গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা। Health Consciousness of Pragnent Women

গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা। Health Consciousness of Pragnent Women

🇨🇭 গর্ভাবস্থার শেষ 3 মাসকে বলা হয় থার্ড ট্রাইমেস্টার বা তৃতীয় ত্রৈমাসিক কাল। এ সময় একজন গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা কেমন হবে তা জেনে নিই:

🩸 রক্ত জমাট বাঁধার জন্য ভিটামিন- K, অপরিহার্য, যা প্রসবের পর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

🩸তাই থার্ড ট্রাইমেস্টারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন- K, সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন। যাতে সন্তান জন্মদানের সময় এই ভিটামিনের ঘাটতি না হয়।

🩸 ফার্স্ট এবং সেকেন্ড ট্রাইমেস্টারের মতো রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করার জন্য আপনার থার্ড ট্রাইমেস্টারে ও আয়রন একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। আপনি যদি রক্তস্বল্পতায় আক্রান্ত হন এবং এই অবস্থার চিকিৎসা না করা হয় তাহলে সময়ের আগেই প্রসব হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

🩸 গর্ভাবস্থায় শেষ 3 মাসে শিশুর ওজন দ্রুত বাড়তে থাকে। এজন্য এই সময়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। ফার্স্ট ও সেকেন্ড ট্রাইমেস্টারের তুলনায় এ সময় ক্যালরি চাহিদাও কিছুটা বেড়ে যায়। তাই এ সময় অন্তত 400 ক্যালরি অতিরিক্ত গ্রহণ করতে হবে।

🩸 চর্বি ও অন্যান্য যেসব খাবার দ্রুত ওজন বাড়ায় সেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। এই সময় ডাক্তার মা ও শিশুর ওজনের ওপর ভিত্তি করে ডায়েট গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যদি শিশুর ওজন প্রয়োজনের চেয়ে কম হয় তাহলে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন।

গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা। Health Consciousness of Pragnent Women

🇨🇭 গর্ভাবস্থায় শেষ 3 মাসের খাদ্য তালিকা:

🩸 এই সময়টাতে শিশুর ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে পুষ্টির চাহিদা বেড়ে যায়। আর এজন্য গর্ভবতী মাকে এ সময় অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।

🩸 থার্ড ট্রাইমেস্টারে রক্তস্বল্পতা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই বেশি বেশি আয়রনযুক্ত খাবার খেতে হবে। বাদাম, কলা, ডাবের পানি, পালং শাক, মটরশুঁটি, মসুর ডাল, সবুজ শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি খাবারে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে। সর্বাধিক পরিমাণে আয়রন শোষণে প্রয়োজন ভিটামিন- C, সাইট্রাস ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-C, থাকে।

🩸 এ সময় ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডির চাহিদা বেড়ে যায়। ক্যালসিয়াম শোষণের জন্য ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার যেমন: ডিমের কুসুম, গরু ও খাসির কলিজা, মাশরুম, কমলা, মাল্টা ইত্যাদি, খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। সেইসঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন- D, সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে হবে। এ ছাড়াও প্রতিদিন সকাল 10 টা থেকে বিকাল 3 টার মধ্যে অন্তত 10 থেকে 15 মিনিট গায়ে রোদ লাগাতে হবে৷

🩸 শিশুর হাড়কে মজবুত করার জন্য প্রয়োজন ক্যালসিয়াম। ডেইরি মিল্ক, ব্রকলি, বাদাম,দই ইত্যাদি খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে যা গর্ভবতী মায়েদের ক্যালসিয়ামের যোগান দিতে পারে।

🩸 এ সময়ে প্রয়োজন বাড়তি ক্যালরি। কিসমিস, খেজুর ইত্যাদি শুকনো ফল যোগান দেবে বাড়তি ক্যালরির।

🩸 মাছ, ডিম, ডাল ও অন্যান্য প্রোটিন জাতীয় খাবার কতটুকু পরিমাণে খেতে হবে সেটা নির্ভর করবে শিশুর ওজনের ওপর। ডাক্তার প্রয়োজনীয়, পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে শিশুর ওজন জানার পর প্রোটিন জাতীয় খাবার কতটুকু পরিমাণে খেতে হবে সেটা নির্ধারণ করে দেবেন।

🩸 এ সময় খেতে হবে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করবে। বাদামি চাল, শাকসবজি, মটরশুটি, নারিকেল, কাজু বাদাম, চিনাবাদাম ইত্যাদি খাবারে ফাইবার আছে।

🩸 এ সময়ে বাড়তি পুষ্টির চাহিদা মেটাতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ফলিক অ্যাসিড, আয়রন, ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে।

🇨🇭 গর্ভাবস্থায় যেসব খাবার খাওয়া উচিত নয়, গর্ভাবস্থায় কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

🩸কাঁচা বা আধাসেদ্ধ শাকসবজি গর্ভাবস্থায় খাওয়া উচিত নয়। খাবারের কারণে বদহজম যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অবশ্যই শাকসবজি খেতে হবে কিন্তু সেটা তাজা ও ভালোভাবে রান্না করা হতে হবে।

🩸 যেহেতু গর্ভাবস্থায় বিশেষ করে থার্ড ট্রাইমেস্টারে উচ্চ রক্তচাপের একটা ঝুঁকি থাকে তাই খুব বেশি লবণ খাওয়া যাবে না। তাছাড়া লবণ ও অন্যান্য লবণযুক্ত খাবার বেশি খাওয়ার ফলে পায়ে পানি আসতে পারে।

🩸 এ সময় ঝাল, ঝাঁঝালো, তৈলাক্ত ও ক্যাফেইন জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়।

🩸গর্ভাবস্থায় উচ্চ শর্করা জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। কারণ গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের ঝুঁকি রয়েছে। তাই মিষ্টি, মিষ্টি জাতীয় খাবার অথবা উচ্চ শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়।

🇨🇭 তবে মনে রাখবেন, প্রতিটি মানুষের শরীর আলাদা ধরনের। তাই গর্ভধারণের পর খাদ্যাভ্যাসের বিষয়ে আপনার নিয়মিত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেবেন।

🇨🇭 গর্ভবতী মায়ের মর্যাদা ও করণীয়:

🩸 গর্ভধারণ মানব জন্মের এক বিশেষ প্রক্রিয়া। মাতৃত্বের মর্যাদাপূর্ণ এ অবস্থা –
আল্লাহ তাআলা, নারীকে দান করেছেন এককভাবে।

🩸 নারীর গর্ভাশয়ে আল্লাহর অদৃশ্য কুদরত চলমান থাকে এ সময়ে। গর্ভবতী নারীদের এ এক পরম সৌভাগ্য।

❤ একটি হাদিসে – নারীর সন্তান ধারণের ত্যাগ ও কষ্টকে ফজিলতপূর্ণ আমল হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে।

রাসুল (সা.) বিখ্যাত নারী সাহাবি উম্মে সালামা (রা.) কে বলেছিলেন, তোমাদের কেউ কি এতে খুশি নয় যে সে যখন স্বামীর পক্ষ থেকে গর্ভবতী হয় এবং স্বামী তার প্রতি সন্তুষ্টও থাকে, তখন ( এই গর্ভকালীন ) সে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সর্বদা রোজা পালনকারী ও সারা রাত নফল ইবাদতকারীর মতো সওয়াব পেতে থাকবে। তার যখন প্রসব ব্যথা শুরু হয়, তখন তার জন্য নয়ন শীতলকারী কী কী নিয়ামত লুকিয়ে রাখা হয়, তা আসমান-জমিনের কোনো অধিবাসীই জানে না। সে যখন সন্তান প্রসব করে, তখন তার দুধের প্রতিটি ফোঁটার পরিবর্তে একটি করে নেকি দেওয়া হয়।

❤ এ সন্তান যদি কোনো রাতে তাকে জাগিয়ে রাখে ( অসুখ ইত্যাদির কারণে বিরক্ত করে মাকে ঘুমাতে না দেয় ) তাহলে সে আল্লাহর পথে নিখুঁত 70 টি গোলাম আজাদ করার সওয়াব পাবে। ( তাবরানি, হাদিস : 6908 )

❤ গর্ভস্থ ভ্রূণ মায়ের রক্ত গ্রহণের মাধ্যমে ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে। এ সময় মায়ের চিন্তা-চেতনা ও মন-মানসিকতার বিরাট প্রভাব পড়ে সন্তানের ওপর। তাই সতর্ক চালচলন ও সুষম খাদ্য গ্রহণের পাশাপাশি চিন্তামুক্ত জীবনযাপন ও উন্নত আমলের প্রতি মনোযোগী হতে হবে মায়েদের।

❤ গর্ভাবস্থায় নারীদের নির্দিষ্ট কোনো আমল নেই। তবে সন্তানের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ধরে রাখতে হলে দৈনন্দিনের প্রতিটি আমল যথাযথভাবে আদায় করতে হবে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি আমলে বিশেষ গুরুত্ব দিলে আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসন্তানের আশা করা যেতে পারে।
গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা

❤ প্রথমত, হারাম খাবার থেকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। এ সময় যেহেতু মায়ের রক্ত গ্রহণ করে সন্তান বড় হয়, তাই এই রক্তে যেন পাপের সংমিশ্রণ না থাকে।

❤ দ্বিতীয়ত, হারাম কাজ যেমন : পরপুরুষের প্রতি
কুদৃষ্টি ও কুকল্পনা করা, টিভি কিংবা ডিভাইসের মাধ্যমে অনৈতিক কোনো কিছু উপভোগ করা, বেপর্দা চলাফেরা করা, প্রয়োজন ছাড়া ঘর হতে বের হওয়া, এসব থেকে বিরত থাকতে হবে, অন্যথায় সন্তানের মাঝে এর কুপ্রভাব পড়তে পারে। কষ্ট হলেও মায়েরা যদি চরিত্রবান সন্তানের আশায় গুনাহমুক্ত জীবনাচারে সচেষ্ট হন, আশা করা যায় আল্লাহ তাঁকে নেক সন্তান দান করবেন, যা তাঁর পরবর্তী জীবনকে করবে সুখময়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে – ( কষ্টের সঙ্গেই আছে সুখ। ) ( সুরা : ইনশিরাহ, আয়াত : 6 )

❤ নামাজের প্রতি যত্নবান হওয়া:

🩸 নামাজ আবশ্যকীয় ইবাদত। মন্দ ও অশ্লীলতা থেকে দূরে রাখার পাশাপাশি নামাজ অন্তরে স্থিরতা ও প্রশান্তি আনে। গর্ভকালে মায়েদের মধ্যে অশান্তি ও অস্থিরতা কাজ করে বেশি। তাই যথাসময়ে ফরজ নামাজ ও বেশি বেশি নফল নামাজের মাধ্যমে গর্ভবতী মায়েরা মানসিকভাবে শান্তি ও তৃপ্তি লাভ করতে পারেন। নামাজের সময় হলে রাসুল (সা.) বেলাল (রা.) কে বলতেন, নামাজের ব্যবস্থা করো এবং এর মাধ্যমে আমাকে তৃপ্ত করো।
( আবু দাউদ, হাদিস : 4333 )

❤ আল্লাহর জিকির করা:

❤ গর্ভবতী মায়েদের দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা দূর করতে আরেকটি কার্যকর পন্থা হলো জিকির। অবসরে ছোট ছোট জিকিরে সময় ব্যয় করতে পারলে হতাশা ও দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকা যায়।

❤ আল্লাহ তাআলা বলেন, যারা ঈমান আনে এবং আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে যাদের অন্তর প্রশান্ত হয়, জেনে রেখো, আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমেই অন্তর প্রশান্ত হয়। ( সুরা : রাদ, আয়াত : 28 )

❤ শুকরিয়া আদায় করা:

❤ নারীর জন্য মাতৃত্ব আল্লাহর বিশেষ দান ও সৌভাগ্য। অনেক নারী এই সৌভাগ্য থেকে বছরের পর বছর বঞ্চিত থাকেন। সারা জীবন চেষ্টা করেও কোনো কোনো নারী নি:সন্তান থাকেন। তাই মাতৃত্বের উপলব্ধির পর থেকেই আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে থাকা। আল্লাহ তাআলা বলেন, আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো- অকৃতজ্ঞ হয়ো না।
( সুরা : বাকারা, আয়াত : 152 )

❤ কোরআন তিলাওয়াত করা:

❤ কোরআন বরকতময় একটি কিতাব। কোরআন তিলাওয়াতের ফজিলত ও বরকত বহু হাদিসে উল্লেখ আছে। তাই বরকতময় সুসন্তান পেতে হলে নিয়মিত কিছু না কিছু কোরআন তিলাওয়াত করতে হবে। তা ছাড়া, আনুমানিক 20 তম সপ্তাহের পর গর্ভস্থ সন্তান কোনো কিছু শোনার সক্ষমতা অর্জন করে। তাই গর্ভে থাকা সন্তানকে কোরআনের সঙ্গে সম্পর্ক জুড়ে দিতে কোরআনের তিলাওয়াত হতে পারে অন্যতম মাধ্যম।

❤ বেশি বেশি দোয়া করা:

❤ দোয়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে। বিপদাপদে আস্থা ও ভরসা বাড়ায়। গর্ভধারণের নানা জটিলতা ও প্রসব বেদনার কথা মনে করে এ সময়ে মায়েরা অসহায়বোধ করেন। এই অসহায়ত্ব ও দুশ্চিন্তা গর্ভস্থ সন্তানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই এ সময়ে দোয়ার প্রতি মনোযোগী হওয়া উচিত। কারণ গর্ভকালীন দোয়া আল্লাহ কবুল করে থাকেন। আল্লাহ নিজেই বলেছেন, ( বলোতো, কে অসহায়ের ডাকে সাড়া দেন, যখন কেউ ডাকে এবং কষ্ট দূর করে দেন? ) ( সুরা : নামল, আয়াত : 62 )

🩸 সুতরাং নিরাপদ সন্তান জন্মদান এবং সুস্থ ও সুন্দর সুসন্তান কামনায় বারবার দোয়া করা। কোরআনের ছোট এ দোয়াটিও সব সময় পড়া যেতে পারে- ( রব্বি হাবলি মিনাস সলিহিন ) অর্থাৎ ‘হে রব! আপনি আমাকে সৎকর্মশীল সন্তান দান করুন। ( সুরা : সাফফাত, আয়াত : 100 )

❤ আল্লাহ প্রত্যেক গর্ভবতী মাকে সব ধরনের জটিলতা থেকে নিরাপদ রাখুন।

গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা। Health Consciousness of Pragnent Women

❤ গর্ভাবস্থায় সহবাস করার নিয়ম:

💋 গর্ভাবস্থায় সহবাস করার নিয়ম
গর্ভাবস্থায় সহবাস করার নিয়ম অনেকেই জানতে চান। গর্ভবতী মহিলার সাথে সহবাস করলে অনাগত সন্তানের ক্ষতি হবে কিনা তা অনেকেই ভাবছেন। বিশেষ করে মহিলাদের গর্ভাবস্থায় সহবাস করা সম্ভব কিনা তা নিয়ে বেশি সন্দেহ থাকে। উত্তর প্রায় সবসময় বা ‘হ্যাঁ’ অধিকাংশ মহিলাদের জন্য. আপনার গর্ভাবস্থা স্বাভাবিক হলে, প্রসব বেদনা শুরু হওয়ার আগে শিশুটি গর্ভে থাকাকালীন আপনি সহবাস করতে পারেন। সহবাসের সময় স্বাভাবিক নড়াচড়া ভ্রূণের কোন ক্ষতি করে না। ভ্রূণটি তলপেটে এবং জরায়ুর শক্ত পেশী দ্বারা সুরক্ষিত থাকে।

💋 গর্ভাবস্থায় সহবাস করার নিয়ম জানার আগে জানতে হবে যৌন মিলনের সময় পুরুষের যৌনাঙ্গ নারীদের যৌনাঙ্গের মতোই প্রবেশ করে। এটি ভ্রূণের কাছে পৌঁছাতে পারে না। গর্ভাবস্থায় সহবাস করার নিয়ম তাই ভ্রূণের কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। মিলনের পর অর্গ্যাজম শিশুর নড়াচড়া বাড়িয়ে দিতে পারে। এর কারণ অর্গ্যাজমের পর আপনার হার্টবিট বেড়ে যায় গর্ভাবস্থায় মিলনের ফলে শিশুর কোনো অসুবিধার কারণে নয়। গর্ভাবস্থায় সহবাস এটি ক্ষণস্থায়ী এবং ক্ষতিকারক নয়।

💋 গর্ভাবস্থায় সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে, অর্গ্যাজমের কারণে সংকোচনের ফলে গর্ভপাত বা প্রসব বেদনা হয় না। তাই নিচের সমস্যা না থাকলে গর্ভাবস্থায় সহবাসে কোনো সমস্যা নেই। গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস এবং শেষ তিন মাসে সহবাস করলে ভ্রূণের ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। যদিও এই ধারণা সঠিক নয়। গর্ভাবস্থায় সহবাস করার নিয়ম হল গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস এবং শেষ তিন মাসে সহবাস না করাই ভাল।

💋 কিভাবে গর্ভাবস্থায় সহবাস করবেন?

💋 কিভাবে গর্ভাবস্থায় সহবাস করবেন অনেকেকেই জানতে চান। কিভাবে গর্ভাবস্থায় সহবাস করলে কোন ধরণের ক্ষতি হবে না। যারা গর্ভাবস্থায় সহবাস করবেন তাদের মাথায় রাখতে হবে তার ভিতরে বেবি আছে সেই কথা রেখে সহবাস করতে হবে। তবে কিভাবে গর্ভাবস্থায় সহবাস করবেন আর কোন পজিশনে করবেন সেটি আপনাদের দুজনের মধ্যে নির্ভর করবে। আপনার সঙ্গিনী যে স্টাইলে চাবে মানে যেবাবে সহবাস করলে দুজনের ফিলিংস কাজ করে সেবাবে করতে পারেন। তবে এমন কোন স্টাইল ফলো না করাই বেটার যে স্টাইলে আপনার সঙ্গিনী কষ্ট বোধ করে। তাই কিভাবে গর্ভাবস্থায় সহবাস করবেন সেটার উত্তম উপায় আপনারাই ভাল জানেন। কারণ একেকজনের ভাল লাগার স্টাইল একেক রকম।

💋 গর্ভাবস্থায় সহবাস করা যাবে কি?

গর্ভাবস্থায় সহবাস করা নিরাপদ কিনা তা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন থাকে। বিশেষ করে গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস এবং শেষ তিন মাস সহবাসে ভ্রূণের ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করেন অনেকে। যদিও এই ধারণা সঠিক নয়। যদি আপনার গর্ভাবস্থা স্বাভাবিক হয় এবং আপনার ডাক্তার আপনাকে কিছু স্বাস্থ্য জটিলতার জন্য যৌন মিলন থেকে বিরত থাকার পরামর্শ না দিয়ে থাকেন, তাহলে গর্ভাবস্থায় সহবাস করা আপনার জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং ঝুঁকিমুক্ত গর্ভাবস্থায় সহবাস করা যাবে কি। ভ্রূণের কোন প্রকার আঘাত বা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে গর্ভাবস্থায় সহবাস করার নিয়ম যৌন মিলনের ইচ্ছা কমে যায় বা ইচ্ছা পরিবর্তন হয়। এই স্বাভাবিক চিন্তার কোন কারণ নেই। যদি তাই হয়, আপনার সঙ্গীর সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করুন। এ ক্ষেত্রে যোগাযোগ এবং পারস্পরিক গর্ভাবস্থায় সহবাস করা যাবে কি বোঝাপড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

💋 গর্ভাবস্থায় সহবাস কি গর্ভের বাচ্চার কোনো ক্ষতি করে?

💋 যদি আপনার গর্ভাবস্থা স্বাভাবিক এবং জটিলতা মুক্ত হয়, তবে শুধুমাত্র যৌন মিলনের কারণে গর্ভপাত বা প্রাথমিক প্রসবের কোন সম্ভাবনা নেই। যাইহোক, গর্ভাবস্থার শেষের দিকে, আপনি মিলনের কারণে জরায়ুতে হালকা সংকোচন অনুভব করতে পারেন। এটি আপনার জরায়ুর পেশী শক্ত বা টান অনুভব করবে। এই ধরনের সংকোচনকে ডাক্তারি ভাষায় ( Braxton Hicks Contractions ) বলা হয়। এটি আপনাকে কিছুটা অস্বস্তি বোধ করতে পারে, তবে এটি আসলে প্রসব ব্যথা নয়।

❤ গর্ভাবস্থার শেষের দিকে এটি কখনও কখনও যৌন মিলন ছাড়া অন্য কারণে অনুভূত হতে পারে, এমনকি নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই। কোন চিন্তা নেই, এটি একটি স্বাভাবিক গর্ভাবস্থা। সেক্ষেত্রে আপনি শুয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে পারেন বা অন্য কিছুতে মনোযোগ দিয়ে আরাম করার চেষ্টা করতে পারেন। সাধারণত এই মৃদু সংকোচনগুলি কিছুক্ষণ পরে নিজেরাই চলে যায়।

💋 গর্ভাবস্থায় কখন সহবাস এড়িয়ে চলা উচিত?

গর্ভাবস্থায় কখন সহবাস এড়িয়ে চলা উচিত বলে অনেকেই মনে করতে পারেন। কিন্ত গর্ভাবস্থায় কখন সহবাস এড়িয়ে চলা উচিত নয়। গর্ভাবস্থায় কখন সহবাস এড়িয়ে চলা উচিত নয় তার অন্যতম কারণ মানষিক চাহিদা।গর্ভাবস্থায় কিছু ক্ষেত্রে সহবাস থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়, যদি কোন কারণে মাসিকের রাস্তা দিয়ে ভারী রক্তপাত হয়ে থাকে, ডাক্তার প্রেগন্যান্সিতে গর্ভপাতের সম্ভাবনার কথা বলে থাকে, বা পূর্বে কখনও গর্ভপাত হয়ে থাকে, জরায়ুমুখে কোন দুর্বলতা বা জটিলতা থাকে, পূর্বের প্রেগন্যান্সিতে নির্ধারিত সময়ের আগেই সন্তান প্রসব হয়ে থাকে, প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল নিচে নেমে আসে কিংবা তাতে কোনো কারণে রক্ত জমাট বাঁধে- ডাক্তারি ভাষায় একে ( প্লাসেন্টা প্রিভিয়া ) বলে, যদি প্রসবের আগে পানি ভাঙ্গে, একই সময়ে দুই বা তার বেশি- জমজ সন্তান ধারণ করে থাকেন।

💋 অন্ত:সত্বা অবস্থায় কি সেক্স করা যায়?

💋 অন্তঃসত্বা অবস্থায় কি সেক্স করা যায় জানতে চায় অনেকে।বেশিরভাগ গর্ভবতী নারীর মনে প্রশ্ন থাকে – অন্তঃসত্বা অবস্থায় কি সেক্স করা যায়?
যদি আপনার গর্ভকালীন সময় স্বাভাবিক ভাবে চলমান থাকে তাহলে আপনি সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায়ও সহবাস করতে পারেন এবং আপনার স্বামী যতদিন পর্যন্ত মানসিক বাঁধায় না থাকেন ততদিন বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করে শাররীক মিলন করতে পারেন। যাই হোক, অনেকগুলো কারণ নির্ভর করে যার ফলে আপনি গর্ভকালীন সময়ের নির্দিষ্ট কিছু সময়ব্যপ্তিতে শারীরিক মিলন করা থেকে বিরত থাকতে হবে তাই বলা অন্তঃসত্বা অবস্থায় সেক্স করা যায়।

অক্সিটোসিন হরমোন ( Oxytocin ) যৌনাসক্তি বৃদ্ধি | ডাঃ মাসুদ হোসেন।
💋 গর্ভাবস্থায় যৌন মিলন কি নিরাপদ ?

💋 গর্ভাবস্থায় সহবাস করার নিয়ম যৌন মিলন কি নিরাপদ জানতে চান অনেকে। গর্ভবতী স্ত্রীর সাথে সহবাস বা সহবাস করলে গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আছে কি না। বিশেষ করে মহিলাদের গর্ভাবস্থায় সহবাস করা সম্ভব কিনা তা নিয়ে বেশি সন্দেহ থাকে। উত্তরটি প্রায় সবসময়ই- হ্যাঁ বেশির ভাগ মহিলাদের জন্য। গর্ভাবস্থার প্রথম 3 মাস এবং শেষ 3 মাস সহবাস থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকতে হবে। শুধুমাত্র ৪র্থ, ৫ম ও ৬ষ্ঠ মাসে যৌন মিলন করা যাবে তবে অবশ্যই নিচের নিয়ম অনুযায়ী। গর্ভাবস্থার ছয় থেকে সাত মাসে একজন নারীর যৌন ইচ্ছা বেড়ে যায়। যৌন মিলন না হলে মহিলার মানসিক ক্ষতি হতে পারে। তাই এবার সেক্স ছাড়াই স্ত্রীকে – রোমাঞ্চ-এর মাধ্যমে সন্তুষ্ট করতে হবে।

💋 গর্ভাবস্থায় সহবাস না করার সাধারণ কারণ:

💋 গর্ভাবস্থায় সহবাস না করার সাধারণ কারণ অনেকগুলো হয়ে থাকে। তার মধ্যে গর্ভাবস্থায় সহবাসের সময় সঠিক পদ্ধতিতে সহবাস না করলে কিংবা ধাক্কা লাগলে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অথবা সহবাসের করার কারণে পেটে ব্যথা ও মৃদু রক্তপাত হতেই থাকে। অপরদিকে অসুরক্ষিত সহবাসের ফলে গর্ভপাত না হলেও শিশু বিকলাঙ্গ জন্মাতে পারে। কিংবা কোন কারনে যৌনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরন হলে । তাই গর্ভকালীন সময়ে অল্প কিংবা বেশি রক্তক্ষরন হলেই হলে সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে।

💋 কি কি কারনে গর্ভকালীন সময় সেক্স থেকে বিরত থাকতে হবে?

💋 কি কারনে গর্ভকালীন সময় সেক্স করা থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ অনেকগুলো হয়ে থাকে। তার মধ্যে গর্ভাবস্থায় সহবাসের সময় সঠিক পদ্ধতিতে সহবাস না করলে কিংবা ধাক্কা লাগলে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অথবা সহবাসের করার কারণে পেটে ব্যথা ও মৃদু রক্তপাত হতেই থাকে। অপরদিকে অসুরক্ষিত সহবাসের ফলে গর্ভপাত না হলেও শিশু বিকলাঙ্গ জন্মাতে পারে। কি কি কারনে গর্ভকালীন সময় সেক্স করা থেকে বিরত থাকতে হবে তারমধ্যে কোন কারনে যৌনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরন হলে । কি কি কারনে গর্ভকালীন সময় সেক্স করা থেকে বিরত থাকতে হবে তাই গর্ভাবস্থায় সহবাস করার নিয়ম গর্ভকালীন সময়ে অল্প কিংবা বেশি রক্তক্ষরন হলেই হলে সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে।

💋 গর্ভের ফুল যদি জরায়ুমুখকে আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ঢেকে রাখে, তাহলে যৌন মিলনের ফলে রক্তপাত ও প্রসবপূর্ব ব্যথা হতে পারে। যদি আপনার ডাক্তার আপনাকে গর্ভাবস্থায় যৌন মিলন থেকে বিরত থাকতে বলেন, তাহলে ডাক্তার কী বোঝাতে চেয়েছেন তা জেনে নিন। ডাক্তার কি আপনাকে যৌন উত্তেজনা,তৃপ্তি থেকে বিরত থাকতে বলেছেন নাকি যৌন উত্তেজনা পরিহার করতে বলেছেন? আর ডাক্তার নিষেধ করলে নিশ্চয়ই জানেন, কতদিন? উদাহরণস্বরূপ, যদি অনেক মহিলার গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে ( প্রথম ত্রৈমাসিকের সময় ) অল্প পরিমাণে রক্তপাত হয়, তবে ডাক্তার বলতে পারেন যে শেষ রক্তপাতের পরে অন্তত এক সপ্তাহের জন্য তাদের যৌন মিলন থেকে বিরত থাকতে হবে।

💋 গর্ভাবস্থায় সহবাস কিভাবে নিরাপদ করা যায়?

💋 গর্ভাবস্থায় সহবাস কিভাবে নিরাপদ করা যায় জাননে তো। অনেক দম্পতির জন্য, গর্ভাবস্থায় সহবাস নিরাপদ, তবে এটি সহজ নয়। যৌন মিলনের জন্য আপনাকে অন্য ধরণের অবস্থান চেষ্টা করতে হতে পারে। গর্ভাবস্থায়, আপনার সঙ্গী যদি আপনার উপরের স্থানের সাথে আপনাকে মিলিত করার চেষ্টা করে, তাহলে আপনি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। এটি শুধুমাত্র আপনার পেটের আকারের কারণে নয় বরং সেই সময়ে আপনার স্তনগুলি অনেক বেশি নরম হওয়ার কারণে। গর্ভাবস্থায় সহবাস কিভাবে নিরাপদ করা যায় আপনার সঙ্গী অতিরিক্ত প্রবেশ করলেও আপনি গর্ভাবস্থায় সহবাস করার নিয়ম সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি আপনার পিঠের উপর শুয়ে থাকতে পারেন অথবা আপনার সঙ্গী আপনার সামনে বা আপনার পিছনে সহবাস করতে পারে।

💋 গর্ভাবস্থায় সহবাস কিভাবে নিরাপদ করা যায়?

💋 ওরাল সেক্স’ নিরাপদ। তবে এক্ষেত্রে আপনার সঙ্গী যেন যোনিপথে ফুঁ না দেয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। এটি কিছু ক্ষেত্রে রক্তনালীতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, যা আপনার এবং আপনার শিশুর জন্য হুমকি হতে পারে। সহবাস থেকে বিরত থাকাই উত্তম। এর কারণ হল ব্যাকটেরিয়া আপনার মলদ্বার থেকে জরায়ুতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ সময় যৌনাঙ্গে কোনো লুব্রিকেটিং তেল বা জেল প্রয়োগ করা উচিত নয়। কারণ এতে চুলকানি বা অ্যালার্জি হতে পারে। সহবাসের পর যৌনাঙ্গ ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। যদি আপনার বা আপনার স্বামীর কোনো ধরনের যৌন রোগ থাকে, তাহলে আপনার গর্ভাবস্থায় যৌন মিলন থেকে বিরত থাকতে হবে।

💋 গর্ভবতী অবস্থায় নারীর জন্য আরামদায়ক যৌন আসন স্টাইল সমুহ:

💋 গর্ভকালীন সময়ে অন্য সময়কালের মত আসনভঙ্গিতে সে করা যায়। এটি মা এবং সন্তানদের জন্য ক্ষতিকর কারণ হতে পারে। তাই এই সময়কালে সেক্স আসন সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী গর্ভবতী অবস্থায় নারীর জন্য আরামদায়ক যৌন আসন স্টাইল সমুহ:

❤ নারী উপরে: নারী নিয়ন্ত্রন থাকে কত গভীর লিঙ্গ প্রতিস্থাপন করতে হবে। এ পদ্ধতিতে ব্যাপক কার্যক্রম নারী নিজের ইচ্ছা,সুবিধা মত করতে পারেন।
গর্ভাবস্থায়, অন্যান্য পিরিয়ডের মতো একই অবস্থানে সহবাস করা সম্ভব নয়। এতে মা ও শিশু উভয়েরই ক্ষতি হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় সহবাস করার নিয়ম এই সময়ের মধ্যে সেক্স সিটের ব্যাপারে সতর্ক থাকা জরুরি।

💋 উপরোক্ত মহিলা: এই আসনে, যৌন প্রতিস্থাপন কতটা গভীর হবে তার উপর মহিলাদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। এভাবে নারীরা তাদের ইচ্ছা,সুবিধা অনুযায়ী বেশিরভাগ কাজই করতে পারে। এইভাবে, গর্ভাবস্থায় সহবাস করার নিয়ম পুরো সময়কালে এমনকি শেষের দিকেও মহিলারা অনেক কম ঝুঁকিতে থাকেন।

💋 পুন:মিলনের একপাশে শুয়ে থাকা:
এই আসনে মহিলা তার হাঁটু ভেঙ্গে তার পাশে শুয়ে থাকবে এবং স্বামী স্ত্রীর পেছন থেকে সহবাস করবে। স্পুনিং সবচেয়ে ভালো কাজ করে যদি পুরুষ নারীর উরুর মাঝ দিয়ে লিঙ্গ বহন করে। এই পদ্ধতিতে তলপেটে কোনো চাপ পড়ে না এবং ধীরে ধীরে মিলনের সুবিধা রয়েছে যা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

💋 হাঁটু এবং হাতের ভর: এই ভঙ্গিটি হামাগুড়ি দেওয়ার সময় শরীরের আকারের অনুরূপ। এই ভঙ্গিটি গর্ভবতী মহিলাদের জন্যও ভাল, এটি পেটে কোনও চাপ দেয় না গর্ভাবস্থায় সহবাস করার নিয়ম। আমাদের দেশে বিভিন্ন বিষয়ে এ জ্ঞান না থাকার ফলে গর্ভবতী মায়ের সন্তান নিশ্চিহ্ন হওয়াসহ নানা বিপদে পড়ে। এ সময় স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই ধৈর্য ধরতে হবে। শিশু এবং মায়ের জন্য শুভ কামনা।

অক্সিটোসিন হরমোন ( Oxytocin ) যৌনাসক্তি বৃদ্ধি | ডাঃ মাসুদ হোসেন।2

❤ গর্ভাবস্থায় সহবাস করার ইসলামিক নিয়ম:
আল্লাহতায়ালা কুরআনুল কারীমে বলেছেন যে, তোমাদের স্ত্রীরা তোমাদের ফসল, সুতরাং তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যেমন খুশি চলাফেরা কর। কোরানের আয়াত থেকে এটা স্পষ্ট যে, মুসলমানরা যখন ইচ্ছা যৌন মিলন করতে পারে। স্ত্রী সহবাসে নিষেধ নেই। গর্ভাবস্থায় স্ত্রী সহবাস করতে পারলে এক্ষেত্রে কোনো নিষেধ নেই

❤ গর্ভাবস্থায় সহবাস করার উপকারিতা:
তবে গর্ভাবস্থায় সহবাস করার নিয়ম সহবাস হোক বা গর্ভাবস্থায় সহবাস হোক, সহবাসের সময় সহবাস করা জায়েয । প্রথমতঃ স্ত্রীর মলদ্বার দিয়ে সহবাস করা জায়েয নয়, অর্থাৎ স্ত্রীর পিঠ দিয়ে সহবাস করা জায়েয নয়। রোযা থাকা অবস্থায় সহবাস করা জায়েয নয়, তবে গর্ভাবস্থায় সহবাস করার নিয়ম রোযা থাকা অবস্থায় রাতে কোনো নারীর সাথে সহবাস করা জায়েয, তাই যারা রোযাদার তাদের অবশ্যই দিনের বেলা সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে।

অপর একটি বিষয় হচ্ছে স্ত্রী সহবাস করা যাবে না যখন স্ত্রীর মাসিক চলতে থাকে অর্থাৎ ঋতুস্রাব রত অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা যাবে না এই বিষয়গুলো আপনাকে ভালোভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে, গর্ভাবস্থায় সহবাসের কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম নেই বা গর্ভাবস্থায় সহবাস থেকে বিরত থাকার কোনো নিয়ম নেই তবে গর্ভাবস্থায় সহবাস করার সময় আপনাকে একটু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কিভাবে স্ত্রীর সাথে সহবাস করলে আপনার স্ত্রীর কোন ক্ষতি হবে না কারণ গর্ভাবস্থায় স্ত্রী আহত হলে ভ্রূণের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন গর্ভাবস্থায় সহবাস করার নিয়ম কিভাবে গর্ভাবস্থায় স্ত্রীর সাথে সহবাস করতে হবে। তবে গর্ভাবস্থায় বা গর্ভাবস্থায় স্ত্রীর পিঠের সাথে সহবাস করা জায়েয নয়।

আরো পড়ুনঃ  যৌনাসক্তি বৃদ্ধির হরমোন- অক্সিটোসিন ( Oxytocin ) | ডাঃ মাসুদ হোসেন

💋 গর্ভাবস্থায় শরীরের যত পরিবর্তন ,নতুন একটি প্রাণের জন্মদানের জন্য নয় মাস বা তার কিছু বেশি সময় ধরে একজন গর্ভবতী নারী যখন তাকে জঠরে বহন করেন, ধীরে ধীরে একটুখানি রক্তপিণ্ড থেকে হৃদপিণ্ড, মস্তিষ্ক, হাত, পা অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তৈরি হয়ে একটি ভ্রূণের রূপান্তর হতে থাকে।

💋 সেই সাথে নারীর শরীর ও মনে নানা ধরনের পরিবর্তন আসতে থাকে।

💋 গর্ভাবস্থায় নারীরে শরীরে যত রকম চমক তৈরি হয়, যত ধরনের পরিবর্তন আসে, তার পেছনে রয়েছে এস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন নামে দুটি হরমোন।

💋 একদম শুরু থেকেই নারীর শরীরে পরিবর্তন আসতে থাকে। প্রথম তিনমাস বাহ্যিক পরিবর্তন বোঝা যায় না।

💋 বমিবমি ভাব অনেক গর্ভবতী নারী শুরুতে অনুভব করেন, বিশেষ করে সকালের দিকে। এজন্য খেতে পারেন না।

💋 আর যেটি সবার ক্ষেত্রে ঘটে সেটি হল শরীর ভারি হয়ে যাওয়া। প্রতি মাসে দুই কেজি পর্যন্ত ওজন বৃদ্ধি অথবা পুরো গর্ভকালীন সময়ে 15 কেজি পর্যন্ত ওজন বৃদ্ধি পাওয়া গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক বলে মনে করা হয়।

💋 গর্ভাবস্থায় নারীর শরীরের হাড়ের সংযোগস্থল ঢিলা হয়ে যায়। হাড়ের সংযোগস্থল ব্যথা হয়।
পেট ভারি বা শরীরের সামনের অংশ বেড়ে যাওয়ার কারণে পিঠের হাড়ে চাপ তৈরি হয়। পিঠে ব্যথা হতে পারে।
গর্ভবতী নারীদের অনেক সময় রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায় যাকে বলে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস। বেশিরভাগ সময় সন্তান প্রসবের পর এটি চলে যায়।
দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া, ব্রাশ করার সময় রক্ত বের হওয়া, মাড়িতে ব্যথা হতে পারে।
জরায়ুর আকার বড় হয়ে যাওয়ার কারণে মূত্র থলিতে চাপ পড়ে। তাই বারবার প্রস্রাব হয়।
জরায়ুর আকার বৃদ্ধি পাওয়ায় ফুসফুস পর্যাপ্ত প্রসারিত হতে পারে না। তাই অনেকের শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় রক্তশূন্যতা হওয়ার আশঙ্কা থাকে কারণ শরীরে আয়রনের চাহিদা বাড়ে।
এসময় নারীর শরীরে তরল উৎপাদন বেড়ে যায়। এতে পায়ে পানি জমে ফোলাভাব হতে পারে।
অনেকের উচ্চ রক্তচাপ হয়ে থাকে।

হরমোনের কারণে স্তন আকারে বড় হতে থাকে, স্তনবৃন্তের আশপাশ আরও কালো হয়ে ওঠে। শিশুকে খাওয়ানোর জন্য স্তন প্রস্তুত হয়। অনেকে স্তনে ব্যথা অনুভব করেন।
ল্যাকটোজেন হরমোন বুকের দুধ তৈরি করে।
যৌনতায় আগ্রহ বেড়ে যেতে পারে অথবা একদম কমে যেতে পারে।
যোনিপথ দিয়ে সাদা স্রাব যেতে পারে, রক্তক্ষরণ হতে পারে যা অতিরিক্ত না হলে উদ্বেগের কিছু নেই। গর্ভবতী নারীর আবেগে বড় ধরনের পরিবর্তন হয়।
এগুলোই সাধারণ গর্ভাবস্থার প্রধান শারীরিক পরিবর্তন। যা সকল নারীর ক্ষেত্রে একই রকম নয়। প্রসবের পর অক্সিটোসিন হরমোন জরায়ুকে সংকুচিত করে।
তবে অনেককিছুই তার আগের জায়গায় ফিরে যায় না। অনেকের ওজন, স্ট্রেচ মার্ক, ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়ে যায়।

💋 মনে যে ধরনের প্রভাব পড়ে
এই যত ধরনের শারীরিক পরিবর্তন তা নারীর মনের ওপর প্রবল চাপ তৈরি করে।
এসময় উদ্বেগ, অনিশ্চয়তা, মন খারাপ, রাগ, ঘনঘন মেজাজ বদল এরকম অনেক কিছু ঘটে নারীর মনে।

💋 অনেকে আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তারা খুব অল্পতেই কেঁদে ফেলেন, বিরক্ত হন, রেগে যান, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।

💋 গর্ভবতী নারীর আবেগে বড় ধরনের পরিবর্তন হয় কারণ কিছুই আর তার নিজের নিয়ন্ত্রণে নেই। কোনদিন শরীর ভাল থাকে আবার পরদিন দেখা গেল শরীর খারাপ লাগছে। শরীরের অবস্থার এই যে ওঠানামা এটা মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। মন চাইলেই সে অনেক কিছু করতে পারছে না। একটা বন্দিত্বের অনুভূতি তৈরি করে। প্রিয়জনের সহায়তা গর্ভবতী নারীর জন্য খুবই জরুরি।

💋 এসময় উদ্বেগ বেড়ে যেতে পারে, নয় মাসের গর্ভকালীন সময় কেমন যাবে, একটি সুস্থ শিশুর জন্ম হবে কিনা সে নিয়ে অজানা আশঙ্কা, অনিশ্চয়তা কাজ করে। প্রিয়জনের সহায়তা পাচ্ছেন কিনা, জীবনের এই যে আমূল পরিবর্তন এর সাথে খাপ খাইয়ে নেয়ার চেষ্টাও অনেক সময় চাপ সৃষ্টি করে, উদ্বেগ বাড়িয়ে দেয়, হতাশা তৈরি করে।

💋 প্রতি ট্রাইমেস্টারে শরীর ও মনে কি ঘটে এটা আগে থেকে জানা থাকলে অনেক কিছুই অস্বাভাবিক মনে হবে না।

💋 শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনগুলো সম্পর্কে পড়াশুনা করা, এসম্পর্কিত ভিডিও দেখা, সন্তান জন্ম দিয়েছেন এমন কারোর সাথে আলাপ করা, নিজেকে মনের দিক থেকে প্রস্তুত করা যে এটা কিছু দিনের ব্যাপার, দরকারে কাকে কাছে পাওয়া যাবে, কে তাকে কোন কাজে সাহায্য করবে এসব চিন্তা করে রাখা। এসব প্রস্তুতি গর্ভকালীন সময়ে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করে। আগে থেকে পরিকল্পনা করে সন্তান নিলে মানিয়ে নিতে সুবিধা হয়।

💋 গর্ভবতী নারী সঠিক ও সুসম খাবার গ্রহণ জরুরী। গর্ভকালীন সময়ে একজন নারীর চারপাশের মানুষজন তাকে বোঝার চেষ্টা না করলে সেটি তার জন্য খুব কষ্টদায়ক হয়ে উঠতে পারে।
বিশেষ করে স্বামীর কাছ থেকে সহযোগিতা, পাশে থাকা, সাহস পাওয়া সবচাইতে জরুরী বলে তিনি মনে করেন।

💋 সন্তান একজন মায়ের একার না। সন্তান দুই জনের। মায়ের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হলে, সে যদি নিজের সঠিক যত্ন না নেয় তাহলে তার অনাগত সন্তানের ক্ষতি হবে। স্ত্রীর সুস্থতাই বাচ্চার সুস্থতা এটি স্বামীদের বুঝতে হবে। এমন কিছু তাদের করা উচিত নয় যা গর্ভবতী নারীর জন্য মানসিক চাপ। এর একটি হল যৌন মিলন। গর্ভাবস্থায় একটি সময়ের পর বাংলাদেশে চিকিৎসকেরা যৌন মিলনে নিরুৎসাহিত করে থাকেন।

❤ যদিও ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা এনএইচএস বলছে, কোন শারীরিক সমস্যা না থাকলে গর্ভকালীন যৌন মিলনে সমস্যা নেই।

💋 গর্ভাবস্থায় নারীরা এত কিছুর মধ্যে দিয়ে যায় যে তার কাছে নিয়মিত যৌন মিলন আশা করা উচিৎ নয়। সে যদি না চায় তাহলে তার ইচ্ছার সম্মান করা উচিৎ।

💋 গর্ভাবস্থার জন্য উপযুক্ত ব্যায়াম বেশ উপকারী। সঠিক ও সুসম খাবার গ্রহণ। কিছু কাঁচা খাবার এড়িয়ে চলা।
নিয়মিত হাঁটা ও গর্ভাবস্থার জন্য উপযুক্ত ব্যায়াম। গর্ভবতী নারীদের রাতে চিৎ হয়ে শোয়ার বদলে এক পাশে কাত হয়ে শোয়া।
গর্ভকালীন সময়ে অন্তত চারবার চিকিৎসকের কাছে যাওয়া যদি কোন জটিলতা না থাকে।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ফলিক অ্যাসিড ও ক্যালসিয়াম, সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা। নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা। মন ভালো রাখতে নিজের পছন্দের কিছু, শখের কিছু, শান্তি অনুভব করেন এমন বিষয়গুলো জীবনের সাথে যুক্ত করা।

🇨🇭 গর্ভাবস্থার শুরু হতে শেষ পর্যন্ত সুরক্ষিত থাকতে হোমিও চিকিৎসা গ্ৰহন নিরাপদ ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত। গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্য ও গর্ভের শিশুর স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হোমিও চিকিৎসা সবসময় অগ্ৰনী ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে গর্ভের শিশুর পজিশন ঠিক রাখতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তবে অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড প্রাপ্ত ও অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে হবে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্ৰহন করুন এবং নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করুন।

ডা.মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন
Dr. Masud Hossain.
( D.H.M.S )
(ডি, এইচ, এম, এস) ঢাকা।

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 সকাল 09:00 — 01:00 টা।
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!