💋 শারীরিক মিলনের কিছু নিয়ম পরিকল্পনা মাফিক সহজে গর্ভবতী হওয়াটা সহজ করে দেয়। তাই গর্ভবতী না হয়ে থাকলে ভয় না পেয়ে স্বামীর সাথে মিলনে সচেতন হতে পারেন।
💋 কনডম ব্যবহার না করা বা পিল খাওয়া বন্ধ করে দিলেই একজন নারী গর্ভবতী হয়ে যাবেন তা কিন্তু নয়। নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন, স্বাস্থ্যকর খাবার,দাবার ইত্যাদি বিষয় ঠিক রাখা খুব জরুরী মা হতে চাইলে।
💋 যে বিষয়গুলো মাথায় রেখে সহবাস করবেন তা হলো,প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে। মাসিকের সঠিক হিসাব রাখতে হবে যেন আপনি চাইলে সে সময় মাথায় রেখে শারীরিক মিলনের নিয়ম কাজে লাগাতে পারেন।
💋 ডিম্বানু নিষিক্ত হওয়ার সম্ভাব্য সময়- অনেকে কনডম ব্যবহার না করলেও গর্ভবতী হতে পারেন না প্রায়ই। এর কারণ তেমন কিছু না। হিসাব করলে দেখা যাবে স্ত্রীর ডিম্বানু নিষিক্ত হওয়ার সময় হয়তো মিলন ঘটেনি যার ফলে গর্ভ-ধারণও হয় নি। একজন নারীর ডিম্বাশয় মাসে একবার ডিম্বানু তৈরি করে। একে ওভুলেশন বলে। যখন এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় শুধুমাত্র তখনই বীর্যের সংস্পর্শে এলে ডিম্বানুটি নিষিক্ত হতে পারে। তবে শুক্রাণু নারীর গর্ভে গিয়ে প্রায় পাঁচদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। তখন যদি নারীর ডিম্বানু প্রস্তুত হয় তখনই শুক্রাণু ডিম্বানুটির সাথে মিলিত হতে পারে।
💋 নারীর মাসিক শুরুর দিন থেকে গুণে গুণে সাতদিন পর্যন্ত এই ডিম্বাণু পুরোপুরি তৈরি হওয়ার সুযোগ নেই বলা চলে। যাদের মাসিক অনিয়ম তাদের কথা আলাদা। কিন্তু যাদের প্রতিমাসে ঠিকঠাক মতো সঠিক সময় মাসিক হয় তারা এ বিষয়টা মাথায় রাখতে পারেন। ইমার্জেন্সি পিল খেলে এ হিসাব কাজ করবে না, এটাও মনে রাখতে হবে। স্বাভাবিক মাসিক হয় যাদের তাদের পিরিয়ড শুরুর প্রথম দিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত স্বামীর সাথে মিলিত হলেও এ থেকে গর্ভধারণ করার সুযোগ খুব কম।
💋 সহজে গর্ভবতী হতে চাইলে এর পরের 10 দিন স্বামীর সাথে একবার করে মিলিত হলে কোনো সমস্যা না থাকলে গর্ভবতী হবেন নারী। কারণ এ সময়ের ভিতরেই ডিম্বানুটি প্রস্তুত হয়।
💋 জন্ম বিরতিকরণ প্রক্রিয়া বন্ধ করা- যদি আপনার ড্রয়ারে কনডম থাকে তা আপনি যে কোন সময় ফেলে দিতে পারেন। যদি আপনি গর্ভ নিরোধক বড়ি সেবন করেন তবে আপনি এটা গ্রহণ বন্ধ করতে পারেন এবং সরাসরি চেষ্টা শুরু করতে পারেন। অথবা আপনি মাসিক শুরুর আগ পর্যন্ত পিল চালিয়ে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে ডাক্তারের শিশু জন্মের তারিখ নির্নয় করতে সহজ হয়। আপনার মাসিকচক্র ফিরে আসতে ছয় মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। আপনি পিল খাওয়া অবস্থায় গর্ভধারন করলে পিল খাওয়া বন্ধ করে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। পিল খাওয়া অবস্থায় গর্ভধারন করলে যে শিশুর ক্ষতি হবে তা নয়, তবে সাবধানতা অবলম্বন করা ভাল।
🩸 যদি আপনি গর্ভনিরোধের জন্য ইন্জেকশন ব্যবহার করে থাকেন তবে সন্তান ধারন করার জন্য এক বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
💋 ডিম্বাণু প্রস্তুত হওয়ার আগেই শারীরিক মিলন – পুরুষের শুক্রাণু জরায়ু বা ডিম্বনালীতে দুই থেকে তিনদিন বেঁচে থাকে। কিন্তু নারীর ডিম্বাণু মাত্র 12 থেকে 24 ঘন্টা নিষিক্ত হওয়ার অবস্থায় থাকে। এরপর সেখানে আর কোনো শুক্রাণু কাজ করতে পারে না। তাই ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার সম্ভাব্য দিনে শারীরিক মিলন না করে মাসিক শেষ হওয়ার পর একদিন পর পর শারীরিক মিলন করতে হবে। যেন ডিম্বাণু প্রস্তুত হলে শুক্রাণু মিলিত হতে পারে। জরায়ুতে অপেক্ষমাণ শুক্রাণুও সেটা করতে পারে।
💋 শারীরিক মিলন প্রতিদিন নয়- অনেকের ধারণা বাচ্চা চাইলে প্রতিদিন শারীরিক মিলন জরুরী। এটা ঠিক নয়। প্রতিদিন শারীরিক মিলনে অবসাদ বা ক্লান্তি চলে আসতে পারে। নারীর মিলিত হওয়ার আগ্রহ কমে যেতে পারে এবং পুরুষের বীর্যের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এর ফলে ডিম্বাণু প্রস্তুত হওয়ার সময় শারীরিক মিলন না ঘটার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। তাই এক দিন পর পর শারীরিক মিলন গর্ভবতী হওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায়। এতে করে শারীরিক মিলনের আগ্রহও থাকে আবার ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশী থাকে।
💋 সঠিক যৌন মিলন – গর্ভধারণের জন্য কিছু যৌন পদ্ধতি পালন করা যেতে পারে। যৌন মিলনের বহুল প্রচলিত পজিশন নারীর উপরে পুরুষ। একে মিশনারি পজিশন বলে। মিশনারি পজিশনে শারীরিক মিলন এক্ষেত্রে সাহায্য করেতে পারে বলে মনে করেন অনেকে। কারণ এতে নারী কোনো রকম নড়াচড়া ছাড়াই বিছানায় পিঠ লাগিয়ে শুয়ে থাকতে পারেন। যদিও এ সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য নেই বা কোন গবেষনা হয়নি।
🩸 দুটি পদ্ধতি নিয়ে সামান্য গবেষনা হয়েছে। একটি মিশনারি এবং অন্যটি ডগি স্টাইল। ডগি পদ্ধতি হচ্ছে মহিলা চার হাত-পায়ে ভর দিয়ে উপুড় হয়ে থাকে এবং সঙ্গী পিছন দিক থেকে যৌন সংসর্গ করে। সাধারন ভাবে বুঝা যায় এই পদ্ধতিতে বীর্য সহজেই সারভিক্স পর্যন্ত পৌছাতে পারে। এই দুটি পদ্ধতিতেই বীর্য সহজে যোনি হয়ে সারভিক্সের সম্মুখে পৌছে। হতে পারে দাঁড়িয়ে বা আপনি উপরেও ভালো পজিশন। এ সম্পর্কে খুব বেশী তথ্য নেই। তাই আপনি আপনার মতো যৌন সংসর্গ চালিয়ে যান।
💋 সহবাসের পরপরই যা করবেন – যোনী এবং সারভিক্সের আশে পাশেই থাকে বীর্য। একবার বীর্যপাত হওয়া মানে আপনার যোনীতে কয়েক লক্ষ শুক্রানুর প্রবেশ। আপনি যৌন মিলনের পরে দাঁড়িয়ে পড়লেও সব শুক্রানুর সরে যাওয়ার কোন কারন নেই। তাই যৌনমিলনের পর সাথে সাথে দাঁড়িয়ে পড়লেও গর্ভধারনে কোন সমস্যা হয় না।
🩸 যদি আপনার হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকে এবং কোন সমস্যা না থাকে তবে যৌনমিলনের পর 30 মিনিট শুয়ে থাকা ভালো। শারীরিক মিলনের পর বিছানায় পিঠ লাগিয়ে শুয়ে থাকুন। যেন বীর্য জরায়ুর দিকে সহজে প্রবাহিত হতে পারে। একটা কোল বালিশ পায়ের নীচে দিয়ে রাখতে পারেন যেন পাগুলো একটু উঁচু হয়ে থাকে। মোট কথা বীর্য যতখানি সময় ধরে জরায়ুর ভিতরে রাখা যায় ততই ভালো। এভাবে শুয়ে থাকলে বীর্য সহজে জরায়ু, সারভিক্স হয়ে ফ্যালোপেন টিউবে প্রবেশ করে। শারীরিক মিলনের জন্য ঘুমের আগের সময় বেছে নিন। যেন মিলনের সাথে সাথেই উঠে না যেতে হয় বিছানা থেকে। কিন্তু যদি আপনার জরুয়ুতে ইনফেকশন থাকে এবং ডাক্তার সহবাসের পরপর মুত্রথলি খালি করতে বলে তবে যৌনমিলনের পর দেরী করা ঠিক হবে না। মিলনের পর পরই নিজেকে পরিষ্কার করে নেয়ার অভ্যাস খুবই ভালো। এতে কোনো রকম ইনফেকশনের ভয় থাকে না। কিন্তু গর্ভধারণের জন্য অন্তত 1 ঘন্টা পানি বা সাবান দিয়ে যৌনাঙ্গ না ধুয়েই থাকতে হবে।
🩸সহজে গর্ভবতী হওয়ার জন্য শারীরিক মিলনের ব্যাপারে হিসাবি হতে হবে।
অনিয়ন্ত্রিত শারীরিক মিলন পরিত্যাগ করতে হবে। মাসিকের সঠিক হিসাব রেখে নিয়ম মেনে শারীরিক মিলন গর্ভধারণ খুব সহজ করে দেবে। তার মানে এই না যে নিজেদের আনন্দ বিসর্জন দিয়ে দিতে হবে! শারীরিক মিলনের সম্পূর্ণ আনন্দ বজায় রেখেই গর্ভধারণের চেষ্টা করতে হবে। এতে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের জন্য পুরো ব্যাপারটা আনন্দদায়ক হয়ে উঠবে। গর্ভধারনের প্রথম শর্ত হচ্ছে নিয়মিত সহবাস। সপ্তাহে একদিন সহবাসের চেয়ে প্রতি 2/3 দিন পরপর সহবাস এক বছরের মধ্যে গর্ভধারনের মাত্রা বাড়ায়।
💋 অনিয়মিত মাসিক জনিত সমস্যায় ভোগে নিয়ে এমন মেয়ে পৃথিবীতে কমই আছে। মাত্র সঠিক চিকিৎসা এবং সঠিক পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে এই রোগের সাইডিফেক্ট থেকে আমরা নিজেদের রক্ষা করতে পারি। কি কারণে মাসিক অনিয়মিত হয় এই বিষয়টি জানা আমাদের খুবই প্রয়োজন।
🩸 হরমোনাল প্রভাব:
ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে অনিয়মিত মাসিক দেখা দেয়। বয়সন্ধিকালে অনিয়মিত মাসিক স্বাভাবিক কিন্তু বয়সন্ধিকাল পর হবার পর ও যদি আপনার অনিয়মিত মাসিক থাকে তাহলে এটি অবশ্যই চিন্তার কারণ। এই হরমোনাল ইমব্যালেন্স সমস্যাটি দেখা দেয় আমাদের খাদ্য তালিকার কারণে। আই খাদ্যতালিকায় অবশ্যই সুষম রাখার চেষ্টা করবেন।
🩸 সিস্ট:
আজকাল সিস্ট খুবই সাধারন ব্যাপার হলেও এটির অনিয়মিত মাসিকের অন্যতম একটি প্রধান কারণ। এই দেখা যায় জরায়ু সিস্টের কারণে বাচ্চা গর্ভে দিতে গিয়ে পৌছাতে পারেনা। আর অতিরিক্ত ওয়েল ফুড ফাস্টফুড খাওয়ার কারণে এ ধরনের শ্রেষ্ঠ আমাদের শরীরে এখন প্রচুর পরিমাণে বাসা বাঁধছে। এতে ভয়ের কিছু নেই ঠিক সময়ে যদি আপনি সঠিক চিকিৎসা নিতে পারেন তাহলে সিস্ট থেকে রেহাই পাওয়া খুবই সহজ।
🩸 জন্মনিরোধক ট্যাবলেট:
গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট যারা খেয়ে থাকেন তারা অনিয়মিত মাসিক জনিত সমস্যায় ভুগতে পারেন। প্রতিটি ট্যাবলেট এর সাইড ইফেক্ট থাকে। ট্যাবলেট ব্যবহার না করে কনডম ব্যবহার করা অতি উত্তম।
🩸 থাইরয়েড ডিসঅর্ডার:
থাইরয়েড জনিত সমস্যার কারণে আপনার মাসিক অনিয়মিত হতে পারেন।
🩸 জরায়ু টিউমার:
বেশিরভাগ নারীই 40 বছরের পড়ে গিয়ে জরায়ুর টিউমার জনিত সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। জরায়ুর টিউমার জনিত সমস্যা এখন অল্প বয়সী মেয়েদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে যার কারণে অনিয়মিত মাসিক সমস্যাটি দেখা যায়।
💋 অনিয়মিত মাসিকের ফলে শরীরে কি পরিবর্তন ঘটে?
অনিয়মিত মাসিক আপনার শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর কারণ এতে আপনার শরীরের ক্ষতিকর পদার্থ গুলো আপনার শরীরে থেকে যায়। আসুন জেনে নেই অনিয়মিত মাসিক এর ফলে আপনার শরীরে কি কি পরিবর্তন ঘটতে পারে।
🩸 হঠাৎ করে আপনার শরীরের ওজন চরম মাত্রায় বৃদ্ধি পাবে অথবা চরম মাত্রায় কমে যাবে।
মানসিক যন্ত্রণা দেখা দেবে অতিরিক্ত আবেগী হয়ে উঠবেন।
অ্যানোরেক্সিয়া বা বুলিমিয়া জাতীয় সমস্যায় ভুগতে পারেন এতে আপনার অতিরিক্ত খেতে ইচ্ছা হতে পারে আবার ক্ষুধা একেবারে চলে যেতে পারেন।
অনিয়মিত মাসিক হলে বাচ্চা নেওয়ার উপায় কি?
অনিয়মিত মাসিক হলে আপনার বাচ্চা হবে না এটাই ভেবে কখনো মন খারাপ করবেন না। অনিয়মিত মাসিক হলে বাচ্চা নেওয়ার উপায় হাজারো রয়েছে ।
🍷 হেলদি ফুড:
অনিয়মিত মাসিক কি ভালো করার জন্য অবশ্যই আপনাকে হেলদি ফুড গ্রহণ করতে হবে। এর মধ্যে অন্যতম হলো হলুদ, আদা,ধনে,তিল ও দারুচিনি। এই খাবারগুলো আপনার মাসিক চক্র কে সঠিকভাবে সঞ্চালন করতে সাহায্য করবে আর মাসিক চক্র ঠিক হয়ে গেলে বাচ্চা হওয়া নিয়ে আপনার কোন সমস্যা থাকবে না।
🍷 টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি:
টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে গেলে অনিয়মিত মাসিক দেখা দেয় এবং আপনার বাচ্চা ধারনের ক্ষমতাও তেমন থাকে না। তাই টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধির জন্য সুসম খাবার খান এবং Alcohol থেকে নিজেকে দুরে রাখেন।
💋 মাতৃত্ব অনেক মধুর একটি ক্রিয়েশন তাই নিজের যন্ত নিন যে কোন গোপনঅঙ্গ ইনফেকশন হলে ডাক্তারের কাজে যেতে দেরি করবেন না।
💋 বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের নিয়ম, মাতৃত্ব একটি আনন্দদায়ক অনুভূতি। যদি কোনও মহিলা গর্ভবতী হওয়ার কথা ভাবেন,তবে প্রথমে তার মাসিক চক্রের দিকে নজর দেওয়া উচিত। কারণ ওভুলেশন হল সমস্ত গর্ভধারণ সমস্যার উত্তর। একজন মহিলার ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নি:সরণকে ওভুলেশন বলে। প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট সময়ে ওভুলেশন ঘটে। বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের নিয়ম ডক্টর বিশাল মাকওয়ানা বলেন, এই সময়ে নারীর শরীর থেকে নির্গত ডিম্বাণু পুরুষের শুক্রাণুর সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে। আর তাই এই সময়ে সহবাস করলে সহজেই গর্ভবতী হতে পারেন। নারী যদি মা হতে না চান, তাহলে এই সময়ে সহবাস না করে গর্ভধারণ এড়ানো যায়।
💋 আপনি যদি সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন,তাহলে আপনার গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য সর্বোত্তম পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করতে হবে। গর্ভধারণের চেষ্টা করার সময় আপনার জন্য সেরা যৌন প্রক্রিয়াগুলি এখানে আলোচনা করা হয়েছে।
💋 ওভুলেশনের সময় মহিলারা সবচেয়ে ফার্টাইল হয়। এই সময়ে সহবাস করলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। আপনার ওভুলেশন চক্রের ট্র্যাক রাখা বা একটি ওভুলেশন কিট ব্যবহার আপনাকে সহবাসের সঠিক সময় অনুমান করতে সাহায্য করতে পারে।
💋 গর্ভধারণের চেষ্টা করা সমস্ত দম্পতি সফলভাবে গর্ভধারণের জন্য যতবার সম্ভব সহবাস করা উচিত। তবে মনে রাখবেন এটি এমন কোনো কাজ নয় যা আপনাকে প্রতিদিন শেষ করতে হবে। উভয়ে প্রেম করার প্রক্রিয়া উপভোগ করতে হবে, যৌনতা যদি একটি একঘেয়ে দৈনন্দিন রুটিনের অংশ হয়ে ওঠে,তবে আপনি কেবল এতে আগ্রহ হারাবেন না,এটি আপনার সঙ্গীর সাথে আপনার সম্পর্ককেও প্রভাবিত করবে।
💋 আপনার যৌন জীবনকে আকর্ষণীয় করতে আপনি ব্যবহার করতে পারেন এমন বেশ কয়েকটি বিকল্প উপায় রয়েছে। আপনি বিভিন্ন সেক্স পজিশন, রোল-প্লে, ফোরপ্লে, খেলনা, লুবস, কসপ্লে ইত্যাদি চেষ্টা করতে পারেন। এমনকি আপনি যেখানে সেক্স করেন সেই জায়গাটাও পরিবর্তন করতে পারেন।
💋 বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের উপযুক্ত সময়, গর্ভবতী হওয়ার জন্য আপনাকে জানতে হবে যে, মাসের কোন সময় আপনার ওভুলেশন হচ্ছে । কারণ এই সময়কাল বিভিন্ন মহিলাদের জন্য আলাদা আলাদা সময়ে হয়ে থাকে, এটি সাধারণত 28 দিনের মাসিক চক্রের 14/16 দিনের কাছাকাছি ঘটে। কিন্তু সব নারীর 28 দিনের মাসিক চক্র হয় না। বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের নিয়ম, সাধারণত এই মাসিক চক্র 26/32 দিন হয়। এবং একজন মহিলার পিরিয়ড শেষ হওয়ার 10 থেকে 19 তম দিনে ওভুলেশন ঘটে। পরবর্তী মাসিকের প্রায় 12 থেকে 16 দিন আগে।
💋 আপনার ওভুলেশনের দিনক্ষণ ও লক্ষণ, মহিলারা বিভিন্ন উপসর্গ থেকে তাদের ওভুলেশন লক্ষণ বুঝতে পারেন। এই সময়ে সাদা স্রাব স্বাভাবিকের থেকে আলাদা হয়ে থাকে। যোনি থেকে যে তরল বের হয় তা ঘন হয়ে যায়। এই সময়ে মহিলাদের শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের নিয়ম, কিছু মহিলা ওভুলেশনের সময় হালকা তলপেটে ব্যথা অনুভব করেন যা কয়েক মিনিট বা এমনকি কয়েক ঘন্টা স্থায়ী হতে পারে।
💋 মা হতে ইচ্ছুক মহিলারা ওভুলেশন কিটের সাহায্য নিতে পারেন। ওভুলেশনের আগে প্রস্রাবে লুটেইনাইজিং হরমোনের বৃদ্ধি দ্বারা এটি সনাক্ত করা যেতে পারে। অনেক নারীর স্তন এ সময় বেশি সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। বমি বমি ভাব এবং মাথাব্যথাও হয়।
💋 সেই সঙ্গে এই সময়ে শারীরিক সম্পর্কের ইচ্ছাও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ডিম্বাশয় ত্যাগ করার পর, ডিম্বানু 24 থেকে 36 ঘন্টার জন্য শরীরে থাকে। বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের নিয়ম তাই, বাচ্চা নেওয়ার জন্য পিরিয়ডের 10 তম দিন থেকে 20 তম দিন পর্যন্ত এক দিন পর পর সহবাস করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
💋 ইসলামিক নিয়মে বাচ্চা নেওয়ার নিয়ম, একজন মানুষের ধার্মিক সন্তান তখনই হয় যখন তারা সহবাসের ইসলামিক নিয়ম মেনে চলতে পারে। কেননা সহবাসের ইসলামি নিয়ম মেনে চললে শয়তান সেই সঙ্গমে প্রবেশ করতে পারে না এবং সেই মিলন থেকে একটি নেককার সন্তানের জন্ম হয় যেখানে শয়তান প্রবেশ করতে পারে না।
💋 প্রত্যেক মানুষই চায় একটি গুণী সন্তান জন্মগ্রহণ করুক,কারণ গুণী সন্তান হলে জান্নাতে যেতে পারবেন। আর একজন ধার্মিক সন্তান কখনো পিতামাতাকে অসম্মান করে না। একজন গুণী সন্তান সর্বদা তার পিতামাতাকে তার সমস্ত হৃদয় দিয়ে ভালবাসবে।
🛑 সন্তান দেওয়ার একমাত্র মালিক মহান আল্লাহ তা’য়ালা। ইসলামিক নিয়মে বাচ্চা নেওয়ার নিয়ম, আল্লাহ চাইলে কি না করতে পারে। তাই বাচ্চা নেওয়ার জন্য স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের আগে অবশ্যই দোয়া পড়ে নিতে হবে।বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের নিয়ম আপনি যদি সহবাসের দোয়া পাঠ করেন তবে শয়তান আপনার ক্ষতি করতে পারবে না এবং সেই সহবাসে শয়তান আপনার সামনে আসতে পারবে না। মহান – আল্লাহ তায়ালা, আপনার মনের আশা পূরন করে দিবেন ইনশআল্লাহ।
🩸 স্বামী,স্ত্রী মিলনের আগে যে দোয়া পড়তে হয়:
” বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শায়ত্বানা ওয়া জান্নিবিশ শায়ত্বানা মা রাযাক্বতানা।
🩸 অর্থ : হে আল্লাহ! তোমার নামে (যৌন মিলন বা সহবাস) আরম্ভ করছি, তুমি আমাদের (স্বামী-স্ত্রী উভয়ের) কাছ থেকে শয়তানকে দূরে রাখ। আমাদের এ মিলনের ফলে যে সন্তান দান করবেন, সে সন্তানকেও শয়তান (যাবতীয় আক্রমণ) থেকে দূরে রাখ।
💋 অনেকেই মুখে পান চিবাতে চিবাতে সহবাসে লিপ্ত হয়ে থাকে। বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের নিয়ম, সহবাসের সময় মুখে খাবার নিয়ে সহবাস করবেন না। কারণ মুখে খাবার নিয়ে সহবাস করলে আপনার এবং আপনার স্ত্রীর বিভিন্ন রোগ হতে পারে। তাছাড়া ইসলামে মুখে খাবার নিয়ে সহবাস করা নাজায়েজ।
💋 সহবাসের সময় আপনারা সমস্ত জামাকাপড় খুলে ফেলবেন না,তবে কিছু আপনার শরীরের উপর রাখুন। আর সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি চাদর দিয়ে পুরো শরীর ঢেকে রাখতে পারেন। এর দ্বারা শয়তান আপনার সাথে সহবাস সামিল হতে পারবে না। বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের নিয়ম, আপনি যদি কোন পোশাক না পরেন তাহলে শয়তান সেই সহবাসে লিপ্ত হতে পারে। আমরা সবাই চাইলে ইসলামিক মিলনের নিয়ম মেনে চলতে পারি, কারণ ইসলামিক নিয়মে মিলন খুবই সহজ।
💋 গর্ভধারণের জন্য সেরা সেক্স পজিশন, গর্ভধারণের চেষ্টা করার সময় স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মাঝে আকর্ষণীয় করে তুলতে বিভিন্ন সেক্স পজিশনের চেষ্টা করতে পারেন। সফল গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়াতে এখানে ৬টি সেরা সেক্স পজিশনের আলোচনা করা হলো।
🩸 রিভার্স কাউগার্ল, এটি মহিলাদের জন্য সবচেয়ে ওয়াইল্ড সেক্স পজিশনগুলির মধ্যে একটি,যা মহিলাকে সমস্ত ক্ষমতা দেয়। মহিলাটি তার সঙ্গীর মাথা থেকে দূরে মুখ করে আছে। তিনি জরায়ুর গতি এবং অনুপ্রবেশের গভীরতা নিয়ন্ত্রণ করেন। এইভাবে তিনি নিশ্চিত করতে পারেন যে গভীর অনুপ্রবেশ ঘটছে এবং বীর্য সহজেই যোনিতে চলে যায়।
আরো পড়ুনঃ কি হোমিওপ্যাথি খেলে এক ঘন্টা সহবাস করতে পারবেন এবং যৌন সুখ উপভোগ করতে পারবেন ?
🩸 মিশনারি,
মিশনারি হলো পুরানো এবং নির্ভরযোগ্য পজিশন। এক্ষেত্রে পুরুষ উপরে থাকে এবং মহিলা তার পিছনে ভর দিয়ে শুয়ে থাকে ফলে পুরুষাঙ্গ গভীর অনুপ্রবেশে সাহায্য করে। গভীর অনুপ্রবেশের অর্থ হল বীর্য, একবার নির্গত হলে, জরায়ুর কাছাকাছি হবে, গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেবে। বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের নিয়ম, এটি সেরা যৌন অবস্থানগুলির মধ্যে একটি যা মহিলাদের দ্রুত অর্গাজম দিতে প্রমাণিত। আপনার পিঠের নীচের অংশে একটি বালিশ যুক্ত করা আপনাকে গর্ভাবস্থায় একটি অতিরিক্ত সুবিধা দেয়।
🩸 ডগি স্টাইল
ডগি স্টাইল, এটি পুরুষদের পছন্দের সেরা সেক্স পজিশন। মহিলাটি তার হাত ও পায়ে ভর করে নিচু হয় এবং পুরুষ তার লিঙ্গ যোনীতে ঢুকিয়ে দেন। এটির জন্য খুব বেশি পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় না এবং একবার সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই এটিকে উপভোগ করে।বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের নিয়ম, এই সেক্স পজিশনে,একজন মহিলার জরায়ুমুখ আরও খুলে যায় এবং শুক্রাণু সহজেই ডিম্বাণুতে পৌঁছাতে এবং নিষিক্ত করতে পারে।
🩸 মুখোমুখি
উভয় অংশীদার একে অপরের মুখোমুখি, তাদের পা আঁকড়ে ধরে এবং সঠিক অনুপ্রবেশ নিশ্চিত করে। এই অবস্থানটি মহিলাকে তীব্র ক্লিটোরাল উদ্দীপনা দেয়,যা তাকে শুক্রাণু গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করে। যেহেতু এই অবস্থানটি গভীর অনুপ্রবেশে সহায়তা করে, গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
🩸 হুইলব্যারো
এই যৌন অবস্থান অবশ্যই আপনার যৌন জীবনকে রোমাঞ্চকর করে তুলবে। পুরুষটি দাঁড়িয়ে থাকবে ,এবং মহিলাটি প্রথমে তার হাত এবং পায়ের উপর ভর দিয়ে থাকবে। পুরুষটি তখন তার সঙ্গীর পা পিছন থেকে ধরে এবং নিজের লিঙ্গ যোনিতে ঢোকানোর জন্য অবস্থান করে। এটি গভীর অনুপ্রবেশের ফলে গর্ভবতী হওয়া সহজ করে তোলে।
🩸 কাঁধে পা
এই অবস্থানে, মহিলা তার সঙ্গীর কাঁধে উভয় পা রেখে শুয়ে থাকে। পুরুষ দুই পায়ের মাঝখানে থাকে এবং সামনে থেকে চাপ দেয়। আপনি যখন গর্ভধারণের চেষ্টা করছেন তখন মাধ্যাকর্ষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। যেহেতু এই যৌন অবস্থানে মহিলার জরায়ুর ক্ষেত্রটি সামান্য উঁচু হয়, তাই এটি মাধ্যাকর্ষণকে জরায়ুর দিকে শুক্রাণুর প্রবাহকে নির্দেশ করে, যার ফলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
💋 বাচ্চা নেওয়ার জন্য কি খাবার খাওয়া উচিত, অনেক সময় নারীর শরীরে ভিটামিন, আয়রন, ফলিক এসিড, ওমেগা-3 ইত্যাদি উপাদান পরিমান মত না থাকায় তারা সন্তান ধারনের স্বাভাবিক ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তাই নারীদের গর্ভধারনের জন্য শারিরীক ক্ষমতা বাড়াতে হবে। গর্ভধারন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কিছু খাবার নিয়ে আলোচনা করা হলো।
🩸 ডিম
বিশেষ করে ডিমের কুসুম আপনাকে উর্বর করে তুলতে পারে। ডিম বি ভিটামিনের একটি ভালো উৎস, যা উর্বরতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ওমেগা 3 ফ্যাট ফার্টিলিটির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনি ওমেগা 3 সমৃদ্ধ ডিম খেয়ে আপনার জন্মদানের ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারেন।
🩸 উদ্ভিজ্জ প্রোটিন
প্রোটিন সমৃদ্ধ ফল ও শাকসবজি উর্বরতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গাঢ় শাক-সবজিতে রয়েছে আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, বি-12, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন-ই। রঙিন সবজিতে রয়েছে ভিটামিন-সি এবং বি-6। এগুলি সালাদ হিসাবে খাওয়া যেতে পারে বা পুরুষ এবং মহিলাদের উর্বরতা বাড়াতে রান্না করা যেতে পারে। এ ছাড়া ডাল ও বীজ গর্ভধারন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকরী।
🩸 নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় প্রাণিজ প্রোটিন
প্রজনন ক্ষমতা উন্নত করতে প্রাণিজ প্রোটিন হ্রাস করা উচিত কিন্তু সম্পূর্ণরূপে বাদ দেওয়া উচিত নয়। কারণ শরীরে হরমোন ও অ্যান্টিবায়োটিক তৈরিতে এর ভূমিকা রয়েছে। লাল মাংস থেকে প্রোটিন, আয়রন,বি-12 এবং ওমেগা-3 বা স্তন্যপায়ী প্রাণীর মাংস শরীরের চাহিদা মেটাতে পারে। খাদ্যতালিকায় নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে মুরগি, ডিম ও মাছ রাখলে এই চাহিদা মেটানো সম্ভব।
🩸 ভিটামিন-ডি যুক্ত খাবার
ভিটামিন ডি-এর অভাবে অনেকেই সন্তান ধারণ করতে পারছেন না। ইয়েল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বন্ধ্যা মহিলাদের উপর একটি সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন যে তাদের মধ্যে মাত্র 7% নারীর শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি রয়েছে। বাকি সবাই কমবেশি ভিটামিন-ডি-এর অভাবে ভুগছেন। তাই প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন। কিছু মাছ, মাংস এবং ডিমে এই ভিটামিন পাওয়া যায়। একটু মাছ-ভাত-ডিম খেয়ে শরীরে রোদ লাগালে এই ভিটামিন তৈরি হয় শরীরে। এ জন্য খাবার ছাড়াও সপ্তাহে অন্তত দুই দিন আধা ঘণ্টা রোদে হাঁটা যথেষ্ট।
💋 যৌন মিলনের আগে ও সময় সঠিক মানসিকতা থাকাটাও জরুরি। আপনি সেই সময়ে গর্ভধারণ করবেন কিনা তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া কেবল প্রক্রিয়াটিকে বাধা দেবে। পরিবর্তে,আপনার শিথিল হওয়া উচিত এবং সহবাসের প্রক্রিয়াটি উপভোগ করা উচিত। বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের নিয়ম, আপনি একটি রোমান্টিক মুভি দেখতে পারেন, রাতের মেজাজ সেট করতে আপনার সঙ্গীর সাথে ডিনারে যেতে পারেন। আপনার সঙ্গীর সাথে গভীর এবং রোমান্টিক সংযোগ থাকা আপনার যৌন জীবনকে আরও ভাল করে তোলে।
💋 হস্তমৈথুন – পুরুষের ও মহিলাদের সন্তান ধারণে অক্ষমতা।
💋 অতিরিক্ত হস্তমৈথুন কাকে বলে?
হস্তমৈথুন বা স্বমেহন হল একধরনের কামোদ্দেপক প্রক্রিয়া। সুখদায়ক এই কাজটিতে অনেক সময় আসক্ত হয়ে পড়ে লোকজন। এর পিছনে অন্যতম একটা কারণ হল, হস্তমৈথুনের সময় মস্তিস্কে ডোপামাইন ও এন্ডোরফিনের মতো – ফিল গুড কেমিক্যালস, নিঃসৃত হয় যা মন ভাল করে দেয়, অবসাদ-দুশ্চিন্তার মতো মানসিক সমস্যাগুলো অনেকাংশে দূর করে। এই – ফিল গুড কেমিক্যালস, গুলো ব্রেনকে বারবার উদ্দীপনামূলক কাজটি করার জন্য উস্কাতে থাকে। যার ফলে হস্তমৈথুনে আসক্তি তৈরি হতে পারে। দিনের অধিকাংশ সময় হস্তমৈথুন ও এই সংক্রান্ত ভাবনায় কেউ নিয়োজিত থাকলে সেটা অতিরিক্ত হয়ে যাচ্ছে বলা চলে। অনেকসময় এই অভ্যাস এতটাই গ্রাস করে ফেলে যে কোনও ভাবনাচিন্তা ছাড়াই হস্তমৈথুন করতে থাকে আসক্ত মানুষটি। এর ফলে সমাজে, কর্মক্ষেত্রে তাকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। সুস্থ সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায় বা গড়েই ওঠে না। এমনকী পরোক্ষে সন্তানহীনতার মতো সমস্যাও আসতে পারে।
💋 অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে এই সমস্যাগুলি হতে পারে:
- 🩸 ব্রেনে অতি উদ্দীপনা।
- 🩸 এন্ডোরফিন ও ডোপামাইনের উপর অতিনির্ভরতা।
- 🩸 যৌনাঙ্গে নমনীয়তা ও ফোলা ভাব (শোথ)।
- 🩸 যৌনাঙ্গে সংবেদনশীলতা কমে যাওয়া।
- 🩸 অপরাধবোধ ও লজ্জা।
- 🩸 আত্মবিশ্বাসের অভাব।
- 🩸 ধৈর্য ও মনোনিবেশ কমে যাওয়া।
- 🩸 পর্ন ছবি দেখায় আসক্তি।
- 🩸 অসামাজিক ব্যবহার।
- 🩸 সমাজে মিশতে না পারা, সুস্থ সম্পর্ক নষ্ট করে ফেলা।
💋 অতিরিক্ত হস্তমৈথুন ও সন্তানহীনতা:
সন্তানহীনতার সঙ্গে অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই। তবে হস্তমৈথুনের সঙ্গে জড়িত কয়েকটি শারীরবৃত্তিয় ও মানসিক অবস্থা সন্তানহীনতার সমস্যার দিকে ঠেলে দিতে পারে।
💋 পুরুষদের বাবা হতে না পারার পিছনে হস্তমৈথুনের কোনও প্রভাব এখনও পর্যন্ত গবেষণায় পাওয়া যায়নি। বরং স্বাভাবিক যৌনক্রিয়ার মতো হস্তমৈথুনেও পুরনো শুক্রাণু বেরিয়ে যাওয়ার ফলে নতুন সুস্থ শুক্রাণু উৎপাদন বাড়ে। যার ফলে পুরুষদের শুক্রাণুর মান ও সংখ্যা বাড়ে বলে সাম্প্রতিক কিছু সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে। হস্তমৈথুনের জেরে শুক্রাণুর ঘনত্ব ও গতিশীলতা বাড়ার স্বপক্ষে প্রমাণও দেখিয়েছে গবেষণাগুলি। এখন প্রশ্ন হল, তাহলে হস্তমৈথুন কখন ও কী ভাবে সমস্যার সৃষ্টি করে?
💋 সাধারণ ভাবে বলা যায়, একজন পুরুষ মানুষ 2/3 দিন বীর্যক্ষরণ না করলে পর তার বীর্যে সবচেয়ে ভাল মানের শুক্রাণু পাওয়া যায়। তাই সন্তানের জন্ম যখন লক্ষ্য, তখন সঙ্গমের দু’তিন দিন আগে হস্তমৈথুন বন্ধ রাখলেই ভাল। এমনকী সহায়ক গর্ভাধান পদ্ধতিতেও ল্যাবরেটরিতে বীর্য (সিমেন) জমা দেওয়ার দু’তিন দিন আগে যৌনসংসর্গ বা হস্তমৈথুন না করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
💋 এবার আসি অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ক্ষতিকারক দিক প্রসঙ্গে। অতিরিক্ত অর্থাৎ দিনে একাধিকবার স্বমেহন করলে তার খারাপ প্রভাব পড়ে সন্তানসৃষ্টির প্রক্রিয়ায়। বিশেষ করে দিনে একাধিকবার হস্তমৈথুন যদি সপ্তাহভর চলতে থাকে বা টানা চার দিনও চলে। সাধারণ ভাবে একজন পুরুষের দেহ প্রতি সেকেন্ডে দেড় হাজারের মতো শুক্রাণু তৈরি করে এবং প্রতি বার বীর্যক্ষরণে মোটামুটি 300 মিলিয়ন শুক্রাণু বেরিয়ে যায়। অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করলে শুক্রাণু উৎপাদনের চেয়ে শরীর থেকে বেশি পরিমাণে শুক্রাণু বেরিয়ে যায়।
💋 এছাড়া যারা হস্তমৈথুনের জন্য- সেক্স-টয়, ব্যবহার করে তাদের ক্ষেত্রে এর আর একটা খারাপ প্রভাব রয়েছে। কম দামী সেক্স-টয়- গুলি নিম্ন মানের উপাদান দিয়ে তৈরি হয়। এক্ষেত্রে ক্ষতিকর রাসায়নিকের সংস্পর্শে শুক্রাণুর উৎপাদন কমে যায় ও তা নিম্নমানের হয়। সেক্স-টয়ে- এমন কিছু রাসায়নিকও থাকে যা থেকে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়, ক্যানসারের সম্ভাবনা থাকে।
💋 এছাড়া অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের সঙ্গে জড়িত মানসিক সমস্যাগুলি সরাসরি লিঙ্গ উত্থাপন, সঙ্গমের ক্ষমতা ও বীর্যপাতে প্রভাব ফেলে। হস্তমৈথুনে আসক্ত ব্যক্তির দাম্পত্য জীবনে সমস্যা তৈরি হতে পারে, যার প্রভাব পড়ে সন্তানধারণে।
💋 হস্তমৈথুনের সঙ্গে মহিলাদের সন্তানধারণে অক্ষমতার কোনও সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। কারণ মেয়েদের সন্তানধারণের প্রক্রিয়ার সঙ্গে ছেলেদের মতো যৌন উদ্দীপনা হল কী হল না, তার কোনও সম্পর্ক থাকে না বা অর্গাজ্যমের সঙ্গে ডিম ফোটার কোনও সম্পর্ক নেই। রজস্বলা হওয়ার পর থেকে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সময়ে মহিলাদের শরীরে একটি করে ডিম ফোটে যেটি ফ্যালোপিয়ান টিউবে এসে উপস্থিত হয়। এর 12/24 ঘণ্টার মধ্যে কোনও শুক্রাণু যদি সেই ডিমটিকে নিষিক্ত করতে পারে তাহলেই ভ্রূণের সৃষ্টি হয়। আর ডিমটি নিষিক্ত না হলে প্রকৃতির নিয়মে শরীর থেকে বেরিয়ে যায় ঋতুস্রাবের সময়। তাই মহিলাদের হস্তমৈথুনের সঙ্গে সন্তানধারণের ক্ষমতার প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ কোনও সম্পর্কই পাওয়া যায়নি। বরং হস্তমৈথুন করলে মানসিক অবসাদ, দুশ্চিন্তা কমে, যা আদপে সন্তানধারণের পথে সাহায্য করে।
💋 অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের অভ্যাস থেকে মুক্তির উপায়
সরাসরি সন্তানহীনতার সঙ্গে সম্পর্ক না থাকলেও অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের অভ্যাস জীবনে কিছু সমস্যা, জটিলতা ডেকে আনে। তাই হস্তমৈথুন যাতে আসক্তিতে পরিণত না-হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আসক্তি হয়ে গেলে তা থেকে মুক্তির উপায় হিসাবে নীচের পথগুলি অনুসরণ করা যেতে পারে:
🩸 পর্নোগ্রাফি দেখার অভ্যাস এড়িয়ে চলতে হবে।
হস্তমৈথুনের বদলে অন্য কোনও কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হবে বা ‘হবি’ খুঁজে বার করতে হবে।
‘ফিল গুড কেমিক্যালস’ নিঃসরণ ও স্ট্রেস কমানোর জন্য শরীরচর্চা করা যায়।
বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে মেলামেশা বাড়াতে হবে।
কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপির সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
সাপোর্ট গ্রুপ বা কাউন্সিলিংয়ের সাহায্য নিয়েও উপকার মেলে।
সঙ্গীর সঙ্গে যৌনসংসর্গের সময় আগে থেকে নির্ধারিত করে হস্তমৈথুনের অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন
Dr. Masud Hossain.
(বি, এইচ, এম, এস )
(ডি, এইচ, এম, এস) ( ঢাকা )।
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
📞 মোবাইল : +8801907-583252
+8801302-743871
🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801302-743871
( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 সকাল 09:00 — 01:00 টা।
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।
☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।
☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।