আমাদের দেহে বিভিন্ন অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে হরমোন নিঃসৃত হয় । এরপর তা রক্ত ও লসিকার মাধ্যমে পরিবাহিত হয়ে দেহের বিভিন্ন বিপাকীয় ক্রিয়া-কলাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
🚨 প্রধান প্রধান হরমোনগুলো হলো –
১! থাইরক্সিন
২! ইস্ট্রোজেন
৩! প্রোজেস্টেরন
৪! টেস্টোস্টেরন
🚨এইসব হরমোনের ক্ষরণ স্বাভাবিকের চেয়ে কম বা বেশি হলে দেহে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ফলে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়।
🚨 মহিলাদের দেহে সৃষ্ট সমস্যা :
- 🛑অনিয়মিত মাসিক
- 🛑 ব্রণ
- 🛑 মুখমন্ডলে চুল গজানো
- 🛑বন্ধ্যাত্ব
- 🛑 প্রিমিনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম
- 🛑 মেনোপজাল সিনড্রোম, ইত্যাদি

🚨পুরুষদের দেহে সৃষ্ট সমস্যা :
- 🛑 উত্থানের সমস্যা
- 🛑 বন্ধ্যাত্ব
- 🛑যৌন দুর্বলতা
- 🛑স্তন বড় হওয়া (Gynecomastia)
- 🛑 বিষন্নতা
- 🛑 পেশীর শক্তি হ্রাস
- 🛑 হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া
- 🛑 চুল পড়ে যাওয়া
- 🛑 শারীরিক শক্তি কমে যাওয়া , ইত্যাদি
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় দেহে হরমোনের বিশৃংখলা দূর হয় । এর জন্য প্রচুর সংখ্যক মানসম্মত ঔষধ রয়েছে।
যেমন – Acid phos
- Agnus cast
- caladium
- calcarea carb
- Cistus can
- conium
- Ignatia
- Iodium
- Lachesis
- Lycopodium
- Natrum mure
- Nuphar luteum
- Pulsatilla
- Selenium
- Sepia ইত্যাদি।
যোগ্য অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক রোগীর মানসিক, সার্বদৈহিক ও আঙ্গিক লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে তার জন্য সঠিক ঔষধ নির্বাচন করে সূক্ষ্মমাত্রায় প্রয়োগ করেন। তখন হরমোন গ্রন্থি গুলো যথাযথ পরিমাণে হরমোন নিঃসরণ করে। দেহে হরমোনের ভারসাম্য ফিরে আসে। ফলে হরমোনের বিশৃংখলায় উৎপন্ন সমস্যাগুলোরও সমাধান হয়ে যায়।

🛑Gynecomastia or Enlarged breast in men: হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
🛑চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়
🛑 গাইনেকোমাস্টিয়াঃ পুরুষের লজ্জাজনক সমস্যা:
🇨🇭গাইনেকোমাস্টিয়া হলো পুরুষের অস্বাভাবিক স্তন বৃদ্ধি । গ্রিক শব্দথেকে গাইনেকোমাস্টিয়া শব্দটি এসেছে । ‘গাইনি’ শব্দের অর্থ ‘মহিলা’ এবং ‘মাস্টোস’ শব্দের অর্থ স্তন। অস্বাভাবিক স্তন বৃদ্ধি নবজাতক, বয়ঃসন্ধিকালে ও বৃদ্ধবয়সে শরীরবৃত্তীয় কারণে হতে পারে। বয়ঃসন্ধি কালে অনেক ছেলেদের এ অবস্থা হতে পারে , তবে অনেক ছেলের স্তনের বৃদ্ধি দু’বছরের মধ্যে ছোট হয় বা মিলিয়ে যায়।
🇨🇭গাইনেকোমাস্টিয়া হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে পুরুষের শক্ত স্তন টিস্যু গঠিত হয়। এই স্তন টিস্যু সাধারণত দেড় ইঞ্চির ছোট হয় এবং সরাসরি এটা স্তনবৃত্তের নিচে অবস্থান করে। গাইনেকোমাস্টিয়া এক পাশে বা দু’পাশেই হতে পারে। এ অবস্থা স্তনে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
আরো পড়ুনঃ নারী ও পুরুষের যৌন অনীহার হোমিও চিকিৎসা:
কারন কি ?
সাধারণভাবে সেক্স হরমোনের বৈষম্যকে এর জন্য দায়ী করা হয়।
স্তন টিস্যুর বৃদ্ধির কারণেও স্তন বড় হতে পারে। অনেক সময় স্তনে অতিরিক্ত চর্বি জমলে স্তন বড় দেখায়, তবে এটা গাইনেকোমাস্টিয়া
শারীরবৃত্তীয় গাইনেকোমাস্টিয়া নবজাতক, বয়ঃসন্ধিকালে বা বয়ঃসন্ধিকালের আগে এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে হতে পারে।
অনেক গাইনেকোমাস্টিয়ার কারণ অজানা, অর্থাৎ এদের নির্দিষ্ট কারণ জানা যায় না। ২৫% ক্ষেত্রে গাইনেকোমাস্টিয়ার কারণ জানা যায় নি।
হরমোনসহ বিভিন্ন ওষুধ গ্রহণ, সিরাম ইন্ট্রোজেনের বৃদ্ধি
টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন কমে যাওয়া
অ্যানড্রোজেন রিসেপ্টরের ত্রুটি
দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ
দীর্ঘস্থায় লিভারের রোগ, লিভার সিরোসিস অসুখে গাইনেকোমাস্টিয়া হতে পারে।
এইচআইভি এবং অন্যান্য দীর্ঘ মেয়াদি রোগ।

স্পাইনাল কর্ডে আঘাতের কারণে এবং দীর্ঘদিন অভুক থাকার পর খাওয়ার পরে গাইনেকোমাস্টিয়া হতে পারে।
বয়ঃসন্ধিকালের পরবর্তী পুরুষদের বিভিন্ন এলোপ্যাথিক ওষুধ ১০-২০% ক্ষেত্রে গাইনেকোমাস্টিয়া ঘটায়। এসব ওষুদের মধ্যে রয়েছে সিমেটিডিন, ওমিপ্রাজল, স্পাইরোনোল্যঅকটন, ইমাটিনিব মিসাইলেট, ফিনাস্টেরাইড এবং কিছু নির্দিষ্ট অ্যান্টি সাইকোটিক ওষুধ।
কিছু ওষুধ সরাসরি স্তন টিস্যুর উপর কাজ করে আবার কিছু এলোপ্যাথিক ওষুধ ডোপামিনের কাজ বন্ধ করার মাধ্যমে পিটুইটারি থেকে প্রোলাকটিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। উল্লেখ্য যে, প্রোলাকটিক হলো স্তন তৈরির হরমোন।
শক্তিবৃদ্ধিকারী ফুড সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত অ্যাড্রোসটেনেডিওন ইস্ট্রোজেনের অতিরিক্ত কারযকারিতার মাধ্যমে স্তনের বৃদ্ধি ঘটাতে পারে।
প্রোস্টেট ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত এলোপ্যাথিক ওষুধ যেমন অ্যান্টি অ্যানড্রোজেন এবং ডিএনআরএইচ অ্যানালগগুলো গাইনেকোমাস্টিয়া ঘটাতে পারে।
মারিজুয়ানা গাইনেকোমাস্টিয়া একটি কারণ, অবশ্য এ নিয়ে মতভেদ আছে।
কিছু নির্দিষ্ট অন্ডকোষের টিউমার এবং হাইপারথাইরয়েডিজম রোগে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বেড়ে যায়। কিছু অ্যাড্রেনাল টিউমার অ্যান্ড্রোসটেনেডিওনের মাত্রা বাড়ায়। এই অ্যান্ড্রোসটোনডিওন অ্যারোম্যাটেজ নামক এনজাইম দ্বারা ইস্ট্রোন-এ রূপান্তরিত হয়। এই ইস্ট্রোন হলো ইস্ট্রোজেনের একটি ধরন। অন্যান্য যেসব টিউমার এইচসিজি নিঃসরণ করে, তা ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ বাড়াতে পারে।
মোটা মানুষের গাইনেকোমাস্টিয়ার প্রবণতা থাকে।
পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরনের উৎপাদনের মাত্রা কমে গেলে গাইনেকোমাস্টিয়া হতে পারে। এই টেস্টেস্টেরনের উৎপাদনের মাত্রা কমে যেতে পারে। জন্মগত বা অর্জিত অন্ডকোষের সমস্যার কারণে। হাইপোথ্যালামাস কিংবা পিটুইটারির রোগও টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমাতে পারে। অ্যানাবলিক অ্যান্ড্রোজেনিক স্টেরয়েডের অপব্যবহারও একই প্রভাব ফেলে।
ধারণা করা হয় কিছু তেল বা লোশন তাদের ইস্ট্রোজেন ও অ্যান্টি অ্যান্ড্রোজেন জনিত ক্রিয়াকলাপ বাড়িয়ে দেয়।
চিকিৎসাঃ
উল্ল্যেখিত ওষুধ গ্রহনকরলে , তা বন্ধ করে দেওয়া উচিত ।এলোপ্যাথিক একমাত্র চিকিৎসা হলো অপারেশন ।
হোমিওচিকিৎসায় অপারেশনের ঝুকি এড়ানো যায় । একজন অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ ব্যবহার করলে গাইনেকোমাস্টিয়ার লজ্জা থেকে মুক্তি পাবে ৷
বিঃদ্রঃ যারা দূর-দূরন্তে আছেন কিন্তু সঠিক চিকিৎসা পাননা তাদের জন্য অনলাইনে চিকিৎসা দিয়ে অরিজিনাল ঔষধ হাতে পৌছে দিচ্ছি৷
অনলাইনে সেবা পেতে নিম্নোক্ত নাম্বারে যোগাযোগ করুন ৷
গাইনোকোমেস্টিয়া রোগের হোমিও চিকিৎসা (Homeo Treatment of gynocomestia)
সতর্কতাঃ ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত ওষুধ সেবন করবেন না।
আপনার যদি কোন রকম যৌন বা গুপ্ত সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আমাদের সাথে নির্দ্বিধায় যোগাযোগ করতে পারেন।
ডাঃ মাসুদ হোসেন (বি, এইচ, এম, এস )
(ডি, এইচ, এম, এস)
☎️ 01907-583252
☎️ 01302-743871
[রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন
Govt reg No. 35423 ]