সেক্স অনীহার কারণ

নারী ও পুরুষের সেক্স অনীহার কারণ কী? এর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।

🇨🇭 এই প্রশ্ন টি অসম্পূর্ণ। এটা ঠিক নয় যে স্ত্রীদের সেক্স অনীহা আছে। কোনো স্ত্রী যদি তার স্বামীর সঙ্গে সেক্স এ অনীহা প্রকাশ করে তার মানে এই নয় যে তার সেক্সে অনীহা আছে। প্রশ্নটা হওয়া উচিৎ এই রকম।

🇨🇭 অনেক স্ত্রী- ই স্বামীর সঙ্গে সেক্স অনীহা প্রকাশ করে কেন?

🇨🇭 আমাদেরই এই দেশ গুলোতে পুরুষদের সেক্স এর প্রতি মাত্রারিক্ত আকর্ষণ থাকলেও সেক্স সম্মন্ধে জানার আগ্রহ কম। আরো ভালো ভাবে বললে ভালো যে নারীদের সেক্স সমন্ধে জানার ইচ্ছা কম। পুরুষরা নিজেদের সেক্স ও সেক্স জীবন সম্পর্কে খুব সচেতন। কিন্তু যখন নারীদের সেক্স ও সেক্স জীবন নিয়ে সচেতন হবার প্রসঙ্গ আসে তখন এড়িয়ে যায় বা নারীদের সেক্স নিয়ে বদনাম করে।

🇨🇭 পুরুষরা বুজতে চায় না যে নারীদের সেক্স নিয়ে মানসিকতা , চাওয়া পাওয়া, ভাবনা চিন্তা ইত্যাদী পুরুষদের থেকে অনেকটা আলাদা। পুরুষরা নিজের ভাবনা চিন্তা অনুসারে নারীদের সেক্স ও সেক্স জীবন কে বিশ্লেষণ করতে যায়। আর তাই প্রায়ই ভুল ধারনা তৈরি করে।

🇨🇭 আমাদের সমাজে নারীদের যৌনতা কে খুব নিচু নজরে দেখা হয়। তাকে নানা ভাবে অপমানিত করা ও দাবিয়ে দেয়া হয়। যে নারী সেক্স নিয়ে কথা বার্তা বলে বা নিজের যৌনিতার অভিব্যাক্তি করে, তাদের সঙ্গে দুশ্চরিত্রা, পতিতা, বেশ্যা , ইত্যাদি ট্যাগলাইন জুড়ে দেয়া হয়। যার ফলে নারী তার যৌনতা নিয়ে কিছুই প্রকাশ করে না। আর পুরুষরা আরও অন্ধকারে ঘুরে বেড়ায়।

🇨🇭 নারীদের যৌনতাকে দাবিয়ে রাখা হয় বলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যৌনতার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।

🇨🇭 পুরুষ নিজের উত্তেজনা মেটানোর জন্যে স্ত্রীর ইচ্ছা অনিচ্ছার তোয়াক্কা না করেই প্রয়োজনে জোর করে সঙ্গম করে। যেটা কে ধর্ষণ বলে। এই ভাবে বেশিরভাগ নারীরাই নিজের স্বামী কর্তৃক ধর্ষিত হয়। এটা কালক্রমে স্ত্রীর মধ্যে স্বামীর সঙ্গে সঙ্গমে আকর্ষণ হারিয়ে ফেলে।

🇨🇭 আজকাল পুরুষদের যৌণ জীবনে পর্নো অনেক ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলেছে। পুরুষেরা পর্নো সেক্স আর বাস্তব জীবনের সেক্স কে গুলিয়ে ফেলেন। তারা পর্নে যা দেখেন সেটাই স্ত্রীর সঙ্গে করতে চান। যেমন: বেশিরভাগ স্বামীর Anal sex করার ইচ্ছা থাকে। আর এই জন্যে তারা স্ত্রীর কে জোর করেন। আর এই সব করতে গিয়ে স্ত্রীরা Sexual Injuries বা যৌণ আঘাত পান। আবার স্বামীরা এমন সব কাজ করতে বলেন যা স্ত্রীরা করা পছন্দ করেন না। যেমন Oral Sex. ফলে স্ত্রীরা স্বামীর সঙ্গে সঙ্গমে অনীহা প্রকাশ করে।

সেক্স অনীহার কারণ

🇨🇭 সমকামিতা একটা বাস্তব সত্য। এটা কোনো রোগ নয়। জীব বিজ্ঞানীরা এটাকে রোগ বলেন না।
অনেক স্ত্রী ই সমকামি হয়ে থাকেন। তারা কোনো পুরুষের সঙ্গে সঙ্গমে আনন্দ পান না। তাই স্বামীর সঙ্গে সঙ্গমে তাদের অনীহা থাকে।

🇨🇭 সমকামিতার মতো আকামিতা ( Asexual ) এক ধরনের যৌনতা। এঁরা কোনো ধরনের যৌনতা পছন্দ করে না। এদের সংখ্যা কম হলেও আছে। কিছু স্ত্রী সত্যিই আকামি হয়ে থাকেন।

🇨🇭 কিছু নারী বা পুরুষ Demisexual হয়ে থাকেন। এঁরা শুধু মাত্র এমন কারু সঙ্গে যৌনতা পছন্দ করেন যার প্রতি এদের আসক্তি আছে। পুরোপুরি না হলেও নারীদের মধ্যে আংশিক Demisexuality দেখা যায়। নারীরা সাধারণত নিজের পছন্দের পুরুষ এর সঙ্গে সঙ্গমে বেশি আগ্রহী হয়। তাই স্বামীর জন্যে তার মনে আবেগ না থাকলে সে স্বামীর সঙ্গে সঙ্গমে আকর্ষণ অনুভব করে না।

🇨🇭 যে কোনো নারী শারীরিক বা মানসিক ভাবে সুস্থ না হলে সে স্বামীর সঙ্গে সঙ্গমে আকর্ষণ হারিয়ে ফেলে। এমন কি ছোটো সমস্যাও তার যৌণ জীবনে প্রভাব ফেলে।

🇨🇭 সহবাসে আগ্রহ কমার কারণ:
সঙ্গী বা সঙ্গীনির যৌনকামনা কমে গেলে ধারণা হতে পারে যে সম্পর্কে বুঝি ফাটল ধরতে চলেছে। বাজে ধারণার ডালপালা ছড়াতে থাকে, সে কি অন্য কারো প্রতি ঝুঁকে পড়েছে? অন্য কাউকে কি অন্তরঙ্গ সময় দিচ্ছে? হ্যাঁ এমনটাও হতে পারে। কিন্তু পরকীয়ার বাইরেও কারণ আছে। কারণগুলো শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে আশা করা যায় সংসার দীর্ঘস্থায়ী হবে। এখানে নারী-পুরুষের সহবাসে আগ্রহ হ্রাসের চারটি সাধারণ কারণ উল্লেখ করা হলো।

আরো পড়ুনঃ কোন বয়সে সবচেয়ে বেশি যৌনসুখ উপভোগ করেন মহিলারা?

🇨🇭 মানসিক চাপ: চাকরি, পারিবারিক সমস্যা ও আর্থিক সংকট সবকিছুই একজন মানুষকে মানসিক চাপে (স্ট্রেস) রাখতে পারে। এমনকি শারীরিক সমস্যাও মানসিক চাপের মাত্রা বাড়াতে পারে। মানসিক চাপ যৌনকামনার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটা নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে সত্য। তবে পুরুষেরা দীর্ঘসময় মানসিক চাপে ভুগলে যৌনকামনা কমার পাশাপাশি বিশেষ অঙ্গও দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সমস্যাকে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন বলে, যেখানে যৌনকর্মের সময় পেনিস যথেষ্ট খাড়া হতে পারে না। মানসিক চাপে টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন কমে যায় বলে সমস্যাটি দেখা দেয়। কানাডার যৌন স্বাস্থ্য শিক্ষক সোনিয়া বার্নেট বলেন, ‘যখন আমরা অন্যান্য বিষয়ে দুশ্চিন্তায় থাকি, তখন যৌনজীবন নিয়ে চিন্তা করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।

🇨🇭 মানসিক সমস্যা: কেবল মানসিক চাপ নয়- উদ্বেগ, বিষণ্নতা ও শুচিবাইয়ের মতো মানসিক সমস্যাও যৌনকামনাকে প্রভাবিত করতে পারে।ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনের (বিষণ্নতা) একটি লক্ষণ হলো- এমন কিছুর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলা যা একসময় করতে ভালো লাগত, এমনকি সহবাসও হতে পারে। বিষণ্নতার ওষুধও যৌনকামনা কমাতে পারে। ভেরি ওয়েল মাইন্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিষণ্নতার ওষুধ পুরুষকে ইরেক্টাইল ডিসফাংশনে ভোগাতে পারে এবং নারীর অর্গাজম অর্জনে প্রতিবন্ধক হতে পারে।

সেক্স অনীহার কারণ

🇨🇭 উদ্বেগ শরীর ও মনকে নানা উপায়ে প্রভাবিত করে। উদ্বেগে আচ্ছন্ন ব্যক্তি বর্তমান মুহূর্তে বেশিক্ষণ থাকতে পারেন না, এমনকি যৌন বিষয়েও।উদ্বিগ্নতায় শরীরের পেশিতে প্রতিক্রিয়াও হয়, যার ফলে যৌনতাকে উপভোগ করা যায় না।

🇨🇭 সম্পর্কের পর্যায়: দাম্পত্য জীবন বিভিন্ন পর্যায়ের মধ্য দিয়ে যায়। প্রথমদিকে যৌনতাকে বেশ উপভোগ করা হয়। কিন্তু সময় পরিক্রমায় স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই আগ্রহ কমে যায়। এটাকে স্বাভাবিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যদি দুজনের কেউ মানসিক চাপে থাকেন, তাহলে তার আগ্রহ আরো হ্রাস পায়। সাধারণত সংসারে বাচ্চা আসলে নারীর যৌনকামনা পূর্বের তুলনায় কমে যায়। নবজাতককে সামলাতে গিয়ে এতটাই কাহিল হয়ে পড়েন যে যৌনতায় তেমন আগ্রহবোধ করেন না। এসময় স্ত্রীকে আগের মতো পেতে চাইলে স্বামীকে বাড়তি পদক্ষেপ নিতে হবে, যেমন: ইমোশনাল সাপোর্ট দিতে হবে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলেও যৌনকামনা কমে যায়, তখন ভালোবাসার স্থানে ঘৃণা এসে বসে থাকে। ঘৃণা নিয়ে যৌনতাকে উপভোগ করা যায় না। ভালোবাসা যত বাড়বে, সহবাস তত উপভোগ্য হবে।

🇨🇭 অনেকেই মনে করেন, সংসার টিকে থাকে যৌনতার ওপর। কিন্তু আসলে এর পুরোটা সত্য নয়। সহবাস হলো দাম্পত্য সম্পর্কের মাত্র একটা দিক। সম্পর্কটি টিকিয়ে রাখতে অন্যান্য উপকরণেরও প্রয়োজন আছে,

যেমন: পারস্পরিক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা। স্বামী-স্ত্রীতে বিশ্বাস ও শ্রদ্ধাবোধ বজায় থাকলে পরস্পরকে আরো কাছে পেতে ইচ্ছে হয়। এটাই তো ভালোবাসা। অন্যদিকে মনে সন্দেহ দানা বাধলে সহবাস তো দূরের কথা, তাকাতেও ইচ্ছে হয় না। সন্দেহের তীর সংসারকে ছেদ করতে বেশি সময় নেয় না।

🇨🇭 শারীরিক অবসাদ: শারীরিক অবসাদ তথা অত্যধিক ক্লান্তিও যৌনকামনা কমিয়ে ফেলতে পারে। কর্মক্ষেত্র, পরিবার ও মানসিক চাপ সবকিছু শারীরিক শক্তির মাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে। স্বামী-স্ত্রীর কেউ শারীরিক অবসাদে ভুগলে যৌনতার প্রতি অনাগ্রহী হতে পারেন। কিছুক্ষেত্রে ভালোবাসার চেয়ে বিশ্রাম বেশি প্রয়োজন, যেমন: শারীরিক অবসাদ। এমনকি এসময় ইমোশনাল সাপোর্টের চেয়েও বিশ্রামের প্রয়োজনীয়তা বেশি। ক্লান্ত-শ্রান্ত একটা মানুষকে কেবল ভালোবাসা দিয়েই প্রাণবন্ত করা যায় না। সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে প্রায়সময় শারীরিক অবসাদে ভুগতে দেখলে তার বোঝা বা চাপ কমানোর চেষ্টা করা উচিত। পুরুষ যেমন কর্মক্ষেত্রের চাপে ক্লান্ত হতে পারেন, নারীও সংসার সামলাতে গিয়ে তেমনটা হতে পারেন।

সেক্স অনীহার কারণ

🇨🇭 এক বছরেই নারীরা যৌনতায় আগ্রহ হারান:

🇨🇭 বিয়ে বা সম্পর্কের এক বছরের মধ্যেই নারীরা সঙ্গীদের সঙ্গে শারীরিক সংসর্গের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। মাত্র 12 মাস একসঙ্গে বাস করার পরই ওই সঙ্গীর প্রতি নারীদের আর কোনো যৌন আকর্ষণ থাকে না বলে এক গবেষণায় তথ্য পাওয়া গেছে।

🇨🇭 ব্রিটিশ অনলাইন দ্য ইনডিপেনডেন্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক এই গবেষণা করেন। এই গবেষণা প্রতিবেদন ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল ওপেনে প্রকাশিত হয়েছে।

🇨🇭 প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষণায় 04 হাজার 839 জন পুরুষ ও 06 হাজার 669 জন নারী অংশ নিয়েছেন। তাঁদের বয়স 16 থেকে 74 বছরের মধ্যে।

🇨🇭 গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষণায় অংশ নেওয়া নারীরা বলেন তাঁরা দ্রুত সঙ্গীদের সঙ্গে শারীরিক সংসর্গে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। এ ছাড়া সন্তান জন্ম দেওয়ার পর আগ্রহ আরও কমে যায়।

🇨🇭 গবেষণা দলের প্রধান ইউনিভার্সিটি অব সাউদাম্পটনের সাইকোলজি, সেন্টার ফর সেক্সুয়াল হেলথ রিসার্চ বিভাগের অধ্যাপক সিনথিয়া গ্রাহাম বলেন, মূলত ক্লান্তি ও অবসাদে ভোগার কারণেই সংসর্গের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া সঙ্গী বা সঙ্গিনীর প্রতি পারস্পরিক আবেগ ও সম্পর্কের অবনতি এবং স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণেই এমনটা ঘটছে।

🇨🇭 গবেষকেরা বলছেন, শারীরিক সংসর্গের কারণে সংক্রমিত যৌন রোগের ভয় ও অতীতে কাউকে জোর করে শারীরিক সংসর্গ করার অভিজ্ঞতা এই প্রবণতাকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে।

🇨🇭 গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে 55 থেকে 64 বছর বয়সী নারীদের ক্ষেত্রে শারীরিক সংসর্গ করার প্রবণতা সবচেয়ে কম। আর পুরুষদের 35 থেকে 44 বছর পর্যন্ত এই প্রবণতা কমে যায়। তবে এ ক্ষেত্রে নারীদের মেনোপজ হওয়া একটা বিষয় কি না, তা গবেষকেরা নিশ্চিত করে বলেননি। গবেষণায় অংশ নেওয়া 34 শতাংশ নারী বলেছেন, সঙ্গীদের প্রতি তাঁদের আর কোনো যৌন আকর্ষণ নেই। অন্যদিকে মাত্র 15 শতাংশ পুরুষ এ কথা বলেন।

🇨🇭 গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয় 18 থেকে 29 বছর বয়সী নারী ও পুরুষ বছরে গড়ে 112 বার শারীরিক সংসর্গ করেন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটা কমে যায়। 30 থেকে 39 বছর বয়সে নারী ও পুরুষ গড়ে 26 বার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে শারীরিক সংসর্গ করেন। এ ছাড়া যেসব নারীদের একাধিক সঙ্গী থাকে তাঁদের ক্ষেত্রে কোনো সঙ্গীর প্রতি যৌন আকর্ষণ দ্রুত কমে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। আর প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন করে বয়স্ক নারী তাঁদের যৌন জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট নন।

🇨🇭 যৌনতায় অনীহা বাড়ছে! মানুষ মাত্রই যৌনাকাঙ্ক্ষা রয়েছে। তাই বলে সব মানুষই যে যৌনতায় প্রলুব্ধ হন, তা কিন্তু নয়। এ ক্ষেত্রে অনেকের নানা কারণে অনীহাও রয়েছে। যেমন: সঙ্গী বা সঙ্গিনী থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাজ্যে প্রতি পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির মধ্যে একজনের যৌনতায় অনীহা। এই হার ক্রমে বেড়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।

সেক্স অনীহার কারণ

🇨🇭 ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল সার্ভে অব সেক্সুয়াল অ্যাটিচুডস অ্যান্ড লাইফস্টাইলসের গবেষণায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।

🇨🇭 গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যৌনতায় যাঁদের আগ্রহ বেশি, তাঁদের জীবনের প্রত্যাশা, জীবনমান ও আত্মসম্মানবোধ অনেক বেশি হয়। অন্যদিকে যৌনতায় অনাগ্রহের সঙ্গে বিষণ্নতা, পারস্পরিক সম্পর্কের অবনতি ও মানসিক চাপকে দায়ী করেছেন গবেষকেরা।

🇨🇭 প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন যৌন বিশেষজ্ঞ আলফ্রেড কিনসে 70 বছর আগে এ নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, প্রাপ্তবয়স্ক সক্ষম ব্যক্তিদের মধ্যে 19 শতাংশেরই যৌনতায় বিশেষ আগ্রহ নেই।

🇨🇭 ন্যাশনাল সার্ভে অব সেক্সুয়াল অ্যাটিচুডস অ্যান্ড লাইফস্টাইলসের 2013 সালের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের মধ্যে যৌনতায় অনাগ্রহ বেশি। মানুষের যৌনতার আগ্রহ নিয়ে সাধারণভাবে যে ধারণা করা হয়, তারা ওই ধারণার অনেক নিচে।

🇨🇭 ন্যাশনাল সার্ভে অব সেক্সুয়াল অ্যাটিচুডস অ্যান্ড লাইফস্টাইলসের 2015 সালের আরেক গবেষণায় বলা হয়, গত কয়েক মাসে প্রাপ্তবয়স্ক 51 শতাংশ মানুষ যৌনতায় একদম অংশ নেননি। দ্রুত এ ক্ষেত্রে তাঁদের আগ্রহ কমে গেছে।

🇨🇭 গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, যৌনতায় মানুষের আগ্রহ কমে যাওয়ার মূল কারণ হলো স্বাস্থ্যগত সমস্যা। শারীরিক সমস্যার কারণেই সঙ্গী বা সঙ্গিনী থাকলেও অধিকাংশ মানুষ যৌনতা থেকে দূরে থাকতে চান। এ ছাড়া হৃদ্‌রোগ, শরীরে জটিল ব্যথা, বিপাক সংক্রান্ত সমস্যা, ব্যক্তিত্বের সমস্যা, যৌনতার ক্ষেত্রে নির্যাতন ও স্বল্প ঘুমের কারণেই যৌনতায় অনীহা বেড়ে চলেছে।

🇨🇭 প্রতিবেদনে বলা হয়, যাঁদের হৃদ্‌রোগ আছে, তাঁরা ভাবেন যৌনতার সময় হুট করে হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের ভয়ে ভোগেন তাঁরা। আর এ কারণেই যৌনতা থেকে দূরে থাকাই তাঁরা শ্রেয় মনে করেন। এ ছাড়া যাঁরা বিষণ্নতা রোধের নিয়মিত ওষুধ খান, ওই ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় তাঁদের যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যায়।

🇨🇭 নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে যৌনতায় অনীহা হারে ভিন্নতা রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষদের চেয়ে নারীদের যৌনতায় অনাগ্রহ সবচেয়ে বেশি। যৌনতা এড়িয়ে চলা নারীদের হার 40 শতাংশেরও বেশি। আর এই বিভাজন তাঁদের কৈশোর বয়স থেকেই শুরু হয়েছে।

🇨🇭 যৌনতায় অনীহার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের আলাদা হারের প্রসঙ্গে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, যৌনতার সময় ব্যথা পাওয়া নারীদের সাধারণ সমস্যা। এই ব্যথা পাওয়ার ভয় থেকেই অনেক নারী যৌনতা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। এ ছাড়া যৌন নির্যাতনের ভয়, কোনো কারণে যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যাওয়া ও কৈশোরে ঘটে যাওয়া যৌন নির্যাতনের স্মৃতিও নারীদের যৌন অনীহার কারণ। আবার ভ্রূণের ক্ষতির আশঙ্কায় অনেক অন্তঃসত্ত্বা নারী যৌনতা এড়িয়ে চলেন।

🇨🇭 আর পুরুষদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, একদম নিজস্ব কারণেই পুরুষদের যৌনতায় আগ্রহ কমছে। কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে যৌন অক্ষমতা, স্বাস্থ্যগত জটিল সমস্যা ও সুযোগের অভাব। একাকিত্বে ভোগা নারী ও পুরুষেরা একসময় যৌন হতাশায় ভোগেন। আর যাঁদের সঙ্গী বা সঙ্গিনী চলে যান, তাঁরা একসময় পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হন। যার পরবর্তী সময়ে নেতিবাচক প্রভাব যৌন আকাঙ্ক্ষা কমিয়ে দেয়।

🇨🇭 গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, যৌনতায় আগ্রহ না থাকার পেছনে বয়স একটা কারণ। অনেক বয়স্ক ব্যক্তির ধারণা, তাঁরা এতটাই বুড়ো হয়ে গেছেন যে তাঁদের জন্য আর যৌনতা নয়। তবে সবার ক্ষেত্রে এই ধারণা এক না ও হতে পারে।

🇨🇭 গবেষকেরা বলছেন, যদি আপনি এমনিতেই সুখী হয়ে থাকেন, তাহলে যৌনতায় অনাগ্রহ বড় কোনো সমস্যা নয়। তবে গত বছর এক গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে যৌনজীবন নিয়ে মাত্র 64 শতাংশ মানুষ সুখী। এই সমাজে মানুষ যৌনতায় অনাগ্রহ নিয়ে তেমন একটা কথা বলেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ক্ষেত্রে কথা বলতেই হবে।

🇨🇭 আপনি যদি আপনার স্বাস্থ্য ও যৌনজীবন নিয়ে সচেতন হতে চান, তাহলে অবশ্যই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করুন।

ডা.মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( বি, এইচ, এম, এস )
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!