স্পাইনা বিফিডা | Spina Bifida | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

স্পাইনা বিফিডা | Spina Bifida | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 নিউরাল টিউব ডিফেক্টস- Neural Tube Defects, নামক জন্মগত রোগেগুলির একটি হলো- ( Spina Bifida- স্পাইনা বিফিডা )।
নিউরাল টিউব ভ্রুণের একটি অংশ, যা বৃদ্ধি পেয়ে পরবর্তীতে শিশুর মস্তিষ্ক, স্পাইনাল কর্ড – Spinal Cord এবং এই অংশগুলিকে পরিবেষ্টনকারী টিস্যুতে পরিণত হয়।

🇨🇭 সাধারণত গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে নিউরাল টিউব গঠিত হওয়া শুরু হয় এবং গর্ভধারণের 04 সপ্তাহ পর এই গঠন প্রক্রিয়া শেষ হয়। স্পাইনা বিফিডায় ( Spina Bifida ) আক্রান্ত শিশুদের নিউরাল টিউবের একটি অংশ ঠিকভাবে বিকশিত হয় না বা এর গঠন প্রক্রিয়া ঠিকমতো শেষ হয় না। এ কারণে স্পাইনাল কর্ডে এবং মেরুদণ্ডের হাড়ে ত্রুটি দেখা দেয়। স্পাইনা বিফিডা ( Spina Bifida ) বিভিন্ন মাত্রার হতে পারে।

🇨🇭 ( Spina Bifida ) রোগের চিকিৎসা সাধারণত সার্জারি মাধ্যমে করা হয়। তবে সার্জারি মাধ্যমে সব ক্ষেত্রে রোগটি নির্মূল করা যায় না।

🇨🇭 স্পাইনা বিফিডার ( Spina Bifida )র কারণ:

🩸 জন্মগত শারীরিক সমস্যার সঠিক কারণ এখনো অজানা। গবেষকরা ধারণা করেন যে, জেনেটিক ও পরিবেশ এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে। যেমন: কোনো মহিলার এক সন্তানের স্পাইনা বিফিডা ( Spina Bifida ) হলে তার অন্য সন্তানদেরও এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

🩸 ডায়বেটিসে আক্রান্ত ও মেদবহুল শরীরের মহিলাদের সন্তানদেরও স্পাইনা বিফিডা ( Spina Bifida ) হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

স্পাইনা বিফিডা | Spina Bifida | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 স্পাইনা বিফিডা’র ( Spina Bifida )র লক্ষণ:

🇨🇭 স্পাইনা বিফিডা ( Spina Bifida )রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:

  • 🩸 পিঠের ব্যথা ( Back Pain.)
  • 🩸 ত্বকের ক্ষত ( Skin Lesion.)
  • 🩸 কপাল ব্যথা ( Frontal Headache.)
  • 🩸অনৈচ্ছিক মূত্রত্যাগ ( Involuntary Urination.)
  • 🩸 অস্থিসন্ধিতে ব্যথা ( Joint Pain.)
  • 🩸 স্মৃতিশক্তির সমস্যা ( Disturbance Of Memory.)
  • 🩸 গলা দিয়ে তরল নির্গত হওয়া ( Drainage In Throat.)
  • 🩸 চোখের অস্বাভাবিক নড়াচড়া ( Eye Moves Abnormally.)
  • 🩸 পায়ের পাতা বাঁকিয়ে যাওয়া ( Feet Turned In.)
  • 🩸 কানে শোঁ শোঁ শব্দ হওয়া ( Ringing In Ear.)
  • 🩸 রক্তপ্রবাহ সঠিকভাবে না হওয়া ( Poor Circulation.)
  • 🩸 পায়ে দুর্বলতা অনুভব করা ( Leg Weakness.)

🇨🇭 স্পাইনা বিফিডার ( Spina Bifida ) মূল কারণ সম্বন্ধে নিশ্চিত না হওয়া গেলেও গবেষকরা এই রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধিকারী কিছু বিষয় চিহ্নিত করেছেন।

🇨🇭 জাতি: শ্বেতাঙ্গ ও হিসপ্যানিকরা এই রোগে অপেক্ষাকৃত ( Spina Bifida ) বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।

🇨🇭 লিঙ্গ: ছেলে শিশুর তুলনায় মেয়ে শিশুর এই রোগ বেশি হয়।
পরিবারে নিউরাল টেউবের ত্রুটিযুক্ত ব্যক্তি থাকা কোনো দম্পতির একটি সন্তানের নিউরাল টিউবে সমস্যা থাকলে তাদের পরবর্তী সন্তানদেরও এই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

🇨🇭 পরপর দুই সন্তানের এই সমস্যা হলে পরবর্তী সন্তানদের এই সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি আরও বৃদ্ধি পায়। এছাড়া যে সব মহিলার নিউরাল টিউবে জন্মগতভাবে ত্রুটি থাকে বা যে সব মহিলার কোনো আত্মীয়ের এই্ সমস্যা আছে, তাদের সন্তানদের নিউরাল টিউবে ত্রুটি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

🇨🇭 তবে স্পাইনা বিফিডায় ( Spina Bifida ) আক্রান্ত বেশির ভাগ শিশুদের বাবা-মায়ের বংশে এই রোগের উপস্থিতি দেখা যায় না।

🇨🇭 মহিলারা গর্ভাবস্থায় ভ্যালপ্রোয়িক অ্যাসিডের ( Valproic Acid ) Depakene. মতো অ্যান্টি-সিজার ঔষধ গ্রহণ করলে গর্ভস্থ শিশুর নিউরাল টিউবে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শরীরের ফোলেট ( Folate ) ও ফলিক অ্যাসিড (Folic Acid ) এর উপর এই ঔষধের প্রভাবের কারণে এমন হয় থাকে বলে ধারণা করা হয়।

🇨🇭 ডায়বেটিস: ডায়বেটিসে আক্রান্ত মহিলারা তাদের রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে তাদের সন্তানদের স্পাইনা বিফিডা ( Spina Bifida ) হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

🇨🇭 মেদবহুল শরীর: গর্ভধারণের পূর্বে মহিলাদের শরীরে অতিরিক্ত মেদ থাকলে তাদের গর্ভের শিশুদের স্পাইনা বিফিডা ( Spina Bifida ) সহ নিউরাল টিউবের অন্যান্য ত্রুটি হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

🇨🇭 যারা স্পাইনা বিফিডা ( Spina Bifida ) ঝুঁকির মধ্যে আছে:

🇨🇭 লিঙ্গ: পুরুষ ও নারী উভয়ের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।

🇨🇭 জাতি: কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা 01 গুণ কম। শ্বেতাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। অন্যান্য জাতির মধ্যে
এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা 02 গুণ কম।

আরো পড়ুনঃ  ইমিউনোগ্লোবুলিন- E ( IgE ) | ডাঃ মাসুদ হোসেন

🛑 Q. স্পাইনা বিফিডা কত প্রকার?

উত্তর: অকালটা ( Occulta )- এই ধরনের স্পাইনা বিফিডাকে হিডেন স্পাইনা বিফিডা বলে। এর কারণে স্পাইনাল কর্ড ( Spinal Cord ) ও অন্যান্য স্নায়ু – Nerve স্বাভাবিক থাকে এবং পিছন দিকে উন্মুক্ত থাকে না। এটি তেমন ক্ষতিকর নয়। অকালটার ফলে মেরুদণ্ড সৃষ্টিকারী কিছু ছোট হাড়ে- ভার্টিব্রা,Vertebrae – সামান্য ত্রুটি বা ফাঁকা অংশ সৃষ্টি হয়।

🇨🇭 মেনিঙ্গোসিল ( Meningocele ) : মেনিঙ্গোসিলের ( Meningocele ) ফলে মেনিনজেস ( Meninges ) নামক সুরক্ষাদানকারী আবরণ মেরুদণ্ডের উন্মুক্ত অংশের মধ্য দিয়ে থলির মতো বেরিয়ে আসে।এই থলির মতো অংশে
সেরেব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড থাকে এবং সাধারণত এই সমস্যার ফলে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। মেনিঙ্গোসিলের ফলে শিশুদের কিছু সামান্য সমস্যা হতে পারে। তবে এগুলির সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সমস্যা জীবনের পরবর্তী পর্যায়ে দেখা দেয়।

🇨🇭 মায়লোমেনিঙ্গোসিল ( Myelomeningocele ) : মেনিনজেস এবং স্পাইনাল কর্ড শিরদাঁড়ার উন্মুক্ত অংশের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসলে এই ধরনের স্পাইনা বিফিডা ( Spina Bifida ) হয়ে থাকে। সবচেয়ে গুরুতর এই স্পাইনা বিফিডা স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং এর ফলে বিভিন্ন শারীরিক অক্ষমতা সৃষ্টি হয়।

স্পাইনা বিফিডা | Spina Bifida | ডাঃ মাসুদ হোসেন।
🛑 Q. জন্মের পূর্বে কি শিশুদের স্পাইনা বিফিডা নির্ণয় করা সম্ভব?

উত্তর: হ্যাঁ, জন্মপূর্ববর্তী অবস্থায় স্পাইনা বিফিডা নির্ণয় করার জন্য 3 টি টেস্ট করা যেতে পারে।
প্রথমটি হলো এ. এফ. পি স্ক্রিনিং টেস্ট ( AFP Screening Test.)। এই টেস্টের জন্য মহিলারা গর্ভবতী হওয়ার পর 16-18 সপ্তাহের মধ্যে তাদের শরীর থেকে রক্ত নেওয়া হয় এবং তাতে আলফা-ফেটোপ্রোটিন ( Alpha-Fetoprotein.) নামক একটি প্রোটিনের মাত্রা নির্ণয় করা হয়। যেসব মহিলাদের গর্ভে থাকা ভ্রুণের স্পাইনা বিফিডা থাকে
তাদের মধ্যে 75-80% এর রক্তে আলফা-ফেটোপ্রোটিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

🇨🇭 দ্বিতীয়ত, ভ্রুণের আলট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে স্পাইনা বিফিডার লক্ষণগুলি চিহ্নিত করা যেতে পারে, যেমন: ওপেন স্পাইন ( Open Spine)।

🇨🇭 শেষ পর্যায়ে ম্যাটারনাল অ্যামনিওসেনটেসিস ( Maternal Amniocentesis ) করা হয়। এজন্য সরু সূচ দিয়ে অ্যামনিওটিক ফ্লুইড ( Amniotic Fluid.) নিয়ে আলফা-ফেটোপ্রোটিন ও অন্যান্য প্রোটিন চিহ্নিত করা হয়। তবে এই টেস্টগুলির কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সবক্ষেত্রে টেস্টগুলি শিশুদের স্পাইনা বিফিডা ( Spina Bifida ) নির্ণয় করতে পারে না।

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( D. H. M. S )
(ডি, এইচ, এম, এস)ঢাকা।

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

ডা.মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 সকাল 10:00 — 01:00 টা।
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!