🇨🇭 যেকোনো বয়সের পুরুষ কিংবা মহিলা- যে কারো হতে পারে আর্থ্রাইটিস বা গ্রন্থিবাত বা সন্ধিপ্রবাহ। প্রতি পাঁচজনে একজন লোকের আর্থ্রাইটিস থাকে। এটি নির্দিষ্ট একটি রোগ নয়- অস্থিসন্ধি, অস্থিসন্ধির পাশের মাংসপেশি, টেনডন ইত্যাদির অনেকগুলো অসুখকে একসঙ্গে আর্থ্রাইটিস বলে। সবচেয়ে বেশি মানুষ অস্টিওআর্থ্রাইটিস ও রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস সমস্যায় ভুগে । সাধারণত অস্টিওআর্থ্রাইটিসের কারণে কোমর, হাঁটু ও হাতে ব্যথা হয়।
🇨🇭 রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে হাতের কবজিসহ শরীরের অন্যান্য অংশে ব্যথা বেশি হয়, তুলনামূলকভাবে অস্থিসন্ধিতে ব্যথা কম হয়। অস্টিওআর্থ্রাইটিস অস্টিওআর্থ্রাইটিস ধীরে ধীরে হয়। প্রাথমিক লক্ষণ হল- শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম করলে অস্থিসন্ধিতে ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ বিনা কারণে অস্থিসন্ধিতে ব্যথা হয়, এক বা একাধিক অস্থিসন্ধি ফুলে যায় ও ব্যথা করে, অস্থিসন্ধির জড়তা বা স্টিফনেস দেখা দেয়- বিশেষ করে ঘুম থেকে ওঠার পর অথবা দীর্ঘসময় বসে থেকে ওঠার সময় এ সমস্যা হয়।
🇨🇭 ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রমের পর অস্থিসন্ধিতে তীব্র ব্যথা হয়, অস্থিসন্ধিতে কড়মড় শব্দ হয়। অস্টিওআর্থ্রাইটিস বেশি হয় হাঁটুর জয়েন্টে- উঁচু কোথাও উঠতে গেলে হাঁটুতে বেশি চাপ লাগে। হাতে ভারী বোঝা বহন করা কষ্টকর হয় এবং হাঁটু ফুলে যায়। কোমরে হলে নড়াচড়া করা কঠিন হয়- ব্যথা কোমরের সঙ্গে সঙ্গে কুঁচকি, উরু এমনকি হাঁটুতেও হতে পারে।
🇨🇭 হাতের মধ্যে বৃদ্ধাঙুলে বেশি হয়- এসময় আঙুলে ব্যথা হয়, ফুলে যায়, ঝিমঝিম করে এবং জয়েন্টের আশপাশে গোটার মতো গুটি হয়। মেরুদণ্ডে হলে ঘাড় ও কোমরে উভয় স্থানে ব্যথা হতে পারে। কখনো কখনো হাত-পা ঝিমঝিম করে।
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের টেস্টোস্টেরন হরমোন বেশি হলে কি হয়?
🇨🇭 যাদের ঝুঁকি বেশি
বয়স : বয়স ৬৫-র বেশি হলে অস্টিওআর্থ্রাইটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তবে যেকোনো বয়সেও হতে পারে।
লিঙ্গ : বয়স ৪৫-এর আগে ছেলেদের বেশি হয়, ৪৫-এর পরে মেয়েদের বেশি হয়।
🇨🇭 আঘাত : অস্থিসন্ধিতে যেকোনো ধরনের আঘাত পেলে অস্টিওআর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বাড়ে। এ কারণে যারা পেশাগত কারণে শারীরিক পরিশ্রম বেশি করেন বা আঘাতের ঝুঁকিতে থাকেন, যেমন খেলোয়াড়, তাদের এ রোগ বেশি হয়। বেশি
ওজন : শরীরের ওজন যাদের বেশি অস্টিওআর্থ্রাইটিস তাদের বেশি হয়। সাধারণ স্থূল শরীরের মানুষের হাঁটুতে রোগটি বেশি দেখা দেয়।
🇨🇭 বংশগত : কিছু ক্ষেত্রে বংশগত কারণেও অস্টিওআর্থ্রাইটিস হতে দেখা যায়। রোগ নির্ণয় রোগের ইতিহাস ও রোগের ধরন দেখে রোগ নির্ণয় করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে আরো কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হয়। যেমন এক্স-রে, জয়েন্ট অ্যাসপিরেশন ইত্যাদি।
🇨🇭 রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এটি এক ধরনের অটোইমিউন অসুখ। এতে শরীরের নিজস্ব রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার কারণেই আপনাআপনি কিছু টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অস্থিসন্ধির বহিরাবরণীতে (সাইনোভিয়াম) প্রদাহ হয়। এ কারণে অস্থিসন্ধি ও এর আশপাশে ব্যথা হয়, জড়তা তৈরি হয়, ফুলে যায়, লাল হয়ে যায় এবং শরীরে জ্বরজ্বর অনুভূতি হয়।
এতে অস্থিসন্ধির আকারের বিকৃতিও ঘটে। এটি যত দিন যায় আরো তীব্র হতে থাকে। মাঝেমধ্যে ব্যথা ও ফোলা আপনিতেই কমে যায়, আবার বাড়ে। অস্থিসন্ধি ছাড়াও রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখা যায় চোখ, ফুসফুস ও হার্ট। লক্ষণ রোগটি দীর্ঘমেয়াদি বা ক্রনিক। তাই কখনো কখনো লক্ষণ প্রকাশ পায়, আবার কিছুদিন কোনো লক্ষণই থাকে না।
🇨🇭 সাধারণত লক্ষণ হিসেবে থাকে:
- 🇨🇭ঘুম থেকে ওঠার পর প্রায় এক ঘণ্টা বা এর চেয়ে বেশি সময় অস্থিসন্ধিসহ শরীরের কিছু অংশে ব্যথা ও জড়তা (স্টিফনেস) থাকে।
- 🇨🇭 হাতের আঙুল, কনুই, কাঁধ, হাঁটু, গোড়ালি ও পায়ের পাতায় বেশি সমস্যা হয়।
- 🇨🇭সাধারণত শরীরের উভয় পাশ একসঙ্গে আক্রান্ত হয়। যেমন- হাতে হলে দুই হাতের জয়েন্টই একসঙ্গে ব্যথা করে, ফুলে যায় ইত্যাদি।
- 🇨🇭 শরীর দুর্বল লাগে, জ্বরজ্বর অনুভূতি হয়। ম্যাজম্যাজ করে।
🇨🇭 কারো কারো ক্ষেত্রে ত্বকের নিচে এক ধরনের গুটি দেখা যায়, যা ধরলে ব্যথা পাওয়া যায় না। কারণ রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের মূল কারণ এখনো অজানা। তবে গবেষকরা দেখেছেন, কিছু ফ্যাক্টর থাকলে রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
🇨🇭 যেমন- বংশগত কারণ। যাদের বংশে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ইতিহাস আছে, তাদের রোগটি বেশি হতে দেখা যায়। পরিবেশগত কারণেও রোগটি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এ ধরনের কারণের মধ্যে আছে ইনফেকশন। রোগ নির্ণয় একই সঙ্গে অনেকগুলো অস্থিসন্ধিতে, শরীরের ডান ও বাঁ পাশে একই সঙ্গে হলে প্রাথমিকভাবে ধরে নেওয়া হয়, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস হয়েছে। এটি নিশ্চিত করতে আরো কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে আছে রক্তের পরীক্ষা।
৭০-৯০ শতাংশ রোগীর রক্তে রিউমাটয়েড অ্যান্টিবডির উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। বাকি ১০-৩০ শতাংশের ক্ষেত্রে রক্তে অ্যান্টিবডি থাকে না। রক্তের আরেকটি পরীক্ষা, ইরাথ্রোসাইট সেডিমেন্টেশন রেটও মাঝেমধ্যে করার প্রয়োজন হতে পারে। এ ছাড়া এক্স-রেও লাগে।
🇨🇭 আর্থ্রাইটিস এর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ
- 🧪 Aconitum napellus
- 🧪 Arnica montana
- 🧪 Bryonia alba
- 🧪 Rhus Toxicodendron
- 🧪 Chamomilla
- 🧪 Colchicum autumnale
- 🧪 Hypericum perforatum
- 🧪 Ledum palustre
- 🧪 Pulsatilla pratensis
- 🧪 Lac caninum
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন (বি, এইচ, এম, এস )
(ডি, এইচ, এম, এস)
☎️ 01907-583252
☎️ 01302-743871
[রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন
Govt reg No. 35423 ]