🇨🇭 প্লাটিলেট বা অণুচক্রিকা হলো রক্তের একধরনের ক্ষুদ্র কণিকা, যা রক্ত জমাট বাঁধতে ও রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে সাহায্য করে। স্বাভাবিক মানুষের রক্তে অণুচক্রিকার হার প্রতি 100 মিলিলিটারে- দেড় লাখ থেকে সারে চার লাখ।
🇨🇭 প্লাটিলেটের সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যাওয়াকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় ( থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া- thrombocytopenia )।
🇨🇭 সাধারণত অ্যানিমিয়া, ডেঙ্গু, ভাইরাস সংক্রমণ, লিউকেমিয়া, মদ্যপান, কেমোথেরাপি, ভিটামিন,বি-12 এর অভাব কিংবা অন্য জটিল রোগের কারণে প্লাটিলেটের পরিমাণ কমে যেতে পারে। রক্তে প্লাটিলেটের লেভেল কমে গেলে শরীরের খুব বেশি ক্ষতি সাধারণত হয় না। তবে প্লাটিলেটে কমে যাওয়ার সাথে সাথে নাক, দাঁত অথবা দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তপাত শুরু হলে সেটি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
🇨🇭 প্লাটিলেট কমে যাওয়ার প্রধান এবং অন্যতম লক্ষণ হল রক্তপাত। প্লাটিলেটের সংখ্যা সামান্য কমে গেলে তা খাবার এবং বিশ্রামের মাধ্যমেই আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব। তবে যদি মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া, ক্ষতস্থান না শুকানো এবং সেখান থেকে রক্তক্ষরণ, পায়খানা কিংবা প্রসাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া বা চামরার উপরে ভয়ানক ভাবে লাল লাল দাগ হবে যেমন- টা এলার্জি হলে হয় – ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিলে, অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। ।
🇨🇭 থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া -হলে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ভালো হয়।
✅ আমার এই রোগীর বয়স 25 – পুরুষ।
🧪 2017 সালে প্রথম জানতে পারেন যে ওনার প্লাটিলেটের সংখ্যা কম। সেপ্টেম্বর 2023 পর্যন্ত 6 বছর উনি এলোপ্যাথি চিকিৎসকের পরামর্শে ছিলেন।
🧪 ফলাফল 08 সেপ্টেম্বর 2023- তে, ওনার প্লাটিলেটের কাউন্ট রিপোর্ট মাত্র -10, যেখানে 150- থেকে নরমাল শুরু হয়। ভয়াভহ অবস্থা দেখে আমিও ভয় পেয়েছিলাম। চিকিৎসা শুরু করলাম, আল্লাহর রহমতে 7 দিন পর কাউন্ট 40 হল। 01 মাস পর 53, 4 মাস পর 90, 05 মাস পর 100, 08 মাস পর নরমাল।
🧪 এলোপ্যাথি চিকিৎসায় যেটা 06- বছরেও কিছু হয়নি , সেটা হোমিওপ্যাথিতে 08- মাসে নরমাল হয়েছে ,তার পরেও অনেকে বলে- হোমিও তে নাকি রোগ ভাল হতে অনেক সময় লাগে (!?)
🇨🇭 ডেঙ্গুতে হোমিওপ্যাথি:
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ডেঙ্গুর মতো ভাইরাস ঘটিত অসুখের খুব ভালো চিকিৎসা রয়েছে। দুর্ভাগ্য, মডার্ন মেডিসিনের কার্যকারিতা সম্পর্কে মানুষের কিছুটা ধারণা থাকলেও, হোমিওপ্যাথি নিয়ে এখনও অনেকেই ভ্রান্তির শিকার। হোমিওপ্যাথিতে বরং এই ধরনের অসুখ সারিয়ে তুললে রোগমুক্তির সঙ্গে রোগীর এনার্জি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুই’ই বজায় থাকে। ফলে রোগের দ্বিতীয়বার আক্রমণও প্রতিহত করা যায়।
🇨🇭 থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া -হলে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ভালো হয়।
🇨🇭 বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি?
বিগত কয়েক বছরে ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারণ করছে। ডেঙ্গুপ্রবণ এলাকার সংখ্যাও বাড়ছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন, বিভিন্ন এলাকা ক্রমেই ঘিঞ্জি ও ঘনবসতিপূর্ণ হয়ে পড়া, পাড়ায় পাড়ায় নির্মাণ কাজ চলায় জমা জল এবং আবর্জনা দু’ই বেড়ে যাওয়া সহ নানা কারণে রোগের প্রকোপ বাড়ছে।
🇨🇭 এই বছর এখনও পর্যন্ত রাজ্যে এই রোগে 06 হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। মারাও গিয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাই রোগটিকে প্রতিরোধ করতে চাইলে কিছু সামাজিক নিয়ম যেমন- মানতে হবে, তেমনই হোমিওপ্যাথিতে আস্থা রেখে ওষুধও খেতে হবে। বিশেষ করে যেসব মানুষের সুগার, প্রেশার, হার্টের অসুখ সহ বিভিন্ন কো-মর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের জন্য হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা খুব কার্যকর। হোমিওপ্যাথিতে লক্ষণ বিশেষে ডেঙ্গু দমনের ওষুধ দেওয়া হয়।
🇨🇭 চিকিৎসা:
হোমিওপ্যাথিক ওষুধে ডেঙ্গুজ্বর সহজেই আয়ত্তে আনা যায়। যদি সঠিক নিয়ম মেনে ও চিকিৎসকের দেওয়া ডোজ অনুসারে ওষুধ খাওয়া শুরু করা যায়, প্রথম থেকেই এই রোগ আয়ত্তে থাকে। বাড়াবাড়িও হয় না। দেখা গিয়েছে, এক-একটি এলাকায় ডেঙ্গুর লক্ষণ এক একরকম। সেই লক্ষণ অনুসারে চিকিৎসা করলে ফলও ভালো মেলে। যেমন, একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে একবার ডেঙ্গু আক্রান্তদের উপসর্গ দেখে তাঁদের রাসটাকস 200 দিয়েছিলাম। তাতে ম্যাজিকের মতো ফল হয়েছিল।
🇨🇭 মডার্ন মেডিসিন কি সঙ্গে চলবে?
অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন, তাহলে কি মডার্ন মেডিসিনের দরকার নেই? আমি একথা কখনও বলি না। আমি নিজে মডার্ন মেডিসিন পড়েই ডাক্তার হয়েছি। পরবর্তীকালে হোমিওপ্যাথিও পড়ি। তাই বুঝি, কোনও কোনও সময় এই রোগে মডার্ন মেডিসিন বা অ্যালোপ্যাথির সাহায্য নিতে হয়। যেমন: হোমিওপ্যাথিতে রোগের লক্ষণ দেখে ওষুধ দিতে হয়, এক একটি উপসর্গে এক-একটি ওষুধ ভালো কাজ করে, তাই অনেক সময়ই খুঁটিয়ে রোগের উপসর্গ বুঝতে কিছুটা সময় লাগে। আর সেই সময় জ্বর হু হু করে বাড়তে থাকলে অনেক সময় প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ রোগীকে দেওয়া হয়। জ্বর একটু আয়ত্তে আনার সঙ্গে সঙ্গে রোগের বাকি চিকিৎসা হোমিওপ্যাথিক পদ্ধতিতে চলে। রোগীর জ্বর প্রথম থেকেই আয়ত্তে থাকলে আলাদা করে প্যারাসিটামল দেওয়ার প্রয়োজনও পড়ে না। আসলে যে কোনও রোগের চিকিৎসায় যদি হোমিওপ্যাথি ও মডার্ন মেডিসিন দুই-ই একসঙ্গে রোগীকে দেওয়া হয় ও ভালো ফল পাওয়া যায়, তাহলে তাতে কোনও অন্যায় নেই। রোগীর আরোগ্যই যেখানে বড় কথা, সেখানে – ( মিক্সোপ্যাথি )-র ভ্রান্তি না ছড়ানোই ভালো।
🇨🇭 থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া -হলে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ভালো হয়।
🇨🇭 ডেঙ্গু’র হোমিওপ্যাথি ওষুধ?
🧪 ইউপেটোরিয়াম- পারফোলিয়েটাম:
এই রোগের আর এক নাম ‘ব্রেক বোন ফিভার’। তাই বহু রোগীর জ্বরের সঙ্গে গা-হাত-পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা ও হাড়ভাঙার মতো যন্ত্রণা থাকে। প্রায় নড়াচড়া করতে পারেন না রোগী। এইসব ক্ষেত্রে ইউপেটোরিয়াম কাজের হতে পারে।
🧪 রাসটাকস: রোগী শুয়ে থাকলে যন্ত্রণা বাড়ছে, চলাফেরা করলে গা-হাত-পায়ে ব্যথাটা কমছে। সঙ্গে জ্বর আছে। এইক্ষেত্রে দেওয়া যায়।
🧪 ব্রায়োনিয়া: গায়ে জ্বর, খুব ক্লান্তি, সঙ্গে রোগী শুয়ে থাকলে যন্ত্রণা কমছে। চলাফেরা করতে গেলেই যন্ত্রণা খুব বাড়ছে। এইসব উপসর্গে ব্রায়োনিয়া অসম্ভব কার্যকর হতে পারে।
🧪 হিপারসালফ: শরীরে অসম্ভব শীতবোধ রয়েছে, গা থেকে একটু চাদর সরালেই খুব ঠান্ডা লাগছে, এদিকে ঘামও হচ্ছে অল্প, সঙ্গে জ্বর এবং গায়ে ব্যথাও রয়েছে—এইসব উপসর্গে হিপারসলফ উপকারী হতে পারে।
🧪 অ্যান্টি ক্রুড: রোগীর জিভ সাদা হয়ে এসেছে, কিছু খেতে ইচ্ছে করছে না, অরুচি ও ক্ষুধামান্দ্য থাকছে, এইসব ক্ষেত্রে অ্যান্টি ক্রুড দেওয়া যেতে পারে।
🧪 ক্রোটেলাস হরিদাস: জ্বর, গা-হাত-পায়ে ব্যথা, সঙ্গে নাক দিয়ে কালো রক্ত পড়ছে। সেক্ষেত্রে রোগীর প্রেসক্রিপশনে যেন অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে এই ওষুধটিও অবশ্যই থাকে।
🧪 ফসফরাস: রোগীর সবরকম উপসর্গের সঙ্গে রক্ত পরীক্ষায় দেখা গেল প্লেটলেট খুব কম। এমনকী, নাক দিয়ে রক্ত বেরলে এবং তার রং উজ্জ্বল লাল হলে রোগীকে ফসফরাস দিতে হবে।
🧪 সালফার: এই ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে ডেঙ্গু সেরে যাওয়ার পর। এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কমে যায়। তাই তখন রোগী যাতে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত না হন ও তাঁর রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ে, সেদিকে নজর রেখে এই ওষুধ দিতে হবে।
🧪 ডোজ?
এই সব ওষুধের ডোজ চিকিৎসক ঠিক করবেন। রোগীর লক্ষণ ও রোগের ধরন দেখে কখনও- 200 CH, কখনও – 30 CH, এভাবে রোগের মোকাবিলা করতে হবে। একটি ডোজ দেওয়ার পর রোগ কিছুটা কমে এলে, একটু ধৈর্য ধরতে হবে। পরপর নানা ডোজের ওষুধের প্রয়োগে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই ডোজ কেমন হবে তা রোগী বা তাঁর পরিজন কখনও ঠিক করবেন না। এই দায়িত্ব একমাত্র চিকিৎসকের।
✅ ডেঙ্গু হওয়ার আগেই প্রতিরোধ: ধরা যাক, ডেঙ্গুর মরশুমে এলাকায় বা বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের খুব ডেঙ্গু হচ্ছে। এমন অবস্থায় আক্রান্ত হননি এমন মানুষ প্রতিরোধক কিছু ওষুধেও ভরসা করতে পারেন। উপসর্গ না থাকলেও সেই ওষুধ খেতে পারেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা বাড়ে। সেক্ষেত্রে দেখতে হয়, ওই পাড়ায় যাঁদের ডেঙ্গু হচ্ছে, তাঁদের ঠিক কী কী উপসর্গ থাকছে। সেই অনুসারে প্রতিরোধী ওষুধ দেওয়া হয়। এতে তাঁরা অনেকটাই নিরাপদে থাকেন। অসুখ না হওয়ার আশঙ্কাই বেশি থাকে। অসুখ হলেও অতটা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে নাও যেতে পারে না।
✅ প্রতিরোধের প্রচলিত উপায়: ডেঙ্গু প্রতিরোধের কিছু সামাজিক নিয়ম আছে। চারপাশে যাতে মশা না জন্মাতে পারে, সেই ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করা, জল ও আবর্জনা জমতে না দেওয়া, মশারি টাঙিয়ে শোওয়া, যতটা সম্ভব ফুলস্লিভ জামাকাপড় পরে বাইরে যাওয়া, ত্বকে কোনও সমস্যা না থাকলে মশা নিরোধক স্প্রে বা ক্রিম ব্যবহার করা- এগুলি মেনে চলতে হবে।
🇨🇭 প্লেটলেট সংখ্যা কমে যাওয়া উদ্বেগের কারণ!
🩸 প্লেটলেট সংখ্যা হ্রাস
সঠিক রোগ নির্ণয়ই স্বাস্থ্যকর জীবনের একমাত্র রক্ষাকবচ।
পরিবেশের পরিবর্তনের কারণে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও ভাইরাল জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে। এই অবস্থার ফলে আক্রান্তদের প্লেটলেট সংখ্যা কমে যায়। উত্থাপিত প্রশ্ন অন্তর্ভুক্ত, প্লেটলেট কি? এবং কখন একজনকে তাজা প্লেটলেট দেওয়া উচিত? আমরা রক্ত সঞ্চালন সম্পর্কে শুনেছি, কিন্তু আমাদের মধ্যে খুব কমই এটি সম্পর্কে সচেতন এবং প্লেটলেট ট্রান্সফিউশন সম্পর্কে বিভ্রান্ত।
🩸 প্লেটলেট কি কি?
রক্তকণিকা তিন প্রকার- শ্বেত রক্তকণিকা, লোহিত রক্তকণিকা এবং প্লেটলেট। শ্বেত রক্তকণিকা রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। লোহিত রক্ত কণিকায় হিমোগ্লোবিন থাকে যা শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন পরিবহনে সাহায্য করে। প্লেটলেট দুর্ঘটনা এবং আঘাতের পরে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। লক্ষণীয়ভাবে, প্লেটলেটের প্রকৃতি এবং গণনা ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে পৃথক হয়। সাধারণত, শরীরে 1.5 থেকে 4.5 লক্ষ প্লেটলেট থাকে মাত্র সাত থেকে দশ দিনের জীবন। অস্থি মজ্জাতে উত্পাদিত তাজা প্লেটলেটগুলি মৃত প্লেটলেটগুলিকে প্রতিস্থাপন করে। এটি শুধুমাত্র পর্যাপ্ত সংখ্যাই নয়, প্লাটিলেটের গুণমানও, যা রক্ত জমাট বাঁধতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
🇨🇭 থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া -হলে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ভালো হয়।
আরো পড়ুনঃ হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস হোমিও ট্রিটমেন্ট।
🩸 প্লেটলেট সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ কী?
প্লেটলেট সংখ্যা কমে যাওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া এবং ভাইরাল জ্বর প্লেটলেটের সংখ্যা হ্রাসের প্রাথমিক কারণ। বংশগত কারণ এবং ওষুধের কারণেও এই অবস্থা হতে পারে। সাধারণত, যাদের হৃদরোগ আছে তারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ ব্যবহার করে প্লেটলেটের গুণমানকে দৃঢ়ভাবে প্রভাবিত করে যার ফলে তাদের কর্মক্ষমতা কম হয়, যার ফলে শরীরের রক্ত জমাট বাঁধার কার্যকলাপে বিপর্যয়কর প্রভাব পড়ে।
🩸 প্লেটলেট সংখ্যা হ্রাসের সাথে সম্পর্কিত লক্ষণগুলি কী?
সাধারণত, প্লেটলেটের সংখ্যা-10 হাজারের নিচে না আসা পর্যন্ত কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। একবার প্লেটলেটের সংখ্যা প্রয়োজনীয় সংখ্যার নিচে নেমে গেলে, অভ্যন্তরীণ অঙ্গে রক্তক্ষরণ হয়। রক্তক্ষরণ মুখ, মাড়ি এবং নাকের ভিতরে রক্তপাত হিসাবে স্পষ্ট। যাইহোক, এই উপসর্গগুলি কম প্লেটলেট সংখ্যার প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যে দেখা যায় না।
🩸 রক্তের কিছু কোষ অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পায়, যার ফলে ক্যান্সার কোষ তৈরি হয়। একবার এই ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষগুলি বিভিন্ন রক্তের কোষকে প্রভাবিত করে, লক্ষণগুলি স্পষ্টভাবে স্পষ্ট হয়। যদি ক্যান্সার কোষগুলি শ্বেত রক্ত কোষকে প্রভাবিত করে তবে এটি ক্লান্তি এবং শ্বাসকষ্টের দিকে পরিচালিত করে। যখন ক্যান্সার কোষগুলি প্লেটলেট গুলিকে সংক্রামিত করে তখন শরীরের কোনও অঙ্গে মারাত্মক রক্তক্ষরণ হতে পারে।
🇨🇭 কার প্লেটলেট ট্রান্সফিউশন প্রয়োজন?
🩸 এটা নিয়ম নয় যে, প্লেটলেট সংখ্যা কমে যাওয়া সকল লোকেরই ট্রান্সফিউশন প্রয়োজন। ( WHO )- এর নির্দেশিকা অনুসারে, যতক্ষণ না তাদের সংখ্যা দশ হাজারের নিচে নেমে আসে ততক্ষণ পর্যন্ত প্লেটলেট ট্রান্সফিউশন করা উচিত নয়, কারণ শরীর প্রাকৃতিকভাবে সময়ে সময়ে পর্যাপ্ত প্লেটলেট তৈরি করে। যাইহোক, অভ্যন্তরীণ অঙ্গের রক্তপাতের সময়, যখন প্লেটলেটের সংখ্যা দশ হাজারের নিচে হয়, তখন অবিলম্বে প্লেটলেট স্থানান্তর অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
🇨🇭 প্লেটলেট কাউন্টের পতন বোঝার জন্য সঠিক রোগ নির্ণয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, প্লেটলেট গণনা হ্রাস বোঝার জন্য, উপযুক্ত রোগ নির্ণয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে, পর্যাপ্ত প্লেটলেট ট্রান্সফিউশনের সাথে ওষুধ খাওয়া উচিত। যাইহোক, ভাইরাল সংক্রমণের ক্ষেত্রে, প্লেটলেট গণনা দশ দিনের মধ্যে স্বাভাবিক হতে পারে। ম্যালেরিয়ার সময়, সঠিক চিকিত্সা প্লেটলেট গণনা স্বাভাবিক করতে সাহায্য করবে। হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের, যারা রক্ত পাতলা করে, তাদের ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে। সঠিক রোগ নির্ণয় নিশ্চিতভাবে মূল কারণ সনাক্ত করতে সাহায্য করে যা প্লেটলেট সংখ্যা হ্রাসের জন্য দায়ী।
🩸 প্লেটলেট সংখ্যা হ্রাসের জন্য সর্বশেষ চিকিত্সা
প্লেটলেট সংখ্যা হ্রাসের জন্য দায়ী শরীরের মূল কারণ বা সমস্যা এলাকা সনাক্ত করা সহজ হয়ে গেছে। আগে প্লেটলেট কাউন্ট কমে গেলে এর অর্থ হত আক্রান্তের মৃত্যু। সাম্প্রতিক সময়ে, উদ্ভাবনী প্রযুক্তিগুলি প্লেটলেট কমে যাওয়ার প্রাথমিক রোগ নির্ণয়ে সাহায্য করছে। প্লেটলেট হ্রাসের অবস্থার জন্য নতুন এবং সর্বশেষ চিকিত্সাগুলি বৃহত্তর বেঁচে থাকার হার অর্জনে সহায়তা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে প্লেটলেট ট্রান্সফিউশনে কার্যকর উপায় অবলম্বন করা। সিঙ্গেল ডোনার প্লেটলেট (SDP) এবং র্যান্ডম ডোনার প্লেটলেট (RDP) হল প্লেটলেট ট্রান্সফিউশনের দুটি পদ্ধতি। এসডিপিতে, রক্তদাতার প্লেটলেট সহ রক্ত ট্রান্সফিউশনের জন্য নেওয়া যেতে পারে। যাইহোক, আরডিপি-তে ট্রান্সফিউশন নেওয়ার আগে প্লেটলেটগুলি রক্ত থেকে আলাদা করা হয়। আরডিপির চেয়ে এসডিপি পছন্দ করা হয়, কারণ এটি রক্ত থেকে পঞ্চাশ থেকে ষাট হাজার প্লেটলেট সংগ্রহের অনুমতি দেয়।
🇨🇭 থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া -হলে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ভালো হয়।
✅ বিটের রস প্লাটিলেট বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
🩸 প্লাটিলেট হলো রক্তের কোষ, যা রক্তকে জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। একজন সুস্থ মানুষের প্রতি 100- মিলিমিটার রক্তে প্লাটিলেটের মাত্রা দেড় থেকে চার লাখ থাকা উচিত। প্লাটিলেটের ওপর নির্ভর করে মানুষের সুস্থ থাকা। আর তাই শরীরে প্লাটিলেটের অভাব হলে সহজে ক্লান্ত হয়ে যেতে পারেন। খুব সহজে আঘাত পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। নিয়মিত ভিটামিন, বি – 12 খেলে শরীরে প্লাটিলেটের পরিমাণ বাড়ে। যেকোনো আমিষ খাবারেই এই ভিটামিন, বি-12 প্রচুর পরিমাণে থাকে।
✅ ডেঙ্গুর কারণে এই প্লাটিলেটের মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে কমে যেতে পারে। জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে এই প্লাটিলেটের মাত্রা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়। রক্তে কমে যাওয়া প্লাটিলেটের পরিমাণ আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কিছু খাবারের বিশেষ ভূমিকা আছে।
✅ পেঁপে এবং পেঁপের পাতা- প্লাটিলেট বাড়াতে কার্যকর!
মালয়েশিয়াভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজিতে করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে, পেঁপে পাতার রস ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর রক্তে কমে যাওয়া প্লাটিলেটের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। পাকা পেঁপের জুসও প্লাটিলেটের পরিমাণ বাড়াতে পারে। এ জন্য কারও রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ কমে গেলে তাঁকে প্রতিদিন তাজা পেঁপে পাতা বেটে রস বের করে 01 চামচ করে দুই বেলা খাওয়ানোর পাশাপাশি পাকা পেঁপের জুসও খেতে দিতে পারেন।
✅ মিষ্টিকুমড়ায় রয়েছে রক্তে প্লাটিলেট তৈরির উপাদান!
মিষ্টিকুমড়া ও কুমড়ার বীজ,
মিষ্টিকুমড়ায় রয়েছে রক্তে প্লাটিলেট তৈরির উপাদান ভিটামিন ‘এ’। রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ বাড়াতে তাই নিয়মিত মিষ্টিকুমড়া খেতে পারেন। মিষ্টিকুমড়ার বীজেও রয়েছে প্লাটিলেট বৃদ্ধিকারী উপাদান। তাই ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার কারণে রক্তে প্লাটিলেট কমে গেলে তাঁকে নিয়মিত মিষ্টিকুমড়া ও মিষ্টিকুমড়ার বীজ খেতে দিন।
✅ পালংশাক:
ভিটামিন- K, সমৃদ্ধ খাবার প্লাটিলেট বাড়াতে সাহায্য করে। তাই ভিটামিন- K, সমৃদ্ধ খাদ্য হিসেবে আপনি পালংশাককে বেছে নিতে পারেন। এতে ফোলেটও রয়েছে, যা প্লাটিলেট এবং কোষের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
✅ লেবুর রস:
লেবুর রসে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ বাড়াতে খুবই সহায়ক। এ ছাড়া এতে থাকা ভিটামিন ‘সি’ প্লাটিলেটকে ধ্বংস হওয়া থেকে রক্ষা করে, রোগ প্রতিরোধেও ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। তাই ডেঙ্গু রোগীকে লেবু শরবত খাওয়ানো উচিত।
✅ আমলকী:
আমলকীতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ডেঙ্গু রোগীরা নিয়মিত আমলকী খেলে তাদের রক্তের প্লাটিলেট ধ্বংস হওয়া থেকে রক্ষা পাবে। সেই সঙ্গে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
✅ বিটের রস: বিটের রসও দারুণ কার্যকর!
বিটের রস মুক্ত র্যাডিকেলের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে এবং ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে দ্রুত প্লাটিলেট বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাই বিটের রস খেতে পারেন।
✅ অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর রস: অ্যালোভেরার রয়েছে রক্তকে বিশুদ্ধ করার ক্ষমতা। রক্তে যেকোনো জীবাণুর সংক্রমণ রোধ করতেও অ্যালোভেরা কার্যকরী। তাই রক্তের প্লাটিলেটের পরিমাণ বাড়াতে ডেঙ্গু রোগীকে নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস পান করাতে পারেন।
✅ ডালিমের রস:
অনেকের কাছে ডালিম ফলটি খুবই প্রিয়। ডালিমের রস রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, কারণ এতে রয়েছে প্রচুর আয়রন। এ ছাড়া ডালিমের রসে থাকা ভিটামিন শরীরের দুর্বলতা দূরীকরণেও কাজ করে। তাই রোগীকে প্রতিদিন-150 মিলিলিটার, ডালিমের জুস খেতে দিন। এই অভ্যাস দুই সপ্তাহ পর্যন্ত চালু রাখুন।
✅ খেয়াল রাখা জরুরি!
ডেঙ্গু রোগীর হজমশক্তি অনেকাংশে কমে যায় বলে বমি ও পেটব্যথা হতে পারে। রোগীর যকৃতে অস্বাভাবিকতা সৃষ্টি হয়ে রক্তে এসজিপিটির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। তাই রোগীকে বাড়তি মসলা ও তেলচর্বিযুক্ত খাবার না খাওয়ানো ভালো। তবে তার খাবারে পর্যাপ্ত আমিষ উপাদান থাকা জরুরি। এ জন্য তাকে মাছ, মুরগি, দুধ, ডিম প্রভৃতি উপকরণে তৈরি বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে দিতে হবে।
🇨🇭 থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া -হলে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ভালো হয়।
🇨🇭 হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়। একজন হোমিও ডাক্তারের/ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। সাইড ইফেক্ট নেই এমন হোমিওপ্যাথি ঔষধ কাজে লাগাবেন। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য পরবর্তী ধাপগুলো অর্থাৎ- যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থতা অর্জন করতে পারবেন। হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় Homeo হোমিও ওষুধ খান।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ( রেজি: নং- 35423 )
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
🇨🇭 আমার এই 3-টি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801973-962203
+8801302-743871
( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।
☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।
☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।