অণ্ডকোষের ৩টি রোগ | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

অণ্ডকোষের ৩টি রোগ | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 পুরুষদেহের অন্যতম সংবেদী অঙ্গ অণ্ডকোষ ও অণ্ডথলি। এটি প্রজননতন্ত্রেরও গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শুক্রাণু ও টেস্টোস্টেরন হরমোন এখান থেকে উৎপাদিত হয়। গোপন এই অঙ্গের নানা রোগ ও উপসর্গ নিয়ে আমরা একদিকে যেমন উদাসীন থাকি, তেমনি সমস্যা হলে গোপনও রাখি। অন্যান্য রোগের মতো সাধারণ আলাপচারিতায় এই প্রসঙ্গগুলো আসে না। ফলে রোগ যখন জটিল আকার ধারণ করে, তখন রোগীর ভোগান্তি ও স্বাস্থ্যঝুঁকি মারাত্মক হয়ে যায়।

🇨🇭 ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগে পুরুষের অণ্ডকোষ দুটি বিকাশজনিত কারণে সাধারণত পেটের ভেতরে থাকে। মাতৃগর্ভে থাকাকালীন ষষ্ঠ থেকে নবম মাসের মধ্যে এগুলো আস্তে আস্তে অণ্ডথলিতে নেমে আসে। যদি জন্মের পরও এগুলো অণ্ডথলিতে না নামে, তখন সমস্যাটিকে ( আনডিসেনডেড টেসটিস ) বা ( ইনকমপ্লিট ডিসেনডেড টেসটিস ) বলা হয়। শল্য চিকিৎসকরা এমন সমস্যায় আক্রান্ত অণ্ডকোষের নানা রকম রোগী দেখে থাকেন। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ 3টি রোগ :

🇨🇭 টরশন অব টেসটিস: এ রোগে অণ্ডকোষ জোড়া অণ্ডথলির ভেতর এমনভাবে পেঁচিয়ে থাকে যে, অনেক সময় অণ্ডকোষের রক্তপ্রবাহ আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সাধারণত 10 থেকে 25 বছর বয়সী পুরুষদের এ রোগটি হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তাপমাত্রার উত্থান-পতন, আঘাত, যৌনক্রিয়া, পেটের মাংসপেশির অকস্মাৎ সংকোচন, ভারী ওজন দ্রুত তোলা, অনিয়ন্ত্রিত খেলাধুলা ইত্যাদি কারণে এমন সমস্যা হতে পারে।

অণ্ডকোষের ৩টি রোগ | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🩸 লক্ষণ বা উপসর্গগুলোর মধ্যে তলপেট, কুঁচকি এবং অণ্ডথলিতে আকস্মিক অসহনীয় ব্যথা এবং অণ্ডথলি লাল হয়ে ফুলে যাওয়া উল্লেখযোগ্য। রোগ নির্ণয়ের জন্য রক্তপ্রবাহের মাত্রা বা অনুপস্থিতির পরীক্ষা করাতে হয়।

🩸 অতি দ্রুত এ সমস্যার চিকিৎসা। দেরি বা গাফিলতি করলে সার্জারি করে আক্রান্ত অণ্ডকোষ চিরতরে কেটে ফেলার প্রয়োজন হতে পারে। তবে দ্রুত ও সময়মতো চিকিৎসা করলে অণ্ডকোষ কাটার প্রয়োজন পড়ে না।

🇨🇭 অণ্ডকোষের প্রদাহ বা অ্যাকিউট এপিডিডাইমো- অর্কাইটিস:

কিশোর ও তরুণদের এই রোগটি বেশি হয়। অণ্ডকোষের এক ধরনের সংক্রমণের কারণে এ সমস্যা হয়ে থাকে। স্বাভাবিক একটি রোগ হলেও এর কারণ সম্পর্কে আমরা অবগত নই। চিকিৎসা না নিলে অণ্ডথলিতে অ্যাবসেস, অণ্ডকোষ ছোট হয়ে যাওয়া, এমনকি প্রজনন ক্ষমতাও বিনষ্ট হতে পারে।

🩸 অণ্ডকোষের প্রদাহের প্রধানতম কারণের মধ্যে আছে মূত্রনালির সংক্রমণ ও প্রোস্টেট সংক্রমণ। এ ছাড়া মানসিক আঘাত, যক্ষ্মা, পুরুষ ব্রুসেলোসিস সংক্রমিত হওয়ার ফলেও এ রোগ হয়ে থাকে। ইউরেথ্রাল ইনস্ট্রুমেনটেশনের কারণে এই রোগ হতে পারে। দীর্ঘদিনের মূত্রনালির সংক্রমণ থেকেও এ রোগ হতে পারে। অনেক সময় টিবি বা মাম্পস রোগ থেকেও অর্কাইটিস হয়।

🩸 এ রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে অণ্ডকোষসহ তলপেটে ব্যথা হতে পারে। প্রস্রাবের সময়ও তীব্র ব্যথা হতে পারে। কখনো কখনো কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসতে পারে। আবার কখনো অণ্ডথলি ফুলে যেতে পারে এবং বমি বমি ভাব হতে পারে। চিকিৎসার জন্য দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। কারণ সংক্রমণ থেকে জটিলতা আরও বাড়তে পারে। সুনির্দিষ্ট ওষুধ সেবন করলে সাধারণত সেরে যায়। সচরাচর এই রোগে সার্জারি বা অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয় না। অনেকের বারবার এ রোগটি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আল্ট্রাসনোগ্রামসহ আরও কিছু পরীক্ষা করে রোগের কারণ খুঁজে বের করতে হবে।

অণ্ডকোষের ৩টি রোগ | ডাঃ মাসুদ হোসেন।
আরো পড়ুনঃ  হোমিও চিকিৎসায় ভেরিকোসিল ভাল হয়?

🇨🇭 হাইড্রোসিল: অণ্ডথলির একটি স্তরের মধ্যে অস্বাভাবিক পরিমাণে অভ্যন্তরীণ তরল উপাদান বা সেরাস ফ্লুইড জমা হলে সমস্যাটাকে হাইড্রোসিল বলা হয়।

  • 🩸 02 ধরনের হাইড্রোসিল হয়: প্রাইমারি হাইড্রোসিল ও সেকেন্ডারি হাইড্রোসিল। প্রাইমারি হাইড্রোসিল কোনো কারণ ছাড়াই হতে পারে, আবার জন্মগত সমস্যাও হিসেবেও থাকতে পারে। ছোট-বড় সবারই হাইড্রোসিল হতে পারে, যদিও তাদের চিকিৎসা পদ্ধতিতে ভিন্নতা রয়েছে।
  • 🩸 প্রাইমারি হাইড্রোসিল চারটি কারণে হতে পারে: 01. পেটের সঙ্গে অণ্ডথলির কানেকশন ( যা জন্মের বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা ) বন্ধ না হলে বা নতুন করে সৃষ্টি হলে, 02. অতিরিক্ত পরিমাণে ফ্লুইড নিঃসরণ হলে, 03. ফ্লুইড শোষণের মাত্রা কমে গেলে এবং 04. অণ্ডথলির লিমফ্যাটিক ড্রেনেজ সিস্টেমে কোনো সমস্যা দেখা দিলে।
  • 🩸 এ রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে অণ্ডথলি ধীরে ধীরে তরলপূর্ণ হয়ে ফুলে বিশাল আকার ধারণ করে। মাঝে মাঝে এতই বড় হবে যে সে সময় অণ্ডকোষের উপস্থিতি পর্যন্ত আড়াল হয়ে যায়। পরবর্তী অবস্থায় অণ্ডথলিতে ব্যথা শুরু হয়।
  • 🩸 একজন চিকিৎসক শুধু রোগীকে শারীরিক পরীক্ষা করেই বলে দিতে পারেন যে রোগীর হাইড্রোসিল হয়েছে।

🇨🇭 সুতরাং অণ্ডকোষ ও অণ্ডথলির রোগ নিয়ে উদাসীনতা না দেখিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে অনেক বড় বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব।

🇨🇭 হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়। একজন হোমিও ডাক্তারের/ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। সাইড ইফেক্ট নেই এমন হোমিওপ্যাথি ঔষধ কাজে লাগাবেন। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য পরবর্তী ধাপগুলো অর্থাৎ- যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থতা অর্জন করতে পারবেন। হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় Homeo হোমিও ওষুধ খান।

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

Homeopathic Doctor BD,হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা,হোমিও চিকিৎসা,যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ,ডাঃ মাসুদ হোসেন,dr. masud hossain,homeo, হোমিও

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!