টেস্টোস্টেরন এবং হোমিও চিকিৎসা

টেস্টোস্টেরন এবং হোমিও চিকিৎসা | Testosterone Treatment

লিঙ্গের সাইজ বৃদ্ধিকরন: testosterone Hormone:

টেস্টোস্টেরন পুরুষের কাছে বড় ও মোটা লিঙ্গ অধিক কাম্য। পুরুষেরা নিজের লিঙ্গ নিয়ে অহেতুক হীনমন্যতায় ভোগে। আসলেই কি লিঙ্গের সাইজ বৃদ্ধি করা সম্ভব? পুরুষাঙ্গ একটি মাংসপেশী। অন্যান্য মাংসপেশী যেমন বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় পুরুষাঙ্গ ও তেমনি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। পুরুষাঙ্গ মোটা ও বড় হওয়ার পেছনে একটি জিনিস দায়ী থাকে তা হচ্ছে রক্ত সঞ্চালন। আপনার লিঙ্গে যত বেশি রক্ত সঞ্চালন হবে এটি ততটুকু আকারে বাড়বে। অতিরিক্ত হস্তমৈথুন ও স্ত্রী সহবাস, শরীরে ভিটামিন ও হরমোনজনিত সমস্যা থাকলে ও লিঙ্গের সাইজ ছোট হয়ে যায়। পেনিসের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মোটকথা, লিঙ্গের সাইজ বৃদ্ধি করার জন্য লিঙ্গের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে হবে। বৈজ্ঞানিক ও নিয়মতান্ত্রিক ভাবে ব্যায়াম ও হোমিও ঔষধ সেবনের মাধ্যমে লিঙ্গ বড় ও মোটা করা সম্ভব। আমি আমার রোগীদের হোমিও ঔষধ এর মাধ্যমে লিঙ্গের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে লিঙ্গের সাইজ বৃদ্ধি করার জন্য কার্যকরী পন্থা অবলম্বন করে থাকি।

ইরেকশন একটি নিউরোভাসকুলার প্রক্রিয়া যার জন্য পুরুষাঙ্গে পর্যাপ্ত রক্ত ​​সরবরাহ এবং স্নায়ু সরবরাহ প্রয়োজন। যৌন উত্তেজনার সময়, স্নায়ু সংকেত পাঠায় (আবেগ) যা লিঙ্গে রক্ত ​​প্রবাহ বাড়ায়। এই রক্ত ​​দুটি ফাঁপা প্রকোষ্ঠে জমা হয় যা কর্পোরা ক্যাভেরনোসা নামে পরিচিত এবং লিঙ্গকে প্রসারিত করে এবং শক্ত করে তোলে। পুরুষাঙ্গের রক্ত ​​প্রবাহে বা নার্ভ ইমপুলেসের বাধা যে কোন বাধা erectiledysfunction Premature ejerculation
ইরেকটাইল_ডিসফাংশন হতে পারে।

টেস্টোস্টেরন এবং হোমিও চিকিৎসা

পুরুষ হরমোন testosterone ঘাটতির লক্ষণ ও প্রতিকারে হোমিও চিকিৎস:

কর্ম শক্তি লোপ পাওয়া:
ক্লান্তি বা অবসাদগ্রস্থতা টেস্টোস্টেরন কমে যাওয়ার সাধারণ লক্ষণ। এ ক্ষেত্রে আপনি স্বাভাবিক করমস্প্রিহা হারিয়ে ফেলতে পারেন বা মাত্রাতিরিক্ত অবসাদ অনুভব করতে পারেন। তবে অন্য অনেক কারনও আছে যা আপনার কর্মস্প্লিহা কমিয়ে দিতে পারে, যেমন- বিষণ্ণতা ও বার্ধক্য ।দৈনিক ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম আপনার কর্মস্প্লিহাকে ফিরিয়ে আনতে পারে । তবে অস্বাভাবিক ক্লান্তি অনুভব করলে আপনি হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শ নিন ।

যৌন দুর্বলতা:

যৌন স্প্রিহা হ্রাস পাওয়া এবং যৌন দুর্বলতা টেস্টোস্টেরন কমে যাওয়ার একটি প্রধান লক্ষণ। টেস্টোস্টেরনের অভাবে বীর্য উৎপাদনের পরিমাণও মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে। শুধুমাত্র টেস্টেটেরনের ঘাটতিই যৌন স্প্রিহা হ্রাসের একমাত্র কারন নয়; হৃদরোগ কিংবা ডায়াবেটিসের কারনেও এমনটি হতে পারে। তবে টেস্টেটেরন যৌন আকাঙ্ক্ষা তৈরি, বীর্য উৎপাদনে এবং এগুলোকে সজিব ও সক্রিয় রাখতে ভূমিকা পালন করে। এছাড়া পুরুষাঙ্গের উত্থানেকর্মে প্রধান উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে।

এই হরমোনটি মস্তিষ্কের রিসেপ্টরগুলোকে নাইট্রিক অক্সাইড(nitric oxide)উৎপাদনের জন্য উদ্দীপনা তৈরি করে। নাইট্রিক এসিড হল এক ধরনের অনু, যা পুরুষাঙ্গের উত্থানের জন্য চাপ তৈরি করে। মূলত টেস্টোস্টেরন যৌন আকাঙ্ক্ষা ও যৌনকর্মে প্রধান সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে এবং টেস্টোস্টেরনের বেশি ঘাটতি হলে বীর্য উৎপাদনে মারাত্মক ঘাটতি সহ যৌন আকাঙ্ক্ষা বেশি মাত্রায় কমে যায় এবং উত্থান সমস্যা সহ নানা ধরনের দুর্বলতা দেখা দেয়।

বিশৃঙ্খল বা এলোমেলো চিন্তা ভাবনা:

টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি আপনার মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি কে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে। কখনো এমনটি ঘটতে পারে যে আপনি আপনার দৈনন্দিন কর্মপরিকল্পনা ভুলে যাচ্ছেন কিংবা কাজে পর্যাপ্ত মনোনিবেশ করতে পারছেন না, এগুলো মাত্রাতিরিক্ত টেস্টোস্টেরন ঘাটতির লক্ষণ।

এসব ক্ষেত্রে মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন, কারন মানসিক চাপ আপনার শরীরে টেস্টোস্টেরন নিঃসরণ এর মাত্রা কমিয়ে দেয়। ম্যাডিটেশন বা ধ্যান, যোগব্যায়াম, শারীরিক ব্যায়াম কিংবা ম্যাসেজ আপনার মানসিক চাপ কমাতে এবং টেস্টোস্টেরনের স্বাভাবিক মাত্রা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে ।

মেজাজ পরিবর্তন:

টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি আপনাকে অল্পবিস্তর কিংবা মারাত্নক বিষণ্ণতায় ভোগাতে পারে। আপনার ব্যক্তিত্বের বা স্বভাবগত পরিবর্তন আপনি নিজেই লক্ষ্য করতে পারেন, যেমন কোন কিছুই আপনাকে সুখানুভূতি দেবে না কিংবা যেসব কাজ পূর্বে আপনাকে আনন্দিত করত তা করার ব্যাপারে আপনি মোটেই আগ্রহ অনুভব করবেন না।
তবে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি পূরণ হলেই, কর্মে স্বাভাবিক অনুপ্রেরণা ফেরত আসে ।

মাংসপেশীর পরিবর্তন:

যেহেতু টেস্টোস্টেরন মাংসপেশী বৃদ্ধিতে সহায়তা করে তাই এর ঘাটতি হলে আপনার মাংসপেশির গঠন নষ্ট হতে পারে এবং ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন, এতে আপনার টেস্টোস্টেরনের স্বাভাবিক মাত্রা ফেরত আসবে। তবে এমনভাবে ব্যায়াম করুন যেন আপনার শরীরের পেশীগুলোর একটি বড় অংশ এর অন্তর্ভুক্ত হয়, প্রয়োজনে ভার উত্তোলন এর মতো ব্যায়াম করতে পারেন

টেস্টোস্টেরন এবং হোমিও চিকিৎসা

শরীরে চর্বি বৃদ্ধি:

টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি শুধু মাংসপেশীই কমিয়ে দেয় না, শরীরে চর্বিও বৃদ্ধি করে, কারন খাবার থেকে আপনি যে শক্তির যোগান পান তা যদি মাংসপেশি গঠনে কাজ না করে তবে চর্বি হিসেবে শরীরে জমা হয়।
স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহন করুন এবং ব্যায়াম করুন। ডায়েটিং / ডায়েট কন্ট্রোল করুন, এতে আপনার চর্বি এবং ওজন দুটোই কমবে, তবে চর্বি কমার সাথে সাথে আপনার শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়তে থাকবে যা আপনার পুরনো মাংশপেশী ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।

শরীরে চুল কমে যাওয়া:

টেস্টোস্টেরনের ঘাটতির কারনে আপনার শরীরের বিভিন্ন স্থানে চুল কমে যেতে পারে এমনকি মাথার চুলের ক্ষেত্রে এমনটি ঘটতে পারে।

🇨🇭হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়া:

টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি হাড় ক্ষয়ের সাথে জড়িত।
সবল হাড় ফিরে পেতে ধূমপান ও মদ বর্জন করুন, নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

ঘুমের সমস্যা:

শরীরে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি দেখা দিলে আপনি অনিদ্রা ও অস্থিরতায় ভুগতে পারেন।
এই সমস্যা সমাধানে ঘুমানোর ক্ষেত্রে নিয়মানুবর্তী হওন, সর্বদা একই সময়ে ঘুমাতে যান এবং জেগে ওঠার চেষ্টা করুন, এমনকি ছুটির দিনেও। শয়ন কক্ষ সর্বদা সাচ্ছন্দময়, শান্ত, অন্ধকারাছন্ন রাখুন যেন ঘুমের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়।

আলোচ্য বিষয় টেস্টোস্টেরন হরমোন: testosterone

হরমোন কম বেশি সবার শরীরেই থাকে।তাছাড়া হরমোন বিভিন্ন রকমের হয়।বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারীরা হরমোনজনিত সমস্যায় বেশি ভুগেন।পুরুষের দেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি হরমোন হলো টেস্টোস্টেরন।কিন্তু এই টেস্টোস্টেরন হরমোনের অভাবে নারীদের চাইতে পুরুষরা বেশি ভুগেন।

অন্যান্য হরমোন সম্পর্কে জানা না থাকলেও পুরুষালী হরমোন টেস্টোস্টেরন নাম সম্ভবত সবাই জানেন।চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায়,এই হরমোন তৈরি হয় অণ্ডকোষে এবং এটাই পুরুষের যৌনক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে।

একজন পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়া বা তা তৈরি হওয়া একেবারেই বন্ধ হয়ে যাওয়াটা শারীরিক সমস্যা।এর ফলাফল শুধু যৌনক্ষমতা কমে যাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।সঙ্গে আছে অবসাদ,চুল পড়ে যাওয়া,পেশির ঘনত্ব কমে যাওয়া,বদমেজাজ ইত্যাদি।পাশাপাশি পুরুষদের যৌনতা ও শারীরিক গড়নেও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এই হরমোনের অভাব।

টেস্টোস্টেরন পুরুষত্বের জন্য দায়ী প্রধান স্টেরয়েড হরমোন যা এন্ড্রোজেন গ্রুপের।মানুষ সহ সকল স্তন্যপায়ী,পাখি সরীসৃপ প্রাণীর শুক্রাশয়ে এটি উৎপন্ন হয়।স্তন্যপায়ী প্রাণীর ক্ষেত্রে পুরুষের শুক্রাশয় এবং নারীর ডিম্বাশয় থেকে উৎপন্ন হয়,যদিও স্বল্প পরিমাণ অ্যান্ড্রনাল গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হয়।এটি প্রধান পুরুষ হরমোন যা শুক্রাশয়ের লিডিগ কোষ (Leydig Cell) থেকে উৎপন্ন হয়।

নারীর দেহও এই হরমন উৎপন্ন করে।তবে সেটা খুবই অল্প পরিমাণে।(এ বিষয়ে ২য় পর্বে আলোচনা করবো)

পুরুষের শরীরে এই হরমোন কমে গেলে কী কী লক্ষণ দেখা দেয়ঃ

homeo treatment

বাড়তি ওজনঃ

দেহের বাড়তি ওজনের কারণে টেস্টোস্টেরন হরমোনের অভাব দেখা দেয়।কারণ ফ্যাট সেল তখন টেস্টোস্টেরনকে ইস্ট্রোজেনে রূপান্তর করে।স্থূলকায় মানুষের দেহে এমনিতেই এই হরমোনের ঘাটতি থাকতে পারে।স্বাস্থ্যকর খাবার,নিয়মিত ব্যায়াম ও ওজন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এ অভাব থেকে মুক্তি মিলতে পারে।

অবসাদঃ
দুপুরের খাবারের পর অনেকেরই দুর্বল ভাব চলে আসে।অফিসের টেবিলে প্রায়ই উদ্দীপনা হারিয়ে যায়।যেকোনো উদ্যমী কাজে উৎসাহ মেলে না।বিশেষজ্ঞরা বলছেন,এমন ঘটলে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করানো উচিত।

ঘুমে ব্যাঘাতঃ
যে পুরুষের এই হরমোনের ঘাটতি আছে তার সাধারণত নিয়মিত ঘুম হয় না।এই ঘুম না হওয়া আবার হৃদরোগ,মেজাজ বিগড়ে যাওয়া এবং স্মৃতিশক্তিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

অস্বস্তি ও ব্যথাঃ
এই হরমোনের অভাবে প্রতিনিয়ত অস্বস্তি বোধ হতে পারে।এছাড়া পেশী তার শক্তি হারায় এবং হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা অনভূত হয়।এর প্রভাবে পরবর্তী সময়ে বড় ধরনের আঘাতের সম্মুখীন হয় মানুষ।

হাড়ের সমস্যাঃ
ধারণা করা হয়,এই সমস্যা কেবল নারীদেরই দেখা দেয়।কিন্তু যে পুরুষদের টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যায়,তাদেরও এই রোগে আক্রান্ত হতে দেখা গেছে।কারণ এ হরমোনের অভাবে হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়।

যৌনক্ষমতায় ভাটাঃ
পুরুষের যৌনসসঙ্গমের ক্ষমতা এবং শুক্রানু উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে(টেস্টোস্টেরন)।তাই এর মাত্রা স্বাভাবিকের নিচে নেমে এলে যৌনক্ষমতা মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।পাশাপাশি এই হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে সঙ্গমের আগ্রহও কমে যেতে পারে।

অণ্ডকোষ ছোট হয়ে যাওয়াঃ
স্বাভাবিকের তুলনায় অণ্ডকোষ যদি ছোট মনে হয় তবে হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করানো উচিত।কারণ,টেস্টোস্টেরন অভাবে অণ্ডকোষ এবং পুরুষাঙ্গ দুটোর আকার ছোট হয়ে যেতে পারে।

স্তনের আকার বৃদ্ধিঃ
এ হরমোন কম থাকলে দেহে ইস্ট্রোজেন ও টেস্টোস্টেরনের ভারসাম্য নষ্ট হয়।এতে পুরুষের স্তনের আকার বেড়ে যেতে পারে।

মনোযোগের অভাবঃ
মস্তিষ্ক ঘোলাটে করে দেয় এই হরমোনের অভাব।এতে মনোযোগ নষ্ট হয়।স্মৃতিশক্তিও কমে আসে ধীরে ধীরে।

পুরুষ হরমোন testosterone ঘাটতির লক্ষণ ও প্রতিকারে হোমিও চিকিৎসা:

কর্ম শক্তি লোপ পাওয়া:
ক্লান্তি বা অবসাদগ্রস্থতা টেস্টোস্টেরন কমে যাওয়ার সাধারণ লক্ষণ। এ ক্ষেত্রে আপনি স্বাভাবিক করমস্প্রিহা হারিয়ে ফেলতে পারেন বা মাত্রাতিরিক্ত অবসাদ অনুভব করতে পারেন। তবে অন্য অনেক কারনও আছে যা আপনার কর্মস্প্লিহা কমিয়ে দিতে পারে, যেমন- বিষণ্ণতা ও বার্ধক্য ।দৈনিক ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম আপনার কর্মস্প্লিহাকে ফিরিয়ে আনতে পারে । তবে অস্বাভাবিক ক্লান্তি অনুভব করলে আপনি হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শ নিন ।

যৌন দুর্বলতা
যৌন স্প্রিহা হ্রাস পাওয়া এবং যৌন দুর্বলতা টেস্টোস্টেরন কমে যাওয়ার একটি প্রধান লক্ষণ। টেস্টোস্টেরনের অভাবে বীর্য উৎপাদনের পরিমাণও মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে। শুধুমাত্র টেস্টেটেরনের ঘাটতিই যৌন স্প্রিহা হ্রাসের একমাত্র কারন নয়; হৃদরোগ কিংবা ডায়াবেটিসের কারনেও এমনটি হতে পারে। তবে টেস্টেটেরন যৌন আকাঙ্ক্ষা তৈরি, বীর্য উৎপাদনে এবং এগুলোকে সজিব ও সক্রিয় রাখতে ভূমিকা পালন করে। এছাড়া পুরুষাঙ্গের উত্থানেকর্মে প্রধান উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে।

এই হরমোনটি মস্তিষ্কের রিসেপ্টরগুলোকে নাইট্রিক অক্সাইড(nitric oxide)উৎপাদনের জন্য উদ্দীপনা তৈরি করে। নাইট্রিক এসিড হল এক ধরনের অনু, যা পুরুষাঙ্গের উত্থানের জন্য চাপ তৈরি করে। মূলত টেস্টোস্টেরন যৌন আকাঙ্ক্ষা ও যৌনকর্মে প্রধান সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে এবং টেস্টোস্টেরনের বেশি ঘাটতি হলে বীর্য উৎপাদনে মারাত্মক ঘাটতি সহ যৌন আকাঙ্ক্ষা বেশি মাত্রায় কমে যায় এবং উত্থান সমস্যা সহ নানা ধরনের দুর্বলতা দেখা দেয়।

আরো পড়ুনঃ   লিভার হেম্যানজিওমা এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।

বিশৃঙ্খল বা এলোমেলো চিন্তা ভাবনা
টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি আপনার মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি কে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে। কখনো এমনটি ঘটতে পারে যে আপনি আপনার দৈনন্দিন কর্মপরিকল্পনা ভুলে যাচ্ছেন কিংবা কাজে পর্যাপ্ত মনোনিবেশ করতে পারছেন না, এগুলো মাত্রাতিরিক্ত টেস্টোস্টেরন ঘাটতির লক্ষণ।

এসব ক্ষেত্রে মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন, কারন মানসিক চাপ আপনার শরীরে টেস্টোস্টেরন নিঃসরণ এর মাত্রা কমিয়ে দেয়। ম্যাডিটেশন বা ধ্যান, যোগব্যায়াম, শারীরিক ব্যায়াম কিংবা ম্যাসেজ আপনার মানসিক চাপ কমাতে এবং টেস্টোস্টেরনের স্বাভাবিক মাত্রা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে ।

মেজাজ পরিবর্তন
টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি আপনাকে অল্পবিস্তর কিংবা মারাত্নক বিষণ্ণতায় ভোগাতে পারে। আপনার ব্যক্তিত্বের বা স্বভাবগত পরিবর্তন আপনি নিজেই লক্ষ্য করতে পারেন, যেমন কোন কিছুই আপনাকে সুখানুভূতি দেবে না কিংবা যেসব কাজ পূর্বে আপনাকে আনন্দিত করত তা করার ব্যাপারে আপনি মোটেই আগ্রহ অনুভব করবেন না।
তবে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি পূরণ হলেই, কর্মে স্বাভাবিক অনুপ্রেরণা ফেরত আসে ।

মাংসপেশীর পরিবর্তন
যেহেতু টেস্টোস্টেরন মাংসপেশী বৃদ্ধিতে সহায়তা করে তাই এর ঘাটতি হলে আপনার মাংসপেশির গঠন নষ্ট হতে পারে এবং ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন, এতে আপনার টেস্টোস্টেরনের স্বাভাবিক মাত্রা ফেরত আসবে। তবে এমনভাবে ব্যায়াম করুন যেন আপনার শরীরের পেশীগুলোর একটি বড় অংশ এর অন্তর্ভুক্ত হয়, প্রয়োজনে ভার উত্তোলন এর মতো ব্যায়াম করতে পারেন.

শরীরে চর্বি বৃদ্ধি
টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি শুধু মাংসপেশীই কমিয়ে দেয় না, শরীরে চর্বিও বৃদ্ধি করে, কারন খাবার থেকে আপনি যে শক্তির যোগান পান তা যদি মাংসপেশি গঠনে কাজ না করে তবে চর্বি হিসেবে শরীরে জমা হয়।
স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহন করুন এবং ব্যায়াম করুন। ডায়েটিং / ডায়েট কন্ট্রোল করুন, এতে আপনার চর্বি এবং ওজন দুটোই কমবে, তবে চর্বি কমার সাথে সাথে আপনার শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়তে থাকবে যা আপনার পুরনো মাংশপেশী ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।

শরীরে চুল কমে যাওয়া
টেস্টোস্টেরনের ঘাটতির কারনে আপনার শরীরের বিভিন্ন স্থানে চুল কমে যেতে পারে এমনকি মাথার চুলের ক্ষেত্রে এমনটি ঘটতে পারে।

হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়া
টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি হাড় ক্ষয়ের সাথে জড়িত।
সবল হাড় ফিরে পেতে ধূমপান ও মদ বর্জন করুন, নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

ঘুমের সমস্যা
শরীরে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি দেখা দিলে আপনি অনিদ্রা ও অস্থিরতায় ভুগতে পারেন।
এই সমস্যা সমাধানে ঘুমানোর ক্ষেত্রে নিয়মানুবর্তী হওন, সর্বদা একই সময়ে ঘুমাতে যান এবং জেগে ওঠার চেষ্টা করুন, এমনকি ছুটির দিনেও। শয়ন কক্ষ সর্বদা সাচ্ছন্দময়, শান্ত, অন্ধকারাছন্ন রাখুন যেন ঘুমের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়।

নারীর মুখে দাড়ি গোঁফ হওয়ার কারণ Testosterone

নারীদের মুখে দাড়ি ও গোঁফ!
HIRSUTISM (হারসিউটিজম)নারীদের মুখমন্ডল,বুকও পিঠে পৌরুষজনিত যে লোম গজায় তাকে Hirsutism বলে।এই সময় কালে এর ব্যপকতা বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে।এই রোগের কারণসমূহ উদঘাটন এবং তা অপসারন প্রক্রিয়ায় এই রোগ নিরামময়ে পন্ডিত ডাঃ সমরেশ চন্দ্র রায় হিউম্যান ফিজিও-প্যাথলজির আলোকে রাসায়নিক বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় ঔষধ প্রায়োগিক যে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেছেন তাহল প্রধানতঃ এই রোগের প্রধান কারন হল নারীদেহে পুরুষ হরমোন Testosterone Hormone মান বৃদ্ধি প্রাপ্ত হওয়া।
Testosterone Hormone বৃদ্ধির কারণসমূহঃ

homeo treatment
  • ডিম্বাশয়ে বহুসংখ্যক সিস্ট (Polycystic Ovarian Syndrome)
  • Hyperinsulinemia (ইনসুলিনের আধিক্যতা)
  • Hypoinsulinemia (ইনসুলিনের মান কমে যাওয়া)
  • Cushing’s Syndrome (অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির করটেক্সের কাজ বৃদ্ধি পেলে)
  • Hypothyroidism (থাইরয়েড গ্রন্থির হরমোন থাইরোক্সিনের মান কমে গেলে)
  • Congenital Adrenal Hyperplasia (জন্মগত অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থির বি-বৃদ্ধি)
  • Ovarian Tumar (ডিম্বাশয়ে টিউমার)

Diagnosis:

USG of Whole Abdomen – এই পরীক্ষায় ডিম্বাশয়ে সিস্ট, টিউমার ও অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থিতে টিউমার আছে কিনা জানা যাবে।

Testosterone Hormone Analysis- এই পরীক্ষায় নারীদেহে এই হরমোন বৃদ্ধি পেয়েছে কিনা জানা যাবে।

এই রোগ নিরাময়ে যে বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে:

  • Estrogen Hormone বৃদ্ধিতে Follicle Stimulating Hormone (FSH) এর কার্যকরী ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
  • Estrogen Hormoneএর ভারসাম্য নিয়ন্ত্রন করা।
  • Testosterone Hormone বৃদ্ধি বাধা প্রদান করা।

গুরুত্ব আরোপের ভিত্তিতে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা:

FSH হল পিটুইটারী থেকে নিঃসৃত হরমোন।এই হরমোন ডিম্বাশয় থেকে নিঃসৃত Estrogen Hormone নিয়ন্ত্রন করে।সুতরাং FSH এর উপর গুরুত্ব আরোপ জরুরী।

এই হরমোন নিয়ন্ত্রনে রাসায়নিক উপাদানসমূহ হল: Acubin, Agnuside,Casticin, Isovitexin & V texin,Terpenoid উল্লেখিত রাসায়নিক উপাদানসমূহ ধারনকৃত ভেষজ হল-AGNUS CASTUS * Estrogen Hormone এর ভারসাম্য নিয়ন্ত্রনকারী রাসায়নিক উপাদানসমূহ ও ধারনকৃত

ভেষজসমূহ: Isoflavones(Cimicifugin,Racemosin), Chromium,Fomonontin-উল্লেখিত রাসায়নিক উপাদানসমূহ ধারকৃত ভেষজ হল CIMICIFUGA RACEMOSA. Steroidal Saponins (Dioscin.Diosgenin), Chromium উল্লেখিত রাসায়নিক উপাদানসমূহ ধারনকৃত ভেষজ হল DIOSCOREA VILLOSA.

Testosterone বৃদ্ধি বাধা প্রদান এবং Estrogen Hormone এ রুপান্তরিত করা:

SABAL SERRULATA ধারনকৃত রাসায়নিক উপাদানসমূহ- Steroidal Saponins, Bitasitosterol, Resin, Tannins. উল্লেখিত রাসায়নিক উপাদানসমূহ নারীদের ক্ষেত্রে SHBG (Sex Hormone Binding Globulin) প্রস্তুত প্রক্রিয়ায় Testosterone বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে এবংএই হরমোনকে Estrogen Hormone এ রূপান্তরিত করে।

এই রোগ নিরাময়ে ঔষধ প্রায়োগিক দৃষ্টিভঙ্গি:

FSHএর ভারসাম্য + Estrogen Hormone এর ভারসাম্য নিয়ন্ত্রন +Testosterone Hormone বৃদ্ধি প্রতিবন্ধকতা এবং রূপান্তর করন।

🇨🇭Agnus Castus + Cimicifuga Racemosa + Sabal Sarrulata./১ মাস 🧪Agnus Castus +Dioscorea Villosa + Sabal Serrulata পরবর্তী ১মাস।

ডাঃ মাসুদ হোসেন (ডি,এইচ এম,এস )

এ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য কল করুন +8801907-583252 +8801302-743871

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!