🇨🇭 মাসিক বা পিরিয়ডের Period সময় সহবাস ? হতে পারে ইনফেকশন!
🇨🇭 প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট সময়ে নারীদের পিরিয়ড হয়ে থাকে। পিরিয়ড Period তাকে প্রতি মাসে গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুত করে। পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগে ও চলাকালীন নারীদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক পরিবর্তন দেখা দেয়। পিরিয়ড কমপক্ষে তিন দিন থেকে শুরু করে সাত দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে। এ সময় স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে। অনেকে জানতে চান- পিরিয়ড চলাকালীন শারীরিক সম্পর্ক হলে কোনো সমস্যা হয় কিনা?
🇨🇭 জেনে রাখা ভালো, পিরিয়ড চলাকালীন শারীরিক সম্পর্ক একবারেই অনুচিত। এই সময়ে শারীরিক সম্পর্ক নারীর জন্য নানাবিধ বিপদ ডেকে আনতে পারে।
🇨🇭 পিরিয়ড Period চলাকালীন শারীরিক সম্পর্কে ইনফেকশন হতে পারে। শরীর থেকে প্রভাবিত রক্ত পেটের অন্য কোনো অংশে ঢুকে যেতে পারে। পেটের অন্য অংশ ঢোকার পর রক্ত জমাট বেঁধে হতে পারে বিপত্তি।
🇨🇭 এ ছাড়া মাসিকের সময় জরায়ু ও যোনির- Vagina অম্লভাব থাকে না। তাই এটি খুব সহজেই রোগজীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। শারীরিক মিলনের পরবর্তী সময়ে প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে। জরায়ুমুখ ঘুরে যেতে পারে, যা পরবর্তী সময় মারাত্মক কুফল বয়ে আনতে পারে।
🇨🇭 ইসলামের দৃষ্টিতে পিরিয়ডের সময় যৌনমিলন সম্পূর্ণ হারাম করা হয়েছে। এটি অশুচি। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে ( হায়েজ অবস্থায় স্ত্রীগণ থেকে বিরত থাকো এবং যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়, ততক্ষণ তাদের নিকটবর্তী হবে না )।
🇨🇭 মাসিক বা পিরিয়ড কী ? What Is Period ?
🇨🇭 প্রতি চন্দ্র মাস পরপর হরমোনের প্রভাবে পরিণত মেয়েদের জরায়ু চক্রাকারে যে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায় এবং রক্ত ও জরায়ু নি:সৃত অংশ যোনিপথে বের হয়ে আসে, তাকেই পিরিয়ড বা ঋতুচক্র বলে।
🇨🇭 মাসিক চলাকালীন পেটব্যথা, পিঠব্যথা ও বমি বমি ভাব হতে পারে। পিরিয়ডে ভালো মানের ন্যাপকিন ব্যবহার করা জরুরি। এ ছাড়া কোনোভাবেই একই কাপড় পরিষ্কার করে একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না। পিরিয়ডের সময় শরীর থেকে যে রক্ত প্রবাহিত হয়, তার মধ্যে ব্যাকটেরিয়া থাকে।
🇨🇭 পিরিয়ডের সময় যৌনমিলন কি ধরনের বিপত্তি হতে পারে ?
🩸 ইনফেকশন হতে পারে,
মাসিকের সময় জরায়ু ও যোনির অম্লভাব থাকে না। তাই এটি খুব সহজেই রোগজীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। পিরিয়ডের সময় যৌনমিলন হলে নারীদের জরায়ুতে ইনফেকশন হতে পারে।
🩸 জরায়ুতে প্রচণ্ড ব্যথা,
পিরিয়ড চলাকালীন সময় যৌনমিলন হলে পরবর্তী সময় নারীদের জরায়ুতে প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে। ফলে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
🩸 রক্ত পেটের ভেতর ঢুকে যেতে পারে, পিরিয়ড চলাকালীন সময় যৌনমিলন হলে পিরিয়ডের যে রক্ত, শরীরের ভেতর থেকে প্রভাবিত হয়, সেটি অন্য কোনো অংশে ঢুকে জমাট বেঁধে যেতে পারে। এতে হতে পারে বিভিন্ন ধরনের রোগ।
🩸 রক্তপাত বেশি হতে পারে,
পিরিয়ডের সময় যৌনমিলন হলে রক্তপাত স্বাভাবিকের চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি হতে পারে। তাই পিরিয়ড চলাকালীন সময় যৌনমিলন নয়।
🇨🇭 চিকিৎসকের পরামর্শ:
🩸 পিরিয়ড Period চলাকালীন কোনো সমস্যা হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ অনেক নারী আছেন যারা জরায়ু সমস্যায় ভোগেন। তাই প্রত্যেক নারীর উচিত নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া।
🇨🇭 এন্ডোমেট্রিওসিস Endromatrosis শব্দটি ইংরাজি, বাংলায় এর অর্থ জরায়ুর অন্তর বেষ্টকের টিসু, যদি জরায়ুর বাইরে কোথাও জন্মায় যেমন:ডিম্বাশয়ে বা ফেলোপিয়ান টিউবে।
🩸 এন্ডোমেট্রিওসিস হলে সাধারণত মাসিকের সময় অসহনীয় ব্যথা হয়। ব্যথার জ্বালা না দেখান যায় না বোঝান যায়। এমন কি আধুনিক মেশিনের সাহায্যেও দেখান যায় না।
🩸 মহিলারা চাপা স্বাভাবের হওয়ায় শরীরের সমস্যা লুকিয়ে রাখতে চেষ্টা করে এবং ঔষধও খেতে চায় না । এমনও মহিলা আছে যে, নিজের সমস্যার কথা মনের মানুষ তথা স্বামীকে পর্যন্ত বলতে চায় না। মহিলাদের অনেকে তলপেটে ব্যথা এবং শ্রোণী দেশের ব্যথায় ভোগেন। বিশেষ করে মাসিক হওয়ার আগে তলপেটে ব্যথা শুরু হয়। মাসিক হওয়ার সময় ব্যথা খুব বেড়ে যায় এবং মাসিক শেষে ব্যথা কমে যায়। এই ব্যথার সঙ্গে কিশোরি বয়সের মাসিকের সূচনার মিল থাকে না। যৌন মিলনের সময় বা পরে তলপেটে যন্ত্রণা হয়।
🩸 Ovary ( ডিম্বাশয় ) বা পেরিটোনিয়মে ও জরায়ু ঝিল্লি বা এন্ডোমেট্রিয়াম ঢুকে যেতে পারে। পায়ু ও জরায়ুর মধ্যের অংশেও এন্ডোমেট্রিয়াম ঢুকে যেতে পারে। আবারও বৃহদান্তের গায়ে লেগে যেতে পারে।
🩸 যার ফলে মাসিক ঋতুচক্র জরায়ুর বাইরেও হতে পারে। কিন্তু সেই রক্ত বাইরে বেরোনর পথ না পেয়ে সেখানে রক্ত জমাট বাঁধতে থাকে বা সিস্ট তথা ছোট ছোট রক্তপূর্ণ থলির মতো হয়ে যায়।
🩸 পরর্বতীকালে রক্ত থেকে জলীয় অংশ শোষিত হয়ে যায়। সেই জমা রক্তের রং চকলেটের মত গাঢ় হয়। তাই একে চিকিৎসকরা চকলেট সিস্ট বলে।
🩸 এই সিস্ট পেটের ভিতর যে কোন জায়গাতে হতে পারে । তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই সিস্ট হয় ডিম্বাশয়ের জরায়ুর পিছন দিকে এবং জরায়ুর ধারে।
🩸 পেরিটোনিয়াম আক্রান্ত হলে এটি জট পাকিয়ে সন্তান ধারণের সম্ভাবনাকে নষ্ট করে দেয়। সাধারণত সন্তান জন্ম দেওয়ার বয়সের ( 18-45 ) বছর পর্যন্ত এন্ডোমেট্রিওসিস দেখা যায়। মনে রাখতে হবে জরায়ুর অন্তর বেষ্টকের প্রদাহ এন্ডোমেট্রাইসির Endromatrosis মূল সমস্যা হলো ব্যথা।
আরো পড়ুনঃ মহিলাদের মাসিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা।
🩸 এন্ডোমেট্রিওসিসের ( Endromatrosis ) লক্ষণ :
- অনিয়মিত মাসিক ।
- মাসিকের সময় তীব্র যন্ত্রণাদায়ক ব্যথা।
- বেদনায় সহবাসের সময় স্পর্শ পর্যন্ত করতে দেয় না।
- মল-মূত্র ত্যাগ কালে যৌনাঙ্গ দিয়ে রক্ত বের হয় ও ব্যথা হয়।
- হাত, পা, শরীর আগুনে পোড়ার মত জ্বালা করে।
- প্র¯্রাবের সময় ও পরে তীব্র যন্ত্রণাদায়ক বেদনা।
- জরায়ুর গ্রীক ফোলা ও শক্ত থাকে।
- জন্ম নিয়ন্ত্র বড়ি সেবন ও কপারটি ব্যবহার করার কারণেও এন্ডোমেট্রিওসিস হতে পারে। তলপেটে, কোমরের নিচে ব্যথা হয় এবং সে ব্যথা লাগাতার চলতে থাকে। মূত্রথলি এবং পায়ুদার লাগোয়া এলাকাতেও ব্যথা হয়। এ সময় জীবনে ক্লান্তি, হতাশা, বিষন্নতায় যেন স্বাস্থ্য ভেঙে পড়তে পারে এবং মানসিক অবসাদ কুরে কুরে খায়। মন লাগে না কোনো কাজেই। আগে জরায়ুর অপারেশন হয়েছে সেই কাটা এলাকায়ও কারো কারো এন্ডোমেট্রিওসিস হয়।
🇨🇭 এন্ডোমেট্রিওসিস কেন হয় ?
🩸 আমরা সোজাভাবে বলে থাকি, মাসিকের সময় জরায়ুর এন্ডোমেট্রিয়াম তথা জরায়ুর ভিতরকার ঝিল্লির পর্দা পুরু হয়ে যায়। শুক্রাণু বা ডিম্বানু যাতে জরায়ুর দেওয়ালে গেঁথে যেতে পারে সেজন্যই এই প্রাচীর পুরু হয়ে থাকে। কিন্তু গর্ভযোগ না ঘটলে অর্থাৎ ডিম্ব না তৈরি হলে পুরু হয়ে যাওয়া এই প্রাচীর খসে পড়ে। এইসব জরায়ুর ঝিল্লি কোষ বা এন্ডোমেট্রিয়াম ফ্যালোপিয়ান টিউব দিয়ে পেটের মধ্যে ঢুকে গেল এই এন্ডোমেট্রিয়াল কোষ সেখানে বাড়তে থাকে এবং পরবর্তীকালে মাসিকের সময় সেখান থেকে পেটের ভিতরে রক্ত¯্রাব হয়। সেই রক্ত¯্রাব জমে জমে এন্ডোমেট্রাইটিস বা প্রদাহ হয়। যারা অনেকদিন ধরে গর্ভরোধ করে থাকেন তাদেরই এই রোগে বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যায়। এই রোগে আক্রান্তরা অনেকেই পায়খানা করার সময় ব্যথা টের পান। কারো করো শরীরে জ্বর জ্বর ভাবও দেখা যায়। বারবার প্র¯্রাব হয়, প্র¯্রাবের সঙ্গে রক্ত পড়ে।
🩸 জরায়ু বা Ovary অপারেশনের পর পেটের কাটা জায়গায় বা নাভিমূলে এই রোগ নীল রঙ্গের পিন্ড তৈরি করে। প্রতিবার মাসিকের সময় এইসব পিন্ড তথা সিস্ট থেকে রক্ত¯্রাব হওয়ার ফলে সে জায়গায় ফুলে ওঠে ও চামড়ার ওপর থেকে তা দেখতে নীলবর্ণ হয়। সিজারিয়ান সেকশন, টিউবেকটামির অস্ত্র পাচারের স্থান। এপিসিয়েটমির কাটা স্থানেও এন্ডোমেট্রিওসিস হয়। কিছু মহিলার শরীরে জ্বিনগত কারণেও এন্ডোমেট্রিওসিস হয়।
🩸 ডিম্বাশয় ( Ovary ) যদি আক্রান্ত হয় তাহলে ডিম্বাণু তৈরি ব্যহত হবে। ভ্রæণ তৈরি হবে না। রোগ বাড়তে থাকলে ফ্যালোপিয়ান টিউব এবং ওভারি জট পাকিয়ে ফ্যালোপিয়ান টিউব অবরুদ্ধ হয়ে যায়। ডিম্বানু প্রবেশ ও নির্গমন বন্ধ হয়ে যায়। কখনো কখনো ফ্যালোপিয়ান টিউব ও ওভারি জট পাকিয়ে যায়। বড় সিস্ট হলে অন্ত্রনালি, পায়ু, মলাশয় সব জট পাকিয়ে যেতে পারে। চিকিৎসক ভিতরটা পরীক্ষা করে সিস্টের অবস্থান অনুভব করতে পারেন।
🩸 রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষা: আল্ট্রাসোনোগ্রাফি, সিটিস্ক্যান, এম. আর. আই স্ক্যানের মাধ্যমে এন্ডোমেট্রিওসিস শনাক্ত করা যায়। হোমিওচিকিৎসায় এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।
🇨🇭 মাসিক বা পিরিয়ডের সময় যৌনতা বিপজ্জনক ?
🩸 এই সময় মহিলাদের বিশ্রামে থাকা উচিত। কেননা মাসিকের ফলে শরীরে ভারসাম্যের অভাব ঘটতে থাকে। তাছাড়া এই সময় যৌনতা করলে তা স্ত্রী প্রজনন ব্যবস্থার ক্ষতিও হতে পারে।
🩸 যৌনতার সময় শরীরে বায়ুর পরিমাণ বাড়ে। এর ফলে পিরিয়ডের যন্ত্রণা আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই এই দিনগুলিতে শরীরী সুখের দিকে না যাওয়াই ভাল।
🩸 আইসিডিডিআরবি’র – চালানো ন্যাশনাল হাইজিন সার্ভেতে বলা হয়েছে, পিরিয়ডের সময়ে পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে প্রায় কোন ধারণাই নাই বেশির ভাগ নারীর। এ সময় কোনোভাবেই একই কাপড় পরিষ্কার করে একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না। পিরিয়ডের সময় শরীর থেকে যে রক্ত প্রবাহিত হয়, তার মধ্যে ব্যাকটেরিয়া থাকে।
🩸 বিজ্ঞানীরা মনে করেন, মাসিকের সময় জরায়ু ও যোনির অম্লভাব থাকে না। তাই এটি খুব সহজেই রোগজীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। পিরিয়ডের সময় শারীরিক সম্পর্ক হলে নারীদের জরায়ুতে ইনফেকশন হতে পারে। পিরিয়ড চলাকালীন শরীরিক সম্পর্ক হলে পিরিয়ডের যে রক্ত শরীরের ভেতর থেকে বের হয়, সেটি অন্য কোনো অংশে ঢুকে জমাট বেঁধে যেতে পারে। এতে হতে পারে বিভিন্ন ধরনের রোগ। এছাড়া পিরিয়ডের সময় শারীরিক সম্পর্ক হলে রক্তপাত স্বাভাবিকের চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি হতে পারে। তাই পিরিয়ড চলাকালীন শরীরিক সম্পর্ক নয়।
🩸 ইসলামের দৃষ্টিতে পিরিয়ড চলাকালীন শারীরিক সম্পর্ক তথা স্ত্রীর সাথে সহবাস করা হারাম। কবিরা গুনাহ। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন- ( লোকে তোমাকে রক্তস্রাব সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করে। বল, উহা অশুচি। সুতরাং তোমরা রক্তস্রাবকালে স্ত্রী সংগম বর্জন করবে এবং পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত স্ত্রী সংগম করিবে না। অতপর তাহারা যখন উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ হইবে, তখন তাহাদের নিকট ঠিক সেইভাবে গমন করিবে যেভাবে আল্লাহ তোমাদিগকে আদেশ দিয়েছেন। ( সুরা বাকারা:২২২, ইফাবা )।
🩸 সুতরাং স্বামীর জন্য জায়েয হবে না স্ত্রী সহবাস করা যতক্ষন না স্ত্রী হায়েয থেকে মুক্ত হয়ে গোসল করে পবিত্র হয়। হায়েয অবস্থায় স্ত্রী সহবাস যে একটি গর্হিত ও হারাম কাজ রাসূলে কারীম (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম) এর হাদিস থেকেও তার প্রমান পাওয়া যায়। হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুল সা. আমাদের কারো পিরিয়ড অবস্থায় আমাদেরকে স্যালোয়ার পড়ার নির্দেশ দিতেন এরপর আমাদের গায়ে লেগে শুতেন। তোমরা সতর্ক থাকো কেননা কে তোমাদের মধ্যে রাসুলের মতো নিবৃত্ত করতে সক্ষম? (সহিহ বুখারি: ৩০২) রাসুল সা. বলেছেন- যে ব্যাক্তি হায়েয অবস্থায় সহবাস করে বা পিছনের রাস্তা দিয়ে স্ত্রীর সাথে মিলন করে কিংবা কোন গণকের কাছে গমন করে, তবে সে আমার নিকট যা অবতীর্ণ হয়েছে তা অস্বীকার করল। ( তিরমিযী ) ভুলে কেউ এ কাজ করলে কোন গুনাহ হবে না তবে তওবা ইসতেগফার করতে হবে আর ইচ্ছাকৃত করলে এক দিনার পরিমান সদকা করা মুস্তাহাব। (ফতোয়া শামি১/৪৯৫ জাকারিয়া, ফতোয়া হিন্দিয়া:১/৩৯) এমনকি স্ত্রীর সন্তুষ্টিতে যদি স্বামী স্ত্রীর সাথে পিরিয়ড অবস্থায় সহবাস করে তাহলে স্ত্রীও গুনাহগার হবে। (মাহমুদিয়া:৮/২২৫) আল-মাজমূ শারহুল মুহায্যাব ২য় খন্ডের ৩৭ নং পৃষ্ঠায় ইমাম শাফেয়ী রাহিমাহুল্লাহর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, পিরিয়ড চলাকালে যে ব্যক্তি স্ত্রী সঙ্গমে লিপ্ত হবে তার কবীরা গুনাহ হবে।
🩸 স্মরণ রাখতে হবে, পিরিয়ড অবস্থায় স্ত্রী সহবাস হারাম হওয়ার ব্যাপারে সমস্ত মুসলমান একমত। এখানে কারো কোন দ্বিমত নেই। সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলা এবং পরকালের প্রতি ঈমান রাখে তার জন্য এমন একটি অসৎ কাজকে বৈধ মনে করা কোনভাবেই উচিৎ নয়।
🩸 চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা মনে করেন পিরিয়ড চলাকালীন শারীরিক সম্পর্কে ইনফেকশন হতে পারে। মাসিকের সময় জরায়ু ও যোনির অম্লভাব থাকে না। তাই এটি খুব সহজেই রোগজীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। এছাড়া ইসলামের দৃষ্টিতেও পিরিয়ডের সময় যৌনমিলন সম্পূর্ণ হারাম করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, তোমরা হায়েজ অবস্থায় স্ত্রীগণ থেকে বিরত থাকো এবং যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়।
🩸 পিরিয়ডের সময় প্রচুর জ্বালা-যন্ত্রলণা হয়ে থাকে। পেটে, কোমরে অসহ্য যন্ত্রণা যেন জমাট বেঁধে রয়েছে। কোনও নড়নচড়ন নেই। সেইসময় আরাম দিতে পারে যৌনতা। এছাড়া পিরিয়ডের সময় অনেক সময়ই অনেকের খিঁচুনি হয়। শারীরিক সম্পর্ক তখন অব্যর্থ ওষুধের মতো কাজ করে। সেক্সের পর শরীর ও মন অনেকখানি রিল্যাক্স হয়ে যায়। যেটা খিঁচুনি অনেকাংশে কম করে। পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে অনেকেই মানসিক অবসাদে ভোগেন। দেখা দেয় মানসিক চাপ। বিশেষ করে যখন যন্ত্রণা হয়, তখন মেজাজ খিটকিটে হয়ে যায়। সঙ্গীর সঙ্গে যৌনতা সেই মানসিক চাপ অনেকটাই দূর করে।
🩸 মাসিকের সময় জরায়ু ও যোনির অম্লভাব থাকে না। তাই এটি খুব সহজেই রোগজীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। পিরিয়ডের সময় শারীরিক সম্পর্ক হলে নারীদের জরায়ুতে ইনফেকশন হতে পারে। পিরিয়ড চলাকালীন শরীরিক সম্পর্ক হলে পিরিয়ডের যে রক্ত শরীরের ভেতর থেকে বের হয়, সেটি অন্য কোনো অংশে ঢুকে জমাট বেঁধে যেতে পারে। এতে হতে পারে বিভিন্ন ধরনের রোগ। এছাড়া পিরিয়ডের সময় শারীরিক সম্পর্ক হলে রক্তপাত স্বাভাবিকের চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি হতে পারে। তাই পিরিয়ড চলাকালীন শরীরিক সম্পর্ক নয়।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন
Dr. Masud Hossain.
(বি, এইচ, এম, এস )
(ডি, এইচ, এম, এস) ( ঢাকা )।
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
📞 মোবাইল : +8801907-583252
+8801302-743871
🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801302-743871
( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 সকাল 09:00 — 01:00 টা।
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।
☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।
☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।