🇨🇭 প্রলেকটিন হরমোন ( Prolactin Hormone ) কেন বাড়ে?
🇨🇭 কপাল ও চোখের পেছনে আমাদের মস্তিষ্কের ভেতর ছোট্ট একটা গ্রন্থি আছে। নাম- পিটুইটারি। আমাদের মাস্টারগ্ল্যান্ড, মানে হরেক রকম হরমোন নি:সরণের চাবিকাঠি আছে এতে। এই গ্রন্থি থেকে আরও নানা রকম হরমোনের মতো নি:সৃত হয় প্রলেকটিন হরমোনও, যা সন্তান জন্মের পর বুকের দুধ তৈরি ও নি:সরণের জন্য দরকার হয়। নতুন মায়েদের রক্তে এই প্রলেকটিন হরমোনের মাত্রা বেশি থাকে। তাই বুকের দুধ পান করানো মায়েদের মাসিক বন্ধ থাকে বেশ কিছুদিন। এটাকে প্রাকৃতিক জন্মনিয়ন্ত্রণও বলে। কারণ, এ সময় মেয়েদের মাসিক হয় না, ডিম্বস্ফুটনও হয় না। ফলে আবার সন্তান ধারণের সম্ভাবনা কম থাকে।
🇨🇭 কিন্তু কিছু কারণে বুকের দুধ পান করানো মা ছাড়াও কোনো মেয়ের যদি প্রলেকটিন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়, তবে দেখা দেয় বিপত্তি। সে ক্ষেত্রে সেই মেয়ের মাসিক বন্ধ বা অনিয়মিত হয়ে যেতে পারে, ডিম্বস্ফুটন বন্ধ হওয়ার কারণে বন্ধ্যত্ব দেখা দিতে পারে, স্তনে টনটনে ব্যথা হতে পারে, এমনকি নতুন মায়েদের মতো দুধ বা তরল নিঃসৃত হতে পারে।
🇨🇭 প্রলেকটিন হরমোন বেড়ে যাওয়ার একটি অন্যতম কারণ হলো নানা ধরনের ওষুধ সেবন। অল্প বয়সী তরুণী, কিশোরীদের যেকোনো ওষুধ সেবনের আগে তাই যুক্তিযুক্ত কারণ থাকতে হবে। কারণ, সাধারণভাবে ব্যবহৃত অনেক ওষুধই প্রলেকটিন হরমোন বাড়িয়ে দিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে।
🇨🇭 সাধারণ গ্যাস্ট্রিক বা বমির ওষুধ ডমপেরিডন থেকে শুরু করে ঘুমের ওষুধ, বিষণ্নতার ওষুধ, মানসিক রোগের বেশ কিছু ওষুধ, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ ভেরাপামিল, কখনো কখনো জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়িও প্রলেকটিন হরমোনের ( Prolactin Hormone ) মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে মাসিক অনিয়মিত হয়ে পড়তে পারে বা স্তন থেকে তরল নি:সৃত হতে পারে। যদি ওষুধটি বন্ধ বা পরিবর্তন করা সম্ভব না হয় ( যেমন: অ্যান্টিসাইকোটিক ), তাহলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
🇨🇭 ওষুধ ছাড়া আর যে কারণে প্রলেকটিন হরমোন ( Prolactin Hormone ) বাড়ে, তার মধ্যে অন্যতম হলো পিটুইটারি গ্রন্থির টিউমার প্রলেকটিনোমা।
🇨🇭 পিটুইটারির – MRI, করে এটি শনাক্ত করা হয়। সাধারণ প্রলেকটিনোমা ওষুধেই চিকিৎসা করা যায়। টিউমার অনেক বড় হয়ে গেলে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হতে পারে। এ ছাড়া মানসিক চাপ, অতিরিক্ত ব্যায়াম, থাইরয়েডের সমস্যা ইত্যাদি কারণেও এই হরমোন বাড়তে পারে।
🇨🇭 প্রলেকটিন হরমোনের অসামঞ্জস্য নারীর অনিয়মিত মাসিক ও বন্ধ্যত্বের অন্যতম কারণ। অনিয়মিত বা বন্ধ থাকা মাসিকের ক্ষেত্রে আপনি কী কী ওষুধ সেবন করেন, অথবা গত কয়েক মাসে সেবন করেছেন, তা অবশ্যই চিকিৎসককে অবহিত করতে হবে। আমাদের দেশে ডমপেরিডন, এমিট্রিপটাইলিন, কুইটাপিন, জাতীয় ওষুধ অনেকে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই দোকান থেকে কিনে না বুঝেই খেতে থাকেন।
🇨🇭 পুরুষদের প্রলেকটিন হরমোন বাড়লে বন্ধ্যত্ব, শুক্রাণু গঠনে সমস্যা, যৌন মিলনে অপারগতা, স্তন থেকে তরল নি:সরণ ইত্যাদি উপসর্গ হতে পারে।
🇨🇭 প্রোলাক্টিন হরমোন ( Prolactin Hormone ) বাড়লে যেসব সমস্যা হয়:
🇨🇭 হরমোন বা প্রাণরস হচ্ছে আমাদের শরীর থেকে নি:সৃত এক ধরনের রস বা রাসায়নিক পদার্থ। এটি শরীরের এক জায়গা থেকে নি:সৃত হয়ে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং কাজ করে। আমাদের শরীরে অনেক ধরনের হরমোন আছে, এর মধ্যে একটি হলো প্রোলাক্টিন হরমোন, যা পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে নি:সৃত হয়।
🇨🇭 প্রোলাক্টিন হরমোনের ( Prolactin Hormone ) কাজ:
- 🩸 মেয়েদের স্তন গঠনে ভূমিকা রাখে।
- 🩸 স্তনে দুধ উৎপন্ন হতে সহায়তা করে।
- 🩸 স্নায়ুতন্ত্রের ওপরও এর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব আছে।
- 🩸 রক্তে প্রোলাক্টিন হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে একে বলা হয় হাইপারপ্রোলাক্টিনেমিয়া।
- 🩸01- শতাংশ মানুষ এতে আক্রান্ত হয়।
- 🩸 প্রোলাক্টিন হরমোন বেড়ে যাওয়ার কারণ।
- 🩸 প্রোলাক্টিনোমা নামক পিটুইটারি টিউমার।
- 🩸 কিছু ওষুধ খাওয়ার জন্য।
- 🩸 কিছু রোগের জন্য যেমন: থাইরয়েডের সমস্যা, কিডনি রোগ, পিসিওএস, হার্পিস ভাইরাস ইনফেকশন থাকলে।
- 🩸 গর্ভাবস্থায় এবং বাচ্চা বুকের দুধ খেলে এই হরমোন বাড়তে পারে।
🇨🇭 নারীদের ক্ষেত্রে যেসব লক্ষণ দেখা যায়:
- 🩸 মাসিক অনিয়মিত হওয়া অথবা মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া।
- 🩸 গর্ভাবস্থা ছাড়াও স্তন দিয়ে দুধের মতো পদার্থ বের হওয়া।
- 🩸 মুখে অবাঞ্ছিত লোম ও ব্রণ হওয়া।
- 🩸 সহবাসের সময় ব্যথা।
🇨🇭 পুরুষের ক্ষেত্রে যেসব লক্ষণ দেখা যায়:
- 🩸 ইরেক্টাইল ডিসফাংশন বা পুরুষাঙ্গ শক্ত কম হওয়া।
- 🩸 স্তন মেয়েদের মতো বড় হয়ে যাওয়া বা গাইনিকোম্যাসিয়া।
- 🩸 স্তনে ব্যথা।
🇨🇭 পুরুষ-নারী উভয়ের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা হয়:
- 🩸 ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যত্ব।
- 🩸 হাড় ক্ষয় বা অস্টিওপরোসিস।
- 🩸 যৌন ইচ্ছা বা আগ্রহ কমে যাওয়া।
🇨🇭 পিটিউটারি টিউমার থাকলে:
- 🩸 চোখে দেখতে সমস্যা হওয়া।
- 🩸 মাথা ব্যথা।
- 🩸 পিটুইটারির অন্য হরমোন উৎপাদন কমে যাওয়া।
🇨🇭 ওপরের লক্ষণগুলো থাকলে আপনি একজন হরমোন বিশেষজ্ঞ বা এন্ডোক্রাইনোলজিস্টের পরামর্শ নিন। সেরাম প্রোলাক্টিন ( Serum Prolactin ) নামক রক্তের একটি পরীক্ষার মাধ্যমে এটি নির্ণয় করা যায়।
🇨🇭 কারো প্রোলাক্টিন হরমোন ( Prolactin Hormone ) বেশি থাকলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। যথাযথ কারণ নির্ণয় করে এটি সহজেই ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা করা যায়। অনেক সময় ওষুধও লাগে না, যে কারণে হচ্ছে সেটা শনাক্ত করলেই চলে। যেমন কোনো ওষুধের কারণে হলে সেটি বন্ধ করলেই এটি ঠিক হয়ে যায়।
🇨🇭 প্রলেকটিন হরমোন ( Prolactin Hormone ) বাড়ার কারণ ও প্রতিকার:
🩸 প্রলেকটিন হরমোন বাড়ার কারণ ও প্রতিকার
আমাদের মস্তিষ্কের ভেতরে অর্থাৎ কপাল ও চোখের পেছনে ছোট্ট একটি গ্রন্থি রয়েছে। এর নাম পিটুইটারি। আমাদের মাস্টারগ্ল্যান্ড, মানে হরেক রকম হরমোন নি:সরণের চাবিকাঠি আছে এই গ্রন্থিতে। এ গ্রন্থি থেকে আরও নানা রকম হরমোনের মতো নিঃসৃত হয় প্রলেকটিন হরমোনও, যা সন্তান জন্মের পর বুকের দুধ তৈরি ও নি:সরণের জন্য দরকার হয়ে পড়ে। নতুন মায়েদের রক্তে এ প্রলেকটিন হরমোনের মাত্রা সবসময় অনেক বেশি থাকে। তাই বুকের দুধ পান করানো মায়েদের মাসিক বন্ধ থাকে বেশ কিছুদিন। এটিকে প্রাকৃতিক জন্মনিয়ন্ত্রণ বলেও অভিহিত করা যায়। কারণ এই সময় নারীদের মাসিক হয় না, ডিম্বস্ফুটনও হয় না। ফলে এই সময়ে নতুন করে সন্তান ধারণের সম্ভাবনাও একদম কম থাকে।
🇨🇭 কিন্তু কিছু কারণে বুকের দুধ পান করানো মা ছাড়াও কোনো নারীর যদি প্রলেকটিন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়, তবে তখনই বাধে বিপত্তি। সে ক্ষেত্রে সেই নারীর মাসিক বন্ধ বা অনিয়মিত হয়ে যেতে পারে। ডিম্বস্ফুটন বন্ধ হওয়ার কারণে বন্ধ্যত্বও দেখা দিতে পারে। স্তনে টনটনে ব্যথা হতে পারে, এমনকি নতুন মায়েদের মতো দুধ বা তরলও নি:সৃত হতে পারে।
🇨🇭 প্রলেকটিন হরমোন ( Prolactin Hormone ) বেড়ে যাওয়ার কারণ:
🩸 প্রলেকটিন হরমোন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো নানা ধরনের ওষুধ সেবন। অল্প বয়সী তরুণী বা কিশোরীদের যে কোনো ওষুধ সেবনের আগে তাই যুক্তিযুক্ত কারণ থাকতে হবে। কারণ সাধারণভাবে ব্যবহৃত অনেক ওষুধই প্রলেকটিন হরমোন বাড়িয়ে দিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে।
🩸 সাধারণ গ্যাস্ট্রিক বা বমির ওষুধ (ডমপেরিডন) থেকে শুরু করে ঘুমের ওষুধ, বিষন্নতার ওষুধ, মানসিক রোগের বেশ কিছু ওষুধ, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ ( ভেরাপামিল ), কখনো কখনো জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়িও প্রলেকটিন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে মাসিক অনিয়মিত হয়ে পড়তে পারে বা স্তন থেকে তরল নি:সৃত হতে পারে। যদি ওষুধটি বন্ধ বা পরিবর্তন করা সম্ভব না হয় ( যেমন- অ্যান্টিসাইকোটিক ), তা হলে রোগীর উচিত হবে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
🇨🇭 ওষুধ ছাড়া আরও যেসব কারণে প্রলেকটিন হরমোন বাড়ে, তার মধ্যে অন্যতম হলো পিটুইটারি গ্রন্থির টিউমার প্রলেকটিনোমা। পিটুইটারির MRI, করে এটি শনাক্ত করা হয়। সাধারণ প্রলেকটিনোমা ওষুধেই চিকিৎসা করা যায়। টিউমার অনেক বড় হয়ে গেলে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে। এ ছাড়া মানসিক চাপ, অতিরিক্ত ব্যায়াম, থাইরয়েডের সমস্যা ইত্যাদি কারণেও এই হরমোন বেড়ে যেতে পারে।
🇨🇭 প্রলেকটিন হরমোনের অসামঞ্জস্য নারীর অনিয়মিত মাসিক ও বন্ধ্যত্বের অন্যতম কারণ। অনিয়মিত বা বন্ধ থাকা মাসিকের ক্ষেত্রে আপনি কী কী ওষুধ সেবন করেন অথবা গত কয়েক মাসে সেবন করেছেন, তা অবশ্যই চিকিৎসককে অবহিত করতে হবে।
🇨🇭 আমাদের দেশে ডমপেরিডন, এমিট্রিপটাইলিন, কুইটাপিন জাতীয় ওষুধ অনেকে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই না বুঝে নিজে নিজে দোকান থেকে কিনে খেতে থাকেন, যা মোটেও উচিত নয়। পুরুষদের প্রলেকটিন হরমোন বাড়লে বন্ধ্যত্ব, শুক্রাণু গঠনে সমস্যা, যৌনমিলনে অপারগতা, স্তন থেকে তরল নি:সরণ ইত্যাদি উপসর্গ হতে পারে। উপসর্গ দেখা দিলেই দেরি না করে সতর্ক হোন বা চিকিৎসকের পরামর্শও নিতে পারেন।
🇨🇭 হরমোনের মাত্রায় গড়বড় হলেই বিপদ, সতর্ক হবেন কীভাবে?
🇨🇭 হরমোন শরীরের সবচেয়ে কার্যকর কেমিক্যাল। একটু এদিক-ওদিক হলেই নানারকম সমস্যায় পড়তে হয়। অধিকাংশ মহিলার ভোগান্তি এই নিয়েই। হরমোনের গতিবিধি ঠিক রাখবেন কী ভাবে?
🇨🇭 সমস্ত অসুখের কিছু না কিছু লক্ষ্মণ আগাম প্রকাশ পায়। তারপর কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বের হয়। আবার কোনও ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় লক্ষণই প্রকাশ পায় না। তেমনই একটি অন্যতম সমস্যা হরমোনাল ইমব্যালান্স বা শরীরে হরমোনের অসামঞ্জস্য। যেক্ষেত্রে সবচেয়ে ভুক্তভোগী মহিলারাই। পুরুষদের হলেও তা অনেক কম। শরীরে হরমোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যার একটু এদিক-ওদিক হলেই নানা রকমের অসুখ প্রকাশ পায়।
🇨🇭 ধরুন একটা কেক তৈরি করবেন। সেই কেকের উপাদান সামগ্রীর কম-বেশি হলে সেই কেকটার মান কী ভাল হবে? স্বাদ ভাল হবে? না। তেমনই শরীরে হরমোনের হেরফের হলেও শারীরিক সামগ্রিক কাজকর্মও নানা রকমভাবে বিপর্যস্ত হয়। হরমোন হল শরীরের অন্যতম কেমিক্যাল ম্যাসেনজার। যা এন্ডোক্রাইন গ্ল্যান্ডে উৎপন্ন হয়। এই শক্তিশালী কেমিক্যাল আমাদের রক্তের মাধ্যমে সারা শরীরে ছড়িয়ে গিয়ে শরীরের কলা ও বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কীভাবে কাজ করবে সে ব্যাপারে নির্দেশ পাঠায়। প্রজনন ক্রিয়া সম্পন্ন করতে হরমোনের ভূমিকা অনবদ্ধ। বয়সজনিত কারণে হরমোনের সমস্যা অস্বাভাবিক কিছু নয় কিন্তু কম বয়সে এই ধরনের সমস্যার কারণ এন্ডোক্রিন গ্ল্যান্ডের সমস্যা।
🇨🇭 অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইট্রোজেন ও এন্ড্রোজেন-এর মাত্রা বেড়ে সমস্যা শুরু হয়।
সাধারণত মেয়েদের রিপ্রোডাকটিভ এজ গ্রুপে এই অসামঞ্জস্য দেখা যায়। 12 থেকে 45-50 বছর বয়সের মধ্যে এই অসুবিধা হয়। যার দরুন PCOS ( পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম ) হয়।
🇨🇭 এছাড়া হতে পারে থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা। এই হরমোনের কম বা বেশি সবেতেই অসুবিধা।
প্রোল্যাক্টিন হরমোন এর সমস্যা মহিলাদের খুবই হয়। এই হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলেই বিপদ। সাধারণ পিটুইটারি গ্ল্যান্ডে টিউমার হলে, দীর্ঘদিন অম্বল গ্যাসের ওষুধ অনবরত খেলে, সাইকিয়াট্রিক ওষুধ খেলে, মানসিক চাপ থেকে এই হরমোনের মাত্রা বাড়তে পারে।
এই ধরনের সমস্যাগুলো ওষুধ দিয়ে নির্মূল করা না গেলেও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ টেস্টোস্টেরন হরমোন | Male Sex Hormone Testosterone | ডাঃ মাসুদ হোসেন।
🇨🇭 Hormonal Problem কেন হয়?
🇨🇭 শরীরে একাধিক হরমোন রয়েছে। তাদের কাজও ভিন্ন ভিন্ন। কোন ধরনের হরমোনের সমস্যা তার সঙ্গে নির্ভর করবে কী অসুখ হবে। বিভিন্ন কারণে হতে পারে হরমোনের সমস্যা?
হরমোন থেরাপি, কোনও অসুখে ওষুধ দীর্ঘসময় খেলে, ক্যানসার বা কেমোথেরাপি নিলে,
শরীরে কোনও টিউমার দেখা দিলে, পিটুইটারি টিউমার, উপযুক্ত খাদ্যাভ্যাসের অভাব বা খেতে না পারলে, মানসিক চাপ, কোনও আঘাত বা ট্রমা।
সমস্যা এক, যা ডেকে আনে অন্য সমস্যা – হরমোনাল ইমব্যালান্স ( Hormonal Imbalance ) হলে তার ফলে একাধিক অসুখ হতে পারে।
🇨🇭 টাইপ 01 ও 02 – ডায়াবেটিস হাইপোথাইরয়েডিজম বা হাইপার থাইরয়েডিজম, হাইপোগনাডিজম,
কাসিং সিনড্রোম বা শরীরে কর্টিজলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া।
কনজিনেটাল অ্যাড্রিনালিন হাইপারপ্লাসিয়া, এক্ষেত্রে কর্টিজল হরমোনের মাত্রা কমে যায়।
প্রজননে সাহায্যকারী হরমোনের অসামঞ্জস্যে পিসিওএস, প্রিম্যাচিওর মেনোপজ, সন্তানধারণে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
🇨🇭 আল্ট্রাসনোগ্রাফি, প্রয়োজনীয় হরমোন টেস্ট করে কোন হরমোনের সমস্যা ও কোন রোগ রয়েছে তা নির্ণয় করে সেই মতো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। এন্ডোক্রিনোলজিস্ট, অন্ত:ক্ষরা গ্রন্থি বিশেষজ্ঞ, পরামর্শ নিতে হবে। তবে কোনও সমস্যা না থাকলে নিজে থেকে হরমোন টেস্ট বা আল্ট্রাসাউন্ড করা উচিত নয়।
🇨🇭 ওজন বাড়তে দেওয়া যাবে না। সুষম খাদ্য খেতে হবে, নিয়মিত এক্সারসাইজ করতে হবে।
মানসিক চাপ কম নিতে হবে।
আর হরমোনাল ইমব্যালান্স সন্দেহ হলে উপযুক্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
🇨🇭 পুরুষদের মধ্যে প্রোল্যাক্টিন- প্রোল্যাকটিন কি?
🇨🇭 প্রোল্যাক্টিন পিটুইটারি গ্রন্থি দ্বারা নি:সৃত একটি হরমোন। এটি অণ্ডকোষকে উদ্দীপিত করে টেস্টোস্টেরন নি:সরণের জন্য দায়ী। প্রায়ই পুরুষদের মধ্যে প্রোল্যাক্টিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং জটিলতাগুলি পুরুষ দেহের কার্যকারিতার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
🇨🇭 কিভাবে ( Prolactin Hormone ) পুরুষ শরীর প্রভাবিত করে?
🇨🇭 প্রোল্যাকটিন কি?
প্রোল্যাক্টিন একটি হরমোন যা নারী এবং পুরুষ উভয়ের দ্বারা উত্পাদিত হয়। পুরুষদের মধ্যে, এটি টেস্টোস্টেরন নি:সরণ করতে অণ্ডকোষকে উদ্দীপিত করে, এবং এটি ইমিউন সিস্টেমের কাজের জন্যও দায়ী, স্ট্রেসের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরোধ নির্ধারণ করে এবং পুরুষদের মধ্যে যৌন ক্রিয়াকলাপের জন্য দায়ী।
🇨🇭 চিকিত্সকদের মতে, PRL – এর স্বাভাবিক ঘনত্ব মহিলাদের মধ্যে 20 এনজি / ml. এবং পুরুষদের মধ্যে 15 এনজি / ml – এর চেয়ে কম। এই স্তরটি ওঠানামা করতে পারে যেমন মানসিক চাপ বা খাবারের পরে। পুরুষ প্রোল্যাক্টিন ( Prolactin Hormone ) খুব কম হলে, ইরেকশন এবং বীর্যপাতের সমস্যা হতে পারে। কম প্রোল্যাক্টিনের সাথে, শুক্রাণুর গুণমানও খারাপ হয় এবং অ্যান্ড্রোজেনের মাত্রা হ্রাস পায়। পুরুষদের মধ্যে অত্যধিক উচ্চ মাত্রার প্রোল্যাক্টিনের ক্ষেত্রে ( হাইপারপ্রোল্যাক্টিনেমিয়া – Hyper Prolactimea ), এটি নেতিবাচকভাবে লিবিডোকে প্রভাবিত করতে পারে এবং অন্যান্য বিভিন্ন ব্যাধি যেমন- গাইনোকোমাস্টিয়া বা অস্টিওপোরোসিসের বিকাশ ঘটাতে পারে।
🇨🇭 পুরুষদের মধ্যে উচ্চ প্রোল্যাক্টিন – Hyper Prolactin কারণ কি?
🇨🇭 পুরুষদের মধ্যে প্রোল্যাক্টিনের অত্যধিক মাত্রা দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ বা শারীরিক আঘাত বা হরমোন, হাইপোথাইরয়েডিজম বা পিটুইটারি গ্রন্থির টিউমার, কিডনি বা লিভারের ব্যর্থতা বাড়ায় এমন ওষুধের ব্যবহার হতে পারে। হাইপারপ্রোল্যাক্টিনেমিয়া ডোপামিন সংশ্লেষণ কমিয়ে দেয় এমন ওষুধ ব্যবহারের কারণে ঘটে। এই ওষুধগুলি বিপাক বৃদ্ধি করে এবং ডোপামিন সংশ্লেষণকে ব্লক করে। পুরুষদের মধ্যে প্রোল্যাক্টিন বৃদ্ধির আরেকটি কারণ হল হাইপোথাইরয়েডিজম, এই রোগের সময়, আরও THR এবং প্রোল্যাক্টিন নি:সৃত হয়। পরবর্তী কারণ হল হাইপোথ্যালামাসের ক্ষতি, অর্থাৎ রক্তক্ষরণ, ট্রমা, ক্যান্সার, হাইপোথ্যালামাসে অস্ত্রোপচার এবং হাইপোথ্যালামাস প্রোল্যাকটিন নি:সরণকে স্বাভাবিক করে এমন শীর্ষ হরমোনের সঠিক ক্ষরণের জন্য দায়ী। পুরুষদের মধ্যে প্রোল্যাক্টিন বৃদ্ধির কারণগুলির মধ্যে একটি প্রোল্যাক্টিন টিউমার, অর্থাৎ একটি সৌম্য পিটুইটারি টিউমারের উপস্থিতি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। প্রায়ই এটি একটি ক্ষত যা ব্যাস 01 সেন্টিমিটারের বেশি নয়।
🇨🇭 পুরুষদের মধ্যে প্রোল্যাক্টিন বৃদ্ধির – লক্ষণ:
🇨🇭 পুরুষদের মধ্যে প্রোল্যাক্টিনের বর্ধিত পরিমাণের সাথে সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
- 🩸 মাথা ব্যথা।
- 🩸 বিষন্ন ভাব।
- 🩸 বিষণ্ণ অবস্থা।
- 🩸 অবিরাম ক্লান্তি।
- 🩸 ঝাপসা দৃষ্টি।
- 🩸 ওজন হ্রাস এবং চর্বি পরিমাণ বৃদ্ধি।
- 🩸 টেস্টিকুলার হাইপোট্রফি।
- 🩸 বীর্য এবং পুরুষত্বহীনতা রোগে শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাস সম্পর্কিত বন্ধ্যাত্ব।
- 🩸 ইমারত সমস্যা।
- 🩸 লিবিডো হ্রাস।
- 🩸 উর্বরতা ব্যাধি- ( অলিগোস্পার্মিয়া, শুক্রাণুর গতিশীলতা হ্রাস, বীর্যপাতের পরিমাণ হ্রাস )।
🇨🇭 পুরুষদের মধ্যে প্রোল্যাক্টিন বৃদ্ধির চিকিত্সা:
🇨🇭 পুরুষদের মধ্যে খুব বেশি প্রোল্যাক্টিনের চিকিত্সা তার বিকাশের কারণের উপর নির্ভর করে। যদি পুরুষদের মধ্যে প্রোল্যাক্টিনের বর্ধিত মাত্রা হাইপোথাইরয়েডিজম এবং রেনাল বা হেপাটিক অপ্রতুলতার সাথে যুক্ত হয়, তবে এর জন্য ওষুধ সহ কার্যকারণ চিকিত্সা প্রয়োজন।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( D. H. M. S )
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801302-743871
( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।
☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।
☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।