হস্তমৈথুনের

হস্তমৈথুনের ফলে টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ কমে যেতে পারে।

হস্তমৈথুনের ফলে টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ কমে যেতে পারে প্রথমে আমাদের জানতে হবে যে টেস্টোস্টেরন আসলে কী? এর প্রয়োজনীয়তাই বা কী? টেস্টোস্টেরন পুরুষের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি হরমোন। সহজ ভাষায় এটা হলো ওই হরমোন যা পুরুষকে পুরুষ বানায়।

মানবদেহে টেস্টোস্টেরনের ভূমিকাগুলো কী কী? দেখা যাকঃ

১) এনার্জি
২) স্মৃতিশক্তি
৩) মনোযোগ
৪) আত্নমর্যাদাবোধ
৫) আত্ননিয়ন্ত্রণ
৬) সুগঠিত পেশি
৭) দৈহিক শক্তি
৮) কাজ করার সক্ষমতা
৯) গলার স্বরের গম্ভীরতা
১০) মানসিক প্রশান্তি
১১) পুরুষালি আচরণ
১২) প্রভাবশালী আচরণ
১৩) লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন
১৪) হাড়ের স্বাভাবিক গঠন
১৫) যৌনক্রিয়ার জন্য পর্যাপ্ত আমিষ সরবরাহ করা
১৬) দীর্ঘস্থায়ী যৌনক্রিয়াতে সক্ষম করা
১৭) স্বাস্থ্যকর মেটাবলিযম উৎপাদন
১৮) লিভারের কার্যাবলি
১৯) সুগঠিত প্রোস্টেট গ্রন্থি গঠন।

homeo treatment

শরীরে যদি টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ কমে যায়, তাহলে কী হতে পারে?

১) ক্লান্তিভাব
২) বিষণ্ণতা
৩) দুর্বল স্মৃতিশক্তি
৪) মনোযোগ কমে যাওয়া
৫) অতিরিক্ত অস্থিরতা
৬) কম শারীরিক সক্ষমতা
৭) আত্ননিয়ন্ত্রণ কমে যাওয়া
৮) পুরুষালি আচরণ কমে যাওয়া
৯) আচরণে মিনমিনে ভাব আসা
১০) স্বাভাবিক যৌনক্রিয়াতে আগ্রহ না থাকা
১১) দ্রুত বীর্যপাত
১২) দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া
১৩) মেরুদণ্ডে ব্যথা
১৪) পেশি সুগঠিত না হওয়া
১৫) শরীরে চর্বি জমে যাওয়া
১৬) হাড় ক্ষয়ে যাওয়া
১৭) চুল পড়ে যাওয়া।

homeo treatment

৪ জোড়া দম্পতীর উপর পরীক্ষা করে দেখা গেছে, স্বাভাবিক যৌনক্রিয়ায় টেস্টোস্টেরন কমে না বরং বাড়ে।

মাস্টারবেশনের অভ্যাস/নেশা ও কুফল দূর করার জন্য হোমিওপ্যাথিতে কার্যকরী মেডিসিন রয়েছে

যেমনঃ

  • 🧪 স্ট্যাফিসেগ্রিয়া,
  • 🧪বিউফো,
  • 🧪লাইকো,
  • 🧪কোনিয়াম,
  • 🧪আর্জেন্ট মেট- ইত্যাদি।

হস্তমৈথুনের কুফলের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা:

ILL EFFECTS OF MASTURBATION বা হস্তমৈথুনের কুফল:

হস্তমৈথুন একটি কু-অভ্যাস এর কারনে ছেলেমেয়েরা জীবনের শুরুতেই যে ক্ষতি করে তাহা বলে শেষ করা যাবে না।এই সর্বনাশা অভ্যাসের ফলে শরীরের যে ক্ষতি হয় তার ফলে শারীরিক ও মানসিক উভয় শক্তিই হারায়।দেহ জীর্ণশীর্ণ হয়। যৌবনের লাবন্য হারানোর ফলে ক্ষুধামন্দা,বিষন্নতা,উদাসীনতা প্রভৃতি উপসর্গ দেথা দেয়।যদি কোন কিশোর কিশোরীকে এই কুফলের কথা আমরা বুঝাতে পরি তবে অনেক সহজেই হস্তমৈথুনের মত কু-অভ্যাস হতে রক্ষা করতে পারব।

আরো পড়ুনঃ   যে কথা গুলো যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে। ডাঃ মাসুদ হোসেন

কারণসমুহ:উপযুক্ত শিক্ষার অভাব,অসৎসঙ্গ, বা বন্ধুদের কুপ্ররোচনা,লিঙ্গের চর্মে চুলকানী ইত্যাদি কারনে হস্তমৈথুনে অভ্যস্ত হয়।শিশুকালে প্রথমে নিজের অজান্তেই যৌনাঙ্গে হাত দিতে দিতে মনের মাঝে আনন্দ উপলদ্ধি করে।এক ধরনের সুখানুভুতি থেকে শুরু করে। একদিন কিশোর-কিশোরীগন ক্ষণিক সুখ লাভের প্রত্যাশায় ইহাতে অভ্যস্হ হয় এবং ক্রমে ক্রমে ইহা কু-অভ্যাসে পরিণত হইয়া তাহাদের স্বাস্থ্য ক্ষয় করিয়া থাকে ।

হস্তমৈথুন পুরুষের একটি কু-অভ্যাস।এটি একটি জঘন্য অভ্যাস।এ অভ্যাসটি ত্যাগ করা জরুরী।এর কুফলে নপুংশক হয়ে যাবেন ।পুষ্টিকর আহার ও সুচিকিৎসা নিলে এ রোগ মুক্তিতে হতাশার কোন করন নেই।সহজেই আরোগ্য হয়।মনে রাখতে হবে যেখানে সেখানে অপচিকিৎসা দ্বারা যাতে ক্ষতিগ্রস্হ না হন।রাস্তার পাশে চটকদার কোন পোষ্টার দেখে ভন্ড প্রতারকদের হাতে পরে হাজার হাজার রোগী ক্ষতিগ্রস্হ হয়।ভুলেও এ দের হাতে রোগ চিকিৎসার জন্য যাবেন না।যারা ভুলে হস্তমৈথুনের অভ্যাস করেছেন আজই ইহা ত্যাগ করুন।আর যারা ক্ষতিগ্রস্হ হয়েছেন শীঘ্র হস্তমৈথুন ত্যাগ করার পাশাপাশি একজন দক্ষ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিন।

বি:দ্র:নিজে নিজে ঔষধ সেবন করবেন না অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক ডা: এর পরামর্শ ছাড়া।

সতর্কতাঃ ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত ওষুধ সেবন করবেন না।
আপনার যদি কোন রকম যৌন বা গুপ্ত সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আমাদের সাথে নির্দ্বিধায় যোগাযোগ করতে পারেন।

☎️এ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য কল করুন: 01907-583252 , 01302-743871

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!