🫦 ক্লিটোরিসে স্পর্শ করলেই জেগে ওঠে মহিলাদের মস্তিষ্কের এই অংশ, সচল হয় স্নায়ু।
🫦 বিশেষজ্ঞরা এমনটাই বলেন। যৌনতৃপ্তি বা যৌন সন্তুষ্টি শুধু শারীরিক সুস্থতা নয় মানসিক বিকাশের অন্যতম মাধ্যমও বটে।
এমনও দেখা গেছে, তীব্র অবসাদ, মানসিক রোগ বা সেক্সুয়াল ডিসফাংশনের মতো অসুখকে সারানো গেছে এভাবেই। মানুষের শরীরে যখন যৌন উদ্দীপনা তৈরি হয় তখন যে সংবেদনশীলতার স্রোত স্নায়ু দিয়ে বয়ে যায় সেটাই হল আসল দাওয়াই। এই সংবেদনশীলতা জটিল মানসিক ব্যধির থেরাপি হতে পারে। নতুন গবেষণা দাবি করেছে এমনটাই। ব্যাপারটা একটু বিশদে বলা যাক। স্ত্রী বা পুরুষের শরীরে এমন কিছু সংবেদনশীল অঙ্গ আছে যেগুলি যৌন উদ্দীপনা তৈরি করতে পারে। মহিলাদের শরীরে তেমনই একটি অঙ্গ হল ক্লিটোরিস ( Clitoris )। স্পর্শ করলেই এই অঙ্গ উদ্দীপিত হয়। ইন্টারকোর্স বা যৌন মিলনের সময় স্ত্রী যোনিপথ বা যৌননালীর পথকে আরও উন্মোচিত করার জন্য এই উদ্দীপনা খুব জরুরি।
🫦 কারণ মহিলাদের ওই অংশের পেশি সঞ্চালনে এটি বিশেষ ভূমিকা নেয়। ডাক্তারি ভাষায় বলতে গেলে, যে এক্সাইটমেন্ট ( Excitement ) তৈরি হয় তা ( ভ্যাজাইনাল সিক্রেশন )-এর জন্য জরুরি। আর এভাবেই সংবেদনশীলতার যে স্রোত তৈরি হয় তা মস্তিষ্কের একটি বিশেষ অংশকে সক্রিয় করে তোলে। নানা রকম জটিল মানসিক ব্যধির নিরাময়ের উপায় লুকিয়ে আছে সেখানেই। বার্লিনের চ্যারিটি ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের মেডিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের গবেষকরা মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের একটি বিশেষ দিক নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে এই ব্যাপারটা লক্ষ করেছেন। 20 জন মহিলার ওপরে পরীক্ষা করে এর সত্যতাও যাচাই করা হয়েছে। JNeurosci সায়েন্স জার্নালে এই গবেষণার খবর ছাপা হয়েছে। For The First Time, Scientists Map Brain Regions Responding to The Clitoris.
🫦 মস্তিষ্কের সংবেদনশীল অঞ্চলকে সক্রিয় করে ক্লিটোরিস? 20 জন মহিলার ওপর এই পরীক্ষা চালিয়ে তাঁদের শরীরে যে সংবেদনশীলতার স্রোত তৈরি হয়েছে তাই নিয়ে গবেষণা করেন বিজ্ঞানীরা। ( ফাংশনাল ম্যাগনেটিক রেসোন্যান্স ইমেজিং )- FMRI, পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ক্লিটোরিসকে উদ্দীপিত করলে স্নায়ুর মাধ্যমে যে উত্তেজনা প্রবাহ হয় তা মস্তিষ্কের সোমাটোসেনসরি কর্টেক্স ( Somatosensory Cortex ) অঞ্চলকে আরও সক্রিয় ও প্রসারিত করে তোলে।
🫦 সোমাটোসেনসরি কর্টেক্স কী?
❤এটি প্যারাইটাল লোবে অবস্থিত মস্তিষ্ক বা ব্রেনের একটি বিশেষ অঞ্চল। এর কাজ হল সংবেদনশীল অনুভূতিগুলিকে প্রকাশ করা। স্পর্শ, তাপ, উষ্ণটা, কম্পন ইত্যাদিতে শরীরে যে অনুভূতি ও উত্তেজনা তৈরি হয়, সেই অনুভূতির সঙ্কেত পাঠায় ব্রেনের এই অংশ।
❤ ধরুন আপনাকে কাতুকুতু দেওয়া হল। তাতে যে অনুভূতি তৈরি হবে তা হল স্পর্শ বা টাচ থেকে। এই অনুভূতির সঙ্কেত স্নায়ুর মাধ্যমে পাঠাবে সোমাটোসেনসরি কর্টেক্স। এর আবার অনেকগুলো স্তর আছে। শরীরের কিছু বিশেষ জায়গায় স্পর্শ করলে এই অংশ সক্রিয় হয়ে ওঠে। বিজ্ঞানীরা এতদিন মনে করতেন পিঠে, পায়ের পাতায় বা হিপের নীচে একটি জায়গায় স্পর্শ করলে বা উদ্দীপনা তৈরি করলে ওই অংশ সক্রিয় হয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, ক্লিটোরিস এমন এক সংবেদনশীল অঙ্গ যা সোমাটোসেনসরি কর্টেক্সকে আরও বেশি সক্রিয় ও প্রসারিত করে।
আরো পড়ুনঃ মহিলাদের সেক্স উঠে না কেন? পুরুষের কি দেখে মহিলাদের যৌনাকাঙ্ক্ষা জাগে?❤ স্ত্রী জনন অঙ্গের অনেকগুলো ভাগ আছে। যোনি সারভিক্স থেকে ভালভা অবধি বিস্তৃত। এর স্তরগুলো হল:
- 🫦 ক্লিটোরাল হুড।
- 🫦 ক্লিটোরিস।
- 🫦 লেবিয়া মাইনরা।
- 🫦 মূত্রনালীর মুখ।
- 🫦 যোনির প্রবেশমুখ।
- 🫦 পেরিনিয়াম ও পায়ু।
❤ এই ক্লিটোরিস অংশই এমন উদ্দীপনা তৈরি করতে পারে যা মস্তিষ্ক ও স্নায়ুকে সচল রাখে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘ব্রেন প্লাস্টিসিটি’ বাড়ে। অর্থাৎ মস্তিষ্কের বিশেষ অঞ্চলগুলি প্রসারিত হয়। সংবেদনশীলতা, উত্তেজনা, ও ইন্দ্রিয়ের অনুভূতিগুলো সতেজ থাকে। এই খোঁজকেই আগামী দিনে অনেক জটিল মানসিক ব্যধি ও যৌনরোগের চিকিৎসায় প্রয়োগ করার কথা ভাবছেন গবেষকরা।
❤ ভগাঙ্কুর – Clitoris :
ভগাঙ্কুর হল টিস্যুর একটি মসৃণ গোলাকার গিঁট যা যোনিপথের খোলার মূত্রনালীর ঠিক উপরে অবস্থিত এবং এটি মহিলাদের যৌন উদ্দীপনার প্রধান স্থান। ভগাঙ্কুর শব্দটি গ্রীক ক্লিটোরিস থেকে এসেছে , যার অর্থ ( ছোট পাহাড় ) বা ( ঢাল ), অথবা সম্ভবত ক্লেই-ইও , যার অর্থ ( বন্ধ করা )।
🫦 এটিকে কখনও কখনও অশ্লীল ভাষায় ( ক্লিট ) হিসাবে উল্লেখ করা হয়, একটি শব্দ যা অবমাননাকর মহিলাকে বর্ণনা করার জন্যও ব্যবহার করা হয়।
🫦 ফরাসিরা ভগাঙ্কুরকে বিজু বলে , যার অর্থ ( রত্ন ), রাশিয়ানরা একে পোখোটনিক বলে , যার অর্থ ( লালসা ) এবং পলিনেশিয়ার তুয়ামোতুয়ান মানুষদের এই যৌন অঙ্গের জন্য কমপক্ষে দশটি ভিন্ন শব্দ রয়েছে।
🫦 ভগাঙ্কুর শারীরবিদ্যা, ভ্রূণগতভাবে, ভগাঙ্কুরটি লিঙ্গের মতো একই টিস্যু থেকে উদ্ভূত হয়। ভ্রূণের প্রাথমিক বিকাশের সময় পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরনের উপস্থিতি এই টিস্যুটিকে একটি লিঙ্গে আলাদা করে দেয় এবং হরমোনের অনুপস্থিতির কারণে টিস্যুটি ভগাঙ্কুরে পরিণত হয়। যদিও উভয় অঙ্গ যৌন সংবেদন প্রেরণ এবং গ্রহণ করার জন্য কাজ করে, লিঙ্গে মূত্রনালীও থাকে, যা শরীর থেকে শুক্রাণু এবং প্রস্রাব বের করার উপায় সরবরাহ করে।
🫦 যৌন গবেষক উইলিয়াম এইচ. মাস্টার্স এবং ভার্জিনিয়া ই. জনসন ( 1966 ) উল্লেখ করেছেন, Clitoris – ভগাঙ্কুরের একমাত্র কাজ হল মহিলাকে যৌন আনন্দ দেওয়া।
🫦 ভগাঙ্কুরের দেহটি একটি শ্যাফ্ট নিয়ে গঠিত যার দূরবর্তী প্রান্তে একটি গ্ল্যান থাকে। গড় ভগাঙ্কুর প্রায় 1 ইঞ্চি লম্বা এবং 1/4 ইঞ্চি চওড়া হলেও মহিলাদের মধ্যে আকারে যথেষ্ট পরিবর্তনশীলতা রয়েছে। অঙ্গের আকার এবং যৌন উদ্দীপনার সংবেদনশীলতার মধ্যে কোনো সংযোগ নেই। ভগাঙ্কুরে স্নায়ু শেষগুলির একটি সমৃদ্ধ নেটওয়ার্ক রয়েছে এবং এটি প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ উভয় উদ্দীপনার জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল। তদনুসারে, যৌন ক্রিয়াকলাপের সময়, মহিলারা প্রায়ই ক্লিটোরাল হুড বা মন্স, ক্লিটোরাল এলাকার উপরে ফ্যাটি টিস্যু স্ট্রোক করে অঙ্গের পরোক্ষ উদ্দীপনা পছন্দ করে।
🫦 যোনি, লালা বা ব্যক্তিগত লুব্রিকেন্ট পণ্য থেকে তৈলাক্তকরণ সংবেদনশীল টিস্যুতে সরাসরি ঘর্ষণ দ্বারা সৃষ্ট অস্বস্তি দূর করে গ্ল্যানে সংবেদন উন্নত করতে সহায়তা করে। এর সমতুল্য লিঙ্গের মতো, ভগাঙ্কুরটি কর্পোরা ক্যাভারনোসা দ্বারা গঠিত ইরেক্টাইল টিস্যু দিয়ে গঠিত, দুটি স্পঞ্জি টিস্যু অসংখ্য ক্ষুদ্র রক্তনালীতে ভরা যা যৌন উদ্দীপনার সময় রক্তে মিশে যায় এবং অঙ্গটিকে বড় করে তোলে।
🫦 শারীরবৃত্তীয়ভাবে, প্রক্রিয়াটি পুরুষাঙ্গের উত্থানের মতোই যেটিতে ভগাঙ্কুর – Clitoris শরীর থেকে দূরে বেরিয়ে আসে, তবে এর আকার ছোট হওয়ার কারণে, এই নড়াচড়া সবসময় স্পষ্ট হয় না।
🫦 ভগাঙ্কুর একটি প্রিপুস বা ক্লিটোরাল হুড দ্বারা আবৃত থাকে ( পুরুষের সামনের চামড়ার অনুরূপ ) যা ল্যাবিয়া মাইনোরার উপরের অংশের ত্বকের ধারাবাহিকতা। ক্লিটোরাল গ্ল্যান্স ( অঙ্গের দৃশ্যমান এবং সবচেয়ে সংবেদনশীল দিক ) ল্যাবিয়া মাইনোরাকে বিভক্ত করে এবং ফণা প্রত্যাহার করে প্রকাশ করা যেতে পারে ( এটি সাধারণত প্রিপুস যাকে ছিদ্র করা হয় যাকে প্রায়শই ভুলভাবে ক্লিটোরাল পিয়ার্সিং বলা হয় )। স্মেগমা, গ্রীক শব্দ থেকে যার অর্থ ( যা মুছে ফেলা হয় ) হল একটি পনিরের মতো ক্ষরণ যা প্রায়শই ভগাঙ্কুরের নীচে বা ভগাঙ্কুরের চারপাশে জমা হয় এবং স্থানীয় ক্ষরণ এবং স্লোফ-অফ ত্বকের জমার দ্বারা গঠিত হয়।
🫦 এর কোন পরিচিত শারীরবৃত্তীয় উদ্দেশ্য নেই এবং কখনও কখনও মাইক্রোস্কোপিক জীব দ্বারা সংক্রামিত হতে পারে যা প্রিপুসের নীচে পিণ্ড তৈরি করে এবং এই গলদগুলি যৌন কার্যকলাপকে বেদনাদায়ক করে তুলতে পারে। যে কোনো জমে থাকা উপাদান ধুয়ে ফেলার জন্য স্নানের সময় হুড প্রত্যাহার করে এটি সহজেই এড়ানো যায়।
🫦 Clitoris- ভগাঙ্কুর -ফাংশন?
🫦 যৌন উদ্দীপনার সময় ( সরাসরি যৌনাঙ্গের সংস্পর্শ বা ইরোটিক মনস্তাত্ত্বিক কারণের মাধ্যমে ), ভগাঙ্কুর এবং এর আশেপাশের যৌনাঙ্গের টিস্যু মায়োটোনিয়া ( পেশীর টান বা অনমনীয়তা ) এবং ভাসোকনজেশন ( কর্পোরা ক্যাভারনোসাতে রক্তের জমাট ) অনুভব করে।
🫦 রক্ত জমার ফলে ভগাঙ্কুর ফুলে যায় এবং কাছাকাছি ল্যাবিয়া চ্যাপ্টা হয়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং ভগাঙ্কুরকে উদ্দীপিত করে। মাস্টার্স এবং জনসন যৌন প্রতিক্রিয়ার এই প্রাথমিক পর্যায়কে উত্তেজনার পর্যায় হিসাবে বর্ণনা করেন। উদ্দীপনা চলতে থাকলে, মহিলা একটি মালভূমি পর্যায়ে প্রবেশ করে, উত্তেজনার একটি উন্নত অবস্থা যা অর্গাজমের আগে হয় এবং আরও ভাসোকঞ্জেশন এবং ভগাঙ্কুর এবং অন্যান্য বাহ্যিক যৌনাঙ্গে ফুলে যাওয়া দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। ফলস্বরূপ, ভগাঙ্কুরটি ছোট হয় এবং ক্লিটোরাল ফণার নীচে প্রত্যাহার করে। এটি কখনও কখনও হ্রাসপ্রাপ্ত উত্তেজনার চিহ্ন হিসাবে ভুল করা হয়, তবে প্রকৃতপক্ষে এটি একটি শারীরবৃত্তীয় প্রকাশ যে মহিলার যৌন প্রতিক্রিয়া বাড়ছে। অর্গাজম, পরবর্তী পর্যায়, শীঘ্রই অনুসরণ করে এবং যৌন উত্তেজনা থেকে মুক্তি দেয়। ক্লাইম্যাক্স চিহ্নিত করা হয়, গড়ে, তিন থেকে পনেরটি সংকোচন বা স্পন্দন যা ঘনিষ্ঠ বিরতিতে ঘটে। চূড়ান্ত বা রেজোলিউশন পর্যায়ে, প্রচণ্ড উত্তেজনা ভগাঙ্কুর এবং অন্যান্য অংশে জমাকৃত রক্তের মুক্তির সূত্রপাত করে। যৌন ক্লাইম্যাক্সের পাঁচ থেকে দশ সেকেন্ডের মধ্যে, ভগাঙ্কুর তার স্বাভাবিক, অস্বস্তিতে ফিরে আসে। যদিও এই রেজোলিউশনের পরপরই ভগাঙ্কুর আরও উদ্দীপনার প্রতি সংবেদনশীল থাকতে পারে, তবে নারীরা, পুরুষদের মতো নয়, যখন তারা অন্য প্রচণ্ড উত্তেজনা অনুভব করতে অক্ষম হয় তখন তারা অবাধ্য সময় অনুভব করে না।
🫦 ফলস্বরূপ, যৌন উদ্দীপনা অব্যাহত থাকলে, মহিলারা আবার উত্তেজিত হতে পারে এবং একাধিক যৌন উত্তেজনা অর্জন করতে পারে। উত্তেজনার পর যখন প্রচণ্ড উত্তেজনা ঘটে না, তখন যৌন উত্তেজনা ধীরে ধীরে কমে যায় কারণ জমাকৃত রক্ত ধীরে ধীরে ভগাঙ্কুর এবং অন্যান্য যৌনাঙ্গ থেকে বেরিয়ে যায়।
❤ ক্লিটোরিস সম্পর্কে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাস ফ্রয়েডীয় মনোবিশ্লেষণ তত্ত্ব দুই ধরনের নারী প্রচণ্ড উত্তেজনাকে বর্ণনা করে: ভগাঙ্কুর এবং যোনি। ক্লিটোরাল প্রচণ্ড উত্তেজনা সরাসরি ভগাঙ্কুরের উদ্দীপনা ( যেমন: হস্তমৈথুনের সাথে ) থেকে হয় বলে বিশ্বাস করা হয় এবং শৈশব স্থির হওয়ার লক্ষণ ছিল। সহবাসের মাধ্যমে অর্জিত ভ্যাজাইনাল অর্গাজম, নারীর পরিপক্ক যৌনতার দিকে যাওয়ার সংকেত বলে মনে করা হয়। মাস্টার্স এবং জনসন, যিনি মহিলাদের যৌন প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেছিলেন, পরে এই তত্ত্বটি খণ্ডন করেছিলেন। তাদের অনুসন্ধানে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে মহিলাদের প্রচণ্ড উত্তেজনা একই শারীরবৃত্তীয় ঘটনাগুলিকে জড়িত করে তা উদ্দীপনাটি ক্লিটোরাল বা যোনি। তবে, তারা লক্ষ্য করেছেন যে হস্তমৈথুনের মাধ্যমে অর্জিত অর্গাজম ( বিশেষ করে ভগাঙ্কুরের ) একা সহবাসের মাধ্যমে অর্জিত হওয়ার চেয়ে ঘন ঘন বেশি তীব্র ছিল। এটি কোইটাসের সময় ভগাঙ্কুরের পরোক্ষ উদ্দীপনার ফল হতে পারে ( যেহেতু লিঙ্গ ঠেলে ভগাঙ্কুরের উপর ক্লিটোরাল হুডকে সামনে পিছনে চলে যায় )। অন্যান্য গবেষকরা পরামর্শ দেন যে মহিলাদের প্রচণ্ড উত্তেজনার তিনটি বিভাগ থাকতে পারে-ভালভাল, জরায়ু এবং মিশ্রিত-এবং উদ্দীপনার উৎস ( হোক ক্লিটোরাল বা যোনি ) ক্লাইম্যাক্সের ধরণে একটি নির্ধারক ফ্যাক্টর নয়।
❤ ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে, চিকিৎসকরা হিস্টিরিয়ার চিকিৎসা করতেন, যে অবস্থার নাম গ্রীক শব্দ জরায়ু, হিস্টেরা , ম্যানুয়ালি ভগাঙ্কুরকে উদ্দীপিত করে যতক্ষণ না মহিলার ক্যাথারটিক মুক্তি হয়। একজন উদ্যোক্তা ডাক্তার তার আঙ্গুলগুলিকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য এবং চিকিত্সার জন্য প্রয়োজনীয় সময়ের গতি বাড়ানোর জন্য একটি যান্ত্রিক ভাইব্রেটর তৈরি করেছিলেন। ক্লাইটোরেক্টমি, ভগাঙ্কুরের অস্ত্রোপচার অপসারণ, ঊনবিংশ এবং বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে মহিলাদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী হস্তমৈথুন বা প্রমিসকিউটি নিরাময়ের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সঞ্চালিত হয়েছিল। ক্লাইটোরেক্টমি এবং ক্লিটোরালপ্লাস্টি ( ভগাঙ্কুরের অস্ত্রোপচার হ্রাস ) এমনকি একবিংশ শতাব্দীর শুরুতেও সঞ্চালিত হতে থাকে যেখানে একটি শিশু মেয়ে একটি বিশিষ্ট ভগাঙ্কুর নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, এমনকি যখন নান্দনিক ছাড়া অন্য কোন ইঙ্গিত না থাকে।
❤ অনেক আফ্রিকান এবং মধ্যপ্রাচ্যের সংস্কৃতিতে, বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়া সহ মুসলিম দেশগুলিতে, অল্পবয়সী মেয়েদের একটি খৎনা করা হয় যার মধ্যে থেরাপিউটিক অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অংশগুলি বা ক্লিটোরিস, ক্লিটোরাল হুড এবং ল্যাবিয়া সহ সমস্ত বাহ্যিক যৌনাঙ্গ অপসারণ জড়িত থাকতে পারে ( একটি পদ্ধতি যা লিঙ্গ অপসারণের সাথে পুরুষদের অন্যান্য বাহ্যিক যৌনাঙ্গের সাথে মিলিত হবে )। মহিলাদের খতনার মধ্যে যোনিপথের খোলা অংশটি সেলাই করাও জড়িত থাকতে পারে, যা শরীর থেকে প্রস্রাব এবং মাসিকের জন্য একটি খুব ছোট ছিদ্র রেখে যায়। যদিও এই অভ্যাসটি যৌনাঙ্গের পরিচ্ছন্নতা উন্নত করার প্রাচীন প্রচেষ্টায় উদ্ভূত হতে পারে ( সম্ভবত প্রিপুসের অধীনে জমা হওয়া স্মেগমার পরিমাণ নির্মূল বা হ্রাস করে ), মহিলাদের খৎনা করার জন্য কোনও চিকিৎসা ইঙ্গিত নেই। তবুও, পদ্ধতিটি ব্যাপকভাবে অনুশীলন করা হয়, প্রায় 100 থেকে 140 মিলিয়ন মহিলা এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেছেন এবং প্রতি বছর অতিরিক্ত দুই মিলিয়ন মহিলার খতনা করা হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন সহ বিভিন্ন গোষ্ঠী এই প্রথাটিকে ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন ( FGM ) বলে নিন্দা করে, সবচেয়ে সাধারণ রূপ হল ভগাঙ্কুর এবং ল্যাবিয়া মাইনোরা কেটে ফেলা।
❤ মহিলা খৎনার প্রবক্তারা এই অভ্যাসটিকে রক্ষা করেন, নিম্নলিখিতগুলিকে গভীরভাবে ধারণ করা বিশ্বাস হিসাবে উল্লেখ করে:
🫦 এটি যুবতী মেয়েদের নারীত্বে প্রবেশের একটি ঐতিহ্যবাহী আচার, এটি মহিলাদের মধ্যে যৌন ইচ্ছাকে দমন করে সাংস্কৃতিকভাবে বাধ্যতামূলক সতীত্ব এবং বিশ্বস্ততা বজায় রাখে;
এটি একটি মহিলার উর্বরতা এবং ভ্রূণের বেঁচে থাকার উন্নতি করে ( চিকিত্সা প্রমাণ সত্ত্বেও যে এটি উভয়ের সাথে হস্তক্ষেপ করতে পারে ), অনুশীলনটি ইসলামী বিশ্বাস দ্বারা প্রয়োজনীয় (যদিও ইসলামের আগে মহিলাদের খৎনা করা হয়েছিল )।
যদিও বেশিরভাগ মহিলা খতনা ( 80% ) অল্পবয়সী মেয়েদের বা শিশুদের উপর সঞ্চালিত হয়, প্রাপ্তবয়স্ক মহিলারা স্বেচ্ছায় এই পদ্ধতিতে জমা দেন সামাজিক বিশ্বাসের কারণে যে অক্ষত যৌনাঙ্গ সহ মহিলাদের অশুদ্ধ। মহিলাদের যৌনাঙ্গ বিকৃতির ফলে শক, ব্যথা, রক্তক্ষরণ, প্রস্রাব ধরে রাখা এবং দাগ সহ চিকিৎসার ফলাফল হতে পারে। এছাড়াও, ক্ষতির ফলে প্রস্রাবের অসংযম, যৌন কর্মহীনতা, সন্তান জন্মদানে জটিলতা এবং মানসিক উদ্বেগ ও বিষণ্নতা দেখা দিতে পারে।
🫦 একবিংশ শতাব্দীর মধ্যে, ভগাঙ্কুর নারী অধিকারের সংগ্রামে একটি চিত্র হয়ে উঠেছে। এই লড়াইয়ের প্রধান ফোকাসগুলির মধ্যে একটি হল এফজিএম অনুশীলনের নির্মূল করা, একটি বিতর্কিত অবস্থান যা পাল্টা দাবি তৈরি করেছে যে নারী খৎনা নিষিদ্ধ করার প্রচেষ্টা ঐতিহ্যগত ইসলামিক বিশ্বাসের একটি পশ্চিমা নিন্দার প্রতিনিধিত্ব করে। মহিলাদের অ্যাডভোকেসি গ্রুপগুলি আরও জোর দিয়ে বলে যে ভগাঙ্কুরকে উপেক্ষা করা হয়েছে এবং এমনকি শতাব্দী ধরে পশ্চিমা সংস্কৃতি দ্বারা ভুল বোঝানো হয়েছে, উল্লেখ্য যে মহিলাদের যৌন সংবেদনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটি খুব কমই অ্যানাটমি বা ফিজিওলজি পাঠ্যপুস্তকে একটি সংক্ষিপ্ত অনুচ্ছেদের চেয়ে বেশি পায়। আরও, তারা দাবি করে যে অল্পবয়সী মেয়েরা তাদের ভগাঙ্কুরকে অস্বীকার করার জন্য সংস্কৃতিগতভাবে শর্তযুক্ত সচ্ছল বাবা-মায়েরা যারা তাদের মেয়েদের শেখায় যে তাদের যোনি আছে কিন্তু ভগাঙ্কুরের উপস্থিতি বাদ দেয় যদিও এটি বাহ্যিক এবং দৃশ্যমান যৌনাঙ্গের অংশ। এছাড়াও, অল্পবয়সী মেয়েদের সাধারণত রাতে আন্ডারপ্যান্ট পরতে শেখানো হয়, এমন একটি অভ্যাস যা নারীর যৌনাঙ্গ অপবিত্র এবং স্পর্শ করা উচিত নয়।
🇨🇭 হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়। একজন হোমিও ডাক্তারের/ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। সাইড ইফেক্ট নেই এমন হোমিওপ্যাথি ঔষধ কাজে লাগাবেন। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য পরবর্তী ধাপগুলো অর্থাৎ- যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থতা অর্জন করতে পারবেন। হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় Homeo হোমিও ওষুধ খান।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ( রেজি: নং- 35423 )
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
🇨🇭 আমার এই 3-টি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801973-962203
+8801302-743871( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।
☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।
☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।
