টেস্টোস্টেরন হরমোন | Male Sex Hormone Testosterone

টেস্টোস্টেরন হরমোন | Male Sex Hormone Testosterone | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 আজকে কথা বলব ছেলেদের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরন হরমোনের প্রভাব নিয়ে।

🩸 এ হরমোনের গুরুত্ব কী ? এ হরমোন কমলে বা বাড়লে কী হয় ? কী কী খেলে এ হরমোন বৃদ্ধি করা যায় ?

🇨🇭 পুরুষদের হরমনাল বিষয়ে নিয়ে কথা বলতে গেলে যে বিষয়টি প্রায়ই উঠে আসে তা হলো টেস্টোস্টেরন( Testosterone ) হরমোন।

🩸 তবে, টেস্টোস্টেরন পুরুষত্বের জন্য দায়ী প্রধান স্টেরয়েড হরমোন হলেও স্তন্যপায়ী প্রাণীর ক্ষেত্রে পুরুষের শুক্রাশয় ও নারীর ডিম্বাশয় থেকে উৎপন্ন হয়- Testosterone , হরমোন।

🩸 পুরুষদের মাঝে টেস্টোস্টেরন বিপাক হার নারীদের তুলনায় 20 গুণ বেশি। তাই একে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা- পুরুষদের হরমোন ( Male Sex Hormone Testosterone ) বলেই বিবেচনা করে থাকি।

🩸 টেস্টোস্টেরন শব্দটি মূলত টেস্টিস ( শুক্রাশয় ) ও স্টেরন ( স্টেরয়েড কিটোন ) নামক দুটি শব্দের সন্ধি। তাই বলা যায়, টেস্টোস্টেরন – Male Sex Hormone Testosterone, শব্দের অর্থ হলো শুক্রাশয় নিসৃত কিটোনবিশিষ্ট স্টেরয়েড হরমোন।

🩸 Testosterone – হরমোনটি মূলত ছেলেদের সেকেন্ডারি সেক্সচুয়াল ক্যারেক্টারিস্টিকের জন্য দায়ী থাকে।

🇨🇭 টেস্টোস্টেরনের – Testosterone, গুরুত্ব:

🩸 অনেক গুরুত্ব থাকলেও, কিছু বিশেষ বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে টেস্টোস্টেরন হরমোনের। চলুন জেনে নেই এর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবগুলো:

  • ♥ বয়:সন্ধিকালে ছেলেদের টেস্টিস ও জননাঙ্গের সুষম বিকাশে সহায়তা করে এ হরমোন।
    পুরুষালি কণ্ঠস্বর গঠনে পুরুষদের স্বরযন্ত্রকে পরিবর্তিত করতে সহায়তা করে এ টেস্টোস্টেরন হরমোন।
  • ♥ পুরুষদের গোঁফ, দাড়ি ও অন্যান্য শ্রোণিদেশে চুল গজানোতেও এই হরমোনের ভূমিকা আছে।
  • ♥ এ হরমোন হাড়ের গঠনে সহায়তা করে ও হাড়কে মজবুত করে।
  • ♥ দৈহিক মিলনের ইচ্ছা তৈরিতে এ হরমোনের প্রত্যক্ষ অবদান আছে।
  • ♥ এর আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো পুরুষদের শুক্রাণু তৈরি করা।
  • ♥ এর পাশাপাশি এ হরমোন পেশির গঠনে সাহায্য করে।
  • ♥ একই সঙ্গে এ হরমোন নারীদের জন্য একই রকমভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তবে ছেলেদের মতো যেহেতু মেয়েদের টেস্টিস নেই, তাই এক্ষেত্রে এ হরমোন তৈরি হয় ওভারি ও এড্রেনাল গ্রন্থিতে।
টেস্টোস্টেরন হরমোন | Male Sex Hormone Testosterone

🇨🇭 টেস্টোস্টেরন – Testosterone , কমলে কি হয়?

♥ পুরুষদের এ হরমোনের তারতম্যের কারণে অনেক সময় পুরুষের শারীরিক মিলনের ক্ষমতা কম বা বেশি হয়।

♥ পুরুষত্বের জন্য দায়ী এ হরমোনের মাত্রা পুরুষদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে কমতে থাকে। টেস্টোস্টেরন – Testosterone, শরীরে কমে যাওয়ার কারণে পুরুষদের অ্যান্ড্রোপজ হয়।

♥ পুরুষদের ক্ষেত্রে এ হরমোন কখনই একবারে কমে যায় না। এ হরমোন ধীরে ধীরে কমে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে। এ হরমোন কমলে শুধু যে পুরুষত্ব কমে এমন না। বরং পুরুষেরা নিজেদের অনেক বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ফেলেন এ হরমোন কমার কারণে।

🇨🇭 Testosterone হরমোন কমলে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে?

  • ♥ টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমলে পুরুষদের আচরণে পরিবর্তন আসে। এ ক্ষেত্রে পুরুষেরা সব সময় বিমর্ষ থাকেন।
  • ♥ পুরুষের যৌনসঙ্গম ক্ষমতা ও শুক্রানু উৎপাদনের পরিমাণ কমে যায় এ হরমোনের মাত্রা শরীরে কমে গেলে। টেস্টোস্টেরন – Testosterone হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে গেলে যৌনক্ষমতা পাশাপাশি যৌনসসঙ্গমের আগ্রহও কমে যায়।
  • ♥ টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি হলে পুরুষদের ক্ষেত্রে লিঙ্গের দৃঢ়তা ধরে রাখার সমস্যা ( ইরেক্টাইল ডিসফাংশন – ED ) দেখা দেয়।
  • ♥ নাইট্রিক অক্সাইড সরবরাহের মাধ্যমে লিঙ্গের দৃঢ়তা ধরে রাখে টেস্টোস্টেরন হরমোন। এ সমস্যা দেখা দিলে ধরে নিতে হবে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি হয়েছে।
    টেস্টোস্টেরন কমে যাওয়ার ফলে অল্প কাজেই ক্লান্তি চলে আসে সহজে। সারাদিন কর্মব্যস্ত থাকায় অবসাদ আসা স্বাভাবিক কিন্তু কাজ ছাড়াও যেসব পুরুষের অবসাদ আসে তাদের টেস্টোস্টেরনের অভাব আছে বলে জানাচ্ছে বিভিন্ন গবেষণা।
  • ♥ টেস্টোস্টেরন Testosterone হরমোনের মাত্রা কমতে থাকলে পুরুষদের মাথায় টাকের প্যাটার্নে চুল পড়তে থাকে।
  • ♥ পুরুষদের অন্ডোকোষ স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট মনে হলে সাধারণত তা টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি জনিত কারণে হয়ে থাকে।
  • ♥ তবে এমন সমস্যা হলে দ্রুত হরমোন টেস্ট করা ও ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
  • ♥ পুরুষদের ক্ষেত্রে বীর্য হলো শুক্রাণু বহনকারী তরল। যদি লক্ষ্য করা যায় যে, বীর্যের পরিমাণ ও ঘনত্ব হঠাৎ করেই কমতে শুরু করেছে তবে তা টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি থেকে হতে পারে। এ ক্ষেত্রেও সমস্যা হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া জরুরি।
  • ♥ টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি হলে রক্তের পরিমান কমে গিয়ে রক্তসল্পতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যার ফলে রক্তচাপ কমে যায় পুরুষদের শরীরে।
  • ♥ এ ছাড়াও এ হরমোনের অভাবে প্রতিনিয়ত অস্বস্তিবোধ করা, হাড় সংযোগস্থলে ব্যথা অনুভব করা, পেশীর ঘনত্ব কমে যাওয়া, হাড়ের সমস্যা, মনোযোগের অভাব, স্তনের আকার বৃদ্ধি পাওয়া ও ঘুমের সমস্যার মতো আরও অনেক সমস্যা দেখা দেয়।

🇨🇭 টেস্টোস্টেরন কমে যাওয়ার কারণ:

🇨🇭 টেস্টোস্টেরন Testosterone হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়ার বিশেষ কিছু কারণ থাকে। চলুন জেনে নেই কী কী কারণে এ হরমোন কমে যেতে পারে?

♥ অণ্ডকোষের সংক্রমণ ক্যান্সারের জন্য কেমোথেরাপি বিপাকীয় ব্যাধি যেমন- শরীরে আয়রনের পরিমাণ বেড়ে গেলে, পিটুইটারি গ্রন্থির কর্মহীনতা বা টিউমার, তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান, যকৃতের পচন রোগ, HIV /এইডস, প্রোল্যাক্টিন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি, হঠাৎ স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজন হ্রাস, অনিয়ন্ত্রিত মাত্রায় টাইপ-2 ডায়াবেটিস, আদর্শ খাবার গ্রহণ না করা, অতিরিক্ত পড়পড়াশুনা বা অনলাইন আসক্তির জন্য অলস সময় পার করা, জন্মগত ত্রুটি, এ ছাড়াও আরও অনেক কারণে পুরুষদের এ হরমোন কমে যায়।

🇨🇭 টেস্টোস্টেরন Testosterone- বাড়লে কী হয়?

♥ এ হরমোন কমে গেলে যেমন বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়, তেমনি এ হরমোন বেড়ে গেলেও পরতে হয় বিপদে। চলুন এক নজরে দেখে নেই এ হরমোন বেড়ে গেলে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে?

  • ♥ Testosterone হরমোন বেড়ে গেলে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায়, শুক্রাশয় শুকিয়ে যায় ও যৌন অক্ষমতা বেড়ে যায়।
  • ♥ টেস্টোস্টেরন হরমোন বেড়ে গেলে হৃদযন্ত্রের পেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
  • ♥ পুরুষদের প্রোস্টেট অস্বাভাবিক হারে বাড়ে যায় ও প্রস্রাবের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • ♥ Testosterone হরমোন বেড়ে গেলে যকৃতের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • ♥ Testosterone হরমোন বেড়ে যাওয়ার ফলে পায়ে পানি জমা ও পা ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • ♥ হঠাৎ ওজন বেড়ে যেতে পারে।
    উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায় এ হরমোন বৃদ্ধির ফলে।
  • ♥ অনিদ্রা ও মাথাব্যথা বেড়ে যায়।
  • ♥ কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্রে খাটো হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।
  • ♥ অনেক সময় আচরণগত বিভিন্ন ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়।

🇨🇭 পুরুষদের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরন হরমোনের স্বাভাবিক মাত্রা 300 থেকে 1000 ন্যানোগ্রাম প্রতি ডেসিলিটার।

টেস্টোস্টেরন হরমোন | Male Sex Hormone Testosterone

🇨🇭 টেস্টোস্টেরন Testosterone , হরমোন ভারসাম্য রক্ষায় কী কী খাবার খেলে তা সঠিক মাত্রায় থাকবে?

  • ♥ খেতে হবে প্রোটিন জাতীয় খাদ্য। তেল জাতীয় মাছ, মাংস, ডিম, দুধ হাইপ্রোটিনের উৎস। দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় রাখুন এসব খাবার। এতে আপনার শরীরের হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে।
  • ♥ ডাল ও সয়াবিন জাতীয় খাবার যোগ করতে পারেন খাদ্যতালিকায়। বিভিন্ন গবেষণা জানায়, এরা টেস্টোস্টেরন হরমোনের স্বাভাবিক মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
  • ♥ যে কোনো বাদামে থাকে লিনোলেইক অ্যাসিড ও স্বাস্থ্যকর চর্বি। তাই এটি শরীরের হরমোন নি:সরণ বাড়িয়ে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। কাঠবাদাম, আমন্ড, আখরোট বা অন্য যে কোনো বাদাম আপনার সাস্থের জন্যে খুবই উপকারী।
  • ♥ ফলমূল হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। তাই খাদ্যতালিকায় যোগ করতে পারেন হাই ফাইবারযুক্ত যেকোনো ফল। যেমন : আপেল, কলা, ডালিম, আঙুর ইত্যাদি।
  • ♥ প্রতিদিনের খাবারে শাকসবজি থাকলে অনেক রোগ থেকেই মুক্তি পাওয়া যায়। গাজর, বীট, ব্রকোলি, পালংশাক, মিষ্টি আলু, টমেটোর মতো সবজি হরমোনের ব্যালেন্সে সাহায্য করে। তাই রোজ এসব শাসবজি খেতে পারেন আপনিও।
  • ♥ হরমোনের ব্যালেন্সের ক্ষেত্রে চা খুব উপকারী। তবে দুধ চা নয়, এক্ষেত্রে আপনাকে খেতে হবে হার্বাল টি।
  • ♥ ঘরে তৈরি ঘি বা বাটারে থাকে ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে-2, যা হরমোনের ব্যালেন্সে সাহায্য করে। তাই ঘরে তৈরি ঘি বা বাটার যোগ করে সহজেই ভারসাম্য রক্ষা করতে পারেন আপনার বিভিন্ন হরমোনের।
  • ♥ এছাড়া মধু, আদা, বাঁধাকপি, রসুন, টক জাতীয় ফল, ঝিনুক আপনার টেস্টোস্টেরন হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে বিশেষ ভাবে সহায়তা করে।
  • ♥ আপনার উন্নতি হোক বা শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, এ ক্ষেত্রে ডায়েট ও ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই খাবারের পাশাপাশি অভ্যাস করেন দৈনিক ব্যায়ামের। এর পাশাপাশি স্ট্রেস কমানো, ভিটামিন ডি ভারসাম্যে রাখা, নিয়মিত 07 থেকে 08 ঘণ্টা ঘুমানোও আপনার শরীরের টেস্টোস্টেরন Testosterone, হরমোনের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

🇨🇭 টেস্টাটেরন Testosterone হরমোনের অভাবে পুরুষের কী হয়?

🇨🇭 টেস্টাটেরন হরমোনের অভাবে পুরুষের যা হয়:
পুরুষত্বের স্থায়িত্ব কে না চায়? হরমোনের তারতম্যের কারণে অনেক সময় পুরুষের গোপন ক্ষমতা কম বেশি হয়।

♥ পুরুষত্বের জন্য দায়ী মূল হরমোন হচ্ছে টেস্টোস্টেরন। পুরুষদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমতে থাকে। টেস্টোস্টেরন শরীরে কমে যাওয়ার কারণে অ্যান্ড্রোপজ হয়।

🇨🇭 টেস্টোস্টেরন Testosterone – হরমোন কমে গেলে পুরুষদের যেসব সমস্যা দেখা দেয় সে বিষয়ে বিস্তারিত:

  • ♥ পুরুষদের বেলায় পুরুষত্বের জন্য দায়ী হরমোনের মাত্রা হঠাৎ কমে যায় না। কিন্তু ধীরে ধীরে এর মাত্রা কমতে থাকে এবং এই পরিবর্তন কয়েক বছর ধরে চলে।
  • ♥ একপর্যায়ে পুরুষত্বের অনেক বৈশিষ্ট্য হারিয়ে যায়। অধিকাংশ চিকিৎসা বিজ্ঞানীই পুরুষত্বের বৈশিষ্ট্যসমূহ লোপ পাওয়াকে অ্যান্ড্রোপজ বলে থাকেন।
  • ♥ টেস্টোস্টেরন Testosterone হরমোনের অভাবে পুরুষের যৌন চাহিদা, মানসিক শক্তি ইত্যাদি ক্রমশ পরিবর্তিত হতে থাকে।
  • ♥ গড়ে 30 বছর বয়স হওয়ার পরে এর মাত্রা প্রতিবছর 01% করে কমে, সাধারণত 70 বছর বয়স্ক পুরুষের শরীরে এর মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অর্ধেক কমে যায়। কারও কারও এ মাত্রা আরও কমে যেতে পারে।
টেস্টোস্টেরন হরমোন | Male Sex Hormone Testosterone
টেস্টোস্টেরন হরমোন | Male Sex Hormone Testosterone | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

♥ টেস্টোস্টেরন Testosterone, হরমোনের মাত্রা কমে গেলে নানা রকম লক্ষণ, উপসর্গ দেখা যায়। যেমন:

  • 🩸 পুরুষের স্বাভাবিক যৌনাচরণের পরিবর্তন। অনেকের অণ্ডকোষ দুটি আকারে-আকৃতিতে ছোট হয়ে যায় এবং যৌন দুর্বলতা দেখা দেয়।
  • 🩸 মানসিক পরিবর্তন : কর্মস্পৃহা অনেক কমে যায়। কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলার পাশাপাশি অনেকে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। যৌবনের যে উৎসাহ-উদ্দীপনা, মনের জোর, সব জয় করার এক উদগ্র বাসনা; টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ কমার ফলে তা কোথায় যেন উবে যায়।
  • 🩸 অনেকে কোনো কাজে একভাবে মন:সংযোগ করতে পারেন না, স্মৃতিশক্তি ক্ষীণ হয়ে আসে, এমনকি অনেকে বিভিন্ন মাত্রার বিষণ্ণতায় ভুগতে পারেন।
  • 🩸 অনেক সময় অন্যান্য শারীরিক অসুখ যেমন: থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা, বিষণ্ণতা রোগ, অতিরিক্ত মদ্যপান ইত্যাদি কিংবা ওষুধ সেবনের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হিসাবেও এ রকম হতে পারে। সুতরাং একজন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যুক্তিসঙ্গত।
  • 🩸 পুরুষের পরিণত বয়সে টেস্টোস্টেরন কমে যাওয়ার ফলে পুরুষত্বের ইতি বা অ্যান্ড্রোপজও কোনো অসুখ নয়। এটি জীবনের একটি পরিবর্তিত ধাপ বা পর্যায় মাত্র। এটাকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিয়ে জীবনের এই নতুন পর্যায়টিকে উপভোগ করা এবং আনন্দমুখর করে তোলা লক্ষ্য হওয়া উচিত। শেষ বয়সে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় পুনরায় টেস্টোস্টেরন তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

♥ তবে কতগুলো বিষয় খেয়াল রাখা উপকারী!

♥ চিকিৎসকের সঙ্গে এ বিষয়ে সরাসরি কথা বলা উত্তম। সমস্যাগুলো যদি বয়স বাড়ার কারণে না হয়ে অন্য কোনো অসুখ-বিসুখ কিংবা ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার কারণে হয়, তাহলে তার সমাধান করা যেতে পারে।

♥ জীবনাচরণ সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। যেমন: স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম ও শরীর চর্চা করা ইত্যাদি। সুস্থ জীবনাচরণ শারীরিক শক্তি ও মানসিক উদ্দীপনা বৃদ্ধির জন্য সহায়ক।

♥ বিষণ্ণতার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

♥ টেস্টোস্টেরনের Testosterone মাত্রা কমে গেলে পুরুষের কর্মস্পৃহা, মানসিক উৎসাহ-উদ্দীপনা হ্রাস পায়। বিষণ্ণতার কারণে অনেকের মেজাজ খিট খিটে হয়ে যায়, নি:সঙ্গ থাকতে পছন্দ করেন এবং সামাজিক কর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। অনেক সময় মাত্রাতিরিক্ত কাজ করার প্রবণতা, অতিরিক্ত নেশা করা কিংবা বিপজ্জনক কাজকর্ম করাও বিষণ্ণতার কারণে হতে পারে।

♥ টেস্টোস্টেরন প্রতিস্থাপন চিকিৎসায় অনেকে উপকৃত হয়ে থাকেন। তবে এর কার্যকারিতা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ  FSH ও LH হরমোন কি ও এর টেস্ট? | ডাঃ মাসুদ হোসেন।
🇨🇭 নারীদেহে পুরুষ হরমোন Testosterone , বেশি হলে কী সমস্যা হয়?

♥ নারীদেহে এন্ড্রোজেনের বা পুরুষ যৌন হরমোন আধিক্যের কারণে যে সমস্যা দেখা দেয় সেটিকে পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম বলা হয়ে থাকে। বালিকা ও নারীদের প্রজননক্ষম সময়ে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। বাংলাদেশে এ রোগের হার 25 শতাংশের কাছাকাছি হবে বলে ধরে নেওয়া হয়।

🇨🇭 এ বিষয়ে বিস্তারিত: পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমের প্রভাবে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে থাকে।
যেমন:

  • 🩸 অনিয়মিত মাসিক।
  • 🩸 অতিরিক্ত রক্তস্রাব।
  • 🩸 মুখে ও শরীরে অত্যধিক লোম (পুরুষালি)।
  • 🩸 ব্রণ মুখে ও শরীরের অন্যান্য অংশে।

🇨🇭 আরও কিছু শারীরিক সমস্যা থাকতে পারে: তলপেটে ব্যথা, মকমলের মতো কালো ত্বক (ঘাড়, বগল ইত্যাদি জায়গায়), বন্ধ্যত্ব। রোগীদের টাইপ-2 ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এদের অনেকেই দৈহিক স্থূ’লতায় আক্রান্ত হয়, নাকডাকা ও ঘুমের সময় হঠাৎ করে শ্বাস বন্ধ হওয়া, হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া, মানসিক ভারসাম্যহীনতা ও জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে।

🇨🇭 জিনগত ত্রুটি আছে এমন কিশোরীর দৈহিক ওজন বৃদ্ধি পাওয়া, খুব কম শারীরিক শ্রম সম্পাদন করা ও ঝুঁকিপূর্ণ খাবার খাওয়া ইত্যাদি এ রোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমে ডিম্বাশয় অতিরিক্ত পরিমাণে টেস্টোস্টেরন হরমোন তৈরি করতে উদ্দীপ্ত হয়।

🇨🇭 যার পেছনে পিটুইটারি গ্রন্থির অতিরিক্ত- ( LH ) নি:স্বরণ ও দেহে ইনসুলিন রেজিস্ট্রেন্সের উপস্থিতিই কারণ।

🇨🇭 পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম নাম হওয়ার প্রধান কারণ হল ডিম্বাশয়ে বিভিন্ন বয়সি, বিভিন্ন আকারের, বিভিন্ন সংখ্যার সিস্ট থাকবে।

🇨🇭 রোগ শনাক্তকরণ:

নিম্নলিখিত ক্রাইটেরিয়ার যে কোনো দুটির উপস্থিতি আবশ্যক:

  • ♥ নারীদেহে অতিরিক্ত এন্ড্রোজেন হরমোন উপস্থিতি।
  • ♥ অনিয়মিত ঋতুস্রাব।
  • ♥ ডিম্বাশয়ে সিস্ট।
  • 🇨🇭 পরীক্ষা-নিরীক্ষা:
  • ♥ সিরাম টেস্টোস্টেরন, এলিস, এফএসএইচ।
  • ♥ পেটের আল্ট্রাসনোগ্রাম।
  • ♥ ওজিটিটি।

🇨🇭 জীবনযাত্রা ব্যবস্থাপনা: চিকিৎসার শুরুতেই খাদ্য ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দিতে হবে। রোগীর দৈহিক ওজন কাক্সিক্ষত মাত্রায় পৌঁছতে সাহায্য করবে, বিপাকীয় প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটাবে যাতে করে ইনসুলিন রেজিস্ট্রেন্স কমে যাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। আদর্শ জীবনযাপন ব্যবস্থাপনা রোগীর হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমাবে।

🩸 এ রোগীদের খাদ্য তালিকায় শর্করার আধিক্য কম থাকবে, শাকসবজি ( আলু বাদে ), রঙিন ফল-মূল ও আমিষজাতীয় খাদ্য প্রাধান্য পাবে।

🩸 দৈহিক ওজন বা BMI – বিবেচনায় রেখে শারীরিক শ্রমের ব্যবস্থা করতে হবে।

🩸 পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমে আক্রান্ত নারীদের অধিকাংশই এ সমস্যার শারীরিক লক্ষণগুলো খুব দ্রুত বুঝতে পারেন না। কেউ কেউ লক্ষণগুলো বুঝতে পারলেও সংকোচ বোধের কারণে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে দেরি করেন। যেহেতু রোগটির ব্যাপকতা ও সুদূরপ্রসারী স্বাস্থ্য ঝুঁকি আছে, তাই প্রজননক্ষম বয়সের সব নারীকে তার এ সমস্যা আছে কিনা জানার জন্য বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।

শিশু ছেলেদের যৌনাঙ্গের রোগ | ডাঃ মাসুদ হোসেন।
শিশু ছেলেদের যৌনাঙ্গের রোগ | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( D. H. M. S )
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!