যক্ষ্মা এবং হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

যক্ষ্মা এবং হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা।

🇨🇭 দেশে এখনো বড় এক স্বাস্থ্য সমস্যা যক্ষ্মা। এ রোগে শুধু যে নিম্ন আয়ের মানুষেরাই আক্রান্ত হচ্ছে, তা কিন্তু নয়, যে কারোরই হতে পারে যক্ষ্মা।

🇨🇭 বিশ্বে প্রতিদিন যক্ষ্মায় মারা যান 4 হাজার 100 জনের বেশি মানুষ। বিশ্বে যক্ষ্মায় আক্রান্ত মোট রোগীর দুই-তৃতীয়াংশ যে আটটি দেশে আছে, তারই একটি বাংলাদেশ। আবার যক্ষ্মা যে শুধু দরিদ্র জনগোষ্ঠীর হয়, তা–ও কিন্তু নয়, সবার মধ্যেই আছে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। বিশেষত শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে গেলে যক্ষ্মার ঝুঁকি বাড়ে। রোগ কিংবা দূষণে ক্ষতিগ্রস্ত ফুসফুসেও আক্রমণ করতে পারে যক্ষ্মার জীবাণু। ডায়াবেটিস, কিডনির রোগ, অপুষ্টি, মদ্যপান, মাদক সেবন, ধূমপান, এসব যক্ষ্মার ঝুঁকি বাড়ায়। গর্ভবতী নারী, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু, ক্যানসারে আক্রান্ত ব্যক্তি, কেমোথেরাপি কিংবা দীর্ঘদিন স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ গ্রহণ করছেন এমন ব্যক্তি ও HIV আক্রান্ত মানুষেরাও রয়েছেন ঝুঁকিতে।

🇨🇭 ঝুঁকির তালিকায় নতুন যুক্ত হয়েছে করোনা। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে অনেকেরই যক্ষ্মার ঝুঁকি বেড়েছে।

যক্ষ্মা এবং হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

🇨🇭 কীভাবে যক্ষ্মা ছড়ায়?

যক্ষ্মা বা টিবি একটি বায়ুবাহিত ছোঁয়াচে রোগ। এ রোগ সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে ছড়ায় এবং দেহে প্রবেশ করে প্রথমে ফুসফুসে আশ্রয় নেয়। যক্ষ্মায় আক্রান্ত সব রোগীর কাছ থেকেই কিন্তু যক্ষ্মার জীবাণু ছড়ায় না। যাদের থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে, তাদের হাঁচি-কাশি, এমনকি কথা বলার সময়ও বাতাসে যক্ষ্মার জীবাণু ছড়ায়। এ জীবাণু বেশ কয়েক ঘণ্টা বাতাসে ভেসে থাকে। স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় সুস্থ ব্যক্তির ফুসফুসে ঢুকে যেতে পারে বাতাসে ভেসে থাকা এ জীবাণু। এভাবেই অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। অপরিশোধিত দুধ পানের মাধ্যমেও যক্ষ্মার জীবাণু ছড়াতে পারে। ঘনবসতি বা আবদ্ধ স্থানে এ জীবাণু অন্যদের মধ্যে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

🇨🇭 তবে ফুসফুস ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ যেমন: হাড়, মস্তিষ্কের আবরণ, কিডনি, অন্ত্র ও প্রজনন অঙ্গকে আক্রমণ করতে পারে।

🇨🇭 যক্ষ্মার সাধারণ উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি কাশি, কিছু ক্ষেত্রে কাশির সঙ্গে রক্ত, বুকে ব্যথা, দুর্বলতা, ওজন হ্রাস, জ্বর এবং রাতে ঘাম হওয়া।

🇨🇭 রোগীর প্রতি অবহেলা নয়

এই রোগ এমন একটি রোগ, যাতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শরীর। সঠিকভাবে চিকিৎসা না করালে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। দ্রুততম সময়ে চিকিৎসা শুরু করা হলে রোগীর কাছ থেকে খুব বেশি দিন এই রোগ ছড়ায় না। কত দিন পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যক্তি জীবাণু ছড়াচ্ছে, তা নির্ণয় করতে নিয়মিত পরীক্ষা করাতে হয়। তবে এটির চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি। ওষুধের বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। নিয়ম মেনে রোজ সকালে খালি পেটে ওষুধ খাওয়া, নিয়মিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, সব মিলিয়ে এ চিকিৎসা এক দীর্ঘ যাত্রার শামিল। এ যাত্রার মাঝপথে বিরতি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ওষুধ সেবনে অনিয়মিত হলেই বিপদ।

🇨🇭 শারীরিক ও মানসিকভাবে এই রোগীরা অত্যন্ত নাজুক পরিস্থিতিতে থাকে। তাই পরিবার থেকে সব ধরনের সমর্থন তাকে দিতে হবে। রোগীকে মাস্ক পরার গুরুত্ব বোঝাতে হবে, অন্তত যত দিন তার কাছ থেকে জীবাণু ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু কখনোই তাকে অস্পৃশ্য ভাবা যাবে না। নিজেরাও মাস্ক পরে থাকুন। সামাজিকভাবেও রোগী বা তার পরিবারকে একঘরে করে ফেলা যাবে না। রোগটিকে অভিশাপ মনে করা যাবে না। রোগীর সঠিক পুষ্টি ও যত্ন নিশ্চিত করুন।

homeo treatment - dr. masud hossain,

🇨🇭 জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় প্রায় বিনা মূল্যে যক্ষ্মার চিকিৎসা করা হয়। উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদেরও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। উপজেলা পর্যায়েও সরকারিভাবে যক্ষ্মার ওষুধ সরবরাহ করা হয়। তাই চিকিৎসার ব্যয় নিয়ে উৎকণ্ঠিত হওয়ার কিছু নেই। যার হয় যক্ষ্মা, তার নাই রক্ষা, এ ধরনের কথা এখন অর্থহীন। সঠিক চিকিৎসায় যক্ষ্মা সেরে যায়।

🇨🇭 যক্ষ্মা শুধু বুকে নয়

এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে ফুসফুস, পরিপাকতন্ত্র, পাকস্থলি, টনসিল, অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি এমনকি মস্তিষ্ক বা মেরুদণ্ডও। সব সময় যে শুধু কাশি নিয়ে ধরা পড়বে, তা ও নয়। এই রোগ হলে চিকিৎসা সম্পূর্ণ করা আবশ্যক। মাঝপথে চিকিৎসা ছেড়ে দিলে ওষুধের কার্যকারিতা ব্যাহত হয়। ওষুধ প্রতিরোধী এমন এই রোগীর সংখ্যা বাংলাদেশে বাড়ছে। তাদের রোগ প্রচলিত যক্ষ্মার ওষুধে সেরে যাওয়ার মতো অবস্থায় আর নেই। একে বলে মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স টিবি বা এক্সটেনসিভ ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স টিবি। আর সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে, এমন রোগীর কাছ থেকে অন্য কারও শরীরেও ওষুধ প্রতিরোধী জীবাণু সংক্রমিত হতে পারে। এ ভয়াবহ সমস্যা এড়াতে চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ সেবন যেমন করতে হবে, তেমনি থাকতে হবে নিয়মিত ফলোআপে।

আরো পড়ুনঃ ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধ ও সচেতনতা এবং হোমিও চিকিৎসা।

🇨🇭 যক্ষ্মা প্রতিরোধে

এই রোগের টিকা রয়েছে, যা সংক্রমণের জটিলতা প্রতিরোধ করতে সক্ষম। জন্মের পর সরকারের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায়ই যক্ষ্মার এ টিকা দেওয়া যায়। সবাইকেই হাঁচি-কাশির আদব মানতে হবে। যেখানে সেখানে কফ-থুতু ফেলা যাবে না। ব্যবহৃত টিস্যু, রুমাল বা মাস্ক যেখানে সেখানে ফেলা যাবে না। ধূমপান অবশ্যই বর্জনীয়। মনে রাখবেন, আপনার সিগারেটের ধোঁয়া আপনার এবং অন্যদেরও ফুসফুসের ক্ষতি করছে। যেকোনো নেশাজাতীয় দ্রব্যই এড়িয়ে চলতে হবে। যাদের এই রোগরে ঝুঁকি রয়েছে, বিরাট কোনো জনসমাগমস্থলে তাদের না যাওয়াই ভালো। যক্ষ্মা রোগীদের সঠিকভাবে চিকিৎসা করালে অন্যদের মধ্যে ছড়ানোর ঝুঁকি কমে।

🇨🇭 যক্ষ্মার চিকিৎসা

প্রধানত চারটি ওষুধ দিয়ে এই রোগরে চিকিৎসা করা হয়। ফুসফুস অথবা শরীরের কোন অংশ যক্ষ্মায় আক্রান্ত, তার ওপর নির্ভর করে ছয় মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত চিকিৎসা করা হয়। আক্রান্ত ব্যক্তি সময়মতো সঠিক চিকিৎসা পেলে চিকিৎসা সাফল্য প্রায় শতভাগ। কিন্তু কখনো কখনো টিবি ভালো হয়ে আবার আক্রমণ করতে পারে কিংবা চরম ক্ষেত্রে মৃত্যু ঘটাতে পারে।

homeo treatment

🇨🇭 সচেতন হোন
তিন সপ্তাহের বেশি কাশি বা জ্বর, কাশির সঙ্গে রক্তপাত, ওজন হ্রাস, অবসাদ ও ক্লান্তি, ক্ষুধামান্দ্য বা অরুচি, পেটব্যথা, শরীরের কোথাও কোনো অস্বাভাবিক গোটা বা চাকা দেখা দিলে অবশ্যই নিকটস্থ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে যোগাযোগ করুন। দ্রুত রোগ নির্ণয় হলে চিকিৎসা সহজ হয়, শারীরিক জটিলতাও কম হয়।

🇨🇭 হোমিওপ্যাথি এই রোগের উপসর্গ পরিচালনার জন্য প্রচলিত পদ্ধতির পাশাপাশি সহায়ক ভূমিকা পালন করে। হোমিওপ্যাথিক ওষুধগুলি কাশি, বুকে ব্যথা, হালকা শ্বাসকষ্ট, জ্বর, ঠান্ডা লাগা, রাতের ঘাম, ওজন হ্রাস, ক্ষুধা হ্রাস, ক্লান্তি এবং বমি সহ এর লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি পরিচালনা করতে সহায়তা করে। এই ওষুধগুলি সংক্রমণের সাথে লড়াই করার জন্য শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে কাজ করে। এই ওষুধগুলি শুধুমাত্র তখনই সুপারিশ করা হয় যখন লক্ষণগুলি হালকা থেকে মাঝারি তীব্রতার হয় এবং গুরুতর ক্ষেত্রে নয়। এই রোগের উপসর্গ ব্যবস্থাপনার জন্য হোমিওপ্যাথিক ওষুধ একজন ব্যক্তির উপসর্গের উপর নির্ভর করে সাবধানে নির্বাচন করা প্রয়োজন। এটি একটি গুরুতর রোগ এবং এতে প্রাণঘাতী জটিলতা থাকতে পারে। তাই একজন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে যে কোনো হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ব্যবহার করার জন্য কঠোরভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়, যিনি বিস্তারিত কেস স্টাডির পর একটি কেসের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ওষুধ লিখে দিতে পারেন।

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন
Dr. Masud Hossain.
(বি, এইচ, এম, এস )
(ডি, এইচ, এম, এস) ( ঢাকা )।

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

📞 মোবাইল : +8801907-583252 +8801302-743871

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

ডাঃ মাসুদ হোসেন

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 সকাল 09:00 — 01:00 টা।
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!