বিয়ে করার পূর্বে

বিয়ে করার পূর্বে নারী ও পুরুষের যা জানা জরুরী | ডাঃ মাসুদ হোসেন

🇨🇭 বিয়ে মহান আল্লাহ তায়ালার এক অপূর্ব বন্ধন। প্রতিটি মানুষ বয়:সন্ধিক্ষণে এই অপূর্ব ও পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই বন্ধনের মাধ্যমে একজন পুরুষ ও নারীর মধ্যে অবিচ্ছেদ্য এক সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। এই সম্পর্কের মাধ্যমে নারী ও পুরুষের ঔরসজাত হয়ে পৃথিবীর মুখ দেখে নতুন প্রজন্ম।

🇨🇭 আপাতদৃষ্টিতে বিয়ে দুটি মানুষের মধ্যে হলেও এর সাথে জড়িয়ে থাকে তাদের পরিবার ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। তাদের হাত ধরেই গড়ে ওঠে নতুন একটি পরিবার, নতুন একটি প্রজন্ম। তাদের নতুন পরিবারটি কেমন হবে তা পুরোপুরি নির্ভর করে স্বামী-স্ত্রীর উপর।

🇨🇭 তাদের যদি কোনো ভালো গুণ থাকে তাহলে তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে তারা তাদের সেইসব ভালোগুণ দিয়ে গড়ে তুলবেন। আর যদি তাদের কোনো খারাপ গুণ থাকে তাহলে তাদের পরবর্তী প্রজন্ম আপনা আপনি সেইসব গুণ রপ্ত করে তাদের জীবন গড়ে তুলবে। তেমনিভাবে পিতা,মাতার যদি বিয়ের আগে কোনো মারাত্মক রোগ থাকে তাহলে বিয়ে পরবর্তী সময়ে সেই রোগের প্রভাব স্বামী, স্ত্রী ও পরবর্তী প্রজন্মের উপরও পড়ে। তাই বিয়ে করার আগে এই বিষয়টি খুব গুরুত্বের সাথে দেখা উচিত।

🇨🇭 এই বিষয়টি যদি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয় তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হবে নিরোগ ও স্বাস্থ্যবান।

বিয়ে করার পূর্বে নারী ও পুরুষের যা জানা জরুরী

🇨🇭 বিয়ে করার পূর্বে স্বাস্থ্য পরীক্ষা- Health Diagnosis:

অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে করার ফলে স্বামী-স্ত্রী দুজনের স্বাস্থ্যেই এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। যা পরবর্তীতে সন্তানের ওপরও পড়ে। তাই বিয়ে করার পূর্বে স্বামী,স্ত্রী দুজনেরই বয়স ভালো করে যাচাই করে নেওয়া দরকার। মেয়েদের ক্ষেত্রে নিয়মিত মাসিক হওয়া, হেপাটাইটিস সহ অন্যান্য সব ধরনের টিকা দেওয়া আছে কিনা এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে বিড়ি,সিগারেট, মদ ও অন্যান্য নেশাজাতীয় খাদ্য খাওয়ার অভ্যাস আছে কিনা তা আগে থেকেই জেনে নেয়া দরকার। এসব ক্ষেত্রে কোনো প্রকার ত্রুটি,বিচ্যুতি হলে তা পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি ও এর কুফল পরবর্তী প্রজন্মের উপরও পড়ে। এছাড়া শারীরিক উচ্চতা, রক্তচাপ, ওজন এসব দিকও সম গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা দরকার।

🇨🇭 বয়স- Age :
বিয়ের ক্ষেত্রে বয়স খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। বেশি বয়সে বিয়ে করার ফলে ছেলেদের ইনফার্টিলিটি ( Infertility ) অথবা বন্ধ্যা, হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশি বয়সে বিয়ে হলে সন্তান মানসিক ও শারীরিক ত্রুটিসহ প্রতিবন্ধীও হওয়ার ঝুকি রয়েছে। ত্রিশ বছরের পর মেয়েদের প্রথম সন্তান নেওয়া খুবই ঝুকিপূর্ণ। তাই এসব দিক বিবেচনা করে বিয়ের আগে বয়সের দিকটা ভালো করে বিবেচনা করতে হবে। কেননা এর সাথে আগামী প্রজন্মের ভাগ্যও জড়িত।

🇨🇭 বয়সের দিক ভাবতে গিয়ে অতি অল্পবয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়াও ঠিক নয়। কম বয়সে মেয়েদের গর্ভধারণ মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ। অল্প বয়সে সন্তান ধারণের ফলে আমাদের দেশে অনেক মেয়ের অকালমৃত্যু ঘটছে।

🇨🇭 এছাড়া ছেলে,মেয়ের বয়সের পার্থক্যের দিকটিও সমানভাবে নজড় দিতে হবে। ছেলে ও মেয়ের বয়সের মধ্যে ভারসাম্য না থাকলে পরবর্তীতে সংসার জীবনে একে অপরের বোঝাপড়াটা ঠিকমতো হয় না। যার ফলে সংসারের নানা ধরনের অশান্তি লেগেই থাকে। তাই সবদিক বিবেচনা করে বিয়ের আগে এই বিষয়টি অধিক গুরুত্বের সাথে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

বিয়ে করার পূর্বে নারী ও পুরুষের যা জানা জরুরী

🇨🇭 বন্ধ্যাত্ব- Infertility:
আমাদের দেশে অসংখ্য নারী ও পুরুষ বন্ধ্যাত্ব নামক এক ধরনের রোগে আক্রান্ত হন। এনিয়ে সমাজে নানা ধরনের কুসংস্কারও রয়েছে। আদতে যৌন অক্ষমতা, অ্যাজোসপারমিয়া এবং সন্তান ধারণে অক্ষমতার কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়। বন্ধ্যাত্ব পুরুষ ও নারী উভয়েরই হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা পরবর্তীতে সংসার জীবনে নানা ধরনের অশান্তির সৃষ্টি করে। আমাদের বর্তমান সমাজ জীবনে বিয়ের আগে এই ধরনের কোনো পরীক্ষা করার ব্যবস্থা না থাকলে আপাতদৃষ্টিতে অনিশ্চিত ভবিষ্যত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এই বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।

🇨🇭 রক্তরোগ – Blood Disease:
একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে রোগ জীবাণু ছড়ানোর একটি অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে রক্ত। এটির মাধ্যমে সহজেই রোগজীবাণু একাধিক দেহে ছড়িয়ে পড়ে। তাই বিয়ের আগে নারী ও পুরুষ উভয়ের রক্ত পরীক্ষা করে নেওয়া ভালো। সাধারণত যাদের রক্তে (RH) ফ্যাক্টর নেই তারা নেগেটিভ গ্রুপের রক্তধারী। যেমন: A নেগেটিভ, AB নেগেটিভ। পজিটিভ রক্তধারী কোনো পুরুষের সাথে যদি এই নেগেটিভ রক্তধারী কোনো পুরুষের বিয়ে হয় তাহলে সন্তান জন্মদানের সময় দুর্ঘটনার আশংকা সৃষ্টি হয়। যেমন: অকাল গর্ভপাত হওয়া, শিশুর মৃত্যু হওয়া, জন্মগ্রহণকারী শিশুর হিমোফিলিয়া, থ্যালাসেমিয়া দ্বারাও আক্রান্ত হতে পারে। এসব অনাহুত পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য রক্তের গ্রুপ নির্ণয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আরো পড়ুনঃ  যোনি থেকে অস্বাভাবিক রক্তপাতের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।

🇨🇭 প্রজন্মগত রোগ- Genital Disease:
রোগের জীবাণু বহনকারী পুরুষ ও মহিলার ঔরসজাত সন্তানও জন্মের সময় মায়ের গর্ভ থেকেই সেই রোগের জীবাণু নিজের শরীরে বহন করে নিয়ে আসে। যা পরবর্তীতে ধীরে ধীরে তার মাঝে প্রকাশ পেতে থাকে। সাধারণত মা-বাবা দুজনের অথবা যে কোনো একজনের জীন থেকে সন্তান এই রোগের ধারক হন। বংশগত রোগগুলোর মধ্যে রয়েছে : মৃগী, ডিপ্রেশন, কার্ডিওভাসকুলার ডিজেস, সিস্টিক ফাইব্রোসিস, বিশেষ কয়েক ধরনের ক্যান্সার, যেমন: ফুসফুসের ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার, ডাযাবেটিস, আর্থাইট্রিস, গ্লুকোমা, ওবেসিটি, অস্টিওপোরেসিস, অ্যাজমা, মানসিক অসুস্থতা, প্রভৃতি। সবক্ষেত্রে বংশগত রোগ শারীরিকভাবে প্রকাশ নাও পেতে পারে। যেসব ক্ষেত্রে শারীরিকভাবে প্রকাশ হয় না সেসব রোগের জন্য পরীক্ষা করা প্রয়োজন। একই গোত্রের ছেলে,মেয়ের মধ্যে বিয়ে হলে বিয়ের আগে শারীরিক পরীক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বংশগত রোগ দ্বারা সন্তানদের আক্রান্ত হওয়া নিয়ে ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা যায়।
যেমন: হিমোফেলিয়ার বা রক্ত জমাট বাধার সমস্যা, কালার ব্লাইন্ডনেস প্রভৃতি রোগ সাধারণত মায়েদের থেকে ছেলে সন্তানদের উপর প্রভাব বিস্তার করে। এসব রোগ দ্বারা কন্যা সন্তানদের প্রভাবিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এ ধরনের রোগ মহিলাদের মধ্যে পরিবাহিত হলেও তাদের নিজ দেহে তা প্রকাশ পায় না। পরবর্তীতে তা তার ছেলে সন্তানের দেহে প্রকাশ পায়। তাই বিয়ের পূর্বে রক্ত ও টিস্যু নিয়ে DNA 🧬 পরীক্ষা করে এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়াই ভালো।

homeo treatment - dr. masud hossain,

🇨🇭 যৌন রোগ- Sexual Disease:
নারী বা পুরুষের পূর্বে কোনো যৌন রোগ থাকলে বিয়ের পর তাদের শারীরিক সম্পর্কের ফলে ঐই রোগের জীবাণু একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে মিশে যায়। সিফিলিস, গনোরিয়া, স্যানক্রয়েড, জেনিটাল হারপিস সহ মরনঘাতী এইডসও এই পক্রিয়ায় একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়ায়। পরবর্তীতে এসব রোগের প্রভাব পরবর্তী প্রজন্মের উপরও পড়ে। তাই বিয়ের পূর্বে এসকল বিষয়ে পরীক্ষা,নিরীক্ষা করে নিলে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

🇨🇭 সবশেষে পরীক্ষায় যাই ধরা পড়ুক সেটির উপর ভর করে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবে না। ডাক্তারের পরামর্শ মতো কীভাবে সেই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করাই যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত। তাছাড়া আমাদের বর্তমান সামাজিক ব্যবস্থায় কতজন এই পদ্ধতি মেনে চলবেন তাও প্রশ্নাতীত। অনেকে উপরের কথাগুলো শুনে গালমন্দও করতে পারে। তবে উপরের কথাগুলো খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলে এর উপকারিতা ছাড়া কোনো অপকারিতা বোধহয় খুজে পাওয়া যাবে না।

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’s App- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

homeo-treatment-dr-masud-hossain

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 সকাল 09:00 — 01:00 টা।
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন
Dr. Masud Hossain
(বি, এইচ, এম, এস )
(ডি, এইচ, এম, এস)

☎ 01907-583252 (WhatsApp, IMO)
☎ 01302-743871(WhatsApp, IMO)

[রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন
Govt reg No. 35423 ]

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!