যৌনতা ও যৌন রোগ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

যৌনতা ও যৌন রোগ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

🇨🇭 যৌন রোগ STD তে হতে পারে বন্ধ্যাত্ব ও শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের মারাত্মক ক্ষতি।

🇨🇭 STD তে আক্রান্ত যৌন সঙ্গীর মাধ্যমে ছড়ায় যৌন রোগ।
যৌন রোগ নিয়ে কথা বলতে চান না বেশিরভাগ নারী ও পুরুষ। কিন্তু যৌন মিলন যদি নিরাপদ না হয় তা বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।

🇨🇭 যৌন রোগের কিছু লক্ষণ হয়ত অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতা। তবে এমন যৌন রোগ আছে যা আপনার বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে, শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।

🇨🇭 যেসব যৌন রোগ সবচেয়ে বেশি হয়:

🩸 যৌন সঙ্গী যদি STD তে আক্রান্ত থাকেন তাহলে তার যৌনাঙ্গের তরল পদার্থ এবং মুখের লালায় উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস আপনার শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

🩸 বাংলাদেশে এক সময় সবচেয়ে বেশি পাওয়া যেত গনোরিয়া এবং সিফিলিস। তবে ইদানীং ভাইরাসজনিত যৌন রোগই সবচেয়ে বেশি পাওয়া যাচ্ছে। ইদানীং আমরা হারপিস অনেক পাচ্ছি। এটা একবার শরীরে প্রবেশ করলে পুরোপুরি দূর করা যায় না। শরীরে ঘাপটি মেরে বসে থাকে। কিন্তু সঙ্গীর শরীরে প্রবেশ করে। অনেক সময় দেখা যায় দীর্ঘদিন পরে এর লক্ষণ প্রকাশ পায়।

🩸 মূলত সাতটি যৌন রোগ সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। গনোরিয়া, সিফিলিস, জেনিটাল হারপিস ছাড়াও ক্লামাইডিয়া, যৌনাঙ্গে আঁচিল, ট্রাইকোমোনিয়াসিস, হেপাটাইটিস- বি, এর মধ্যে অন্যতম।

যৌনতা ও যৌন রোগ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

🇨🇭 যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সেবা সংস্থা এনএইচএস বলছে, গর্ভাবস্থায় কোন নারীর সিফিলিস থাকলে রোগটি সন্তানের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত নিলেও এটি হতে পারে।

🇨🇭 ট্রাইকোমোনিয়াসিস হলে প্রায়ই পুরুষদের ক্ষেত্রে কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় না। কিন্তু আক্রান্ত ব্যক্তি সঙ্গীর শরীরে তা ছড়ায়।

🇨🇭 অনেকের মধ্যে ধারণা রয়েছে যৌনরোগ একই কাপ, গ্লাস, প্লেট, চামচ, রেজর ব্যাবহার করলেও ছড়াতে পারে। এমনকি ‘টয়লেট সিট’ থেকেও হতে পারে এমন আতঙ্ক বোধ করেন অনেকে। যা সঠিক নয়।

🇨🇭 ওরাল সেক্সের মাধ্যমেও যৌন রোগ ছড়াতে পারে। সমকামী নারী পুরুষের যৌন রোগ হতে পারে।

🇨🇭 মাত্র দুই ধরনের যৌনরোগ, হিউম্যান প্যাপালোভা ভাইরাস ও হেপাটাইটিসের কার্যকর ভ্যাক্সিন রয়েছে।

🇨🇭 STD যেসব লক্ষণ দেখে বুঝবেন:

🩸 প্রস্রাবে জ্বালা পোড়া, তলপেটে ব্যথা হলে কেউ খুব একটা গুরুত্ব দেয় না। মনে করে হয়ত ইউটিআই ( ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন ) হয়েছে। পানি বেশি খেলে ঠিক হয়ে যাবে। বিশেষ করে নারীরা অনেকে মনে করে এটি হয়ত মাসিকের সাথে সম্পর্কিত। কিন্তু এগুলোও যৌন রোগের লক্ষণ।

🩸 যৌন রোগ নিয়ে কথা বলতে চান না বেশিরভাগ মানুষ।
যৌনাঙ্গ থেকে রক্ত বের হওয়া, কোন ধরনের অস্বাভাবিক ক্ষরণ, যৌনাঙ্গ এবং তার আশপাশে গোটা, ফুসকুঁড়ি, র‍্যাশ, আঁচিল, চুলকানি, ঘা, জ্বালাপোড়া অনুভূতি, দুর্গন্ধ, যৌন মিলনের সময় ব্যথা ও রক্তক্ষরণ এগুলোই মুল লক্ষণ। অনেক সময় ঠোঁট ও তার আশপাশ, হাতের তালুতেও ফুসকুঁড়ি থাকতে পারে।

🩸 এসব লক্ষণের সাথে জ্বর থাকতে পারে। সবধরনের যৌন রোগের একই লক্ষণ থাকে না। তবে মোটা দাগে এসব লক্ষণ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

যৌনতা ও যৌন রোগ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

🩸 অনেকেই ভাবেন হেপাটাইটিস- বি, একটা লিভারের অসুখ। এটি যে যৌনরোগও বটে তার ধারনাই নেই বেশিরভাগ মানুষের। এটি একধরনের ভাইরাসজনিত যৌনরোগ। এটা হলে যৌনাঙ্গে কিছু প্রকাশ পায় না। এর লক্ষণগুলো অন্য যৌনরোগের চেয়ে আলাদা। যেমন: বমি ভাব ও পেট খারাপ হবে, খাবার রুচি চলে যাবে, ক্লান্ত লাগবে, পেশাব ও ত্বকের রঙে পরিবর্তন হবে।

🩸 কিছু যৌন রোগের লক্ষণ দীর্ঘদিন পরে প্রকাশ পায়।
যেসব ঝুঁকি বাড়ে
যৌন রোগ শুধু অস্বস্তিকর বিষয় তা নয়। এটি আরো অনেক ধরনের অসুখের কারণ হতে পারে।

🩸 এনএইচএস বলছে, যৌনাঙ্গে আঁচিলের উপস্থিতি নারীদের সার্ভিকাল ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে।

🩸ক্লামাইডিয়া ও গনোরিয়া থেকে বন্ধ্যাত্ব হতে পারে।

🩸 সিফিলিস মারাত্মক গুরুতর পর্যায়ে গেলে একজন ব্যক্তি পক্ষাঘাতগ্রস্ত হতে পারেন। যকৃতের কার্যক্ষমতা, দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হতে পারে। এমনকি মস্তিষ্কেও ছড়িয়ে পড়তে পারে যাতে মানসিক বিকার তৈরি হতে পারে।

🇨🇭 যেভাবে সাবধান হবেন?

এনএইচএস বলছে, একের অধিক সঙ্গীর সাথে যৌন সংসর্গে অভ্যস্ত নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে এর ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
নিয়মিত নিজের এবং সঙ্গীর পরীক্ষা করিয়ে নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
সাবধান হওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে প্রতিবার কনডম ব্যবহার করা। একাধিক যৌন সঙ্গী নয় নির্দিষ্ট একজনের সাথে যৌনমিলনে আবদ্ধ হওয়া।
কিছুদিন পরপর নিজের এবং সঙ্গীর পরীক্ষা করিয়ে নেয়া।
কোন লক্ষণ থাকলে সঙ্গীর কাছ থেকে বিষয়টি না লুকিয়ে তা প্রকাশ করা।

🇨🇭 কোন লক্ষণ প্রকাশ পেলে শুধু নিজে গেলাম ডাক্তারের কাছে কিন্তু সঙ্গীকে না জানালে নিজের সেরে গেল কিন্তু সঙ্গী আক্রান্ত থেকে গেল। অতএব দুজনেই একসাথে চিকিৎসকের কাছে আসবেন। লক্ষণ শুনে, চোখে দেখে এবং রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হবার পর চিকিৎসা করা।

যৌনতা ও যৌন রোগ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
🇨🇭 যৌনরোগ – সংক্রমণ ও উপসর্গ:

🩸 অসংযমী যৌন জীবনে অভ্যস্ত হলে সাবধান৷ একাধিক পার্টনারের সঙ্গে সঙ্গম করলে এক শরীর থেকে অন্যের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে যৌনরোগ- সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ (এসটিডি)৷ তবে যৌন রোগে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির রক্ত যদি যৌনমিলন ব্যতীত অন্য কোনো উপায়ে অন্যের দেহে সংক্রামিত হয়, তবে তাকে যৌনরোগ বলা যায় না৷ সেই কারণে এইডস বা হেপাটাইটিস বি যৌনরোগ নয়৷ যত্রতত্র গুপ্তরোগ সারিয়ে তোলার বিজ্ঞাপন দেখে যে কোনো চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে শুধুমাত্র ভেন্যারিয়্যাল ডিজিজ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছেই চিকিৎসা করান৷

🩸 সিফিলিস : ব্যাক্টেরিয়াল যৌনরোগের মধ্যে সর্বাগ্রে রয়েছে সিফিলিস৷ এটি Spirochete এবং Treponema Pallidum ব্যাক্টেরিয়ার কারণে হয়৷ সঙ্গমের সময় এই জীবাণু পার্টনারের যৌনাঙ্গের মধ্য দিয়ে অন্যের শরীরে প্রবেশ করে৷ সাধারণত যৌনমিলনের 10 দিনের মধ্যে হয় প্রাইমারি সিফিলিস৷ এর 06 সপ্তাহ থেকে 06 মাসের মধ্যে হয় সেকেন্ডারি সিফিলিস৷ এটি যদি চিকিৎসা করা না হয় তাহলে রোগটি শরীরের হাড় ও অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে৷ এছাড়া লেট সিফিলিস পর্যায়ে গেলে রোগীর নার্ভ, চোখ, মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷

🛑 উপসর্গ ( Symptoms ): যৌনাঙ্গে ফুসকুড়ি, ঘা, ব্যথাহীন ফুসকুড়ি এবং রক্ত পড়া, জিভে, ঠোঁটে, মুখে ঘা, জ্বর, মাথা-গা-হাত-পা ব্যথা, গা ম্যাজম্যাজ৷

🩸 গনোরিয়া : মূত্রনালি বা ইউরেথ্রাতে প্রদাহ তৈরি করে৷ ব্যাক্টেরিয়াঘটিত অসুখ৷ জীবাণুর নাম নাইসেরিয়া গনোরি৷ গনোরিয়া দীর্ঘদিন চিকিৎসা না করালে গনোকক্কাল আর্থ্রাইটিস হতে পারে৷ এছাড়াও হৃদযন্ত্র ও কিডনির উপর প্রভাব ফেলে৷

🛑 উপসর্গ ( Symptoms ): প্রস্রাবদ্বার দিয়ে পুঁজের মতো রস গড়ায়, প্রস্রাবের সময় জ্বালা-যন্ত্রণা, লিঙ্গ উত্থিত হলেই যন্ত্রণা৷

🩸 Chancroid : ব্যাক্টেরিয়াবাহিত যৌনরোগ৷ মূলত পুরুষদের হয়ে থাকে৷ যৌনাঙ্গের উপরের ত্বকে 3-4 টে যন্ত্রণাদায়ক ঘা হয়৷ সময়মতো চিকিৎসা না করালে রোগটি ক্রমশ যৌনাঙ্গ থেকে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে৷

🛑 উপসর্গ ( Symptoms ): যৌনাঙ্গ ছাড়া কুঁচকি ও দেহের অন্যান্য গ্ল্যান্ড ফোলে৷ গ্ল্যান্ডের উপরের ত্বক লালচে হয়৷

🩸 লিম্ফো গ্র্যানোলোমা ভেনেরিয়াম : গ্রীষ্মপ্রধান দেশে ও মফস্বল অঞ্চলে খুবই পরিচিত রোগ৷ ক্ল্যামাইডিয়া গ্রূপের ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়ার মধ্যবর্তী একটি গ্রূপ এর জন্য দায়ী৷ এর চিকিৎসা না করালে মলদ্বার ও মলাশয় ক্রমশ নষ্ট হয়ে যায়৷ মেনিনজাইটিস, এনসেফেলাইটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে৷ অনেক ক্ষেত্রে মূত্রনালি, যৌননালি ও মলাশয়ের নালি এক হয়ে যায়৷

🛑 উপসর্গ ( Symptoms ): শরীরে ছোট ছোট ব্যথাহীন ঘা, কুঁচকির গ্ল্যান্ড ফুলে যায়, গ্ল্যান্ডের উপর লালচে দাগ, গাঁটে ব্যথা, গ্ল্যান্ড শক্ত হয়ে কাটা কাটা হয়ে পড়ে৷

🩸 হারপিস জেনিটালিস : বর্তমানে এই ভাইরাল রোগের প্রকোপ খুব বেশি৷ চিকিৎসা করালে এটি সহজে সারার বদলে বারবার হয়ে থাকে৷ স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে এই রোগের শিকার হতে পারেন৷ শরীরের যেসব নার্ভ গ্যাংলিয়া আছে তাতে রোগ বাসা বাঁধে৷ এক্ষেত্রে চিকিৎসা না করালে মূলত রোগটি সারা দেহে ছড়িয়ে পড়ে৷ তবে চিকিৎসা করিয়েও সম্পূর্ণভাবে রোগের থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয় না, কারণ রোগ বারবার ফিরে আসে৷

যৌনতা ও যৌন রোগ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

🛑 উপসর্গ ( Symptoms ): প্রতিমাসে 2-3 বার প্রচণ্ড ব্যথা হয়, সংক্রমণ না হলেও লক্ষণ প্রকাশ পায়৷

🩸 ক্ল্যামাইডিয়া: এটি এমন এক পরজীবী যা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের মধ্যবর্তী একটি গ্রূপ৷ এই ক্ল্যামাইডিয়া নামক পরজীবী মানব শরীরে ইউরেথ্রাইটিস তৈরি করে যা অন্যদের তুলনায় আলাদা৷ তবে এই সংক্রমণ গনোরিয়ার সঙ্গেই শরীরে ঢোকে৷ অন্যান্য যৌনরোগের মতো এটিও ছোঁয়াচে৷ চিকিৎসা না করালে তা দেহের অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে৷

🛑 উপসর্গ ( Symptoms ): প্রস্রাবের সময় জ্বালা, চামড়ার রং পরিবর্তন, প্রস্রাবদ্বার থেকে পরের দিকে পুঁজ বেরোয়৷

আরো পড়ুনঃ  যৌন সঙ্গমের সময় নারীদের ব্যথা লাগার কারণ Dyspareunia !

❤ সহবাসের সুখ বাড়াতে যা ব্যবহার করবেন:

❤ সহবাসে অধিক আরাম পেতে ভ্যাজাইনা ও পেনিসে লুব্রিকেন্ট (লুব) ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সকল লুব্রিকেন্টই একই মানের নয়। বাজারেপ্রাপ্ত বেশ কিছু লুব্রিকেন্টে কড়া কেমিক্যাল থাকে, যা গোপনাঙ্গের সংবেদনশীল ত্বকের জন্য উপযুক্ত নয়। যৌনাঙ্গের ত্বক এতটাই সংবেদনশীল যে, লুব্রিকেন্ট ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া ভালো। যেহেতু বাজারেপ্রাপ্ত কিছু লুব্রিকেন্ট অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতিতে ভোগাতে পারে, তাই অনেক চিকিৎসই প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্ট ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

❤ নিউ ইয়র্ক মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক আলিসা ডোয়েক বলেন, সহবাসের সময় অস্বস্তিকর ঘর্ষণ ও সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে কেমিক্যালবিহীন লুব্রিকেন্ট মানে প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্ট ব্যবহারই বেশি নিরাপদ।

❤ চিকিৎসকেরা জানান- বাজারেপ্রাপ্ত কিছু লুব্রিকেন্টে এমনও কেমিক্যাল থাকে, যা অন্তরঙ্গ স্থানের ক্ষতি করতে পারে। যদি বাণিজ্যিক লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করতে চান, তাহলে লুব্রিকেন্টের প্যাকেটে এসব উপাদান লেখা থাকলে তা এড়িয়ে চলুন- ফ্রাগরানসেস, পারাবিনস, গ্লিসারিন ও প্রপাইলিন গ্লাইকোল। অতিরিক্ত সংবেদনশীল ত্বক, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ও ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি বিবেচনায় এসব উপাদানযুক্ত লুব্রিকেন্ট ব্যবহার না করতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এসবের পরিবর্তে প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করতে পারেন, যা নিরাপদে সহবাসের সুখ বাড়াতে পারে। এখানে পাঁচটি প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্ট সম্পর্কে বলা হলো।

🧪 নারকেল তেল: ডা. ডোয়েক বলেন, ‘নারকেল তেল একটি জনপ্রিয় প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্ট, যেটাকে যৌনাঙ্গের সংবেদনশীল ত্বক সহ্য করতে পারে।’ এর জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ হলো সুঘ্রাণ। এর স্বাদও ভালো, যেকারণে ওরাল সেক্সের জন্যও উপযুক্ত। নিশ্চিত হতে হবে যে, ভার্জিন বা আনরিফাইন্ড নারকেল তেল কিনছেন। রিফাইন্ড নারকেল তেলে অ্যাডিটিভস থাকতে পারে, যা ত্বককে উক্ত্যক্ত করতে পারে। কনডম ব্যবহার করলে অন্যকোনো লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করুন। কারণ নারকেল তেল কনডমের কার্যকারিতা কমাতে পারে।

🧪 অলিভ অয়েল: আরেকটি কার্যকরী প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্ট হলো অলিভ অয়েল। অ্যাডিটিভস এড়াতে ভার্জিন বা এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল কিনতে হবে। অলিভ অয়েল খাওয়া নিরাপদ, তাই এটি ওরাল সেক্সেও ব্যবহার করা যাবে। অলিভ অয়েল ব্যবহারে সচেতন থাকুন, কারণ এটি কাপড়ে দাগ ফেলতে পারে। নারকেল তেলের মতো অলিভ অয়েলকেও কনডমের সঙ্গে ব্যবহার করতে পারবেন না। কারণ এটিও কনডমকে অকার্যকর করতে পারে।

🧪 অ্যালোভেরা জেল: রোদে পোড়া ত্বকের চিকিৎসায় প্রায়ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা হয়। এটি ত্বকে প্রশান্তিদায়ক অনুভূতি দেয়।এটা যৌনাঙ্গে ব্যবহার করলে ভ্যাজাইনা ও পেনিসের মধ্যকার ঘর্ষণের অস্বস্তি এড়ানো যাবে। সুখময় যৌনজীবনের কথা ভেবে বাসার টবে সীমিত পরিসরে অ্যালোভেরার চাষ করতে পারেন। আপাতত ফার্মেসি থেকে পিউর অ্যালোভেরা জেল কিনে ব্যবহার করতে পারেন। তবে প্যাকেটের লেখা ভালোভাবে পড়ুন। সংবেদনশীল ত্বককে উক্ত্যক্তকারী উপাদান , যেমন- অ্যালকোহল থাকলে ব্যবহার করবেন না।

🧪 অ্যাভোকাডো অয়েল: নারকেল তেল ও অলিভ অয়েলের মতো অ্যাভোকাডো অয়েলকেও লুব্রিকেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এই তেল খেলেও সমস্যা নেই, তাই ওরাল সেক্সেও ব্যবহার করতে পারবেন। এটি ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও কাজ করে। অ্যাভোকাডো অয়েলকেও কনডমের সঙ্গে ব্যবহার করবেন না। কারণ এই তেলও কনডমকে অকার্যকর করতে পারে।

🧪 ভিটামিন- ই অয়েল: ভিটামিন ই অয়েলকেও লুব্রিকেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। তবে নিশ্চিত হতে হবে যে, পিউর ভিটামিন ই অয়েল ব্যবহার করছেন। এই তেলও কনডমের সঙ্গে ব্যবহার করা উচিত নয়।

🇨🇭 হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়। একজন হোমিও ডাক্তারের/ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। সাইড ইফেক্ট নেই এমন হোমিওপ্যাথি ঔষধ কাজে লাগাবেন। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য পরবর্তী ধাপগুলো অর্থাৎ- যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থতা অর্জন করতে পারবেন। হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় Homeo হোমিও ওষুধ খান।

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ( রেজি: নং- 35423 )

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

হোমিও চিকিৎসায় স্থায়ীভাবে রোগ নির্মূল সম্ভব ?,ডা.মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক
🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:
   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!