসুলিন, গ্রোথ হরমোন এবং সেক্স হরমোন এর কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • 🩸 জিংক এমন একটি পুষ্টি উপাদান যা পোল্ট্রীর দৈহিক বৃদ্ধি, হাঁড়ের বৃদ্ধি, পালক বিন্যাস, এনজাইমের গঠন ও তার কাজ এবং রুচি বৃদ্ধিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • 🩸 কেরাটিন তৈরি ও তার পরিপক্কতা, ক্ষত সারানো, আবরনি কোষের রক্ষণাবেক্ষণ, ইত্যাদি কাজের দ্বারা জিংক Zinc, ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করে থাকে।
ডা.মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( বি, এইচ, এম, এস )
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!