মেরুদন্ড জনিত সমস্যা ও স্পাইনাল স্টেনোসিস | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

মেরুদন্ড জনিত সমস্যা ও স্পাইনাল স্টেনোসিস | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 মেরুদন্ড জনিত সমস্যা যেসব লক্ষণে বুঝবেন হাড়ে ক্ষয় ধরেছে !

🇨🇭 হাড় ক্ষয় ( Osteoporosis ) একটি জটিল সমস্যা। বর্তমান সময়ে এই রোগে অনেকেই ভুগছেন। দীর্ঘদিন এই সমস্যা জিয়ে রেখে একটা পর্যায়ে বড় ধরনের বিপদের সম্মুখীন হওয়ার ঘটনাও ঘটছে।

🇨🇭 শুরুতে হাড় ক্ষয় রোগ শনাক্ত করা গেলে ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি থেকে মুক্তি মেলে।

🇨🇭 অস্টিওপোরোসিস ( Osteoporosis ) বা হাড়ের ক্ষয় রোগ হচ্ছে এমন একটি রোগ, যার ফলে হাড়ের ঘনত্ব নির্দিষ্ট মাত্রায় কমে যাওয়ায় হাড় ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। এতে হাড়ের ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমে যায়, হাড়ের স্বাভাবিক গঠন নষ্ট হয়ে ক্রমেই হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। ফলে হাড় ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা বহুগুণ বেড়ে যায়।

মেরুদন্ড জনিত সমস্যা ও স্পাইনাল স্টেনোসিস | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 অস্টিওপোরোসিস কারণ:

  • 🩸 হাড়ের গঠন ও ক্ষয়ের স্বাভাবিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়া।
  • 🩸 মহিলাদের ক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেন এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরন হরমোনের অভাব।
  • 🩸 থাইরয়েড এবং প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থিজনিত সমস্যা।
  • 🩸 অপর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘D’ গ্রহণ।
  • 🩸 জেনেটিক বা বংশানুক্রমিক রোগ , যেমন: হাড়ের ক্যান্সার ইত্যাদি।

🇨🇭 অস্টিওপোরোসিস উপসর্গ ও লক্ষণ:

🇨🇭 অস্টিওপোরোসিসে হাড় নীরবে ক্ষয় হতে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে হাড় ভাঙার মাধ্যমে এর উপস্থিতি প্রথমে টের পাওয়া যায়।

🇨🇭 অস্টিওপোরোসিস প্রধান লক্ষণ:

  • 🩸 হাড় ও পেশিতে ব্যথা।
  • 🩸 ঘাড় ও পিঠে ব্যথা।
  • 🩸 খুব সহজে দেহের বিভিন্ন স্থানে হাড় – বিশেষ করে মেরুদণ্ড, কোমর বা কব্জির হাড়, ভেঙে যাওয়া।
  • 🩸 কুঁজো হয়ে যাওয়া।

🇨🇭 যাদের ঝুঁকি বেশি:

  • 🩸 মেনোপজ বা ঋতু বন্ধ-পরবর্তী মহিলা।
  • 🩸 অপর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘D’ গ্রহণ করা।
  • 🩸 ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবন করা।
  • 🩸 শরীরচর্চা না করা।
  • 🩸 রিউমেটয়েড আর্থ্রাইটিস বা গেঁটেবাত।
  • 🩸 এইডস, স্তন ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার ইত্যাদি রোগ এবং এসব রোগের ব্যবহৃত ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়।
  • 🩸 দীর্ঘ দিন ধরে কটি-কোস্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ সেবন করা।

🇨🇭 হাড়ের ক্ষয় যেভাবে শনাক্ত করবেন:

🧪 সাধারণ এক্স-রে ( X-ray ) 🩻 দ্বারা অস্টিওপোরোসিস সম্পর্কে ধারণা করা যেতে পারে। তবে সঠিকভাবে এর মাত্রা জানতে হলে বোন মিনারেল ডেনসিটি ( BMD ) পরীক্ষা করা দরকার। সাধারণত কোমর, মেরুদণ্ড বা কব্জির ডেক্সা স্ক্যান করে বিএমডি ( BMD )র সঠিক মাত্রা নির্ণয় করা হয়। বিএমডি- দ্বারা হাড়ের ঘনত্ব সঠিকভাবে নির্ণয় করে হাড় ভাঙার ঝুঁকি এবং এর সঠিক চিকিৎসা নির্ধারণ করা যায়।

🇨🇭 বিএমডি( BMD )র মাত্রাগুলো জেনে নেয়া যাক:

  • 🧪 স্বাভাবিক – Normal : I Score-ISD এর সমান বা ওপর ( Positive )
  • 🧪 অস্টিওপেনিয়া : T Score-ISD থেকে- 2.5 SD
  • 🧪 অস্টিওপোরোসিস : T Score-ISD 2.5 SD থেকে কম ( Negative )
মেরুদন্ড জনিত সমস্যা ও স্পাইনাল স্টেনোসিস | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 হাড়ের ক্ষয় কী করবেন ?

  • 🩸 সুষম খাদ্য গ্রহণ করা।
  • 🩸 পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘D’ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ।
  • 🩸 নিয়মিত শরীরচর্চা করা , যেমন: নিয়মিত হাঁটা, সিঁড়ি দিয়ে ওঠা ইত্যাদি।
  • 🩸 ধূমপান ও মদপান থেকে বিরত থাকা।

🩸 ক্যালসিয়াম : প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের (18-50 বছর পর্যন্ত) দৈনিক 1000 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম এবং 51 বছর বা তদূর্ধ্বে 1200 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম খাবার থেকে গ্রহণ করা উচিত। দুধ, শাকসবজি, হাড়সহ ছোট মাছ, ফলমূল, সরিষার তেল ইত্যাদি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার।

🩸 ভিটামিন ‘D’ : ভিটামিন ‘D’-এর অন্যতম উৎস হল সূর্যালোক। মানবদেহের অভ্যন্তরে ভিটামিন ‘D’ তৈরি হওয়ায় একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ সূর্যালোক দেহের সংস্পর্শে আসা প্রয়োজনীয়। সামুদ্রিক মাছ , যেমন: টুনা, সার্ডিন, স্যালমন ইত্যাদি, কড লিভার তেল, ডিম, দুধ, গরুর কলিজা, মাখন ইত্যাদি ভিটামিন ‘D’ সমৃদ্ধ খাবার।

🩸 ব্যায়াম: ব্যায়ামের মাধ্যমে সুস্থ হাড় পাওয়া সম্ভব। নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস, সাইকেল চালান, সাঁতার কাটার মাধ্যমে নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।

🇨🇭 হাড়ের ক্ষয় চিকিৎসা:

🇨🇭 সঠিক সময়ে অস্টিওপোরোসিসে চিকিৎসা না নিলে দেহের বিভিন্ন অংশের হাড় ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক বিবেচনায় দু:সহ জীবনযাপন করতে হয়। বিশ্বজুড়ে প্রতি পাঁচজনে একজন রোগী হাড় ভাঙার এক বছরের মধ্যে মারা যায়। কাজেই অস্টিওপোরোসিসের চিকিৎসা প্রয়োজনীয়তার দিকে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত। জীবনযাত্রার সঠিক নিয়মগুলো মেনে চলা উচিত।

  • 🩸 নিয়মিত ব্যায়াম করা।
  • 🩸 ধূমপান ও অ্যালকোহল বর্জন করা।
  • 🩸 শরীরে ওজন কমান, ফাস্টফুড ও চর্বিজাতীয় খাদ্য এড়িয়ে চলা।
  • 🩸 পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘D’ সমৃদ্ধ খাবার যেমন- ছোট মাছ, দুধ, ডিম ইত্যাদি গ্রহণ করা।
  • 🩸 চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক মাত্রার ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘D’ ট্যাবলেট গ্রহণ করা যেতে পারে।
  • 🩸 বয়স্ক পুরুষ বা নারী এবং মেনোপজ পরবর্তী মহিলাদের ক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘D’-এর পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা যেতে পারে।

🇨🇭 অস্টিওপোরোসিসে হাড়ের ঘনত্ব কমে হার ছিদ্রযুক্ত, দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। সঠিক সময়ে এর প্রতিরোধ বা চিকিৎসা না নিলে একান্ত ব্যক্তিগত কাজকর্ম যেমন: নামাজ পড়া, গোসল করা, টয়লেটে যাওয়া, হাঁটাচলা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

🇨🇭 মহিলাদের হাড় ক্ষয় কেন হয় ?

🇨🇭 মহিলাদের হাড় ক্ষয়- ( Female Osteoporosis ):

🩸 বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাড় ক্ষয় খুবই সাধারণ একটি শারীরিক সমস্যা। সাধারণত পুরুষদের তুলনায় নারীদের মধ্যে এর প্রবণতা কয়েকগুণ বেশি। আমাদের দেশে মা, খালা, ফুপুসহ বেশিরভাগ চল্লিশোর্ধ মহিলাদেরই কমন সমস্যা পা ব্যথা, কোমর ব্যথা। এর জন্য যে কয়টি কারণ আছে তার মধ্যে ভিটামিন- D, এর অভাব অন্যতম। ভিটামিন-D, এর অভাবে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। মারাত্মক হাড় ক্ষয়ে খুবই সামান্য আঘাতেও হাড় ভেঙ্গে যেতে পারে।

আরো পড়ুনঃ  জেনিটাল হারপিস – Genital Herpes কি ? এবং এর হোমিও চিকিৎসা।

🇨🇭 মহিলাদের হাড় ক্ষয় এর লক্ষণ?

  • 🩸 হাড়ের ক্ষয় যে কোনো হাড়ে বা জয়েন্টেই হতে পারে। তবে সাধারণত হাত, হাঁটু, কোমর ও মেরুদণ্ডের জয়েন্টে বেশি হয়।
  • 🩸 ঋতুস্রাব বন্ধের আগে এবং পরে নারীদের খুব সাধারণ অভিযোগ থাকে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা নিয়ে।
  • 🩸 দীর্ঘক্ষণ হাঁটলে বা অনেকক্ষণ চুপচাপ বসে থাকার পর উঠে দাঁড়াতে গেলে হাঁটু ও কোমর ব্যথা করে।
  • 🩸 আক্রান্ত জয়েন্ট ফুলে যাওয়া, লাল হওয়া এবং তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
  • 🩸 জয়েন্ট এর ফ্লেক্সিবিলিটি কমে যায়। নড়াচড়া করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়।
  • 🩸 হাঁটার সময় হাঁটুর জয়েন্টে কট কট শব্দ অনুভূত হয়।

🇨🇭 মহিলাদের হাড় ক্ষয়- ( Female Osteoporosis ) এ সমস্যা কেন বেশি হয়?

🩸 পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের হাড় বেশি ক্ষয় হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। সেগুলো হলো:

🩸 মেনোপজ, ওজন ও অন্যান্য
মহিলাদের একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায় অর্থাৎ মেনোপজ শুরু হয়। এর ফলে ইস্ট্রোজেন এর ঘাটতি হয়, যা হাড়ের ক্ষয় আরো বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ শারীরিক পরিশ্রম না করা, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন – D, গ্রহণ না করা, শরীরের ওজন বিএমআই অনুযায়ী অতিরিক্ত কম হলে, দীর্ঘদিন বসে বাসন মাজা, ঘর মোছা, রান্নার কাজ করলে, অতিরিক্ত ধূমপান বা অ্যালকোহল পান করলে এ সমস্যা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। গর্ভধারণ এবং বুকের দুধ পান করানোর ফলে মায়ের শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়। এ কারণেও হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

🇨🇭 রোগ সংক্রান্ত কারণ:
মহিলাদের শরীরে যদি থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেড়ে যায়, স্তন ক্যান্সার, ব্রেন স্ট্রোকের মতো রোগে যদি দীর্ঘদিন শুয়ে থাকতে হয় তবে হাড় ক্ষয়ের মাত্রাও বেড়ে যায়। এছাড়া কিছু কিছু ঔষধ লম্বা সময় ধরে সেবন করলে তা হাড় ক্ষয়ে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে। যেমন: জন্ম নিয়ন্ত্রণের ইনজেকশন, অ্যান্টিসাইকোটিক ড্রাগ, ক্যানসার কেমোথেরাপির ড্রাগস ইত্যাদি। অনেক সময় জেনেটিক্যাল বা বংশগত কারণেও হাড়ের ক্ষয় হতে পারে।

🇨🇭 হাড় ক্ষয় প্রতিরোধে করণীয়:

  • 🩸 সুষম খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করা, যেমন: প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন -D ও ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার গ্রহণ করা। ননী তোলা দুধ, গরুর কলিজা, চিজ, ডিমের কুসুম, কম স্নেহজাতীয় দই, কড লিভার অয়েল ইত্যাদি খাবারে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম রয়েছে।
  • 🩸 ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে তা পরিহার করতে হবে।
  • 🩸 হুটহাট যেন পড়ে না যান সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • 🩸 50 বা তার উর্ধ্বের বয়সী নারীরা হাড়ের ঘনত্ব নির্ণয় করতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
  • 🩸 প্রতিদিন কিছু সময়ের জন্য রোদ পোহাতে পারলে ভালো। সকাল বা বিকালের হালকা রোদে ব্যায়াম করা উচিত। এতে শরীরের চামড়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন- D, উৎপন্ন হবে।
  • 🩸 জীবন যাপন পদ্ধতি বা লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনতে হবে। নিয়মিত হাঁটা, ব্যায়াম ইত্যাদির মাধ্যমে শরীর সচল রাখুন। এতে হাড় মজবুত হবে।
  • 🩸 স্ট্রেস বা উদ্বিগ্নতা পরিহার করুন। স্ট্রেসের ফলে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ হয় যা ক্যালসিয়াম হজমে বাধা সৃষ্টি করে।
  • 🩸 মহিলারা এক গ্লাস দুধ প্রতিদিন অবশ্যই খাবেন। এতে ভিটামিনের পাশাপাশি ক্যালসিয়াম আছে প্রচুর। মজবুত হাড় গঠন এবং হাড়ের সুস্থতার জন্য ক্যালসিয়ামের গুরুত্ব অপরিসীম।
মেরুদন্ড জনিত সমস্যা ও স্পাইনাল স্টেনোসিস | ডাঃ মাসুদ হোসেন।
মেরুদন্ড জনিত সমস্যা ও স্পাইনাল স্টেনোসিস | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🩸 ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়
বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে হাড়ের ক্ষয় বাড়তে থাকে। একবার হাড় ক্ষয় শুরু হলে তা পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া যায় না। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে এই ক্ষয়ের গতি কমানো যায় এবং সাময়িক ব্যথার উপশম করা যায় শুধু। যে কাজগুলো করলে ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।

🩸 হাঁটু ভাঁজ করে কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে
নিচু মোড়া, পিঁড়ি বা জলচৌকিতে বসা যাবে না, একটানা বেশিক্ষণ
বসে থাকা যাবে না বা হাঁটা যাবে না। উঁচু কমোড ব্যবহার করতে হবে, হাঁটু ভাঁজ করে বা বসে নামাজ পড়তে সমস্যা হলে উঁচু চেয়ারে বসে নামাজ পড়তে হবে
নিয়মিত বিভিন্ন রকম ব্যায়াম, শারীরিক কোনো সমস্যাই অবহেলার নয়। তবে মহিলাদের হাড় ক্ষয়ের সমস্যা যেহেতু বেশি হয়, তাই এ সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে আগে থেকেই।

🇨🇭 মেরুদণ্ডের ব্যথার ( Backbone Pain ) কারণ ?

  • 🩸 কোনো না কোনো বয়সে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভোগেননি এমন মানুষের সংখ্যা একেবারেই নগণ্য।
  • 🩸 বিভিন্ন বয়সী অসংখ্য মানুষ মেরুদণ্ডের এ সব অংশের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন।
  • 🩸 কোনো রকম আঘাত পাওয়া ছাড়াই এ সব অঙ্গে ব্যথা হতে পারে। প্রাথমিকভাবে মেরুদণ্ডে হাল্কা ব্যথা অনুভূত হলেও পরবর্তীতে শরীরে অন্য কোনো অংশে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়।
  • 🩸 মেরুদণ্ডের ব্যথার ( Backbone Pain ) সঠিক কারণ নির্ণয় করা সবচেয়ে জরুরি। তা না হলে একদিকে যেমন : রোগীর কষ্ট বাড়তে বাড়তে পারে, তেমনিভাবে বাড়ে চিকিৎসা ব্যয়ও।

🩸 মেরুদণ্ডের গঠন ও ব্যথার উৎস:
গঠন অনুযায়ী, মাথার খুলি থেকে প্রথম সাতটি হাড় বা কশেরুকা নিয়ে ঘাড়, পরবর্তী 12 টি হাড় নিয়ে পিঠ এবং এর নিচে পাঁচটি হাড় নিয়ে কোমর গঠিত।

🩸 নানা কারণে মেরুদণ্ডে ব্যথা ( Backbone Pain ) সৃষ্টি হয়ে থাকে। ব্যথার উৎপত্তিস্থল ও লক্ষণ প্রকাশের স্থান আলাদা হওয়ায় প্রায়ই সঠিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা ব্যাহত হয়। মেরুদণ্ডের হাড়গুলোর ভেতর দিয়ে মাথার খুলি থেকে নেমে আসা নার্ভে বা স্পাইনাল কর্ডে দুই হাড়ের মধ্যবর্তী ডিস্কের কিছু অংশ বের হয়ে গিয়ে চাপের সৃষ্টি করলে ওই স্নায়ুমূলে ও সেখান থেকে বেড়িয়ে যাওয়া নার্ভের বিচরণ অঙ্গে ব্যথা হয়।

🩸 এ জাতীয় ব্যথাকে মেরুদণ্ডের হাড়ের ক্ষয়, হাড়ের ফাঁক হয়ে যাওয়া বা হাড়ের বৃদ্ধি বলা হয়ে থাকে।

🩸 প্রকৃতপক্ষে চিকিৎসাশাস্ত্রে এই জটিলতাকে ডিস্ক প্রোল্যাপ্স, হার্নিয়েটেড ডিস্ক বা স্পাইনাল স্টেনোসিস বলা হয়। ডিস্কের স্থানচ্যূতি বা সরে যাওয়ার মাত্রার ওপর নির্ভর করে ডিস্ক প্রোল্যাপ্স বা PLID রোগের জটিলতা।

🇨🇭 মেরুদণ্ডের ব্যথার ( Backbone Pain ) লক্ষণ:

🩸 মেরুদণ্ডের সমস্যায় ঘাড়ে যে সব লক্ষণ দেখা দেয়, সেগুলো হলো: দাঁড়ানো বা বসা অবস্থায় ঘাড়ে ব্যথা অনুভূত হওয়া, ঘাড় থেকে উৎপন্ন ব্যথা হাতে ছড়িয়ে পড়া, প্রাথমিক পর্যায়ে কাঁধ ও হাতে ব্যথা, হাতের বিভিন্ন অংশে ঝিনঝিন, শিন শিন করা, হাতের বোধশক্তি কমে আসা, পর্যায়ক্রমে হাতের অসারতা, ধীরে ধীরে হাত দুর্বল হয়ে হাতের কার্যক্ষমতা লোপ পাওয়া এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে পঙ্গুত্ব বরণ করা।

🩸 মেরুদণ্ডের পিঠের অংশে ব্যথার লক্ষণের মধ্যে রয়েছে- বসা ও দাঁড়ানো অবস্থায় পিঠে ব্যথা এবং পিঠ থেকে বুকের চারপাশে ব্যথা ছড়িয়ে পড়া। আর কোমরের দিকের মেরুদণ্ডেরে ব্যথার লক্ষণগুলো হলো: দাঁড়ানো বা বসা অবস্থায় কোমর ব্যথা অনুভূত হওয়া, কোমর থেকে উৎপন্ন ব্যথা পায়ে ছড়িয়ে পড়া, নিতম্ব ও পায়ের মাংসপেশীতে ব্যথা, পায়ের বিভিন্ন অংশে ঝিনঝিন শিন শিন করা, পায়ের বোধশক্তি কমে আসা, পর্যায়ক্রমে পায়ের অসারতা, ধীরে ধীরে পা দুর্বল হয়ে কার্যক্ষমতা হারানো এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে পঙ্গুত্ব বরণ।

🩸 মেরুদণ্ডের দীর্ঘমেয়াদী ব্যথায় রোগী সাধারণত ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে উপশমের চেষ্টা করে। কিন্তু এ ধরনের ওষুধ নিয়মিত ও দীর্ঘদিন খেলে কিডনিতে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমন কী কিডনি বিকলও হয়ে যেতে পারে। তাই, ঘাড়, পিঠ ও কোমর ব্যথায় অবহেলা না করে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

homeo treatment, homeo ctg homeo, হোমিও, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা, হোমিও চিকিৎসা, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা চট্টগ্রাম, অনলাইন হোমিও চিকিৎসা চট্টগ্রাম, হোমিও চিকিৎসা কেন্দ্র চট্টগ্রাম, চট্টগ্রামের সেরা হোমিও ডাক্তার, অভিজ্ঞ হোমিও ডাক্তার চট্টগ্রাম, চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ, যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রাম, যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রাম, যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ, ডাঃ মাসুদ হোসেন, মাসুদ হোসেন. dr masud hossain,
🇨🇭 মেরুদন্ড জনিত সমস্যা স্পাইনাল স্টেনোসিসের ( Spinal Stenosis ) কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকারের উপায়:

🩸 মেরুদন্ডের হাড় যখন সরু হয়ে যায় তখন স্নায়ুরজ্জু ও স্নায়ুর উপর চাপ পড়ে, একেই স্পাইনাল স্টেনোসিস ( Spinal Stenosis ) বলে।

🩸 প্রায় 75 % স্পাইনাল স্টেনোসিসই ( Spinal Stenosis ) পিঠের নীচের অংশে লাম্বার স্পাইনে হয়ে থাকে। স্পাইনাল স্টেনোসিস হলে স্নায়ুমূলে চাপ সৃষ্টি হয় বলে পায়ের পেছনের অংশেও ব্যথা হতে পারে।

🇨🇭 স্পাইনাল স্টেনোসিস ( Spinal Stenosis ) কেন হয় ?

🩸 বয়স:
বয়সের সাথে সাথে শরীরের লিগামেন্টগুলো মোটা হতে থাকে। মেরুদন্ডের হাড়গুলোর মাঝখানে যে সংযোজক কলা থাকে তাকে লিগামেন্ট বলে। মেরুদন্ডের হাড়গুলোর মধ্যে বা নালীর মধ্যে স্পার গঠিত হলে কশেরুকাগুলোর মধ্যবর্তী স্থানে যে ডিস্ক থাকে তাকে তা ক্ষয় হতে শুরু করে। এজন্যই মেরুদন্ড বা শিরদাঁড়া সরু হয়ে যায়।

🩸 আরথ্রাইটিস:
অষ্টিওআরথ্রাইটিস ও রিওমাটয়েড আরথ্রাইটিস হলে মেরুদন্ডের উপর প্রভাব পড়ে।

🩸 বংশানুক্রম:
যদি জন্মের সময়ই স্পাইনাল ক্যানেল অনেক ছোট থাকে তাহলে তরুণ অবস্থাতেই স্পাইনাল স্টেনোসিসের ( Spinal Stenosis ) সমস্যা দেখা দিতে পারে। কশেরুকার গঠনগত বিকৃতির কারণেও মেরুদন্ডের নালী সরু হতে পারে।

🩸 মেরুদন্ডের অস্থায়িত্ব বা স্পন্ডাইলোলিস্থেসিস:
যখন মেরুদন্ডের একটি কশেরুকা অন্যটির থেকে আগে চলে যায় তখন স্পাইনাল ক্যানেল সরু হয়ে যায়।

🩸 টিউমার:
নরম টিস্যুর অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে স্পাইনাল ক্যানেলে প্রদাহ হয়। টিস্যুর বৃদ্ধির ফলে হাড়ের ক্ষয় হয় বা হাড়ের স্থানচ্যুতি ঘটে।

🩸 ট্রমা:
দুর্ঘটনা বা আঘাতের ফলে মেরুদন্ডের হাড় স্থানচ্যুত হতে পারে।

🇨🇭 স্পাইনাল স্টেনোসিসের ( Spinal Stenosis ) লক্ষণ :

🩸 স্পাইনাল স্টেনোসিসের ( Spinal Stenosis ) ফলে পিঠের নীচের অংশে এবং পায়ে ব্যথা হয়। স্টেনোসিসের ফলে যে নার্ভ পেশীর শক্তি ও পায়ের অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণ করে সেই নার্ভের উপর চাপ পড়ে।

🩸 ( Spinal Stenosis ) আরো যে লক্ষণঙ্গুলো দেখা যায়:

  • 🧪 ঘন ঘন পড়ে যাওয়া ও জড়তা।
  • 🧪 হাঁটার সময় ব্যথা হয়।
  • 🧪 পায়ে গরম বা ঠান্ডা অনুভব করা, অসাড়তা এবং পায়ে ঘাই দেয়ার মত অনুভূতি হওয়া।
🇨🇭 স্পাইনাল স্টেনোসিসের ( Spinal Stenosis ) নির্ণয় :

🧪 স্পাইনাল স্টেনোসিসের নির্ণয় করা একটু কঠিন কারণ এর লক্ষণগুলো অন্য স্বাস্থ্য সমস্যার সাথে সম্পর্কিত। সাধারণত যাদের স্টেনোসিসের সমস্যা আছে তাদের পিঠে ব্যথা বা সাম্প্রতিক কোন আঘাতের ইতিহাস থাকেনা। পায়ের অস্বাভাবিক লক্ষণগুলোই স্পাইনাল স্টেনোসিসের বিদ্যমানতার সূত্র।

🧪 যদি সাধারণ চিকিৎসা যেমন: বসার ভঙ্গির পরিবর্তন অথবা নন স্টেরয়ডাল অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ড্রাগ ব্যবহার করার পরেও সমস্যা না যায় তাহলে- ( MRI ও CT Scan ) করাতে হবে। এছাড়া মায়েলো-গ্রাম ও করা যেতে পারে।

ডাঃ মাসুদ হোসেন, Dr. Masud Hossain
ডাঃ মাসুদ হোসেন Dr. Masud Hossain

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন
Dr. Masud Hossain.
(বি, এইচ, এম, এস )
(ডি, এইচ, এম, এস) ( ঢাকা )।

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

📞 মোবাইল : +8801907-583252
+8801302-743871

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 সকাল 09:00 — 01:00 টা।
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!