ক্যানসার চিকিৎসায় রেডিয়োথেরাপি ( Radiotherapy )কী ভাবে কাজ করে?

ক্যানসার চিকিৎসায় রেডিয়োথেরাপি ( Radiotherapy )কী ভাবে কাজ করে?

⭕ ক্যানসারের চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত একটি চিকিৎসা পদ্ধতি হল রেডিয়োথেরাপি বা রেডিয়েশন থেরাপি। ক্যানসারের ধরনের উপরে ভিত্তি করেই চিকিৎসকেরা রেডিয়োথেরাপির পরামর্শ দেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে ভারতের 67% রোগীর ক্যানসার চিকিৎসার ক্ষেত্রে রেডিয়োথেরাপির সাহায্য নেওয়া হয়। তবে এই একবিংশ শতকে দাঁড়িয়েও এই থেরাপি নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন রয়েছে রোগীদের। যেমন: ক্যানসারের কোন পর্যায়ে রেডিয়োথেরাপির প্রয়োজন হয়? এই পদ্ধতি কি যন্ত্রনাদায়ক? রেডিয়োথেরাপি কি ক্যানসার সমূলে বিনাশ হয়?

⭕ চিকিৎসক জানাচ্ছেন, রেডিয়েশন থেরাপিতে রোগীরা এখনও অনেক ক্ষেত্রেই ভয় পান। কিন্তু প্রথমেই বলে রাখা ভাল যে এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগীর দেহে কোনও ব্যথা হয় না। বলা যায়, অনেকটা এক্স-রের মতো। এবং রোগীর অবস্থার উপরে নির্ভর করে তবেই কোর্সের সময়কাল নির্ধারণ করা হয়। এই থেরাপির মূল লক্ষ্য থাকে রোগীর দেহের ক্যানসারযুক্ত কোষগুলিকে বিনাশ করা।

⭕ অনেক চিকৎসকের মতেই রেডিয়েশন থেরাপি হল ক্যানসারের একটি আদর্শ চিকিৎসা পদ্ধতি। যেটি প্রায়ই কেমোথেরাপি বা শল্য চিকিৎসার মতো অন্যান্য থেরাপির সঙ্গে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে রেডিয়োথেরাপির মাধ্যমে কি শরীরের ভাল কোষগুলিরও ক্ষতি হতে পারে? উত্তরে চিকিৎসক জানাচ্ছন, ( অনেক ক্ষেত্রে রেডিয়েশন থেরাপির ফলে স্বাস্থ্যকর কোষের ক্ষতি হয় ঠিকই, তবে সেটি স্থায়ী হয় না। শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় পয়েন্টগুলিকে লক্ষ্য করেই এই থেরাপি প্রয়োগ করা হয়। পাশাপাশি, ক্যানসার নয়, এমন কোষগুলি রেডিয়েশন থেরাপি থেকে নিজেকে পুনরুদ্ধার করতে পারে। )

ক্যানসার চিকিৎসায় রেডিয়োথেরাপি ( Radiotherapy )কী ভাবে কাজ করে?

⭕ ক্যানসার চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায়ে রেডিয়োথেরাপি ব্যবহার করা যায়। যেমন: শেষ পর্যায়ের ক্যানসারের লক্ষণ কমাতে, ক্যানসারের প্রধান চিকিৎসা হিসেবে, অস্ত্রোপচারের আগে কোনও টিউমারের আকার কমাতে, অস্ত্রোপচারের পরে অবশিষ্ট ক্যান্সার কোষকে নির্মূল করতে ইত্যাদি।

⭕ রেডিয়োথেরাপির কি কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে?

চিকিৎসক জানাচ্ছেন, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকলেও তা অত্যন্ত কম। এবং যেখান থেকে সংশ্লিষ্ট রোগী সহজেই নিজেকে সুস্থ করে তুলতে পারেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীর সঙ্গে আলোচনা করা হয়। যেমন: ওজন কমে যাওয়া, মুখ শুকিয়ে যাওয়া ইত্যাদি। যদিও এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলির ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন। এবং পুষ্টিবিদের সঙ্গে আলোচনা করার উপদেশ দেন।

⭕ চিকিৎসক মনে করেন যে, ক্যানসার প্রতিকারের রোগীর মনের অবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সফল চিকিৎসার জন্য সংশ্লিষ্ট রোগীর মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ পরিত্যাগ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

⭕ রেডিওথেরাপিতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম!

⭕ রেডিওথেরাপি এমন এক চিকিৎসা পদ্ধতি, যে মাধ্যমে বিকিরণ রশ্মি ক্যানসার চিকিৎসায় ব্যবহার করা যায়। এটি দেওয়া হয়ে থাকে টেলিথেরাপি ও ব্রাকিথেরাপির মাধ্যমে।

⭕ টেলিথেরাপি: এটি হলো বিকিরণ রশ্মি, শরীরের বাইরে থেকে নির্ধারিত ও নির্দিষ্ট স্থানে প্রয়োগ করা হয়। এখানে রোগীকে সঠিকভাবে অবস্থানের জন্য ইমমোবালাইজেশন ডিভাইসের মাধ্যমে পজিশনিং করানো হয়।

⭕ ব্রাকিথেরাপি: এটির মাধ্যমে বিকিরণ রশ্মি শরীরের ভেতরে ক্যানসার আক্রান্ত অংশে অ্যাপ্লিকেটরের মাধ্যমে স্থাপন করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

🇨🇭 চিকিৎসা: আমাদের দেশে প্রধানত টেলিথেরাপির মাধ্যমে মুখগহ্বর, কন্ঠনালি, গলা, ফুসফুস, স্তন, জরায়ুমুখের ক্যানসারের চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে। কিছুু ক্ষেত্রে জরায়ুমুখে ব্রাকিথেরাপিও করা হয়। রেডিওথেরাপি সম্পর্কে রোগীদের বিভিন্ন ধরনের ধারণা রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, হাত-পায়ে মেশিনের সাহায্যে তাপ প্রয়োগ করা হয়। ফলে শরীরের চামড়া পুড়ে যায়। কারও ধারণা, হাত-পা বেঁধে মেশিনের সাহায্যে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এতে ক্যানসার রোগের উন্নতি না হয়ে শারীরিক অবনতি ঘটে। এমন ধারণা মোটেও ঠিক নয়।

⭕ চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতিতে রেডিওথেরাপি চিকিৎসায়ও যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। গামা নাইফ ও সাইবার নাইফ রেডিয়েশন অনকোলজির যুগান্তরকারী টেকনিক হিসেবে ব্রেইন টিউমারের চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাতে অপারেশনের প্রয়োজন হয় না।

ক্যানসার চিকিৎসায় রেডিয়োথেরাপি ( Radiotherapy )কী ভাবে কাজ করে?

⭕ রেডিওথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অন্যান্য ক্যানসার চিকিৎসা পদ্ধতির চেয়ে কম। চিকিৎসার স্থানভেদে পার্শ্বক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়। মুখ ও গলার ক্যানসার চিকিৎসার সময় মুখে ঘা, গিলতে ব্যথা, খাওয়ায় অরুচি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে সঠিকভাবে অ্যান্টিসেপটিক মাউথওয়াশ, তরল ও নরম খাবার খেলে এ সমস্যা দূর হয় এবং রোগী পুষ্টিহীনতায় ভোগেন না। তাছাড়া রোগীকে মনে রাখতে হবে, চিকিৎসাকালে ওই স্থানে ঘষা, সাবান দিয়ে প্রতিদিন ধুয়ে নিলে চামড়ার ক্ষতি হয় এবং সঠিক সময়ের মধ্যে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় না। কোনো কোনো সময় বিকিরণ রশ্মি আশপাশের স্বাভাবিক কোষের ওপর কিছু ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এ কারণে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। এ জন্য সতর্ক থাকতে হয়।

আরো পড়ুনঃ  রেকটাল ক্যান্সার – ( Rectal Cancer ) কী ? ও রেকটাল ক্যান্সার কেন হয়?

⭕ রোগী যখন ফুসফুস ক্যানসারের জন্য রেডিওথেরাপি গ্রহণ করে, তখন তার কিছু উপসর্গ পরিলক্ষিত হয়। বমিভাব, খাওয়ায় অনীহা, দুর্বলতা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে কাশি ও সামান্য জ্বর দেখা দিতে পারে, যেটি রেডিয়েশন সিকনেস নামে পরিচিত। এ অবস্থায় রোগীকে এ সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের খাবার, পানীয় ও ফলমূল জাতীয় জিনিস বেশি করে খেতে দিতে হবে। নারীদের স্তন ক্যানসারে চেস্টওয়াল ও গলার নিচ অংশে ( সুপারক্লেভ এরিয়া ) রেডিওথেরাপি দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে ফুসফুস ও বিপরীত দিকের স্তন, গলা ও ট্রাকিয়ায় রেডিয়েশন যেতে পারে। ফলে গিলতে অসুবিধা, কাশি ও জ্বর হয়। এ জন্য চিকিৎসার সময় রোগীকে সঠিকভাবে পজিশনিং করতে হবে। রেডিওথেরাপি চলা অবস্থায় ক্যানসার রোগীকে গোসল করানো যাবে না বা পানি লাগানো যাবে না। এটা অবশ্য কোন ধরনের মেশিন ব্যবহার করা হয়, সেটার ওপর নির্ভর করে। যদি লিনিয়ার এক্সেলেরেটরের সাহায্যে চিকিৎসা দেওয়া হয়, তাহলে গোসল করতে বাধা নেই। তবে চিকিৎসার স্থানে সাবান নিয়ে ঘষামাজা করা যাবে না। এসব নিয়ম মেনে চিকিৎসা নিলে পরবর্তী সময় কোনো অসুবিধা হয় না। পরিশেষে বলা যায়, এ চিকিৎসার সফলতা নির্ভর করে সচেতনতা, সহযোগিতা ও সহনশীলতার ওপর।

ক্যানসার চিকিৎসায় রেডিয়োথেরাপি ( Radiotherapy )কী ভাবে কাজ করে?

🇨🇭 হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়। একজন হোমিও ডাক্তারের/ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। সাইড ইফেক্ট নেই এমন হোমিওপ্যাথি ঔষধ কাজে লাগাবেন। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য পরবর্তী ধাপগুলো অর্থাৎ- যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থতা অর্জন করতে পারবেন।

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ( রেজি: নং- 35423 )

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

⭕ রোগীর সাথে – মোবাইল ফোনে / WhatsApp / Imo / Telegram – এ কথা বলার সময় সকাল 11.00 থেকে দুপুর 3.00 টা পর্যন্ত।

আমার মোবাইল নাম্বার :
🤳 +880 1907-583252
🤳 +880 1302-743871
🤳 +880 1973-962203

⭕ বিকাল – 5.00 থেকে রাত 10.00 পর্যন্ত আমি চেম্বারে বসে রোগী দেখি।

⭕ আবার রাত -10.00 টা থেকে রাত- 11.00 পর্যন্ত ফোনে রোগীদের সাথে কথা বলি।

⭕ রাত- 11.00 টা থেকে – সকাল – 11.00 টা পর্যন্ত আমার মোবাইল বন্ধ থাকে।

🇨🇭 আমার এই 3-টি নাম্বার:

   +8801907-583252

   +8801973-962203

   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!