WhatsApp Image 2024 11 03 at 23.23.30 9fab8247

Goitre treatment | গলগন্ডের চিকিৎসা।

🇨🇭 গলগন্ড এমন একটি অবস্থা যেখানে আপনার থাইরয়েড গ্রন্থি অস্বাভাবিকভাবে বড় হয়ে যায়। আপনার থাইরয়েড একটি প্রজাপতি আকৃতির গ্রন্থি যা আদমের আপেলের ঠিক নীচে ঘাড়ের গোড়ায় অবস্থিত। গলগন্ড সাধারণত ব্যথাহীন, কিন্তু যদি এটি খুব বড় হয়ে যায়, তবে এটি আপনার পক্ষে গিলতে বা শ্বাস নেওয়া কঠিন করে তুলতে পারে।

🇨🇭 আয়োডিনের অভাব গলগন্ডের সবচেয়ে সাধারণ কারণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো জায়গাগুলিতে, যেখানে আয়োডিনযুক্ত লবণের ব্যবহার বেশ সাধারণ, একটি গলগন্ড বেশিরভাগই থাইরয়েড হরমোনের অতিরিক্ত বা কম উৎপাদনের কারণে হয়।

🇨🇭 গলগন্ডের আকার, উপসর্গ এবং কারণের উপর নির্ভর করে চিকিত্সা পরিবর্তিত হতে পারে। যেহেতু ছোট গলগন্ড লক্ষণীয় নয় এবং সমস্যা সৃষ্টি করে না, তাদের সাধারণত কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না।

Goitre treatment | গলগন্ডের চিকিৎসা।

🇨🇭 Goitre-গলগন্ডের লক্ষণ?

🇨🇭 গলগন্ডের প্রাথমিক লক্ষণ হল সাধারণত ঘাড়ে একটি লক্ষণীয় ফোলাভাব। যদি আপনার থাইরয়েডে নোডিউল থাকে, তবে সেগুলি আকারে খুব ছোট থেকে খুব বড় পর্যন্ত হতে পারে। নোডুলসের উপস্থিতিও ফোলাভাব বাড়াতে পারে।

🇨🇭 Goitre-গলগন্ডের অন্যান্য উপসর্গ ?
  • 🩸 গিলতে বা শ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া।
  • 🩸 কাশি।
  • 🩸 মাথার উপরে হাত বাড়ালে মাথা ঘোরা।
  • 🩸 কণ্ঠে কর্কশতা।

🇨🇭 Goitre-গলগন্ডের কারণ এবং ঝুঁকি ?

🇨🇭 গলগন্ডের সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল আয়োডিনের অভাব। থাইরয়েডকে থাইরয়েড হরমোন তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য আয়োডিন গুরুত্বপূর্ণ। যখন আপনার পর্যাপ্ত আয়োডিন না থাকে, তখন থাইরয়েডকে থাইরয়েড হরমোন তৈরি করতে অতিরিক্ত কঠোর পরিশ্রম করতে হয়, যা গ্রন্থিটি বড় হতে পারে।

🇨🇭 Goitre-গলগন্ডের আরও কয়েকটি কারণ থাকতে পারে যার মধ্যে রয়েছে:

🩸 গ্রেভস ডিজিজ: গ্রেভস ডিজিজ হল এমন একটি অবস্থা যেটি ঘটে যখন আপনার থাইরয়েড স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাইরয়েড হরমোন তৈরি করে। এটি হাইপারথাইরয়েডিজম নামেও পরিচিত। হরমোনের অতিরিক্ত উৎপাদন থাইরয়েডের আকার বাড়াতে পারে।

🩸 প্রদাহ: কিছু লোক থাইরয়েডাইটিস তৈরি করে, থাইরয়েডের প্রদাহ যা গলগন্ড হতে পারে।

🩸 হাশিমোটোর থাইরয়েডাইটিস (Hashimoto’s thyroiditis):
হল একটি শর্ত, যা থাইরয়েড যথেষ্ট থাইরয়েড হরমোন তৈরি করতে সক্ষম না হওয়ার পূর্বাভাস দেয়। এটি
হাইপোথাইরয়েডিজমের
দিকে পরিচালিত করে। কম থাইরয়েড হরমোন পিটুইটারি গ্রন্থিকে আরও থাইরয়েড-উত্তেজক হরমোন তৈরি করতে পারে, যার ফলে থাইরয়েড বড় হতে পারে।

🩸 নোডুলস: থাইরয়েডের উপর কঠিন বা তরলযুক্ত সিস্ট দেখা দিতে পারে, যার ফলে এটি ফুলে যায়। এই নোডুলগুলি সাধারণত ক্যান্সারবিহীন।

🩸 থাইরয়েড ক্যান্সার: ক্যান্সার থাইরয়েডকে প্রভাবিত করতে পারে, যার ফলে গ্রন্থির একপাশে ফুলে যেতে পারে। যাইহোক, থাইরয়েড ক্যান্সার সৌম্য নোডুলস গঠনের মতো সাধারণ নয়।

🩸 গর্ভাবস্থা: কখনও কখনও গর্ভাবস্থার কারণেও থাইরয়েড বড় হতে পারে।

Goitre treatment | গলগন্ডের চিকিৎসা।

🇨🇭 গলগন্ড হওয়ার সম্ভাবনা বেশি যদি আপনি:

🩸 থাইরয়েড ক্যান্সার, নোডুলস এবং থাইরয়েডকে প্রভাবিত করে এমন যেকোনো সমস্যার পারিবারিক ইতিহাস আছে।

🩸 আপনার শরীরের আয়োডিন হ্রাস করতে পারে এমন অবস্থা আছে।

🩸 আপনার ডায়েটে পর্যাপ্ত আয়োডিন পাবেন না।

🩸 মহিলারা- সাধারণত পুরুষদের তুলনায় মহিলারা এই অবস্থার জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

🩸 40 বছরের বেশি বয়সী- বার্ধক্য আপনার থাইরয়েডের স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করতে পারে।
গর্ভবতী বা মেনোপজের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন- এই ঝুঁকির কারণগুলি সহজে বোঝা যায় না, তবে গর্ভাবস্থা এবং মেনোপজ থাইরয়েডের সমস্যা শুরু করতে পারে।

🩸 ঘাড় বা বুকের এলাকায় বিকিরণ থেরাপি হয়েছে।

🩸 বিকিরণ থাইরয়েডের কাজ করার উপায় পরিবর্তন করতে পারে।

🇨🇭 গলগন্ডের প্রকারভেদ:
যেহেতু অনেকগুলি জিনিস রয়েছে যা আপনার থাইরয়েড ফুলে যেতে পারে, তাই একাধিক ধরণের গলগন্ডও রয়েছে। তাদের মধ্যে কিছু অন্তর্ভুক্ত:

🩸 সরল গলগন্ড : আপনার থাইরয়েড গ্রন্থি পর্যাপ্ত হরমোন তৈরি করতে অক্ষম হলে এগুলি ঘটে। এটি পূরণ করতে, আপনার থাইরয়েড বড় হতে পারে।

🩸 এন্ডেমিক গলগন্ড: এছাড়াও কলয়েড গলগন্ড হিসাবে আখ্যায়িত, এটি আপনার খাদ্যে আয়োডিনের অভাবের কারণে ঘটে। আপনার থাইরয়েড তার হরমোন তৈরি করতে আয়োডিন ব্যবহার করে। যেসব দেশে টেবিল লবণে আয়োডিন যোগ করা হয়, সেখানে কম লোকে এই ধরনের গলগন্ড পায়।

🩸 মাল্টিনোডুলার গলগন্ড: যখন আপনার থাইরয়েডে নোডুলস নামক পিণ্ডগুলি বৃদ্ধি পায় তখন এটি ঘটে।

🩸 বিক্ষিপ্ত বা অ-বিষাক্ত গলগন্ড: এই ধরনের গলগন্ডের সাধারণত কোন কারণ জানা নেই। কিছু ওষুধ বা চিকিৎসা পরিস্থিতি তাদের ট্রিগার করতে পারে।

🩸 যখন একটি গলগন্ড হাইপারথাইরয়েডিজমের সাথে যুক্ত হয়, তখন এটিকে বিষাক্ত হিসাবে বর্ণনা করা হয়। এর মানে হল আপনার থাইরয়েড অত্যধিক থাইরয়েড হরমোন তৈরি করে। একটি গলগন্ড যা অ-বিষাক্ত তা হাইপারথাইরয়েডিজম বা হাইপোথাইরয়েডিজমের দিকে পরিচালিত করে না।

Goitre treatment | গলগন্ডের চিকিৎসা।

🇨🇭 গলগন্ডরোগ নির্ণয়:
আপনার ডাক্তার একটি বর্ধিত থাইরয়েড আবিষ্কার করতে পারে, কেবলমাত্র আপনার ঘাড় অনুভব করার পাশাপাশি আপনাকে নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষার সময় গিলে ফেলার মাধ্যমে। আপনার ডাক্তার কিছু ক্ষেত্রে নডিউলের উপস্থিতি অনুভব করতে সক্ষম হতে পারে।

🧪 একটি হরমোন পরীক্ষা:
রক্ত পরীক্ষা আপনার থাইরয়েড এবং পিটুইটারি গ্রন্থি দ্বারা উত্পাদিত হরমোনের সংখ্যা নির্ধারণে সাহায্য করতে পারে। যাইহোক, যদি আপনার থাইরয়েড নিষ্ক্রিয় হয়, তাহলে থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা কম হতে চলেছে।

🧪 একটি অ্যান্টিবডি পরীক্ষা:
গলগন্ডের কিছু কারণ অস্বাভাবিক অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারে। একটি রক্ত পরীক্ষা এই অ্যান্টিবডিগুলির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।
আল্ট্রাসনোগ্রাফি
এই পদ্ধতিতে, ট্রান্সডুসার নামে পরিচিত একটি কাঠির মতো যন্ত্রটি আপনার ঘাড় ধরে রাখা হয়। শব্দ তরঙ্গ তারপর আপনার ঘাড় এবং পিঠের মধ্য দিয়ে বাউন্স করে এবং একটি কম্পিউটার স্ক্রিনে ছবি তৈরি করে। এই চিত্রগুলি আপনার থাইরয়েড গ্রন্থির আকার প্রকাশ করতে সক্ষম এবং এতে এমন কোনও নোডিউল রয়েছে যা আপনার ডাক্তার অনুভব করতে পারেননি।

🧪 একটি থাইরয়েড স্ক্যান এই পদ্ধতির সময়, একটি তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ কনুইয়ের ভিতরের শিরাতে ইনজেকশন দেওয়া হয়। আপনি যখন আপনার মাথা পিছনের দিকে প্রসারিত করে একটি টেবিলে শুয়ে থাকেন, তখন একটি বিশেষ ক্যামেরা কম্পিউটারের স্ক্রিনে আপনার থাইরয়েডের একটি চিত্র তৈরি করতে সক্ষম হয়।

🧪 থাইরয়েড গ্রন্থিতে আইসোটোপ পৌঁছাতে কতক্ষণ লাগে তার উপর নির্ভর করে পদ্ধতির জন্য প্রয়োজনীয় সময় সাধারণত পরিবর্তিত হয়। থাইরয়েড স্ক্যানগুলি আপনার থাইরয়েডের প্রকৃতি এবং আকার সম্পর্কে তথ্য প্রদান করতে সক্ষম, তবে এগুলি আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষার চেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক, সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল।

🧪 একটি বায়োপসি:
একটি বায়োপসির সময়, একটি আল্ট্রাসাউন্ড একটি টিস্যু বা তরল নমুনা পেতে আপনার থাইরয়েডের মধ্যে একটি সুই গাইড করতে ব্যবহৃত হয়, যা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়।

🇨🇭 চিকিৎসা:
আপনার গলগন্ডের কারণ এবং এটি কতটা গুরুতর তার উপর নির্ভর করে আপনার ডাক্তার নিম্নলিখিত চিকিত্সার পরামর্শ দিতে পারেন:

🧪 ঔষধ: আপনি যদি হাইপোথাইরয়েডিজমে ভুগছেন তবে আপনার ডাক্তার একটি থাইরয়েড হরমোন প্রতিস্থাপনের ওষুধ লিখে দিতে পারেন। প্রদাহজনিত গলগন্ডের জন্য, আপনি অ্যাসপিরিন বা কর্টিকোস্টেরয়েড গ্রহণ করতে পারেন।

🧪 সার্জারি: অস্ত্রোপচারে আপনার সার্জন আপনার থাইরয়েডের সমস্ত বা অংশ অপসারণ করে। পরবর্তীতে, আপনাকে সারা জীবনের জন্য থাইরয়েড হরমোনের ওষুধ সেবন করতে হতে পারে।

🧪 তেজস্ক্রিয় আয়োডিন:
অত্যধিক সক্রিয় থাইরয়েডের চিকিত্সার জন্য আপনি এটি একটি বড়ি হিসাবে গ্রহণ করতে পারেন। এটি থাইরয়েডকে সঙ্কুচিত করতে কোষ মেরে সাহায্য করে। তারপর থেকে, আপনাকে সম্ভবত হরমোনের ওষুধ খাওয়া চালিয়ে যেতে হবে।

⭕ জটিলতা:
যদিও ছোট গলগন্ড যা কোন শারীরিক বা প্রসাধনী সমস্যা সৃষ্টি করে না তা উদ্বেগের বিষয় নয়, বড় গলগন্ড একাধিক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, যেমন: শ্বাস নিতে বা গিলতে অসুবিধা।

⭕ হাইপোথাইরয়েডিজম বা হাইপারথাইরয়েডিজমের মতো অন্যান্য অবস্থার ফলে গলগন্ডগুলি ক্লান্তি এবং ওজন বৃদ্ধি থেকে শুরু করে অনিচ্ছাকৃত ওজন হ্রাস, বিরক্তি এবং সেইসাথে ঘুমের সমস্যা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি উপসর্গের সাথে যুক্ত হতে পারে।

চট্টগ্রামের সেরা যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার-ডাঃ মাসুদ হোসেন।
⭕ গলগণ্ড রোগ ও এর চিকিৎসা:

🇨🇭 গলগণ্ড বা ঘ্যাগ হলো অস্বাভাবিক বৃদ্ধিপ্রাপ্ত থাইরয়েড গ্রন্থি। থাইরয়েড গন্থিটি গলার সামনের দিকের নিচের অংশে থাকে এবং স্বাভাবিক অবস্থায় এটির অবস্থান দৃশ্যমান নয়। থাইরয়েড গ্রন্থির আকার অনেকটা প্রজাপতির মতো। দুইপক্ষের দুটি ডানার মতো অংশ ( লোব ) একটি সংক্ষিপ্ত ও দেহ (ইয়ামাথ) দিয়ে সংযুক্ত থাকে। গ্রন্থিটি যখন আকার-আয়তনে বড় হয় ( গলগণ্ড ) তখন তা সহজেই দৃষ্টিগোচর হয় এবং খাবার সময় বা কথা বলার সময় এর নাড়াচাড়া বিশেষভাবে বুঝা যায়।

⭕ থাইরয়েড গ্রন্থিটি দেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেহে যে কয়টি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি দেহের সামগ্রিক ক্রিয়াকলাপকে প্রভাবিত করে, থাইরয়েড তাদের অন্যতম। এটি অন্য অন্ত:ক্ষরা গ্রন্থিকেও প্রভাবিত করে। থাইরয়েড গ্রন্থিটি পক্ষান্তরে পিটুইটার ( সামনেরটি ) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়; যা আবার হাইপো থাইরয়েড গ্রন্থির নিয়ন্ত্রণে থাকে। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে থাইরয়েড হরমোন ( T-4 ও T-3 ) নি:সৃত হয়।

⭕ থাইরয়েড গ্রন্থি বিভিন্ন কারণে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হল পিটুইটারি গ্রন্থি হতে অধিকা কাজ করার নির্দেশপ্রাপ্ত হওয়া। আবার খাদ্যে আয়োডিনের অভাব থাকলেও থাইরয়েড গ্রন্থিটি ক্রমশ বড় হতে থাকবে। এছাড়া থাইরয়েড গ্রন্থির কিছু কিছু স্থানিক সমস্যার কারণে গ্রন্থিটি ক্রমশ বড় হতে থাকে। এর মধ্যে আছে নডুল, ক্যান্সার, হাইপার থাইরয়েজিম ও হাইপো থাইরয়েডজম।

⭕ বাংলাদশের বিভিন্ন অঞ্চলে বহুসংখ্যক গলগণ্ড রোগ আছে। এর মধ্যে উত্তরাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে এর প্রকোপ বেশি। আবার মহিলাদের মাঝে গলগণ্ডের হার পুরুষের চেয়ে বেশি। বাংলাদেশ বাদে অস্ট্রেলিয়ার কিছু এলাকা, আলপম পর্বতের পাদদেশ যুক্তরাষ্ট্রের গ্রেট লেক এলাকা ও পার্শ্ববর্তী ভারতের হিমালয় পর্বতের আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রচুর গলগণ্ডের রোগী দেখা যায়। সমুদ্র থেকে দূরবর্তী অঞ্চলে গলগণ্ড বেশি দেখা দেয়ার কারণ হলো- সমুদ্র থেকে যত দূরত্ব বাড়বে মাটিতে তত কম পরিমাণ আয়োডিন পাওয়া যাবে। আয়োডিনের এ দীর্ঘদিনের ঘাটতিতে থাইরয়েড গ্রন্থি ক্রমশ বৃহদাকার হতে থাকবে।

⭕ মাটিতে আয়োডিনের ঘাটতি বাদেও কিছু কিছু খাবার বেশি পরিমাণে এবং অনেক ধরে খেতে থাকলেও আয়োডিনের কার্যকারিতা হ্রাস পায় এবং গলগণ্ড হতে পারে। এ সব খাবারের মধ্যে আছে পাতা কপি, ব্রকলি, ফুলকপি, সয়া জাতীয় খাদ্য ইত্যাদি। কিছু কিছু ওষুধও থাইরয়েড গ্রন্থির বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। থাইরয়েড নডুল, ক্যান্সার ও হাইপো থাইরয়েডিজম ও হাইপার থায়রয়েডিজমের জন্যও গলগণ্ড হতে দেখা যায়।

⭕ গলগণ্ডের লক্ষণসমূহ হঠাৎ করে শুরু হয় না, বরং অনেক দিন ধরে ধীরে ধীরে গলগণ্ড হতে থাকে। এর প্রধানতম লক্ষণ হলো গলার সামনের দিকের মাঝখানের নিচের অংশ বা দু’পাশ ফুলে উঠা। রোগী সাধারণত নিজে থেকে প্রথমে এ সমস্যাটি শনাক্ত করতে পারে না। তার বন্ধুবান্ধব বা ঘনিষ্ঠজন প্রথমে একবার গলার এ স্ফীতিকে শনাক্ত করে। এটি এত ধীরে ধীরে হয় যে, অন্য কেউ বলার পরও রোগী সন্দিহান থাকতে পারে এ ব্যাপারে। কিন্তু তারপর দেখা যাবে এ গ্রন্থিটি ক্রমশ বৃহদাকার হয়ে যাচ্ছে। থাইরয়েড গ্রন্থির বৃদ্দি প্রাপ্তির সাথে সাথে খেতে বা ঢোক গিলতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। গলগণ্ড খুব বড় হলে শ্বাস-প্রশ্বাসেও সমস্যা হতে পারে। মেয়েদের ঋতুস্রাবের সময় ও গর্ভাবস্থায় গলগণ্ড সাময়িকভাবে আরো বড় হয়।

⭕ গলগণ্ড হাইপার থাইরয়েডিজমের হলে থাইরয়েড গ্রন্থির নিরসনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে বেশির ভাগ রোগীর কিছু অটোইম্যুন রোগ থাকে যার মধ্যে গ্রেভ’স রোগ প্রধান। এ সব রোগে টিএসএইচ-এর বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। ফলশ্রুতিতে গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে টি৪ ও টি৩ হরমোন নি:সৃত হতে থাকে। হাইপার থাইরয়েজিমের গলগণ্ডে উপর লক্ষণগুলোর সাথে অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, অস্থিরতা, দ্রুত ওজন কমে যাওয়া, গরম অসহ্য লাগা, হাত কাপা ও ডায়রিয়া থাকতে পারে।

আরো পড়ুনঃ  আঘাত জনিত ব্যাথা ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।

⭕ হাইপো থাইরয়েভিজমের কারণে গলগণ্ড হলে থাইরয়েড গ্রন্থির নি:সরণ কমে যায়। ক্রমবর্ধমান চাহিদা সামলাবার জন্য থাইরয়েড গ্রন্থি আয়তন বাড়তে থাকে। আয়োডিনের স্টাটাড এর প্রধান কারণ। এছাড়া কিছু অটোইম্যুন রোগও এর জন্য দায়ী। এক্ষেত্রে গলগণ্ডে সাধারণ লক্ষণগুলোর সাথে শারীরিক দুর্বলতা, অবসাদ, শীত সহ্য করতে না পারা, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি থাকতে পারে।

⭕ কিছু রোগীর ক্ষেত্রে থাইরয়েড গ্রন্থির ক্যান্সারের জন্যও গলগণ্ড দেখা দিতে পারে। এ ক্যান্সার আবার মেয়েদের হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আর যাদের যৌবনের শুরুতে বার বার এক্সরে করতে হয়েছে তাদের থাইরয়েড ক্যান্সার বেশি হয়। থায়রয়েড ক্যান্সারের হার বরং কম এবং প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে সম্পূর্ণ রূপে সেরে যায়। যে কোনো বয়সে থাইরয়েড ক্যান্সার হতে পারে; যদিও চার দশকের কাছাকাছি বয়সে বেশিসংখ্যক রোগীকে শনাক্ত করা হচ্ছে।

⭕ গলগণ্ড হয়েছে বা হচ্ছে মনে হলেও চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। আমাদের দেশের অনেকেই এ ব্যাপারটাতে বেশ অনীহা প্রকাশ করেন এবং এর জন্য রোগীকে ও তার পরিবারকে শেষ পর্যন্ত যথেষ্ট ভোগান্তি পোহাতে হয়। গলগণ্ডের সম্ভাব্য রোগীকে চিকিৎসক শারীরিক পরীক্ষা, রক্ত পরীক্ষায়, আল্ট্রাসনোগ্রাম থেকে শুরু করে বায়োপথি ও রেডিও অ্যাকটিভ আয়োডিন আপটেক পরীক্ষা পর্যন্ত করতে পারেন।

⭕ গলগণ্ডের কারণ নির্ধারিত হওয়ার পর এর চিকিৎসা পদ্ধতি টিক করা হয়। গলগণ্ডের রোগীর থাইরয়েড গ্রন্থি যদি সামান্য একটু স্ফীত হয়ে থাকে এবং শুধুমাত্র পর্যাপ্ত আয়োডিন সরবরাহ করেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করা যেতে পারে। কিছু যদি আয়োডিনের ঘাটার্ড জনিত হাইপোথারয়েডের গলগণ্ড বৃহদাকার হয়। তবে শুধুমাত্র আয়োডিন যোগ করে তেমন কোন উন্নতি আশা করা যাবে না। এক্ষেত্রে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত থাইরয়েড গ্রন্থিকে অপারেশন করে বাদ দেয়া ছাড়া গত্যন্তর থাকে না। এরই সাথে হরমোন খাওয়াতে হয় আজীবন। আর হাইপার থাইরয়েডিজমের কারণে গলগণ্ড হলে থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা কমাতে পারে- এমন ওজন দিয়ে সংশোধনের চেষ্টা করা হয়। এদের ক্ষেত্রেও অপারেশন করে স্ফীত গ্রন্থিটি বাদ দেয়া জরুরি হয়ে পড়ে অনেক সময়। নিরীহ থাইরয়েড নডুল ওষুধ সংশোধনের চেষ্টা করাই শ্রেয়। আর থাইরয়েড গ্রন্থির ক্যান্সার হলে দ্রুত অপারেশন করে পুরোটা গ্রন্থি ফেলে দেয়া হয়। এরপর আয়োডিন দিয়ে চিকিৎসা করা হয়।

⭕ বাংলাদেশের ভৌগোলিক ও ভূতাত্ত্বিক পরিস্থিতিতে আয়োডিনের অভাবজনিত হাইপেথায়রয়েডিজম এং এর ফল স্বরূপ গলগণ্ড খুব বেশি দেখা যায়। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলাসমূহ যেমন: বৃহত্তর রংপুর জেলা, বৃহত্তর দিনাজপুর জেলা, বৃহত্তর ময়মনসিংহ ( বিশেষ করে শেরপুর ও জামালপুর জেলা ) জেলার বিপুলসংখ্যক নারী ও পুরুষ আয়োডিনের অভাবজনিত গলগণ্ডে ভুগছে। এদের জন্য পর্যাপ্ত আয়োডিনের ব্যবস্থা করতে পারলেই ব্যাপক জনগোষ্ঠী গলগণ্ডের হাত থেকে রেহাই পায়। সরকারিভাবে খাবার লবণে নির্দিষ্টমাত্রার আয়োডিন মেশানোর নির্দেশ দেয়া থাকলেও আমাদের অভিজ্ঞতা বিরূপ। বেশির ভাগ লবণেই আয়োডিন নেই কিন্তু এর দাম নেয়া হচ্ছে আয়োডিনযুক্ত লবণ হিসেবে। আর এ ব্যাপারে ব্যাপক জনসচেতনতা প্রয়োজন।

WhatsApp Image 2024 10 17 at 14.29.34 ce8c0252

⭕ শিশুর গলগণ্ড:

🇨🇭 এমন কিছু জন্মগত রোগ রয়েছে, যা কিনা শিশুর জন্মের পরপরই শনাক্ত করে চিকিৎসা করালে জীবন বাঁচানো সম্ভব। এমন এক ধরনের অসুখ হলো জন্মগত হাইপোথাইরয়েডিজম বা গলগণ্ড রোগ।

🇨🇭 আমাদের শরীর থেকে অনেক রকম হরমোন নি:সৃত হয়, তার মধ্যে অন্যতম থাইরক্সিন হরমোন। এই হরমোনটির নি:সরণ থাইরয়েড গ্ল্যান্ড থেকে হয়। থাইরয়েড হরমোন আমাদের শরীরের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগে, যেমন: বুদ্ধির বিকাশ, মস্তিষ্কের বৃদ্ধি, মানসিক ও শারীরিক বিকাশ ইত্যাদি। কোনো শিশুর জন্মের পরের দুই বছরের মধ্যে তার মস্তিষ্কের বিকাশ মোটামুটি সম্পূর্ণ হয়ে যায়। এ সময় থাইরয়েড হরমোনের তারতম্য থাকলে মস্তিষ্কের বৃদ্ধি ও বিকাশে গুরুতর সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। হাইপোথাইরয়েডিজমজনিত মস্তিষ্কে বৃদ্ধি ও বিকাশজনিত কোনো রকম সমস্যা দেখা দিলে পরবর্তীকালে এটা ঠিক হওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে না। শিশু বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর শিকার হয়। শরীরে থাইরক্সিন হরমোনের ঘাটতি থাকলে বা হরমোনটির কার্যকারিতা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় না হলে বা অ্যান্টিথাইরয়েড অ্যান্টিবডির কারণে হরমোনটির প্রভাব কমে গেলে অসুখটি দেখা দিয়ে থাকে।

⭕ রোগের উপসর্গ:
হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত শিশুর উচ্চতা ও ওজন ঠিকমতো বাড়ে না। সাধারণত খুব দুর্বল প্রকৃতির থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য, ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়। পেট ফুলে যায়, এমনকি চেহারায় অস্বাভাবিকতা দেখা যায়। অনেকের হার্টেও পানি জমতে পারে।এ ধরনের লক্ষণ চেহারায় ফুটে ওঠা মানে মস্তিষ্কের স্থায়ী ক্ষতি হয়ে গেছে। একটু বড় শিশুর হাইপোথাইরয়েডিজমের সমস্যা হলে বৃদ্ধি ঠিকমতো হয় না, বয়:সন্ধি আসতে দেরি হয়। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি সম্পন্ন হওয়ার পর কোনো কারণে থাইরয়েড সমস্যা হলে চিকিৎসা করার পর সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী কোনো ক্ষতি হয় না।

⭕ রোগ নির্ণয়:
নবজাতক শিশুর রোগের উপসর্গ বা মায়ের স্বাস্থ্যগত ইতিহাস থেকে চিকিৎসকরা নিশ্চিত হলে জন্মের তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে নবজাতকের স্ক্রিনিং টেস্ট করা হয়। টেস্টে থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি ধরা পড়লে চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া হয়। অনেক ক্ষেত্রে আলট্রাসনোগ্রামসহ গ্রন্থির কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখার প্রয়োজন হতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে কোনো একসময় থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা স্বাভাবিক হয়ে যেতে পারে। তখন থাইরয়েড হরমোনের উৎস থাইরক্সিন ট্যাবলেট সেবন বন্ধ করে দেওয়া হয়। আবার কোনো কোনো রোগীর ক্ষেত্রে আজীবনই হরমোন সেবন করে যেতে হয়।
হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত শিশুদের সঠিক চিকিৎসা করা হলে অন্য সবার মতোই শারীরিক-মানসিক বৃদ্ধি অর্জন ও পরিপূর্ণ-সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব। তবে সমস্যা শুরু হওয়ার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া জরুরি।

⭕ হোমিওপ্যাথিক সমাধান:

✅ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের কাছে যাওয়া:ডাক্তার পরীক্ষা করে সমস্যার মূল কারণ নির্ণয় করতে পারেন এবং তার ভিত্তিতে চিকিৎসা দিতে পারেন।

🇨🇭 হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়। একজন হোমিও ডাক্তারের/ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। সাইড ইফেক্ট নেই এমন হোমিওপ্যাথি ঔষধ কাজে লাগাবেন। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য পরবর্তী ধাপগুলো অর্থাৎ- যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থতা অর্জন করতে পারবেন।

ডাঃ মাসুদ হোসেন

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ( রেজি: নং- 35423 )

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

⭕ রোগীর সাথে – মোবাইল ফোনে / WhatsApp / Imo / Telegram – এ কথা বলার সময় সকাল 11.00 থেকে দুপুর 3.00 টা পর্যন্ত।

আমার মোবাইল নাম্বার :
🤳 +880 1907-583252
🤳 +880 1302-743871
🤳 +880 1973-962203

⭕ বিকাল – 5.00 থেকে রাত 10.00 পর্যন্ত আমি চেম্বারে বসে রোগী দেখি।

⭕ আবার রাত -10.00 টা থেকে রাত- 11.00 পর্যন্ত ফোনে রোগীদের সাথে কথা বলি।

⭕ রাত- 11.00 টা থেকে – সকাল – 11.00 টা পর্যন্ত আমার মোবাইল বন্ধ থাকে।

🇨🇭 আমার এই 3-টি নাম্বার:

   +8801907-583252

   +8801973-962203

   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

লেখক : বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!