অ্যামাইলয়ডোসিস

অ্যামাইলয়ডোসিস | Amyloidosis | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 অ্যামাইলয়ডোসিস – Amyloidosis, এক ধরনের বিরল রোগ যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে অ্যামাইলয়ড নামক তরল পদার্থ জমার কারণে হয়ে থাকে।

🇨🇭 অ্যামাইলয়ড একটি অস্বাভাবিক প্রোটিন। এটি সাধারনত আপনার অস্থি মজ্জায় উৎপন্ন হয় এবং এই প্রোটিন যে কোনো টিস্যু অথবা অঙ্গে জমাট বাঁধে।

🇨🇭 মানুষের বিভিন্ন অঙ্গ অ্যামাইলয়ডোসিস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। হৃৎপিন্ড, কিডনি, লিভার, স্নায়ুতন্ত্র এবং পরিপাক নালীতে ঘনঘন এই সমস্যা হয়ে থাকে। এই সমস্যা মারাত্মক আকার ধারন করলে শরীরের অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগের লক্ষন এবং অ্যামাইলয়ড প্রোটিনের উৎপাদন নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব।

🇨🇭 অ্যামাইলয়ডোসিস এর কারণ:

🩸সাধারনত শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে অ্যামাইলয়ড নামক তরল পদার্থ জমার কারণে অ্যামাইলয়ডোসিস হয়ে থাকে। এই তরল পদার্থ অস্থি মজ্জায় উৎপন্ন হয় এবং এই প্রোটিন যে কোনো টিস্যু অথবা অঙ্গে জমাট বাঁধে। অ্যামাইলয়ডোসিসের কারণগুলো এই রোগের ধরণের উপর নির্ভর করে। এই সমস্যাটি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।
যেমন:

🩸 ইমুনোগ্লোবুলিন লাইট চেইন (AL) অ্যামাইলয়ডোসিসের কারণে হৃৎপিন্ড, কিডনি, ত্বক, নার্ভ/স্নায়ু এবং লিভারে সমস্যা দেখা দেয়। পূর্বে এই রোগটি প্রাইমারি অ্যামাইলয়ডোসিস নামে পরিচিত ছিল।

🩸 অস্থি মজ্জায় অস্বাভাবিক অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হওয়ার ফলে এই রোগটি হয়ে থাকে। এই অ্যান্টিবডি গুলো আপনার শরীরের বিভিন্ন টিস্যুতে অ্যামাইলয়ডের মত জমা হতে থাকে। যার ফলে শরীরের
স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হয়।
অ্যামাইলয়ডোসিসের কারণে সাধারনত কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয়। তবে এই রোগের ফলে মাঝে মাঝে পরিপাকনালী, লিভার অথবা হৃৎপিন্ডে সমস্যা দেখা দিতে পারে। পূর্বে এই রোগটি সেকেন্ডারি অ্যামাইলয়ডোসিস নামে পরিচিত ছিল। এই রোগটি ক্রনিক ইনফেকশন অথবা ইনফ্লামেটরি ডিজিজ , যেমন: রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস অথবা ইনফ্লামেটরি বাওয়েল ডিজিজের কারণে
হয়ে থাকে।

অ্যামাইলয়ডোসিস

🩸বংশগত কারণে ফ্যামিলিয়াল অ্যামাইলয়ডোসিস হয়। এই রোগটির কারণে লিভার, নার্ভ/স্নায়ু, হৃৎপিন্ড এবং কিডনিতে সমস্যার সৃষ্টি হয়। এই রোগটি নির্দিষ্ট কিছু অ্যামাইলয়ড (ট্রান্সথাইরেটিন অ্যামাইলয়ড) এর কারনে দেখা দেয়। এই অ্যামাইলয়ডের কারণে স্নায়ুতন্ত্র অথবা হৃৎপিন্ডে সমস্যার সৃষ্টি হয়।
রক্তের প্রোটিন শরীরের বিভিন্ন সংযুক্ত স্থান এবং টেনডনে জমা হওয়ার ফলে ডায়ালিসিস অ্যামাইলয়ডোসিসের দেখা দেয়। এই রোগের ফলে শরীরে ব্যথা হয়, টানটান ভাব অনুভূত হয়,
সংযুক্ত স্থানে তরল পদার্থ জমা হয় এবং কারপাল টানেল সিনড্রোম হয়ে থাকে। যারা দীর্ঘদিন ধরে ডায়ালিসিস নেন তারা এই রোগে আক্রান্ত হন।

🇨🇭 অ্যামাইলয়ডোসিস এর লক্ষণ:

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:

  • 🩸 শ্বাসকষ্ট ( Shortness Of Breath.)
  • 🩸 অবসাদ ( Fatigue.)
  • 🩸উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তা ( Anxiety And Nervousness.)
  • 🩸 বুকে ভার অনুভব করা ( Congestion In Chest.)
  • 🩸 জ্বর ( Fever.)
  • 🩸 দুর্বলতা ( Weakness.)
  • 🩸অস্বাভাবিক ত্বক ( Abnormal Appearing Skin.)
  • 🩸 কব্জিতে দুর্বল অনুভব করা ( Wrist Weakness.)
  • 🩸চোখে চাপ অনুভব করা ( Eye Strain.)
  • 🩸 গরম ও ঠাণ্ডা অনুভব করা ( Feeling Hot And Cold.)
আরো পড়ুনঃ  অ্যাকিউট অটাইটিস মিডিয়া | Acute Otitis Media | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 Amyloidosis এর ঝুঁকি:

যে কোনো ব্যক্তিরই অ্যামাইলয়ডোসিস হতে পারে। যে সকল কারণে এই রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় সে সকল কারণগুলো নিম্নে বর্ণনা করা হলো:
যাদের বয়স 50 বছর অথবা 50 বছরের বেশি সাধারনত তাদের এএল অ্যামাইলয়ডোসিস বেশি হয়ে থাকে। যদিও এই সমস্যাটি ব্যক্তির 50 বছর বয়সের আগেই শুরু হয়। পুরুষদের এই রোগ হওয়ার ঝুকি বেশি।
ক্রনিক ইনফেকশন অথবা ইনফ্লামেটরি ডিজিজের কারণে এএল অ্যামাইলয়ডোসিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। কিছু কিছু অ্যামাইলয়ডোসিস বংশগত কারণে হয়ে থাকে। ডায়ালিসিসের মাধ্যমে সবসময় রক্তের অতিরিক্ত প্রোটিন অপসারণ বা দূর করা যায় না। ডায়ালিসিস করার সময় আপনার রক্তে অস্বাভাবিকভাবে প্রোটিন উৎপন্ন হয় এবং ধীরে ধীরে এই প্রোটিন টিস্যুতে জমা হতে থাকে। তবে আধুনিক ডায়ালিসিস পদ্ধতিতে এই ধরনের সমস্যা কম দেখা যায়।

অ্যামাইলয়ডোসিস

🇨🇭 যারা Amyloidosis এর ঝুঁকির মধ্যে আছে:

🛑লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা 01 গুণ কম। মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

🛑 জাতি: শেতাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা 2 গুণ কম, হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা 44 গুণ
কম এবং অন্যান্য জাতির মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

🛑Q. কোন ধরনের খাবার খাওয়ার মাধ্যমে অ্যামাইলয়ডোসিস- Amyloidosis প্রতিরোধ করা সম্ভব?

উত্তর: অ্যামাইলয়ডোসিস-Amyloidosis, প্রতিরোধে নির্দিষ্ট কোনো খাবার নেয়। যেহেতু এই রোগটি মূত্রাশয় অথবা কিডনি সম্পৃক্ত সেহেতু এমন ধরনের খাবার খেতে হবে যে সমস্ত খাবারে প্রোটিন,সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস এবং তরলের পরিমান কম থাকে। হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা ভিন্ন ধরনের হয় এবং এই রোগ নিরামের ক্ষেত্রে ব্যয়াম গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখে।

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( D. H. M. S )
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

ডা.মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!