🇨🇭 রেকটাল ক্যান্সার – ( Rectal Cancer ) রোগটি কি?
🇨🇭 আমাদের যে পরিপাকতন্ত্র আছে তার শেষের যে অংশ, যেটাকে বাংলায় বলা হয় বৃহদন্ত্র, সেই অংশটিকে কোলোরেকটাল বলে। উপরের অংশটিকে কোলোন এবং নিচের অংশ যেটা মলাশয়, স্টুল বা মল জমা থাকে সেটাকে বলা হয় রেকটাম। এ দুটি মিলে হলো কোলোরেকটাল। এখানে যে ক্যান্সার হয় সেটাই কোলোরেকটাল ক্যান্সার।
🇨🇭 ক্যান্সারের জন্য যেসব বিষয় দায়ী- কোলোরেকটাল ক্যান্সারের কারণগুলো হচ্ছে- আমাদের বর্তমান সমাজের ফ্লুয়েন্ট লাইফস্টাইল অর্থাৎ আমাদের যে খাদ্যাভ্যাস সেটাই কারণ হিসেবে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে গবেষণায় দেখা যাচ্ছে। আমরা রিফাইন খাবার খাচ্ছি। শাক সবজি বা আঁশযুক্ত খাবার কম খাচ্ছি। খাবারের কিছু বিষয় ক্যান্সারের পূর্ববর্তী উপাদান হিসেবে তৈরি হচ্ছে। এগুলোকেই কোলোরেকটাল ক্যান্সারের অন্যতম কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে। আরেকটি কারণ হলো কোলোনিক পলিপ, সেখানে এক ধরনের আঙ্গুলের মতো বৃদ্ধি দেখা যায়। সেটা যদি চিকিৎসা করা না হয় সেটা পরবর্তীকালে ক্যান্সারে রূপ নেয়।
🇨🇭 রেকটাল ক্যান্সার – ( Rectal Cancer )ক্যান্সারের রোগীর সংখ্যা কেমন?
🩸 সাধারণত ফুসফুস ক্যান্সারের পরই কোলোন ক্যান্সার বেশি হয়।
🇨🇭 আমাদের দেশে এটার এখনো কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে আমাদের কোলোরেকটাল ক্যান্সার বেড়ে যাচ্ছে খাদ্যাভ্যাসের কারণে, অন্য কিছু কারণও রয়েছে। আর বাংলাদেশে সচেতনতার অভাবে এই রোগের বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আমাদের কাছে প্রচুর রোগী আসছে কোলোরেকটাল ক্যান্সারের উপসর্গ নিয়ে।
🇨🇭 উপসর্গগুলো: সব ক্যান্সারের একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে প্রাথমিক পর্যায়ে এর কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। কোলোনে হলে এক ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পাবে। আর রেকটামে হলে আরেক ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পাবে। কোলোনে হলে, পেট ব্যথা, ক্ষুধা মন্দা, শরীরের ওজন কমে যাওয়া, পায়খানার অবস্থা পরিবর্তিত হওয়া , অর্থাৎ একবার হয়তো পাতলা পায়খানা হলো। আরেক বার হয়তো কষা পায়খানা হলো। আগে সে হয়তো নিয়মিত মল ত্যাগ করতো, এখন হয়তো অনেকবার করতে হয়। এ ছাড়া কালো পায়খানা হতে পারে। রেকটাল ক্যান্সারের ক্ষেত্রে সকালে পাতলা পায়খানা হবে। একবার টয়লেটে যাওয়ার পর হয়তো মনে হবে পায়খানা পরিষ্কার হয়নি। আবার যাবে। রক্তমিশ্রিত পায়খানা হবে। অথবা মিউকাস এবং রক্তমিশ্রিত পায়খানা যাবে। এই বিষয়গুলো – ( Rectal Cancer ) রেকটাল ক্যান্সারে দেখা যায়। এখানে অনেকের ভুল হয় যে এটাকে পাইলস ভেবে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করে এবং শেষ পর্যন্ত দেখা যায় ক্যান্সার হয়েছে।
🇨🇭 পরীক্ষা ও চিকিৎসা: কোলোরেকটাল ক্যান্সারের এখনো একটা বিষয় রয়ে গেছে, এখনো হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে প্রধান চিকিৎসা হিসেবে রয়ে গেছে এটি। হাতুড়ে চিকিৎসকরা জটিল করে রোগটিকে যখন স্থায়ী করে ফেলেন তখন রোগীরা শেষ পর্যায়ে আমাদের কাছে আসেন। তখন আমরা যে চিকিৎসাগুলো করতে হবে তাই করি।
প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয়ের জন্য যে বিষয়টি করা দরকার সেটি হলো স্ক্রিনিং টেস্ট। আমাদের দেশে যে স্ক্রিনিং টেস্ট হয় সেটাকে বলা হয় কোলোনোস্কোপি। একটা লম্বা নল কোলোনে ঢুকিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হয় সেখানে কোনো পলিপ বা টিউমার আছে কি না। আমাদের দেশে আসলে 40 -এর পর সবারই কোলোনোস্কোপি করা উচিত। তাহলে আগে থেকে রোগ নির্ণয়ের হার অনেক বেড়ে যাবে।
🇨🇭 আরেকটা ভালো বিষয় হচ্ছে প্রাথমিক পর্যায়ের কোলোন ক্যান্সারের খুব চমৎকার চিকিৎসা রয়েছে। অনেক রোগী রয়েছে যারা প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা করার কারণে দীর্ঘদিন ধরে সুস্থ রয়েছে।
🇨🇭 ক্যান্সারে মত মনে হলে বা মলাশয়ে জটিলতা দেখা দিলে চিকিৎসার শরণাপন্ন হয়ে রোগ নির্ণয় করতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করা গেলে রেকটাল ক্যান্সার – ( Rectal Cancer ) / কোলন ক্যান্সারের পরিপূর্ণ চিকিৎসা সম্ভব।
🇨🇭 যদি ক্যান্সার ছড়িয়ে যায় তার চিকিৎসা পৃথিবীর কোথাও নাই। আমাদের প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ এর একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
🇨🇭 কোলন ও রেকটাল ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী এপ্রিল মাসকে কোলোরেকটাল ক্যান্সার সচেতনতা মাস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
🇨🇭 কোলন / রেকটাল ক্যান্সার ( Rectal Cancer ):
🇨🇭 বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যুর কারণ হিসেবে ক্যান্সারের স্থান দ্বিতীয়। 2018 সালের সর্বশেষ তথ্য মতে, পৃথিবীতে 96 লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় তিন লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এখনই প্রতিরোধমূলক কোনো ব্যবস্থা না নিলে 2030 সালের মধ্যে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা হবে দ্বিগুণ।🥺
🇨🇭 আশার কথা হচ্ছে, পৃথিবীতে যত মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে তার 30 থেকে 40 শতাংশ ক্যান্সারই প্রতিরোধ করা সম্ভব।
🇨🇭 ক্যান্সারের প্রকারভেদ ( Different Types Of Cancer ):
🩸 প্রতিবছর বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। সাধারণত ফুসফুস, কোলন, রেকটাল, স্তন, জরায়ু ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হয়।
🇨🇭 কোলন ও রেকটাল ক্যান্সার:
🩸 পরিবেশ অথবা বংশগত প্রভাবের কারণে মলাশয়ের মিউকোসাল এপিথেলিয়ামের টিউমারটি ম্যালিগন্যান্ট টিউমারে পরিণত হলে তাকে কোলন বা মলাশয়ের ক্যান্সার বলে।
এটি সাধারণত মলাশয় ও মলদ্বারের সংযোগস্থানে বেশি হয়।
🇨🇭 কোলন ও রেকটাল ক্যান্সার এর লক্ষণ:
- 🧪 প্রাথমিকভাবে কোলন ক্যান্সার নির্ণয় অত্যন্ত কঠিন। এর কারণ প্রথম দিকে রোগটির তেমন কোনো উপসর্গ বোঝা যায় না।
- 🧪 কোলন বা মলাশয়ের কোন জায়গায় ক্যান্সার রয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে উপসর্গে বিভিন্নতা দেখা যায়।
- 🧪 পায়খানার সঙ্গে রক্ত কিংবা পেটে ব্যথা নিয়ে বেশির ভাগ রোগী প্রথম চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়।
- 🧪 মলত্যাগের অভ্যাস পরিবর্তন- কখনো ডায়রিয়া, কখনো কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্তশূন্যতা- দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট।
- 🧪 অবস্থা গুরুতর হলে ওজন কমে যাওয়া, পেটে চাকা, পেটে পানি, রক্ত মিশ্রিত পায়খানা বা তাজা রক্ত ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যায়।
- 🧪 দুর্ভাগ্যবশত চিকিৎসকরা রোগীদের রোগটির অতিমাত্রায় অগ্রসর অবস্থায় পান। কারণ বেশির ভাগ রোগীই আগে অপচিকিৎসার শিকার হয়ে চিকিৎসকের কাছে আসে।
আরো পড়ুনঃ হোমিও চিকিৎসায় ক্যান্সার রোগ নিরাময় হয়।
🇨🇭 কোলন ও রেকটাল ক্যান্সারের কারণ:
🩸 বয়স: কোলন ক্যান্সারে ভোগা প্রতি 10 জনের 09 জনের বয়স 60 বা তার বেশি।
🩸 খাদ্যাভ্যাস: খাদ্যতালিকায় ভাজাপোড়া, অতিরিক্ত রেড মিট, ডিডিটি মিশ্রিত শুঁটকির আধিক্য এবং আঁশযুক্ত খাবারের অনুপস্থিতি।
🩸 ওজন: অতিরিক্ত ওজন যাদের তাদের কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
🩸 পারিবারিক ইতিহাস: বংশগত কারণে জিনের পরিবর্তন হতে পারে। পরে তা কোলন ক্যান্সার ত্বরান্বিত করে। এ ছাড়া রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়-পরিজন কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত থাকলে কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
🩸 ধূমপান ও মদ্যপান : ধূমপান ও মদ্যপান কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
🇨🇭 বাংলাদেশে কোলন ও রেকটাল ক্যান্সারের চিত্র:
🩸 বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় 18 কোটি। জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে অষ্টম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এই 18 কোটি মানুষের মধ্যে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা 14-15 লাখ। এই সংখ্যার সঙ্গে প্রতিবছর যোগ হচ্ছে 02 লাখ নতুন ক্যান্সার রোগী। বাংলাদেশে কোলন ক্যান্সার শনাক্ত রোগীর কোনো নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই। তবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের 2014 সালের রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর 19.2 শতাংশ পরিপাকতন্ত্রের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
🇨🇭 বাংলাদেশে ক্যান্সার পরিস্থিতির বিস্তারিত বিশ্লেষণ বা কোন শ্রেণির মানুষ ভোগে এ বিষয়ে সাম্প্রতিক কোনো তথ্য না থাকলেও বর্তমানে কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার কিছুটা বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, 20 থেকে 49 বছর বয়সীদের কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার 56 শতাংশ, যেখানে 50 থেকে 89 বছর বয়সীদের আক্রান্তের হার 44 শতাংশ। ইদানীং চট্টগ্রামে তরুণদের মাঝেও কোলন ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বয়সভিত্তিকভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এই ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর বেশির ভাগই 40 থেকে 50 বছর বয়সী। আমাদের এর কারণ দ্রুত খুঁজে বের করতে হবে।
🇨🇭 কোলন ও রেকটাল ক্যান্সারে করণীয়?
🩸 প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে এটি অনেকাংশে নিরাময়যোগ্য। এমনকি ক্যান্সার যদি কাছাকাছি লসিকা-গ্রন্থিতে ও ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, পঞ্চাশোর্ধ্ব সব জাতি-বর্ণের নারী-পুরুষ কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়।
🩸 মনে রাখতে হবে, স্ক্রিনিং – কোলোনোস্কপি, Stool For OBT, Fecal Immunochemical Test ) এর মাধ্যমে ক্যান্সার-পূর্ববর্তী পলিপস শনাক্ত করে অপসারণের মাধ্যমে অনেক জীবন বাঁচানো সম্ভব। পাশাপাশি স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার শনাক্ত করে প্রতিরোধ করা সম্ভব। প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তকৃত এসব পলিপস, যা বিস্তৃতি লাভ করেনি বা ছড়িয়ে পড়েনি সেগুলো অপসারণের মাধ্যমে পুনরায় সুস্থ জীবন যাপন করার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয়।
🇨🇭 চিকিৎসা:
🧪 সম্পূর্ণ নিরাময় বা নিয়ন্ত্রণই হলো কোলন ও রেকটাল ক্যান্সার চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্য। সাধারণত রোগীর শারীরিক অবস্থা, টিউমারের অবস্থান ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসাপদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়।
🇨🇭 যে কোনো ক্যান্সার চিকিৎসায় একটি শব্দ বিশ্বে বহুল প্রচলিত- Multidisciplinary Approach যার মানে ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ, সাইকোথেরাপিস্ট, প্যাথলজিস্ট, ক্যান্সার কেয়ার নার্সসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা, যা ক্যান্সার জয়ের জন্য অত্যাবশ্যকীয়।
🇨🇭 অপচিকিৎসা নয়!
🛑 ক্যান্সার কঠিন রোগ হলেও এর উপযুক্ত চিকিৎসা রয়েছে। রোগীদের সচেতনতা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আধুনিক চিকিৎসার যুগে এসেও বাংলাদেশের মানুষ এখনো হাকিম, কবিরাজ, ঝাড়ফুঁকের ওপর বিশ্বাস করে। এসব কুসংস্কার থেকে পরিত্রাণ পেতে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি।
🇨🇭 বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ক্যান্সার চিকিৎসা ব্যয় সরকারি হাসপাতালগুলোতে অত্যন্ত কম। রোগীদের প্রতি অনুরোধ, কোনো রোগ সম্পর্কে পরিচিতজনের পরামর্শ না নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। এ ক্ষেত্রে রোগীর সচেতনতাই ক্যান্সারকে প্রাথমিক অবস্থায় নির্ণয় করতে সাহায্য করবে। কাজেই সচেতন হোন, সুস্থ থাকুন।
🇨🇭 কোলন / রেকটাল ক্যান্সার ( Rectal Cancer ) প্রতিরোধের উপায়?
- ❤ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খান।
- ❤ লাল মাংস কম খান বা পরিহার করুন।
- ❤ 50 বছর বয়সের পর স্ক্রিনিং করান।
- ❤ ধূমপান বর্জন করুন।
- ❤ নিয়মিত শরীরচর্চা করুন।
- ❤ ফরমালিনমুক্ত খাবার খাওয়া বন্ধ করুন।
🇨🇭 কী ভাবে বুঝবেন পায়ুপথে ক্যান্সার হয়েছে ?
🩸 মলদ্বারের রোগের মধ্যে পাইলস ও ফিস্টুলা জটিল রোগ। আমাদের ধারণা, পায়ুপথের বিভিন্ন সমস্যা যেমন: রক্ত যাওয়া, ব্যথা হওয়া, ফুলে যাওয়া এসবই হয় পাইলসের কারণে। এ ধারণা ঠিক নয়। প্রতিটি উপসর্গই পায়ুপথে ক্যান্সার হতে পারে। ফিস্টুলা বা ভগন্দর রোগেও এমন উপসর্গ দেখা দিতে পারে। পায়ুপথে ক্যান্সার হলে সেটিও ফিস্টুলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে।
🩸 যেসব রোগে পায়খানার সঙ্গে রক্ত যায়, তার মধ্যে ক্যান্সার অন্যতম। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রক্ত যায় যেসব রোগে, সেগুলো হচ্ছে:
- এনাল ফিসার- Anal Fissure.
- পাইলস – Piles.
- রেকটাল পলিপ, ( শিশুদের বেশি হয় ) – Rectal Polyps.
- ক্যান্সার- Cancer.
- আলসারেটিভ কেলোইটিস- Ulcerative Colitis.
- ফিস্টুলা- Anal Fistula. ও অন্যান্য।
🇨🇭 অনেকে বলে থাকেন: পায়খানা পরিষ্কার হয় না। পায়খানার বেগ এলে কিছু তরল জিনিস বের হয়ে আসে, কিন্তু পায়খানা অসম্পূর্ণ রয়ে যায়, মাঝে মাঝে টয়লেটে রক্ত ও যায়, পরবর্তী সময় মলদ্বারে ও কোমরের নিচের দিকের ব্যথা মলদ্বার থেকে পেছন দিকে ছড়িয়ে পড়ে। ভেতরের ব্যথা কোমরে অনুভূত হতে পারে, আবার উরুর দিকেও সম্প্রসারিত হতে পারে।
🇨🇭 এমন লক্ষণকে আমরা পাইলস-ফিস্টুলা হিসেবে প্রথমে চিহ্নিত করে ভুল করে থাকি। এগুলো মূলত কোলন / রেকটাল ক্যান্সার ( Rectal Cancer ), মলদ্বারে ক্যান্সারের লক্ষণ।
- 🩸 02 টি পরীক্ষার মাধ্যমে রেকটামের ভেতরে ক্যান্সার চিহ্নিত করা হয়। সেগুলো হচ্ছে- সিগময়ডস্কপি ও প্রকটস্কপি।
- 🩸 এ ক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা হচ্ছে- রোগীরা মলদ্বারের ভেতর যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করাতে চান না। ব্যথা হতে পারে এই ভেবে খুব ভয় পেয়ে যান। জিজ্ঞাস করেন যে, এই পরীক্ষা করলে আমি আগামীকাল অফিসে যেতে পারব কিনা?
- 🩸 এটি নিশ্চিত করেই বলা যায় যে, এ পরীক্ষায় সামান্য অস্বস্তি ছাড়া কোনোরূপ ব্যথা হয় না। বেশিরভাগ রোগীই এ পরীক্ষায় কোনোরূপ ব্যথা পান না। এ পরীক্ষার জন্য খুবই সামান্য সময়ের প্রয়োজন। সারাদিন না খেয়ে থাকার প্রয়োজন হয় না। মলদ্বারে তীব্র ব্যথা আছে এমন রোগীরও এ পরীক্ষা করা যায়।
- 🩸 মফস্বল থেকে আসা অনেক রোগী দেখি যাদের ক্যান্সার আছে অথচ হাতুড়ে চিকিৎসকরা তদের ইনজেকশন দিচ্ছেন। কোনো কোনো হাতুড়ে চিকিৎসক আবার এক ধাপ এগিয়ে সেখানে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। 😏!!!
- 🩸 রেকটাম ক্যান্সারের রোগীদের একই সঙ্গে পাইলস ও ক্যান্সার থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমরা যদি পাইলসের চিকিৎসা করি, তা হলেও দেখা যায় যে, রোগীর সমস্যা যাচ্ছে না, তখন মলদ্বারের ভেতর লম্বা যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা – সিগময়ডস্কপি বা কোলনস্কপি, করলে ক্যান্সার ধরা পড়ে। এ জাতীয় সমস্যাও মাঝে মধ্যে দেখা যায়।
- 🩸 মলদ্বারের মুখ থেকেও রক্ত যেতে পারে আবার অনেক ভেতর অর্থাৎ- রেকটাম বা বৃহদান্তের ভেতর থেকেও রক্ত যেতে পারে। কী কারণে যাচ্ছে তা বিশেষ ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে একজন উপযুক্ত চিকিৎসক বলে দিতে পারেন।
- 🩸 কিছু রোগী বলেন, আমার পাইলস হয়েছে আমাকে কিছু ওষুধ দেন খেয়ে দেখি পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার নেই। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের পরীক্ষা না করে অনুমান নির্ভর পাইলস চিকিৎসা দেওয়া ঠিক নয়। কারণ এতে যে রোগীদের কোলন / রেকটাল ক্যান্সার ( Rectal Cancer ) আছে তা শনাক্তকরণে বিলম্ব হবে। এতে করে বড় বিপদ হতে পারে।
🇨🇭 বর্তমানে ক্যান্সার প্রতিরোধে ও ক্যান্সার চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু দু:খের বিষয় হচ্ছে যখন রোগীর ক্যান্সারের চরম অবস্থায় পৌঁছে তখন শেষ চিকিৎসা হিসেবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হই। প্রকৃত পক্ষে প্রাথমিক অবস্থায় লক্ষন অনুযায়ী গবেষণা ও স্টাডি করে পর্যায়ক্রমে চিকিৎসা দেওয়া হলে ক্যান্সার নিরাময় করা সম্ভব। তাই অন্যান্য চিকিৎসার পাশাপাশি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। তবে অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড প্রাপ্ত ও অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে হবে।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( D. H. M. S )
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801302-743871
( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।
☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।
☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।