WhatsApp Image 2024 06 25 at 16.35.53 c4045801

লেবুর খোসা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে? হোমিও বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রাম।

🇨🇭 সুস্বাদু, রসালো এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবুকে একটি সুপারফুড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যা বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সুবিধা দিয়ে ধাতে। এই সাইট্রাস ফল বিশ্বের প্রতিটি রান্নাঘরের একটি প্রধান জিনিস। এই ফল উপভোগ করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। যদিও এর টক স্বাদের কারণে খালি খাওয়া যায় না। তবে কোনো কিছুর সঙ্গে যোগ করে খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে প্রায় সবারই।

🇨🇭 এক চিমটি লবণের সঙ্গে লেবু খেলে তা আপনার বমি বমি ভাব নিয়ন্ত্রণ করতে এবং হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে। এই সাইট্রাস ফল একটি দুর্দান্ত স্বাদ বর্ধক। লেবু খেলে তা মুখের রুচি ফিরিয়ে দিতে কাজ করে।

🇨🇭 লেবু খাওয়ার উপকারিতা কী?

✅ এই ছোট্ট ও সবুজ সাইট্রাস ফলটি সহজে পাওয়া যায়, উপকারে ভরপুর এবং এতে ক্যালোরি কম। লেবুতে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় কপার, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি-6, পটাসিয়াম, জিঙ্ক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং জিঙ্ক। চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রতিদিন লেবু খাওয়ার উপকারিতা:

✅ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে:
টক স্বাদের ফল লেবু আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কাজ করে। লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে কাজ করে। সেইসঙ্গে সর্দি ও ফ্লুর লক্ষণ সৃষ্টিকারী জীবাণুর বিরুদ্ধেও লড়াই করে। এক গ্লাস হালকা গরম পানির সঙ্গে সামান্য লেবুর রস ও এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। এই পানীয় সর্দি ও কাশি দূর করতে সাহায্য করবে।

✅ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়:
প্রতিদিন লেবু খাওয়ার অভ্যাস আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। জার্নাল অফ চিরোপ্রাকটিক মেডিসিন দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণা অনুসারে, ভিটামিন সি এলডিএল বা ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কাজ করে। এছাড়া লেবুতে ফ্ল্যাভোনয়েডও রয়েছে, যা ট্রাইগ্লিসারাইড এবং LDL- এর মাত্রা কমাতে প্রমাণিত।

লেবুর খোসা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে? হোমিও বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রাম।

✅ হজমের উন্নতি করে:
এই সাইট্রাস ফলের মধ্যে দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে যা নিয়মিত অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে এবং হজমে সহায়তা করে। লেবুতে থাকা প্রধান ফাইবার পেকটিন, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে সহায়তা করে এবং চিনি ও স্টার্চের হজমের হারকে ত্বরান্বিত করে।

✅ ওজন কমাতে সাহায্য করে:
এক গ্লাস পানিতে মধুর ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে তা শরীরের জন্য বিস্ময়কর ভাবে কাজ করে। লেবুতে থাকা ফাইবার খাওয়ার পরে প্রসারিত হয়, যা আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য তৃপ্ত রাখে। এটি আপনাকে অপ্রয়োজনীয় খাবার থেকে বিরত রাখবে, ফলে ওজন বৃদ্ধির ভয় থাকবে না।

✅ কিডনিতে পাথর প্রতিরোধ করে:
আপনি যদি কিডনিতে পাথরের সমস্যায় ভোগেন বা এ ধরনের কোনো ঝুঁকিতে থাকেন, তাহলে লেবু আপনাকে সেই সমস্যা থেকে বাঁচতে সাহায্য করতে পারে। এই সাইট্রাস ফলে প্রচুর সাইট্রিক অ্যাসিড উপস্থিত রয়েছে যা কিডনিতে পাথর প্রতিরোধে সাহায্য করে। লেমনেড বা লেবুর রস মূত্রনালী সাইট্রেট গঠন করে যা পাথরের স্ফটিক বিকাশ রোধ করতে সাহায্য করে।

🇨🇭 প্রতিদিন লেবু খাওয়া কতটা নিরাপদ?

✅ প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি লেবু ( প্রায় চার থেকে ছয় টেবিল চামচ ) খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। অন্য সব খাবারের মতো এই সাইট্রাস ফলও পরিমিতভাবে খাওয়া উচিত। প্যান আফ্রিকান মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, অতিরিক্ত লেবু খেলে এর উচ্চ মাত্রার সাইট্রিক অ্যাসিডের কারণে এনামেল ক্ষয় হতে পারে। এছাড়া লেবুতে টাইরামিনও থাকে, যা মাইগ্রেনের রোগীর ক্ষেত্রে মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।

✅ খাবারের স্বাদ বাড়ায় লেবুর রস:
কিন্তু লেবুর খোসাও যে আপনার স্বাস্থ্য, ত্বক, এবং চুলের জন্যও উপকারী তা কি জানা আছে? আপনার যদি লেবুর রস খাওয়ার পর এর খোসা ছুড়ে ফেলার অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে আরেকবার ভেবে দেখুন। কারণ লেবুর খোসায় লেবুর রসের চেয়েও 05-10 গুণ বেশি ভিটামিন আছে। আর তা ক্যান্সারসহ বেশ কিছু রোগের জন্য উপকারী।

লেবুর খোসা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে? হোমিও বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রাম।

🇨🇭 জেনে নেওয়া যাক:

✅ ক্যান্সার প্রতিরোধ বিস্ময়কর হলেও সত্যি ক্যান্সার প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় লেবুর খোসা ব্যবহার করা হয়। লেবুর খোসায় রয়েছে স্যালেভেস্ট্রল কিউ৪০ এবং লিমোনেন। যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি প্রতিরোধে লড়াই করে।

✅ এক গবেষণায় দেখা গেছে, চা এর সাথে লেবুর খোসা দিয়ে পান করলে তা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ঠেকাতে কাজ করে।

✅ এ ছাড়া অ্যাসিড সমৃদ্ধ দেহে ক্যান্সার দ্রুত বাড়ে। আর লেবুর খোসা ক্ষারজাতীয় হওয়ায় তা আমাদের দেহের এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের রাখতে সহায়তা করে।
লেবুর খোসা অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল
সমৃদ্ধ। ফলে তা ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকজাত সংক্রমণ ঠেকাতেও কাজ করে।

✅ এ ছাড়া লেবুর খোসা রোদে পোড়া ত্বককে উজ্জ্বল করতেও বেশ কার্যকর।

✅ হাড়ের স্বাস্থ্য:
লেবুর খোসায় উচ্চমাত্রায় ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। যা হাড়ের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ও উন্নতিতে কাজ করে। এ ছাড়া হাড়ের প্রদাহজনিত রোগ ইনফ্লেমেটরি পলিআথ্রাইটিস, অস্টিওপোরোসিস এবং রিউম্যাটয়েড আথ্রাইটিস প্রভৃতি রোগ প্রতিরোধেও বেশ কার্যকর লেবুর খোসা।

✅ মুখের স্বাস্থ্য:
ভিটামিন-সি ‘র ঘাটতিতে স্কার্ভি, রক্তপড়া, পুঁজসহ দাঁতের নানা সমস্যা দেখা দেয়।

✅ লেবুর খোসায় রয়েছে উচ্চমাত্রার সাইট্রিক এসিড যা ভিটামিন ‘সি’র ঘাটতি পুরণ করে দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

✅ ওজন নিয়ন্ত্রণ:
লেবুর খোসায় রয়েছে পেকটিন নামের একটি উপাদান যা দেহের চর্বি কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভুমিকা পালন করে।

✅ দেহে অক্সিডেটিভ চাপ কমাতে সহায়ক:
লেবুর খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ সাইট্রাস বায়ো ফ্ল্যাভোনয়েডস যা দেহের বিষাক্ত অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সহায়ক।

✅ কোলোস্টেরল কমায় এবং হৃদরোগ প্রতিরোধ করে
লেবুর খোসায় থাকা পলিফেনল ফ্ল্যাভনয়েডস দেহে কোলোস্টেরল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। এ ছাড়া লেবুর খোসায় থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। কোলোস্টেরল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক প্রতিরোধেও কাজ করে লেবুর খোসা।

✅ ত্বকের রোগ প্রতিরোধ করে
ব্রণ, বলিরেখা, কালো দাগ এবং বিবর্ণতার মতো ত্বকের নানা সমস্যা প্রতিরোধে বেশ কার্যকর লেবুর খোসা। এভাবে ত্বককে বিষমুক্তকরণেও সহায়তা করে।

✅ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা এবং হজমশক্তি বাড়ায়
লেবুর খোঁসাতে থাকা খাদ্যগত আঁশ হজম শক্তির উন্নতিতে কাজ করে। ভিটামিন-সি রোগ সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।

লেবুর খোসা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে? হোমিও বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রাম।

✅ রক্তের শিরা-উপশিরাগুলো শক্তিশালী করে:
লেবুর খোসাতে থাকা ভিটামিন পি আভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ এবং উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

আরো পড়ুনঃ  যেসব হোমিও ঔষধ ও খাবার খেলে পুরুষের লিঙ্গ মোটা হয়

🇨🇭 এক টুকরো ( 06 গ্রাম ) লেবুর খোসায় থাকা পুষ্টি উপাদান:

  • 🧪 ক্যালোরি ৩ গ্রাম।
  • 🧪 চর্বি ০.০২ গ্রাম।
  • 🧪 সোডিয়াম ০.৩৬ মিলিগ্রাম।
  • 🧪 পটাশিয়াম ৯.৮ মিলিগ্রাম।
  • 🧪 কার্বোহাইড্রেট ০.৯৬ গ্রাম।
  • 🧪 খাদ্যগত আঁশ ০.৬৪ গ্রাম।
  • 🧪 প্রোটিন ০.০৯ গ্রাম।
  • 🧪 ভিটামিন এ ৩ আই ইউ।
  • 🧪 ভিটামিন সি ৭.৭৪ মিলিগ্রাম।
  • 🧪 ক্যালিসিয়াম ৮.০৪ মিলিগ্রাম।
  • 🧪 আয়রন ০.০৫ মিলিগ্রাম।

🇨🇭 লেবুর খোসার ব্যবহার পদ্ধতি
প্রথমে কয়েক ঘণ্টার জন্য লেবুর খোসা ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। এরপর তা পানীয় বা খাদ্যের সঙ্গে খেতে পারেন। লেবুর রস সহই লেবুর খোসা খেতে পারেন। যেমনটা চায়ের সঙ্গে খাওয়া হয়।

🇨🇭 এ ছাড়াও 200 ডিগ্রি তাপমাত্রায় চুলায় লেবুর খোসা শুকিয়ে নিন। এরপর তা গুঁড়ো করে অল্প মরিচগুঁড়া এবং সামুদ্রিক লবণ মিশিয়ে নিন। এটি আপনার ডিনারকে আরো সুস্বাদু করে তুলবে।

🇨🇭 রোদে শুকানোর পর লেবুর খোসা চূর্ণ করে পাউডার বানান। ত্বকের স্বজীবতা ধরে রাখতে তা দিয়ে পেস্ট বানিয়ে ব্যবহার করুন।

🇨🇭 পানিতে লেবুর খোসা মিশিয়ে তাতে কাটা ফল চুবিয়ে ফ্রিজে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়। এতে ফলের রঙ্গ একটুও বিবর্ণ হবে না বা পচে যাবে না।

🇨🇭 ভিটামিন-সি, সমৃদ্ধ লেবুর রয়েছে হাজারো স্বাস্থ্য উপকারিতা। শারীরিক নানান সমস্যা দূর করার পাশাপাশি ত্বকের জন্যও খুবই উপকারী লেবু। শরীরে রোগ প্রতিরোধে লেবুর বিকল্প কিছু নেই। ভিটামিন-সি, সমৃদ্ধ লেবুর রসের পাশাপাশি এর খোসাতেও রয়েছে অনেক উপকারিতা।

🇨🇭 লেবুর রস ছাড়াও কাঁচা লেবুর খোসাতেও অনেক পরিমাণ ভিটামিন-সি রয়েছে। লেবুতে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং বিটা ক্যারোটিন উপাদান রয়েছে। ক্যান্সার সহ অনেক রোগের দাওয়াই লেবু। লেবুর খোসা নিয়মিত খেলে ক্যান্সারের কোষ শরীরে বংশ বিস্তার করতে পারে না। চলুন এর আরো কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক:

WhatsApp Image 2024 06 25 at 16.35.54 f3b5e2ee

✅ পুষ্টি সরবরাহ
বিভিন্ন উপাদানে সমৃদ্ধ লেবুর রসের থেকে খোসা প্রায় 05 থেকে 10 গুণ বেশি পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রায় 100 গ্রাম লেবুর খোসায় রয়েছে 134 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, 160 মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, 129 মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি এবং 10.6 গ্রাম ফাইবার। তাই লেবুর রস খাওয়ার পাশাপাশি লেবুর খোসা খাওয়ারও প্রয়োজন রয়েছে।

✅ হাড় মজবুত করে তোলে
শরীরের হাড় মজবুত ও স্বাস্থ্যগত করে তুলতে ভিটামিন-সি ও ক্যালসিয়ামের উপকারিতা অপরিসীম। লেবুর খোসা খাওয়ার ফলে শরীরের প্রদাহজনিত পলি আর্থ্রাইটিস, রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস ও অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

✅✅ ক্যান্সার প্রতিরোধক
লেবুর খোসাতেও সাইট্রাস বায়োফ্লাভোনয়েড রয়েছে। এ উপাদানটি শরীরের ভেতরকে ক্ষারীয় করে তোলে। এছাড়াও ক্যানসার প্রতিরোধ করে। শরীরের ভেতরে ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান লিমোনিন এবং সালভস্ট্রোল কিউ – 40 সরবরাহ করে।

✅ ফেস মাস্ক
ত্বকেও ব্যবহার করতে পারবেন লেবুর খোসা। ফেস মাস্ক হিসেবে লেবুর খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে। এ জন্য প্রথমে এক চিমটি লেবুর খোসার গুঁড়ার সঙ্গে 02 টেবিল চামচ চালের গুঁড়া ভালো করে মিশিয়ে নিন। নিয়মিত এই পেস্টটি ব্যবহারের ফলে ত্বকের মৃত কোষগুলো জীবিত হবে। এ জন্য মুখ হালকা ভেজা থাকা অবস্থায় পেস্টটি সামান্যভাবে মাখুন। 15/20 মিনিট রাখার পর ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন।

🇨🇭 ক্যানসার ঠেকাতে আজই খাওয়ার পাতে যোগ করুন এ সব
প্রতি দিনের খাদ্যতালিকাতে ও যোগ করা উচিত এমন কিছু খাবার, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ক্যানসার প্রতিরোধেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।

🇨🇭 ক্যানসার কেষের বাড়বাড়ন্ত রুখতে পাতে রাখুন প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য।

✅ মারণরোগের ফাঁদ মানেই মৃত্যুর দিকে আরও কিছুটা এগিয়ে যাওয়া। বর্তমান জীবনযাত্রায় যে সব মারণ অসুখ নিয়ত আমাদের ভাবনায় রাখে, তার অন্যতম ক্যানসার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ( WHO )-এর মতে, ভারতের মতো দেশে প্রতি দিনই ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও আধুনিক জীবনযাত্রার নানা ক্ষতিকারক দিকও এমন মারণ অসুখের দিকে ঠেলে দেয় আমাদের।

✅ তাই জীবনযাপনে নিয়ন্ত্রণ আনা ও ক্ষতিকারক অভ্যাসগুলি থেকে সরে থাকা যেমন প্রয়োজন, তেমনই প্রতি দিনের খাদ্যতালিকাতেও যোগ করা উচিত এমন কিছু খাবার, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ক্যানসার প্রতিরোধেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।

✅ ভাজাভুজি, তেল-মশলার খাবার কমিয়ে বরং খাদ্যতালিকায় যোগ করুন এমন পুষ্টিকর কিছু উপাদান, যা এই মারণরোগগুলি ঠেকাতে অনেকটাই সাহায্য করবে আপনাকে।

✅ ব্রকোলি: ক্যানসার প্রতিরোধে ব্রকোলির ভূমিকা অনস্বীকার্য। ব্রকোলিতে সালফোরাফেন থাকায় তা ক্যানসার কোষ ধ্বংসে সক্ষম। কোলন, প্রস্টেট ও ব্রেস্ট ক্যানসারে ক্ষেত্রে এই সব্জি বিশেষ কার্যকর।

ডাঃ মাসুদ হোসেন

✅ রসুন: সালফারে পূর্ণ অ্যালিসিন ও ডায়াল্লিল ডিসালফাইড থাকায় রসুন নানা অসুখ প্রতিরোধ করতে পারে। টিউমার জাতীয় অসুখের প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে রসুন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্রস্টেট ক্যানসার ঠেকাতে রসুনের বিকল্প নেই।

✅ হলুদ: এই মশলা এমনিতেই প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক। কোলনে কোনও রকম টিউমার বা ঘা কমাতে হলুদ বিশেষ উপকারী। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, টানা এক মাস খাবারের সঙ্গে চার গ্রাম করে হলুদ মশলা হিসাবে যোগ করার পর কোলন ক্যানসারে আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রুখতেও এই মশলা বিশেষ উপকারী।

✅ অলিভ অয়েল: রান্নায় অলিভ অয়েল যোগ করার পক্ষপাতী ক্যানসার বিশেষজ্ঞ সুকুমার সরকারও। তাঁর মতে, অলিভ অয়েল কেবল মেদ ঝরায় এমনই নয়, রান্নায় অলিভ অয়েল ব্যবহার করা বা অতটা না পারলেও অন্তত স্যালাডের উপর কিছুটা অলিভ অয়েল ছড়িয়ে খেলে তা কাজে আসে। ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রুখতে এই তেলের ভূমিকা রয়েছে।

✅ ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত মাছ: খাদ্যনালির ক্যানসার রুখতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত ( স্যামন, ম্যাকারেল ইত্যাদি ) মাছ খুবই উপকারী। ওমেগা থ্রি থাকায় এই সব মাছ খেলে তা ক্যানসারপ্রবণ কোষের বৃদ্ধি রুখে দেয়। তা ছাড়া এতে ভিটামিন ডি থাকায় তা ত্বকের ক্যানসার রুখতেও খুবই কার্যকর।

✅ গাজর: গাজর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট জাতীয় খাবার ফ্যাট অক্সিডেশনে বাধা দেয় ও শরীরে ক্যানসারের কোষ উৎপাদন কমায়। দুনিয়া জুড়ে বিভিন্ন গবেষণায় গাজরের ক্যানসার প্রতিরোধের ক্ষমতার কথা উঠে এসেছে। গাজর সেদ্ধ করে স্যালাড থেকে শুরু করে বিভিন্ন রান্নায় গাজর যোগ করলে তা কোলন ক্যানসার, পাকস্থলীর ক্যানসার রুখতে সাহায্য করে। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির সমীক্ষা অনুসারে, প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় গাজর যোগ করলে প্রস্টেট ক্যানসারের সম্ভাবনা প্রায় 18 থেকে 20 শতাংশ কমে যায়। ফুসফুসের ক্যানসার প্রতিরোধেও গাজরের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

✅ লেবু-জল: লেবু শরীরের টক্সিন সরিয়ে শরীরকে বিষমুক্ত রাখে। প্রতি দিন গরম জলে একটা গোটা পাতি লেবুর রস মিশিয়ে খেলে শরীরের টক্সিন দ্রুত বেরিয়ে যায়। সারা দিনে 3-4 বার এই পানীয় খেলে তা ক্যানসারের আক্রমণ ঠেকায় বলেই মত চিকিৎসক সুকুমার সরকারের। গরম জলের সঙ্গে লেবু মিশিয়ে খাওয়া হয় বলে অম্লজনিত সমস্যা থাকলেও লেবুর রস এ ক্ষেত্রে সমস্যা করে না।

✅ ভাত-ডালের সাথে বাঙালিদের প্রিয় একটি খাবার হলো লেবু। শরীরে ভিটামিন সরবরাহ, রূপচর্চাসহ নানা রকম উপকারে আসে লেবু। কিন্তু কেবল লেবুই নয়, লেবুর খোসারও নানা গৃহস্থালি ও ব্যক্তিগত পরিচর্যার জন্য উপকারি।

✅ লেবুর খোসা ওজন কমাতে পারে। লেবুর খোসায় থাকা পেকটিন শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমায়। তাই অনেকেই লেবুর খোসা থেঁতলে সেই রস পানিতে মিশিয়ে খেয়ে থাকেন।

✅ পাতিলেবুর খোসার লিমোনেন্স ক্যান্সার প্রতিরোধেও সক্ষম। ক্যান্সার কোষ ধ্বংসেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই ক্যানসার আক্রান্তদের লেবু খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।

✅ মানসিক চাপ কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী এই লেবুর খোসা। এতে থাকা সাইট্রাস বায়োফ্লেভোনয়েড অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। ফলে সার্বিকভাবে মস্তিষ্ক সতেজ হয়।

✅ লেবুর ভিটামিন-সি, ও সাইট্রিক অ্যাসিড ঠাণ্ডার আক্রমণ থেকে বাঁচায়। সর্দি-কাশির প্রকোপ কমাতেও কাজে আসে লেবুর খোসা।

✅ লেবুর খোসায় আছে পলিফেনল। যা শরীরে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমায়।

✅ লেবুর পটাশিয়াম ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই হৃদরোগীকে লেবুর খোসা কুঁচিয়ে বা লেবুর খোসা গুড়ো করে পানিতে মিশিয়ে দিতে পারলে ভাল।

✅ লেবু নিজে প্রাকৃতিক স্ক্রাবার। তাই লেবুর খোসা ত্বকর মৃত কোষ সরিয়ে ত্বককে টানটান ও মসৃণ রাখে।

ডা. মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক এন্ড প্রাইভেট প্র্যাক্টিশনার। ( রেজি: নং- 35423 )

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। হোমিও গবেষক / হোমিও বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রাম।

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!