🇨🇭 নারীদেহে এন্ড্রোজেনের বা পুরুষ যৌন হরমোন আধিক্যের কারণে যে সমস্যা দেখা দেয়, সেটিকে পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম বলা হয়ে থাকে। বালিকা ও নারীদের প্রজননক্ষম সময়ে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়।
🇨🇭 বাংলাদেশে এ রোগের হার -25 শতাংশের কাছাকাছি হবে বলে ধরে নেওয়া হয়।
🇨🇭 পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমের প্রভাবে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে থাকে। যেমন:
- 🩸 অনিয়মিত মাসিক।
- 🩸 অতিরিক্ত রক্তস্রাব।
- 🩸 মুখে ও শরীরে অত্যধিক লোম (পুরুষালি)।
- 🩸ব্রণ মুখে ও শরীরের অন্যান্য অংশে।
🩸আরও কিছু শারীরিক সমস্যা থাকতে পারে- তলপেটে ব্যথা, মকমলের মতো কালো ত্বক ( ঘাড়, বগল ইত্যাদি জায়গায় ), বন্ধ্যত্ব। রোগীদের টাইপ-2 ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এদের অনেকেই দৈহিক স্থূলতায় আক্রান্ত হয়, নাকডাকা ও ঘুমের সময় হঠাৎ করে শ্বাস বন্ধ হওয়া, হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া, মানসিক ভারসাম্যহীনতা ও জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে।
🇨🇭 জিনগত ত্রুটি আছে এমন কিশোরীর দৈহিক ওজন বৃদ্ধি পাওয়া, খুব কম শারীরিক শ্রম সম্পাদন করা ও ঝুঁকিপূর্ণ খাবার খাওয়া ইত্যাদি এ রোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমে ডিম্বাশয় অতিরিক্ত পরিমাণে টেস্টোস্টেরন হরমোন তৈরি করতে উদ্দীপ্ত হয়।
🇨🇭 যার পেছনে পিটুইটারি গ্রন্থির অতিরিক্ত এলএইচ ( LH ) নি:স্বরণ ও দেহে ইনসুলিন রেজিস্ট্রেন্সের উপস্থিতিই কারণ।
🇨🇭 পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম নাম হওয়ার প্রধান কারণ হল ডিম্বাশয়ে বিভিন্ন বয়সি, বিভিন্ন আকারের, বিভিন্ন সংখ্যার সিস্ট থাকবে।
🇨🇭 নিম্নলিখিত ক্রাইটেরিয়ার যে কোনো দুটির উপস্থিতি আবশ্যক:
- 🩸নারীদেহে অতিরিক্ত এন্ড্রোজেন হরমোন উপস্থিতি।
- 🩸অনিয়মিত ঋতুস্রাব।
- 🩸ডিম্বাশয়ে সিস্ট।
🇨🇭 পরীক্ষা-নিরীক্ষা ( Diagnosis ):
- 🧪 সিরাম টেস্টোস্টেরন, এলিস, FSH – ( এফএসএইচ )।
- 🧪 USG Of Abdomen – পেটের আল্ট্রাসনোগ্রাম।
- 🧪 ওজিটিটি।
🇨🇭 জীবনযাত্রা ব্যবস্থাপনা: চিকিৎসার শুরুতেই খাদ্য ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দিতে হবে। রোগীর দৈহিক ওজন সাহায্য করবে, বিপাকীয় প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটাবে যাতে করে ইনসুলিন রেজিস্ট্রেন্স কমে যাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। আদর্শ জীবনযাপন ব্যবস্থাপনা রোগীর হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমাবে।
🇨🇭 এ রোগীদের খাদ্য তালিকায় শর্করার আধিক্য কম থাকবে, শাকসবজি ( আলু বাদে ), রঙিন ফল-মূল ও আমিষজাতীয় খাদ্য প্রাধান্য পাবে।
🇨🇭 দৈহিক ওজন বা বিএমআই – BMI , বিবেচনায় রেখে শারীরিক শ্রমের ব্যবস্থা করতে হবে।
🇨🇭 মহিলাদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত পিলগুলো যাতে স্বল্প মাত্রায় ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্ট্রেরন থাকে, তা সহায়ক ওষুধ।
🇨🇭 পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমে আক্রান্ত নারীদের অধিকাংশই এ সমস্যার শারীরিক লক্ষণগুলো খুব দ্রুত বুঝতে পারেন না। কেউ কেউ লক্ষণগুলো বুঝতে পারলেও সংকোচ বোধের কারণে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে দেরি করেন। যেহেতু রোগটির ব্যাপকতা ও সুদূরপ্রসারী স্বাস্থ্য ঝুঁকি আছে, তাই প্রজননক্ষম বয়সের সব নারীকে তার এ সমস্যা আছে কিনা জানার জন্য হরমোন বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।
🇨🇭 নারীর দেহে অবাঞ্ছিত লোম:
নারীর শরীরে অবাঞ্ছিত লোমের সমস্যা হতে পারে। অনিয়মিত মাসিক, স্থূলতা আর শরীরের বিভিন্ন স্থানে অবাঞ্ছিত লোম বেড়ে যাওয়ার সমস্যা নিয়ে অনেকই চিকিৎসকের কাছে আসেন।
🇨🇭 নারীর ঠোঁটের ওপর, চিবুক, বুক, পেট বা পিঠে তুলনামূলক মোটা, কালো কখনও বা একটু ঘন লোম দেখা দেয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায়- এই অবাঞ্ছিত লোম বৃদ্ধিকে – হারসুটিজম ( Hirsutism ) বলা হয়।
🇨🇭 মেয়েদের শরীরে স্বাভাবিকভাবে এন্ড্রোজেন বা পুরুষ হরমোনের পরিমাণ খুব অল্প। কিন্তু কখনও ডিম্বাশয় বা এডরেনাল গ্রন্থি থেকে এই এন্ড্রোজেন বেশি পরিমাণে তৈরি হলে বা এন্ড্রোজেনের অধিক কার্যকারিতার কারণে এই ( হারসুটিজম – Hirsutism ) দেখা দিতে পারে।
🇨🇭 অবাঞ্ছিত লোম ( হারসুটিজম – Hirsutism ) হওয়ার কারণ:
🩸 পলিসিস্টিক ওভারি রোগীদের মেটাবলিক ও হরমোনজনিত আরও কিছু সমস্যা হতে পারে। স্থূলতা বা ওজন বেশি থাকা, কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকা। ইনসুলিন হরমোন ঠিকমতো কাজ করতে পারে না, তাই ইনসুলিনের আধিক্য থাকা সত্ত্বেও রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া থাইরয়েড ও প্রোলেকটিন হরমোনের তারতম্য ও রক্তে ভিটামিন ডি ও ইনোসিটোল নামের উপাদান কমে যায়। অনেক সময় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরও অবাঞ্ছিত লোম হওয়ার কারণ পাওয়া যায় না। অনেক সময় দেখা যায়, এ সমস্যা বংশগত হয়ে থাকে। আবার স্থূল মেয়েদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা বেশি দেখা দেয়।
🇨🇭 অবাঞ্ছিত লোম সমস্যার সঙ্গে আরও অনেক সমস্যা জড়িয়ে থাকতে পারে। তাই কেবল লোমের সুরাহা করতে ব্যস্ত না থেকে একজন হরমোন বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হন। থাইরয়েড ও অ্যান্ড্রোজেন হরমোন, রক্তে চিনি, চর্বি, রক্তচাপ, ওভারি বা অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির আলট্রাসনোগ্রাম ইত্যাদি পরীক্ষার দরকার হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ টেস্টোস্টেরন হরমোন | Male Sex Hormone Testosterone | ডাঃ মাসুদ হোসেন।
🇨🇭 রোগ নির্ণয়ের পর উপসর্গ অনুযায়ী পুষ্টিবিদ, বিশেষজ্ঞ, পরামর্শ নিতে হতে পারে।
- 🩸 নিয়মিত হাঁটা, ওজন কমানো, উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার পরিহার ও টেনশনমুক্ত জীবনযাপন করতে হবে।
- 🩸 যার এন্ড্রোজেন হরমোন বেশি আছে, তাদের সিপ্রোটেরন এসিটেট ও স্পাইরোনোলেকটন জাতীয় ওষুধ ভালো কাজ করবে।
- 🩸 মেটফরমিন জাতীয় ওষুধ ইনসুলিনকে কাজ করতে সাহায্য করে ও ওজন কমায়।
- 🩸 থাইরয়েড বা প্রোলেকটিন হরমোনের ওষুধ খেতে হতে পারে প্রয়োজনবোধে।
- 🩸 ভিটামিন ডি ও ইনোসিটোলের ঘাটতি থাকলে তা পূরণ করতে হবে।
- 🩸 সুষম খাবার, ব্যায়াম, সঠিক ওজন অর্জন করা এবং ধরে রাখা চিকিৎসার মূল ভিত্তি।
- 🩸 ভিটামিন- D, ব্যবহারেও সুফল পাওয়া যায়।
- 🩸 লোম কমানোর জন্য অন্যান্য চিকিৎসা, যেমন: লেজার থেরাপি, মলম ইত্যাদি দেওয়া যেতে পারে।
- 🩸 ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, চর্বির অস্বাভাবিকতা থাকলে তার চিকিৎসা করতে হবে। সময়মতো বন্ধ্যত্ব চিকিৎসা করা হলে সে ক্ষেত্রেও সুফল পাওয়া যায়।
🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( বি, এইচ, এম, এস )
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
📞 মোবাইল : +8801907-583252
+8801302-743871
🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801302-743871
( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।
☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।
☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।