পুরুষের এবং মহিলাদের সেক্স ইস্ট্রোজেন হরমোন

পুরুষের এবং মহিলাদের সেক্স ইস্ট্রোজেন হরমোন | Male & Female Sex Hormone

🇨🇭 মস্তিষ্ক থেকে গোনাডে (ডিম্বাশয় ও শুক্রাশয়) হরমোন সংকেত যাবার মাধ্যমে এটির সূচনা ঘটে। ফলশ্রুতিতে গোনাড বিভিন্ন ধরনের হরমোন উৎপাদন শুরু করে যার ফলে মস্তিষ্ক, অস্থি, পেশি, ত্বক, স্তন, এবং জনন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসমূহের বৃদ্ধি শুরু হয় এবং যৌন অনুভূতি বা আকর্ষণ ইত্যাদি মহিলাদের বেলায়, ইস্ট্রোজেন গ্রোফের হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে । পুরুষ, মহিলা উভয়ের বেলায় জনন তন্ত্রের সকল – সঠিক উদ্দীপনা, কাঠামো এবং বংশ বিস্থার সব কিছুই সূক্ষ্মভাবে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এই হরমোন সমূহের কম হলে যে রকম সমস্যা দেখা দেয় ঠিক তেমনি বেশী হলে ও বিপরীত সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে,

মহিলাদের বেলায় প্রধান যে কয়টি গুরুত্ব পূর্ণ হরমোন আছে তার মধ্যে বয়ঃসন্ধি শরু করে বার্ধক্য পর্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ সেক্স হরমোন হল ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টারন, ইস্ট্রোজেন গ্রোফ ও প্রোজেস্টেরোন, এই দুটি স্টেরয়েড স্ত্রী হরমোন একজন নারীর মাসিক চক্র, ডিম্বাশয় , ডিম্ব নির্গমন, জরায়ুর শ্লেষ্মা পুরু করা, ও সেক্স চরিত্রের পরিবর্তন ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে এবং পুরুষের বেলায় টেস্টারন , এই তিনটিকেই সেক্স হরমোন বলা হয়ে থাকে, তা ছাড়া ও ( HCG – Human Chronic Gonadotrophins ), অক্সিটোসিন , FH, LH ও মহিলাদের সেক্স হরমোনের সাথে সহযোগি হিসাবে বিশেষ গুরুত্ব পূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে, তাই এ বিষয়ে প্রত্যেক মহিলাদের স্বাভাবিক কিছু অভিজ্ঞতা থাকার প্রয়োজন সঙ্কেপে তুলে ধরলাম।

🇨🇭 মহিলাদের সেক্স হরমোন ( Called The Estrogen Hormones )- প্রাথমিক যৌন জীবন থেকে থেকে শুরু করে সেক্সের সাথে সম্পর্ক যোক্ত শরীরের অন্যান্য অনেক গুরুত্ব পূর্ণ কাজে অংশ গ্রহন করে থাকে।

সেক্স ইস্ট্রোজেন হরমোন |

🇨🇭 ইস্ট্রোজেন ( Estrogen ) কি বা কোথায় উৎপাদিত হয় ?

🇨🇭 ডিম্বাশয় থেকে উৎপন্ন গ্রাফিয়ান ফলিকল ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বনালীতে আসে। এই সময় গ্রাফিয়ান ফলিকল-এর একটি অংশ ডিম্বাশয়ে থেকে যায়। থেকে যাওয়া এই অংশটির রং হলুদ। একে বলা হয় করপাস লুটিয়া ( Corpus Lutia )এবং এর কোষগুলো ইস্ট্রোজেন ( Estrogen ) এবং প্রোজেস্টেরন ( Progesteron ) নাম দুটো স্ত্রী হরমোন নিঃসরণ করে।
যদিও ইস্ট্রোজেন একক কোন হরমোনের নাম নয় ইহা একটি হরমোন গ্রোফের নাম ,কেন না এ পর্যন্ত 20/30 ধরনের ইস্ট্রোজেনর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এবং শুধু মাত্র ঘোড়ার ইস্ট্রোজেনে কিছুটা ব্যাতিক্রম চাড়া সব ইস্ট্রোজেনের ফাংশন এক ধরণের প্রায়।

🇨🇭 মহিলাদের ইস্ট্রোজেন কে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে, ইস্ট্রোন ( Estrogen – E1 ) Oestradiol ( ইস্ট্রোডিয়ল- E2 ) ইস্ট্রিওল ( Estriol- E3 ) তাই যাহারা হরমোন জাতীয় কেমিক্যাল বা প্রাকৃতিক ঔষধ সেবন করেন, সেখানে সরাসরি ইস্ট্রোজেন লিখা না ও থাকতে পারে, বরং Estrogen ( E1 ), Estradiol ( E2 ), Estriol- ( E3 ) লিখা দেখতে পাবেন অথবা বায়োক্যামিক্যাল নাম উল্লেখ থাকতে পারে।

🇨🇭 ইস্ট্রোন ( Oestrone ):

গড়ে 71% ইস্ট্রোন উৎপাদন হয়ে থাকে মহিলাদের ডিম্বাশয় থেকে, বাদবাকি 50% শরীরের টিস্যু এবং এড্রিন্যাল গ্ল্যান্ড থেকে উৎপাদিত হয়ে থাকে।

🇨🇭 ইস্ট্রোন পুরুষের বেলায় ও সামান্য প্রয়োজন বিধায় পুরুষের শরীর থেকে নিঃসরণ হয় কিন্তু তা সামান্য , কোন কারন বশত: পুরুষের বেশী নি:সরণ হলে উক্ত ব্যাক্তির চারিত্রিক আচরণ মহিলাদের মত দেখা যায় আবার যে সকল মেয়েদের শরীরে অল্প বয়সে ইস্ট্রোন বেশী নিঃসৃত হয় তাদের বেলায় কম বয়সেই যৌবনের রুপ রেখা চলে আসে।

🇨🇭 মেডিক্যাল সাইন্স অনুসারে পিউবারটি বলা হলে ও পূর্ণ পিউবারটি পেতে একজন মেয়ের 16 থেকে 19 পর্যন্ত সময়ের প্রয়োজন।

🇨🇭 পুরুষদের বেলায় বয়স 40 এর উপর চলে গেলে যদি উক্ত হরমোনের প্রবাভ বেশী হয় তা হলে খুব দ্রুত মেড বুড়ি দেখা দেয়। একি ভাবে খুব অল্প পরিমাণ পুরুষ টেস্টারন হরমোন ও মেয়েদের শরীর থেকে নি:সরণ হয় , যে কোন কারন বশত এর আধিক্যতা দেখা দিলে পুরুষের সকল বৈশিষ্ট মহিলাদের মধ্যে দেখা যায়।

🇨🇭 যে কোন কারণে টিস্যু গ্ল্যান্ড থেকে উৎপাদিত হরমোন কম নিঃসরণ হলে চর্মের লাবণ্যতা কমে যায় 81% বেলায় এবং এড্রিনাল ও ওভারী থেকে কম ইস্ট্রোন নি:সরণ হলে মহিলাদের মানসিক বিভিন্ন জটিলতা বা যৌন অনুভূতি , উক্তেজনা, আকর্ষণ ইত্যাদি কমে যায় , তবে প্রাকৃতিক কারণে ইস্ট্রোনের নিঃসরণ কম হলে – মেনপোজ , বিশেষ করে বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে দেখা দিলে শরীরের অন্যান্য তেমন জটিলতা দেখে দেয়না 80% বেলায়
রক্তের সিরামে ইস্ট্রোনের সাধারণ পরিমাপ।

🩸 ব্য়সিদ্ধের পূর্বে :
( <1.5 ng/dL ) (<56 pmol/L)

  • 🩸 গর্ভবতী মায়েদের বেলায়: ( 10-Fold From 24th To 41st week )
  • 🩸 মহিলাদের নর্মাল অবস্থায় : ( 30 To 400 pg/mL )
  • 🩸 মাসিক বন্ধ বা মেনপোজের সময় : ( 0 to 30 pg/mL )
সেক্স ইস্ট্রোজেন হরমোন |

🩸 পুরুষের নর্মাল অবস্থায়: ( 10 to 50 Picograms Per Milliliter- pg/mL )

🇨🇭 ইস্ট্রোন : ( কম হলে )
প্রমান অনুসারে – ইস্ট্রোনের স্বল্পতায় মহিলাদের অস্টিওপ্রসিস ( হাড়ের ক্ষয় রোগ জাতীয় ) জাতীয় অসুখ, ক্লান্তি, মিজাজ গরম থাকা, যৌন শক্তি কমে যাওয়া এবং বিষণ্নতা দেখা দিয়ে থাকে । সে জন্য বয়স্কতার কারণে মহিলাদের মাসিক বন্ধ হওয়ার লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথেই চিকিৎসকের পরামশে কিছু বাস্থব উপদেশ , উন্নত ভিটামিন যোক্ত ও হরমোন স্টিমোলেটিং জাতীয় খাবারের প্রতি গুরুত্ব দিলে অনেক সময় তেমন শারীরিক প্রবাভ পরেনা । নতুবা এসব মহিলাদের হাড় দুর্বলতার কারণে বয়স থাকা সত্তেও হাড়ের ভঙ্গুরতা দেখা দিতে পারে- 63% বেলায়। তবে ক্ষেত্র বিশেষ উপযোক্ত হরমোন চিকিৎসায় 5/7 বছর বেশী যৌবন ধরে রাখা সম্বভ ( HRT )। ( গবেষণায় তাই প্রমাণিত হয়েছে )

🇨🇭 বাড়তি কিছু তথ্য:
গবেষণায় দেখানো হয়েছে , যে সকল মহিলারা পূর্ণ বয়স্ক হওয়ার আগে ( 19 এর নীচে ) অথবা মারাত্মক পুস্টিহিনতা জাতীয় অসুখে ভোগেন ( বিশেষ করে আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন- ডি ) তাহারা যদি নিয়মের অতিরিক্ত যৌনসুখ জাতীয় কর্মকাণ্ডে বেশী জড়িত থাকেন বা অনিচ্ছা সত্তেও প্রবল আবেগে যৌনসংগমে লিপ্ত থাকেন তাহলে নির্দিষ্ট সময়ের আগে কোমরের অস্থিজনিত সমস্যায় ( 15/20 বছর আগে )।

🇨🇭 ইউরোপিয়ান মহিলাদের মধ্যে সদ্য এক গবেষণায় দেখানো হয়েছে, যাদের কম বয়সে বয়ফ্রেন্ড বেশী পরিবর্তন করেছে, তাদের কোমর এবং নিতম্বের অচল অবস্থা অন্যান্যদের চাইতে 95% বেশী বা গড়ে ইউরোপিয়ান 40 এর আগেই এবং এশিয়ানরা 35 এর আগেই মেনপোজের কাছা কাছি চলে যাবেন ( মাসিক বন্ধ হওয়া জাতীয় সমস্যা ) এবং তখন মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন বা শরীরের অন্যান্য লাবণ্যতা হারিয়ে ফেলেন। মুলত ইস্ট্রোনের ঘাটতির ফলেই তা হয়ে থাকে। অন্য দিকে কালচার এন্ড সোসাইটির থিওরি হিসাবে দেখানো হয়েছে যারা অতিরিক্ত আধুনিকতার নাম করে শারীরিক আকর্ষণ জাতীয় উক্তেজিত বিলাসী কর্মকাণ্ডে ঝড়িত হয়ে উগ্রতা জাতীয় যৌন মিজাজের অভ্যাস করে ফেলে তাদের মধ্যে 90% বেলায় সময়ের ( 15/20 বছর আগেই ) হরমোন জনিত সমস্যায় মারাত্মক ভোক্ত ভোগী হয়ে থাকে- ওমেন্স হেলথ জার্নাল- UK.

🇨🇭 ইস্ট্রোন বেশী হলে:
বেশী পরিমাণ ইস্ট্রোন হরমোন নিঃসরণ হলে স্থনের ক্যানসার হওয়ার ঝুকি বেশী ( কিন্তু পুরুষের প্রস্টেট ক্যান্সারের বেলায় ইস্ট্রোন যোগ করতে হয় )। মেদ বুড়ী যে সকল মহিলাদের বেশী তাদের চর্বি টিস্যু থেকে আর ও বেশী পরিমাণ ইস্ট্রোন নিঃসরণ হয় বিধায়, তাদের বেলায় 60% বেশী সম্বাভনা আছে মেদ ভুড়ি বেড়ে যাওয়ার , তবে কি পরিমাণ ইস্ট্রোন নি:সরণ হলে শরীরে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে তা এখন ও গবেষণাধীন।

🇨🇭 ওস্ট্রেডিওল Oestradiol:
ইস্ট্রোজেন গ্রোফের মধ্যে ওস্ট্রেডিওল সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব পূর্ণ হরমোন । বিশেষ করে যৌন অনুভূতি, আবেগ এবং জননতন্ত্রের সঠিক ভারাসাম্য রক্ষা করতে বিশেষ ভুমিকা পালন করে যা হরমোন চক্রের সাথে মিলিত হয়ে মস্থিস্কের গুরুত্ব পূর্ণ হরমোন কে উক্তেজিত করে। ( গোনাড্রটপিন- লিউটিনাইসিং- ফলিকল স্টিমুলেটিং হরমোনের বেলায় ) গবেষণা অনুসারে প্রমাণিত হয়েছে , বিশেষজ্ঞদের পরামর্ষে , যাদের অপূর্ণাঙ্গ ডিম উদ্দীপিত হয় , তাদের বেলায় এই হরমোন টির সাথে প্রজেস্টারন যোগ করে চিকিৎসা করলে অনেক সময় বন্ধ্যাত্ত থেকে মুক্তি পেয়ে থাকেন । ( ডিম্বাশয়য়ের অপূর্ণাঙ্গ ডিমের বেলায় )
ওস্ট্রেডিওল oestradiol – ( কম হলে )

হোমিও-চিকিৎসা.

এর অভাবে মানুষের অপর্যাপ্ত হাড় বৃদ্ধি এবং অল্প বয়সে কঙ্কালের ভিন্ন ধরণের সমস্যা সহ অস্টিওপরোসিসের মত অসুখ দেখা দিয়ে থাকে । মেয়েদের বয়ঃসন্ধি দেরিতে দেখা দেওয়া সহ অনুভূতিশীল যৌনাঙ্গের বৃদ্ধি ঠিকমত না হওয়া, কোন কোন সময় বন্ধ্যাত্ত ও মাসিকের বিভিন্ন গোলাযোগ পূর্ণ সমস্যা , যৌন অনুভূতি কম থাকা বা অনেক সময় ইচ্ছা সত্তেও এসব বিষয়ে বিরিক্তিকর মেজাজ চলে আসা। সাথে রাতে ঘাম, গরম মেজাজ , যোনি শুষ্কতা, মানসিক দুশ্চিন্তা ইত্যাদি থাকবেই।

🇨🇭 সামান্য কম হলে: মুখে ভ্রূণ , কুষ্ঠ-কাঠিন্যতা , যৌন উক্তেজনা হ্রাস পাওয়া সহ মিজাজের পরিবর্তন ও ডিপ্রেশন দেখা দিয়ে থাকে। ওস্ট্রেডিওল হরমোন রিপ্লেইস্মেন্ট থ্যারাপি হিসাবে মেনপোজের জন্য সবচেয়ে ভাল ফল্প্রসু একটি ঔষধ হিসাবে চিকিৎসকদের কাছে সমাদৃত।

🇨🇭 অতিরক্ত কিছু তথ্য বা সাবধানতা:
🩸 যে সব বিবাহিত মহিলাদের হঠাৎ করে অতিরিক্ত ওস্ট্রেডিওল নিঃসৃত হয় তাদের চেহারা দেখতে খুভ সুন্দর, মায়াবী , স্মার্ট বা অনেক রসিক মনে হয়, ইহা বাস্থব সত্য । সে সময় 51% মহিলাদের বেলায় মানসিক ভাবে আত্মবিশ্বাস অনেকটা কমে যায়- নিজ স্বামী বা প্রিয়জনের প্রতি। মুলত, ওস্ট্রেডিওল হরমোনের আধিক্যতার কারনে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকৃষ্টতা বাড়িয়ে দেয় ইহাই প্রকৃতির নিয়ম।

🇨🇭 সে সময় অবাদ খোলা মেলা সামাজিক পরিবেষের কারনে কিছু দুস্ট প্রকৃতির পুরুষদের পাল্লায় পড়ে অনেক মহিলার জীবনের সর্বনাশ ঢেকে আনতে দেখা যায় সুত্র টি ধর্মীয় অনুভূতিশীল সমাজ ও পরিবারের বেলায় অচল, অথচ এই হঠাৎ বেড়ে উঠা হরমোনের আধিক্যতা মাত্র 51 দিনের জন্য হয়ে থাকে ( সাময়িক ) তা সকল মহিলাদের মনে রাখা উচিৎ, সে সময় কিছুটা সংযত অবস্থায় চলাফেরা করাই সবচেয়ে উত্তম । ঠিক তদ্রুপ পুরুষের বেলায় 91 দিন-সে সময় যদি বিশেষ কোন অসুবিধা না থাকে তা হলে দম্পতীদের সন্তান ধারন করাই সবচেয়ে উত্তম বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

🇨🇭 যে সব মহিলাদের বিশেষ করে অর্ধ বয়সী মহিলাদের বেলায় যদি হঠাৎ করে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা কমে যায় তা হলে অনেক সময় দেখা যায় স্বামীর সাথে একি বিচানায় থাকতে বিব্রত বোধ করেন 60% মহিলা – মুলত ওস্ট্রেডিওল হরমোনের স্বল্পতায় এসব হয়ে থাকে। তখন স্বামীর উচিৎ উপযোক্ত চিকিৎসকের পরামর্ষ নেওয়া । সেই সাথে পরোক্ষ ভাবে হরমোন বর্ধিত করে সেই সব খাবার বেশী করে খাওয়া।

🇨🇭 অন্য এক গবেষণায় দেখানো হয়েছে- যারা বহু পুরুষে আসক্তি তাদের বেলায় বয়স 30 হওয়ার আগেই ওস্ট্রেডিওলের মারাত্মক ঘাটতি দেখা দিয়ে থাকে এবং সে কারনে খুব অল্প বয়সেই উক্ত মহিলা শারীরিক লাভন্যতা নষ্ট হয়ে যায় বা অনেকেই বাধক্য পর্যায়ে চলে যান সময়ের আগে এবং সে কারনেই 70% মহিলা খুব অল্প বয়সেই মেনপোজের স্বীকার হতে হয় – অবশ্য দুটির উপরে সন্তান দাতা মা এবং যদি পুস্টিহিনতায় ভোগেন, তিনিদের বেলায় ও এরকম হয়ে থাকে।

🇨🇭 এশিয়ান সমাজে পরকীয়া জাতীয় প্রেমাসক্ত নারীদের বেলায় সমান ভাবে ওস্ট্রেডিওলের মাত্রা- লেভেল থেকে অনেক কমে যেতে দেখা যায় বৈধ দাম্পত্য জীবনের সময়। গবেষণায় দেখানো হয়েছে উক্ত মহিলা যখন বৈধ সেক্স প্লেয়িং করেন সে সময় ডোপামিন মস্থিস্কের থ্যালামাস কে তেমন উজ্জেবিত না করায় এড্রিন্যাল গ্রন্থি থেকে ঠিকমত ওস্ট্রেডিওল উৎপাদিত হয়না, সেই সাথে ওভারির স্নায়ুবিক সঙ্কেতের ব্যাঘাত ঘটে এবং ধীরে ধীরে ওস্ট্রেডিওলের মাত্রা কমে যায়। অবশ্য এ সময় অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্ষে ঔষধ, হরমোন স্টিমূলেটিং যোক্ত খাবার , সামাজিক ও ধর্মীয় উপদেশ সমূহের প্রতি কিছুটা খেয়াল রাখলে কিছু দিন পর তা চলে যাওয়ার কথা। সে সময় স্বামীরদের উচিৎ সুন্দর ভালবাসা দেওয়া-এই সব মহিলাদের 90% বেলায় খুব অল্প বয়সে শারীরিক ভাবে অন্যান্য শ্রী রোগ জাতীয় অসুখ সহ সময়ের 15/20 বছর আগেই বাধক্যতা জনিত অসুখে পতিত হয়ে থাকেন।

🇨🇭 হরমোন এনালাইসিস রিসার্চে দেখানো হয়েছে যারা অনলাইন বা ডিবিডি বিডিও তে অশ্লীল এডাল্ট ছবি দেখেন তাদের বেলায় ওস্ট্রেডিওল হরমোন প্রথম কয়েকদিন খুব বেশী নিঃসৃত হলেও পরবর্তীতে একেবারে নিম্ন লেভেলে চলে এসে যৌন অনুভূতি কমে যায়-প্রমান অনুসারে দেখানো হয়েছে , একনাগারে 28 দিন দেখার পর 96% বেলায় শুনের কোটায় চলে এসেছে ওস্ট্রেডিওলের মাত্রা,
বয়স বাড়ার সাথে সাথে ওস্ট্রেডিওলের ঘাটতির ফলে মেনপোজ দেখা দিবেই। সে সময় মহিলাদের মানসিক বিষণ্নতা, ক্লান্তি, মাসিক বন্ধ হওয়া , বা জরায়ু ও ডিম্বাশয়য়ের অন্যান্য অসুখ কিছুটা সাময়িক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়া স্বাভাবিক- যা প্রাকৃতিক এবং মেনে নিতেই হয়। তাই যে কোন মহিলার বয়স 40 এর উপরে চলে গেলে এবং সে সময় মেনপোজ দেখা দিলে এর জন্য দুচিন্তা না করা ভাল।

হোমিওপ্যাথির ধারণা About Of Homeopathic Treatment

🇨🇭 ওস্ট্রেডিওল Oestradiol বেশী হলে:

মাত্রার ছেয়ে বেশী অতিরিক্ত ওস্ট্রেডিওল উৎপাদিত হলে- সেক্সুয়েল সকল কর্ম ক্ষ্যামতা নষ্ট হয়ে যায় আবার কম হলে ও একই অবস্থা দেখা যায়। সেই সাথে মাংস পেশীর ব্যাথা বা চিনচিনে হাড়ের ব্যাথা , যৌন অনুভূতির বিশেষ অঙ্গ সমূহে চর্বি জমে যাওয়া ( উরু, স্থন, ও অন্যান্য অঙ্গ ) । পুরুষের বেলায় ওস্ট্রেডিওল বেশী নিঃসরণ হলে টেস্টারনের মাত্রা একেবারে নিম্নে চলে যায় বিধায় টেস্টিসের ক্যানসার হওয়ার সম্বাভনা বেশী থাকে, সেই সাথে মেডভুড়ি বাড়তে থাকে। মহিলাদের বেলায় স্থন ক্যানসার, জরায়ু ক্যানসার, বন্ধ্যাত্ত, ওজন বেড়ে যাওয়া, স্ট্রোক এবং হার্ট এ্যাটাক হওয়ার সম্বাভনা বেশী ।

রিসার্চ অনুসারে প্রমান করা হয়েছে – যে সকল মেয়েরা বেশী বয়সে বিবাহ করতে চান তাদের বেলায় 80% এই প্রবলতার স্বীকার হয়ে থাকেন – তবে নির্ভর করে সামাজিক অবস্থান ও নিয়ম নীতির উপর বিশেষ করে ধর্মীয় অনুরাগীদের বেলায় ভিন্ন বা উক্ত মহিলা যদি বিশেষ কিছু খাবার-দাবার ত্যাগ সহ , পরিমাণ মত দৈহিক কাজ বা ব্যায়াম জাতীয় অভ্যাস করেন তা হলে উপরের সমস্যা থেকে 100% মুক্ত থাকা সম্বভ বা মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার কথা নয়।

আরো পড়ুনঃ হরমোন | Hormone| Dr. Masud Hossain

🇨🇭 রক্তের সিরামে ওস্ট্রেডিওল নর্মাল মাত্রা:

  1. 🩸 পুরুষ: ( 10 to 50 Picograms Per Milliliter- (Pg/ml )
  2. 🩸 মহিলা: মেনপোজ হওয়ার পূর্বে : ( Less than 118 pmol/L এবং মেনপোজের পরে 0 to 30 pg/mL.)

🩸 ইস্ট্রোল ( E3- estriol ):
এই হরমোন টি মহিলাদের অল্প পরিমাণে নিসরন হয়ে থাকে কিন্তু গর্ভে সন্তান আসলে প্ল্যাসেন্টা থেকে এর পরিমাণ বাড়তে থাকে এবং সবচেয়ে বেশী নিঃসরণ হয় সন্তান প্রসবের পূর্ব মুহূর্তে। একি সাথে গর্ভস্থ শিশুর এড্রিনাল গ্রন্থি থেকে ইহা নিঃসৃত হয় বিধায় খুভ বেশী নিঃসরণ হয় । ইস্ট্রোল হরমোন জরায়ুর বৃদ্ধি ঘটায় এবং অন্যান্য হরমোনের সাথে লিঙ্ক করে সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে যা গর্ভ সৃষ্টির 8 সপ্তাহ পর এর কাজ শুরু হয়ে যায় । তখন এই রস কে Dehydroepiandrosterone sulphate বলা হয়।

🩸 ইস্ট্রোল কম হলে:
সেই কারণে গর্ভ অবস্থায় ইস্ট্রোল কম উৎপাদিত হলে বুজতে হবে গর্ভস্থ ভ্রুনের যে কোন একটা ক্ষতি হতে পারে বিশেষ করে জরায়ুর প্ল্যাসেন্টার অন্যান্য অসুবিধা সহ ডাউন সিনড্রোমে ভোগতে পারে গর্ভস্থ সন্তান ( Chromosomal Disorder Caused By An Error In Cell Division That Results in an Extra 21st Chromosome and Physical Growth That Range From Mild to Moderate Developmental Disabilities ) ভুমিস্ট শিশু বিকলাঙ্গ হওয়ার সম্বাভনা থাকে এবং সন্তান প্রসব হতে ও অনেক দেরি হয়ে থাকে । ইহা মহিলাদের সেকেন্ডারি যৌন চরিত্র তৈরি করতে বিশেষ সহায়তা করে। মহিলাদের বেলায় ইনডোমেট্রিয়ামের স্থর , মাসিক নিয়মিত করনে ভাল ভুমিকা রাখে এবং পুরুষের বেলায় অল্প পরিমাণে ইস্ট্রোল পুরুষ বীর্যের পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে বিধায় পরোক্ষ ভাবে যৌন শক্তি ভুমিকা আছে বলে অনেকে মনে করেন ।

🇨🇭 Oestriol বেশী হলে: গর্ভ অবস্থায় হঠাৎ করে ইস্ট্রিওলের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে সময়ের আগে সন্তান প্রসব হয়ে যেতে পারে।

🇨🇭 প্রজেস্টেরন:
প্রোজেস্টারন ডিম্বাশয়ের কর্পাস লোথিয়াম হতে নিঃসৃত একটি হরমোন ( কর্পাস লোথিয়াম হচ্ছে প্রজেস্টারন হরমোন নিঃসরণের গ্রন্থি )। ইহা মাসিক চক্র এবং গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে অত্ত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং একটি স্টেরয়েড জাতীয় হরমোন।

🇨🇭 প্রজেস্টেরন কিভাবে কাজ করে ?

মাসিক চক্রের 14 দিন পর যখন মহিলাদের ডিম্বাশয় থেকে ডিম্ব পরিস্পুটিত হয় তখন ওভারিয়ান ফলিকলে ( কর্পাস লোথিয়ামে ) সেই ডিম কে উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি করে প্রজেস্টারন এবং সে সময় খুভি অল্প পরিমাণে ওস্টেডিওল হরমোন এই হরমোনের সাথে যোগ হয়ে ডিম কে নিষিক্ত করার জন্য উপযোক্ত হতে থাকে । যদি কোন কারন বশত ডিম নিষিক্ত না হয় অর্থাৎ গর্ভ সঞ্চার না হয় (গর্ভফুল বা প্ল্যাসেন্টা ) তা হলে কর্পাস লোথিয়াম ভেঙে মাসিকের রক্তের সাথে চলে যায় এবং পুনরায় নতুন মাসিক চক্র শুরু হয় ( 28/29 দিনের ভিতর ) । যদি ডিম নিষিক্ত হয় ( গর্ভ সঞ্চারিত হয় ) তা হলে জরায়ুর টিস্যু আবরণীর শক্তি বৃদ্ধি সহ মায়ের স্থনের টিস্যু বৃদ্ধিতে বিশেষ সহায়তা করে এভাবে প্রথম 12 সপ্তাহ কর্পাস লোথিয়ামের কাজ করার পর সন্তান প্রসব হওয়ার আগ পর্যন্ত গর্ভফুল বা প্লেসেন্টা এবং জরায়ূ কে সাহায্য করে থাকে । ( The Adrenal Gland And, During Pregnancy, The Placenta )। সেই সাথে শিশুর জন্য বুকের দুধ তৈরি করা, ভ্রূণের পুষ্টি জোগানো এবং শরীরের কোষে সামান্য পরিমাণ লবণ ও পানি জমাতে সাহায্য করে।

হোমিওপ্যাথির ধারণা About Of Homeopathic Treatment

🇨🇭 প্রজেস্টেরন কম হলে:
যদি কোন কারন বশত প্রজেস্টারনের মাত্রা ( মাসিকের ১৪ দিনের পর ) কম হয় তা হলে অনিয়মিত মাসিক এবং ক্ষেত্র বিশেষ যখন মাসিক হয় তখন বেশী রক্তপাত হতে দেখা যায়। আবার- যাদের কখন ও খুভ বেশী আবার কখন ও একেবারে কম প্রজেস্টারন উৎপাদন হয় তাদের বেলায় ঘন ঘন গর্ভপাত ( তিন মাসের ভীতরেই ) হয়ে থাকে এবং এই সব মহিলাদের কোন কারন বশত যদি গর্ভপাত 12 সপ্তাহের ভিতরে না হয়, তা হলে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সন্তান প্রসব হতে দেখা যায় । যারকারনে 70% সম্বাভনা থেকেই যায় মৃত সন্তান প্রসব করার।
মোট কথায় ওভারির ডিম্বাশয়য়ে যে কোন কারনে প্রজেস্টারন নিঃসরণ ব্যাথ হলে ডিম পরিস্পুটিত হবেনা , আর তা না হওয়া মানেই এক ধরণের বন্ধ্যাত্ব এবং এসব মহিলাদের 70% সম্বাভনা থাকে পলিসিস্টিক ওভারী সিনড্রোম জাতীয় অসুখে ভোগার।

অন্য দিকে যারা জোরপূর্বক গর্ভপাত করিয়ে থাকেন, তাদের বেলায় কর্পাস লোথিয়ামে প্রজেস্টারন উৎপাদন অনেক সময় বন্ধ হতে দেখা যায় । বিশেষ করে যারা 2/3 বার গর্ভপাত করিয়ে থাকেন, তাদের বেলায় 80% সম্বাভনা থেকে যায় বন্ধ্যাত্ব অথবা এমোন্যারিয়া তে ভোগা

🇨🇭 প্রজেস্টেরন বেশী হলে:
Adrenal Hyperplasia ( এড্রিন্যাল গ্রন্থি বড় হওয়া ) , সেই সাথে যদি ইস্ট্রোজেন ও কিছু মাত্রা বৃদ্ধি পায় তা হলে 100% বলা যায় গর্ভ সঞ্চার হবেনা বা গর্ভ নিরোধক Preventing Ovulation -( অর্থাৎ জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি ও তৈরি করা হয় একক ভাবে প্রজেস্টারন ও কমাইন্ড ইস্ট্রোজেন যোগ করে, যাকে বলা হয় মিনি পিল-এই ধরনের পিল ব্যবহার করে ওভ্যুলেশন বন্ধ রাখা যায় )
প্রজেস্টেরন কিভাবে কাজ করে গর্ভনিরোধক হিসাবে-

প্রজেস্টারন সেবনে জরায়ুমুখ বা সার্ভিক্সের মুখের মিউকাসক দিয়ে ঘোরে রাখে বিধায় শুক্রাণু সারভিক্সের ভিতর প্রবেশ করতে পারে না এবং ডিম্বাণু নিষিক্ত হয়ে ভ্রুণ তৈরি হতে পারে না -ফলে গর্ভ রোধক হিসাবে এই হরমোন কে আপৎকালীন গর্ভনিরোধক ( এমার্জেন্সি হরমোনাল কন্ট্রাসেপশন বা ইএইচসি ) বলা হয়, এবং এর সফলতা 94% কার্যকর যদি মিলন করার 72 ঘন্টার ভিতরে প্রজেস্টারন সেবন করেন তা হলে গর্ভ সঞ্চার থেকে বিরত থাকা যায়। নতুবা এরপর এই ঔষধ সেবনে করে তেমন ফল পাওয়া যায়না।

🇨🇭 এখানে বেশ কিছু ভুল ধারনা আছে অনেকের। যখন ঠিক সময় মত মাসিক হয়না তখন সন্দেহ যোক্ত গর্ভ মনে করে এই সব ট্যাবলেট ব্যাবহার করা সম্পুন ভুল বা 10% ও কাজ হয়না, সে সময় বিপদ এড়াতে 6/7 সপ্তাহ পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করানোই সবচেয়ে উত্তম । ( 12 সপ্তাহের ভিতরে গর্ভপাত করাতে পারেন একজন রেজি চিকিৎসকের মাধ্যমে অথবা সে জন্য কিছু ঔষধ ও সেবন করে দেখতে পারেন । কেউ কেউ সে সময় পয়জনাস কিছু ভেষজ ব্যাবহার করেন , কিন্তু তা কতটুকু ক্ষতিকর,
অন্যদিকে কেউ কেউ মনে করেন যেহেতু গর্ভ নিরোধক ঔষধ সেবন করেছেন ( প্রজেস্টারন ) তা হলে গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি হয়ে গেছে ইত্যাদি তাও একেবারে সঠিক নয়। এই ঔষধ খাওয়ার পরও যদি গর্ভ সঞ্চার হয় তা হলে প্রজেস্টারন সেবনের ফলে গর্ভস্থ সন্তানের তেমন ক্ষতি হয়না সে জন্য দুশ্চিন্তার কিছুই নাই বরং গর্ভ সঞ্চারের 12 সপ্তাহ পর্যন্ত প্রজেস্টারন এমনিতেই জরায়ূ ও প্ল্যাসেন্টার জন্য ভাল। ( বাজারে ভিন্ন নামে এই ঔষধ পাওয়া যায় এবং এক সাথে দুটি ট্যাবলেট সেবন করার পরামর্ষ দেওয়া হয় )।

🩸 প্রজেস্টারনের সবভাবিক মাত্রা:
150 nanograms per deciliter (ng/dL) নীচে থাকা উচিৎ।

🩸 গর্ভবতী মায়ের:

less than 150 nanograms per deciliter (ng/dL) পর্যন্ত থাকলে তেমন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

🇨🇭 পাইটোইস্ট্রোজেন ভেষজ ঔষধ (Phytoestrogens ):
যে সকল ভেষজ থেকে ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টারন হরমোন পাওয়া যায় তাহাকে পাইটোইস্ট্রোজেন বলা হয় এবং ইহা দুই ধরণের , Lignans And Isoflavones.
এ পর্যন্ত 300 অধিক ভেষজ খাবারে পাইটোইস্ট্রোজেন পাওয়া গেছে , তার মধ্যে জলপাই পাতার নির্যাস , দুধ কাঁটাগাছের কান্ডের নির্যাস , মেন্থল, গোল মরিচ, ব্ল্যাক টি- কালো আখরোট- সয়া-শস্য, শিমের বিচি, মটর বিচি এবং সবচেয়ে বেশী পাইটোইস্ট্রোজেন পাওয়া যায়, সয়া দুধ, ইবিনিং প্রমিজ ওয়েল (Evening Primrose Oil ) এবং জংলী ইয়াম ( যা দেখতে আলুর মত তবে অনেক বড় হয় – 6 ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে এক একটি, বেশী হয় আফ্রিকা এবং অ্যামেরিকা মহাদেশে বা বর্তমানে এর উন্নত চাষাবাদ করা হইতেছে ) প্রথম জন্ম নিয়ন্ত্রণ ঔষধ তৈরি হয়েছে এই জংলী ইয়াম থেকে অর্থাৎ প্রজেস্টারনের পরিমাণ খুভ বেশী আছে বিধায়।

এ ছাড়া খাবারের মাধ্যমে- যে সব খাবার খেলে পরোক্ষ্য ভাবে হরমোন উৎপাদন করতে সহায়তা করে -তা হল:
সয়া – দুধ, ছাগল এবং গরুর দুধ, বাদাম, চেরি, ক্যারট, শসা, খেজুর, পেঁপে, আলো,চাল, লাল মাংস ( পাখী বা হাসের মাংস ) ধনিয়া এবং টমেটো ইত্যাদি, সেই সাথে এন্টি টক্সাইড ভিটামিন ও খনিজ যোক্ত খাবার হরমোন উক্তেজক হিসাবে ও পরোক্ষ ভাবে কাজ করে,তাই প্রাথমিক অবস্তায় হরমোনের অভাব মনে করলে এই সব খাবার একটু বেশী করে খাওয়া উচিৎ ,সেই সাথে মানসিক, সামাজিক , ধর্মীয় এবং পরিবেশগত ভারসাম্যতা সহজ ভাবে মেনে চললে প্রাকৃতিক উপায়েই 80% বেলায় প্রাথমিক হরমোন স্বল্পতা জনিত অসুখে কম ভোক্তভোগী হবেন বলে আমার বিশ্বাস।

homeo treatment

🇨🇭 যৌন হরমোন বা সেক্স হরমোন:

🇨🇭 এই সব হরমোনের মাধ্যমে রি-প্রোডাকশন ও যৌন উক্তেজনা জাতীয় কার্যক্রম চালানো হয় এবং পুরুষ ও মহিলাকে স্বাতন্ত্র বৈশিষ্ট্য দিয়ে থাকে এ হরমোন। সেক্স হরমোন পুরুষ মহিলাদের যৌন উক্তেজনা বা যৌবন কে সুগঠিত করা সহ সন্তান উৎপাদন করতে 70% কার্যকর ভুমিকা পালন করে বা এর অভাবে কি কি হয় নিচে সঙ্কেপে তুলে ধরলাম:

  • 🩸 ফলিকল স্টিমুলেটিং হরমোন ( FSH – 2 )
  • 🩸 ল্যুটিনাইজিং হরমোন ( LH – 3 )
  • 🩸 প্রজেস্টেরন।
  • 🩸 ইস্ট্রেজেন।
  • 🩸 হাইপোথ্যালামাস।
  • 🩸 পিটুইটারি গ্রনিথ।
  • 🩸 ডিম্বাশয়।
  • 🩸 গর্ভধারণ- H.C.G (মানুষের কোরিওনিক গোনাড্রোট্রোপিন)।
  • 🩸 টেস্টেস্টেরন।
  • 🩸 শুক্রাশয়।
  • 🩸 ইনসেনটিভ্স।
  • 🩸 প্রোল্যাকটিন- P.R.L ছাড়া ও আর প্রায় 71 পর্যায়ের হরমোন আছে ।

🇨🇭 যে হরমোন সমূহ প্রত্যেক ভাবে জড়িত সে গুলো নিয়েই আলোচনা করব, তার আগে এর সাথে সম্পর্ক যোক্ত কিছু বিষয় জানলে হরমোনের কার্যকলাপ সম্বন্ধে বুজতে আর ও সহজ হবে বিধায় নিছে আলোচনা করলাম।

🩸 হাইপোথ্যালামাস:
( ইংরেজি: Hypothalamus ) মস্তিষ্কের সামনের দিকের একটি অংশ যা থ্যালামাসের ঠিক নিচে অবস্থিত, গ্রে ম্যাটার দ্বারা নির্মিত অংশ। হাইপোথ্যালামাস হাইপোফাইসিয়াল ট্র্যাক্ট দ্বারা পিটুইটারি গ্রন্থি এর সাথে যুক্ত থাকার মাধ্যমে স্নায়ু তন্ত্র এর সাথে অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি এর সংযোগ ঘটায়। হাইপোথ্যালামাস শ্বসনজনিত কিছু কাজ ছাড়াও স্বয়ংক্রিয় স্নায়ু কেন্দ্র এর কিছু কাজ করে। এটি কতিপয় হরমোন সৃষ্টি ও ক্ষরণ করে যাদের হাইপোথ্যালামিক হরমোন বা রিলিজিং হরমোন বলে। আর এরই প্রভাবে এরা পিটুইটারি গ্রন্থিকে উদ্দীপ্ত কিংবা নিবৃত করে। থ্যালামাসের সামান্য নিচে অবস্থিত অত্যন্ত ক্ষুদ্রাকৃতির গঠন হচ্ছে হাইপোথ্যালামাস। হাইপোথ্যালামাস মানুষের বিভিন্ন ধরনের মটিভেশনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণে এটি অপরিহার্য ভূমিকা রেখে থাকে।

এখানে বিভিন্ন কেন্দ্র রয়েছে, যারা ক্ষুধা, তৃষ্ণা, যৌন আচরণ, ঘুম, দেহ তাপমাত্রা প্রভৃতি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ব্রেনস্টেম থেকে সামান্য উপরে সেরেব্রাল কর্টেক্সের নিচের দিকে যে ডিম্বাকৃতির স্নায়ুকোষ গোষ্ঠী গঠিত নিউক্লিয়াস থাকে তাকে থ্যালামাস বলা হয়। থ্যালামাসের একটি অংশ বিভিন্ন সংবেদী ইন্দ্রিয় অঙ্গ থেকে আসার তথ্য আদান প্রধানের কাজ করে। এখানে দৃশ্য, শব্দ, স্পর্শ, স্বাদ, গন্ধ, প্রভৃতি তথ্য এসে জমা হয় এবং বিশ্লেষিত হয়। তারপর সেরেব্রাল কর্টেক্সের উপযুক্ত জায়গায় বিশ্লেষিত বিভিন্ন তথ্য চলে যায় । থ্যালামাসের অপর অংশ ঘুম এবং জাগৃতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকে। থ্যালামাসকে লিম্বিক সিস্টেমের অংশ বলা হয়। হরমোন সমুহের মধ্যে বিরোধী মূত্রবর্ধক হরমোন, Oxytocin গ্রোথ হরমোন- এর একটি অংশ টেস্টারন হরমোন, থাইরয়েড গ্রন্থি -Re Corticotrophin হরমোন, ডোপামিন, Somatostatin, Gonadotrophin, Thyrotrophin ইত্যাদি হরমোন কেও নিয়ন্ত্রণ করে।

🩸 অণ্ডকোষ কি বা এর কাজ কি?

সকলের একটা বিষয় মনে রাখা উচিৎ অন্ড কোষে উৎপাদিত বীর্য বা শুক্রাণু ইত্যাদি এক বিষয় এবং যৌন উক্তেজনা আরেক বিষয়, বিশেষ করে যৌন উক্তেজনা মস্থিস্কের থেলেমাসে সাথে সম্পর্ক যোক্ত যা সরা সরি হরমোনের সাথে সম্পর্ক যোক্ত বিধায় সেক্স হরমোনের আরেক নামই সেক্স স্টিমুলেটর বা যৌন উক্তেজক ঔষধ , সে জন্য অনুরোধ থাকবে ন্যেচারেল উক্তেজনা কে বাড়াতে অনেকেই খারাপ বা অশ্লীল ভিন্ন বদ অভ্যাস করে থাকেন তা থেকে বিরত থাকার জন্য। রিসার্চ অনুসারে প্রমাণিত যারা যৌন বিষয়ে উক্তেজনাকর ভিন্ন বদ অভ্যাসের মত অসামাজিক কাজ করে থাকেন, তাদের যৌনতা কম বয়সেই থেমে যায় বা মারাত্মক স্থায়ী অসুখে পরিণত হয়, যেমন লোকিয়ে লোকিয়ে এডাল্ট ছবি দেখা, সামাজিক ভাবে লোকিয়ে লুকিয়ে ভিন্ন অবৈধ যৌনতা বা সে জাতীয় কিছু করা , ইত্যাদি। প্রমান সরুপ 100% নিশ্চিত এ ধরণের পুরুষ বা নারী যতই সমাজে ভাল থাকেন না কেন বাস্থব দাম্পত্য জিবনে শতভাগ সুখী হওয়া অসম্বভ।

টেস্টিস হচ্ছে পুরম্নষ প্রজনন অঙ্গ। এখানে স্পার্ম বা শুক্রাণু তৈরি হয় এবং এই স্পার্ম বা শুক্রাণুর সঙ্গে মেয়েদের ডিম্বাণুর মিলনের ফলে সনত্মানের জন্ম হয়। এই টেস্টিসের সংখ্যা দুটি। এর জন্ম পেটের ভিতর। টেস্টিসদ্বয় শিশুর মায়ের পেটে বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে নিচের দিকে নামতে থাকে এবং সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পূর্বেই অন্ডকোষ ( স্ক্রটাম – Scrotum ) থলিতে অবস্থান নেয়।
এই সংবেদনশীল অঙ্গ দু’টি দেহগহ্বরের বাইরে অবস্থিত। কারণ দেহের ভেতর তাপমাত্রা খুব বেশি থাকে। অধিক তাপে শুক্রাণু সন্তান জন্ম দেওয়ার উপযোগী থাকে না, নষ্ট হয়ে যায়। তাই অণ্ডকোষ দু’টি দেহগহ্বরের বাইরে স্ক্রোটাম বা অণ্ডথলি নামের একটি থলির ভেতর থাকে।প্রকৃতির নিয়মেই বিচি দুটি সামান্য ছোট বড় হয়। অন্ড থলির তাপমাত্রা দেহের ভেতরের চেয়ে প্রায় 5 ডিগ্রি কম থাকে। এই তাপমাত্রা শুক্রাণু উৎপাদনের জন্য উপযোগী।

অণ্ডকোষ থেকে যেমন শুক্রাণু তৈরি হয় তেমনি অণ্ডকোষ টেস্টোস্টেরন নামের পুরুষ হরমোনও তৈরি করে। ( অন্ড কোষের যে কোন অসুখ বিসুখের বেলায় খেয়াল রাখবেন এ দুটি বিচি ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় আছে কি না ? ) এতে দু’ধরনের কোষ থাকে। লিডিগ কোষ ও জনন কোষ। লিডিগ কোষ থেকে পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরন তৈরি হয়। আর জনন কোষ থেকে শুক্রাণু তৈরি হয়। অণ্ডকোষ দ্বারা নিঃসৃত প্রধান হরমোনের নাম টেস্টারন হরমোন , ( মুলত এই হরমোনের ঘাটতির ফলেই 70% পুরুষের বার্ধক্যতা এবং যৌন উক্তেজনা কমে যেতে থাকে-বিস্তারিত পরবর্তীতে জানবেন ) এ ছাড়া ও Androgenic হরমোন, Leydig কোষ থেকে Inhibin- বি এবং Sertoli কোষ থেকে বিরোধী Mullerian হরমোন, এবং ইনসুলিনের মত ফ্যাক্টর 3 এবং Oestradiol হরমোন উৎপাদন করে থাকে।

হোমিও চিকিৎসা | Homeopathic Treatment

🩸 বীর্য ( Semen) পুরুষদের জন্য:
যা বীর্যরস নামেও পরিচিত, ইহা এক প্রকার জৈব তরল যা Spermatozoa ধারণ করে। বীর্য পেলভিসের ভেতরে সেমিনাল ভেসিকল থেকে তৈরি হয়। যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বীর্য বের হয় তাকে বীর্যপাত বলে।

🩸 পুরুষের বীর্যের উপাদান: বীর্যে শুক্রকীট ব্যতীত অন্যান্য যেসব উপাদান বীর্যে পাওয়া যায় , তার মধ্যে 90 শতাংশই তরল পানি জাতীয় উপাদান। পুরুষ যৌবনে পদার্পণ করলেই ( ছেলেদের বেলায় 14/15 এবং মেয়েদের বেলায় 12/13 পিউবারটি দেখা দেয় এবং কি ভাবে পরবর্তীতে জানবেন ) বীর্যাধার বা কোষের মধ্যে শুক্র সৃষ্টি হতে শুরু করে এবং এই সৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকে পয়ষট্টি-পচাত্তর বছর বয়স পর্যন্ত। ( যদি যৌন রোগ বা বদ অভ্যাস জনিত কোন স্বভাব না থাকে )।

🩸 বীর্যের গঠন:
প্রস্টেট ( Prostate ) গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত প্রস্টেট তরল,
সেমিনাল ভেসিক্যাল (Seminal Vesicle ) থেকে নিঃসৃত সেমিনাল তরল, গৌণ যৌন গ্রন্থি (Cowper’s Glands) থেকে নিঃসৃত সেমিনাল প্লাজমা এবং টেস্টিস (Testis) হতে উৎপন্ন সেমিনিফেরাস নালি ও এপিডিডাইমিস হতে নিঃসৃত তরল পদার্থ ও অসংখ্য শুক্রাণুর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। প্রস্টেট গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত তরল পদার্থটি ক্ষারকীয় তরল পদার্থ। ধাতুর মধ্যে যে ক্ষারীয় গন্ধ পাওয়া যায় তা মূলত এই প্রস্টেটের জন্যই। প্রস্টেট তরলের মধ্যে বিভিন্ন উৎসেচক যেমন- প্রটিওলাইটিক উৎসেচক, এসিড ফসফেটেজ, ফ্রাইবিনোলাইসিন, সাইট্রিক এসিড, উচ্চ ঘনত্বের জিঙ্ক ও বিটা গ্লুকোনিডেজ। প্রস্টেট তরলের মূল কাজ হল- ধাতুর PH মাত্রাকে 5.6 থেকে 6 মধ্যে বজায় রাখা, যাতে স্ত্রী যোনিতে শুক্রাণুর গমন সহজ হয়।

এছাড়াও বীর্যে থাকে সুগার বা গ্লুকোজ যা কি না শুক্রাণুর কার্যকারিতা ও বলিষ্ঠতা রক্ষা করে। বীর্যে কয়েক টি ক্ষারীয় উপাদান থাকে। প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের কিছু পরিমাণ এনজাইম ও কিছুমাত্রায় ভিটামিন সি, বা কোলেস্টেরল ও দেখা যায়। সেমিনাল ভেসিকেল থেকে নিঃসৃত তরল মধ্যে উচ্চ মাত্রায় ফ্রুক্টোজ, এস্কোর্বিক এসিড ও ইরগোথিওনাইন থাকে। উচ্চমাত্রায় ফ্রুকটোজ থাকায় শুক্রাণু তার পুষ্টি এই তরল থেকে গ্রহন করে, যতক্ষণ পর্যন্ত না একটি ডিম্বাণুকে সে নিষিক্ত করতে পারে, স্ত্রী যোনিতে পুরুষের শুক্রাণু প্রবেশের পর।

সিম্যান তৈরিতে বিশেষ রকমের খাদ্য উপাদানের সরবরাহের প্রয়োজন হয় না তবে সত্য যা তা হল বীর্যের সাথে খাবারের কোনো প্রত্যক্ষ বা ডাইরেক্ট সম্পর্ক নেই কিন্তু বাড়তি ভিটামিন প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলে শরীরের হজম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তি উৎপাদন করে অবশেষে হরমোন উৎপাদিত হয় এবং পরে তা বৃদ্ধি হয় কোষ ভিবাজন প্রক্রিয়ার মত । সে জন্য হারবাল ভায়াগ্রাসহ অন্যান্য সম্পূরক খাবারকে ওষুধ হিসাবে এফ ডি এ কৃতক অনুমোদিত নয় যা শুধু যৌন শক্তি উক্তেজক হিসাবে ধরা হয়।

একটা কথা সবারই মনে রাখা দরকার ,দেহের মাঝে বিরতিহীন ভাবে বীর্য সংশ্লেষণ ঘটছে স্খলনের উদ্দেশ্যে, জমা বা সঞ্চিত থাকার জন্য নয়। বীর্য নির্গমন যে প্রক্রিয়াই ঘটুক না কেন, তা মানব দেহের উৎপাদন কর্মকান্ডকে সচল, সবল আর গতিশীল রাখে। কাজেই স্বাভাবিক সেক্স সঙ্গম বা নিদ্রার মধ্যবর্তী স্বপ্নদোষ বা যে কোনোভাবেই হোক না কেন স্বাভাবিক পর্যায়ের বীর্য নির্গমন ক্ষতিকারক নয় বা এর জন্য কিছুই করতে হবে না যদি কোন অসুখ বা বদ অভ্যাস না থাকে।

স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে বীর্য প্রথমত দেখতে মেঘলা সাদা অথবা কিছুটা ধুসর তরল , গাঢ় এবং জেলীর মত ইষৎ শক্ত দেখালেও পরবর্তী 15-30 মিনিটের মধ্যে বীর্য তরল এবং পানির মত পাতলা হয়ে যায়। একজন পুরুষের বীর্যের পরিমান গড়ে 3.4 মিলিলিটার এবং সর্বোচ্চ 4.99 মিলি থেকে সর্বোনিম্ন 2.4 মিলি থাকা উচিৎ। ( শুক্র কীটের বেচে থাকার সময় ও নির্ভর করে এই বীর্যের পরিমাণে উপর )।
এ পর্যন্ত যে সকল খাবার বীর্য বাড়তে পরোক্ষ ভাবে সহায়তা করে তার মধ্যে কলা , রসুন জাতীয় খাবার , ডার্ক চক্লেট জাতীয় খাবার, মিস্টি কদুর বিচি , শামুক, মেকা, বাদাম ও সম্প্রতি ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার ও বেশ ফল দায়ক বলে জানানো হয়েছে।

🩸 শুক্রাণু ( Sperm) কি ? বা এতে কি থাকে ( পুরুষদের জন্য ):
শুক্রাণু বা Sperm বলতে জীবের পুংজনন কোষকে বোঝানো হয়। শুক্রাণু যখন ডিম্বাণু কোষকে নিষিক্ত করে তখন জাইগোট সৃষ্টি হয় ( সন্তানের জন্ম নেওয়ার প্রথম চিহ্ন ) যা মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মধ্যদিয়ে পরবর্তিতে ভ্রূণ গঠন করে এবং একসময় শিশু জীবে গঠন করে। শক্রানুর লাইফ সার্কেল শেষ করতে 74 দিন সময় লাগে । মানব শুক্রাণু হ্যপ্লয়েড কোষ অর্থাৎ এতে ক্রোমোসোমের সংখ্যা এর উৎপাদক কোষের ক্রোমোসোম সংখ্যার অর্ধেক।

মানব শুক্রাণুতে 23 টি ক্রোমোসোম থাকে যা ডিম্বাণুর 23 টি ক্রোমোসোমের সাথে যুক্ত হয়ে 2×23 ক্রোমোসোম বিশিষ্ট ডিপ্লয়েড জাইগোট সৃষ্টি করে। শুক্রাণুর আকার বিভিন্ন জীবে বিভিন্ন হয়ে থাকে এবং এটি শুক্রাণুর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট যার মাধ্যমে একটি জীব থেকে অন্য জীবকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা যায়। শুক্রাণুতে বিদ্যমান ক্রোমোসোমগুলো জীবের বৈশিষ্টের বাহক জিন বহন করে যা জীব থেকে তার বংশধরের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। যাকে ডি এন এর আওতায় নেওয়া হয়। সে জন্যই ছেলে বা মেয়ে তার বাবা মার দেহের গঠনের সাথে অনেক সময় অনেক কিছুতে মিল দেখা যায় আবন জেনেটিক হেবিটেশন প্রক্রিয়ায় তা কয়েক জেনারেশন পর্যন্ত দেখা যায়।

🩸 এক মিঃলিঃ বীর্য বা ধাতুর মধ্যে – 20,000,000 – 225,000,000শুক্রকীট বা শুক্রাণু ( Sperm ) থাকে। অনুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দেখলে মনে হবে যেন এক একটা লম্বা লম্বা ব্যাঙাচি। এর মাথার দিকটা বড় আকারের এবং গোলাকৃতি, আর নিচের অংশটা সূতার মত লম্বা। প্রতিটি শুক্রাণুর তিনটি অংশ থাকে, যথা: মাথা, ধড় বা গলা এবং লেজ। শুক্রাণু লেজের সহায়তায় এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যেতে পারে। শুক্রাণুর গতি হল 1-3 সেন্টিমিটার প্রতি মিনিটে। কোন কারণে শুক্রাণুর দেহ গঠনের বিকৃতি ঘটলে অর্থাৎ মাথার আকৃতি বড় হলে কিংবা লেজ অংশ না থাকলে শুক্রাণুর সঞ্চালন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়াও প্রতি মিলিমিটারে শুক্রাণুর সংখা যদি 20,000,000 ( Twenty Million ) এর কম হলে শুক্রাণুর স্ত্রী ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করার সম্ভাবনা কমে যায় যার জন্য পুরুষের বন্ধাত্ব দেখা দেয় (বন্ধাত্ব কি জানতে হলে পুরুষের বন্ধাত্ব কিভাবে হয় সেখানে খোজ করুন ) । কিছু এনজাইম ( Enzyme ) ও খনিজ লবণসহ পুরুষ দেহ থেকে নিক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রাণু যখন স্ত্রী দেহে প্রবেশ করে তখন ধাতুর এই জৈব রাসায়নিক উপাদান থেকে তারা ( শুক্রাণু )তাদের পুষ্টি গ্রহন করে বেঁচে থাকে।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা, হোমিও চিকিৎসা,

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 সকাল 09:00 — 01:00 টা।
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন
Dr. Masud Hossain
(বি, এইচ, এম, এস )
(ডি, এইচ, এম, এস)

☎ 01907-583252 (WhatsApp, IMO)
☎ 01302-743871(WhatsApp, IMO)

[রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন
Govt reg No. 35423 ]

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!