হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস হোমিও ট্রিটমেন্ট।

হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস হোমিও ট্রিটমেন্ট।

🇨🇭 Herpes Simplex এনসেফেলাইটিস কি?

🇨🇭 যদিও খুবই কম হয়,Herpes Simplex এনসেফেলাইটিস
হলো উচ্চ-মৃত্যু ও রোগব্যাধির হার সহ একটি স্নায়বিক অবস্থা। এটি হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসের কারণে হয় এবং জ্বর, অতি-সক্রিয়তা, ঝিমুনি এবং সাধারণ দুর্বলতা হিসেবে প্রকাশ পায়।

🇨🇭 Herpes Simplex এনসেফেলাইটিস এর প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কি কি?
🇨🇭 প্রাথমিক উপসর্গগুলি হলো:
  • 🩸 মাথাব্যাথা।
  • 🩸 জ্বর।
  • 🩸 তড়কা বা খিঁচুনি।
  • 🩸 সাধারণ দুর্বল ভাবের সঙ্গে ঝিমুনি।
  • 🩸 বিভ্রান্তি।
  • 🩸 মানসিক ভ্রান্তি।
🇨🇭 দেরিতে দেখা দেওয়া উপসর্গগুলি হলো:
  • 🩸 কথাবার্তা বা লেখার মাধ্যমে আদান-প্রদানে অসুবিধা।
  • 🩸 ঘ্রানশক্তি চলে যাওয়া।
  • 🩸 স্মৃতিশক্তি লোপ।
  • 🩸 অতি-সক্রিয়তা।
  • 🩸 মনোরোগ।
🇨🇭 অতিরিক্ত উপসর্গগুলি হলো:
  • 🩸 সজাগ প্রতিবর্তী ক্রিয়াতে পরিবর্তন।
  • 🩸 চেতনা হারানো।
  • 🩸 হ্যালুসিনেশন বা অমূলপ্রত্যক্ষ করা।
  • 🩸 আংশিক পক্ষাঘাত।
  • 🩸 রেটিনার প্রদাহ।
হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস হোমিও ট্রিটমেন্ট।

🇨🇭 Herpes Simplex এনসেফেলাইটিস এর প্রধান কারণগুলি কি কি?

🩸 হারপিস সিমপ্লেক্স এনসেফেলাইটিসের খুব সাধারণ কারণ হলো হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস টাইপ ওয়ানের সংক্রমণ।

🇨🇭 অন্যান্য বিরল কারণগুলি হলো:

  • 🩸 Herpes Simplex ভাইরাস টাইপ- II এর সংক্রমণ ( সদ্যোজাতদের মধ্যে খুব সাধারণ )।
  • 🩸 হারপিস সিমপ্লেক্স এনসেফেলাইটিসের কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে টিস্যুর ক্ষয়ের ফলে, যা মস্তিষ্কে হেমারেজিক নেক্রোসিস ( টিস্যুর মৃত্যু ) এর সাথে সম্পর্কযুক্ত।
  • 🩸 হারপিস সিমপ্লেক্স এনসেফেলাইটিস হয় যখন মানসিক চাপ অথবা আঘাতের ফলে স্নায়ুর ট্যিসুর মধ্যে থাকা একটি নিষ্ক্রিয়, সুপ্ত হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস ফের সক্রিয় হয়ে ওঠে। হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক ঘটনার বেশ কয়েক বছর পর সুপ্ত ভাইরাসটির প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকে।

🇨🇭 Herpes Simplex এনসেফেলাইটিস কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়?

🩸 হারপিস সিমপ্লেক্স এনসেফেলাইটিস নির্ণয় করা হয় ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা এবং অনুসন্ধানের ভিত্তিতে:
  • 🧪 অনুসন্ধানের মধ্যে রয়েছে:
  • 🧪 রক্ত পরীক্ষা।
  • 🧪 সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড পরীক্ষা।
  • 🧪 ইলেকট্রোএনসেফালোগ্রাম।
  • 🧪 ম্যাগনেটিক রিজোনেন্স ইমেজিং ( এমআরআই – MRI )।
  • 🧪 মস্তিষ্কের বায়োপসি।

🇨🇭Herpes Simplex- হারপিস সিমপ্লেক্স এনসেফেলাইটিসের প্রাথমিক চিকিৎসায় ওষুধের ব্যবহারে সুস্থ হওয়ার উপকারিতা দেখা গিয়েছে।

🇨🇭 Herpes Simplex – হারপিস সিম্পলেক্স কী?

🇨🇭 ভাইরাসের প্রকোপ বারবার নানাভাবে বিদ্ধ করেছে ৷ এর করাল আঘাত বিভিন্নভাবে বিধ্বস্ত করেছে মানুষকে। তেমনই একটি ভাইরাস হারপিস। যা মূলত দুই ধরণের – হারপিস সিম্পলেক্স এবং হারপিস জোস্টার। এদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী, সংক্রমণের ধরণও ভিন্ন। তবে হারপিস রোগের মূল কারণ Herpes Simplex-
হারপিস সিম্পলেক্স, ভাইরাস।

🇨🇭 হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসও আবার দুই ধরনের হয়। যেমন: হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস- 1 ( HSV – 1 ) এবং হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস- 2 ( HSV- 2 )।

🇨🇭 মুখে সংক্রমণ ঘটায় HSV-1, যেখানে যৌন সংসর্গের ফলে অর্থাৎ – যৌনাঙ্গে যে সংক্রমণ ঘটে তার জন্য দায়ী- HSV – 2 ।

🇨🇭 হারপিস সিম্পলেক্স ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে যে শারিরীক জটিলতার সূত্রপাত হয় তা একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা, যার কোনও নিরাময় হয় না। বহু হারপিস আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে কোনও উপসর্গ দেখা যায় না অথচ তাঁরা হারপিসের জীবাণু বহন করে চলেছেন। যদিও হারপিস নিরাময় হয় না, তবে ওষুধের সাহায্যে উপসর্গ গুলি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শিশুদের বা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম আছে তাঁদের ক্ষেত্রে হারপিস নানারকম শারীরিক জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে।

হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস হোমিও ট্রিটমেন্ট।

🇨🇭 Herpes Simplex – হারপিস সিম্পলেক্স কী?

🇨🇭 হারপিস সিমপ্লেক্স একটি ভাইরাস ঘটিত রোগ যা নিবিড় শারীরিক যোগাযোগ এবং যে কোনও রকম শারীরিক সংস্পর্শ থেকে এক জনের থেকেই অন্য জনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতি 03 জন ব্যক্তির মধ্যে 01 জন এরকম হারপিসের জীবাণু বহন করেন। যারা এই ভাইরাসের জীবাণু বহন করেন তাঁদের মধ্যে ৮০% ব্যক্তি জানতে পারেন না যে তাঁরা হারপিসে আক্রান্ত কারণ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাঁদের মধ্যে হারপিস ভাইরাসের কোনোরকম উপসর্গ থাকেই না, এবং বহু সময় তা প্রকাশও পায় না।

🇨🇭 তবে যাদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাল সংক্রমণের উপসর্গ প্রকাশ পায়, তাদের সংক্রমণ স্থলে বিভিন্ন যন্ত্রণাদায়ক ক্ষত বা আলসারের সৃষ্টি হয়।

🇨🇭 Herpes Simplex ভাইরাস বা হারপিসে আক্রান্ত হওয়ার কারণ কী?

🇨🇭 হারপিস সিম্পলেক্স ভাইরাসের কারণে হারপিসের যে সংক্রমণ ঘটে, তার কারণ জানতে হলে জানতে হবে কীভাবে এর সংক্রমণ ঘটে।

  • 🩸 মুখোমুখি চুম্বন বা শরীরের অন্যত্র চুম্বন থেকে লালারসের মাধ্যমে সংক্রমণ হতে পারে।
  • 🩸 সংক্রমিত কোনো ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিস অন্য জন ব্যবহার করলে সংক্রমিত হতে পারেন। যেমন: লিপস্টিক, তোয়ালে, চিরুনি, ব্লেড পাউডারের ব্রাশ, ইত্যাদি।
  • 🩸 মায়ের যৌনাঙ্গে হারপিস থাকলে বাচ্চার জন্ম থেকেই হারপিস হবার সম্ভাবনা প্রবল থাকে।
  • 🩸 তবে একটি বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন, তা হলো হারপিসের ভাইরাস শরীরের ভেতরে একবার প্রবেশ করলে, তা আর শরীর থেকে যেতে চায় না। ত্বকের উপরিভাগে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়, তা ঠিক হয়ে যায়, কিন্তু ভাইরাসটি নার্ভ- এর মধ্যে কোনো একটি কোষের মধ্যে থেকে যায় প্রায় সারা জীবন। তবে কোনো কোনো সময় দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ বা অবসাদ দীর্ঘ দিনের কোনও অসুখ, এছাড়াও জ্বর, দীর্ঘক্ষণ রোদের মধ্যে ঘোরাঘুরি, ঋতুচক্র, বা শরীরে কোনও অপারেশন হলে হঠাৎ করেই সেই ভাইরাস পুনরুজ্জীবিত হয়ে নার্ভ-এর কোষ থেকে বেরিয়ে ত্বকে পুনরায় ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে ৷

🇨🇭 Herpes Simplex – হারপিসের লক্ষণ বা উপসর্গ গুলি কী কী?

  • 🩸 হারপিস হওয়ার আগে আক্রান্ত স্থানে জ্বালা ভাব এবং চুলকানি হয়। এটি সাধারণত মুখ, বুক বা পিঠের এক দিকে হতে পারে। মুখে হলে অনেক সময় মনে হয় সেই জায়গাটি কেটে যাচ্ছে এবং তার পরেই সেখানে জ্বরঠোসা হয়।
  • 🩸 প্রথমে জলভরা ছোট ফোসকার মতো দেখা দেয়। এই সময়টায় প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব হয়। তার দু-চার দিনের মধ্যে ফোসকাটি ফেটে গিয়ে সেখান থেকে ফ্লুইড বেরিয়ে আসে। এর পরে ফোসকার জায়গায় চামড়া উঠে যায়। এইরকম অবস্থা মোটামুটি দু-সপ্তাহ থাকে শুরুতে।
  • 🩸 মুখে হারপিস হলে জিভে, ঠোঁটে, গালেও তা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • 🩸 যৌনাঙ্গের যে কোনও অংশে হতে পারে।
  • 🩸 মহিলাদের ক্ষেত্রে যৌনাঙ্গে সংক্রমণ হলে যোনির চারপাশে এবং নিতম্বের ফোসকা দেখা দেয়।

🇨🇭 পুরুষদের ক্ষেত্রে যৌনাঙ্গে সংক্রমণ হলে:

  • 🩸 লিঙ্গ, অণ্ডকোষ এবং মলদ্বারের চারপাশে ফোসকা দেখা দিতে পারে।
  • 🩸 জ্বর এবং শরীরে হালকা থেকে তীব্র ব্যথার অনুভূতি হয়।
  • 🩸 হারপিসের এই সংক্রমণ চোখেও হতে পারে। সেক্ষেত্রে তখন আলোর সামনে যেতে অসুবিধে হয়। চোখ থেকে রস বেরতে থাকে। এইরকম অবস্থার সৃষ্টি হলে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে হবে।
হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস হোমিও ট্রিটমেন্ট।

🇨🇭 Herpes – হারপিস রোগ কিভাবে নির্ণয় করা হয়?

🩸 ডাক্তাররা উপসর্গের ভিত্তিতে মূলত তিনটি পদ্ধতিতে হারপিসের সংক্রমণ নির্ণয় করেন।

🧪 রক্ত পরীক্ষা:

🩸শরীরে হারপিস সিম্পলেক্স ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য রক্তের নমুনা সংগ্রহ হলে সংক্রমণ সনাক্তকরণের জন্য এইচএসভি অ্যান্টিবডিগুলির উপস্থিতি পরীক্ষা করা হয়।

🧪 পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন টেস্ট বা পিসিআর:

🩸 এই পরীক্ষা পদ্ধতিতে রোগীর ক্ষত স্থান থেকে নমুনা নিয়ে ডিএনএ রেপ্লিকেশন টেস্ট করা হয়। এটি ভাইরাসের উপস্থিতি চিহ্নিত করার জন্য করা হয়।

🧪 ভাইরাস কালচার টেস্ট:

🩸 এই পরীক্ষা পদ্ধতিতে ত্বকের টিস্যু থেকে একটি ছোট্ট অংশ বা হার্পিসের ফোসকাগুলির নমুনা নিয়ে ভাইরাস কালচার করা হয়।

আরো পড়ুনঃ  সাইটোমেগালো-ভাইরাস | হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।

🇨🇭 হারপিসের প্রতিকার বা চিকিৎসা পদ্ধতি কী?

🩸 হারপিসের এই ক্ষতগুলি সাধারণত স্বাভাবিক নিয়মে কয়েক দিন বাদে সেরে যায়। কিন্তু ব্যথার থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু করলে অন্য জনের মধ্যে এই ভাইরাস সংক্রমণ ঘটবে না।

🩸 যৌনাঙ্গে হারপিসের জন্য কিছু সাধারণ চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। যেমন:

  • 🧪 ফেমওয়্যার এবং জোভিরাক্স এর প্রয়োগ। এই অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ গুলি সংক্রমণের প্রকোপ কমাতে ব্যবহৃত হয়।
  • 🧪 হারপিস আক্রান্ত রোগীকে যত্নে রাখা উচিত। বার বার ক্ষতস্থানে স্পর্শ করে প্রতিবার হাত ভালভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। আক্রান্ত স্থানটি শুকানোর জন্য আলাদা ভাবে যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
  • 🧪 যৌনাঙ্গে সংক্রমণ নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত যৌন সংসর্গ করা উচিত নয়।
  • 🧪 প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে কিছু অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে প্রয়োগ করা হয়। যেমন:অ্যাসিক্লোভির, ফ্যামিসিক্লোভির এবং ভ্যালাসিক্লোভির।
  • 🧪 মাঝে মাঝে আক্রান্ত স্থানে বরফ ঘষলে আরাম বোধ হয়। ঠান্ডা জলের সেঁকও ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।

🇨🇭 হারপিস থেকে মুক্তি পেতে প্রয়োজন সতর্কতা:

  • 🩸 যে কারণগুলির জন্য শরীরে থাকা প্রচ্ছন্ন ভাইরাসটি পুনরুজ্জীবিত হয়ে ওঠে, সেগুলিকে পরিত্যাগ করা। যেমন: দুশ্চিন্তা, রোদে ঘোরাঘুরি, মানসিক চাপ ইত্যাদি।
  • 🩸 মুখে বা ঠোঁটে হারপিসের সংক্রমণ হলে, সতর্ক হয়ে চলুন যাতে আপনার থেকে অন্য জনের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে।
  • 🩸 হারপিস আক্রান্ত স্থানে ওষুধ লাগালে সঙ্গে সঙ্গে হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

🇨🇭 Herpes Simplex – হার্পিস একটি নিরব প্রাণঘাতিক ভাইরাস। সাধারণত 40% ব্যক্তির মধ্যে এরকম হারপিসের ভাইরাস বহন করেন। যাঁরা ভাইরাস বহন করেন তাঁদের মধ্যে 80% ব্যক্তি জানতেই পারেন না। যে তাঁরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। কারণ তাঁদের মধ্যে এই ভাইরাসের আলামত খুব কম প্রকাশ পায়। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, হার্পিস এর লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার কয়েক দিন পর, নিজে নিজেই লক্ষণ চলে যায়। কিছু দিন পর আবার ফিরে আসে। এভাবে আসা-যাওয়ার কারণে মারাত্ব্যক মনে করেন না।

🇨🇭 Herpes Simplex ভাইরাস – ( HSV ) আক্রান্ত ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শের কারণে ছড়িয়ে যায়। এভাবে একজন আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে অন্যজনের মধ্যে ছড়িয়ে যায়। এটি একটি সাধারণ ভাইরাল সংক্রমণ যার প্রকাশ ঘটে সংক্রমণ স্থলে বিভিন্ন যন্ত্রণাদায়ক ক্ষত বা আলসারের মধ্য দিয়ে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজে থেকেই যার উপশম হয়।

হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস হোমিও ট্রিটমেন্ট।

🇨🇭 Herpes Simplex ( HSV ) এর লক্ষণ:

🩸 যখন প্রথমবার সংক্রমণ হয় তখন তার সঙ্গে জ্বর, শরীরে যন্ত্রণা হতে পারে, এবং লিম্ফ নোড ফুলে যেতে পারে।

🩸 সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ের পর ভাইরাস সক্রিয় উঠলে ফের সংক্রমণ দেখা দেবে কিন্তু প্রথমবারের চেয়ে উপসর্গের তীব্রতা কম হবে।

🩸 প্রথম বছর সংক্রমণের হার বেশি থাকে, পরে ধীরে ধীরে তা কমতে দেখা যায়। এর কারণ হল, শরীরের মধ্যে ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক প্রতিরোধী ক্ষমতা গড়ে ওঠা।

🩸 সাধারণত এই ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার দুসপ্তাহ পর শরীরের বাইরে এর প্রকাশ ঘটে। এর ঘাঁগুলি দুই থেকে চার সপ্তাহর ভিতর শরীরে ফুটে ওঠে। ঘাঁগুলি সাধারণত যৌনাংগ বা মলদ্বারের কাছে একটা বা একাধিক গুটির মতো দেখা দেয়। প্রথমে এই গুটিগুলি দেখা দেওয়ার পরে এইগুলি ফেটে গিয়ে স্পর্শকাঁতর ঘাঁ হয়ে যায়। এই ঘাঁগুলি ঠিক হতে 02 থেকে চার সপ্তাহ সময় লাগে। এর কয়েক সপ্তাহ কয়েক মাস পর গুটিগুলি পুনরায় দেখা দেয়। অবশ্য পরেরবার ঘাঁগুলি আগের বারের চেয়ে কম ভয়াবহ হয় ও সময় মতো শুকায়। এই সংক্রমণ শরীরে অনির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত
হারপিসের ভাইরাসের ধরনের ওপর উপসর্গ নির্ভর করে।

🩸 অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হার্পিস আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে কোনও উপসর্গ দেখা যায় না এবং বেশিরভাগ ( HSV ) আক্রান্ত ব্যক্তি জানতেই পারেন না যে তাঁরা হার্পিস ভাইরাসে আক্রান্ত।

WhatsApp Image 2024 03 11 at 00.51.18 db849527

🇨🇭 মুখে হার্পিস:
মুখে এই রোগ সংক্রমণ হলে তাকে ওরাল হার্পিস বা জ্বরঠোসা বলা হয়ে থাকে। এটি মূলত হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস টাইপ-01 ( HSV-1 ) এর সংক্রামণের ফলে হয়। হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস ( HSV-1 ) চোখে, হাতে, এমনকী মস্তিষ্কেও সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
যদি হার্পিস মুখে হয় তার লক্ষণ যন্ত্রণাদায়ক ক্ষত, ঘা, আলসার মুখের ভিতরে এবং চারপাশে হতে পারে। যখন এই ক্ষতগুলি ঠোঁটের ওপরে বা চারপাশে দেখা যায় তখন সেগুলিকে সাধারণত কোল্ড সোর বা বলা হয়। ক্ষত বার হওয়ার আগে আক্রান্ত ব্যক্তি ওই জায়গায় ঝনঝনে ব্যাথা, চুলকানি, বা জ্বালা অনুভব করেন। প্রথমবারের পর আবার পরে ক্ষত দেখা দিতে পারে। কতবার তা বার হবে তা মানুষে মানুষে পার্থক্য থাকে।

🇨🇭 যৌনাঙ্গে হার্পিস:
যৌনাংগের এই রোগ সংক্রমণ হলে তাকে জেনিটাল হার্পিস বলে। এটি মূলত সিমপ্লেক্স ভাইরাস টাইপ-2 ( HSV-2 ) সংক্রমণের ফলে হয়।
যৌনাঙ্গে সংক্রমণের জন্য দায়ী ( HSV-2 ), যার কোনও উপসর্গ দেখা যায় না বা এমন উপসর্গ দেখা যায় যা বোঝা যায় না এবং বহু মানুষই সেদিকে নজর দেন না। প্রায় 10 থেকে 20% মানুষ যাঁরা ( HSV-2 ) ভাইরাসে আক্রান্ত জানান, যে তাঁরা আগেও আক্রান্ত হয়েছিলেন। ( HSV-2 ) তে আক্রান্ত হয়ে যখন যৌনাঙ্গে সংক্রমণ হয় তখন উপসর্গ হিসাবে যৌনাঙ্গে এক বা একাধিক ফোড়া বা ক্ষত বা আলসার দেখা যায়। ( HSV-2 ) তে আক্রান্ত ব্যক্তিরা উপসর্গ বার হওয়ার আগে পা, কোমর, এবং পশ্চাদ্দেশে হাল্কা ঝনঝনে ব্যাথা বা একটি তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করতে পারেন।

🇨🇭 হার্পিস এর চিকিৎসাএলোপ্যাথিক চিকিৎসা: HSV এর সম্পূর্ণ নিরাময়ের কোন চিকিৎসা ( প্রতিষেধক ) নেই। কিন্তু প্রতিরোধের ঔষধ খেয়ে ঘাঁগুলি প্রতিরোধ করা ও কম দিন থাকার চিকিৎসা করা যায়। সংক্রমণ হওয়ার থেকে রক্ষা করা যায়।

🇨🇭 হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা : হোমিওপ্যাথিতে HSV এর খুব ভালো চিকিৎসা আছে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় প্রথম মাস থেকে আরাম পেতে শুরু করে। সম্পূর্ণ নির্মূল হতে 6 মাস পর্যন্ত চিকিৎসা নিতে হয়। বহু রোগি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়েছেন।

🇨🇭 দুরারোগ্য জটিল রোগসমূহের চিকিৎসা নেয়ার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম আপনার কাজ হলো, এক্সপার্ট একজন হোমিও চিকিৎসক খুঁজে বের করা। অন্যথায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাতে ও আপনার মুল্যবান সময় নষ্ট হবে। শেষে সবদোষ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার হবে। অথচ চিকিৎসকের কাছে না যাওয়ায় তার কোন সঠিক চিকিৎসাই হয়নি। একজন অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসক রোগীর রোগ পর্যবেক্ষণ করেন। এর প্রয়োজনীয় তথ্যাদি বের করে নির্দিষ্ট ঔষধ, নির্দিষ্ট মাত্রায়, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আপনার শরীরে প্রয়োগ করেন। নির্দিষ্ট সময়ের পর আপনার সব সমস্যা সমাধান হবে, ইনশা আল্লাহ।

ডা.মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( বি, এইচ, এম, এস )
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!