হাইপোকন্ড্রিয়াসিস | Hypochondriasis | Dr. Masud Hossain.

হাইপোকন্ড্রিয়াসিস | Hypochondriasis | Dr. Masud Hossain.

🇨🇭 হাইপোকন্ড্রিয়াসিস এক ধরনের মানসিক রোগ, যে রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা শারীরিক ছোট বা উপেক্ষণীয় কোনো সমস্যাই বড় করে দেখেন এবং নিজেদের গুরুতর কোনো রোগে আক্রান্ত বলে মনে করেন।

যেমন: কোনো ব্যক্তির হয়তো হঠাৎ বুক ধড়ফড় করল কিছুক্ষণ। তিনি ধারণা করে নিলেন, তার সাংঘাতিক কোনো হৃদরোগ হয়েছে। অনেকে নতুন কোনো রোগের বর্ণনা শুনলে বা দেখলে সে রোগের দু-একটি উপসর্গ যদি এমনকি আংশিকভাবেও নিজের সঙ্গে মিলে যায়, সেই রোগটি তার রয়েছে বলে তিনি বিশ্বাস করতে শুরু করেন এবং এ নিয়ে সর্বক্ষণ চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন থাকেন।

🇨🇭 শারীরিক ও নানা ল্যাবরেটরি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কোনো রোগ ধরা পড়ে না, কিন্তু রোগ নেই। এ কথাটি তাঁরা মানতে চান না। তাঁরা একের পর এক চিকিৎসক পাল্টান, একই টেস্ট একাধিকবার করান-কোনোবারই রোগ ধরা না পড়লেও তাঁর ধারণার পরিবর্তন হয় না। তাঁরা মানসিক রোগ চিকিৎসকের কাছেও যেতে চান না।

🇨🇭 কারণ তাঁরা তাঁদের রোগটিকে শারীরিক বলেই মনে করেন। অথচ এ ধরনের রোগীর মানসিক চিকিৎসা, বিশেষত সাইকোথেরাপি প্রয়োজন। তবে অনেক সময় ওষুধ সেবনেরও প্রয়োজন হতে পারে।

লক্ষনভিত্তিক কিছু হোমিও ঔষধের নাম

🇨🇭 সাহেব – ছদ্মনাম , গত 3/4 দিন ধরে মাথাব্যথায় ভুগছেন। মনে হচ্ছে মাথার বামদিকটায় ব্যথাটা একটু বেশি। এর আগেও এরকম মাথাব্যথা মাঝেমাঝেই হয়েছে। আর এই ভাবনা আসার পর তার মনে আসে এক ভয়, ভয় কোনো এক ভয়ঙ্কর রোগের। তিনি ভাবতে থাকেন, মাথাব্যথা যেহেতু প্রবল সেহেতু নিশ্চয়ই মাথায় টিউমার হয়েছে। শুনেছিলেন ব্রেইন টিউমার খুব ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করে ক্যান্সারে রূপ নেয়। তাহলে কি ব্রেইন ক্যান্সারই হয়ে গেল! তার মানে কিছুদিনের মধ্যেই ইতি ঘটতে চলেছে তার জীবনের। মৃত্যুভয়ে কুঁকড়ে যেতে থাকেন রাশেদ সাহেব। পরিবারের সবাই তাকে জোর করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। নানা টেস্ট করান ডাক্তার। কিন্তু কোনো রোগই ধরা পড়ল না। ইতোমধ্যে 5 জন ডাক্তার পরিবর্তন করে ফেলেছেন তিনি।

🇨🇭 ডাক্তার রোগ খুঁজে না পেলেও রোগী বলবে তার মারাত্মক কোনো রোগ হয়েছে, সামান্য মাথাব্যথা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কল্পনা করে ফেলাকে নিশ্চয়ই স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না। ঠিক তাই। এটি স্বাভাবিক নয়। সাহেব ভুগছেন- হাইপোকন্ড্রিয়াসিস ( Hypochondriasis ) নামক এক মানসিক অসুস্থতায়।

🇨🇭 হাইপোকন্ড্রিয়াসিস- Hypochondriasis বা হাইপোকন্ড্রিয়া কী?

🇨🇭 মারাত্মক কোনো শারীরিক রোগ সম্পর্কে মাত্রাতিরিক্ত ভীতিই হলো হাইপোকন্ড্রিয়াসিস। এ ধরনের রোগীরা শারীরিক সমস্যার জন্য ডাক্তারের কাছে যান, কিন্তু ডাক্তার তেমন কোনো শারীরিক জটিলতাই খুঁজে পান না। তবুও রোগী বলেই যাবেন যে, তার নিশ্চয়ই মারাত্মক কোনো রোগ হয়েছে। বর্তমানে এই রোগকে নাম দেয়া হয়েছে ( ইলনেস এংজাইটি ডিজঅর্ডার )।

🇨🇭 সামান্য শারীরিক সমস্যাকে বড় করে দেখা হাইপোকন্ড্রাসিসের লক্ষ্মণ, এক্ষেত্রে রোগী নিজের শারীরিক সেনসেশন বা অনুভূতিগুলোকে আসলে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে থাকেন, যেমনটা রাশেদ সাহেব করেছেন। চলতি কোনো স্ট্রেসের কারণে হওয়া মাথাব্যথা থেকে এই ভুল ভাবনা তার ভেতরে এতটাই প্রবল আকার ধারণ করে যে তিনি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েন এবং স্বাভাবিক জীবন-যাপন থেকে দূরে সরে যান। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, হাইপোকন্ড্রিয়াসিসে আক্রান্ত ব্যক্তি সত্যিকার শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত রোগীদের চেয়েও বেশি অসুস্থতা প্রকাশ করেন। আসলে রোগ থাকা বা না থাকাটা এখানে বিষয় নয়, এটি এক ধরনের মানসিক প্রতিক্রিয়া।

🇨🇭 হাইপোকন্ড্রিয়াসিসের- Hypochondriasis লক্ষ্মণ

নিম্নের লক্ষণগুলো যদি একজন ব্যক্তির ভেতর 6 মাসের বেশি স্থায়ী থাকে তাহলে তিনি হাইপোকন্ড্রিয়াসিসে আক্রান্ত বলে নিশ্চিত হওয়া যাবে, সামান্য শারীরিক সমস্যা, যেমন: ব্যথা, পেট খারাপ করা ইত্যাদিকে মারাত্মক কোনো রোগের লক্ষণ মনে করা।

🇨🇭 সুস্থ থাকলেও সারাক্ষণ অসুস্থ হবার ভয়ে ভীত হয়ে পড়া।
শরীরকেন্দ্রিক উদ্বিগ্নতা, যেমন: ( হাতটা মনে হয় ফুলে গেছে )( দিন দিন কেমন শুকিয়ে যাচ্ছ ) ইত্যাদি সবসময় ভেতরে কাজ করা।

🇨🇭 সামান্য কোনো সমস্যা হলেই গুগলে সার্চ দিয়ে খুঁজতে থাকা এর ফলে কী কী কঠিন রোগ হতে পারে এবং যদি কোনো একটির সাথে মিলে যায় সেটা নিয়ে মানসিক উৎকণ্ঠায় থাকা।
ডাক্তার যদি বলেও সব ঠিকঠাক, তারপরেও উদ্বিগ্ন থাকা।
সেকেন্ড অপিনিয়নের জন্য বারংবার ডাক্তার পরিবর্তন করা। শুধু তা-ই নয়, অনেকক্ষেত্রে ডাক্তারই দেখাতে না চাওয়া।
নিজের ভেতর বড় কোনো রোগ বেড়ে উঠছে এমন বিশ্বাস নিজের ভেতরে ধারণ করা।

🇨🇭 একজন হাইপোকন্ড্রিয়াটিক রোগীর ক্ষেত্রে এই লক্ষণগুলো বাড়তেই থাকে। প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো স্বাস্থ্য নিয়ে প্রবল দুশ্চিন্তা, অসুস্থ হবার ভয়ে মাত্রাতিরিক্ত উদ্বিগ্ন থাকা এবং অসুস্থতার লক্ষণ খুঁজে পেতে নিজের শরীর বারবার চেক করা।

আরো পড়ুনঃ    হাইডেটিডিফর্ম মোল | Hydatidiform Mole | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 হাইপোকন্ড্রিয়াসিস- Hypochondriasis কেন হয়?

🇨🇭 একজন মানুষ কেনই বা ভাববে সে কঠিন রোগে আক্রান্ত? কেনই বা ভয় পাবে তিলকে তাল ভেবে? এর পেছনে রয়েছে সুনির্দিষ্ট কিছু কারণ। যেমন:

🩸 উপলব্ধিতে সমস্যা ( Disturbance IN Perception.)
যেমন: সাধারণ সেন্সেশনগুলোকে বড় করে দেখার প্রবণতা।

🩸 অতীতের কোনো দুর্ঘটনা বা স্বপ্নে দেখা কোনো দুর্ঘটনা থেকে নিজের ভেতর ধারণা সৃষ্টি হওয়া: ( আমার এজন্য বড় কোনো রোগ হবে )।

🩸 অন্যের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা। ছোটবেলায় অসুস্থ হয়ে বা ভাই-বোনকে বা অন্য কাউকে অসুস্থ হতে দেখে বুঝতে পেরে অন্যের মনোযোগ এবং যত্ন পাবার জন্য এমনটা ভাবা।

🩸 বড় কোনো স্ট্রেসের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন দিনাতিপাত করলে, যেমন: অফিসে কাজের চাপ, পরিবারে অভাব,অনটন, নিকটাত্মীয়ের মৃত্যু বা এ জাতীয় কিছু।

🩸 এংজাইটি বা ওসিডি ( শুচিবায়ু ) এর মতো মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা থেকেও হাইপোকন্ড্রিয়াসিসের সূচনা হতে পারে।

🇨🇭 হাইপোকন্ড্রিয়াসিসের ক্ষেত্রে এই সবগুলো মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাই ট্রিগার হিসেবে কাজ করতে পারে।

হোমিও-চিকিৎসা.

🇨🇭 কাদের রয়েছে হাইপোকন্ড্রিয়াসিস- Hypochondriasis ঝুঁকি?

  • 🩸 যাদের পরিবারে হাইপোকন্ড্রিয়াটিক রোগী রয়েছে বা ছিল – যদিও জিনগত কারণে এ রোগ হতে পারে এমন তথ্য গবেষণায় প্রমাণিত হয় নি।
  • 🩸 সম্প্রতি স্ট্রেসের সম্মুখীন হয়ে থাকলে।
  • 🩸 বাল্যকালে দীর্ঘদিন অসুখে থেকে থাকলে।
  • 🩸 এংজাইটি, ওসিডি, পারসোনালিটি ডিজঅর্ডার, ডিপ্রেশন ইত্যাদি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকলে।
🇨🇭 হাইপোকন্ড্রিয়াসিস- Hypochondriasis প্রবণতা- পুরুষ নাকি মহিলা?

🩸 পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের মধ্যে সমান হারে হাইপোকন্ড্রিয়াসিস হবার প্রবণতা দেখা যায়।

🇨🇭 কোন বয়সে হাইপোকন্ড্রিয়াসিস- Hypochondriasis হতে পারে?

🩸 গবেষণায় হাইপোকন্ড্রিয়াসিসে আক্রান্ত হবার কোনো নির্দিষ্ট বয়স পাওয়া যায় নি। তবে এর শুরুটা মোটামুটি 25 থেকে 35 বছর বয়সের মধ্যেই হয়ে থাকে। ধীরে ধীরে মাত্রায় বাড়তে থাকে। শুরু হয়ে আপনা-আপনি একেবারে কমে গিয়েছে এমন ক্ষেত্র খুবই কম।

🇨🇭 হাইপোকন্ড্রিয়াসিস- Hypochondriasis চিকিৎসা:

🩸 রোগী যেহেতু শারীরিক জটিলতার কথা বলে থাকেন, তাই শুরুতেই শরণাপন্ন হন একজন ডাক্তারের। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তিনি হয়তো প্রয়োজনীয় কিছু টেস্ট করাতে বলবেন। রোগীর উল্লিখিত লক্ষণের সাথে যদি প্রাপ্ত টেস্ট রিপোর্টে কোনো মিল পাওয়া না যায় তবে হয়তো আরও নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্ন করবেন। এরপর তার কাছে যদি মনে হয় রোগী হাইপোকন্ড্রিয়াসিসে আক্রান্ত হতে পারেন তাহলে একজন অভিজ্ঞ সাইকোলজিস্ট বা সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে রেফার করে দেবেন।

🇨🇭 একজন সাইকোলজিস্ট এক্ষেত্রে যা করে থাকেন
সাইকোলজিস্ট প্রথমেই বৃত্তান্ত শুনবেন এবং কিছু সাইকোলজিক্যাল টেস্ট করবেন। এরপর তিনি যদি নিশ্চিত হতে পারেন যে তার ক্লায়েন্ট হাইপোকন্ড্রিয়াসিসে আক্রান্ত, তাহলে তিনটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে থাকেন:

  • 🩸 ক্লায়েন্টের জীবনের গতিকে যতটা সম্ভব স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসা।
  • 🩸 ক্লায়েন্টের মানসিক উৎকণ্ঠা হ্রাস করা।
  • 🩸 ওষুধের ওপর নির্ভরতা কমানো।
🇨🇭 হাইপোকন্ড্রিয়াসিসের পরিসংখ্যান:

🩸 বাংলাদেশে হাইপোকন্ড্রিয়াসিসের রোগীর সংখ্যা বা প্রবণতা কোনোটি নিয়েই তেমন কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া যায় নি। যুক্তরাষ্ট্রের সুস্থ জনসংখ্যার প্রায় 10-20% এবং সাধারণ মানসিক সমস্যা রয়েছে এমন জনসংখ্যার 45% বিনা অসুখে অসুস্থতায় ভোগেন।

ডা.মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( D. H. M. S )
(ডি, এইচ, এম, এস) ঢাকা।

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 সকাল 09:00 — 01:00 টা।
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!