প্যানক্রিয়েটাইটিস লিভার এবং পিত্তথলির রোগ | ডাঃ মাসুদ হোসেন

প্যানক্রিয়েটাইটিস লিভার এবং পিত্তথলির রোগ | ডাঃ মাসুদ হোসেন

🇨🇭 ক্রনিক প্যানক্রিয়েটাইটিস ( Chronic Pancreatitis )

🩸 অতিমাত্রার প্রদাহ থেকে ক্রনিক প্যানক্রিয়েটাইটিস হতে পারে। এ ক্ষেত্রে রোগীর ঘন ঘন পেটে ব্যথা হয়। খাদ্য হজম হয় না। ওজন কমে যায়। ফেনাযুক্ত পায়খানা হয়। রোগীর ডায়াবেটিস হতে পারে।

🧪 প্যানক্রিয়েটাইটিস রোগ নির্ণয়:

🧪 রক্ত পরীক্ষা, আল্ট্রাসাউন্ড এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে সিটি স্ক্যান এবং ইআরসিপির মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা যায়।

🛑 চর্বিজাতীয় খাবার যেমন: ডিম, দুধ, গরুর মাংস, খাসির মাংস, যে কোনো তৈলাক্ত খাদ্য কম খেতে হবে। এছাড়া খাবারের পরিমাণ কম এবং ক্যালরির মান ঠিক রাখার জন্য অল্প করে বেশি বার খাওয়া যেতে পারে।

প্যানক্রিয়েটাইটিস লিভার এবং পিত্তথলির রোগ | ডাঃ মাসুদ হোসেন

🇨🇭 প্যানক্রিয়েটিক টিউমার:

🩸 প্যানক্রিয়েসের টিউমার বেশির ভাগই ক্যান্সার হয়। বিনাইন টিউমার কম। সেজন্য প্যানক্রিয়েসের টিউমার মানেই ক্যান্সার। মাঝবয়সী পুরুষ এবং মহিলা সমান হারে আক্রান্ত হতে পারে। প্যানক্রিয়েসের টিউমার সাধারণত দুই ধরনের হয়। মাথা এবং বডিতে টিউমার হয়। বেশির ভাগ টিউমার মাথায় আক্রান্ত হয়। প্যানক্রিয়েসের মাথায় টিউমারের রোগী জন্ডিস, পেটে ব্যথা, পেটে চাকা নিয়ে আসে। বেশির ভাগ রোগীর রোগ ডায়াগনসিস হয় অগ্রসর পর্যায়ে।

🧪 প্যানক্রিয়েটিক টিউমার রোগ নির্ণয়:

🧪 প্রাথমিক ইতিহাস, রক্ত পরীক্ষা, আল্ট্রাসাউন্ড, সিটি স্ক্যান, এমআরআই এবং ইআরসিপির মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা যায়।

🇨🇭 প্যানক্রিয়াস এবং ডায়াবেটিস:

🩸 প্যানক্রিয়াসের মধ্যে আইলেট সেল নামক কিছু কোষ থাকে। এই কোষগুলো ইনসুলিন নামক হরমোন নি:সরণ করে। ইনসুলিন রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এই কোষগুলো যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবে ইনসুলিনের নিঃসরণ কম হবে, ফলে রোগীর ডায়াবেটিস রোগ দেখা দেবে। ক্রনিক প্রদাহ বা সার্জারি করে প্যানক্রিয়াসের টিউমার অপসরণ করা হলে রোগী ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

🇨🇭 প্যানক্রিয়াস এবং জন্ডিস:

🩸 পিত্তনালির নিম্ন অংশ প্যানক্রিয়াসের মাথার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হয়। যদি প্যানক্রিয়াসের মাথায় কোনো টিউমার হয় তবে অতিরিক্ত চাপে পিত্তনালির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে রোগীর জন্ডিস হয়। কোনো রোগীর জন্ডিস হলে অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা এবং আল্ট্রাসাউন্ড করে সঠিক রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা করাতে হবে। পিত্তনালির প্রবাহ বাধাগ্রস্তের ফলে যে জন্ডিস হয় তাকে সার্জিকেল জন্ডিস বলে।

🇨🇭 প্যানক্রিয়েসের পাথর:

🩸 ক্রনিক প্যানক্রিয়েটাইটিস থেকে পাথর হতে পারে। রোগীর পেটে মাঝে মাঝে তীব্র ব্যথা হয়। খাদ্য হজম হয় না। ডায়াবেটিস দেখা যায়।

🧪 প্যানক্রিয়েসের পাথর রোগ নির্ণয়:

🧪 পেটের এক্স-রে, আল্ট্রাসাউন্ড এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইআরসিপি করে রোগ নির্ণয় করা যায়।

🇨🇭 প্যানক্রিয়েস মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর অরগান। এর প্রতিটি রোগই জটিল। চিকিৎসা ব্যয়বহুল এবং জটিল। বর্তমানে আমাদের দেশে প্রতিটি রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা সম্ভব।

আরো পড়ুনঃ   লিভার সিস্ট – Liver Cyst ও( SGPT ) লিভার ​​পরীক্ষা।
প্যানক্রিয়েটাইটিস লিভার এবং পিত্তথলির রোগ | ডাঃ মাসুদ হোসেন
🇨🇭 পিত্তথলির ক্যান্সারের ঝুঁকি:

🩸 নানাবিধ ক্যান্সারের মধ্যে বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত বাড়ছে পিত্তথলির ক্যান্সারের ঝুঁকি। পিত্তথলির সমস্যা বলতে সাধারণ পাথরজনিত সমস্যার প্রসঙ্গই আসে। নীরব ঘাতক হিসেবে কাজ করে পিত্তথলির ক্যান্সার। প্রথমেই এর কারণ এবং প্রি-ডিসপোজিং ফ্যাক্টরগুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

🩸 সাধারণ নারী রোগী, বৃদ্ধ এবং দীর্ঘসময় ধরে পিত্তথলির পাথর যারা বহন করে বেড়াচ্ছে কিন্তু চিকিৎসা নিচ্ছে না তারা এ পিত্তথলির ক্যান্সারের ঝুঁকিতে আছেন। এক গবেষণায় দেখা যায়, যাদের পাথরের আকৃতি বেশি অর্থাৎ ( 3 সে.মি. ) এর থেকে বৃহদাকার পাথর দীর্ঘদিন বয়ে বেড়াচ্ছে তাদের পিত্তথলির ক্যান্সারের ঝুঁকি একজন সাধারণ মানুষের চেয়ে প্রায় তিন গুণ বেশি।

🩸 উপসর্গের প্রসঙ্গে বলতে গেলে, রোগীদের প্রধান সমস্যা থাকে পেটের ওপরের দিকে ডান দিকে ব্যথা অনুভব হওয়া এবং কোনো কোনো পর্যায়ে ওজন কমা, ক্ষুধামন্দা, জন্ডিস বা চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া এবং রোগের একদম শেষ পর্যায়ে বড় চাকা নিয়েও অনেক সময় রোগীরা ডাক্তারের কাছে আসে। রোগ নির্ণয়ে আমরা সাধারণত রোগীর কিছু শারীরিক পরীক্ষা বা ক্লিনিক্যাল এক্সামিনেশনের পাশাপাশি আল্ট্রাসনোগ্রাম, রক্তের কিছু পরীক্ষা। পাশাপাশি রোগ শরীরে কতটুকু ছড়িয়েছে তা নির্ণয়ে অর্থাৎ রোগের স্টেজিং করার জন্য সিটিস্ক্যান এবং টিউমার মার্কার পরীক্ষা করে।

🩸 রোগের প্রতিকারের বিষয়ে বলতে গেলে বলতে হয়, সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয়ের পর উপসর্গগুলো দেখা দিলে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া এবং কালক্ষেপণ না করে অতিদ্রুত চিকিৎসার পরামর্শ নেয়া জরুরি।

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন
Dr. Masud Hossain.
(বি, এইচ, এম, এস )
(ডি, এইচ, এম, এস) ( ঢাকা )।

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

📞 মোবাইল : +8801907-583252 +8801302-743871

homeo-treatment-dr-masud-hossain

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 সকাল 09:00 — 01:00 টা।
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

About The Author

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!