🇨🇭 কোন ব্যক্তির রক্ত প্রবাহে কার্বন মনোঅক্সাইড মিশে গেলে কার্বন মনোঅক্সাইড পয়জনিং হয়ে থাকে। বাতাসে কার্বন মনোঅক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে গেলে লোহিত রক্তকণিকায় অক্সিজেনের পরিবর্তে কার্বন মনোঅক্সাইড এ জমা হয়। এর ফলে ব্যক্তির মৃত্যুও হতে পারে।
কার্বন মনোঅক্সাইড গন্ধহীন, বর্ণহীন এবং স্বাদহীন গ্যাস। বিভিন্ন জ্বালানি, কাঠ পোড়ানো, প্রোপেন, কয়লা এবং অন্যান্য ধোঁয়া থেকে এই গ্যাস উৎপন্ন হয়।
🇨🇭 কোন বদ্ধ পরিবেশে ইঞ্জিনের বা অন্য কোনো ধোঁয়া থেকে অধিক পরিমাণ কার্বন মনোঅক্সাইড সৃষ্টি হয় এবং পরে তা মারাত্মক আকার ধারণ করে।
কার্বন মনোঅক্সাইড পয়জনিং এ আক্রান্ত হলে অতি দ্রুত বিশুদ্ধ বাতাসের সংস্পর্শে যেতে হবে এবং চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
🇨🇭 কার্বন মনোঅক্সাইডপয়জনিং এর কারণ:
🩸শ্বাস নেওয়ার সময় বিভিন্ন জ্বালানি থেকে উৎপন্ন ক্ষতিকারক ধোঁয়া আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। এসব ধোঁয়াতে উপস্থিত কার্বন মনোঅক্সাইডের কারণে
কার্বন মনোঅক্সাইড পয়জনিং এর সমস্যা দেখা দেয়। এই গ্যাস যখন অতিরিক্ত পরিমাণে শরীরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে তখন তা লোহিত রক্ত কণিকার সাথে
অক্সিজেনের পরিবর্তে মিশে যায়। এর ফলে টিস্যু এবং অন্যান্য অঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ইঞ্জিন এবং বিভিন্ন জ্বালানি থেকে উৎপন্ন ধোঁয়া থেকে কার্বন মনোঅক্সাইড উৎপন্ন হয়। সাধারণত এসব ধোঁয়াতে যে পরিমাণ কার্বন মনোঅক্সাইড উপস্থিত থাকে তা আমাদের জন্য ক্ষতিকারক নয়, তবে কোন বদ্ধ জায়গায় এই গ্যাস উৎপন্ন হলে যেমন: কয়লা পোড়ানোর সময় ধোঁয়া নির্গমনের সুসব্যবস্থা না থাকলে এই গ্যাস মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। শ্বাস নেওয়ার সময় আগুনের ধোঁয়া শরীরে প্রবেশ করলেও এ রোগ হতে পারে।

🇨🇭 কার্বন মনোঅক্সাইড পয়জনিং এর লক্ষণ:
এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:
- 🩸 মাথা ব্যথা( Headache.)
- 🩸 বমি বমি ভাব ( Nausea.)
- 🩸 মাথা ধরা ( Dizziness.)
- 🩸 রক্তবমি ( Vomiting Blood.)
- 🩸 ডায়রিয়া ( Diarrhea.)
- 🩸 বিষণ্নতাজনিত সমস্যা ( Depressive Or Psychotic Symptoms.)
- 🩸 ঘুম ঘুম ভাব ( Sleepiness.)
- 🩸 কপাল ব্যথা ( Frontal Headache.)
- 🩸 অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ( Fainting.)
- 🩸 আবেগগত সমস্যা ( Emotional Symptoms.)
- 🩸 কনুইয়ের মাংসপেশীতে টান ধরা ( Elbow Cramps Or Spasms.)
- 🩸 বমি ( Vomiting.)
আরো পড়ুনঃ করোনারী অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস | Coronary Atherosclerosis | ডাঃ মাসুদ হোসেন।
🇨🇭 কার্বন মনোঅক্সাইডপয়জনিং এর ঝুঁকি:
🩸 যারা বিশেষভাবে এই সমস্যার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তারা হল:
🩸 মাতৃগর্ভে থাকা শিশু: একটি পরিণত কোষের তুলনায় ভ্রূণকোষে কার্বন মনোক্সাইডের প্রভাব বেশি পড়ে। যার কারণে মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় শিশুদের এরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
🩸শিশু: প্রাপ্ত বয়স্কদের তুলনায় শিশুরা ঘন ঘন শ্বাস নেওয়ার কারণে এদের কার্বন মনোক্সাইড পয়জনিং এর ঝুঁকি বেশি।
🩸 বয়স্ক ব্যাক্তি: যে সকল বয়স্ক ব্যক্তির এ সমস্যা রয়েছে তাদের মস্তিষ্কের ক্ষতি দেখা যায়।
🇨🇭 যারা Carbon Monoxide Poisoning এর ঝুঁকির মধ্যে আছে:
🛑 লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা 01 গুণ কম।
🛑 জাতি: শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা 01 গুণ কম। অন্যদিকে কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যান্য জাতিদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা 01 গুণ কম।

🇨🇭 Q.কার্বন মনোঅক্সাইড কি এবং এই গ্যাস কিভাবে উৎপন্ন হয়?
উত্তর: কার্বন মনোঅক্সাইড একটি প্রাণঘাতি, বর্ণহীন, গন্ধহীন এবং বিষাক্ত গ্যাস। বিভিন্ন জ্বালানি থেকে উৎপন্ন ধোঁয়া, যেমন:কয়লা, কাঠ, কয়লার খনি, তেল,
কেরোসিন, প্রোপেন এবং প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি থেকে এই গ্যাসের উৎপত্তি হয়ে থাকে। কিছু যন্ত্র যেগুলোতে অন্তর্দহ ইঞ্জিন আছে , যেমন: জেনারেটর, গাড়ি,
ঘাস কাটার যন্ত্র এবং পাওয়ার ওয়াশার থেকেও প্রচুর পরিমানে CO উৎপন্ন হয়।
🇨🇭Q. কি ধরনের কার্বন মনোঅক্সাইড স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক?
উত্তর: কার্বন মনোক্সাইড আপনার শরীরে জন্য কতটা ক্ষতিকারক তা নির্ভর করবে বাতাসে কার্বন মনোঅক্সাইডের পরিমাণ এবং কতক্ষণ এর সংস্পর্শে থাকছেন তার উপর। পার্টস পার মিলিয়ন ( PPM ) একক হিসাবে এর পরিমাণ নির্ণয় করা হয়। বাতাসে এর পরিমাণ 01থেকে 70 PPM এর মধ্যে হলে সাধারণত এই গ্যাস কোন ক্ষতি করেনা, তবে কারও হৃদপিণ্ডের সমস্যা থাকলে তাদের বুকে ব্যথা হতে পারে। 70 PPM বা এর উর্ধ্বে গেলে আরও কিছু উল্লেখযোগ্য লক্ষণ দেখা যায়
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( D. H. M. S )
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801302-743871
( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।
☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।
☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।