পরকীয়া কি ? এবং ইসলামে পরকীয়ার শাস্তি কি ?

পরকীয়া কি ? এবং ইসলামে পরকীয়ার শাস্তি কি ?

🇨🇭 যে 3 টি জিনিস দেখলে বুজবেন আপনার স্ত্রী পরকীয়া করে কিনা?

💋 পরকীয়া প্রেমের লক্ষণ:
  1. আপনার স্ত্রীর ভিতর কিছু ভিন্ন জিনিস দেখলে যেমন: আপনার স্ত্রী যদি প্রায়ই জিজ্ঞেস করে কখন বাসায় আসবেন, কখন বের হবেন, এগুলো যদি হঠাৎ বারবার জিজ্ঞেস করে তবে সন্দেহ করতে পারেন, তবে যদি আগে থেকে এগুলো জিজ্ঞেস করার অভ্যাস থাকে তবে সন্দেহ করা উচিত হবে না।
  2. আপনার স্ত্রী যদি দেখেন হঠাৎ সাজ করা বা পারফিউম ব্যবহার করা শুরু করছে তখন আপনি সন্দেহ করতে পারেন কারণ হতে পারে তার নতুন কোনো সম্পর্ক শুরু হয়েছে।
  3. আপনার স্ত্রীর মুখ থেকে কোনো নাম বারবার শুনেন তাহলে অবশ্যই তাকে এই নতুন নাম সম্পর্কে প্রশ্ন করুন যদি দেখেন সে এড়িয়ে যায় তাহলে বুজবেন এখানে কোনো একটা সম্পর্ক শুরু হয়েছে তাদের মধ্যে।
💋 পরকীয়া প্রেমের কারণ সমূহ,

আমাদের বর্তমান সমাজে দেখা যায় স্ত্রী গোপনে সহবাস করে থাকেন, এটার মূল কারণ হচ্ছে বিয়ের পর অনেক স্বামী আছেন যারা বিদেশ চলে যায় তাদের কারণে।

💋 বিদেশ যাওয়ার কারণে দেখা যায় তারা অন্য ছেলের সাথে সহবাসে লিপ্ত হয়। এর কারণ হলো আমরা জানি মেয়েদের যৌন উত্তেজনা একটু বেশি থাকে।

💋 একটি মেয়ে তার স্বামীকে ছাড়া সর্বোচ্চ 3 মাস থাকতে পারে। তাই যারা বছরের পর বছর বিদেশ তাদের স্ত্রীর থেকে দূরে থাকে তাদের স্ত্রীরা পরকীয়ায় একটু বেশি লিপ্ত হয় কারণ তাদের উত্তেজনা বেড়ে গেলে তাদের স্বামী তাদের সাথে থাকে না। এছাড়া অনেক স্বামী আছে যারা তার স্ত্রীকে তৃপ্তি দিতে পারে না যার কারণে তারা অন্য ছেলের সাথে সহবাস করে। এছাড়াও অনেক নারী আছে যারা ছেলেদের প্রতি আকর্ষণ বেশি থাকে তারা বিয়ের পর ও ছেলেদের সাথে কথা বলে এবং একসময় দেখা যায় তাদের প্রতি দুর্বল হয়ে পরে এবং সহবাসে জড়িয়ে পরে।

আপনার স্ত্রী পরকীয়া বা কারো সাথে নতুন সম্পর্কে যুক্ত হয়েছে কিনা তা নিয়ে তাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করবেন না। আপনার যদি সন্দেহ হয় আপনি নিজে খুঁজে বের করুন কিন্তু জিজ্ঞেস করবেন না।

💋 আপনার স্ত্রী পরকীয়া বা কারো সাথে নতুন সম্পর্কে যুক্ত হয়েছে কিনা তা নিয়ে তাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করবেন না। আপনার যদি সন্দেহ হয় আপনি নিজে খুঁজে বের করুন কিন্তু জিজ্ঞেস করবেন না। মনে রাখবেন একটা ভালো সম্পর্ক নষ্ট করতে বা ভেঙে ফেলতে সন্দেহ যথেষ্ট। আপনার সন্দেহ হলে আগে আপনি বের করুন এরপর তাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করুন।

🛑 পরকীয়ার প্রধান কিছু কারণ :

💋 পরকীয়ার একটা বড় উদ্দেশ্য হলো ভোগ। ভোগ যে শুধু পুরুষ নারীকে করে তা কিন্তু নয়। নারীও ভোগ করতে পছন্দ করে। সেকারণেই পরকীয়া শুধুমাত্র পুরুষের একচেটিয়া দখলে নেই।

💋 তবে যেহেতু পরকীয়া বিষয়টি গোপন ধরনের, সেকারণে এনিয়ে এখনো আলাপ আলোচনা কম হয়। কিন্তু তাই বলে পরকীয়া তো বসে নেই !

💋 স্বামী স্ত্রীর চাহিদাকে গুরুত্ব না দেওয়া। যেমন: সময়, ভালো আচরণ ও শারীরিক সম্পর্কে প্রতি গুরুত্ব না দেওয়া। স্ত্রী স্বামী’র চাওয়া পাওয়ার প্রতি গুরুত্ব না দেওয়া। তাঁর মধ্যে হতে পারে স্বামীর সাথে ভালো ব্যবহার না করা, শারীরিক সম্পর্কে অস্বীকৃতি সহ স্বামীর যৌন কার্যে সাড়া না দেওয়া। স্বামীর অতৃপ্তিকর যৌন চাহিদা। এসব কারণ বিবাহিত নারী পরপুরুষ ও বিবাহিত পুরুষ পর নারীর প্রতি আকৃষ্ট হয়। কেননা, একজন নারী কিংবা পুরুষ তাঁর কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিকে দিয়ে তাঁর প্রত্যাশা বা মনের চাহিদা পূরণ করতে না পারে তাহলে তাঁর বিপরীত কাউকে খুঁজে নেয়। যেমন ধরুন:

💋 স্বামী বিদেশ থাকা:
স্ত্রীর অধিকার নষ্ট করে কোন স্বামী যদি দীর্ঘদিন বিদেশে থাকে এবং একারণে কোন স্ত্রী জিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাহলে সেই ব্যভিচারিণী স্ত্রীর জন্য স্বামীও দায়ী থাকবে। স্ত্রীর অধিকার লংঘন হয় এমন কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে নিতে হবে। অধিকাংশ স্ত্রীই হয়তো মুখ ফুটে কিছু বলবে না, তারপরেও খারাপ শোনা গেলেও একথাই সত্যি যে, অনেক প্রবাসীর স্ত্রী আসলে পরপুরুষের প্রতি আসক্ত বা পরকীয়ায় লিপ্ত । তাই বাস্তবতার কথা চিন্তা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিন ‌। ঘর আগুনে পুড়ে গেলে পরে আফসোস আর আফসোস করে কোন লাভ নেই।

💋 জীবন একটাই যা করার ভেবে চিন্তেই করুন। আপনার ভুল সিদ্ধান্ত ও অবহেলার কারণে যেমন আপনার স্ত্রীর চরিত্র নষ্ট হবে, তার সাথে সাথে আপনার ও আপনার সন্তানদের ভবিষ্যতও নষ্ট হবে, এমন ঘটনা বহু ঘটছে।

💋 অবাধ্য স্ত্রী:
বিয়ের পরে অনেক স্ত্রী নিজের অহংকারের কারণে স্বামীর আনুগত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং স্বামীর সাথে ঘৃণা ও বিদ্বেষ পোষণ করা শুরু করে। স্বামী ঘরে যেই ভালোবাসা ও শান্তি পাওয়ার কথা সেটা থেকে বঞ্চিত হয়, তখন সে বাইরে সেটা তালাশ করে।

💋 অত্যাচারী স্বামী:
অনেক পুরুষ আছে যারা স্ত্রীদেরকে মানুষই মনে করে না, স্ত্রীর উপরে শারিরীক ও মানসিকভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন করে আনন্দ পায়। এইরকম একটা পুরুষকে ভালোবাসা একটা মেয়ের জন্য উত্তপ্ত আগুনের কয়লা দিয়ে বানানো পোশাক পড়ার মতোই কঠিন। এরকম বহু নারী একটা সময় নারী লোভী অন্য পুরুষের পাল্লায় পড়ে। কত যে নারী এইরকম এক শয়তান থেকে বাঁচার জন্য আরো বড় শয়তানের পাল্লায় পড়ে দুনিয়া ও আখেরাত বর্বাদ করছে।

💋 বেপর্দায় চলাফেরা করা:
পরিপূর্ণ ইসলাম না মানার কারণে অনেকেই বিবাহিত জীবনে স্বামীর চেয়ে চাচাতো ফুফাতো স্বামীর ছোট ভাই-দেবরের সাথে অবাধ মেলামেশা করে। একসময় তাদের এই নষ্টামি মূলক আচরণে পরকীয়ায় জড়িয়ে যায় ‌। ভেঙে যায় অহরহ সোনার সংসার । প্রতিটা নিষ্পাপ শিশু হারায় তার বাবা-মাকে ।
এইরকম অনেক সত্যি ঘটনা আছে, বেপর্দা নারীদের সাথে মেশা ও গায়ের মাহরাম নারী ও পুরুষের ফ্রী মিক্সিং কিভাবে জিনা-ব্যভিচার ও পরকীয়ার রাস্তাকে খুব সহজ করে দিয়েছে।

💋 সহশিক্ষার প্রভাব:
বর্তমানে কলেজ ইউনিভার্সিটিতে জিনা-ব্যভিচার ও অবৈধ সম্পর্কে ব্যপকতার প্রধান একটা কারণ হচ্ছে নারী ও পুরুষের সহশিক্ষা, সহাবস্থান ও বেশিরভাগ নারীদের বেপর্দা, অর্ধনগ্ন হয়ে চলাফেরা।

আপনার স্ত্রী পরকীয়া বা কারো সাথে নতুন সম্পর্কে যুক্ত হয়েছে কিনা তা নিয়ে তাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করবেন না। আপনার যদি সন্দেহ হয় আপনি নিজে খুঁজে বের করুন কিন্তু জিজ্ঞেস করবেন না।

💋 স্ত্রীকে সময় না দেওয়া:
কর্ম ব্যস্ততা কিংবা স্ত্রী থেকে দূরে থাকার কারনে স্ত্রীর চাহিদা অনুযায়ী সময় দিতে পারেন না বলে তাঁর স্ত্রী একাকিত্ব বোধ করেন। ফলে তিনি গল্প গুজব করতে পারেন না। মনের কথা বা চিন্তা-ভাবনা স্বামীর সাথে শেয়ার করতে পারেন না। সুবিধাবাদী কিংবা ফাও খাওয়া পুরুষেরা এসুযোগটাকে কাজে লাগায়। তাঁরা এরূপ নারীদেরকে টার্গেট প্রথম নানান কলা-কৌশলে তাঁদের মনে জায়গা করে নেয়। একটি সময় এটি প্রেমে পরিণত হয় এবং এটি যৌন সম্পর্কে দিকেও গড়ায়।

💋 স্বামীর প্রতি অবহেলা:
এমনটি লক্ষ্য করা যায় বিবাহিত পুরুষদের মধ্যেও। তারাও স্ত্রীর অবহেলার স্বীকার হয়ে পরনারীর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যায়। কিংবা একটি নারী তাঁর সাথে উত্তম আচরণ করেছে, তাঁর কাজে উৎসাহিত ও উদ্দীপনা যোগিয়েছে, এতে করে ঐ পুরুষ ঐ নারীর প্রতি আসক্ত হয়ে যায় যায়। এরপরে চলতে থাকে প্রেম, এমন কি যৌন সম্পর্কের দিকেও তা গড়াতে পারে। এসব বিষয় গুলো নারী পুরুষদের মনে নেশার মতো কাজ করে। তাঁরা কি করছে সেসব দিকে খেয়াল থাকে না। এসব থেকে তাঁরা সহজে বের হতে পারে না। অপর দিকে নিজেদেরকে একান্ত করে কাছে পাবার প্রবল আশঙ্কা মনে জাগে। তাঁদের মনের প্রবল আকঙ্খার পূরণের বাঁধা হয়ে দাঁড়ানোর ব্যক্তি বর্গকে হত্যাও করে ফেলে।

💋 একারণেই ইসলামে ব্যভিচারের শাস্তি অত্যান্ত কঠিন। ইসলামে হত্যার পরেই ব্যভিচারের শাস্তির অবস্থান। ইসলামে অবিবাহিত নারী পুরুষের ব্যভিচারের শাস্তি বেত্রাঘাত হলেও যদি কোন বিবাহিত নারী কিংবা পুরুষ বিবাহ করা পরেও অবৈধ প্রণয় বা সম্পর্ক গড়ে তুলে তাহলে তাঁর শাস্তি হচ্ছে পাথর নিক্ষেপের মাধ্যমে মৃত্যুদন্ড দেওয়া।

💋 কারণ যাই হোকনা কেন, আল্লাহর সাথে শিরক করার পর সবচাইতে বড় একটা পাপ হচ্ছে, জিনা।

🇨🇭 ইসলামে পরকীয়ার শাস্তি কি ?

💋 পরকীয়ার পরিচয়: পরকীয়া, বাংলা স্ত্রীবাচক শব্দ। পরকীয়া হল বিবাহিত কোন নারী বা পুরুষ নিজ স্বামী বা স্ত্রী ছাড়া অন্য কারো সাথে বিবাহোত্তর বা বিবাহবহির্ভূত প্রেম, যৌন সম্পর্ক ও যৌন কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়া। সমাজে এটি নেতিবাচক হিসাবে গণ্য। মূলতঃ পরকীয়া হল- বৈধ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর নিজ স্বামী বা স্ত্রীকে ফাঁকি দিয়ে পর পুরুষ বা পর নারীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া। পরকীয়া’র পরিণতি খুবই মর্মান্তিক এবং ধ্বংসাত্মক। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ لَا تَقۡرَبُوا الزِّنٰۤی اِنَّہٗ کَانَ فَاحِشَۃً ؕ وَ سَآءَ سَبِیۡلًا ‘ব্যভিচারের ধারে কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কর্ম এবং অত্যন্ত খারাপ পন্থা। (সূরা বানী- ইসরাঈল: ৩২)।

homeo treatment - dr. masud hossain,

গোপন ও প্রকাশ্য যাবতীয় অশ্লীলতাকে আল্লাহ হারাম করেছেন। (সূরা-আরাফ: ৩৩)। রাসূল (ﷺ) স্বীয় উম্মতের মধ্যে ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়াকে অধিক ভয় পেতেন। কারণ যখন কেউ ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তখন তার মধ্যে ঈমান থাকে না। (সহীহ বুখারী, হা/২৪৭৫)। অপর হাদীসে এসেছে, যে নারী ব্যভিচারে লিপ্ত তার দু‘আ আল্লাহ কবুল করেন না।’ (ত্বাবারাণী আওসাত্ব, হা/২৭৬৯; সিলসিলা সহীহাহ, হা/১০৭৩, সনদ সহীহ)। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, إِذَا ظَهَرَ الزِّنَا وَالرِّبَا فِي قَرْيَةٍ فَقَدْ أَحَلُّوا بِأَنْفُسِهِمْ عَذَابَ اللهِ ‘যখন কোন গ্রামে ব্যভিচার ও সূদ প্রসার লাভ করে, তখন তারা নিজেদের উপর আল্লাহর আযাবকে হালাল করে নেয়।’(মুসতাদরাকে হাকেম, হা/২২৬১; সহীহ আত-তারগীব, হা/২৪০১, সনদ সহীহ)। আর বৃদ্ধ বয়সের পরকীয়া ও ব্যভিচারের শাস্তি আরো জঘন্য। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তির সাথে ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা কথা বলবেন না, তাদেরকে পবিত্র করবেন না। তাদের প্রতি তাকাবেন না। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। এরা হল বুড়ো ব্যভিচারী, মিথ্যুক শাসক এবং অহংকারী দরিদ্র। (সহীহ মুসলিম, হা/১০৭)।

আরো পড়ুনঃ   বিবাহিত পুরুষদের শীঘ্র পতন এর স্থায়ী সমাধান।

🇨🇭 পরকীয়ায় জড়িত হওয়ার কারণ:

💋 বর্তমানে সমাজে পরকীয়ার হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বেলজিয়ামের মনস্তাত্ত্বিক এস্থার পেরেল তাঁর ‘দ্য স্টেট অব অ্যাফেয়ার’ গ্রন্থে পরকীয়াকে ক্যান্সারের সঙ্গে তুলনা করেছেন। বিবাহিত নারী-পুরুষের পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার অনেক কারণ রয়েছে। তন্মধ্যে কিছু নিম্নে উল্লেখ করা হল:

  1. ইসলামী শিক্ষার অভাব: ইসলাম মানব জাতির চরিত্রের হিফাযতের জন্য নারী-পুরুষকে বিবাহের নির্দেশ দিয়েছে এবং বিবাহ বহির্ভূত যাবতীয় সম্পর্ককে হারাম ঘোষণা করেছে। (সূরা-আন‘আম; ৬/১৫১)। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক হারাম ও এর ভয়াবহ শাস্তি না জানার কারণে মানুষ পরকীয়ার মত নিকৃষ্ট কাজে জড়িয়ে পড়ে।
  2. সামাজিক কারণ: ইসলাম সামর্থ্যবান পুরুষকে একাধিক বিবাহের অনুমতি দিলেও অনেক পুরুষ সামাজিক কারণে একাধিক বিয়ে করতে পারেন না। কারণ সমাজ বহু বিবাহকে ভাল চোখে দেখে না। ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যৌন চাহিদার অতৃপ্তি থেকে অনেকে এ সম্পর্কে জড়ায়। অপরদিকে দুর্বল ও অসুস্থ পুরুষের ক্ষেত্রেও নারী সামাজিক ভয়ে তালাক না নিয়ে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ে।
  3. পর্দাহীনতা: পরকীয়ার অন্যতম কারণ হলো পর্দাহীনতা। এর ফলে নারী-পুরুষ একে অপরের দেখা-সাক্ষাৎ করার ও কথা বলার সুযোগ পায়। এতে তারা পরস্পরের প্রতি আকৃষ্ট হয়। আর শয়তান এটাকে আরো সুশোভিত করে উপস্থান করে এবং পরকীয়ার দিকে নিয়ে যায়। এজন্য ইসলাম পর্দাহীনতাকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে। ( তিরমিযী হা/১১৭৩, সহীহাহ হা/২৬৮৮, সহীহুল জামে হা/৬৬৯০ )
  4. নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা: পুরুষ-নারীর অবাধ মেলামেশার সুযোগে একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এরপর আলাপচারিতা ও পরবর্তীতে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। মহিলারা আজকাল চাকুরী, ব্যবসা, লেখাপড়া, চিকিৎসা ও অন্যান্য কারণে ইসলামী বিধান উপেক্ষা করে বাড়ির বাইরে যাচ্ছে। আর পর পুরুষের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ, কথা-বার্তা ও ঠাট্টা-মশকরার মধ্য দিয়ে একে অপরের প্রতি ঝুকে পড়ছে। অথচ নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা ইসলামে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। ( বুখারী হা/৫২৩২, মুসলিম হা/২১৭২, তিরমিযী হা/১১৭১ )
  5. গায়র মাহরামের সাথে সফর করা: মেয়েদের মাহরাম ছাড়া একাকী অথবা গায়র মাহরামের সাথে সফর করতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিষেধ করেছেন। কেননা এতে পরকীয়া ও অবৈধ সম্পর্ক সৃষ্টির সমূহ সম্ভাবনা দেখা দেয়। অপরদিকে পরকীয়ার কারণেও নারী-পুরুষ নিজেদের কামনা-বাসনা পূরণের জন্য অনেক স্থানে সফর করে থাকে। সেকারণ ইসলাম মাহরাম ব্যতীত মহিলাদের সফর কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। এমনকি হজ্জের মত ফযীলতপূর্ণ সফরও মাহরাম ব্যতীত জায়েয নয়। ( বুখারী হা/১৮৬২, মুসলিম হা/১৩৪১ সহীহ মুসলিম, আবু দাউদ হা/১৭২৬, সহীহুল জামে‘ হা/৭৬৫০ )
  6. মাহরাম ব্যতীত নারী-পুরুষের নির্জনবাস করা: পর্দাহীনতার আরেকটি স্তর হলো গায়র মাহরাম নারী-পুরুষ নির্জনে একত্রিত হওয়া। ইসলাম একে হারাম ঘোষণা করেছে। বর্তমানে এটাকে অনেকে পাপই মনে করে না। দেবর-ভাবী, শালী-দুলাভাই, ড্রাইভার-মহিলা গৃহকত্রী, ডাক্তার-নার্স, অফিসের বস-মহিলা পিএ, শিক্ষক-ছাত্রী, পীর-মহিলা মুরীদ ইত্যাদি বেগানা নারী-পুরুষ প্রতিনিয়ত নির্জনে একত্রিত হয়ে কাজ করছে। ফলে সমাজে পরকীয়ার ঘটনা তীব্রতর হচ্ছে।
homeo treatment
  1. ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়া: পরকীয়ার আকেরটি কারণ হল ছেলে-মেয়ের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে তাদের অমতে বিয়ে দেওয়া। অভিভাবকরা নিজেদের কথা ভাবেন এবং অনেক তাড়াহুড়া করে তাদের সন্তানদের বিয়ে দেন। কিন্তু ছেলে-মেয়ের পছন্দ বা মতামতকে অনেক ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেন না। ফলে এসব ছেলে-মেয়েদের বিবাহিত জীবন সুখের হয় না। ছেলে-মেয়ে প্রথমে মেনে নিলেও পরে তাদের মধ্যে পারিবারিক অশান্তির সৃষ্টি হয়। পরিবারের ভয়ে কিছু না বললেও এক সময়য়ে তারা উভয়ে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে পড়ে।
  2. দৈহিক অক্ষমতা: নারী-পুরুষ জৈবিক চাহিদা পূরণ করার জন্য বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু এই চাহিদা পূরণ না হলে নারী-পুরুষ পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। মনোদৈহিক ও সামাজিক কারণে মানুষ পরকীয়ায় জড়ায়। প্রথমে আসে দৈহিক বিষয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যৌন সম্পর্কে অতৃপ্তি থেকে অনেকে এ সম্পর্কে জড়ায়।
  3. পশ্চিমা সংস্কৃতি: পশ্চিমাদের নিকট খোলামেলা পোষাকে চলা, বেপর্দায় নিজেকে প্রদর্শন করা অন্যায় নয়। অনেক মুসলিম ছেলে-মেয়ে পশ্চিমাদের অনুকরণে পোষাক পরিধান, তাদের স্টাইলে চলা এবং তাদের মত বেশ ধারণ করে আধুনিক হওয়ার চেষ্টা করে। এভাবে পাশ্চাত্যের অনুকরণে ছেলে-মেয়েরা খোলামেলা পোষাক পরা এবং নারী-পুরুষ অবাধে মেলা-মেশা করার কারণে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে।
  4. প্রযুক্তির সহজলভ্যতা: প্রযুক্তি যেমন মানুষের জীবনকে সহজ ও গতিময় করেছে তেমনি অনেক ক্ষেত্রে এর অপকারিতা জীবনকে নষ্ট করে দিচ্ছে। হাতের নাগালে মোবাইল, ইন্টারনেট, ফেইসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক বিভিন্ন মাধ্যমে থাকার কারণে প্রতিনিয়ত অনেকের সাথে পরিচয় হচ্ছে এ পরিচয় থেকে অনেকে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ছে।
  5. আইনের দুর্বলতা: আধুনিক সমাজে পরকীয়ার প্রতি নেতিবাচক মনোভাব বজায় থাকলেও এটি আইনত অপরাধ বলে বিবেচিত হয় না, তবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে পরকীয়াকারী ব্যক্তির বিবাহিত সঙ্গী তার সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য কোর্টে আবেদন করতে পারেন। বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে কারো স্ত্রী যদি পরকীয়ায় লিপ্ত হয় তাহলে স্বামীর কোন আইনগত প্রতিকার নেই বললেই চলে। এক্ষেত্রে স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক প্রদান করতে পারে। পরকীয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে স্ত্রীর কোন শাস্তির বিধান নেই। কিন্তু দন্ডবিধির ৪৯৭ ধারা অনুসারে স্ত্রীর প্রেমিকের শাস্তির বিধান করা হয়েছে। অর্থাৎ যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করেছে তাকে আইনের মুখোমুখি করানো যাবে। কিন্তু স্ত্রীকে আইনে সোপর্দ করা যাবে না। এমনকি স্ত্রীকে অপরাধের সাহায্যকারী হিসাবেও গণ্য করা যাবে না।

🛑 ইসলামে পরকীয়ার শাস্তি:

🩸 অবিবাহিত নারী-পুরুষের শাস্তি: পরকীয়ার দুই জনের একজন যদি অবিবাহিত হয় তাহলে তার শাস্তি হল-100 বেত্রাঘাত ও এক বছরের জন্য নির্বাসন দেওয়া। রাসূল (ﷺ) বলেন, ‘ব্যভিচারী অবিবাহিত নারী-পুরুষকে একশ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের জন্য নির্বাসন করতে হবে। আর বিবাহিত নারী-পুরুষকে রজম করতে হবে অর্থাৎ পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করতে হবে। (সূরা-নূর; ২৪/২, সহীহ মুসলিম, হা/১৬৯০)

  1. বিবাহিত নারী-পুরুষের শাস্তি: বিবাহিত নারী-পুরুষ যারা এই পরকীয়া অপকর্মের সাথে জড়িত শাস্তি হল, পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করা, যা প্রশাসন কর্তৃক কার্যকর করা হবে। (সহীহ বুখারী, হা/৬৮৭৮)।পরকালীন শাস্তি হল, তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘তিন শ্রেণীর ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না। তারা হল, বৃদ্ধ/বিবাহিত ব্যভিচারী, মিথ্যুক শাসক ও অহংকারী ফকীর। (সহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৪৪১৩, সিলসিলা সহীহাহ, হা/৩৪৬১, সনদ সহীহ)। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একদিন ফজর সালাতের পর স্বপ্নের ব্যাখ্যা করছিলেন। তিনি লম্বা ঘটনার এক অংশে বললেন, আমরা একটি গর্তের নিকট এসে পৌঁছলাম, যা তন্দুরের মত ছিল। তার উপর অংশ ছিল সংকীর্ণ এবং ভিতরের অংশটি ছিল প্রশস্ত। তার তলদেশে আগুন প্রজ্জ্বলিত ছিল।
  2. আগুনের লেলিহান শিখা যখন উপরের দিকে উঠছে, তখন তার ভিতরে যারা রয়েছে তারাও উপরে উঠে আসছে এবং উক্ত গর্ত হতে বাইরে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। আর যখন অগ্নিশিখা কিছুটা শিথিল হচ্ছে, তখন তারাও পুনরায় ভিতরের দিকে চলে যাচ্ছে। তার মধ্যে রয়েছে কতিপয় উলঙ্গ নারী ও পুরুষ। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এরা কারা ? তারা উভয়ে বলল, এরা হচ্ছে- ব্যভিচারী নারী-পুরুষ। এভাবে তাদের আযাব চলতে থাকবে ( সহীহ বুখারী, হা/১৩৮৬, ২০৮৫)। অপর হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন- আমি একদা ঘুমিয়ে ছিলাম আমার পাশে দু’জন লোক আসল, তারা আমার বাহু ধরে নিয়ে যেতে লাগল। হঠাৎ দেখি আমি কিছু লোকের পাশে যারা খুব ফুলে আছে, তাদের গন্ধ এতবেশি যেন মনে হচ্ছে ভাগাড়। আমি বললাম, এরা কারা? নবী করীম (ﷺ) বললেন, এরা ব্যভিচারী-ব্যভিচারিণী।’
    (মুসতাদরাকে হাকেম, হা/২৮৩৭; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৩৯৫১, সনদ সহীহ)।
🇨🇭 মহান আল্লাহ তা‘আলা পরকীয়ার মত সমাজ বিধ্বংসী ভাইরাস থেকে মুসলিম উম্মাহকে হেফাযত করুন। আমীন, ( আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী )
ডাঃ মাসুদ হোসেন

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন
Dr. Masud Hossain.
(বি, এইচ, এম, এস )
(ডি, এইচ, এম, এস) ( ঢাকা )।

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 সকাল 09:00 — 01:00 টা।
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!